খেলাধুলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকা সফররত ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ সাক্ষাৎ করেন তিনি।

পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরে (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত মেয়র কাপ উদ্বোধন করতে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশে এসেছেন ‘প্রিন্স অব কলকাতা’ খ্যাত কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার। এদিন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। তবে সকালেই ঢাকায় নামার কথা ছিল তার। কিন্তু ফ্লাইট জটিলতায় অনেকটা দেরিতেই এসে পৌঁছান তিনি।

সৌরভ গাঙ্গুলিকে এই মেয়র কাপের শুভেচ্ছাদূত করা হয়েছে।

আগামী মাসে (মার্চ) শুরু হবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র কাপ। এই টুর্নামেন্টে ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল ক্যাটাগরিতে ডিএনসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের খেলোয়াড়রা অংশ নেবেন।

খেলাধুলা

পুরনো দায়িত্বে নতুন করে ফিরলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সোমবার রাতে ঢাকায় এসেই মঙ্গলবার মাঠে নেমে যান শ্রীলংকান এই কোচ।

মঙ্গলবার সকালে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, মাঠ, উইকেট পরিদর্শন করেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ।

এদিন মিরপুরে ঐচ্ছিক অনুশীলন শেষে জাতীয় দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান বলেন, হাথুরুসিংহে আজ সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। আমার কাছে মনে হয় ভবিষ্যতে ভালো কিছুই হবে। অধিকাংশ খেলোয়াড় ওনার পরিচিত। তাই সবকিছু ভালোই হবে, ইনশাআল্লাহ।

জাতীয় দলের হয়ে ৪৬টি টি-টোয়েন্টি, ৯টি টেস্ট আর ৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলা সোহান আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে উনি হোমওয়ার্ক করেই এসেছেন। যে জিনিসটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালোই হবে। হাথুরুসিংহে ফেরায় আগের চেয়ে আরো ভালো কিছু আশা করছি, এটাই হওয়া উচিত। ৩-৪ বছর আগে বাংলাদেশ যে জায়গাটায় ছিল, আমার কাছে মনে হচ্ছে, আস্তে আস্তে এগোচ্ছে।

২৯ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার আরও বলেন, আমাদের এখন অনেক পারফরমার আছে, যারা তার সময় অনেকে নতুন ছিল, এখন অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে, এ অভিজ্ঞতা আছে। আমার কাছে মনে হয়, দলগতভাবে, আলাদা আলাদাভাবেও অনেক জায়গায় উন্নতি করার জায়গা আছে। সে জিনিসটা আস্তে আস্তে করছে। আমার কাছে মনে হয়, উনি ফেরায় ফল আগের চেয়ে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

খেলাধুলা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের পর্দা নামছে আজ বৃহস্পতিবার। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।

সিলেট এই প্রথম বিপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে। সিলেটকে ফাইনালে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন দলটির অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

মাশরাফি সফল ক্রিকেটার এবং সফল অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে একের পর এক ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি একাধিক সিরিজে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

জাতীয় দলের মতো বিপিএলেও সফল মাশরাফি। বিপিএলের প্রথম দুই আসরে ঢাকা গ্যালাডিয়েটর্সের নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা উপহার দেন মাশরাফি। এরপর রংপুর ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে একবার করে শিরোপা উপহার দেন তিনি।

এবার দায়িত্ব নিয়েছেন সিলেটের। তার ক্যারিশমায় আসরের অন্যতম সেরা শক্তিশালী দল রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনালে উন্নীত হয় সিলেট।

ফাইনালে মাশরাফি যেমন অতীতে চারবার খেলে হারেননি ঠিক তেমনি বিপিএলের রেকর্ড তিনবারের শিরোপাজয়ী কুমিল্লাও হার দেখেনি।

কুমিল্লা ২০১৫ সালে বরিশাল বুলস, ২০১৯ সালে ঢাকা ডায়নামাইটস ও ২০২২ সালে ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে তৃতীয়বার শিরোপা জিতে নেয়।

বৃহস্পতিবারের ফাইনালে এই সমীকরণ আর থাকছে না।

হয় মাশরাফিকে হার দেখতে হবে, না হয় বিপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে পরাজয় মেনে নিতে হবে।

এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বর্তমান অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বুধবার মিরপুরে বলেন, সিলেট ভালো ক্রিকেট খেলছে, আমরাও ভালো ক্রিকেট খেলেছি। কারণ আমরা প্রথম তিনটা ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি এটা অবশ্যই আমাদের খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিতে হবে। সবাই খুব পরিশ্রম করেছে এবং সবাই চেয়েছে যে আমরা ফাইনাল খেলব।

কুমিল্লার অধিনায়ক আরও বলেন, ফাইনালে আসতে পেরেছি। আশা করি আমরা একইভাবেই শিরোপার লড়াই করব। শুধু ফাইনাল হিসেবে নয়, কালকে আমরা একটা ম্যাচের মতো পরিকল্পনা করেই খেলবে। যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি ইনশাআল্লাহ ভালো ফলাফল আসবে।

প্রতিপক্ষ হিসেবে সিলেটকে নিয়ে কুমিল্লার অধিনায়ক বলেন, তারা যেভাবে টুর্নামেন্টটা শুরু করেছিল এবং ফাইনালে এসেছে। এটা তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। বিশেষ করে তাদের যারা স্থানীয় ক্রিকেটার আছে তারা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমরা তাদের দুটি ম্যাচে হারিয়েছে। সিলেট অবশ্যই শক্তিশালী দল। আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে তাহলেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব।

ফাইনালের আগের দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের বোলিং শক্তি নিয়ে ইমরুল বলেন, আমাদের দল তো সেটআপ হয়ে গেছে। আগে ব্যাটিং করি বা পরে ব্যাটিং করি এটা নিয়ে আমাদের ম্যাটার করে না। কারণ আমরা কাকে কখন বোলিং করাব এটা ম্যাটার করে।

তিনি আরও বলেন, শিশির থাকলে শুরুতে যে বোলিং করবে বা শেষে যে ফিল্ডিং করবে… এই জিনিসটা আসলে পুরোটা আমাদের ওপর নির্ভর করে। দুই দলেরই বোলিং শক্তিশালী বলে আমি মনে করি। দুই দলের বোলিং শক্তিশালী না হলে তো ফাইনাল খেলতে পারত না। এ সিদ্ধান্তটা আসলে মাঠেই হয়। এখানে বলা কঠিন।

খেলাধুলা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সিলেটকে হারিয়ে ফাইনালে উন্নিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

এনিয়ে চতুর্থবার টি-টোয়েন্টির এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের দুয়ারে কুমিল্লা। অতীতে তিনবার ফাইনালে হারেনি কুমিল্লা। চতুর্থবারের মতো শিরোপা নিশ্চিত করতে চান ইমরুল কায়েসরা।

কুমিল্লার বিপক্ষে সিলেট হেরে গেলেও সমস্যা নেই মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দলটির। তাদের সামনে আরও একটি সুযোগ থাকছে।

রোববার এলিমিনেটর ম্যাচে বরিশালকে বিদায় করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ওঠা রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে মঙ্গলবার সিলেট জয় পেলে ১৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার সঙ্গে ফাইনালে খেলতে পারবে।

রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মুখোমুখি হয় কুমিল্লা বনাম সিলেট সিক্সার্স। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি।

তৃতীয় উইকেটে ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে করেন ৫৬ রানের জুটি। এরপর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়। ৭২ রানে ৩ উইকেট হারানো সিলেট, পরের ৫৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭.১ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয়।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২০ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে কুমিল্লা। দলের জয়ে ১৮ বলে তিন চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সুনীল নারিন।

এছাড়া ২৭ বলে ২৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক। ১৩ বলে ২১ রান করেন মঈন আলী। ১০ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন আন্দ্রে রাসেল।

খেলাধুলা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএলে) নবম আসরে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবারের আসরে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্বে থাকা সিলেটের ফ্রাঞ্চাইজিটি প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থানে রয়েছে।

