আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। পুতিন প্রাণে বেঁচে গেছেন বলে স্পেনভিক্তিক সংবাদমাধ্যম ইউরো উইকলি নিউজের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

বুধবার জেনারেল জিভিআর টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে ইউরো উইকলি নিউজের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

যদিও কোথায় পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে তা জানা যায়নি বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

জিভিআর টেলিগ্রাম চ্যানেলের বরাত দিয়ে ইউরো উইকলি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের লিমুনিজের সামনের বাম দিকের চাকা হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে ফেটে যায়। গাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। তবে গাড়িকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

অবশ্য এই ঘটনায় পুতিন অক্ষতই হয়েছেন। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইউরো উইকলি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

পুতিনের এই হত্যাচেষ্টা নিয়ে নিউজ ডট সিও ডট এইউয়ের মতো সংবাদমাধ্যমও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সরকারি বাসভবনে ফেরার পথে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এর আগে, ২০১৭ সালে পুতিন প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন যে, তিনি অন্তত পাঁচটি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর থেকেই পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যেই এই ঘটনা সামনে এলো।

আন্তর্জাতিক

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া বিশেষ অভিযান শুরুর পর এই প্রথম মুখোমুখি হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। উজবেকিস্তানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনের এক ফাঁকে বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎ করেন তারা। খবর রয়টার্সের।

বৈঠকে পুতিন জিনপিংকে বলেন, মস্কো বেইজিংয়ের ‘এক চীন’ নীতির পক্ষেই রয়েছে। এছাড়া রাশিয়া তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘উস্কানির’ বিরোধিতা করছে বলেও জিনপিংকে বলেছেন পুতিন।

এ সময় ইউক্রেন ইস্যুতে চীনের ‘ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানের’ প্রশংসাও করেন পুতিন।

উজবেকিস্তানে ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর দুই দিনব্যাপী এসসিও’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এবারের সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চীন ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিয়ে বৃহৎ পরিসরে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই সম্মেলনের ফাঁকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন পুতিন।

আন্তর্জাতিক

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিতে যায় যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা সংকটের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবাসাইটে বৃহস্পতিবার বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে ব্লিংকেন বলেন, রোহিঙ্গারা বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপদে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারবে না বুঝতে পেরে ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে।

ব্লিংকেন বলেন, আমরা বার্মা, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের অন্য কোথাও এই সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা করেছি। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া সরকারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, একটি আন্তর্জাতিক ও মানবিক সহায়তার অপরিহার্য উপাদান হিসেবে, আমরা বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করছি, যাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জীবন নতুন করে শুরু করতে পারে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরু হলে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল। এছাড়া গত পাঁচ বছরে আরও অনেক রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয় বাংলাদেশে। সব মিলে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন ১২ লাখের অধিক বলে ধারণা করা হয়। বলার অপেক্ষা রাখে না, সংখ্যাটি ক্রমেই বড় হচ্ছে।

বাংলাদেশ এখন রোহিঙ্গার ভারে জর্জরিত। অথচ গত পাঁচ বছরেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি নেই। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অবস্থানজনিত সংকটটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানাভাবে আলোচিত হয়েছে। জাতিসংঘেও এ সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গারও প্রত্যাবাসন হয়নি।

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা সমস্যা হলো মিয়ানমারের সৃষ্ট বৈশ্বিক ইস্যু। আর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকে রক্ষা করেছে। অথচ তাদের নিয়ে বাংলাদেশকে এখন চরম মূল্য দিতে হচ্ছে; কঠিন ভার বহন করতে হচ্ছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গারা সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষতি এবং অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।

অপরদিকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মিয়ানমার রক্ষা করছে না। এ অবস্থায় সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। প্রয়োজনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।

