আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানের গজনী শহর দখল করেছে তালেবান যোদ্ধারা। এই শহর থেকে দেশটির রাজধানী কাবুল মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে। গত এক সপ্তাহে নয়টি প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নিয়েছে তালেবান। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) এসব জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এবং আফগান সরকারকে একা লড়াই করার জন্য ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম হয়েছে। এখন তালেবানরা আফগানিস্তানের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে একজন উর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, তালেবানরা গজনী দখল করেছে, যা কাবুল এবং দ্বিতীয় বড় শহর কান্দাহারের মহাসড়কে অবস্থিত। প্রবল সংঘর্ষের পর এর সমস্ত সরকারি সংস্থার সদর দপ্তর দখল করে নিয়েছে তারা।

এর মধ্যেই পদ হারালেন আফগান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়ালি মোহাম্মাদ আহমাদজাই। মাত্র দুই মাস আগেই তাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) এসব জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন সেনাপ্রধান হয়েছেন জেনারেল হায়বাতুল্লাহ আলীজাই। তিনি এতদিন আফগান বিশেষ বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন। ওই পদে এখন আফগান সেনাবাহিনীর ২১৫ ডিভিশনের কমান্ডার সামি সাদাতকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানের সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায়  সহিংসতা যত বাড়ছে দেশটির নাগরিকরা ততই পাকিস্তানের ওপর ক্ষোভে ফুঁসছেন। লাখ লাখ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী টুইটারে পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানাচ্ছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ইনসাইট কোম্পানি ‘টকওয়াকার’ এর বরাতে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত ‘স্যাঙ্কশনঅনপাকিস্তান’ (পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হোক)  হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন ৭ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। হ্যাশট্যাগ ব্যবহারকারীদের ৩৭ শতাংশ আফগানিস্তানে বসে এটা করছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ট্রেন্ড শুরু করার অন্যতম প্রবক্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাবেক সাংবাদিক হাবিব খান তোতাখিল। টুইটারে তিনি লেখেন, যদি আপনি আফগানিস্তানের নাগরিক অথবা বন্ধু হয়ে থাকেন- তাহলে আওয়াজ তুলুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যেকোনো প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি আফগান নাগরিকদের সমর্থনে প্রক্সি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তান আজ আক্রমণের মুখে। এই মুহূর্তে আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। আফগানিস্তানের আশরাফ গনি সরকারের অভিযোগ- পাকিস্তান তালেবানকে সরাসরি সহায়তা করছে। তবে পাকিস্তান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করছে। ট্রিলিয়ন ডলার আর্থিক এবং সামরিক সহযোগিতা পাওয়া সত্ত্বেও আফগান সরকারি বাহিনী কেন তালেবানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হচ্ছে পাকিস্তান সেই প্রশ্ন তুলছে।

ওয়াজমা ফ্রগ নামে একজন টুইটারে লেখেন, সাড়ে তিন কোটি আফগান নাগরিকের মধ্যে পাকিস্তান এক লাখের কম তালেবানকে পছন্দ করেছে। এখন আফগানিস্তানের ঘরে ঘরে শত্রু। এটা তো থাকার কথা ছিল না। পাকিস্তান কেন আফগান সরকারকে সমর্থন  করছে না, সেই প্রশ্ন রাখেন তিনি।

দাউদ জানবিস নামে এক আফগান সাংবাদিক দেশটিতে সহিংসতার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের অস্তিত্ব সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন এবং পরিচালনার ওপর নির্ভর করে। এই বিষয়টির সমাধান না হলে পৃথিবী কারও জন্য নিরাপদ হবে না।

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে তালেবান যোদ্ধারা কুন্দুজ এবং সার-ই-পুলের পর এবার দখলে নিয়েছে আরেকটি প্রাদেশিক রাজধানী তালোকান।

আন্তর্জাতিক

আজ সোমবার নতুন হিজরি বর্ষের ১লা মহরম থেকে করোনার দুই ডোজ টিকা গ্রহণকারী বিদেশিরা পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য ভিসার আবেদন করতে পারবেন। ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব প্রবেশ করতে পারবেন।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি, আলজাজিরা ও সৌদি গেজেটের খবরে বলা হয়, সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৯ আগস্ট থেকে ওমরায় তারা ধাপে ধাপে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের অনুমতির সংখ্যা বাড়াবে। বর্তমান ৬০ হাজার থেকে ধাপে ধাপে এই সংখ্যা ২০ লাখ পর্যন্ত বাড়ানো হবে। হারামাইন ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রতিদিন ৬০ হাজার এবং প্রতি মাসে ২ লাখ মানুষ ওমরাহ করতে পারবেন। ১৮ বছরের নিচে কেউ ওমরাহ করতে পারবেন না।

