অর্থনীতি

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে।

জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত পাঁচ দিনব্যাপী এক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এলডিসি স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ, নেপাল ও লাওসকে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণের সুপারিশ করা হয় ।এলডিসি

পাঁচ দিনব্যাপী বৈঠকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সূচক পর্যালোচনা করা হয়। বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণে সব ধরনের সূচকের অগ্রগতি হয়েছে।

বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ১ হাজার ৮২৭ মার্কিন ডলার। তবে কোনো দেশ উন্নয়নশীল দেশ হতে হলে জাতিসংঘের মান অনুযায়ী মাথাপিছু আয় ১ হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার হতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। অন্যদিকে, মানবসম্পদ সূচকেও এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। মানবসম্পদ সূচকে প্রয়োজন ৬৬ পয়েন্ট। আর বাংলাদেশের রয়েছে ৭৫ দশমিক ৩ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। এসব অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণে চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ।

অর্থনীতি

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ক্রয়জনিত অসম নীতিমালার কারণে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে দেশীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো। দেশে উৎপাদিত রপ্তানিযোগ্য আন্তর্জাতিক মানসম্মত বহু পণ্য খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও কিনছে না। তারা কৌশলে দরপত্রে এমন শর্তারোপ করছে, যাতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি কেনাকাটায় অংশ নিতে না পারে, অংশ নিলেও ক্রয়াদেশ না পায়। আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কেনাকাটায়ও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে বিদেশি ব্র্যান্ড অগ্রাধিকার পাচ্ছে, বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় পণ্যের বিকাশ। পিছিয়ে পড়ছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের সহযোগিতায় দেশে ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিকস ও ইলেকট্রিক্যাল শিল্পে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দেশে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি হচ্ছে। বিদেশে কোনো পণ্য রপ্তানি করতে গেলে সেই দেশের মান নিয়ন্ত্রণ সনদ নেওয়া তাদের জন্য বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাংলাদেশে যেকোনো পণ্যই খুব সহজে আমদানি হয় কোনো দেশীয় মান নিয়ন্ত্রণ সনদ ছাড়াই। ফলে নিম্নমানের পণ্যে দেশ সয়লাব হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ভোক্তা, অপচয় হচ্ছে বিপুল অর্থের। দেশীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোও অসম প্রতিযোগিতায় ধাবিত হতে বাধ্য হচ্ছে। এমতাবস্থায় দেশীয় উৎপাদনকদের স্বার্থরক্ষায় আমদানিনীতিতে পরিবর্তন আনা জরুরি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অভ্যন্তরীণ উত্পাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানি খাতে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়াতে সরকার দেশীয় শিল্প খাতে নানান সুবিধা দিচ্ছে। এসব সুবিধার কারণে বেসরকারি খাত এগিয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে, যা বিশ্বে দৃষ্টান্ত হিসেবেই উপস্থাপিত হচ্ছে। দেশীয় উত্পাদিত পণ্যের রপ্তানিও বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে।
তবে সরকার একদিকে সুবিধা দিলেও ক্রয়নীতির পরিবর্তন না করায় বিদেশি পণ্য দেশের বাজারে ঢুকছে দেদার। আবার কোনো কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নিজেরাই বিদেশি পণ্য প্রবেশের দ্বার উন্মুক্ত রাখায় দেশীয় পণ্য পিছিয়ে পড়ছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান।  অথচ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের (জনসংখ্যা তাত্ত্বিক বোনাসকাল) সুযোগ কাজে লাগিয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদার জোগান দেওয়ার সুযোগ যদি দেশীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহ পায়, তা হলে মানসম্মত পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে উত্পাদন করা সম্ভব। এতে করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।  কর্মসংস্থানও বাড়বে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের উৎপাদিত বহু পণ্য এখন আন্তর্জাতিক মানের, এ কারণে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ– দেশে উৎপাদিত এয়ারকন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর-ফ্রিজার, কম্প্রেসার, টেলিভিশন, ফ্যান, ইলেকট্রিক্যাল সুইচ-সকেট, এলইডি লাইট-বাল্ব, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স, প্যাসেঞ্জার লিফট, কার্গো লিফট দেশের বাজারের পাশাপাশি বিদেশেও সুনামের সঙ্গে রপ্তানি হচ্ছে। এসব পণ্য আন্তর্জাতিক মানসম্মতই শুধু নয়, দামে সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব। এসব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ।

কিন্তু দেশীয় এসব পণ্যকে বি গ্রেডভুক্ত বিবেচনা করছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দেশীয় ব্র্যান্ড বা উত্পাদনকারীরা তালিকাভুক্ত হতে সক্ষম হলেও কার্যত তারা দরপত্রের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  দেশীয় এসব পণ্যকে অগ্রাধিকার না দিয়ে কেনা হচ্ছে বিদেশি পণ্য।
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আইনের ফাঁক গলিয়ে অবাধে আমদানি করছে নিম্নমানের ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রনিকস পণ্য। একদিকে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ড ও দেশের নাম উল্লেখ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দরপত্র আহ্বান করছে, অন্যদিকে মান যাচাই না করে বা বিএসটিআই সনদ ছাড়াই বিদেশি পণ্য আমদানি করা হচ্ছে দেদার। আর বিএসটিআই সনদের বাধ্যবাধকতা না থাকায় নিম্নমানের বিদেশি পণ্যে বাজার সয়লাব হয়ে যাচ্ছে।

শিল্পোদোক্তারা জানান, সরকারের শিল্পনীতিতে ‘আমদানি বিকল্প স্থানীয় শিল্পের উন্নয়ন’-এর কথা বলা হলেও বিভিন্ন সংস্থার বিদ্যমান অভ্যন্তরীণ ক্রয় নীতিতে অধিকাংশ দরপত্রে দেশীয় ব্র্যান্ড বা দেশীয় উত্পাদনকারীর অংশ নেওয়ার সুযোগ খুবই সীমিত। সরকারি ক্রয়নীতিতে বেসরকারি স্থানীয় শিল্পের উত্পাদিত মানসম্পন্ন সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি দরপত্রে বেশি দামের আমদানি করা পণ্যের ব্র্যান্ড বা দেশের নাম সরাসরি উল্লেখ থাকায় দেশীয় ব্র্যান্ড বা উত্পাদনকারীরা সাশ্রয়ী মূল্য প্রস্তাব করেও দরপত্রে সমমানের পণ্য দেওয়ার আগ্রহ দেখালেও কৌশলে বাদ পড়ে যায়। এতে সুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে দেশীয় উত্পাদনকারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে বিদ্যমান পিপিআর ২০০৮-এর বিধি ২৯(৩)-এর সরাসরি ব্যত্যয় ঘটছে। যেখানে বলা রয়েছে ‘কারিগরি বিনির্দেশে কোনো পণ্যের ট্রেডমার্ক বা পণ্যের ব্যবসায়িক নাম পেটেন্ট, নকশা বা ধরন, নির্দিষ্ট উত্স দেশের নাম, উত্পাদনকারী বা সেবা সরবরাহকারীর নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা যাবে না।’ এবং উপবিধি (৪)-এ নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের পণ্যের বিবরণ উল্লেখ করার সুযোগ থাকলেও ব্র্যান্ড ও কোনো দেশের নাম উল্লেখ করার সুযোগ নেই। কিন্তু বাস্তবে তা-ই হচ্ছে।

এতে করে সরকারি-আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটায় উপেক্ষিত থাকছে দেশীয় শিল্প খাতের উৎপাদিত মানসম্মত পণ্য।

অর্থনীতি

যুবকদের কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ২০৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি ব্যাপক প্রযুক্তি নির্ভর সমম্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা (৩য় পর্যায়) প্রকল্প।

বাস্তবায়ন করবে যুব উন্নয়ন অধদিপ্তর।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। পরিবেশবান্ধব পদ্ধতির মাধ্যমে লাখো যুবকের কাজের সুযোগ তৈরি করা হবে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (যুব উন্নয়ন ও ঋণ শাখা) মাসুদা আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে যুবকদের কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন ও পরিবেশ উন্নয়ন করা হবে। খামারের পরিবেশ ঠিক রাখার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জ্বালানি ও জৈব সার তৈরি হবে। এর মাধ্যমে লাখো যুবকের কর্ম পরিবেশ তৈরি হবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত রেখে যুবকদের কাজের সুযোগ হবে।

যুবসমাজকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে যুব সম্পদে রূপান্তর করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। প্রকল্পটি ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে মিল রয়েছে।

গ্রামীণ যুবকদের র্কমসংস্থানরে সুযোগ সৃষ্টি; সরকারের নির্বাচনী  ইশতহোর ‘আমার গ্রাম -আমার শহর’ অনুযায়ী আধুনকি নাগরিক সুবধিা সম্প্রসারণরে লক্ষ্যে নবায়নযাগ্যে জ্বালানি ব্যবহাররে সম্ভাবনা উন্মাচেন করা হবে। নারীদের জন্য ধোঁয়াহীন, আরামদায়ক, স্বাস্থ্যসম্মত এবং সময় সাশ্রয়ী রান্নার সুযোগ সৃষ্টি করা, যাতে তারা এ অতরিক্তি সময় অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যয় করতে পারে; রান্নার জন্য জ্বালানি কাঠের ব্যবহার কমিয়ে আনা এবং বন উজাড় রোধ করে দেশের উন্নয়ন করা; জৈব বর্জ্য চক্রায়নের মাধ্যমে কৃষি জমিতে ব্যবহারের জন্য জৈব সার উৎপাদন; বায়োগ্যাস প্লান্টে পচনশীল বর্জ্যের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা। খামারে বায়াগ্যোস পদ্ধতি প্রর্বতন সুবধিা সর্ম্পকে যুবকদের সচতেন করাও প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।

সমন্বিত খামারে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে বিকল্প জ্বালানি হিসাবে উৎপাদিত বায়োগ্যাসে আরামদায়ক, স্বাস্থ্যসম্মত এবং সময় সাশ্রয়ী রান্নার সুযোগ সৃষ্টি করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন করা, গবাদি পশু ও মুরগির খামারে দুর্গন্ধ ও দূষণমুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করা ও উন্নতমানের জৈব সার উৎপাদন করা সম্ভব।

জাপান সরকারের অর্থায়নে প্রথম পর্যায়ে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০০৬ থেকে ২০১১ মেয়াদে ১০টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হয়। এই পর্যায়ে ৪ হাজার ৩৮টি বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হয়। এর ফলে ৫ হাজার ৯৭০ জন যুবক উপকারভোগী।

সরকারের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) ইমপ্যাক্ট (ফেজ-১) প্রকল্প মূল্যায়ন করে। এর ভিত্তিতে সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে মোট ৭৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্প নেওয়া হয়। জানুয়ারি ২০১৪ থেকে ২০১৯ মেয়াদে ‘দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রযুক্তি নির্ভর সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা (২য় পর্যায়)’ শিরোনামে প্রকল্পের ২য় পর্যায় সফলভাবে দেশের ৬১টি জেলার ৬৬টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রকল্পের ২য় ফেজে মোট ৩১ হাজার বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে প্রকল্পটি সম্প্রসারণের জন্য প্রকল্পের ৩য় পর্যায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমসমূহ হচ্ছে ৬৪ হাজার  বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন। খামার স্থাপনের মাধ্যমে ১ লাখ ২৮ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

এছাড়া ১ লাখ ৪৮ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান ও কর্মশালা আয়োজ ও ১২৫ কোটি টাকার রিভলভিং ক্রেডিট ফান্ড পরিচালনা, যানবাহন ক্রয় যন্ত্রপাতি ক্রয়; এবং অন্যান্য  কাজ পরিচালনা। দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলা এটা নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্প এলাকা নির্বাচনের যৌক্তিকতা বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে গ্রামীণ যুবদের কর্মসংস্থান এবং আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে বিবেচনায় দেশের ৬৪টি জেলার সকল উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

অর্থনীতি

মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। তবে আশার বাণী হচ্ছে- এই মহামারিকালেও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ একের পর এক নতুন ইতিহাস গড়ে চলেছে। রিজার্ভের ইতিহাসের পেছনে রয়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ঢল।

করোনাকালে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। এই প্রাবাসী আয় থেকেই বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ৪৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করল বুধবার। দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ০২৮ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৩ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়ে যায়। এক মাস যেতেই রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে নতুন ইতিহাস গড়ল।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে প্রায় ২০% বেশি।আর ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ দিনে প্রবাসীরা ১৪৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের হিসাবে ২০% বেশি।