রোহিঙ্গা সংকটের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। বক্তব্য দেন মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষদূত নেওলিন হেইজার, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্নে ভান লিওয়েন, মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি ও শরণার্থীবিষয়ক আঞ্চলিক সমন্বয়ক ম্যাকেঞ্জি রো এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা মানবাধিকারের কথা বললেও তিন বছরে দেশটিতে ১০০ গুণের বেশি বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট ছয় বছরে পড়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও ফিরে যায়নি।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকে রক্ষা করেছেন। অথচ রোহিঙ্গারা এখন দেশের সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষতি এবং অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। এ অঞ্চল ও অঞ্চলের বাইরেও তারা নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে। ড. মোমেন বলেন, এ সমস্যার স্বল্পমেয়াদি কোনো সমাধান নেই। স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও সসম্মানে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বড় দেশ, আঞ্চলিক সংস্থা এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমার আমাদের খুব কাছের প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা ছাড়া আর কোনো ইস্যু নেই। আর রোহিঙ্গা সমস্যা দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নয়। এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য হলো মিয়ানমার রোহিঙ্গা সমস্যা তৈরি করেছে। এটি তাদেরই সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐকমত্য জরুরি।

নেওলিন হেইজার বলেন, যেকোনো উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের যুক্ত করতে হবে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছি- তারা দেশে ফিরতে চান। প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার ভিত্তিতে। আর পরিস্থিতি মিয়ানমারকেই সৃষ্টি করতে হবে। সংকটের মূল কারণ খুঁজতে হবে।

মূল বক্তব্যে অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নানা পথ ও উপায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বহুপক্ষীয় উদ্যোগ ও ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ; জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক প্রণোদনা বন্ধ করা, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া, পৃথকীকরণ নীতি অবলম্বন করা ইত্যাদি।

ম্যাকেঞ্জি রো বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের উৎপত্তি মিয়ানমারে। এর সমাধানও মিয়ানমারকে করতে হবে। রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন ও নৃশংসতার তদন্ত স্বাধীনভাবে করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে।

ইতো নাওকি বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে জাপান। তাদের দ্রুত ও টেকসই প্রত্যাবাসন চায় জাপান।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মানবিক কারণে আমরা আশ্রয় দিয়েছিলাম। কিন্তু পাঁচ বছরে কোনো রোহিঙ্গাকে পাঠানো সম্ভব হয়নি। তাদের ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমর্থন জরুরি।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনা নেই, বলা হয়েছে মিশেল ব্যাশেলেকে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈশ্বিক এই সংস্থার মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাশেলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন দুই মন্ত্রী।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “আলাপ হয়েছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে। আলাপ হয়েছে ফ্রিডম অব প্রেস এবং ফ্রিডম অব স্পিচ নিয়ে। আলাপ হয়েছে মুশতাক (কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদ) সম্বন্ধে। আলাপ হয়েছে ট্রেনিংয়ের ব্যাপারে। আলাপ অনেক বিষয়ে হয়েছে।”

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ‘বিশেষভাবে’ আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “উনাদের সাথে আমার যে কথা হয়েছে, সেখানে আমি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আপনাদের সাথে যে কথাগুলো বলেছিলাম, ঠিক সেই কথাগুলিই উনাকে জানিয়েছি।”

এ আইনকে ‘উন্নত’ করতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ সচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানান আনিসুল হক।

তিনি বলেন, “উনি (সচিব) এটা আরও ভালো করে জানেন এই কারণেই; আপনারা জানেন যে, আমি একটা টিম করে দেই, যেটার মধ্যে লেজিসলেটিভ সচিব মহোদয় হচ্ছেন সভাপতি। এবং যেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধিরা আছেন।

“এই প্রতিনিধিরা উনার যে অফিস…জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের অফিসের সাথে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বেস্ট প্র্যাকটিস নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছেন। সেটার একটি প্রতিবেদন আমার কাছে পৌঁছেছে, প্রতিবেদন আমি দেখার পরে এই ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেব, সেটা সিদ্ধান্ত নেব, সেইসব আমরা কথা বলেছি।”

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘ হাই কমিশনার কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, “কোনো উদ্বেগ ছিল না। এটা আলোচনার মধ্যে আসছে।”

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিষয়টি বৈঠকে মিশেল ব্যাশেলে তুলেছেন জানিয়ে আনিসুল বলেন, “মুশতাক সম্বন্ধে যখন উনি প্রশ্ন করেছেন, আমি পোস্ট মর্টেম রিপোর্টটা তাকে পড়ে শুনিয়েছি। তারপরে তিনি আর প্রশ্ন করেন নাই।”

মানবাধিকার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে দুইপক্ষ জোর দিয়েছে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, “দুই পক্ষই আমরা জোর দিয়েছি- সেটা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যারা আছেন, তাদেরকে ট্রেনিংয়ের ব্যাপারে। তখন আমরা বলেছি, আপনারা একটা প্রস্তাব পাঠান, আমরা অবশ্যই সেই প্রস্তাব দেখব।”

বাংলাদেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মিশেল ব্যাশেলের পর্যবেক্ষণ কী ছিল, এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, “সেটা উনি বলবেন, আমি বলব না।”

বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নেই: ব্যাশেলেকে মোমেন

আইনমন্ত্রীর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে বৈঠক হয় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশেলের।

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয় নিজ থেকে তুলে ধরার কথা জানিয়ে মোমেন বলেন, “এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং তারা বলে নাই, আমরা নিজের থেকে বলেছি। এই রকম বলা হয়েছে যে, কিছু লোককে কিল করেছে (বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ রয়েছে) এবং তাদের তথ্য পেলে আমরা নিশ্চয় তদন্ত করব দেখব।”

২০০২-০৩ সালের দিকে ‘হার্ট ফেল’ করে মানুষ মারা গেলেও এখন সেটা হয় না বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

অপারেশন ক্লিন হার্টের কথা বলছেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “হার্ট ফেল করে মারা যাওয়ার স্টোরি ২০০৩-০৪-০৫ সালের দিকে শুনতাম। এখন শুনি না।”

এছাড়া গুম এবং সংবাদ মাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মতো বিষয়ে বৈঠকে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে যেটা হয়, সেটাই আমরা বলেছি। আমরা তাদেরকে বলেছি, এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেস আমাদের দেশে শব্দ নাই।

“তবে, কিছু কিছু লোক বলেছে, ৭৬ জন লোক নাকি গত ১০ বছরে নিখোঁজ হয়ে গেছে। তারা বলেছে যে, সরকারই নাকি নিখোঁজ করেছে। ৭৬ জনের ১০ জনকে আবার দেখা গেল, পাওয়া গেছে ঘোরাঘুরি করেছে। আর বাকিগুলো এখনও আমরা ঠিক জানি না। এটা আমরা তাদেরকে জানিয়েছি।”

বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই- এমন অভিযোগের বিষয়ে জাতিসংঘের কাছে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা নিয়ে তিনি বলেন, “আর আরেকটি ইস্যু যেটা হচ্ছে, ওদের ধারণা বাংলাদেশে টেলিভিশন মিডিয়া এগুলোতে কোনো ফ্রিডম নাই। কেউ নিজের কথা বলতে পারে না, সবকিছু সেন্সর করে সরকার।

“আমি বললাম, আমার জানামতে এমন কিছু নাই। আমি তো দেখি, আমাদের মিডিয়া বেশ স্ট্রং। প্রাইভেট টেলিভিশন নেটওয়ার্ক, আমরা একটা কথা বললেই ওরা এক্কেবারে ধরে ফেলে। আমরা তো কখনও তাদের বলি নাই, এটা করবেন না।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কেউ কেউ মনে করে বোধহয়, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণাধীন; তাদেরকে বলা হয়েছে, অনেকগুলো নিবন্ধিত মিডিয়া আছে। কিন্তু সরকারের মিডিয়া ছাড়া কোনো মিডিয়াই নাই। আমি বললাম, আমাদের সারাদেশে ২৮০০ মিডিয়া আছে।