এদিকে সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওমরার আবেদনের জন্য বিদেশিদের অবশ্যই সৌদি আরবে অনুমোদিত করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধী টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট প্রদর্শন করতে হবে। সৌদি আরবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ফাইজার-বায়োএনটেক, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের অনুমোদন রয়েছে। যদি কেউ চীনের ভ্যাকসিন নেন তবে তাকে বুস্টার ডোজ নিতে হবে ফাইজার-বায়োএনটেক, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসনের।

বিবৃতিতে হজ ও ওমরা উপমন্ত্রী আবদুল ফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত বলেন, মন্ত্রণালয় বর্তমানে ওমরা পালনকারীদের পুরো যাত্রায় নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও সুস্থতা বজায় রাখতে ওমরার মৌসুম শুরুর আগেই যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে কাজ করছে। এই লক্ষ্যে ওমরায় সবসময়ই নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। অন্যদিকে সৌদি আরবে আসার পর বিদেশি ওমরাহ পালনকারীদের নির্দিষ্ট সময়ের কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টিকা গ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের এমনকি সৌদি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশের মুসল্লিদের পৌঁছানোর পর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এই নিষেধাজ্ঞা তালিকায় বাংলাদেশ নেই। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছে: ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং লেবানন। এই দেশগুলোর মানুষ তৃতীয় কোনো দেশে কোয়ারেন্টাইন করে সৌদি আরব ঢুকতে পারবেন। করোনা ভাইরাসের জন্য গত দেড় বছর ধরে বিদেশিদের জন্য ওমরাহ পালন বন্ধ ছিল।

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের পক্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য রোহিঙ্গাদের বোঝা বহন করা সম্ভব নয়। এছাড়া এ অঞ্চলের সংকট মোকাবিলায় আসিয়ান নেতাদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের-এএফআর ২৮তম সভায় বক্তব্যকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

ড. মোমেন বলেন, যদিও বাংলাদেশ ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন বা ১৯৬৭ সালের প্রটোকলের স্বাক্ষরকারী নয়, তথাপি শুধুমাত্র মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৬ হাজার ৮০০ একর সার্বভৌম বনভূমি আপস করে বাংলাদেশের পক্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ বোঝা বহন করা সম্ভব নয়। অধিকন্তু এ অঞ্চলের জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমনের জন্য তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেন।

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা সম্পর্কেও ড. মোমেন সভাকে অবহিত করেন। তিনি বৈশ্বিক জলবায়ু অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে নেতাদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিভিন্ন আঞ্চলিক ইস্যু যেমন রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, পরমাণু, সাইবার নিরাপত্তা ও অন্যান্য আঞ্চলিক সমস্যা সম্পর্কে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় করেন।

এআরএফ-এর গতিশীল নেতৃত্বে এ অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সুশাসন ও শক্তিশালী অর্থনীতির ভীত রচিত হবে বলে ড. মোমেন আশা প্রকাশ করেন।

করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকা সংক্রান্ত বিষয়ে বক্তব্য দেওয়াকালে জনকল্যাণের সহিত অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত হওয়ায় ভ্যাকসিনকে ‘পাবলিক গুড’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, এর প্রযুক্তি সবার মধ্যে সমভাবে বণ্টন হওয়া উচিত। সেইসঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যে ভ্যাকসিন উৎপাদনের ওপরও জোর দেন ড. মোমেন।

বক্তব্যকালে ড. মোমেন নিরস্ত্রীকরণকে বাংলাদেশের শান্তিকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিহ্নিত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্বারোপ করায় বাংলাদেশ সব সময় স্ব-প্রণোদিত হয়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতা এবং অস্ত্রীকরণ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছে। জাতিসংঘের সদস্য হবার পর থেকে বাংলাদেশ সব সময় জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ কূটনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।

ড. মোমেন বলেন, ১৯৭৯-১৯৮০ ও ২০০০-২০০১ সময়কালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি ও অন্যান্য দলিলের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্তকরণসহ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

