আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ব্যাটে-বলের নৈপুণ্যে ১০ উইকেটের রেকর্ড জয় পেল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে উইকেটের দিক থেকে এটাই টাইগারদের সবচেয়ে বড় জয়।
এর আগে ২০০৬ সালে খুলনায় কেনিয়ার বিপক্ষে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
তবে রানের দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ১৮৩ রানের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রেকর্ড ৩৩৮ রান করে ১৮৩ রানের জয়ের নজির গড়ে টাইগাররা।
বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন তারকা পেসার হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেনের গতির মুখে পড়ে ২৮.১ ওভারে মাত্র ১০১ রানেই অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশ দলের হয়ে হাসান মাহমুদ ৮.১ ওভারে ৩২ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন। ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৬ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেট নেন পেসার এবাদত হোসেন।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাসের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ১৩.১ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের জয়ে ৩৮ বলে ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ রান পূর্ণ করেন লিটন।
৪১ বলে ৫টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৪১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তামিম-লিটনের ৭৯ বলের ১০২ রানের অনবদ্য জুটির কল্যাণে ২২১ বল হাতে রেখেই ১০ উইকেটের রেকর্ড জয় পায় টাইগাররা। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৩৮ রান করে ১৮৩ রানের রেকর্ড জয় পায় তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি। দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের ৬০ বলের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে আগের ম্যাচের রেকর্ড ভেঙে ৩৪৯ রান করে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয়।
বৃহস্পতিবার আইরিশদের ১০১ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ১৩.১ ওভারে ১০ উইকেটের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ।
ম্যাচ সেরা হাসান, সিরিজ সেরা মুশফিক
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানেই জেতার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের।
কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৪৯ রানের রেকর্ড গড়ার পর বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় ইনিংস মাঠে গড়ায়নি। যে কারণে সেই ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। তাই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় টাইগাররা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিজের অভিষেক ম্যাচেই ৮৫ বলে ৮টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৯২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন তরুণ ওপেনার তাওহিদ হৃদয়।
দ্বিতীয় ম্যাচে ৬০ বলে ১০০ রানের ঝড়ো সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। কিন্তু বৃষ্টিতে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ হারায় জয়ের সুযোগ, মুশফিক হারান সিরিজ জয়ের সুযোগ।
বৃহস্পতিবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন পেস বোলার হাসান মাহমুদ। তিনি ৮.১ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৮ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন। হাসান, তাসকিন আর এবাদতের গতির মুখে পড়ে ২৮.১ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।
১০২ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ১০ উইকেটের রেকর্ড জয় নিশ্চিত করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। দলের জয়ে বল হাতে অবদান রেখে ম্যাচ সেরা হন হাসান মাহমুদ। সিরিজে দুই ম্যাচ ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৪ রান করে সিরিজ সেরা হন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সিরিজে সর্বোচ্চ ১৪৬ রান করেন ওপেনার লিটন দাস।