আন্তর্জাতিক

আগামী ১৪ মে হতে পারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।

একে পার্টির আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে এরদোগান নির্বাচনের এ তারিখের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে ২০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এরদোগান। এই দুই দশকের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন ৬৮ বছর বয়সি এই নেতা।

মূল্যস্ফীতি আর খাদ্যপণ্যের দামবৃদ্ধির কারণে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে এরদোগানকে। এবারের নির্বাচনে মূল্যস্ফীতি সামলাতে না পারার খেসারত দিতে হতে পারে একে পার্টির এই নেতাকে।

এরদোগানের আমলেই মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় তুরস্ক। তবে সম্প্রতি অর্থনৈতিক কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ব্যাপকভাবে অর্থের মান কমেছে দেশটিতে।

আন্তর্জাতিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তৈরি বিবিসির তৈরি করা তথ্যচিত্রের নিন্দা জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্যচিত্রকে ‘প্রোপাগান্ডা’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

এনডিটিভি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, এটি ভারতে এখনো প্রদর্শিত হয়নি। সহকর্মীদের কাছ থেকে যা শুনেছি, সেই অনুযায়ীই বলছি। আমরা মনে করি এটি একটি প্রোপাগান্ডা। এটি পক্ষপাতদুষ্ট, বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। অব্যাহত ঔপনিবেশিক মানসিকতা এতে স্পষ্ট।

বিবিসির দুই পর্বের তথ্যচিত্রটির নাম ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’। এটি তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এই সিরিজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। এতে ২০০২ সালের দাঙ্গার সময়ে মোদির ভূমিকা নিয়েও অনুসন্ধান করার দাবি করা হয়েছে, যাতে হাজারেরো বেশি মানুষ নিহত হন।

এই সিরিজ সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক এমপির প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনি বলেন, তিনি মোদির এই চরিত্রায়নের সঙ্গে এক একমত নন।

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার অভিযোগ থেকে মোদিকে ভারতের আদালত মুক্তি দিয়েছেন। তিনি সে সময় ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ভয়াবহ বিস্তারে দেশটিতে গত দুই সপ্তাহে প্রায় পাঁচ হাজার রোগী মারা গেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবার কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে জাপানেও করোনা মহামারীর নতুন তরঙ্গ শুরু হয়েছে বলে খবর দিয়েছে।

জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাত-সুনু কাতু বলেছেন, দুঃখজনকভাবে করোনার পরিসংখ্যান থেকে মনে হচ্ছে করোনা আক্রান্ত প্রতি পাঁচজন জাপানির মধ্যে থেকে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন।

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের শতকরা ৯৭ জনেরই বয়স ৭০ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে বলে জানান জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, বিগত ৪৫ দিনে ১২ হাজার ৬২০ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

টোকিওর মেয়র ইউরিকো কোইকে কেবল রাজধানী টোকিওতেই ওমিক্রনে আক্রান্ত ১৫ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে।

নতুন পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ আট হাজারেরও বেশি জাপানি ওমিক্রন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং আরও ৪১৫ জাপানি মারা গেছে।

আন্তর্জাতিক

হজের খরচ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকার। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর থেকে ৩০ শতাংশ কম খরচে হজ করা যাবে।

সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারী ড. আমর বিন রেদা আল মাদ্দাহ রোববার এ তথ্য জানান। খবর গালফ নিউজের।

তিনি জানান, এবারের হজের ইকোনমিক প্যাকেজের ৯০ শতাংশ বিক্রি হয়ে গেছে। সৌদির অভ্যন্তরীণ যে হজ প্যাকেজগুলো রয়েছে সেগুলোকে কোম্পানির সেবার মান অনুযায়ী একাধিক শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।

এদিকে, গত সপ্তাহে সৌদির হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, দেশটির স্থানীয় মুসল্লিরা চাইলে তিন ভাগে হজ প্যাকেজের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন। আগে পুরো অর্থ একসঙ্গে পরিশোধের নিয়ম ছিল।

এ জন্য হজ পালনে আগ্রহীদের আগে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাছাই করা প্যাকেজের ২০ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করে নিজের স্থান নিশ্চিত করতে হবে। এরপরের ৪০ শতাংশ অর্থ ২৯ জানুয়ারির মধ্যে ও শেষ ৪০ শতাংশ অর্থ ২৩ জানুয়ারির মধ্যে দেওয়া যাবে।

প্রতিটি কিস্তির অর্থ পাওয়ার পর একটি করে রসিদ দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধের পর হজ প্যাকেজটি নিবন্ধন করা মুসল্লির জন্য নিশ্চিত করা হবে। অন্যথায় নিবন্ধনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।

প্রতি বছর সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় ২৫ লাখ মানুষ হজ পালন করতে যান। কিন্তু ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে মাত্র ১০ হাজার জনের মতো মুসল্লি হজে যান।

তবে ২০২১ সালে সৌদি আরবে অবস্থানরত ৬০ হাজার মুসল্লি হজ পালনের সুযোগ পান। গত বছর বিদেশিসহ ১০ লাখ মানুষ হজ পালন করেছিলেন। আশা করা হচ্ছে চলতি বছর মুসল্লিরা কোনো বিধি-নিষেধ ছাড়াই হজ পালনের সুযোগ পাবেন।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে জো বাইডেন ক্ষমতায় বসেন ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি। ক্ষমতা নেওয়ার কয়েক মাসের মাথায় আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেন বাইডেন। এর পর অনেকেই বলেছিলেন— যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো দিন যুদ্ধে জড়াবে না। আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিয়ে সেই সময় বাইডেন নিজেও বলেছিলেন— ‘এটিই যুদ্ধের চিরসমাপ্তি।’

তবে আফগানিস্তানে যুদ্ধের চিরসমাপ্তি হলেও নতুন করে ইউক্রেন যুদ্ধের বীজবপন করেছেন বাইডেন। রাশিয়াকে ইউক্রেনে হামলার জন্য উসকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ইউক্রেনকে নানাভাবে সহায়তা করে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে দেশটি। এসব দাবি করেন ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক, লেখক ও সাংবাদিক জোনাথক কুইক। মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ে তার নিবন্ধটি প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি মনে করেন, মূলত ইউরোপের দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্যই আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছেন জো বাইডেন। আর ইউক্রেন যুদ্ধের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে পরোক্ষ যুদ্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে রেকর্ড হারে সাহায্য করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো। আর এ কারণেই এ যুদ্ধ থামছে না। এমন দাবি এই বিশেষজ্ঞের।

যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এই যুদ্ধের জন্য দায়ী তার বেশ কয়েকটি কারণ বর্ণনা করেছেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো, ২০২১ সালের জুনে ইউক্রেনকে সদস্য বানানোর জন্য ন্যাটোর আশ্বাস।

ইউক্রেন অনেক বছর ধরেই ন্যাটোর সদস্য হতে চায়। ন্যাটোও চায় তাদের জোট সম্প্রসারণ করতে। এদিকে রাশিয়া চায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা। মূলত এই চাওয়া-না চাওয়া আর পাওয়া-না পাওয়া নিয়েই গোলযোগ বাধে।

একদিকে ইউক্রেনে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার আগ্রহ, অন্যদিকে রাশিয়ার নিরাপত্তা জোরদারের প্রচেষ্টা। দুইয়ে মিলে শুরু হয় সংঘর্ষ।

রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাতের দ্বিতীয় কারণ হিসেবে জোনাথন কুইক উল্লেখ করেন, ন্যাটোর সদস্য না হলেও ইউক্রেনকে ন্যাটোর সব ধরনের সুবিধা প্রদান করে আসছে জোটটি।

ইউক্রেনকে গত এক বছরের কম সময়ে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা অভাবনীয়। এমনকি এ সংখ্যা ইউক্রেনের বার্ষিক সামরিক বাজেটের দেড়গুণেরও বেশি।

গত মাসে হোয়াইট হাউসে জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একইদিন মার্কিন কংগ্রেসে নায়কের বেশে শান্তির বার্তা দেন জেলেনস্কি। এ সময় তাকে তিন মিনিট দাড়িয়ে সম্মান করা হয়। যা যেকোন শান্তির বার্তাবাহকের তুলনায় ঢের বেশি।

ওয়াশিংটনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, পুতিনকে পরাজিত না করা পর্যন্ত থামবে না যুক্তরাষ্ট্র। এ কথার মাধ্যমেও বোঝা যায় আফগানিস্তানে চিরকালীন যুদ্ধের সমাপ্তি করে নতুন করে ইউরোপে একটি স্থায়ী বা চিরকালীন যুদ্ধের সূত্রপাত করেছে বাইডেন সরকার।

ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে বিশেষ প্রশিক্ষণও দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিক ইউক্রেনের সঙ্গে কৃষ্ণসাগরে সামরিক মহড়া চালিয়েছে ওয়াশিংটন। জোনাথন কুইক মনে করেন এসব কারণেই মূলত এখনো থামছে না ইউক্রেন যুদ্ধ।

আন্তর্জাতিক

গণতন্ত্র ও জাস্টিসের জন্য কারও সুপারিশ করার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সফরকালে গণতন্ত্র-মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হবে কিনা আব্দুল মোমেনকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। উত্তরে তিনি বলেন, এসব ব্যাপারে বাংলাদেশকে শেখানোর কিছু নেই। কারণ, এটা আমাদের মজ্জাগত। এটা আমাদের অন্তরে, সর্বক্ষেত্রে। গণতন্ত্র, জাস্টিসের জন্য কারও সুপারিশ করার দরকার নেই। যদি কেউ কোনো সুপারিশ করে আমরা সেটা শুনবো। পরীক্ষা করে সেটা যদি আমাদের দেশের জন্য মঙ্গল হয় তাহলে সেটা গ্রহণ করবো।

ইন্দো-প্যাসিফিক জোটে বাংলাদেশের যোগ দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, এ জোটে যোগ দিতে বাংলাদেশের খুব আপত্তি নেই। আমরা এটা নিয়ে স্টাডি করছি। ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরামে যোগদান করলে করলে আমাদের লাভ হলে আমরা করবো।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের সুসম্পর্ক থাকা স্বাভাবিক। কারণ, আমেরিকা যে বিষয়ে বিশ্বাস করে বাংলাদেশও সে বিষয়ে বিশ্বাস করে। যেমন দেখুন গণতন্ত্র, মানবাধিকার এগুলোয় বাংলাদেশ শুধু বিশ্বাস করে না, সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমাদের ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায় সরকার সমুন্নত রাখতে।

আন্তর্জাতিক

বিপিএলে চট্টগ্রামপর্বের প্রথম ম্যাচে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারল না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই একটু লড়াই করলেও ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় শুভাগত হোমের দল।

ADVERTISEMENT

শেষদিকে জিয়াউর রহমান ও আফিফ হোসেন কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ২৬ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এই জয়ে তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বরিশাল। সমান ম্যাচ খেলে দুই পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে চট্টগ্রাম।

বরিশালের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল চট্টগ্রাম। দলীয় ৪৮ রানে উসমান খানের বিদায়ের পরই আসে ছন্দপতন। ৩৬ রানে উসমানকে ফেরান কামরুল ইসলাম রাব্বি। বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ম্যাক্স ও’দাউদকে ফেরান সাকিব আল হাসান।

ইনিংস বড় করতে পারেননি উন্মুক্ত চাঁদ। ফিরেছেন ১৬ রান করে। পরবর্তীতে আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন জিয়াউর রহমান। ২৮ রান করে আফিফ ফিরলেও অবিচল ছিলেন জিয়া।

চট্টগ্রামের হয়ে হার্ডহিটার এই ব্যাটার একাই লড়েছেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেছেন ৪৭ রান। অধিনায়ক শুভাগত হোম করেন ৬ বলে ১০ রান।

আন্তর্জাতিক

মেক্সিকোর কারাবন্দী মাদক স¤্রাট হোয়াকিন ‘এল চাপো’ গুজম্যানের ছেলে অভিদিও গুজম্যানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ২৯ জন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সন্দেহভাজন মাদক চক্রের ১৯ সদস্য ও ১০ জন সেনা সদস্য রয়েছে।

মেক্সিকোর সরকার শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।

দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য সিনালোয়ায় এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সেখানে হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। তারা সিনালোয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

মেক্সিকোর নিরাপত্তা বাহিনী কারাবন্দী মাদকস¤্রাট এল চাপোর ৩২ বছর বয়সী ছেলে অভিদিওকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্যদের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এছাড়া সিনালোয়া কার্টেলের সদস্যরা সড়ক অবরোধ, ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

সিনালোয়া রাজ্যে ‘সিনালোয়া কার্টেল’ নামে মাদক সা¤্রাজ্য গড়ে তুলেছিলো এল চাপো। তিনি কারাবন্দী হওয়ার পর ছেলেরাই সেটার দেখভাল করছিল।

অভিদিওর বাবা ‘এল চাপো’ যুক্তরাষ্ট্রে কড়া নিরাপত্তাধীন একটি কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। তাঁকে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাকে নিউইয়র্কের একটি আদালত দোষী সাব্যস্ত করে।

তবে অভিদিওকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আপাতত হস্তান্তর করা হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওভ্রাদর।

যদিও মাদক পাচারের অভিযোগে কয়েক বছর ধরে অভিদিওকে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে আসছে প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্র। তাঁকে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ২০২১ সালে ঘোষণা দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

অভিদিওকে ২০১৯ সালেও একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে প্রাণহানি এড়াতে প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওভ্রাদরের নির্দেশে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এতে ওভ্রাদর তীব্র সমালোচিত হলে তিনি বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষায় তাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে প্রকৃত, স্বচ্ছ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার বাস্তবায়ন দেখতে চায় তারা।

ওয়াশিংটনের ফরেন প্রেস সেন্টারে শুক্রবার এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এসব কথা বলেন।

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকার অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চান। আমরা এই চাওয়াকে স্বাগত জানাই। তবে এসব কথা ও কাজের মধ্যে মিল আছে কিনা- তা পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

নেড প্রাইস আরও বলেন, একটি নির্বাচন যেভাবে হওয়া প্রয়োজন, ঠিক সেভাবেই আয়োজন করতে বাংলাদেশ সরকার কিভাবে কাজ করবে তা বুঝতে আমাদের পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে। এই নির্বাচন হতে হবে প্রকৃত, স্বচ্ছ এবং শান্তিপূর্ণ। যদিও নির্বাচনের এখনো আরও অনেক দিন বাকি। কিন্তু একটি প্রকৃত নির্বাচনি কার্যক্রম সফল করতে বাংলাদেশের গঠনমূলক উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করছি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও মুক্তমত প্রকাশকারীদের ওপর সহিংসতা হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শনের বিষয়গুলো লক্ষ্য করছে ও সরকারের কাছে নিজের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে।

পাশাপাশি বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন নেড প্রাইস। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমাদের রাষ্ট্রদূত অসাধারণ কাজ করছেন। তিনি কেবল যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রতিনিধিত্ব করছেন না বরং আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে নিরলস ভূমিকা রাখছেন। ভবিষ্যতেও তার এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।

আন্তর্জাতিক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে রেকর্ড করেছে। এমনকি ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও দেশটি অনেক উন্নয়ন করছে।

অনলাইন গণমাধ্যম এশিয়ান লাইট ইন্টারন্যাশনালের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, বিপুল জনশক্তি, শক্তিশালী তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি) ও এর রপ্তানি, স্থিতিশীল রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং স্থিতিশীল সামষ্টিক-অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়েছে। মঙ্গলবার ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নিবন্ধে আরও বলা হয়, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর দক্ষিণ এশিয়ার সর্বকনিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ অঞ্চলে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠেছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ নিম্নআয় এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের-উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। নতুন নতুন ফ্লাইওভার, সেতু এবং বাণিজ্যিক বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকায় ‘উল্লেখযোগ্য রূপান্তর’ ঘটেছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে সরকার রপ্তানিমুখী শিল্প সম্প্রসারণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করতে ২০১০ সালে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পদ্মা নদীর ওপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল-সড়ক সেতু অবদান রাখছে। স্বাধীনতার পর থেকে সেতুটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির শীর্ষ ১০টির মধ্যেও বাংলাদেশ রয়েছে।

নিবন্ধে বলা হয়, অতীতে বাংলাদেশ কেবলই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এসেছে। আর এ দেশটিই এখন লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের খপ্পর থেকে বের করে আনা এবং ৬ দশমিক ৬ শতাংশেরও বেশি গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে। এমনকি মিয়ানমার থেকে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতে, জিডিপির দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪৩তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। একই সঙ্গে পিপিপির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩২তম। আন্তর্জাতিক পেশাদার পরিষেবা ব্র্যান্ড প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার্স-এর দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৮তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে।