খেলাধুলা

বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বড় প্রত্যাশা নিয়ে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। বুধবার বিকালে লেবানন মালদ্বীপকে ১-০ গোলে হারানোয় সেমিফাইনালের অঙ্কটা তাদের জন্য আরও সহজ হয়ে যায়। প্রতিপক্ষ ভুটানের বিপক্ষে একটি পয়েন্ট পেলেই ২০০৯ সালের পর সেমিফাইনাল নিশ্চিত। এমন সম্ভাবনায় শুরুতে ধাক্কা খেলেও বাংলাদেশ বুঝিয়ে দিয়েছে ম্যাচটা তারা খেলছে পূর্ণ তিন পয়েন্ট আর সেমির লক্ষ্য নিয়ে। পিছিয়ে পড়েও ৩-১ গোলে জিতে ১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে বাংলাদেশ।

অথচ সাফের গত পাঁচটি আসরে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বই পার হতে পারেনি। এবার সেমিফাইনালকে পাখির চোখ করেছিল। সেই লক্ষ্যপূরণ হওয়ায় সংকটের মধ্য দিয়ে যাওয়া দেশের ফুটবল থেকে অবশেষে এলো খুশির খবর। যা কোরবানির ঈদের আগে দেশবাসীর কাছে আনন্দ-উপহার হয়ে এসেছে। এবার ফাইনালে যাওয়ার পালা! সেমিতে ১ জুলাই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কুয়েত।

ব্যাঙ্গালুরুর কান্তীরাভা স্টেডিয়ামে নামার আগে ভুটানের বিপক্ষে পরিসংখ্যান ছিল বাংলাদেশের পক্ষেই। সাফে আগের ৬ বারের দেখায় কখনও হারেনি লাল-সবুজরা। র্যা ঙ্কিংয়েও বাংলাদেশের চেয়ে সাত ধাপ এগিয়ে তারা! কিন্তু মাঠের খেলায় পাত্তা পায়নি মোটেই। ম্যাচের শুরুতে আক্রমণে গিয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশই। দ্বিতীয় মিনিটে শেখ মোরসালিনের কাটব্যাক থেকে সোহেল রানা জোরালো শট নিয়েছিলেন। কিন্তু গোলকিপার গেইলশেন জাংপো জায়গায় দাঁড়িয়ে এক ড্রপে সেটি তালুবন্দি করলে হতাশ হতে হয় তাদের।

৯ মিনিটে ভুটানও আক্রমণে গিয়েছিল। ডি বক্সের প্রান্ত থেকে শেরুব দর্জির জোরালো শট শুয়ে পড়ে তালুবন্দি করেছেন গোলকিপার জিকো। কিন্তু ১২ মিনিটে দারুণ এক গোলে বাংলাদেশ শিবিরে ভয় ধরিয়ে দেয় ভুটান। বক্সের বাইরে থেকে তপু বর্মণকে কাটিয়ে তিশেল থ্রিম নামগিল জোরালো শটে জিকোকে পরাস্ত করে ভুটানকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। ১৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোলও পেতে পারতো তারা। নিমা ওয়াংদি দু’জনকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও সেটি ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়েছে।

শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হলেও বাংলাদেশ প্রভাব বিস্তার করা শুরু করে একটু গুছিয়ে নিয়ে। তাতে সমতা ফেরায় ২২ মিনিটেই। আগের ম্যাচের তৃতীয় গোলদাতা শেখ মোরসালিন দারণ এক শটে দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন। রাকিবের পাসে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মোরসালিন বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট মুহূর্তেই ভুটানের জাল কাঁপিয়েছে।

আক্রমণে যাওয়া বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩০ মিনিটেই। এই গোলটিরও নেপথ্যেও ছিলেন মোসরাসিল। মোরসালিনের ক্রসে রাকিবের রিসিভ করার পর ভুটানের মান্থশো জিগমের শরীরে লেগে জড়িয়ে যায় জালে।

৩৬ মিনিটে রাকিবের দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান বাড়ে আরও। একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে প্রায় বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে শট নিয়েছিলেন তিনি। পরে তা বাম প্রান্তের পোস্টের ভেতরে লেগে জড়িয়ে যায় জালে।

বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ ৬টি পরিবর্তন এনেছে। তার পরেও আক্রমণে সেভাবে ধার ছিল না। ফলে ব্যবধানে হেরফের হয়নি। ভুটান চেষ্টা করেও পারেনি কিছু করতে।

তিনটি ম্যাচ জিতে ‘বি’ গ্রুপ থেকে গ্রুপ সেরা হয়েছে লেবানন। তাদের পয়েন্ট ৯। বাংলাদেশ ৬ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে। ভুটানের পয়েন্ট শূন্য।

খেলাধুলা

আগামী মাসে কলকাতা সফরে আসছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এর আগেই তিনি পা রাখবেন বাংলাদেশে।

সোমবার নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।  

পোস্টে মার্তিনেস বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ভারতীয় উপমহাদেশে আমার সফর শুরু হবে ৩ জুলাই। বাংলাদেশ থেকেই এটার যাত্রা শুরু হবে, যেখানে আমি ফান্ডেড নেক্সট এবং নেক্সট ভেঞ্চারস-এর দলগুলির সাথে দেখা করার সুযোগ পাবো। আমাদের এই সাক্ষাৎ ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার সুর তৈরি করে দেবে। ’

মার্তিনেস আরো লিখেন, ‘বাংলাদেশ সফর শেষে আমি কলকাতায় যাব, শুরু হবে আমার আড়াই দিনের ভারত অভিযান। আমি এই রোমাঞ্চকর অভিযান নিয়ে খুবই আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি এবং এই যাত্রায় যে বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা পাব, সেটা নেওয়ার প্রত্যাশায় আছি। ’

৩৬ বছরের খার ঘুচিয়ে গত বছর বিশ্বকাপ নিজেদের করে নেয় আর্জেন্টিনা। নিজেদের তৃতীয় এই শিরোপা জেতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মার্তিনেস। ফাইনালে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপ জিতে আলবেসিলেস্তেরা। সেই গোলরক্ষকই আগামী ৩ জুলাই পা রাখবেন বাংলাদেশের মাটিতে।

কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের উদ্যোগে কলকাতায় মার্তিনেসের আগমন ঘটবে। এর আগে বাংলাদেশি ভক্তদের কথা বিবেচনা করে তিনি এই দেশে আসবেন বলে জানিয়েছেন শতদ্রু।

খেলাধুলা

কাতার বিশ্বকাপে শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনার দীর্ঘ তিন যুগের স্বপ্নপূরণ হয়েছে। সেই সঙ্গে পূর্ণতা পেয়েছে কিংবদন্তি লিওনেল মেসির ক্যারিয়ার। এর পর থেকেই মাঠের খেলায় দুর্দান্ত সময় পার করছেন আলবিসেলেস্তেরা। প্রীতি ম্যাচে সম্প্রতি এশিয়া সফরে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে। অন্যদিকে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর থেকে হারের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে ব্রাজিল।

সম্প্রতি সেনেগালের বিপক্ষে ৪ গোলের পরাজয় বরণ করেছে তারা। তবে সিনিয়রদের চেয়ে ভালো খেলেই কনমেবল আয়োজিত টুর্নামেন্ট পার করছে জুনিয়ররা। বৃহস্পতিবার রাতে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ড্র করেছে সেলেসাওরা।

লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল আয়োজন করেছে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটসাল ফুটবলের। এ টুর্নামেন্টের ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় ব্রি গ্রুপের শীর্ষে থেকে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। আগের ম্যাচেই উরুগুয়ের জালে ৭ গোল দিয়ে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ব্রাজিল।

বৃহস্পতিবার ম্যাচ নিয়ে ছিল দারুণ উত্তেজনা। দুই দেশের জুনিয়র ফুটবলারদের টুর্নামেন্ট হলেও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ মানেই উত্তাপ। আর এ আসরে মেসি-নেইমারদের দেশ একই গ্রুপে হওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে আরও বেশি। ব্রাজিলের বিপক্ষে এ ম্যাচে জিতলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিতে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল আলবিসেলেস্তেদের। তবে কাঙ্ক্ষিত জয় পায়নি তারা। প্রথমার্ধ্ব গোলশূন্য কাটলেও দ্বিতীয়ার্ধ্বে এসে পরিবর্তন হয় স্কোরলাইন।

উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে কাল ম্যাচ শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন ব্রুনো দিয়াস। ১ গোলে পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র ৪৮ সেকেন্ড আগে আলবিসেলেস্তেদের হয়ে বেত্তনি গোল করলে ১-১ ড্রয়ে শেষ হয় ম্যাচ। ফলে দুদলই অপারজিত থাকায় সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে পৌঁছাল।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুদলই সেমির টিকিট নিশ্চিত করেছে আরও আগেই। উরুগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিল বিশাল ব্যবধানে জয়ের সঙ্গে আর্জেন্টিনাও আগের ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। তবে ব্রাজিলের বিপক্ষে জয় না পাওয়ায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিতে যাওয়া হলো না আর্জেন্টিনার।

খেলাধুলা

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে টুকটাক চোট সমস্যা চিন্তায় রেখেছে বাংলাদেশ দলকে। বৃহস্পতিবার অনুশীলন সেশনে চোট সমস্যায় ভুগেছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।

তামিমের চোট পুরোনো। পিঠের ব্যথার জন্য তিনি খেলতে পারেননি আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট। ব্যথা কমে যাওয়ার পর শুরু করেন ব্যাটিং অনুশীলন। বৃহস্পতিবার আবার তাকে কিছুটা ভুগতে দেখা গেল।

এদিন ব্যাটিং অনুশীলন ঠিকঠাক করলেও ফিল্ডিং অনুশীলনের সময় পিঠে ব্যথায় অস্বস্তি বোধ করেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। পরে ফিল্ডিং অনুশীলন বাকি রেখেই চলে যান ড্রেসিং রুমে।

অন্য ওপেনার লিটনের এমনিতেই কোনো চোট সমস্যা ছিল না। এদিন থ্রোয়ারের বল খেলতে গিয়ে হাতে ব্যথা পান তিনি। এতে অস্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে। বাংলাদেশ দলের ফিজিও মোজাদ্দেদ সানি ছুটে গিয়ে খতিয়ে দেন। এরপর আর ব্যাটিং চালাননি লিটন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ওয়ানডে দলে ফেরা নাঈম শেখও একটি বলের আঘাতে হাঁটুতে চোট পান। তবে সামলে নিয়ে পরে তিনি ব্যাটিং চালিয়ে যান।

তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তামিম বা লিটনের চোট তেমন গুরুতর নয়। বিশ্রাম নিলেই আবার সতেজ হয়ে যাবেন তারা।

খেলাধুলা

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টাকা টেস্টের দুই ইনিংসে (১৪৬ ও ১২৪) সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে (১২১) সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল হক সৌরভ।

মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার সুবাদে আইসিসির সাপ্তাহিক হালনাগাদে র‌্যাংকিংয়ে ২৫ ধাপ এগিয়ে ৫৪তমস্থানে জায়গা করে নিয়েছেন শান্ত। আর ১৭ ধাপ এগিয়ে ৫৩তমস্থানে উঠেছেন মুমিনুল হক।

আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানের রেকর্ড ব্যবধানে হারানো টেস্টে বল হাতে উজ্জল ছিলেন বাংলাদেশের পেস বোলার এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলামরা। ম্যাচে সমান ৫টি করে উইকেট নেন তারা। বোলারদের র‌্যাংকিংয়ে এবাদত হোসেন ৬২তমস্থানে এবং শরিফুল ইসলাম ৭১তমস্থানে আছেন।

অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেনকে টপকে আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক জো রুট। গত ডিসেম্বরে শীর্ষে ওঠা লাবুশেন তিনে নেমে গেছেন।

বার্মিংহামের এডজবাস্টনে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের আগে ব্যাটিং র‌্যাংকিং তালিকায় শীর্ষ তিনটি জায়গাই দখলে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তিন ব্যাটসম্যান লাবুশনে-স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিস হেড।

অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে ১৪১ ও ৬৫ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খাজা শীর্ষ দশে প্রবেশ করে তালিকার সপ্তমস্থানে আছেন।

খেলাধুলা

প্রথমবারের মতো আয়োজিত নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ এ; দল। হংকংয়ে আজ অনুষ্ঠিত ফাইনালে বাংলাদেশ নারী ‘এ’ দলকে ৩১ রানে হারিয়ে নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত ‘এ’ দল।

সেমফিাইনালে গতকালই শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে এক রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে শিরোপা মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পুড়তে হয়েছে লতা মন্ডলের দলকে।

টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১২৭ রানে আটকে যায় ভারতীয় নারী এ দল। তবে জবাবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ১৯.২ ওভারে মাত্র ৯৬ রান করতে পারে বাংলাদেশ দল।

লক্ষ্যমাত্র বড় না হলেও ব্যাট হাতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার দিলারা আক্তারকে হারায় বাংলাদেশ। সাথি রানির সঙ্গে সোবহানা মোশতারি একটা জুটির আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু থিতু হয়ে থামেন দুজনই। ১১ বলে ১৩ করে বিদায় নেন সাথি। সোবহানা ২২ বলে করেন ১৬ রান।

পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। অধিনায়ক লতা, অভিজ্ঞ মুরশিদা খাতুন আর বড় ভরসা আগ্রাসী ব্যাটার স্বর্ণা আক্তার তিনজনের কেউই দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেনি।

৫৬ রানেই তাই ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া বাংলাদেশকে আবারও টানছিলেন নাহিদা আক্তার। কিন্তু তার একার পক্ষে কঠিন সমীকরণ মেলানো সম্ভব ছিল না। নাহিদা এক প্রান্তে আগলে রেখে দাঁড়িয়ে দেখেছেন বাকিদের যাওয়া-আসা।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে খুব ভাল শুরু করতে পারেনি ভারতও। আঁটসাঁট বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেছিলেন মারুফা আক্তার, সানজিদা খাতুন মেঘলারা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে শ্বেতা সেহরাওয়াতকে তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা।

খানিক পর ইউ ছেত্রীকে ফেরান রাবেয়া খান। গঙ্গাদি তিশাকে রান করতে দেননি সুলতানা খাতুন।

তবে দীনেশ বৃন্দা , কানিকা আহুজাদের আটকানো যায়নি। বৃন্দা ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন। কানিকা খেলেন ২৩ বলে ৩০ রানের ইনিংস। এদিনও বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন নাহিদা। ৪ ওভার বল করে ১৩ রানে নেন ২ উইকেট।

নাহিদা পরে ব্যাট হাতেও ২২ বলে ১৭ রান করে ছিলেন অপরাজিত। কিন্তু তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। বাংলাদেশের মেয়েদের ধসিয়ে অফ স্পিনার শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ে রেখেছেন বড় ভূমিকা।

খেলাধুলা

সফরকারী আফগানিস্তানকে একমাত্র টেস্টে   ৫৪৬ বিধ্বস্ত  করে  ক্রিকেটে এই শতাব্দীর  সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে  বাংলাদেশ  ক্রিকেট দল।

নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে রান  হিসেবে এটিই সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের। এর আগে  ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২৬ রানে জিতেছিলো টাইগাররা।

সব মিলিয়ে টেস্ট ইতিহাসে রান বিবেচনায়  তৃতীয় বড় জয়ের নজির গড়লো বাংলাদেশ। তবে এই শতাব্দীর বড় জয়।  টেস্ট ইতিহাসে প্রথম দু’টি বড় জয় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার। ১৯২৮ সালে ব্রিজবেনে ইংল্যান্ড ৬৭৫ রানে অস্ট্রেলিয়াকে এবং ১৯৩৪ সালে  ওভালে অস্ট্রেলিয়া ৫৬২ রানে হারিয়েছিলো ইংল্যান্ডকে।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৬৬২ রানের টার্গেটে তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ৪৫ রান করেছিলো আফগানিস্তান। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে আরও ৬১৭ রান দরকার ছিলো আফগানদের।

আজ, চতুর্থ দিনে পেসার তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ার  সেরা ৩৭ রানে  ৪ উইকেট দখলের  সুবাদে  বাংলাদেশকে খুব বেশি ঘাম ঝড়াতে হয়নি।  তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার এবাদত হোসেন। ৫ রান নিয়ে শুরু করে এবাদতের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাসির জামাল। ৬ রান করেন তিনি।

কিছুক্ষণ বাদে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় উইকেট উপহার দেন পেসার শরিফুল ইসলাম। রহমত শাহর বিপক্ষে বাংলাদেশের ক্যাচ আউটের আবেদনে সাড়া দেন আম্পয়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে নিজের উইকেট বাঁচান রহমত।

রহমতকে শিকার করতে না পারার দুঃখ দ্রুতই ভুলে যান শরিফুল। আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক আফসার জাজাইকে ৬ রানে বিদায় দেন তিনি। গালিতে মেহেদি হাসান মিরাজকে ক্যাচ দেন জাজাই।

জাজাইর বিদায়ে কনকাশনে যাওয়া আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদির পরিবর্তে খেলতে নামেন বাহির শাহ।

আগের দিন পেসার তাসকিনের বাউন্সারে হেলমেটে আঘাত পেয়ে আহত অবসর নিয়েছিলেন শাহিদি। শেষ পর্যন্ত ১৩ রানে থেকেই কনকাশন হলেন শাহিদি।

ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত টেস্ট খেলতে নেমে শরিফুলের বলে ব্যক্তিগত ৭ রানে আউট হন বাহির। ২৫তম ওভারে আজ প্রথমবারের মত বোলিংয়ে আসেন আগের দিন ১ উইকেট নেয়া তাসকিন। এরপর আফগানিস্তানের তিন ব্যাটারকে শিকার করে বাংলাদেশকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দেন তাসকিন। রহমত শাহকে ৩০, করিম জানাতকে ১৮ ও আহমাদজাইকে ১ রানে শিকার করেন তিনি। মাঝে হামজা ৫ রানে মিরাজের শিকার হলে  ১১০ রানে ৯ উইকেটে পরিনত হয়  আফগানিস্তান।

তাসকিনের বলে আফগানদের শেষ ব্যাটার জহির খান হাতে ব্যথা পেয়ে আহত অবসর নিলে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। এছাড়া শরিফুল ২৮ রানে ৩টি, মিরাজ-এবাদত ১টি করে উইকেট নেন।

২০১৯ সালে টেস্ট ফরম্যাটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দেখায় ২২৪ রানে হারের লজ্জা পেয়েছিলো বাংলাদেশ। সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় পর ঐ হারের প্রতিশোধ বিশাল ব্যবধানে জয়ের মাধ্যমে নিলো বাংলাদেশ।

স্কোর কার্ড (টস-আফগানিস্তান)

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৩৮২/১০, ৮৬ ওভার (শান্ত ১৪৬, মাসুদ ৫/৭৯)

আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস ১৪৬/১০, ৩৯ ওভার (জাজাই ৩৬, এবাদত ৪/৪৭)

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস ৪২৫/৪ ডি, ৮০ ওভার (শান্ত ১২৪, মোমিনুল ১২১*, জহির ২/১১২)

আফগানিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস (আগের দিন ৪৫/২, ১১ ওভার, রহমত ১০*, জামাল ৫*) :

জাদরান ক এলবিডব্লু ব শরিফুল ০
মালিক ক লিটন ব তাসকিন ৫
রহমত ক লিটন ব তাসকিন ৩০
শাহিদি আহত অবসর ১৩
জামাল ক লিটন ব এবাদত ৬
জাজাই ক মিরাজ ব শরিফুল ৬
বাহির ক তাইজুল ব শরিফুল ৭
জানাত বোল্ড ব তাসকিন ১৮
হামজা ক মোমিনুল ব মিরাজ ৫
আহমাদজাই ক মুশফিক ব তাসকিন ১
মাসুদ অপরাজিত ৪
জহির  আহত অবসর ৪

অতিরিক্ত (বা-৪, নো-৬, ও-৬) ১৬

মোট (অলআউট, ৩৩ ওভার) ১১৫

উইকেট পতন : ১/০ (জাদরান), ২/৭ (মালিক), ২/২৬ (শাহিদি) আহত অবসর, ৩/৪৮ (জামাল), ৪/৬৫ (জাজাই), ৫/৭৮ (বাহির), ৬/৯১ (রহমত), ৭/৯৮ (জানাত), ৮/১০৬ (হামজা), ৯/১১০ (আহমাদজাই)।

বাংলাদেশ বোলিং :

শরিফুল : ১০-১-২৮-৩,
তাসকিন : ৯-২-৩৭-৪ (ও-১, নো-৬),
তাইজুল : ৫-১-১৯-০,
মিরাজ : ২-০-৫-১,
এবাদত : ৭-২-২২-১ (ও-১)।

ফল : বাংলাদেশ ৫৪৬ রানে জয়ী

সিরিজ : এক ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশ।

খেলাধুলা

মিরপুর টেস্টে ৬৬২ রানের পাহাড়সম রানের লক্ষ্য আফগানিস্তানের সামনে। টেস্ট ক্রিকেটের পঞ্চম সর্বোচ্চ লক্ষ্যও একটি। এই রান তাড়া করে জেতা, একরকম দুঃস্বপ্নই হতে পারে আফগানদের জন্য। সফরকারীদের রানে চাপায় ফেলার পর শেষ বিকেলে বুনো উল্লাসে মাতেন বাংলাদেশের পেস বোলাররাও।

২৬ রানেই আফগানিস্তানের দুই ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমে পাঠিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। তবে আর বিপর্যয় না ঘটিয়ে ৪৫ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে আফগানরা। আরও কিছুক্ষণ খেলার সুযোগ ছিল। কিন্তু আলোক স্বল্পতার কারণে প্রায় আধা ঘণ্টা আগেই খেলা শেষ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা।

ছন্দে থাকা ইবরাহিম জাদরান মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও হলেন ব্যর্থ। আগের ইনিংসে ৬ রান করলেও এবার গোল্ডেন ডাকেই ফিরলেন। ইনিংসের প্রথম বলেই দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে ফেরান শরিফুল। ব্যাট হাসেনি আরেক ওপেনার আব্দুল মালিকেরও। ৫ রানে তাসকিন আহমেদের বলে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিনের বলে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক হাসতমউল্লাহ শহীদি। তবে সুস্থ থাকলে কাল আবারও নামার সুযোগ আছে তার। ১৩ রান করে অবসরে যান তিনি। রহমত শাহ ১০ ও নাসির জামাল ৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন।

এর আগে দুই বছর পর সেঞ্চুরি পেলেন মুমিনুল হক। নাজমুল হোসেন শান্ত করেছেন ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে ২৩৬ রানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ৪২৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করল। দুই মিলিয়ে বাংলাদেশ লিড পেল ৬৬১ রানের। এর আগে টেস্ট ক্রিকেটে এত বড় লিড পায়নি তারা।

আজ তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় সেশন শেষেই হয়তো ইনিংস ঘোষণা দিত বাংলাদেশ। কিন্তু মুমিনুল হক ও লিটন দাসের জন্যই হয়তো সেটি সম্ভব হয়নি। ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন মুমিনুল ও ২ রানের জন্য ফিফটির অপেক্ষায় ছিলেন লিটন। চা বিরতি থেকে ফিরেই তৃতীয় সেশনের শুরুতে প্রায় দুই বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পান মুমিনুল। লিটনও তুলে নেন ফিফটি।

একটু পরই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৬৬২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আফগানিস্তানকে। এর আগে ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়েকে হারারেতে ৪৭৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটাই ছিল এত দিন সর্বোচ্চ লক্ষ্য দেওয়ার রেকর্ড। এবার সেটিকে পেছনে ফেলে নতুন রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।

তপ্ত রোদে তৃপ্তির ঢেকুর তোলার কোনো সুযোগ নেই আফগানিস্তানের বোলারদের। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শুধু বলই করেছেন, কিন্তু ঘামের মূল্যে খেয়েছেন শুধু বাংলাদেশ ব্যাটারদের পিটুনি। ৫.৩১ হারে রান দিয়ে নিতে পেরেছেন মাত্র ৪ উইকেট, আজ নিয়েছেন তিনটি।

প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত দ্বিতীয় ইনিংসেও করেছেন সেঞ্চুরি। ১৫১ বলে খেলেছেন ১২৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ৭১ রানে আউট হন জাকির হাসান। মুশফিকুর রহিম রিভার্স সুইপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৮ রানে। এরপর মুমিনুল ১২১ ও লিটন ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

এই টেস্টে বাংলাদেশ শুধু নিজেদের রেকর্ডই ভাঙেনি, জায়গা করে নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়েও। টেস্টে ৬১৪ রান ইতিমধ্যে লক্ষ্যে দেওয়ার ক্ষেত্রে পঞ্চম স্থানে নাম লিখিয়েছে। ১৯৩০ সালে কিংস্টোনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সর্বোচ্চ ৮৩৬ রানের লক্ষ্য দেয় ইংল্যান্ড। ১৯৬৯ সালে সিডনিতে উইন্ডিজদের ৭৩৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

১৯৩৯ সালে ডারবানে ইংল্যান্ডকে ৬৯৬ রানের লক্ষ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২০০৬ সালে ব্রিসবেনে ইংলিশদের ৬৪৮ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দিয়েছিল অজিরা। ২০২৩ সালে আফগানিস্তানকে মিরপুরে বাংলাদেশ লক্ষ্য দিল ৬৬২ রানের।

খেলাধুলা

রোববার ইংল্যান্ডের দ্য ওভালে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে ২০৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য এবারের আসরে রাখা হয় ৩১.৩২ কোটি টাকার প্রাইজমানি।

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ১.৬ মিলিয়ন ডলার তথা ১৩.২ কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার।

রানার্সআপ ভারত পেয়েছে ০.৮ মিলিয়ন ডলার তথা ৬.৫৯ কোটি টাকা। র‌্যাংকিংয়ে তৃতীয় পজিশনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে ৩.৭ কোটি টাকা।

চতুর্থ পজিশনে থাকা ইংল্যান্ড পেয়েছে ২.৮ কোটি, পাঁচ নম্বর পজিশনে থাকা শ্রীলংকা পেয়েছে ১.৬৪ কোটি টাকা।

এছাড়া নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ পেয়েছে ০.১ মিলিয়ন ডলার তথা ৮২ লাখ টাকা করে।

খেলাধুলা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল টিমের মতে, প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার কারনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই ক্রিকেটে ফিরতে পারেন সাকিব আল হাসান।

সম্প্রতি ইনজুরি আক্রান্ত আঙুলে একটি এক্স-রে করিয়েছন সাকিব এবং রিপোর্ট ভালো এসেছে।

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডঃ দেবাশিষ চৌধুরী আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক্স-রে রিপোর্ট বেশ ভালো । ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে সাকিব ফিরতে পারবে বলে আমরা আশবাদী।’

গত মাসে চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ইনজুরিতে পড়েন সাকিব। এজন্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন একমাত্র টেস্টে খেলতে পারছেন না তিনি।

টেস্ট দলে না থাকলেও ইতোমধ্যে ক্যাম্পে যোগ দিয়ে অনুশীলন শুরু করেছেন সাকিব। গত দু’দিন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার সাথে কথা বলতে দেখা গেছে সাকিবকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে কি ধরনের উইকেট ব্যবহার করা উচিত তা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

দেবাশিষ বলেন, ‘সে যদি ফিরতে চায় তাহলে তাকে ফিট থাকতে হবে। এটি তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তার আঙ্গলের চিড় খুব বেশি সমস্যাকর ছিল না। কিছু দিনের মধ্যেই পুনর্বাসন শুরু করবেন তিনি।’

আগামী ১৪ জুন থেকে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট।

একমাত্র টেস্টে পর সাদা বলের সিরিজের জন্য ভারত সফর করবে আফগানিস্তান। জুলাইয়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আবারও বাংলাদেশে আসবে আফগানরা।