২৮তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের সভা ব্রুনেইয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এবারের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের ভার্চ্যুয়ালি নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। বিভিন্ন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ২৬টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা এবারের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এবারের সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রুনেইয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাটো এরিওয়ান পেহিন ইউসুফ।

এআরএফ সদস্য দেশ অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে একমত প্রকাশ করেন। তারা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ স্বদেশ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আন্তর্জাতিক

ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা উঠাতে কূটনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। কিন্তু দেশটির ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করা হলে তাতে মাথানত করা হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ইরান পার্লামেন্টে এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। খবর এনডিটিভি।

পার্লামেন্টে রাইসি বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তা অবশ্যই প্রত্যাহার কতে হবে। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে যেকোনো কূটনৈতিক পরিকল্পনা আমরা সমর্থন করব।’

এদিকে, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারে আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কূটনীতির জানালা চিরকাল খোলা থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন ফের ইরানের ওপর অবরোধও আরোপ করেন তিনি। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারে আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কূটনীতির জানালা চিরকাল খোলা থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র।

রাইসি গতকাল বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন। তিনি ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য যেকোনো কূটনৈতিক পরিকল্পনা সমর্থন করবেন বলে মন্তব্য করেছেন।

গত মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নির্বাচনে ইব্রাহিম রাইসির জয়ের স্বীকৃতি দেন। ওইদিনই মূলত আগামী চার বছরের জন্য ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক হয়েছে তার। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত শপথ অনুষ্ঠানে রাইসি বলেন, পবিত্র কোরআনের উপস্থিতিতে এবং জাতির সামনে, আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে রাষ্ট্রীয় ধর্ম এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রের পাশাপাশি দেশের সংবিধান রক্ষার শপথ করছি।

আন্তর্জাতিক

‘রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার’-এর নাম বদলে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন নাম হচ্ছে ‘মেজর ধ্যানচন্দ খেলরত্ন পুরস্কার’। শুক্রবার এ কথা ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।

ধ্যানচন্দকে বলা হয় ‘হকির জাদুকর’। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভারতীয় পুরুষ হকি দল ব্রোঞ্জ জেতার পরদিনই খেলরত্ন পুরস্কারের নাম ধ্যানচন্দের নামে করার কথা ঘোষণা দিলেন মোদি।

এক টুইটে মোদি লিখেছেন, ‘খেলরত্ন পুরস্কারের নাম মেজর ধ্যানচন্দের নামে করার জন্য দেশের (ভারতের) বিপুল সংখ্যক নাগরিকের কাছ থেকে অনুরোধ পেয়েছিলাম। মতামত জানানোর জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের ভাবাবেগকে সম্মান দিয়ে, খেলরত্ন পুরস্কারকে মেজর ধ্যানচন্দ খেলরত্ন পুরস্কার হিসাবে ডাকা হবে।’

অপর একটি টুইটে ভারতীয় ক্রীড়াজগতে ধ্যানচন্দের অবদানের কথাও উল্লেখ করেছেন মোদি।

ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য ভারত সরকারের দেওয়া সর্বোচ্চ পুরস্কার হল খেলরত্ন। ১৯৯১-৯২ সালে প্রথমবার দেওয়া হয়েছিল এ পুরস্কার। তা পেয়েছিলেন দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দ। ক্রিকেটার হিসাবে এ পুরস্কার প্রথম পান সচিন টেন্ডুলকার।

২০২০ সালে শেষবার দেওয়া হয়েছে তা। শুরুর সময় থেকেই এ পুরস্কারের নাম ছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নামে। প্রায় ৩০ বছর পর পরিবর্তন এল সে নামে।

চলতি টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছে মনপ্রীত সিংয়ের ভারত। দীর্ঘ ৪১ বছরের খরা কাটিয়ে দেশকে পদক এনে দিয়েছেন পিআর শ্রীজেশ, হরমনপ্রীত সিংরা।

রানি রামপালের মহিলা দলও লড়াই করেছে। শুক্রবার গ্রেট ব্রিটেনের কাছে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে যাওয়ার জন্য ব্রোঞ্জ জেতা হয়নি। তবে সবিতা পুনিয়াদের লড়াকু মনোভব সারা ভারতের মন জিতে নিয়েছে।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স বৃহস্পতিবার পেট্রাপোলে এসেছে। বেনাপোল স্থল শুল্ক চেকপোস্টে ছাড়পত্র পাওয়ার পর এগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে এ বছরের ২৬ মার্চ দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স এখন পেট্রাপোলে এসেছে। বেনাপোল স্থল শুল্ক চেকপোস্টে ছাড়পত্র পাওয়ার পর এগুলো ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। বাকি অ্যাম্বুলেন্সগুলো সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পর্যায়ক্রমে পৌঁছাবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স পেট্রাপোলে পৌঁছেছেএই অ্যাম্বুলেন্সগুলো কোভিড মহামারি মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে প্রদান করা হয়েছে। এই উপহার বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জনগণের সহায়তার জন্য ভারতের অব্যাহত এবং দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকারের প্রতিফলন করে।
আন্তর্জাতিক

করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ৫৯টি দেশকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের লাল তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাজ্য। একই সঙ্গে দেশগুলোতে ব্রিটিশ নাগরিকদের ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দেশটির সরকার। খবর প্রকাশ করেছে স্কাই নিউজ।

গভ ডট ইউকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কেউ যদি গত ১০ দিনের মধ্যে লাল তালিকাভুক্ত কোনো দেশে থাকেন তাহলে তিনি কোনোভাবেই যুক্তরাজ্যে ঢুকতে পারবেন না। তবে ব্রিটিশ ও আইরিশ নাগরিক এবং যুক্তরাজ্যে যাদের বসবাসের অনুমতি আছে ওই দেশগুলো থেকে ব্রিটেনে ঢুকতে পারবেন।

নতুন করে সংশোধিত এ তালিকা থেকে রেহাই পেয়েছে ভারত, বাহরাইন, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা বাদামি তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। ফলে এই দেশগুলো থেকে কেউ যুক্তরাজ্যে গেলে তাদের আর হোটেল কোয়ারেন্টিন করতে হবে না। আগামী রবিবার (৮ আগস্ট) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কেবল ব্রিটিশ এবং আইরিশ নাগরিক অথবা যুক্তরাজ্যে যাদের বসবাসের অধিকার রয়েছে তারা ব্রিটেনে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। এক্ষেত্রে তাদের বাধ্যতামূলক সরকার অনুমোদিত কোয়ারেন্টিন স্থাপনায় ১০দিন থাকতে হবে।

লাল তালিকায় থাকা ৫৯টি দেশ

বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা, আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, বলিভিয়া, বতসোয়ানা, ব্রাজিল, বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে, চিলি, কলম্বিয়া, কঙ্গো (গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র), কোস্টারিকা, পানামা, প্যারাগুয়ে, পেরু, ফিলিপাইন, কাতার, রুয়ান্ডা, সিশেলস, সিয়েরা লিওন, সোয়াজিল্যান্ড, ইথিওপিয়া, ফ্রেঞ্চ গায়ানা, গায়ানা, হাইতি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লেসোথো, মালাউই, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, মোজাম্বিক, মিয়ানমার, নামিবিয়া, নেপাল, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, সুদান, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তিউনিসিয়া, কিউবা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েডর, মিসর, ইরিত্রিয়া, ওমান, পাকিস্তান, তুরস্ক, উগান্ডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, সুরিনাম ও তানজানিয়া।

আন্তর্জাতিক

সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি গুহা থেকে হাজার হাজার প্রাণী ও মানুষের হাড়গোড় উদ্ধার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এসব হাড়গোড় প্রায় সাত হাজার বছর ধরে হায়েরারার ওই গুহায় জড়ো করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল আরাবিয়া।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা পত্রে জানান, উম্ম জিরসান এলাকায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ওই গুহায় ইঁদুর, ঘোড়া, উটসহ বিভিন্ন গবাদি পশু এমনকি মানুষের হাড়ও পাওয়া গেছে।

জানা যায়, গুহাটি মূলত একটি প্রাকৃতিক সুরঙ্গ। একসময় সেখান দিয়ে লাভা প্রবাহিত হতো।

সৌদি আরবের উম্ম জিরসানের মতো এলাকায় যেখানে সহজেই হাড়গোড় নষ্ট হয়ে যায়, সেখানে কীভাবে এগুলো টিকে আছে তা নতুন এক বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। এই আবিষ্কার গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।