আন্তর্জাতিক

সুয়েজ খালে আটকে পড়া জাহাজ ‘এভার গিভেন’ শিগিগরই সরানো সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছে জাহাজটির মালিক জাপানিজ প্রতিষ্ঠান শোয়েই কিসেন কাইশা লিমিটেড। এমনকি শনিবারই কাজটি সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছিল তারা। শোয়েই কিসেনের প্রেসিডেন্ট য়ুকিতো হিগাকি শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সুয়েজ খালের তীর ও তলানি খননের জন্য ১০টি টাগবোট নিয়োগ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও জাহাজটি সরানোর জন্য সাহায্যের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যেখানে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দলও থাকবে। অতিরিক্ত সরঞ্জামের মাধ্যমে তারা জাহাজের নিচের পলি সরাতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘জাহাজটিতে পানি ঢুকছে না। এটির রাডার ও প্রোপেলারে কোনো সমস্যা নেই। যখন এটি সরানো হবে, এটি চলাচলে সক্ষম হবে।’ তবে জাহাজটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কোম্পানি বার্নহার্ড শুল্ট শিপম্যানেজমেন্ট (বিএসএম) জানায়, জাহাজটি সরানোর জন্য একটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পণ্য পরিবহন বিষয়ক জার্নাল লয়েড’স লিস্টের তথ্যমতে, সুয়েজ খালে মালবাহী জাহাজটি আটকে যাওয়ায় প্রতিদিন ৯৬০ কোটি টাকার পণ্য পরিবহন আটকে আছে। এর ফলে প্রতি ঘণ্টায় ক্ষতি হচ্ছে ৪০ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করেছে সুয়েজ খাল। লয়েড’স লিস্ট জানায়, এ খালের পশ্চিম দিক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫১০ কোটি ডলার ও পূর্ব দিক দিয়ে প্রতিদিন ৪৫০ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার জাহাজটি সুয়েজ খালের তলানির সঙ্গে আটকে যায়। জাহাজটি খালের মাঝ বরাবর আটকে যাওয়ায় দুদিক থেকে আর কোনো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। বিবিসি জানিয়েছে, সুয়েজ খাল বন্ধ হয়ে থাকায় এর প্রবেশ মুখে লোহিত সাগরে ২০০টিরও বেশি জাহাজ অপেক্ষা করছে, এতে সেখানে বড় ধরনের জাহাজ-জট তৈরি হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ২ হাজার ঘনমিটার বালু সরাতে সক্ষম একটি সাকশন ড্রেজার বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

আন্তর্জাতিক

‘বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সামনে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের দারুণ উদাহরণ সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টায় ভারত সহযাত্রী হিসেবে থাকবে। কারণ বাংলাদেশ-ভারত নিজেদের উন্নয়নের মাধ্যমে পুরো বিশ্বের অগ্রগতি দেখতে চায়।’

শনিবার (২৭ মার্চ) ১ টা ২০ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসব কথা বলেন।

ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়িতে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে তিনি বলেন, ‘গতকাল ঢাকায় জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের সময় আমি বাংলাদেশে সৌর্য, ক্ষমতা ও সংস্কৃতির অপূর্ব প্রদর্শন দেখি। যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আজ যেভাবে বাংলাদেশ-ভারতের সরকার দুই দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করছে সাংস্কৃতিকভাবে এই কাজই ঠাকুরবাড়ি ও শ্রী শ্রী হরিচাঁদ জি বহু দশক থেকে করে আসছে। এই স্থান বাংলাদেশ ও ভারতের আত্মিক সম্পর্কের তীর্থক্ষেত্র। আমাদের সম্পর্ক মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক। মনের সঙ্গে মনের সম্পর্ক।’

তার কথায়, ‘ভারতের হাজার হাজার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ওড়াকান্দি এসে যেমন অনুভব করে আমিও ঠিক তেমন অনুভব করছি। এই পবিত্র দিনের অপেক্ষা আমার বহু দিনের। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি যখন বাংলাদেশে আসি তখনই আমি এখনে আসার ইচ্ছে পোষণ করেছিলাম। আমার সেই প্রত্যাশা ও কামনা আজ পূর্ণ হলো।’

বাংলাদেশ বিশ্বের সামনে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের উদাহরণ সৃষ্টি করছে: মোদি

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠের অস্থায়ী হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। এ সময় তাকে উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ডঙ্কা-কাঁসা বাজিয়ে বরণ করে নেন ঠাকুর বাড়ির মতুয়ারা।

শনিবার সকালে নরেন্দ্র মোদি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সমাধি পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানে একটি বকুল ফুলের গাছ রোপণ করেন মোদি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে দুই দিনের সফরে ঢাকা আসেন তিনি। সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর যান। সেখানে তিনি যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন এবং পূজা দেন। এরপর সাতক্ষীরা থেকে হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন নরেন্দ্র মোদী।

সফরের দ্বিতীয় দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

আন্তর্জাতিক

তিস্তা সমস্যা সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এ ব্যাপারে কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি নরেন্দ্র মোদি।

শনিবার ( ২৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে বৈঠকটি শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা ছয়টার কিছু পর। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছালে কার্যালয়ের টাইগার গেটে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়াও এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

প্রথমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একান্ত বৈঠকে বসেন। এরপর দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে বাণিজ্যে অশুল্ক বাধা দূর, তথ্য-যোগাযোগ সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

সমঝোতা স্মারক সই ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, ঢাকা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস, বাংলাদেশ-ভারত স্বাধীনতা সড়ক। মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সৈন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের স্মরণে আশুগঞ্জে একটি সমাধিসৌধ উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুটিবাড়িতে ভারতের অর্থায়নে যে সংস্কার কাজ হয়েছে তারও উদ্বোধন করা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের কাছে ভারতের ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করেন মোদি। এছাড়া তিনটি সীমান্ত হাট এবং স্মারক ডাকটিকিটের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে যোগ দিতে শুক্রবার মোদি ঢাকায় আসেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে শনিবার তিনি যান সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে।

আন্তর্জাতিক

আগামী এপ্রিলে ভার্চুয়াল জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজন করছেন তাতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউস থেকে শুক্রবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র অগ্রগামী ভূমিকা পালনে তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসার লক্ষে দু’দিনের যে সম্মেলনের আয়োজন করছে তাতে বিশ্বের ৪০টি দেশের নেতাকে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এতে বড়ো অর্থনীতির দেশগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে যারা বিশ্বে কার্বন নিঃসরণের জন্যে ৮০ ভাগ দায়ী।

শি ও পুতিন সম্পর্কে বাইডেন বলেন, তারা জানেন যে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে তাদের কারো সাথেই আমার কথা হয় নি।

আগামী ২২ ডিসেম্বর যুগপৎভাবে আর্থ ডে’তে অনলাইনে সম্মেলনটি শুরু হচ্ছে। এদিকে নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের উদ্যোগে জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

প্যারিস জলবায়ু সম্মেলন থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনই চুক্তিতে ফেরার যে অঙ্গীকার করেছিলেন তা তিনি রেখেছেন।কারণ বাইডেন বিশ্ব উষ্ণতাকে তার কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছেন।

আন্তর্জাতিক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ অঞ্চলের উন্নতির জন্য ভারত-বাংলাদেশকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দশ দিনব্যাপী আয়োজিত ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের শেষ দিনে শুক্রবার সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মোদি একথা বলেন।

মোদি বলেন, দুই দেশের এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের শক্তিশালী গণতন্ত্র রয়েছে। ৭১ সালের মতো এখনো সমান বিপদও রয়েছে। এই জাতীয় অমানবিক ঘটনাবলীর পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলো এখনো সক্রিয় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই তাদের থেকে সাবধানে থাকতে হবে এবং ওদের মোকাবিলা করার জন্য সংগঠিতও হতে হবে। আমাদের উভয় দেশেই গণতন্ত্রের শক্তি রয়েছে, এগিয়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট দূরদর্শিতা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অগ্রযাত্রা এই পুরো অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সমান জরুরি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য ভারতে সুবর্ণজয়ন্তী স্কলারশিপের ঘোষণা দেন। তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভারতে গিয়ে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে ভারতে গিয়ে ভারতের ব্যবসায়ীদের শেখাতে এবং শিখে আসার অনুরোধ করেন মোদি।

বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাই, যিনি সোনার বাংলার স্বপ্নের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। মোদি তার বক্তব্যে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদদের।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণকে ভারতের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান নরেন্দ্র মোদি।

বিকাল সাড়ে ৪টায় মোদি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠানস্থলে এলে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা তাকে স্বাগত জানান।

এরপর ছায়ানটের শিল্পীদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিনে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অতিথিরা মঞ্চে এলে পাঠ করা হয় ধর্মগ্রন্থ থেকে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার সকালে দুদিনের সফরে ঢাকায় আসেন।

সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোদি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান।

সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে তিনি বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।

সফরের দ্বিতীয় দিন, ২৭ মার্চ সকালে মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

তাছাড়া, তিনি সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে দুটি মন্দির পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মতবিনিময় করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

শনিবার বিকালে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক ছাড়াও প্রতিনিধি পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হবে। বৈঠকের প্রান্তিকে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সমঝোতা স্মারক এবং প্রকল্প উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্তকরণের জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উভয় প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে নিজ নিজ দেশের পক্ষে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পৃথক দুটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবেন।

এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সফর শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ রাতে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

আন্তর্জাতিক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছেন জো বাইডেন।

এতে দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে অভিবাসীদের বাড়তি চাপ কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে জোর দিয়েছেন তিনি।

এছাড়া বৃহস্পতিবারের ঘণ্টাব্যাপী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বন্দুক হামলা এবং পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে কথা বলেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে সবকিছুতে স্বচ্ছ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন এই ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট।

নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন করোনার টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

নিজের কার্যমেয়াদের প্রথম ১০০ দিনে দশ কোটি ডোজ দেওয়ার কথা বলে আসলেও বৃহস্পতিবার বলেন, শততম দিনের আগেই ২০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।

তবে সংবাদ সম্মেলনে ঘুরে ফিরেই আসতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের অভিবাসন পরিস্থিতি।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি আটক কেন্দ্রে বর্তমানে ১৭ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। বাইডেনের নীতির কারণে অভিবাসী শিশুদের যুক্তরাষ্ট্রে আগমন বাড়বে কিনা সেই চ্যালেঞ্জও রয়েছে।

আন্তর্জাতিক

বৈদেশিক বাণিজ্য সহজ করতে বাংলাদেশের তিন সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি আকাশ, রেল ও নৌপথ ব্যবহারের আগ্রহ দেখিয়েছে নেপাল।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর ঢাকা সফরে আলোচনার বড় অংশ জুড়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহারের বিষয়গুলো ছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে সোমবার দুদিনের সফরে ঢাকায় আসেন নেপালের প্রেসিডেন্ট।

সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও নেপালের প্রেসিডেন্ট ভাণ্ডারীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।

ওইদিন বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের আয়োজনে যোগ দেওয়ার আগে নেপালের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পর্যটন, স্যানিটেশন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রেল ট্রানজিটের বিষয়ে একটি ইনস্টুমেন্টও রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ১৯৭৬ সালে সম্পাদিত নেপাল-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির প্রটোকলের সংযোজনী হিসেবে রোহানপুর-সিংঘাবাদ রেল সংযোগ পয়েন্টকে অন্তর্ভুক্ত করে দুই দেশের বাণিজ্য সচিবদের মধ্যে একটি লেটার অব এক্সচেঞ্জ (এলওই) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলো স্থলবেষ্টিত নেপাল ও ভুটানকে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

“নেপাল চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। এক্ষেত্রে মডালিটিগুলো নির্ধারণের কাজ এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।”

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন নেটওয়ার্ক ব্যবহারের পাশাপাশি নেপাল সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট এবং নেপালের বিরাটগর বা ভদ্রপুরের মধ্যে সরাসরি বিমান সংযোগ স্থাপনেও আগ্রহী জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ প্রস্তাব দুটিকে স্বাগত জানিয়েছে।”

মোমেন বলেন, “২০১৫ সালে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরিত বিবিআইএন মোটর ভেহিকেলস এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান রুটগুলো ছাড়াও নতুন কিছু রুট অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনাকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

”চুক্তিটির ত্রিদেশীয় প্যাসেঞ্জার প্রটোকল স্বাক্ষরে বাংলাদেশ ও ভারত ইতোমধ্যে সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে নেপালের সম্মতি খুব দ্রুত পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি।”

এ বিষয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, “আমরা নেপাল এবং ভারতের নীতিগত সম্মতি পেয়েছি। সত্যিকার অর্থে ইন্সট্রুমেন্টটা স্বাক্ষর করার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন।

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সোমবার নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্মরক মুদ্রা উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমওরাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সোমবার নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্মরক মুদ্রা উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও”কিন্তু ভুটানের পার্লামেন্ট এটাকে এখনো অনুমোদন করেনি। এ কারণে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি দেশের মধ্যে এটা নিয়ে কাজ করছি, ভুটান পরেও যোগ দিতে পারে।”
নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়টি বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “এটি স্বাক্ষরিত হলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। আমরা আশা করছি, চুক্তিটি দ্রুতই স্বাক্ষরিত হবে।”

প্রেসিডেন্ট ভাণ্ডারী নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মোমেন।

তিনি বলেন, জলবিদ্যুতের ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারকের আওতায় সচিব পর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ বিষয়ক কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে জলবিদ্যুৎ সেক্টরে বর্ধিত সহযোগিতার আশাবাদ জানিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশকে সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গেইটওয়ে তথা মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি হাবে রূপান্তরিত করতে চায় সরকার। এজন্য ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী নেপালের সাথে বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত পরিবহন-সংযোগ অবারিত ও সুগম করার নানাবিধ উদ্যোগ চলমান রয়েছে।”

সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকালে ধানমণ্ডিতে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান নেপালের প্রেসিডেন্ট ভাণ্ডারী। বিকালে বারিধারায় নেপাল দূতাবাসে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দেশের পথে রওনা করেন তিনি।

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফী বিনতে শামস উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমার মাতৃ সমতুল্য। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। শেখ হাসিনা গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের দারিদ্রতা কমিয়েছেন। তার মতো নেত্রী পেয়ে বাংলাদেশ ধন্য। বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমি আনন্দিত। তিনি যেভাবে বাংলাদেশের করোনা মোকাবেলা করেছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।’

বুধবার ( ২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করেছেন। গত এক বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন ছিল দেখার মতো। জিডিপি গ্রোথ বেড়েছে।

তিনি বঙ্গবন্ধুর এক উক্তি স্মরণ করে বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বিদ্বেষ নয়। এর আগে সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। বুধবার বেলা ১১টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন দুই দেশের সরকার প্রধান।

মঙ্গলবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিংকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ২১টি গান স্যালুটসহ গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সেখানে তিনি পরিদর্শন করেন এবং উভয় প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পরস্পরকে পরিচয় করিয়ে দেন।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, তিন বাহিনী প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। পরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। সেখানে শেরিং পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ ও ভুটানের বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কৃষি, হর্টিকালচার এবং মৎস্য খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর জোর দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বুধবার (২৪ মার্চ) ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন। লোটে শেরিং বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

দুই দেশের সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, যোগাযোগ, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময়, জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ, পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, ভুটান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য সেদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। সময়ের পরিক্রমায় এ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে।

করোনা মহামারির মধ্যে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভুটানে এক হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করার জন্য ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।

আন্তর্জাতিক

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পুরো জীবন দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার নায়ককে হারায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিদান। আমি জাতির পিতার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাই।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ‘মুজিব চিরন্তন’দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আজকের থিম ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর শ্রীলঙ্কা প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং তিন বাহিনীর প্রধান উপস্থিত আছেন।

এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে। পরে তিনি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং একটি ফুল গাছের চারা রোপণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল পৌনে ১০টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে। মাহিন্দা রাজাপাক্ষেকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়।