অর্থনীতি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হলো ‘আকাশতরী’ নামে আরেকটি নতুন উড়োজাহাজ। ড্যাশ-৮ মডেলের প্লেনটি বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে দেশে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উড়োজাহাজের নাম রেখেছেন ‘আকাশ তরী’।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে কেনা তিনটি ড্যাশ-৮ প্লেনের প্রথমটি গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে। দ্বিতীয় ‘আকাশতরী’ যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ সংখ্যা ২০-এ দাঁড়ালো।

কানাডার প্রখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড বম্বার্ডিয়ার অ্যারোস্পেস উড়োজাহাজটি তৈরি করেছে। কানাডার ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত ৭৪ আসন বিশিষ্ট ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজটি পরিবেশবান্ধব এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ। উড়োজাহাজগুলো বহরে যুক্ত হওয়ায় বিমান অভ্যন্তরীণ ও স্বল্প দূরত্বের আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীদের আরও উন্নত ইন-ফ্লাইট সেবা দিতে সক্ষম হবে।

অর্থনীতি

তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘অনিয়ম-দুর্নীতিতে’ ডুবতে বসার ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি দায় নিরূপণ করতে কমিটি করে দিয়েছে হাই কোর্ট। ২০০২ সাল থেকে এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দায়ও নিরূপণ করবে এ কমিটি।

বাংলাদেশের ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের ‘কারণ উদ্ঘাটন’ (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং) কমিটির সুপারিশ করা হলে তার সঙ্গে আরো দুই জন সদস্যকে যুক্ত করে গতকাল মঙ্গলবার সাত সদস্যের কমিটি চূড়ান্ত করে দেয় বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খানকে সভাপতি ও বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. সারোয়ার হোসেনকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্যরা হলেন—বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজলুর রহমান, ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মো. কবির আহাম্মদ, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৪-এর মহাব্যবস্থাপক মো. নুরুল আমীন। আর আদালত যে দুজনকে কমিটিতে যুক্ত করেছে, তারা হলেন- সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মহিদুল ইসলাম ও সাবেক সচিব নুরুর রহমান।

ঐ তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলো- বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড। আদালত আদেশে বলেছে, এ তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের সঙ্গে কমিটির কোনো সদস্য জড়িত থাকলে বা কোনো সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে সেই সদস্য দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন। এই কমিটি তদন্তের প্রয়োজনে এই তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।

বিআইএফসির পরিচালনা পর্ষদ অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে বিদেশি অংশীদারী প্রতিষ্ঠান ‘টিজ মার্ট ইনকরপোরেটেড’-এর করা এক আবেদনে গত বছর ১৭ ডিসেম্বর পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দেয় হাই কোর্টের এ কোম্পানি বেঞ্চ।

সেই আদেশের পর্যবেক্ষণে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তদারকির দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। ২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত কর্মকর্তাদের সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কথাও বলা হয় আদালতের পর্যবেক্ষণে। হাই কোর্ট মনে করে, এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধান চালানো উচিত।

এই পর্যবেক্ষণের পরই গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে গত সোমবার তা আদালতে দাখিল করে। তবে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) বিদেশি অংশীদার টিজ মার্ট ইনকরপোরেটেডের আইনজীবী ওমর ফারুখ এ কমিটির বিষয়ে আপত্তি তোলেন আদালতে। এরপর আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাবিত কমিটির সঙ্গে দুজন স্বাধীন-নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে যুক্ত করে কমিটি চূড়ান্ত করে দেয়। আদালতে বাংলাদেশের ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

অর্থনীতি

‘চালের যে সমস্যা চলছে তা থাকবে না। এটা সহনীয় হবে।

আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে বোরো ধান উঠে যাবে। এরমধ্যে আমরা ১০ লাখ টন খাদ্য আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টন খাদ্য এসেছে। আশা করছি এক মাসের মধ্যে চালের বাজার স্বাভাবিক হবে। ’

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর জেলা পরিষদ চত্বরে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের উদ্বোধনকালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি একথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজান সামনে রেখে টিসিবি বিশাল পরিমাণ খাদ্যপণ্য আমদানির চিন্তা করছে। যাতে কোনো অবস্থাতেই সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণে আমাদের দেশেও এর প্রভাব পড়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি, ভর্তুকি দিয়ে হলেও মানুষের হাতে টিসিবির মাধ্যমে নিত্যপণ্য পৌঁছে দিতে।

‘অন্য বছরের তুলনায় এবার রমজানে দ্বিগুণ পণ্য আমদানি করার ব্যবস্থা নিয়েছি। তাই আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কেউ সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম যেন বাড়াতে না পারে সেদিকে কঠোর দৃষ্টি থাকবে। ’

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ছয় মাস আগে তেলের দাম ৭০০ ডলার ছিল। এখন তা বেড়ে সাড়ে ১১শ ডলারে পৌঁছেছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারসহ বাংলাদেশেও তেলের দাম বেড়েছে। এটা যদি না কমে তাহলে আমাদের দেশেও কমানো যাবে না। আমরা নব্বই শতাংশ তেল বাইরে থেকে আমদানি করি। আমরা চাইছি টিসিবির মাধ্যমে কম দামে তেল দিতে।

শিল্প-কলকারখানা করার জন্য রংপুরে গ্যাস আনার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় রংপুর তথা উত্তরবঙ্গকে বিবেচনায় রেখে উন্নয়ন করেন। সরকার ভীষণ চেষ্টা করছে রংপুর অঞ্চলে  প্রচুর আন্তর্জাতিক ইনভেস্টমেন্ট আনতে। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বেশ কিছু শিল্প-কলকারখানা রংপুরে আনা সম্ভব হবে। যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।

টিসিবির পচা পেঁয়াজ বিক্রি এবং ১০ কেজি পেঁয়াজ না কিনলে অন্য পণ্য বিক্রি না করার ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তখন পেঁয়াজ আমাদের স্টকে ছিল। আমরা ৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনে তা টিসিবির মাধ্যমে ১৫ টাকা দরে ক্রেতাদের দিচ্ছি। যার কারণে টিসিবি হয়তো মনে করেছে, মানুষ যদি পেঁয়াজটা না নেয় এটা নষ্ট হবে। আর এই নষ্টটা কিন্তু আমার-আপনারসহ দেশের মানুষের টাকা। ভর্তুকি দেওয়া মানে কিন্তু জনগণের টাকা। সেই বিবেচনায় হয়তো বলেছে আপনারা পেঁয়াজটা নেন। যাতে পচে না যায়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, উপদেষ্টা মোজ্জামেল হক, জেলা পরিষদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি প্রমুখ।

অর্থনীতি

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মোবাইলে বাংলা এসএমএস বা ক্ষুদে বার্তা খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উদ্যোগে বাংলা এসএমএসের খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়।

মন্ত্রী শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে বিটিআরসি, অ্যামটব এবং মোবাইল অপারেটরদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধেক খরচে বাংলা এসএমএস উদ্বোধন করেন।

গ্রামীণফোন ও টেলিটকের গ্রাহকরা উদ্বোধনী দিন থেকেই এই সুবিধা পাবেন। রবি ১৫ মার্চ ও বাংলা লিংকের গ্রাহকরা ৩১ মার্চ থেকে এই সুবিধার আওতায় আসবেন।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমানসহ বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে প্রতি এসএমএস পাঠাতে ৫০ পয়সা (ভ্যাট ও ট্যারিফ ছাড়া) খরচ হয়। বাংলা অক্ষরে লিখে পাঠালে তা ২৫ পয়সা (ভ্যাট ও ট্যারিফ ছাড়া) খরচ হবে।

২০১০ সালের ১৫ আগস্ট থেকে প্রতি এসএমএসে খরচ ৫০ পয়সা (ভ্যাট ও ট্যারিফ ব্যতীত) নির্ধারিত ছিলো।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বাংলাভাষার জন্য রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার পর আমাদের নৈতিক দায়িত্ব সর্বত্র বাংলা চালু করা।

তিনি মোবাইলে বাংলা এসএমএসের মূল্য অর্ধেক করায় বিদেশি তিনটি মোইল কোম্পানির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তারা বাণিজ্যের প্রতি না তাকিয়ে বাংলার প্রতি তাকিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু এবং ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশি অর্থাৎ দেশে প্রায় ১৭ কোটি মোবাইল সংযোগ রয়েছে। কেবল শিক্ষিত শ্রেণি মোবাইল ব্যবহার করে তেমনটিও নয়। তিনি সার্বজনীন বোধগম্য ভাষায় মোবাইল এসএমএসকে একটি কার্যকরী যোগাযোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং মোবাইল অপারেটরদের পক্ষ থেকেও গ্রাহকদের জন্য পাঠানো এসএমএস বাংলায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের বাংলায় এসএমএস পাঠানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

কম্পিউটারে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার মাতৃভাষা হিসেবে বাংলাকে পৃথিবীর চতুর্থতম মাতৃভাষা হিসেবে উল্লেক করে বলেন, পৃথিবীর ৩৫ কোটি মানুষের ভাষা হচ্ছে বাংলা। পৃথিবীর এমন কোনও দেশ নেই যেখানে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ নেই।

হলহ্যাড নামে একজন ইংরেজ বৃটিশ শাসনামলে ফার্সির বদলে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা এবং পরবর্তিতে ১৯১৮ সালে ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি করেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেননি, তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া সর্বত্র বাংলায় দাপ্তরিক যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা ছিলো কিন্তু আইক্যান ও ইউনিকোডের সঙ্গে সরকারের সুদৃঢ় উদ্যোগের ফলে আমরা তা অতিক্রান্ত করতে সক্ষম হয়েছি।

অর্থনীতি

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মানান বলেছেন, কোনো ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারবে না। দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের অগ্রযাত্রায় আমারা গর্বিত। শুক্রবার রানীগঞ্জ সেতুর কাজ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, রানীগঞ্জ সেতুর কাজ ভালো হচ্ছে। সিলেট-ঢাকা ৪ লেন সড়ক নির্মাণের উদ্যোগকে যুগান্তকারী উদ্যোগ।

এদিকে সিলেট বিভাগের স্বপ্নের এবং দীর্ঘতম রানীগঞ্জ সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সুনামগঞ্জ জেলার প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় সিলেট বিভাগের বৃহৎ সেতুটি এখন দৃশ্যমান হয়ে উঠায় এলাকারও দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। দৃষ্টি নন্দন পর্যটন সমৃদ্ধ দৃশ্যপটের রূপ লাভ করা সেতুর আশপাশের জমিরও দাম বেড়ে গেছে। প্রকৌশলীরা আশা করছেন আগামী জুনে এর কাজ শেষ হলে তা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।

পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউষকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটারের মাথার এই সেতু‘র কাজ শুরু হয় ১০১৬ সালের ডিসেম্বরে। সুনামগঞ্জ- ৩ আসনের এমপি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী আবদুল মান্নানের প্রচেষ্টায় রাণীগঞ্জ সেতুর কাজ শুরু হয়। প্রকৌশলীরা বলেন, আগামী জুনে এর কাজ শেষ হবে। সেতুটি চালু হলে প্রান্তিক জেলা সুনামগঞ্জের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব কমবে ৫২ কিলোমিটার। এছাড়া হাওর প্রধান সুনামগঞ্জ জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নবদীগন্তের সূচনা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন গত ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে সেতুর কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের জুন মাসে। কিন্তু বন্যা সহ নানা জটিলতায় কাজের মেয়াদ পিছিয়ে পড়ে।

জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজার ও পাইলগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে কুশিয়ারা নদীর উপর ৭০২ দশমিক ৩২ মিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণ কাজ এখন পুরোদমে চলছে। ১শ ৫৫ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য সেতুটি পিসি গার্ডার এবং বক্স গার্ডারের সমন্বয়ে তৈরী হচ্ছে। এই সেতুর প্রস্ত ১০ দশমিক ২৫ মিটার। ১৫ টি প্যানের এই সেতুতে ১৪ টি পিয়ার রয়েছে। এপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটার।

স্থানীয়রা বলেছেন, দীর্ঘকাল ধরে কুশিয়ারার উপর রানীগঞ্জে সেতু নির্মাণের স্বপ্ন দেখছেন তারা। এখন নির্ধারিত সময় ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে যেন এই সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করা যায় সেই দাবী তাদের। রানীগঞ্জের বাসিন্দারা বলেন, এই সেতু কেবল রানীগঞ্জ এলাকা নয়। পুরো সুনামগঞ্জ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্র পাল্টে দেবে।

অর্থনীতি

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৬টি চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধ করার পর এবার আখ চাষিদের জন্য সহায়তাও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে অনেক চাষিই আখ চাষ শুরু করতে পারেননি।

এ কারণে আগামী মৌসুমে আখ উৎপাদন ৩২ থেকে ৪০ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার প্রভাব চিনি উৎপাদনেও পড়বে।

হিসাব অনুযায়ী আগামী বছর ১০ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিকটন চিনি উৎপাদন কমে যাবে। বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ হাজার মেট্রিকটন চিনি উৎপাদন হয়।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, চিনি উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো আখের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় চাষিরা নিরুৎসাহী। সময় মতো চাষিদের ঋণ ও কৃষি উপকরণ না দেওয়া। এছাড়া আমাদের উৎপাদিত আখগুলোর জাত ভালো না হওয়ায় চিনি পাওয়া যায় কম। উন্নত জাতের আখ চাষ করে বলে বিদেশে একই পরিমাণ জমিতে কম খরচে বেশি আখ পায় এবং তা থেকে চিনিও বেশি হয়। এখন প্রতি হেক্টর জমিতে আমাদের দেশীয় জাতের আখ উৎপাদন হয় ৮ থেকে ১৫ মেট্রিক টন। উচ্চ ফলনশীল আখ চাষ করে পাওয়া যায় হেক্টরপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টন। চিনি উৎপাদনেও তারতম্য রয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ১০০ টন আখ মাড়াই করে চিনি পাওয়া যায় ১২ টন। আর আমরা এখন পাচ্ছে ৫ থেকে ৬ টন।

এছাড়া চিনি বিক্রিতে অনিয়ম, কারখানার আধুনিকায়ন না হওয়াসহ নানা সমস্যায় চিনিশিল্প অনেক পিছিয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে শিল্পসচিব কে এম আলী আজম বলেন, আমাদের যে পরিমাণ আখের চিনি হচ্ছে তা দিয়ে আমরা বিভিন্ন রেশনিং কার্যক্রম চালাচ্ছি। এরপর কিছু ডিলারের মাধ্যমে বিক্রি করি। বর্তমানে আমাদের যেটা আছে সেটা এখন শর্ট পড়ার মতো অবস্থা। নতুন চিনি না এলে আবার সমস্যা হবে।

এবছর আখ চাষিদের সহায়তা না দেওয়ায় আখের উৎপাদন কমে যাবে যা চিনি উৎপাদনে কেমন প্রভাব ফেলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত চাষিদের আখ চাষের জন্য সহায়তা দেওয়া হয়নি বলে যে দেওয়া হবে না, তেমন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। আমরা যতোটা পারি তাদের সহায়তা দেবো।

৬টি চিনিকলে আখ মাড়াই কাজ বন্ধ রয়েছে এতে করে চিনির উৎপাদন কমে যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ৬টি চিনিকলে যে আখ মাড়াই হতো তা পার্শ্ববর্তী চিনিকলগুলোতে দেওয়া হয়েছে। ফলে চিনির উৎপাদন কমবে না। পাশাপাশি ব্যবস্থাপনায়ও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে যে লিকেজগুলো ছিলো সেগুলো বন্ধ করা হচ্ছে। তাই খুব একটা কম হবে না। আনুপাতিক হারে ভালো হবে। আমরা চাচ্ছি আগে ১৫টা মিলে যে চিনি উৎপাদন করতো এখন ৯টি মিলেই সে চিনি উৎপাদন করবে। কারণ আগে দুই মাসের বেশি চিনিকল চালানো যেতো না। কিন্তু এ বছর আমরা সাড়ে তিন মাস কলগুলো চালু রাখবো।

উৎপাদন বাড়ানো প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শিল্পসচিব বলেন, উন্নতজাতের আখের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, পানিসহনীয় আখের জাত উদ্ভাবন, পণ্যের বহুমুখীকরণ, নতুন মেশিন বা অধুনিকায়ন, আখ ক্রয়ে সচেতন হতে হবে। একই সঙ্গে চিনির পাশাপাশি বিভিন্ন বাই প্রডাক্ট তৈরি করতে হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে উৎপাদিত আখের লাল চিনি দিয়ে চাহিদার মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব। বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। লোকসানে জর্জরিত চিনিকলগুলোতে ‘সংস্কার করা হবে’ এমনটা জানিয়ে সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) ছয়টি কলের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। যদিও সরকার ৬টি কলের সব আখ পার্শ্ববর্তী কলে মাড়াইয়ের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু আখ মাড়াই না হওয়ায় চাষিরা এ বছর আখ উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আখের বীজ বপনের সময় আমরা চাষিদের ঋণ দিয়ে থাকি। পাশাপাশি বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সহায়তা করে থাকি। কিন্তু এ বছর বাকি ৯টি কলের চাষিদের এটা দেওয়া হয়নি। এখন চাষিরা ব্যক্তি উদ্যোগে যতোটুকু পারে আখ চাষ করছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোন সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে উৎপাদন অবশ্যই কমে যাবে। এর ফলে ৩২ থেকে ৪০ শতাংশ আখের উৎপাদন কমে যাবে। যার প্রভাব চিনি উৎপাদনেও পড়বে। আমাদের ধারণা আগামী বছর আমাদের ১০ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিকটন চিনি উৎপাদন কমে যাবে।

রফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে সরকারের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, যা হচ্ছে চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের। ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত বর্তমানে আমাদের ট্রেডগ্যাপ আছে ৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। আর ব্যাংকের কাছে ঋণ রয়েছে হাজার কোটি টাকার বেশি। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সরকার যদি ব্যাংক ঋণ, ট্রেডগ্যাপের টাকা দেয় তাহলে আমরা নিজেরাই চলতে পারবো। একই সঙ্গে আর আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন জাতীয় রাজস্ব থেকে করার ব্যবস্থাসহ শিল্পগুলোকে আধুনিকায় করলে এই শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

বিএসএফআইসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ১৫টি চিনিকল রয়েছে। বিগত ১৯৩৩ সাল হতে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এসব চিনিকল প্রতিষ্ঠিত হয়। মিলগুলোর প্রতিষ্ঠাকালীন মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২ লাখ ১০ হাজার ৪৪০ মেট্রিকটন। কিন্তু মিলগুলো পুরাতন হয়ে পড়ায় ও আখ হতে চিনি আহরণের হার কমে যাওয়ায় এবং মিলে আখের পর্যাপ্ত যোগান না থাকায় কারণে বর্তমানে বার্ষিক চিনি উৎপাদন গড়ে ৬৭ হাজার ৫৭৭ মেট্রিক টন।

বর্তমানে মিলভেদে উৎপাদিত চিনির কেজি প্রতি খরচ ৯৩ টাকা থেকে ১৮৬ টাকা। মিলের বিপরীতে গৃহীত ঋণের সুদসহ বিবেচনা করলে তা ১৩১ থেকে ৩১১ টাকা ও গড় হিসেবে কেজি প্রতি উৎপাদিত চিনির খরচ ২২৫ টাকা ৬০ পয়সা। অথচ বর্তমানে চিনির বাজারমূল্য ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। বিএসএফআইসি বর্তমানে তার উৎপাদিত চিনি লুজ কেজি প্রতি ৬০ ও প্যাকেটজাত ৬৫ টাকা দরে বাজারে বিক্রয় করছে। উৎপাদন খরচও বিক্রয়মূল্যের এ বিরাট ব্যবধানের কারণে শুধু গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মিলগুলো ৯৩৭ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।

এছাড়া ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মিলগুলোর দায় দেনার পরিমাণ ৮ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। মিলগুলোর লোকসান কমিয়ে আনার জন্য ১৫টি চিনিকলের মধ্যে ৯টি চিনিকলের উৎপাদন পরিচালনা করা হচ্ছে। বাকি ৬টি মিলে সাময়িকভাবে আখ মাড়াই বন্ধ করেছে সরকার।

উল্লেখ্য, আমাদের দেশে বার্ষিক চাহিদা ১৮ লাখ মেট্রিকটন। তারমধ্যে আমরা উৎপাদন করি ৬০ থেকে ৭০ লাখ মেট্রিকটন। আমাদের মজুদ আছে ৪০ হাজার মেট্র্রিক টন। দেশে উৎপাদিত আখের লাল চিনি দিয়ে চাহিদার মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব। বাকিটা আমদানি করে মেটাতে হচ্ছে।

বর্তমানে দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চিনিকলগুলোতে উৎপাদিত দেশী আখের চিনির মজুদ রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিকটন।