আন্তর্জাতিক

২ জুন, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : বিমানবাহিনীর এক অনুষ্ঠান মঞ্চে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তবে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হননি এবং পরে তিনি ব্যাপারটি নিয়ে রসিকতাও করেছেন। খবর এএফপি’র।

৮০ বছর বয়সী বাইডেন বৃহস্পতিবার কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে ইউএস এয়ার ফোর্স একাডেমির স্নাতকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মঞ্চে সূচনা ভাষণ দেওয়ার পর একজন ক্যাডেটের সাথে করমর্দন করে আসনে ফিরে যাওয়ার সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। এ সময় বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা তাঁকে সাহায্য করতে ছুটে যান। তবে, প্রসিডেন্টের খুব বেশি সাহায্যের প্রয়োজন ছিল এমন মনে হয়নি। কারও সাহায্য ছাড়াই তাঁকে তাঁর আসনে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

তিনি উঠে দাঁড়িয়ে ছোট কালো বালির ব্যাগের মতো যে বস্তুটির সঙ্গে হোঁচট খান সেটির দিকে ইঙ্গিত করেন। হোয়াইট হাউসের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর বেন লাবোল্ট কিছুক্ষণ পরেই টুইট করেন, তিনি ভালো আছেন। মঞ্চে করমর্দন করার সময় সেখানে একটি বালির ব্যাগ ছিল। সেটিতেই তিনি হোঁচট খেয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট পদে সবচেয়ে বেশী বয়সী বাইডেন ২০২৪ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন। এই বছর তাঁর অফিসিয়াল ডাক্তারের রিপোর্টে তাকে শারীরিকভাবে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে এবং তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন।

২০২০ সালের নভেম্বরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরপরই, বাইডেন একটি পোষা কুকুরের সাথে খেলার সময় তার পা ভেঙে ফেলেন।

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের রাজধানীতে ‘ব্যাপক’ রাশিয়ান ড্রোন হামলার পর কিয়েভে একজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো রবিবার এ কথা বলেছেন।

মেয়র এবং প্রাক্তন বক্সার টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘৩৫ বছর বয়সী এক মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৪১ বছর বয়সী এক লোক মারা গেছে।’ একটি পেট্রোল স্টেশনের কাছে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ বিধ্বস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, কিয়েভের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী শহরের দিকে যাওয়া ‘২০টিরও বেশি ড্রোন’ গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং শহরের বাসিন্দাদের অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, ‘আশ্রয়স্থলে থাকুন। আক্রমণটি ব্যাপক!’

তিনি বলেন, হলোসিভস্কি জেলার একটি কোম্পানির চত্বরেও আগুন লেগেছে। রুশ বাহিনী মে মাসজুড়ে কিয়েভকে টার্গেট করেছে।

স্থানীয় বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো শুক্রবার বলেছেন, চলতি মাসে ১৩টি হামলা হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, ইউক্রেন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন হামলার রিপোর্টও বহুগুণ বেড়েছে।

শনিবার ওইসব এলাকায় গোলাবর্ষণে দুইজন নিহত হয়েছে বলে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ক্রেমলিন সহ ক্রমবর্ধমান সংখ্যক হামলা ও নাশকতা অভিযানের জন্য মস্কো কিয়েভ এবং তার পশ্চিমা সমর্থকদের দায়ী করেছে, তবে ইউক্রেন এ সব হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

আন্তর্জাতিক

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানই পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসাবে। রোববার অনুষ্ঠিত রান-অফ নির্বাচনে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে।

আনাদোলু বলছে, ৯৭ শতাংশ ব্যালট বাক্স গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এই গণনায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ৯ বছর প্রেসিডেন্ট আর ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা এরদোগানের নেতৃত্বে ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে হাঁটা তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। তার পেশীবহুল পররাষ্ট্র নীতি আর অপ্রচলিত উপায়ে দেশের অর্থনীতি পরিচালনার ফলে রেকর্ড মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।

এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ভোটে এরদোগানের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল তিন মাস আগে দেশটিতে আঘাত হানা স্মরণকালের ভয়াবহ এক ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পে অর্ধ-লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভূমিকম্পের পর উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে দেশ ও বিদেশি তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয় এরদোয়ান নেতৃত্বাধীন সরকারকে।

চলমান এই পরিস্থিতির মাঝে গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে এরদোগানের সঙ্গে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলুর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়।

বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১১টার দিকে তুরস্কের উচ্চ নির্বাচন বোর্ডের প্রধান আহমেদ ইয়ানার এক সম্মেলনে নির্বাচনের ফল প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, রোববারের ভোটে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলুর চেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। প্রাথমিকভাবে ৯৭ শতাংশ ব্যালট বাক্সের ভোট গণনায় এরদোগান ৫২ দশমিক ১ শতাংশ এবং কিলিচদারোগলু ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন।

এরদোগান নেতৃত্বাধীন দেশটির ক্ষমতাসীন একে পার্টির মুখপাত্র ওমের সেলিক বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগান শক্ত সমর্থন ধরে নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে, নির্বাচনী ফলে এরদোগানের জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতাসীন একে পার্টির কর্মী-সমর্থকরা তুরস্কজুড়ে আনন্দ মিছিল শুরু করেছেন। রয়টার্স বলছে, সমর্থকরা তার ইস্তাম্বুলের বাসভবনে জড়ো হয়ে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিচ্ছেন। ২৮ বছর বয়সী একে পার্টির সমর্থক নিসা নামের এক তরুণী বলেন, আমরা আশা করছি সবকিছু ভালো হবে।

ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক নীতিতে ধুঁকতে থাকা সাড়ে ৮ কোটি মানুষের এই দেশটির নির্বাচনে এরদোগানের পুনরায় জয় লাভ তার অপরাজেয় ভাবমূর্তিকে আরও দৃঢ় করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক

ঢাকায় নিযুক্ত ভারত, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতদের বাইরে চলাফেরায় পুলিশের স্থায়ী অতিরিক্ত নিরাপত্তা সুবিধা (এসকর্ট) সুবিধা প্রত্যাহার নিয়ে নানা আলোচনা চলছেই। এরমধ্যে শর্তসাপেক্ষে রাষ্ট্রদূতদের পুলিশের নেতৃত্বে এসকর্ট সুবিধা বহাল থাকার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার (২৭ মে) দূতাবাসগুলোর চাহিদাসাপেক্ষে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে আগুন সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে কয়েকজন রাষ্ট্রদূতকে বাইরে চলাফেরার সময় পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে সার্বক্ষণিক এসকর্ট সুবিধা দেওয়া হতো। কিন্তু এখন আগের পরিস্থিতি না থাকায় তাদের এসকর্ট সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছিল।

তবে রাষ্ট্রদূতরা চাইলে আবারো এসকর্ট সুবিধা ফিরে পাবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শর্তসাপেক্ষে সবাই এসকর্ট সুবিধা ফিরে পাবে। রাষ্ট্রদূতদের এসকর্ট সুবিধা দেওয়ার জন্য আমাদের আনসার গার্ড রেজিমেন্ট সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি জানান, কোনো দূতাবাস যদি মনে করে তাদের এসকর্ট সুবিধা দরকার, তাহলে তারা সেই সুবিধা নিতে পারবে। একজন পুলিশ কমান্ডারের নেতৃত্বে তাদেরকে এসকর্ট সুবিধা দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে এক আকস্মিক সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতদের স্থায়ী এসকর্ট সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ওই দিন সকাল ৬টার দিকে পুলিশের তরফে মার্কিন দূতাবাসকে জানানো হয়, আজ থেকে রাষ্ট্রদূত পুলিশের এসকর্ট সুবিধা পাবেন না। অন্যান্য দূতাবাসকেও পর্যায়ক্রমে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়।

এনিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, লোকবল সংকটের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারা চাইলে পুলিশের পরিবর্তে আনসার নিতে পারেন।

আন্তর্জাতিক

২০২৩ সালে যতগুলো টাইফুন সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী একটি আসছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের দিকে। এর নাম ‘সুপার টাইফুন মাওয়ার’ যেটি শনিবার (২৭ মে) ক্যাটাগরি-৫ এ রূপ নিয়েছে।

অবশ্য, মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রবেশের পর ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ এর নাম দিয়েছে ‘বেটি’।
যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। খবরে বলা হয়েছে, বেটি বা সুপার টাইফুন মাওয়ার ২৭০ কিলোমিটার গতির শক্তি সঞ্চার করছে।

সর্বশেষ আপডেটের মাধ্যমে ফিলিপাইনের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, তাদের দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বজ্র বৃষ্টির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া অঞ্চলগুলোয় ভূমি ধসের সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। কারণ, টাইফুনটি শক্তি ধরে রেখেছে। তা ছাড়া এটি উত্তরদিকে এগিয়ে আসছে।

ইতোমধ্যে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (২৬ মে) রাতে টাইফুনটি ফিলিপাইনের সবচেয়ে ঘনবসতি ও বড় দ্বীপ লুজোনোর ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ওই সময় ঝড়টির বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে।

মার্কিন আবহাওয়াভিত্তিক সংস্থা টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানায়, টাইফুনটি এ সময় ২৭ কিলোমিটার পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছিল। আগামীকাল রোববার (২৭ মে) অথবা সোমবার (২৯ মে) টাইফুন মারওয়ার উপকূলের কাছাকাছি আসবে। এর প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত, বন্যা, ভূমিধস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে প্রচণ্ড বেগে বাতাস বয়ে যাবে বলেও উল্লেখ রয়েছে।

টাইফুন মাওয়ারকে ‘বিধ্বংসী’ হিসেবে অভিহিত করেছে জাপানের আবহাওয়া অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থাটি জানিয়েছে, মাওয়ার গতিবেগ বর্তমানে ঘণ্টায় ১৯৪ কিলোমিটার।

এর আগে গত বুধবার টাইফুনটি শক্তি সঞ্চার করার আগে কিছুটা দুর্বল হয়ে গুয়াম দ্বীপের পাশ দিয়ে বয়ে যায়। এ সময় গুয়ামে প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়। প্রবল বাতাসে অঞ্চলটির গাড়ি উড়ে যায়, উপড়ে যায় গাছপালা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন দ্বীপের ৫২ হাজার বাসিন্দা।

মারওয়ার প্রভাবে দ্বীপটিতে কোনো প্রাণহানি হয়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু অবকাঠামো।

বিশেষজ্ঞদের মত, পৃথিবীতে মে মাসে যত টাইফুন আঘাত হেনেছে এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী পাঁচ টাইফুনের মধ্যে মাওয়ার অন্যতম।

প্রশান্ত মহাসাগরের দেশ ফিলিপাইন প্রায়ই টাইফুনের কবলে পড়ে। ২০২১ সালে দেশটিতে একটি টাইফুনের আঘাতে ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ কয়েক দশক ধরে চলতে পারে। সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষস্থানীয় মিত্রদের একজন। খবর রয়টার্সের।

রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ’র বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষ মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ কয়েক দশক ধরে চলতে পারে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর দীর্ঘ সময় রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন দিমিত্রি মেদভেদেভ।

বর্তমানে তিনি রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান। বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষস্থানীয় এ মিত্র ভিয়েতনাম সফরের সময় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সর্বশেষ ওই মন্তব্য করেন। ভিয়েতনাম সফরের সময় দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ‘এ সংঘাত খুব দীর্ঘ সময় ধরে চলবে, সম্ভবত কয়েক দশক।’

ইউক্রেন নাৎসি রাষ্ট্র বলে মস্কোর দাবির পুনরাবৃত্তি করে রাশিয়ার সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যতদিন দেশটিতে এ ধরনের (সরকার) ক্ষমতায় থাকবে, সেখানে দেখা যাবে তিন বছরের যুদ্ধবিরতির পর দুই বছর ধরে সংঘাত হচ্ছে এবং এগুলোর সবকিছুরই বারবার পুনরাবৃত্তি হবে।’ এর আগে জানুয়ারিতে মেদভেদেভ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া পরাজিত হলে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করতে পারে তার দেশ। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা মেদভেদেভ সে সময় বলেন, ‘পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো বড় ধরনের সংঘাতে কখনই হারেনি। কারণ এর ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করে।’

হাসপাতালে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দিনিপ্রোর এক হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন।

শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক বিবৃতিতে হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করছে। এছাড়া ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এর আগে আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি লিসাক বলেন, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে শহরে হামলা চালানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

হেনরি কিসিঞ্জার। মার্কিন কূটনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র। বড় বড় সফলতা আর ‘অগণিত’ বিতর্কিত রেকর্ডসহ মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি। ভালোবাসা যেমন পেয়েছেন দেশে, দুর্নামও তেমন জুটেছে বিদেশে। পুরস্কার-তিরস্কার দুইই আছে তার স্বর্ণোজ্জ্বল রাজনীতিক জীবনে। ঘৃণা-প্রশংসার দ্বৈরথে আজ (শনিবার) শতবর্ষে পা রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের সদাহাস্য চেহারার এই কূটনীতিক।

যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭তম প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন (১৯৬৯-১৭৭৪) আর ৩৮তম প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের (১৯৭৪-১৯৭৭) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় তার ঝুলিতে রয়েছে কমিউনিস্ট চীনে কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তার থেকে শুরু করে ভিয়েতনাম যুদ্ধে ষড়যন্ত্র আর সোভিয়েত বিরোধী স্বৈরশাসকদের ক্ষমাহীনভাবে সমর্থনের মতো কিছু দুঃসাহসিক পদক্ষেপ। তার কঠোর সমালোচকেরাও অনেক সময় তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, একঘেয়েমি আর বুদ্ধিবৃত্তিক উপহারগুলোর প্রশংসা না করে পারেননি। অনেকের মতে, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো শতবর্ষী এই ‘নির্মম’ স্নায়ু যোদ্ধাকে কখনো জবাবদিহিতারও মুখোমুখি হতে হয়নি।

কিসিঞ্জারের কিছু উল্লেখযোগ্য ভূমিকা
চীন: ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে কমিউনিস্ট চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের একটি মিশনে গোপনে বেইজিংয়ে যান কিসিঞ্জার। যাওয়ার পর তিনি সেখানে নিক্সনের একটি যুগান্তকারী সফরের মঞ্চ তৈরি করেন। তৎকালীন বিচ্ছিন্ন বেইজিং আর উৎপাদন শক্তি আর যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে চীনের উত্থানে অবদান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। চীন ছাড়ার সময় কিসিঞ্জার চীনকে ব্যবসায়িক পরামর্শসহ মার্কিন নীতির বিষয়ে কটূক্তিতে সতর্ক করেছিলেন।

ভিয়েতনাম: ভিয়েতনামে মার্কিন যুদ্ধকে ‘সম্মানের সঙ্গে’ শেষ করতে নিক্সনের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। লাওস-হ্যানয়ের সরবরাহ লাইন বন্ধ করতে গোপনে প্রতিবেশী কম্বোডিয়ায় বোমা হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন কিসিঞ্জার। সে সময় কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক মারা গিয়েছিল বলে অনুমান করেন কিছু ইতিহাসবিদ। কিসিঞ্জার প্যারিসে আলোচনার মাধ্যমে ১৯৭৩ সালের জানুয়ারিতে ভিয়েতনামে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেন। আর বিতর্কিতভাবে নোবেলে শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। যদিও হ্যানয়ের লে ডুক থো তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন। প্যারিস চুক্তির দুই বছরেরও বেশি সময় পর সাইগনে মার্কিন-মিত্র সরকারের পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি কমাতে কিসিঞ্জার একটি ‘শান্তিপূর্ণ সমাধান’ চেয়েছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
অভ্যুত্থান

সোভিয়েত ইউনিয়নের মুখোমুখি দাঁড়ানো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হওয়ায় চিলি আর আর্জেন্টিনার মতো বাম সরকারগুলোকে উৎখাতের পক্ষে ছিলেন কিসিঞ্জার। একটি স্মারকলিপিতে দেখা যায়, চিলির সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দের মতো একটি বামপন্থি নির্বাচিত সরকার কাজ করতে পারে তা দেখিয়ে একটি ‘প্রতারণাপূর্ণ’ মডেলের প্রস্তাব করেছিলেন কিসিঞ্জার। সিআইএ-সমর্থিত অভুত্থ্যানে সৈন্যরা দায়িত্ব নেওয়ার পর আলেন্দে আত্মহত্যা করেন।

আক্রমণ: যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে কিসিঞ্জার কখনো কোনো আক্রমণের সমর্থনে অনিচ্ছা দেখাননি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) হত্যা ও গণধর্ষণ চালানোর পরও পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের বিশিষ্ট অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘কিসিঞ্জার বাংলাদেশের গণহত্যাকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করেছিলেন। তাই আমি কিসিঞ্জারের প্রশংসা করার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। ভিয়েতনামসহ অন্য অনেক দেশে একই মতামত বিশ্বাস করা হয় বলেও জানান তিনি। কিসিঞ্জার ২৪ বছরের নিষ্ঠুর দখলদারিত্ব শুরু করে পূর্ব তিমুর দখল করার সাথে সাথে শীতল যুদ্ধের মিত্র ইন্দোনেশিয়াকে বন্ধ করতে সমর্থন দিয়েছিলেন। আর এর মাধ্যমে শুরু হয় ২৪ বছরের নিষ্ঠুর দখলদারিত্ব। কিসিঞ্জারও তুরস্কের সঙ্গে কৌশলগত দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনে সাইপ্রাসের এক-তৃতীয়াংশ দখলের পরও দেশটিকে সমর্থন দিয়েছিলেন। আর তাতে সহকর্মী ন্যাটো সদস্য গ্রিসের সাথে তার প্রতিদ্বন্বিতায় ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানও বজায় ছিল। কিসিঞ্জার সোভিয়েত ও কিউবা মিত্রদের মোকাবিলায় অ্যাঙ্গোলার গৃহযুদ্ধে গোপনে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার নেতৃত্ব দেন।

মধ্যপ্রাচ্য: কূটনীতিতে কিসিঞ্জার তার বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেছেন মধ্যপ্রাচ্যে। ১৯৭৩ সালে আরব রাষ্ট্রগুলোর আকস্মিক আক্রমণ শুরুর পর মিত্র ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহে বড় ধরনের একটি কৌশলগত এয়ারলিফট পরিচালনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। মস্কোকে দমাতে কিসিঞ্জার সবচেয়ে জনবহুল আরব দেশ মিসরের সাথেও সম্পর্ক পরিবর্তন করেছিলেন।

আন্তর্জাতিক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার আগে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারত সফর করবে।

বুধবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে ভার্চুয়ালি বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের গ্রাউন্ড ব্রেকিং কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। এসময় ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বের ভারতে যাবেন। এর মধ্যে আমাদের পার্টি টু পার্টি একটি আলোচনা হবে। সেটার জন্য ভারতের বিজেপি থেকে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, জুলাই মাসে যাব।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে তারা (বিএনপি) নৈরাজ্য করবে, তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে, এটা তাদের পুরোনো স্বভাব। কাজেই যখন যেটাকে মোকাবিলা করতে হয়, সেই পরিস্থিতিই বলে দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কী করতে হবে বা তাদের দায়িত্ব কী। রাজনৈতিক যেকোনো বিষয় আমরা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিরও একটা ভাষা আছে। বিএনপি দু’দিন আগে যে ঘটনা ঘটিয়েছে… রাজশাহীতে তারা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। তিনি (রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ ওরফে চাঁদ) কোনও সামান্য ব্যক্তি এটা মনে করার কারণ নেই। তিনি বিএনপির জেলা আহ্বায়ক, বিএনপির সেন্ট্রাল কমিটির মেম্বার৷ আমি অবাক হলাম মির্জা ফখরুল যিনি দলের মহাসচিব তিনি একটা শব্দও করলেন না।

আন্তর্জাতিক

বিশ্বকে অবশ্যই পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাসচিব তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।

তিনি বলেছে, আসন্ন মহামারিগুলো কোভিড-১৯ এর চেয়েও ‘মারাত্মক’ হতে পারে।

তিনি বলেছেন, করোনা মহামারি সংক্রান্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থার অবসান হলেও এর হুমকি শেষ হয়নি। এর নতুন ভ্যারিয়েন্টের হুমকি রয়ে গেছে, যা রোগ এবং মৃত্যুর নতুন উত্থান ঘটাতে পারে।

৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে প্রতিবেদন পেশ করার সময় ডব্লিউএইচওর প্রধান এসব কথা বলেন।

তিনি পরামর্শ দেন যে, পরবর্তী সময়ে কোনো মহামারি আঘাত হানলে আমাদের অবশ্যই সিদ্ধান্তমূলক, সম্মিলিতভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে সেটি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।

তেদ্রোস বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অধীনে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে করোনার উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। এই প্রভাব ২০৩০ সাল পর্যন্ত থাকবে।

আন্তর্জাতিক

ইরান বলেছে তারা আঞ্চলিক জলসীমা সুরক্ষিত করতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম। বিশ্বজুড়ে আট মাসের সফরের পর দুটি ইরানি যুদ্ধজাহাজ ফিরে আসে। এ উপলক্ষ্যে রোববার দেশটির দক্ষিণ জলসীমার কাছে জাহাজ দুটিকে স্বাগত জানানো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ইরানি কর্মকর্তারা। ওই অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করা হয়। খবর আলজাজিরার।

দুই দিন আগে শুক্রবার ইউএসএস পল হ্যামিল্টন যুদ্ধজাহাজে করে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক নৌবাহিনীর কমান্ডাররা হরমুজ প্রণালি সফর করেন; যা ইরানের বিরুদ্ধে ঐক্য প্রদর্শন এবং জলপথে চলাচলকারী জাহাজের নিরাপত্তার তদারকি ছিল এর প্রধান কারণ।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের আঞ্চলিক জলসীমা থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে হরমুজ প্রণালিতে কী করছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইরান পারস্য উপসাগর, হরমুজ প্রণালি এবং ওমান সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সহযোগিতা করতে সক্ষম। এ মাসের শুরুতে ওমান সফরে বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনাও করেছেন।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের বিদেশিদের প্রয়োজন নেই; যা আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড দ্বারা সুরক্ষিত।

মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের তত্ত্বাবধান করেন ভাইস অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার। হরমুজ প্রণালি ভ্রমণের সময় তিনি বলেন, ইরান গত দুই বছরে আটটি জাহাজ জব্দ করেছে এবং আরও সাতটিতে আক্রমণ করেছে। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) ফাস্ট বোটগুলো পল হ্যামিল্টনকে এক কিলোমিটারের কম দূরত্ব থেকে পর্যবেক্ষণ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্যরা তাদের নৌযানের ডেকে উন্মুক্ত মেশিনগানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অন্যদিকে পল হ্যামিল্টনের নাবিকেরা একইভাবে মেশিনগান নিয়ে সতর্কভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।