“তাদেরকে বলা হয়েছে, আমাদের দেশে সিভিল সোসাইটির কোথাও কিছু নাই। এটা আমরা তো ঠিক জানি না। কারণ সিভিল সোসাইটি তো সব জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। এনজিও আমাদের দেশে অনেক। এনজিও কয়েক হাজার।”

আন্তর্জাতিক

আবু সিফিন চার্চে ৫ হাজার ধর্মীয় অনুসারী সমবেত হওয়ার সময় বৈদ্যুতিক সমস্যা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

মিশরে গিজা নগরীতে চার্চের ভেতরে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪০ জন নিহত এবং ৪৫ জন আহত হয়েছে।

রোববার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

তারা জানান, ইমাবাবা এলাকার কাছে আবু সিফিন চার্চে পাঁচ হাজার ধর্মীয় অনুসারী সমবেত হওয়ার সময় বৈদ্যুতিক সমস্যা থেকে আগুনের সৃষ্টি হয়।

এতে মানুষের হুড়োহুড়িতে পদচাপায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের বেশির ভাগই শিশু।

চার্চের এক উপসনাকারী বলেন, “লোকজন চার্চের তৃতীয় এবং চতুর্থ তলায় জড়ো হচ্ছিল। আমরা দ্বিতীয় তলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখলাম। লোকজন দৌড়াদৌড়ি করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিল আর একে অপরের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছিল।”

“তখনই আমরা একটি শব্দ শুনি এবং স্ফূলিঙ্গ দেখতে পাই। এরপরই জানালা দিয়ে আগুন বেরোতে দেখা যায়।”

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কাজ চলছে।

সোমবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ঢাকায় সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসনের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈঠকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ আইন প্রয়োগে কোনো রকমের অসঙ্গতি যেন না হয়, কারো যেন ক্ষতির মুখে না পড়তে হয়, এ বিষয়ে আমরাও অন্যান্য মিনিস্ট্রির সঙ্গে কাজ করছি। এ বিষয়ে আমরা তাকে বলেছি, এ ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি।

তিনি বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ও পিস কিপিং নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে যে পিস কিপিং অপরেশন চলছে, সেখানে মডার্ন টেকনোলজি কীভাবে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে আলাপ হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তারা জানিয়েছে ভাসানচরে সহযোগিতার হাত তারা বাড়িয়ে দেবে। রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকৃতিতে আমরা তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। তৃতীয় দেশে স্থানান্তরের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা বলেছি, এ বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াটাই একমাত্র সমাধান।

এক প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, জাতিসংঘের সনদ ও নীতি আমরা যেন মেনে চলি, সে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। তবে আমরা বলেছি, আমরা জাতিসংঘ, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনসহ বিভিন্ন বহুপক্ষীয় সংস্থার নীতি মেনে চলি।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে, এটা একটা আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়। এটা নিয়ে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কাজ করে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এখানে সরাসরি কোনো যুক্ততা নেই। তবে আমরা বলেছি, তাদের সিস্টেমের মধ্যেই আমরা কাজ করতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা অনেক ইম্প্রুভও দেখেছি। আমরা ফার্মও নিয়োগ দিয়েছি। ওদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কাজ করছি।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বিশ্বজুড়েই এখন জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা সংকট দেখা দিচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছি।

আন্তর্জাতিক

জলবায়ু খাতে এ বিলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে ডেমোক্র্যাট পার্টি প্রস্তাবিত ঐতিহাসিক ৭৫ হাজার কোটি ডলারের স্বাস্থ্যসেবা, কর ও জলবায়ু বিল পাস হয়েছে।

রোববার বিকালে সেনেটে ৫১-৫০ ভোটে পাস হয়েছে বিলটি। জলবায়ু খাতে এ বিলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।

সিএনএন জানায়, বিলের পক্ষে ও বিপক্ষে ৫০টি করে ভোট পড়ায় শেষ পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ‘টাইব্রেকিং’ ভোটে অচলাবস্থার অবসান হয়।

চলতি বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে দিয়ে এই বিল পাসকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার দলের জন্য বড় জয় হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।

বিলটি এখন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে যাবে। বিল অনুমোদনে শুক্রবার সেখানে ভোট হতে পারে। প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস হলে তারপর প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য সেটি হোয়াইট হাউজে পাঠানো হবে।

‘ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট’ শীর্ষক এ বিলের কারিগররা বলছেন, এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে কার্বন নিঃসরণ ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ কমবে এবং স্বাস্থ্য নীতিতেও বড় পরিবর্তন আসবে।

স্বাস্থ্যসেবা খরচ কমবে। প্রথমবারের মতো, সরকার কিছু দামী ওষুধের ক্ষেত্রে উৎপাদনকারীদের সঙ্গে মূল্য নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করতে পারবে। সেই আলোচনার ভিত্তিতে দামী ওষুধগুলোর দাম কমতে পারে। বিশেষ করে, যেসব ওষুধ ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করেন সেগুলো। এছাড়া, স্বাস্থ্যবীমা খাতে ভর্তুকির সময়সীমাও তিন মাস বাড়বে।

ওদিকে, করের ক্ষেত্রে নানা ফাঁকফোঁকর বন্ধ করাসহ বাড়ানো হবে কিছু করপোরেট ট্যাক্স। বড় শিল্পখাতের জন্য ন্যূনতম ১৫ শতাংশ কর এবং শেয়ার পুঁজিবাজার থেকে ফের কেনার ক্ষেত্রে ১ শতাংশ করের বিধান রাখা হবে।

অভ্যন্তরীন রাজস্ব সেবার রাজস্ব আদায়ের সক্ষমতাও বাড়ানো হবে। এসব পদক্ষেপে সার্বিকভাবে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন আইন চালু হলে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরের মধ্যে ৭ হাজার কোটি ডলার সরকারি রাজস্ব আসবে। এ সময়ের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতের ভর্তুকি বাড়াতে ৪৩ হাজার কোটি ডলার খরচ করা হবে। আর নতুন রাজস্বের বাকি অর্থ ঘাটতি মেটাতে ব্যবহার করা হবে।

নতুন বিল মূল্যস্ফীতি কমাতে বিশেষ করে স্বল্পমেয়াদে কতটুকু ভূমিকা রাখবে, তা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের সংশয় থাকলেও এটি কার্বন নিঃসরণ কমাবে বলেই সবাই আশাবাদী।

যুক্তরাষ্ট্রে মাইলফলক ‘বিশুদ্ধ বায়ু আইন’ পাসের পর এবার পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন খাতে ৩৭ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ দেশটির পরিবেশ-রক্ষা আন্দোলনকারীদের জন্য সবচেয়ে বড় জয়।

বিশেষ করে বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে তাপদাহ ও ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে এ এক জরুরি উদ্যোগ।

ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমারের কার্যালয়ের বিশ্লেষণ এবং একাধিক স্বতন্ত্র বিশ্লেষকের মতে, এ বিলে প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলো কার্যকর হলে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪০ শতাংশ কমে আসবে।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে সফররত চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ইয়েই আজ রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২নং সড়কে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়েই আজ সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পৌছুলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তাকে স্বাগত জানান।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়েই বঙ্গবন্ধু’র প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং সেখানে পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনকালে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়েই’র সঙ্গে ছিলেন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদেশের নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য আজ বিকেলে ঢাকা সফরে আসেন। কৃষি মন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহম্মদ আবদুর রাজ্জাক ঢাকায় হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান।

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। তিনি আগামীকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নমপেনে আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) ২৯তম বৈঠকের সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে দেখা করেন।

শনিবার (৬ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তারা উভয়েই এআরএফের বৈঠকে যোগ দেন।

জারদারি বিশেষ করে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষভাবে নারীর ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের অর্জনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় ড. মোমেন তাকে জানান যে, করাচিতে তার মায়ের বিয়েতে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল।