আন্তর্জাতিক

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে আবার গম ও চাল আমদানি শুরু করেছে সরকার। আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে ৫ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে দুই লাখ টন গম ও তিন লাখ টন চাল। প্রথম প্যাকেজের দ্বিতীয় চালানের গমবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। জাহাজটিতে গম রয়েছে ৫৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।

এসব গমের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের অ্যাগ্রোকর্পস। সরকার বেশির ভাগ সময় রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম আমদানি করলেও এবার গম আমদানি করেছে বুলগেরিয়া থেকে। বুধবার বিকাল পর্যন্ত জাহাজটি থেকে গম খালাস চলছিল। চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তৃতীয় ধাপে চলতি মাসের শেষের দিকে চালের চালান আসবে বলে জানা গেছে।

খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ৫ নভেম্বর ‘এমভি কনন’ নামে একটি জাহাজ ৫৫ হাজার ৮৬২ দশমিক ৭৫০ মেট্রিক টন গম নিয়ে বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। ৭ নভেম্বর অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জাহাজ থেকে আমদানি করা গমের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। নমুনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন ‘খাওয়ার উপযোগী’ পাওয়ার পর ৯ নভেম্বর থেকে গম খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়। আমদানি করা গমের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হবে ৩৪ হাজার ৬৭৪ দশমিক ৫০১ মেট্রিক টন আর মোংলা বন্দরে খালাস হবে ২১ হাজার ৫৬ দশমিক ০৪২ মেট্রিক টন গম। বুধবার বিকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে ১৬ হাজার ৩১৭ দশমিক ১৬৮ মেট্রিক টন। বাকিগুলো খালাস চলছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে খালাস শেষ হবে বলে আশা চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগের। খাদ্য মন্ত্রণালয় জি-টু-জি ও আন্তর্জাতিক টেন্ডারের আওতায় বিপুল পরিমাণ গম আমদানি করলেও তা খোলাবাজারে আসার সুযোগ নেই।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমে এলেও এর প্রভাব পড়েনি দেশের বাজারে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরপরই অধিকাংশ গম আমদানি হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বর্তমানে ভালো মানের গম বিক্রি হচ্ছে মনপ্রতি ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯ টাকায়। অন্যদিকে মাঝারি ধাঁচের গমের দাম মনপ্রতি ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা। এতে দেশের পাইকারি বাজারেই গমের দাম পড়ছে কেজিপ্রতি ৫১ টাকা।

পাহাড়তলীর গমের আড়তদার কামরুল হাসান মহিউদ্দিন জানান, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গমের দাম বাড়তে শুরু করে। ইউক্রেন-রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম গম রপ্তানিকারক দেশ। ইউক্রেন-রাশিয়ার বিকল্প হিসাবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের গমের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা বেড়েছে। ভারত ছাড়া আমাদের দেশে গম আসে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও আর্জেন্টিনা থেকে। তবে সেসব দেশ থেকে গমের আমদানি খরচও বেশি। অন্যদিকে ভারতের গম কম আমিষযুক্ত। অস্ট্রেলিয়া-কানাডা ও আর্জেন্টিনার গম অধিক আমিষযুক্ত। ময়দা তৈরিতে এসব গম সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

চট্টগ্রাম চলাচল ও সংরক্ষণ কার্যালয়ের উপনিয়ন্ত্রক সুনীল দত্ত যুগান্তরকে জানান, নতুন করে আমদানি করা গমের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হবে ৩৪ হাজার ৬৭৪ দশমিক ৫০১ মেট্রিক টন আর মোংলা বন্দরে ২১ হাজার ৫৬ দশমিক ০৪২ মেট্রিক টন। বুধবার বিকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে ১৬ হাজার ৩১৭ মেট্রিক টন।

আন্তর্জাতিক

বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে জীবন বাঁচাতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ৪৫ সেনা সদস্য। আশ্রয়ের খোঁজে ভারতে পালাচ্ছেন দেশটির সাধারণ নাগরিকরাও। আনন্দবাজার, হিন্দুস্থান টাইমস, আল আরাবিয়া ও আল জাজিরা।

মিজোরাম পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৪৫ জন মিয়ানমারের সেনা সদস্য ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়েছে অসাম রাইফেলস।

মিজোরাম পুলিশ আরও জানায়, মঙ্গলবার ৪৩ জন মিয়ানমারের সেনা ভারতে ঢুকে পড়ে। বুধবার আরও দুইজন ঢুকে পড়েছে। বিদ্রোহীদের হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে তারা ভারতে ঢুকছে।

মিজোরামের চাম্পেই জেলা লাগোয়া সীমান্তের অদূরে মিয়ানমারের সেনার রিখাওদর ও খাওমাওয়ি ছাউনি দুটি সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্রোহীরা দখল করে।

হাফ ডজন শহর, কয়েকশো গ্রাম, পুলিশ ও সেনার শতাধিক শিবিরের পর মঙ্গলবার মিয়ানমারের সেনাদের একটি অস্ত্রাগার দখলে নেয় বিদ্রোহী বাহিনী। শান প্রদেশের ওই অস্ত্রাগার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরকের পাশাপাশি বিদ্রোহীদের যৌথ বাহিনী অন্তত ছয়টি ট্যাংক ও বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া গাড়িও তাদের দখলে নেয়।

উত্তর মিয়ানমারে তুমুল যুদ্ধের পরে বিদ্রোহী বাহিনী মঙ্গলবার নামতু নদীর উত্তরে হেসেনভি শহর ও সেনাঘাঁটি দখল করেছে।

উত্তর মিয়ানমারের কুনলং, মনিক্যাট, নানবেং (লাশিও-টাংইয়ান রোডে) ও মোনেকো ছাড়া সীমান্তবর্তী অন্য কোনো সেনাঘাঁটি এখন সামরিক জান্তা সরকারের দখলে নেই। রাখাইন প্রদেশের সিতওয়ে শহরের দোরগোড়াতেও পৌঁছে গিয়েছে ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ বাহিনী। এই প্রদেশে রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়ত নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।

মিয়ানমারের শান ও সাগিয়াং প্রদেশে সাফল্যের পরে পশ্চিমের চিন এবং রাখাইন প্রদেশেও হামলা শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে, পশ্চিম মিয়ানমারে সক্রিয় দুই বিদ্রোহী বাহিনী ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ), পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’, জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’।

অক্টোবরের শেষ দিকে, মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা শুরু করে ‘অপারেশন-১০২৭’। ব্যাপক লড়াইয়ের পর, জান্তা নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি শহরের দখলও নেয় সরকারবিরোধীরা। বলা হচ্ছে, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর, এটিই দেশটির সরকারবিরোধীদের সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। এখনও হামলা-পালটা হামলায় উত্তপ্ত কিছু এলাকা।

জান্তা সরকারের ক্ষমতা দখলের পর প্রায় তিন বছর ধরেই উত্তপ্ত মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো। বিদ্রোহী ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে এই সময়ে দেশটি থেকে মিজোরামে পালিয়েছেন ত্রিশ হাজারের বেশি নাগরিক।

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের বুকের ওপর রাজত্ব করছে ৭ লাখেরও বেশি ইসরাইলি দখলদার। এ হিসাবে ইসরাইলের মোট ৭০ লাখ জনসংখ্যার ১০ শতাংশই বসতি স্থাপনকারী। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ১৫০টি বসতি ও ১২৮টি ঘাঁটিতে বর্তমানে বাস করছেন তারা।

বসতি স্থাপনকারীরা মূলত ইসরাইলের নাগরিক। আর ফিলিস্তিনের দুই অঞ্চলে তাদের আবাসস্থলের বেশিরভাগই সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তিগত জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে। পশ্চিম তীরের প্রায় ৪০ শতাংশ জমিই বর্তমানে বসতি স্থাপনকারীদের হাতে। তবে বসতিগুলো ইসরাইল সরকারের অনুমোদিত হলেও ঘাঁটিগুলো সরকারি কোনো অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে।

পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অল্পসংখ্যক ইসরাইলি বাস করে এমন ঘাঁটি থেকে শুরু করে ৪০০ জন পর্যন্ত বাস করে এমন ঘাঁটিও রয়েছে।

ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই আল্ট্রাঅর্থোডক্স ইহুদি। অনেকেই ধর্মীয় কারণে অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে চলে আসে। আবার অনেকে তুলনামূলকভাবে জীবনযাত্রার কম ব্যয় আর সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আর্থিক প্রণোদনার কারণে অঞ্চলগুলোতে চলে আসে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা বেড়েছে।

ইসরাইলে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর পশ্চিম তীরে ১৯৮টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে তারা। ১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
ফিলিস্তিনে সর্বপ্রথম বসতি স্থাপন

১৯৬৭ সালের জুন মাসে ছয় দিনের যুদ্ধে পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকা দখল করার পরপরই বসতি স্থাপন শুরু করে ইসরাইল। একই বছরের সেপ্টেম্বরে পশ্চিম তীরের হেব্রনে ইটজিয়ন ব্লক ছিল ইসরাইলিদের নির্মাণ করা প্রথম বসতি। বর্তমানে এই বসতিতে ৪০ হাজার মানুষ বাস করছেন।

প্রাচীনতম বসতির আরেকটি কেফার এটজিয়ন। প্রায় ১ হাজার ইসরাইলির বাসস্থান। আর পশ্চিম তীরে বৃহত্তম বসতি মোদি’ইন ইলিট। এতে প্রায় ৮২ হাজার ইহুদির বসবাস। যাদের বেশিরভাগই অতি-অর্থোডক্স ইহুদি।

বসতি স্থাপনকারীদের ইসরাইল সরকারের সমর্থন

বসতি স্থাপনকারীদের সরাসরি অর্থায়ন করে ইসরাইলের সরকার। পশ্চিম তীরের ৬০ শতাংশই সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ইসরাইল। এসব অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের নির্মাণ সীমাবদ্ধ, সে সম্পর্কে প্রতিবেদন ও নিরীক্ষণের জন্য বসতি স্থাপনকারীদের প্রতিবছর প্রায় ২০ মিলিয়ন শেকেল (৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার) দেওয়া হয়। ইসরাইল সরকারের দেওয়া অর্থ পরিদর্শক নিয়োগ থেকে শুরু করে ড্রোন, আকাশ প্রতিরক্ষা, ট্যাবলেট ও যানবাহনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ব্যবহৃত হয়।

চলতি বছরের ৪ এপ্রিল ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রীয় বাজেটে বসতি স্থাপনকারীদের অর্থায়নের পরিমাণ দ্বিগুণ করে ৪০ মিলিয়ন শেকেল (১০ মিলিয়ন ইউএস ডলার) করার নির্দেশ দেয়।

আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বসতি স্থাপন কি বৈধ?

পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরাইলের সব বসতি ও ঘাঁটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। এটি স্পষ্ট আন্তর্জাতিক মানবিক আইন চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন। চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনে দেশগুলোকে তাদের দখলকৃত এলাকায় নিজেদের জনসংখ্যা স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ একাধিক প্রস্তাব ও ভোটের মাধ্যমে ইসরাইলের দখলদারিত্বের নিন্দা জানিয়েছে। ২০১৬ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি রেজুলেশনে বসতি স্থাপনের ‘কোনো আইনি বৈধতা’ নেই বলে জানানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচন ইস্যুতে ভারতের সিদ্ধান্তে আমাদের দ্বিমত নেই। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। বাংলাদেশ নিয়ে ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী মোমেন বলেন, সেটা দিল্লিকে জিজ্ঞেস করুন।

এরপরই মন্ত্রী জানান ভারতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিমত নেই। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ এবং তারা অত্যন্ত পরিপক্ব। তাদের সরকার অত্যন্ত পরিপক্ব। তারা (ভারত) যেগুলো বলে, সেগুলোতে আমাদের দ্বিমত নেই।

গেল ১১ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। তখন ভারতের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে কীভাবে সেদেশে নির্বাচন হবে।

আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে তার দেশ। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে মালয়েশিয়াও কঠোর আচরণ করবে না। মালয়েশীয় নাগরিকদের উচিত ফিলিস্তিনিদের সর্বসম্মতভাবে সমর্থন জানানো।

মঙ্গলবার পার্লামেন্টে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

হামাসের বিদেশি সমর্থকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের দেওয়া একটি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।

বিবিসি জানায়, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে হামাস ও ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের বিদেশি সমর্থকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভোট হয়। বিরোধী এক আইন প্রণেতা এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার অবস্থান কী তা জানতে চান আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে।

জবাবে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, আমি এটিসহ কোনো হুমকি মেনে নেব না…। এ পদক্ষেপ একতরফা এবং এর কোনো বৈধতা নেই। কারণ জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে আমরা কেবল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তগুলোই স্বীকৃতি দিই।

মালয়েশিয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। দীর্ঘদিন ধরে দেশটি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলে আসছে। মালয়েশিয়া কূটনৈতিকভাবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো স্বীকৃতি না দেওয়ার অবস্থানেই অটল রয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে প্রায়ই ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিভিন্ন সম্মেলন আয়োজন করা হয়ে থাকে।

আন্তর্জাতিক

গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র অন্তত ৮৯ জন কর্মী নিহত হয়েছে। সংস্থাটি এ কথা জানিয়েছে।

জাতিসংঘ মিশনটি এক্স সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বলেছে, ‘এক মাসে গাজা উপত্যকায় ৮৯ ইউএনআরডব্লিউএ’র সহকর্মী নিহত হয়েছে এবং কমপক্ষে ২৬ জন আহত হয়েছে।’ ‘আমাদের ব্যাপকহারে সহকর্মীদের হারিয়েছি। এদেরকে ভুলে যাবো না।’

৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক বিমান ও কামানের গোলা নিক্ষেপ অব্যাহত রাখে।

হামাস তাদের হামলাকে জেরুজালেমের টেম্পল মাউন্টে আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করে।

প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরোধ ঘোষণা করে এবং ভয়াবহ স্থল অভিযান শুরু করে।

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন যাদের হৃদয় পাথরের তৈরি শুধুমাত্র তারাই চুপচাপ গাজার ঘটনা দেখে যেতে পারে। যেখানে ইসরায়েল প্রায় চার সপ্তাহ ধরে আকাশ ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার মস্কোতে এক সভায় বক্তৃতাকালে পুতিন সতর্ক করেন এই দুঃসহ ঘটনাগুলো সহিংসতাকে উসকে দিতে ব্যবহৃত হতে পারে আর এই জন্যই আবেগ থেকে সরে আসা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ঘটতে থাকা ভয়াবহতার কারণে সেখানে ক্রোদের স্ফুলিঙ্গ তৈরি করা সহজ, খুবই সহজ। আপনি যখন এই দুর্দশা দেখেন এবং রক্তাক্ত শিশুদের দিকে তাকান, তখন আপনার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে যায়, আপনার চোখে জল আসে। এটি হল যে কোনো মানুষ সাধারণ প্রতিক্রিয়া। যদি এই প্রতিক্রিয়া কারো না থাকে, তাবে সে হৃদয়হীন, তার হৃদয় পাথরের তৈরি।

রাশিয়ার দাগেস্তান প্রশাসনিক কেন্দ্র মাখাচকালা অঞ্চলের বিমানবন্দরে ২৯ অক্টোবর অস্থিরতার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে পুতিন বলেন, ইসরায়েল থেকে ফিরে আসা ইহুদিদের ওপর হামলা ফিলিস্তিনিদের কোনো ভাবেই সাহায্য করবে না।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমাদের অবশ্যই এই সমস্ত ঘটনাগুলোকে যৌক্তিকভাবে উপলব্ধি করতে হবে, বুঝতে হবে এই সব কোথা থেকে আসে এবং এই আশুভ শক্তির মূল কোথায়।

ইউক্রেনের দুর্নীতিগ্রস্থ প্রশাসনের কারণে কিয়েভের কাছে সরবরাহ করা অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যে চলে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, এখন তারা বলছে ইউক্রেন পাঠানো অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যে দেখা যাচ্ছে। অবশ্যই এটা ঘটছে কারণ তারা (ইউক্রেনীয়রা) অস্ত্র বিক্রি করছে। সেখান থেকে তা (পশ্চিমা অস্ত্র) তালেবানসহ অন্য সব জায়গায় যাচ্ছে।

বিপুল সংখ্যক হতাহতের পাশাপাশি গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দা ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি, জ্বালানি এবং ওষুধের সংকটে ভুগছে যাদের অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশু। যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বান তেল আবিব বারবার উপেক্ষা করছে। আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ধারাবাহিক নির্জাতনের প্রতিবাদে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১৪শ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি পাল্টা হামলায় কমপক্ষে ৯২২৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে অন্তত ২৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

শুধু গাজা নয়, ঘরপোড়া আগুনে জ্বলছে পশ্চিম তীরও। অঞ্চলটির ঘরে ঘরে এখন ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার আতঙ্ক। ফিলিস্তিনিদের বন্দুক ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ি ছাড়তে বলছে তারা। ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে ১৭১ বার। প্রাণহানির ঘটনা ঘটিয়েছে ২৬টি। সম্পত্তির ক্ষতি করেছে এমন ঘটনা ঘটেছে ১১৫টি। বসতি স্থাপনকারীরা প্রাণহানিসহ সম্পত্তিরও ক্ষতি করেছে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে ৩০টি। জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ৭ অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর বসতি স্থাপনকারীদের করা বিভিন্ন আক্রমণ নথিভুক্ত করেছে তারা।

গত ২৮ অক্টোবর দক্ষিণ পশ্চিম তীরের খিরবাত জানুতা অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হন প্রায় ২৪টি ফিলিস্তিনি পরিবারের মোট ১৪১ জন বাসিন্দা। যাদের অর্ধেকই শিশু। তাদের প্রায় ৫০টি আবাসিক কাঠামো ও পশু থাকার স্থান ভেঙে ফেলা হয়। নিজেদের ৫ হাজার গবাদি পশু নিয়ে এদিন অঞ্চলটি খালি করেন তাধরা। এই অঞ্চলের আবু খালেদ (৪৩) বলেন, ‘গত ২৬ অক্টোবর আমাদের বাড়িঘর, পানির ট্যাঙ্ক, সোলার প্যানেল ধ্বংস করেছে তারা। আর এ কারণেই আমরা বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম।’ যদিও এমন অভিজ্ঞতা খিরবাত জানুতা অঞ্চলের জন্য নতুন নয়। গত ৭ অক্টোবর থেকে ৯৮টি পরিবারের ৩১৩ শিশুসহ অন্তত ৮২৮ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত করার প্রতি তিনটি ঘটনার মধ্যে একটিরও বেশি ঘটনায় হুমকি দেওয়ার ক্ষেত্রে গুল চালানোসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছেন বসতি স্থাপনকারীরা। প্রায় অর্ধেক ঘটনায় ইসরাইলি বাহিনী আক্রমণকারীদের সঙ্গে থেকেছে অথবা তাদের সক্রিয় সমর্থন দিয়েছে। অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত সরাসরি বসতি স্থাপনকারীদের হাতে আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ক্ষতি বা ধ্বংস হয়েছে ২৪টি আবাসিক কাঠামো, ৪০টি কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত কাঠামো, ৬৭টি যানবাহন ও ৪০০টিরও বেশি গাছ ও চারা। পশ্চিম তীরের আরেক অঞ্চল আলগানুব। গত ৯ অক্টোবর এই অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন মোট ৪০ জন বাসিন্দা। নিজেদের ভিটেবাড়ি ছেড়ে যেতে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাদের। বলা হয়েছে, এক ঘণ্টার মধ্যে এই অঞ্চল ছেড়ে চলে না গেলে তাদের হত্যা করা হবে। বাস্তুচ্যুতদের একজন আবু জামাল (৭৫) বলেন, ‘বসতি স্থাপনকারীরা আমাদের তাঁবুতে আগুন দিয়েছে, আমার ছাগল চুরি করেছে। আমাদের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে।’

গত ১২ অক্টোবর পশ্চিম তীরের নাবলুস অঞ্চল থেকে আট পরিবারের মোট ৫১ জনকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। তাদেরও বন্দুক ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি আর রাতে তাঁবুতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সেপ্টেম্বরে ওসিএইচএ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের ২৮টি সম্প্রদায়ের ১ হাজার ১০৫ জন মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বাস্তুচ্যুত হয়েছে চারটি সম্প্রদায়। অন্য ছয়টি সম্প্রদায়ের ৫০ শতাংশেরও বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে সাতটি সম্প্রদায়ের।

২০২২ সাল থেকে বসতি স্থাপনকারীদের হামলার শিকার হয়ে মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৯৩৩তে পৌঁছেছে। এছাড়া ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের বাড়িঘর ধ্বংসের শিকার হয়ে ২০২২ সালে আরও ১ হাজার ৩২ জন ফিলিস্তিনি ও ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫২ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

বাস্তুচ্যুত করা ছাড়াও ফিলিস্তিনের চলাফেরায় অবরোধসহ বিভিন্ন মানবিক পরিষেবা থেকে তাদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন চলছে গ্রেফতার অভিযান। শুক্রবারও অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে অন্তত ৪১ ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। অভিযান চালানো হয়েছে পশ্চিম তীরের নাবলুস, তুলকারম ও রামাল্লায়। তবে বেশিরভাগই গ্রেফতার হয়েছেন হেব্রন থেকে। শহরটির দক্ষিণে আল-ফাওয়ার শরণার্থী শিবির থেকে কমপক্ষে ২৫ ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বের প্রভাবশালী টাইম ম্যাগাজিন।

বৃহস্পতিবার ‘প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা অ্যান্ড দ্য ফেট অব ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক চার্লি ক্যাম্পবেলের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে টাইম ম্যাগাজিন।

সেপ্টেম্বরের শুরুতে টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করার উদ্দেশ্যে ঢাকার বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন চার্লি ক্যাম্পবেল।

সেই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন বিস্ময়কর রাজনৈতিক নেতা, যিনি গত এক দশকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম বর্ধমান অর্থনীতির দেশ হিসাবে বাংলাদেশের ব্যাপক উত্থান ঘটিয়েছেন।

এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার আগেও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সময়ের হস্তক্ষেপকারী সামরিক শক্তি এবং ইসলামপন্থিদের মোকাবিলা করে কৃতিত্বের সঙ্গে দীর্ঘ এই সময় তিনি সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার বা ভারতের ইন্দিরা গান্ধীর চেয়ে বেশিবার নির্বাচনে জয়ী শেখ হাসিনা আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে আবারও জয়ী হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী এ কারণে যে, আমার দেশের জনগণ আমার সঙ্গে আছে। তারা আমার প্রধান শক্তি।’

আন্তর্জাতিক

ইসরাইল যেহেতু একটি দখলদার শক্তি; তাই দেশটির নিজেকে রক্ষার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। বুধবার চলমান ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এমন মন্তব্য করেন রুশ প্রতিনিধি।

খোদ ইসরাইলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট এমন সংবাদ দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে সেখানে নিযুক্ত রাশিয়ার প্রতিনিধি ভাসিলি নেবেনজিয়া এভাবেই সরাসরি ইসরাইলের বিরোধিতা করেন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা শুধু ইসরাইলের কথিত আত্মরক্ষার অধিকার নিয়েই কথা বলে যাচ্ছে। অথচ একটি দখলদার শক্তি হিসেবে তাদের সেই অধিকার নেই।

তিনি আরও বলেন, শুধু ফিলিস্তিনিদের ইস্যুগুলোর সমাধান করার মাধ্যমেই ইসরাইলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব। অবশ্যই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন অনুযায়ী ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান করতে হবে। ইহুদি জনগোষ্ঠী শত শত শতাব্দী ধরে নিপীড়নের শিকার হয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের কষ্ট কেমন হতে পারে- সেটা তাদেরই সবচেয়ে ভালো বোঝা উচিত। সাধারণ মানুষদের এভাবে হত্যা করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে না এবং মৃতরাও বেঁচে ফিরবে না।

রাশিয়ার দূত তার ভাষণে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ‘ভণ্ড’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। একই সঙ্গে ফিলিস্তিন সংকটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাস্তা বানচাল করার জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেন নেবেনজিয়া।

আরব দেশগুলো যেভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে ঠেলে দিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছে তারও সমালোচনা করেছেন রাশিয়ার প্রতিনিধি।