অর্থনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের জিডিপি শুধু ভারত বা পাকিস্তানকেই নয়, চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) জাতিসংঘের এক ভার্চ্যুয়াল সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যেও আমরা জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ভারতকে অতিক্রম করেছি। ২০২০ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২২২৭ মার্কিন ডলারে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে কোভিড-১৯ অতিমারির লকডাউনকালীন বাংলাদেশ দ্রুতই অনলাইন সরকার ব্যবস্থাপনা, অনলাইন শিক্ষা ও অনলাইন কর্মপরিবেশে নিজেদেরকে পরিবর্তিত করতে পেরেছে। দেশে মোবাইল ফোনভিত্তিক কোভিড শনাক্তকরণ পদ্ধতি এবং সরাসরি কোভিড তথ্য-সহায়তা চালু করার ফলে সবচেয়ে কম সংক্রমণ হারের দেশের তালিকাতে বাংলাদেশ অবস্থান করছে।

আওয়ামী লীগ সরকার গৃহীত দূরদর্শী পদক্ষেপ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’- এর সাফল্য তুলে ধরে সজীব ওয়াজেদ বলেন, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

জয় বলেন, ১২ বছর আগে বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ডের ব্যবহার ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ০.৩ ভাগ। আজ ১২ বছর পরে দেশের ১১৬ মিলিয়ন মানুষ সুলভ ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে যা দেশের জনসংখ্যার ৭০ ভাগ।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজস্ব উপায়ে ও স্বল্প খরচে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জ্ঞান ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতি ও সেবা সৃষ্টি করতে পেরেছে। পৃথিবীর কোনো দেশ দ্রুত ডিজিটাল পদ্ধতিতে উত্তরণ ঘটাতে চাইলে আমরা আমাদের সেবা ও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তাদের সহায়তা করতে সদা প্রস্তুত রয়েছি।

অর্থনীতি

বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশেও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন করে ভরিতে স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪১ টাকা বাড়ানো হচ্ছে। রবিবার (২৩ মে) থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে।

শনিবার বাজুসের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে গত ১০ মে স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়ানো হয়। এখন নতুন করে দাম বাড়ানো হলে চলতি মাসে স্বর্ণের দাম দুই দফা বাড়বে।

গত ১০ মে দাম বাড়ার মাধ্যমে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৭১ হাজার ৪৪৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৮ হাজার ২৯৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৫৯ হাজার ৫৪৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৪৯ হাজার ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

অর্থনীতি

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নদ ও নদী তীরবর্তী বালুকাময় চরাঞ্চলে মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় চীনা ধানক্ষেত। অনুকূল আবহাওয়ায় অল্প খরচ ও কম পরিশ্রমে ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

প্রমত্ত ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমর নদ ও গঙ্গাধর নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের অনেক জমিতে বন্যা পরবর্তী পলির পুরু স্তর জমায় সেখানে পরীক্ষামূলক সেচ নির্ভর বোরো ধানের চাষ হচ্ছে। ফলাফল আশাব্যঞ্জক। কিন্তু ওইসব নদ ও নদী তীরের কিছু এলাকায় পলি জমে না এমন বেলে দো-আঁশ মাটিতে এখনো সাধারণ ধান চাষ কঠিন। তবে তা চিনা ধান চাষের উপযোগী।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবারে নারায়নপুর ইউনিয়নের উত্তর ঢাকডহর, চৌদ্দঘুরির চর, নুনখাওয়া ইউনিয়নের চরকাপনা, কালীগঞ্জের কুমেদপুর, বেরুবাড়ীর চর বেরুবাড়ী, বল্লভেরখাসের মাদারগঞ্জ, কচাকাটার তরিরহাট, কেদারের বিষ্ণুপুর, টেপারকুটি, কচারডারার এমন ১৬ হেক্টর জমিতে বিলুপ্তপ্রায় চীনা ধানের বীজ ছিটিয়েছেন কৃষক। অনুকূল আবহাওয়ায় অল্প খরচ ও কম পরিশ্রমে ভালো হয়েছে ফলন। কয়েকদিন পরে শীষ খড়ের রং ধারণ করলে ফসল কেটে ঘরে তুলবেন তারা।

নতুন প্রজন্মের অনেকেই চিনা ধান না চিনলেও এক সময় চরাঞ্চলীয় এ জমিগুলোতে এর ব্যাপক চাষাবাদ হত। তখন চীনা সাধারণ চালের বিকল্প হিসেবে মানুষ রান্না করে খেত। ছোট আকারের ধান হওয়ায় বাজারে আতব চালের মত এর চাহিদা। তাই ধনী শ্রেণির মানুষের শখের পায়েস রান্নায় চীনা চালের কদর বেড়েছে। তাছাড়া শিশু খাদ্যে অন্যতম উপাদান এটি। ফলে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা। অনেক সময় এ ফসল অগ্রিম বিক্রি হয়ে থাকে। ফলে বাজারজাত করার কোন ঝুঁকি নেই কৃষকদের। শহর থেকে পাইকাররা গিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে মণ প্রতি চীনা ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা দরে কিনে নিয়ে যায়।

তরিরহাটের কৃষক আবু বক্কর জানান, এবার তিনি চার বিঘা জমিতে চীনা ধানের চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বিঘা প্রতি চার থেকে পাঁচ মণ চীনা ধান পাবেন তিনি। এতে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত তার বিঘা প্রতি খরচ পড়বে মাত্র ৫ হাজার টাকা। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ চীনা ধান বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকা দরে। বাজারমূল্য স্থিতিশীল অথবা এর চেয়ে বেড়ে গেলে তার মোটামুটি লাভ হবে।

নারায়ণ পুর ইউনিয়নে ঢাকডহর চরের কৃষক মোতালেব জানান, এবার চীনা ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। তিনি আশা করছেন আগাম বন্যা না হলে ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। এবার এ ফসলে তিনগুণ লাভের প্রত্যাশা করছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, এবার উপজেলায় চীনার ফলন ভালো হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন ১দশমিক ২ মেট্রিকটন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ফসল চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। আমরা চরাঞ্চলে চীনা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।

অর্থনীতি

এখন থেকে কোনো ব্যাংক কিংবা ডাকঘর থেকে ৫ বছর মেয়াদি ‘বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র’ কেনা যাবে না। শুধুমাত্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন সঞ্চয় ব্যুরো থেকে এই সঞ্চয়পত্র কিনতে হবে।

মঙ্গলবার (১৮ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকেই নতুন এই আদেশ কার্যকর হবে।

তবে বাকি ৩ ধরনের সঞ্চয়পত্র ব্যাংক কিংবা ডাকঘর থেকে কেনা যাবে। সেগুলো হলো- পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র।

সারা দেশে ৭০টির বেশি জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন সঞ্চয় ব্যুরো রয়েছে। সেগুলো থেকে বিনিয়োগকারীরা পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।

সব শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। সেক্ষেত্রে একজন বিনিয়োগকারী চাইলে একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।

এ ছাড়া নাবালকের নামেও এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলেও সঞ্চয়পত্র কিনতে পারে। তবে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ ও সময়সীমা নেই। প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলের অনুকূলেও এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।

এছাড়াও সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে মৎস্য খামার, হাস-মুরগির খামার, পোলট্রি ফিড উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদিপশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতা পাতার চাষ থেকে উপার্জিত আয় দিয়ে।

অর্থনীতি

দেশে এখন মাথাপিছু বার্ষিক আয় বেড়ে ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। সোমবার পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

মাথাপিছু আয় ৯ শতাংশ হারে বেড়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার। এর আগে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার।’

মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারকে টাকায় রূপান্তর করলে হয় এক লাখ ৮৯ হাজার টাকা।

প্রাথমিক তথ্য বলছে, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার এখন ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। যেটা আগের অর্থবছরে ছিল ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা।

বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা সচিবালয় থেকে বৈঠকে যুক্ত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

অর্থনীতি

মহামারি করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি এবং আইনজীবীদের মামলা শুনানিকালে পরিধেয় পোশাক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্তের আলোকে করোনা ভাইরাস রোগের (কোভিড-১৯) সংক্রমণজনিত বর্তমান পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ শারীরিক উপস্থিতিতে এবং ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে মামলা শুনানিকালীন ক্ষেত্রমত টার্নড আপ সাদা কলার ও সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও প্যান্ট/শাড়ী বা সালোয়ার কামিজ পরিধান করবেন।

‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীগণ শারীরিক উপস্থিতিতে এবং ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে মামলা শুনানিকালীন ক্ষেত্রমত টার্নড আপ সাদা কলার ও সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও প্যান্ট/শাড়ী বা সালোয়ার কামিজ পরিধান করবেন’ বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

অর্থনীতি

করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ উপহার হিসেবে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে প্রত্যেক শিক্ষক পাবেন ৫ হাজার টাকা এবং প্রত্যেক কর্মচারী পাচ্ছেন আড়াই হাজার টাকা করে।

করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে আর্থিক সংকটে থাকা ১ লাখ ৬৭ হাজার ২২৫ জন নন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অনুকূলে ৭৪.৮১৭ কোটি টাকা এককালীন অনুদান প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বুধবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৫ হাজার ৭৮৫ জন শিক্ষক- কর্মচারী এবং কারিগরি শিক্ষা,মাদ্রাসা শিক্ষা ও স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬১ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে প্রত্যেক শিক্ষককে ৫ হাজার টাকা এবং প্রত্যেক কর্মচারীকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অনুকূলে ৪৬.৬৩৩ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অনুকূলে ২৮.১৮৪ কোটি টাকাসহ মোট ৭৪.৮১৭ কোটি টাকা এককালীন অনুদান প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহামারীর এই দুঃসময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি খুলনা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমরা জানি তিনি একজন শিক্ষক বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যেও তিনি নন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার বাবুখালি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের কর্মচারী রানাকুল হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেই উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি। আমরা তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

অর্থনীতি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষ লকডাউনের সামান্য শিথিলতার সুযোগ নিয়ে যেভাবে দলবেঁধে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধির কোনরকম তোয়াক্কা না করে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত করছে তা একেবারে সুইসাইড সিদ্ধান্তের শামিল।

আজ সোমবার ( ১০ মে) দুপুরে দেশের চারটি বর্ডার এলাকার বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে ভার্চ্যুয়ালি ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে প্রতিদিন হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে। ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্টটি এখন নেপালে ছড়িয়ে গিয়ে সেখানে ভয়াবহতা সৃষ্টি করেছে। এই ভ্যারিয়েন্ট এখন আমাদের দেশেও চলে এসেছে। এইরকম ক্রিটিকাল সময়ে এই ভাইরাস দেহে নিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ যদি গ্রামে চলে যায়, তাহলে গ্রামে থাকা পরিবার পরিজনসহ গ্রামবাসী গণহারে আক্রান্ত হতে পারে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে, শহরাঞ্চলেও মানুষ এখন বেপরোয়া চলাফেরা করছে। ঢাকাসহ দেশের বড় বড় বিভাগীয় শহরে শপিংমল সহ বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে মানুষ চলাফেরা করছে। এভাবে চলতে দিলে ঈদের পর দেশে ভারত-নেপালের মতো ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। একারণে প্রতিটি বর্ডার এলাকার দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। বর্ডার এলাকার ভারত যাতায়াতকারী ব্যক্তির পরিবারসহ সকল মানুষকে দ্রুত ও বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে। বর্ডার এলাকার কোন যানবাহন নিজ জেলার বাইরে মুভমেন্ট যেন করতে না পারে সে ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এক্ষেত্রে প্রয়োজনে আরো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সভায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জানান, খুলনা বিভাগীয় এলাকায় বর্তমানে ২৭০০ জন ভারত যাতায়াতকারী ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।তাদেরকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া ভারত থেকে বন্দর দিয়ে প্রবেশ করা ট্রাক ড্রাইভার, হেল্পারদের কোনভাবেই মুভমেন্ট করতে দেয়া হচ্ছে না। কঠোরভাবে তাদের আইসোলেশন ব্যবস্থায় জোর দেয়া হয়েছে।

অর্থনীতি

জাতীয় গ্যাস গ্রিডের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য আজ সোমবার (১০ মে) সকাল ৬টা থেকে আগামী শনিবার (১৫ মে) রাত ১০টা পর্যন্ত এবং ঈদুল ফিতরের দিন ও পরের দিন বিবিয়ানা ও বাঙ্গুরা গ্যাসক্ষেত্র আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। ফলে ঈদের দুইদিন ও এ পুরো সময়জুড়ে ঢাকার আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকবে। আজ সোমবার (১০ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় গ্যাস গ্রিডের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য সোমবার সকাল ৬টা থেকে আগামী শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত এবং ঈদুল ফিতরের দিন ও পরের দিন বিবিয়ানা ও বাঙ্গুরা গ্যাসক্ষেত্র আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।

ফলে ওই দিন ও সময়ে এলেঙ্গা, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, জয়দেবপুর, ধনুয়া, আমিনবাজার, আশুলিয়া, সাভার, মানিকগঞ্জ, মাধবদী, ভুলতা, আড়াইহাজার, তারাবো ও আশপাশের এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকবে। গ্রাহকদের এই সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

অর্থনীতি

ঢাকা: দেশে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন বিএনপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য বিএনপির আবেদন-নিবেদনের হেতু বোধগম্য নয়, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে।

কারণ তিনি এখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

রোববার (৯ মে) দুপুরে ঢাকার মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সায়েদাবাদের আর কে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া সুস্থ হোন, সেটিই আমরা চাই এবং এজন্য মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি। আজ বিএনপি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে খালেদা জিয়া দ্রুত আরোগ্যলাভ করছেন, এটি অত্যন্ত সুখবর।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন এবং এটি নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধার ফলে ইতোমধ্যেই তার করোনা নেগেটিভ এসেছে। এজন্য চিকিৎসকদেরও ধন্যবাদ জানাই।

হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা পজিটিভ কোনো রোগীকে অন্য কোনো দেশ নিচ্ছে না এবং নেগেটিভ হবার পরও বেশ কিছুদিন যে নানা শারীরিক সমস্যা থাকে তা আমার করোনা হয়েছিল বলে আমি জানি, এগুলো স্বাভাবিক। খালেদা জিয়াকে এখন বিদেশে নয়, দেশেই তার সেবা-শুশ্রুষা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। সে কারণে খালেদা জিয়াকে তাদের (বিএনপির) বিদেশে নিয়ে যাবার আবেদনের উদ্দেশ্য চিকিৎসা নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বলেই আমার মনে হয়।

স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন টয়েলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গণি ও স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে প্রায় পাঁচশত পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা।