খেলাধুলা

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ব্যাটে-বলের নৈপুণ্যে ১০ উইকেটের রেকর্ড জয় পেল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে উইকেটের দিক থেকে এটাই টাইগারদের সবচেয়ে বড় জয়।

এর আগে ২০০৬ সালে খুলনায় কেনিয়ার বিপক্ষে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

তবে রানের দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ১৮৩ রানের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রেকর্ড ৩৩৮ রান করে ১৮৩ রানের জয়ের নজির গড়ে টাইগাররা।

বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন তারকা পেসার হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেনের গতির মুখে পড়ে ২৮.১ ওভারে মাত্র ১০১ রানেই অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।

বাংলাদেশ দলের হয়ে হাসান মাহমুদ ৮.১ ওভারে ৩২ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন। ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৬ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেট নেন পেসার এবাদত হোসেন।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাসের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ১৩.১ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের জয়ে ৩৮ বলে ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ রান পূর্ণ করেন লিটন।

৪১ বলে ৫টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৪১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

তামিম-লিটনের ৭৯ বলের ১০২ রানের অনবদ্য জুটির কল্যাণে ২২১ বল হাতে রেখেই ১০ উইকেটের রেকর্ড জয় পায় টাইগাররা। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৩৮ রান করে ১৮৩ রানের রেকর্ড জয় পায় তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি। দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের ৬০ বলের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে আগের ম্যাচের রেকর্ড ভেঙে ৩৪৯ রান করে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয়।

বৃহস্পতিবার আইরিশদের ১০১ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ১৩.১ ওভারে ১০ উইকেটের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ।

ম্যাচ সেরা হাসান, সিরিজ সেরা মুশফিক

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানেই জেতার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের।

কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৪৯ রানের রেকর্ড গড়ার পর বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় ইনিংস মাঠে গড়ায়নি। যে কারণে সেই ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। তাই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় টাইগাররা।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিজের অভিষেক ম্যাচেই ৮৫ বলে ৮টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৯২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন তরুণ ওপেনার তাওহিদ হৃদয়।

দ্বিতীয় ম্যাচে ৬০ বলে ১০০ রানের ঝড়ো সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। কিন্তু বৃষ্টিতে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ হারায় জয়ের সুযোগ, মুশফিক হারান সিরিজ জয়ের সুযোগ।

বৃহস্পতিবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন পেস বোলার হাসান মাহমুদ। তিনি ৮.১ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৮ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন। হাসান, তাসকিন আর এবাদতের গতির মুখে পড়ে ২৮.১ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।

১০২ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ১০ উইকেটের রেকর্ড জয় নিশ্চিত করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। দলের জয়ে বল হাতে অবদান রেখে ম্যাচ সেরা হন হাসান মাহমুদ। সিরিজে দুই ম্যাচ ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৪ রান করে সিরিজ সেরা হন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সিরিজে সর্বোচ্চ ১৪৬ রান করেন ওপেনার লিটন দাস।

খেলাধুলা

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পেসারদের মানসিকতার উন্নতি দেখে সন্তুষ্ট পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।

মাঝে দাঁড়িয়ে হাস্যোজ্জ্বল অ্যালান ডোনাল্ড। তার দুই পাশে মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও ইবাদত হোসেন। সিলেটে তোলা ছবিটি সাড়া জাগিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ডোনাল্ডের কোচিংয়ে বাংলাদেশের পেস বোলারদের যে জাগরণ, তারই প্রতিরূপ যেন ছবিটি। তাসকিন-ইবাদতদের গুরু হয়ে ডোনাল্ডও খুশি নিজের শিষ্যদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিল্ডিং করতে হয়নি বাংলাদেশকে। রেকর্ড গড়া জয় পাওয়া প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন ইবাদত। তাসকিন ৬ ওভারে স্রেফ ১৫ রান দিয়ে নেন ২ শিকার। উইকেট না পেলেও ডোনাল্ডের মতে, আইরিশদের ভুগিয়েছেন আরেক পেসার মুস্তাফিজ।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় সিরিজের ট্রফি নিজেদের করতে শেষ ওয়ানডে জিততে হবে বাংলাদেশকে।

কিন্তু ম্যাচের আগের দিন স্বাগতিকদের সংবাদ সম্মেলনে সিরিজ নিয়ে তেমন কোনো কথাই হলো না। পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ডকে বেশিরভাগ উত্তর দিতে হলো দলের পেসারদের নিয়ে।

“দলগতভাবেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল। আমরা এই মানসিকতার কথাই বলে আসছি। সেদিন তারা যেমন বোলিং করেছে, তা দেখা সত্যিই দারুণ ছিল। তিনজনই খুব প্রভাব রেখেছে এবং (ব্যাটসম্যানের মনে) প্রশ্ন জাগিয়ে সুযোগ তৈরি করেছে। এটি দেখা সত্যিই আনন্দদায়ক ছিল।”

নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় যেন নেমেছেন পেসাররা, সেখানে আলাদা একটা জায়গায় আছেন ইবাদত হোসেন। গত বছরের শুরুতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ছিলেন ছিলেন। এরপর থেকে যখনই যে সংস্করণে সুযোগ পেয়েছেন নিজের সামর্থ্যের ছাপ রেখেছেন গতিময় এই পেসার।

প্রায় বছরখানেক ধরে ইবাদতের সঙ্গে কাজ করা ডোনাল্ডও ২৯ বছর বয়সী ইবাদতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

“ঠিক ১২ মাস আগে জোহানসবার্গে আমাদের দেখা হওয়ার পর থেকে তো সে (ইবাদত) তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সে ক্রমাগত মুগ্ধ করে চলেছে। আপনি যদি বলেন তার একটি জায়গায় উন্নতি করা প্রয়োজন, আমি এখনও সেটি খুঁজছি।”

পেসার হান্ট থেকে উঠে আসা ইবাদতের বোলিংয়ের গতি নজর কেড়েছে ডোনাল্ডের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ইবাদতের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪৯.৬ কিমি। সেদিন গড়ে ১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টার আশপাশে গতিবেগে বোলিং করেন তিনি।

“ইবাদতের ব্যাপারে যা ভালো লাগে যে, সে সবসময় ম্যাচে থাকে। চার-ছয় হজম করলেও ব্যাপার নয়। প্রতি ম্যাচেই উইকেটের তালিকায় তার নাম থাকবে। সে এমন একজন বোলার, যেখানে গতি বড় প্রভাবক হতে পারে সেখানে ১৪৫ থেকে ১৪৮ কিমি প্রতি ঘণ্টায় বোলিংয়ের জন্য প্রস্তুত। সেদিনও সে এটি করে দেখিয়েছে।”

“সে দুর্দান্ত অ্যাথলেট। তার সঙ্গে কাজ করা আনন্দের। অসাধারণ প্রতিভা। একটি ফাস্ট বোলিং প্রতিযোগিতা (পেসার হান্ট) জিতে সে এখন আজকের জায়গায়। সে ধারাবাহিকভাবেই তিন সংস্করণে খেলতে পারে।”

শুধু ইবাদত নয়, দলের সব পেসারদের নিয়ে কাজ করার প্রক্রিয়া সম্পর্কেও ধারণা দিলেন ডোনাল্ড।

“সবার সঙ্গে আমরা ছোট ছোট বিষয় নিয়ে কাজ করছি। অন্য কিছুর চেয়ে ট্যাকটিক্যাল বিষয় নিয়েই বেশি। তিন সংস্করণেই আমরা প্রতিবার ম্যাচে ব্যবহার করার বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করি। গ্রুপ হিসেবে আমরা এভাবে কাজ করি।”

“যখন এই (পেস বোলিং) গ্রুপের সঙ্গে আমার দেখা হয়, আমি এসেই প্রশ্ন শুরু করে দিই না। আগে বসে তাদের কথা শুনি তারপর প্রশ্ন করি। ওদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে জিজ্ঞেস করি, তাদের খেলা এখন কোথায় আছে এবং আমার থেকে কী চায়।”

পেসারদের মনোজগতে পরিবর্তন আনার প্রক্রিয়া সবিস্তরে জানান দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি।

“আমার মনে হয়েছে এই গ্রুপের আরও ভালো করা প্রয়োজন। তারপর আমরা তাদের ওপর থেকে ব্যর্থতা ও হতাশার ভয় দূর করে দিলাম, লড়াই করার চেয়ে ফল নিয়ে ভাবতে বারণ করলাম… এই পর্যায়ে আপনি যদি ভাবেন যে পরের ম্যাচে সুযোগ পাবেন কি না, তাহলে আপনার কোনো জায়গা নেই। এই চিন্তাটা দূর করতে হয়েছে আমাদের।”

“এরপর আমার কাজ ছিল মানসিকতায় মনোযোগ দেওয়া। এক পর্যায়ে মানসিকতাই সব কিছু। অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী হতে হবে। এই বিষয়ে পেস বোলিং গ্রুপের আস্থার জায়গায় যেতে ৪-৫ মাস সময় লাগে আমার। বার্তাটা পরিষ্কার ছিল, ভুল করা নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না। আমিও ভুল করেছি এবং ভুল করা একদম ঠিক আছে। আমার মনে হয়, তারা এটি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ায় আমরা এখন উন্নতিটা দেখতে পাচ্ছি। আমরা প্রতিপক্ষের সঙ্গে সঠিক জায়গায় লড়াই করতে পারছি।”

কোচ হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করলেও, দিন শেষে মূল কাজ যে পেসারদের সেই কথাও মনে করিয়ে দেন ডোনাল্ড।

“আমি শুধুমাত্র একটা পরিকল্পনা দিতে পারি। তাদের যদি এটি পছন্দ না হয়, তাহলে এর শেষটা ভালো হবে না। ভালো লাগার বিষয় হলো, এই গ্রুপের মধ্যে দারুণভাবেই সেই বিশ্বাসটা আছে।”

“এই গ্রুপকে আরও বড় করার জন্য আরও কয়েক তরুণকে যোগ করা ভালো হবে। যাতে আমরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে পারি এবং দেখতে পারি আমাদের কাছে কী আছে। দলের মধ্যে একটা বন্ধনের বিষয় আছে। কোনো দিন যদি ইবাদত ভালো না করে, তাহলে তাসকিন আছে করে দেওয়ার জন্য। এই মানসিকতা দেখাটা দারুণ। তারা যেভাবে একে অন্যের জন্য দাঁড়িয়ে যায়, এর দারুণ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।”

খেলাধুলা

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) থেকে স্নাতকোত্তর (এমবিএ) সম্পন্ন করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ খবর দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই খেলোয়াড়।

এর আগে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাকিব আল হাসানের গ্র্যাজুয়েট হওয়ার খবর প্রায় সবারই জানা। গত ২০ মার্চ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) ২১তম সমাবর্তনে অংশ নেন সাকিব আল হাসান। তবে ক্রিকেটের ব্যস্ততার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ।

মঙ্গলবার তিনি এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে এবং আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় সবসময় ক্লাসে অংশ নেয়ার চেষ্টা করেছি। নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট করেছি এবং পরীক্ষার হলে বসেছি।’

২০০৭ সালে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াটা কঠিন ছিল তার জন্য।

মাহমুদুল্লাহ লিখেছেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা কঠিন। তবে এআইইউবি থেকে আমি আমার পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন (এমবিএ) শেষ করেছি।

দুর্ভাগ্যবশত ক্রিকেট ম্যাচ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারিনি। আমার সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ এবং এআইইউবিকে ধন্যবাদ।’

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে অংশ নিয়ে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘আমার খেলোয়াড়ি জীবনের অনেক বছর হলো। আগে আম্মা যখন ফোন করতেন, জিজ্ঞেস করতেন যে পড়াশোনার কী অবস্থা। আজকে আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত এই কারণে যে, অবশেষে আমার একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। খেলার মাঠে হয়তো বেশি অর্জন করেছি, তবে এটা সবসময়ের স্বপ্ন ছিল।’

খেলাধুলা

আঘাতের কারণে প্রথম ওয়ানডেতে খেলতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাকে পাওয়া নিয়ে আশাবাদী ছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু এই ম্যাচেও মিরাজকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

চোখের উন্নতি হলেও খেলার মতো অবস্থায় নেই তিনি। এখনো চোখে খানিকটা রক্ত জমে রয়েছে। যে কারণে চোখে সানগ্লাস পড়ে থাকতে হচ্ছে মিরাজকে। ফলে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাকে পাওয়া নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।

শুক্রবার সকালে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সময় আঘাত পেয়েছিলেন মিরাজ। গা গরমের জন্য ফুটবল খেলতে গিয়ে মুখে বল লাগে তার। চোট গুরুতর হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

মূলত পেসার হাসান মাহমুদের একটি কিক হঠাৎ করে এসে লাগে মিরাজের মুখে। এর পর মুখে হাত দিয়ে মাঠেই বসে পড়েন এই অলরাউন্ডার। ফিজিও বাইজিদুল ইসলাম এসে কিছুক্ষণ দেখাশোনা করেন, পরে মিরাজকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

সোমবার সিলেটে বিকাল ৩টায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

খেলাধুলা

বড় দলকে বাংলাদেশ প্রথম হারাল, এমন নয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ হারানোর সুখস্মৃতি এখনও খুব একটা দূরের গল্প নয়।

কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়টা আলাদা। তাদের সঙ্গে প্রথম বলে তো অবশ্যই— একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে খেলার ধরন, মানসিকতা, উইকেট সবকিছু মিলিয়েই।

সপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন বিকেল তিনটায় খেলা, তবুও গ্যালারি ছিল ভর্তি। তাদের গর্জনের সুরেও বোধ হয় ‘ভালো দল’ দেখার সেই সাক্ষী। মিরপুরে সন্ধ্যে নামার আগে জ্বলে উঠা মোবাইলের ফ্লাশলাইটে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে বদলে যাওয়ার শুরু হলো কি না, উঠবে এখন এই আলোচনাও।

অনেকদিন ধরে হতাশার টি-টোয়েন্টি দল বিশ্বকাপের পর খেলতে নেমেছিল প্রথমবার। একাদশ, স্কোয়াডেও বদলও এসেছিল বেশ কিছু। ‘পারফরমারদের’ নিয়ে গড়া ‘সাকিব আল হাসানের দল’ দেখিয়েছে নতুন আশার আলো, দিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার বার্তাও।

রোববার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ আগেই প্রথমটিতে জেতা স্বাগতিকদের জন্য নিশ্চিত হয়েছে সিরিজও। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড পায় ১১৭ রানের সংগ্রহ। ৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।

টস হেরে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। সফরকারীদের স্কোরকার্ডে তখন জমা হয়েছে ১৬ রান, ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। তাকে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে ডিপ থার্ড ম্যানে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দেন ডেভিড মালান। ৮ বল খেলে এই ব্যাটার করেন ৫ রান। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা মঈন আলীকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ফিল সল্ট। ইংলিশদের চাপে ফেলতে তাসকিনকে দিয়ে টানা তিন ওভার করান সাকিব। উইকেটের দেখা না পেলেও ওই ওভারগুলোতে ১৯ রান দেন এই পেসার।

সপ্তম ওভারে নিজেই বোলিংয়ে এসে সল্টকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের ফ্লাইটেড ডেলেভারিতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বসেন ইংলিশ ওপেনার। সাকিব দারুণ ক্যাচ নিলে ১৯ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সল্ট।

এরপর দারুণ এক ইয়র্কারে জস বাটলারের স্টাম্প ভাঙেন হাসান। ৪ রানে বাটলার ফিরে গেলে মেহেদী হাসান মিরাজকে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে শামীম পাটোয়ারির তালুবন্দি হন মঈন। ৫৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।

এরপর স্যাম কারানের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন বেন ডাকেট। তাদের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ১৬ বলে ১২ রান করা কারান হয়েছেন স্টাম্পিং। এক বল পরেই ক্রিস ওকসকেও শূন্য রানে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।

এই স্পিনার ৪ ওভারে কেবল ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। কম খরুচে ছিলেন বাংলাদেশের প্রায় সব বোলারই। তাসকিন আহমেদ নিজের ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন, এক উইকেট নিতে সাকিব ৩ ওভারে দেন ১৩ রান। ১ উইকেট নেওয়া হাসান মাহমুদ ২ ওভারে ১০ রান দেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।

অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের দরকার ছিল কেবল উইকেটে টিকে থাকা। মাঝেমধ্যে বড় টার্ন নিচ্ছিল বল, পিচও ছিল কিছুটা স্লো; কিন্তু মিরপুরের এই উইকেটে কীভাবে খেলতে হয় বাংলাদেশের ব্যাটারদেরই তা সবচেয়ে ভালো জানা। শুরুটা অবশ্য ছিল কিছুটা হতাশার।

রান খরায় ভুগতে থাকা লিটন দাস এদিনও আউট হন হতাশাজনকভাবে। ৯ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার স্যাম কারানের বলে পুল করতে যান। ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ফিল সল্টে হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৬ রানে এসে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রনি তালুকদারও পারেননি নিজের ইনিংস লম্বা করতে।

১৪ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার ক্যাচ তুলে দেন মঈন আলীর হাতে, জফরা আর্চারের বলে। তাওহীদ হৃদয় ব্যাটিংয়ে এসে দারুণ দুটি শট খেলেন। কিন্তু এই ব্যাটারও পারেননি ইনিংস টেনে নিতে। ২ চারে ১৮ বলে ১৭ রান করে পয়েন্টে দাঁড়ানো ওকসের হাতে তিনি ক্যাচ দেন রেহান আহমেদের বলে।

বাকিরা যখন পথ ধরছেন সাজঘরে, ফর্মে থাকা শান্ত তখন একাই টেনেছেন দলকে। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন কেউই তাকে দিতে পারেননি যোগ্য সঙ্গ। এক পর্যায়ে এসে ভয়ই ধরেছিল বাংলাদেশের। এর মাঝে অবশ্য মিরাজের ১৬ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান কিছুটা চাপ কমায়। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আফিফ হোসেন ধ্রুব যখন ফেরেন, তখনও বাংলাদেশের ১৩ বলে দরকার ১৩ রান।

শান্ত ফিরলেই বাংলাদেশের জন্য ছিল হারের বড় শঙ্কা। কিন্তু ক্রিস জর্ডানের করা ১৯তম ওভারে প্রতি আক্রমণে যান তাসকিন আহমেদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ওভারে দুজন মিলে হাঁকান তিন বাউন্ডারি, শান্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৩ চারে ৪৬ রান করে। জর্ডানের পঞ্চম বলে তাসকিনের চারে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো মিরপুর।

নাজমুল হোসেন শান্ত জড়িয়ে ধরেন ক্রিজে থাকা আরেক ব্যাটার তাসকিন আহমেদকে। শান্ত চিৎকার করে এমন কিছুই বলতে চাইলেন কি না, ‘আমরা এসেছি নতুনের বার্তা নিয়ে’ এটুকু অবশ্য নিশ্চিত হওয়া গেল না।

খেলাধুলা

প্রথমে বোলার ও পরে ব্যাটারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো স্বাগতিক বাংলাদেশ।

আজ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। এই জয়ে  ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সাকিবের দল। টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় সাক্ষাৎতেই জয় তুলে নিলো টাইগাররা।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ২ ওভার বাকী রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে দলকে দারুন সূচনা এনে দেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও অধিনায়ক জশ বাটলার। ১০ ওভারে ৮০ রান তুলেন তারা। এই জুটি ৪৪ রানেই থামতে পারতো। নাসুম আহমেদ ও সাকিবের ক্যাচ মিসে সেটি আর হয়নি।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে সল্টের ক্যাচ ছাড়েন বোলার নাসুম নিজেই। তখন ২০ রানে ছিলেন সল্ট। একই  ওভারের চতুর্থ বলে মিড অনে বাটলারের ক্যাচ হাতে নিতে পারেননি সাকিব।  এ সময় ১৯ রানে ছিলেন ইংল্যান্ড দলপতি।

১০তম ওভারের শেষ বলে নাসুমের বলেই ভাঙ্গে ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ৩৫ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৮ রান  করে  ফিরেন সল্ট।

১২তম ওভারে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বারের মত উইকেট শিকারের আনন্দে মাতান সাকিব। তিন নম্বরে নামা ডেভিড মালানকে ৪ রানে থামিয়ে দেন সাকিব। ৮ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

তৃতীয় উইকেটে বেন ডাকেটকে নিয়ে জুটি বাঁধেন বাটলার। ১৩তম ওভারে পঞ্চম বলে পেসার হাসান মাহমুদকে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ২০তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ডাকেটকে বোল্ড করেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ৩টি চারে ১৩ বলে ২০ রান করেন ২০ রান করেন ডাকেট।

পরের ওভারের প্রথম বলে বাটলারকে আউট করেন হাসান। লং-অনে দারুন ক্যাচ নেন শান্ত। ৪টি করে চার-ছক্কায় ৪২ বলে ৬৭ রান করেন বাটলার। বাটলারকে ফেরানোর ওভারে মাত্র ১ রান দেন হাসান। ১৯তম ওভারে লং-অনে শান্তর ক্যাচে স্যাম কারানকে ৬ রানে আটকে দেন হাসান। শেষ ওভারের প্রথম বলে ক্রিস ওকসকে ১ রানে বোল্ড করেন তাসকিন। একই  ওভারের তৃতীয় বলে চার মেরে ২৪ বল পর ইংল্যান্ডকে বাউন্ডারির স্বাদ দেন ক্রিস জর্ডান।

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ স্কোর পায় ইংল্যান্ড। মঈন আলি ৮ ও জর্ডান ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হাসান ২৬ রানে ২টি, নাসুম-সাকিব-তাসকিন ও মুস্তাফিজুর ১টি করে উইকেট নেন।

১৫৭ রানের টার্গেটে শুরু থেকেই ইংল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হন বাংলাদেশের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও লিটন দাস। ৩ ওভারে ৩২ রান তুলে ফেলেন তারা। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে স্পিনার আদিল রশিদের গুগলিতে বোকা বনে বোল্ড হন ৮ বছর পর দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা রনি। ৪টি চারে ১৪ বলে ২১ রান করেন রনি।

পরের ওভারে পেসার জোফরা আর্চারের বলে পুল করতে গিয়ে মিড অফে ওকসকে ক্যাচ দেন লিটন। ২টি চারে ১০ রান করেন তিনি।

পঞ্চম ওভারে দলীয়  ৪৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায়  বাংলাদেশ। এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন শান্ত ও অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা তৌহিদ হৃদয়। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে হৃদয়ের দু’টি চারে ১০ রান পায় বাংলাদেশ। ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর  ২ উইকেটে ৫৪ রান।

উডের করা সপ্তম ওভারে শান্তর ৪টি চারে ১৭ রান পায় বাংলাদেশ। জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরির পর ১১তম ওভারে দলের রান ১শতে নেন শান্ত ও হৃদয়। ১২তম ওভারে ২৭ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। এরপর শান্ত-হৃদয়ের জমে যাওয়া জুটি ভাঙ্গেন স্পিনার মঈন। ছক্কা মারতে গিয়ে কারানকে ক্যাচ দিয়ে থামেন ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৭ বলে ২৪ রান করা  হৃদয়। তৃতীয় উইকেটে ৩৯ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন শান্ত-হৃদয়।

১৩তম ওভারে দলীয় ১১২ রানে শান্তকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে খেলায় ফেরান উড। ৮টি চারে ৩০ বলে ৫১ রান করেন শান্ত।

শান্ত যখন ফিরেন তখন জিততে ৪৬ বলে ৪৫ রান দরকার পড়ে বাংলাদেশের। পঞ্চম উইকেটে আফিফ হোসেনকে নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন সাকিব। ইংল্যান্ডের বোলারদের বিপক্ষে মারমুখী মেজাজে ব্যাট চালিয়েছেন তিনি। ৩৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রান তুলে ২ ওভার বাকী রেখেই বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক জয় উপহার দেন সাকিব ও আফিফ।

৬টি চারে ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন সাকিব। ২টি চারে ১৩ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ।
আগামী ১২ মার্চ মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।

স্কোর কার্ড :

ইংল্যান্ড ব্যাটিং ইনিংস :
ফিল সল্ট ক লিটন ব নাসুম ৩৮
জশ বাটলার ক নাজমুল ব হাসান ৬৭
ডেভিড মালান ক নাজমুল ব সাকিব ৪
বেন ডাকেট বোল্ড ব মুস্তাফিজুর ২০
মঈন অপরাজিত ৯
কারান ক নাজমুল ব হাসান ৬
ওকস বোল্ড ব তাসকিন ১
জর্ডান অপরাজিত ৫
অতিরিক্ত (বা-২, লে বা-২, ও-৩) ৭
মোট (৬ উইকেট, ২০ ওভার) ১৫৬
উইকেট পতন : ১/৮০ (সল্ট), ২/৮৮ (মালান), ৩/১৩৫ (ডাকেট), ৪/১৩৫ (বাটলার), ৫/১৪৬ (কারান), ৬/১৪৭ (ওকস)।
বাংলাদেশ বোলিং :
নাসুম : ৪-০-৩১-১,
তাসকিন : ৪-০-৩৫-১,
মুস্তাফিজুর : ৪-০-৩৪-১ (নো-৩),
সাকিব : ৪-০-২৬-১,
হাসান : ৪-০-২৬-২।
বাংলাদেশ ব্যাটিং ইনিংস :
লিটন দাস ক ওকস ব আর্চার ১২
রনি তালুকদার বোল্ড ব রশিদ ২১
নাজমুল হোসেন শান্ত বোল্ড ব উড ৫১
তৌহিদ হৃদয় ক কারান ব মঈন ২৪
সাকিব আল হাসান অপরাজিত ৩৪
আফিফ হোসেন অপরাজিত ১৫
অতিরিক্ত (ও-১) ১
মোট (৪ উইকেট, ১৮ ওভার) ১৫৪
উইকেট পতন : ১/৩৩ (রনি), ২/৪৩ (লিটন), ৩/১০৮ (হৃদয়), ৪/১১২ (শান্ত)।
ইংল্যান্ড বোলিং :
কারান : ২-০-১৮-৪,
ওকস : ২-০-২১-০ (ও-১),
আর্চার : ৩-০-২৭-১,
রশিদ : ৩-০-২৫-১,
রশিদ : ২-০-২৪-১,
মঈন : ৪-০-২৭-১,
জর্ডান : ২-০-১৬-০।
ফল : বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

খেলাধুলা

সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল বাংলাদেশ। ৫০ রানের এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ এ ভাগ বসাল টাইগাররা।

হারলে হোয়াইটওয়াশ। জিতলে সিরিজে ভাগ বসানোর সুযোগ। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে সাকিব (৭৫), মুশফিকুর রহিম (৭০), নাজমুল হোসেন শান্তর (৫৩) ফিফটিতে ভর করে ৪৮.৫ ওভারে ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। বিনা উইকেটে ৫৪ রান করা দলটি এরপর মাত্র ১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। জেমস ভিন্স ও স্যাম কারান চতুর্থ উইকেটে ৮১ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪৩.১ ওভারে ১৯৬ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে টাইগাররা।

বাংলাদেশের জয়ে ব্যাট হাতে ৭১ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৫ রান সংগ্রহের পাশাপাশি বল হাতে ১০ ওভারে মাত্র ৩৫ রানে সবচেয়ে বেশি ৪ উইকেট শিকার করেন সাকিব। এদিন ৪ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাকিব ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেটের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেন।

সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় খেলায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২.৬ ওভারে দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় টাইগাররা।

মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে খেলায় ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যান তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দারুণ ব্যাটিং করেন তারা। ১২৮ বলে গড়েন ৯৮ রানের পার্টনারশিপ।

৭১ বলে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৩ রান করে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৯৩ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭০ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

শান্ত-মুশফিকের বিদায়ের পর রীতিমতো আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৮), আফিফ হোসেন (১৫), মেহেদি হাসান মিরাজ (৫) ও তাইজুল ইসলামরা (২)।

তবে ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রাখেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সাকিব দলকে সম্মানজনক স্কোর উপহার দিতে শেষদিকে একাই লড়াই চালিয়ে যান। ৪৮.৪ ওভারে দলীয় ২৪৬ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন সাকিব। তার আগে ৭১ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৫ রান করেন।

সাকিব আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেই এলবিডব্লিউ হন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বিদায়ে ৪৮.৫ ওভারে ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ডের হয়ে জোফরা আর্চার তিন আর স্যাম কারান ও আদিল রশিদ দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

২৪৭ রানের টার্গেট তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান করা দলটি এরপর মাত্র ১ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট।

সাকিব আল হাসানের বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন ফিল সল্ট। ৮.৬ ওভারে দলীয় ৫৪ রানে আউট হন সল্ট। তার আগে ২৫ বলে ৩৫ রান করেন তিনি।

সাকিবের পর ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানেন পেসার এবাদত হোসেন। তার শিকার হয়ে ফেরেন ডেভিড মালান। ২ বল খেলে রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মালান।

নিজের ঠিক পরের তথা তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই সাকিব ফেরান ইংল্যান্ডের আরেক ওপেনার জেসন রয়কে। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রয়। তার আগে ৩৩ বলে তিন চারে করেন ১৯ রান।

এরপর অনবদ্য ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন স্যাম কারান ও জেমস ভিন্স। তারা ৮১ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান মেহেদি হাসান মিরাজ।

মিরাজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৪৯ বলে এক চার আর এক ছক্কার সাহায্যে ২৩ রান করেন স্যাম কারান। তার বিদায়ে ২৩.৪ ওভারে ১০৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

সাকিবের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে পরাস্ত জেমস ভিন্স। ২৬.৫ ওভারে দলীয় ১২৭ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি সাজঘরে ফেরেন। তার আগে ৪৪ বলে ৩৮ রান করেন।

ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিল সল্ট, জেসন রয়ের পর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা জেমস ভিন্সকেও সাজঘরে ফেরান সাকিব।

সাকিবের পর ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানেন এবাদত হোসেন। তার ফুললেংথের বল বুঝতেই পারেননি মঈন আলী। তিনি ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন, মিস করে হয়েছেন বোল্ড। তার বিদায়ে ২৭.৫ ওভারে ১৩০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলারকে এলবিডব্লিউ করার মধ্য দিয়ে সাজঘরে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৩৪.১ ওভারে ১৫৮ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন বাটলার।

ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারের পর আদিল রশিদকেও সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম। ৩৮.৪ ওভারে ১৭৪ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন রশিদ।

রেহান আহমেদকে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরানোর মধ্য দিয়ে সাকিব ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। আর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিস ওকসকে আউট করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন মোস্তাফিজুর রহমান।

খেলাধুলা

ডেভিড মালানের কাছেই হার টাইগারদের। ইনিংসের শুরু থেকে একের পর এক উইকেট শিকার করে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন তাইজুল, সাকিব, তাসকিনরা।

কিন্তু উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া ডেভিড মালানের মনসংযোগ ক্রিকেট থেকে ফেরানো যায়নি। তিনি দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ত্রাতার ভূমিকা পালন করেন।

ঠাণ্ডা মাথায় ভালো লেন্থের বলগুলো দেখেশুনে মোকাবেলা করার পাশাপাশি খারাপ বলগুলো বাউন্ডারিতে পরিণত করার মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মালান। তার অনবদ্য সেঞ্চুরিতেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয় দিয়ে শুরু করে ইংল্যান্ড।

ক্যারিয়ারের ১৬তম ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন মালান। গত ১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেঞ্চুরি করেন মালান। সেই ম্যাচে জস বাটলার ও মালানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২-১ ম্যাচে সিরিজ নিশ্চিত করে ইংলিশরা। সেই সেঞ্চুরির পর আজ খেলতে নেমে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকালেন ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১০ রানের টার্গেট তাড়ায় মালান একাই করেন ১১৪ রান। তার ইনিংসটি ১৪৫ বলে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কায় সাজানো।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে যায় টাইগাররা। যে কারণে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ।

৪৭.২ ওভারে ২০৯ রানেই অলআউট হয় তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৮২ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে এ রান করেন। এছাড়া ৪৮ বলে ৩১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩২ বলে ২৩ রান করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ১২ বলে ৮ রানে ফেরেন সাকিব।

খেলাধুলা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের ভরসার একজন মোস্তাফিজুর রহমান। ঘরের মাঠে বরাবরই অপ্রতিরোধ্য বাঁহাতি এই কাটার মাস্টার।

বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর ঠিক আগের দিন মঙ্গলবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার মইন আলী।

তিনি বলেন, আমরা জানি বাংলাদেশের খুব ভালো একটি বোলিং আক্রমণ রয়েছে। বিশেষ করে এ ধরনের কন্ডিশনে মোস্তাফিজুর রহমান খুব ভালো বোলার এবং (ইংল্যান্ডের জন্য) বড় হুমকি। সে খুব স্কিলফুল ও খুব ভালো বোলার।

মোস্তাফিজ ছাড়াও বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে যাচ্ছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করছেন হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেনরা। আর স্পিনে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজরাও।

বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে মইন আলী বলেন, আমরা চেষ্টা করব মোস্তাফিজের বিপক্ষে যত ভালো খেলা যায়। যেমনটা অন্যদের ক্ষেত্রেও চেষ্টা করি আমরা। আমরা জানি সে কী করে এবং তার কী স্কিল আছে। তবে আমরা সবাইকে খেলার ব্যাপারেই প্রস্তুতি নেব, শুধু তার জন্য নয়।

ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ দল। নয় বছরের মধ্যে মাত্র একটি ওয়ানডে সিরিজে হেরেছে টাইগাররা।

বাংলাদেশ দল প্রসঙ্গে ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার মইন আলী বলেন, ভয় পাওয়ার তো আসলে কিছু নেই। আমরা জানি বাংলাদেশ ভালো দল। ব্যাটিংয়ের কথা বললে তাদের কিছু ভালো ব্যাটসম্যান আছে। লিটন দাস, তামিম ইকবাল খুব ভালো ক্রিকেটার। বোলিংও খুব ভালো। তো কাউকে ভয় পাওয়ার কিছু নয় আসলে। এখানে বিষয়টা হলো নিজেদের খেলায় থাকা ও যতটা সম্ভব ভালো করা।

খেলাধুলা

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুণ খেলছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের এই সংস্করণেই বাড়তি প্রত্যাশা টাইগারদের।

অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের খেলার সম্ভাবনা দেখছেন ভারতীয় কিংবদন্তি সৌরভ গাঙ্গুলী।

বৃহস্পতিবার সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসে সংবাদ মাধ্যমকে সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে আমার প্রত্যাশা অনেক। কোয়ার্টারফাইনাল, সেমিফাইনাল পর্যন্ত আশা করি। একটু যদি ভাগ্য থাকে আর ভালো ফর্ম থাকে। বিশেষ করে স্পিনার ও ফাস্ট বোলারদের যদি ভালো ফর্ম থাকে তাহলে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল পর্যন্তও যেতে পারে।

ওয়ানডে ফরম্যাটে ধারাবাহিক পারফর্ম করলেও টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারছেন টাইগাররা। তাইতে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে টাইগারদের ভালো করার কৌশল বাতলে দিলেন ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক সৌরভ।

তিনি বলেন, টি-টোয়েন্টিতে একটু ভালো করতে হবে, একটু পাওয়ার হিটিং ক্রিকেট খেলা দরকার। পাওয়ার হিটিং মানে হেভি হিটিং, যেমন হার্দিক পান্ডিয়া, রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব বা ইংল্যান্ডের জস বাটলার, অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলর মতো পাওয়ার হিটিং খেলতে হবে।
পাওয়ার হিটিং ক্রিকেট খেলতে হলে যে প্রতিভা দরকার সেই প্রতিভা বাংলাদেশ রয়েছে। এমনটি জানিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রতিভা আছে কিন্তু পাওয়ার হিটিংটা একটু দরকার। আশা করি এখন যে কোচ হয়ে এসেছেন, চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তিনি এই বিষয়টি দেখবেন।