দলে তেমন বড় নাম না থাকলেও ব্যাটে-বলে দারুণ সময় পার করছেন তৌহিদ হৃদয়-রেজাউর রহমান রেজারা। তবে এসবকে ছাপিয়ে দলটির বড় নাম মাশরাফীর নেতৃত্বের জন্যই জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে তারা। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ককে নিয়ে দুঃসংবাদ পেল সিলেট সমর্থকরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গত ৩০ জানুয়ারি খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচে বল করার সময় কুঁচকির চোটে পড়েছিলেন মাশরাফী। দল প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলায় রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে গত শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দলের পরবর্তী ম্যাচে মাঠে নামেননি ম্যাশ। তার অনুপস্থিতিতে দলের অধিনায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম।

তাই মাশরাফির সবশেষ অবস্থা জানতে বেশ আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের সমর্থকরা। তবে খারাপ খবর হচ্ছে, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও মাঠে নামতে পারবেন না নড়াইল এক্সপ্রেস। এমনকি কোয়ালিফায়ার ম্যাচে খেলা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে মাশরাফীর।সিলেট স্ট্রাইকার্সের কোচ রাজিন সালেহ গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা জানিয়েছেন। মাশরাফির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মাশরাফী আগামী ম্যাচেও খেলতে পারবে না।’

রাজিন সালেহ বলেন, ‌‘কোয়ালিফায়ারে খেলবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। মাশরাফি বলছে গ্রোয়েনে ভালোই লেগেছে। তার বর্তমান অবস্থা সে নিজেই বুঝতেছে। এছাড়া ফিজিও জানিয়েছে যে ১০ থেকে ১২ দিন লাগে এমন ইনজুরি সারতে। চোট যেহেতু লেগেছিল আরও কয়েকদিন আগে। দেখা যাক কোয়ালিফায়ারে কি হয়।’

এবারের বিপিএলে মাশরাফীর হাত ধরে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। লিগে ১১ ম্যাচে ৮ জয় ও ৩ পরাজয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে সিলেট। প্লে-অফ নিশ্চিত হলেও সেরা দুইয়ে থাকা এখনও নিশ্চিত নয় দলটির। ফলে মাশরাফীকে ছাড়া সিলেট কেমন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

খেলাধুলা

জীবনের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম জেতা হলো না সানিয়া মির্জার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মিশ্র দ্বৈত ফাইনালে হেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন সানিয়া। নিজে তো কাঁদলেনই, অনুরাগীদেরও কাঁদালেন। ২০০৯ সালে ভারতীয় টেনিসকন্যা সানিয়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মিশ্র দ্বৈতের খেতাব জিতেছিলেন।

খেলোয়াড়ি জীবনের সাঁঝবেলায় দাঁড়িয়ে চেয়েছিলেন সপ্তম গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব জিততে। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। ফাইনালে রোহন বোপান্নাকে নিয়ে ব্রাজিলের স্টেফানি-মাতোস জুটির কাছে হারলেন। সানিয়া বলেন, ‘আমি কাঁদছি। এটা আসলে আনন্দাশ্রু। চোখের এই জল দুঃখের নয়। চাইলে আরও গোটাদুয়েক আসরে খেলতে পারতাম।

২০০৫-এ মেলবোর্ন থেকেই টেনিস-যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন আমার বয়স ১৮। সেরেনা উইলিয়ামসের সঙ্গে খেলেছিলাম। গ্র্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ার শেষ করার জন্য এরচেয়ে ভালো জায়গা আমার কাছে নেই।’ ফাইনালে পাশে স্বামী শোয়েব মালিক ছিলেন না।

তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলছেন। চার বছরের ছেলে ইজহান মির্জা মালিক মাকে ফাইনালে সারাক্ষণ উৎসাহিত করেছে। ম্যাচের পর সানিয়া বলেন, ‘আমার পরিবারের সবাই এখানে রয়েছে। কখনো ভাবিনি ছেলের সামনে গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল খেলতে পারব। সেটাও হলো।’

খেলাধুলা

দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এর আগে ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তার অধীনে স্মরণীয় কিছু সাফল্য পায় বাংলাদেশ। যে কারণে তাকে ফের দায়িত্ব দেয় বিসিবি।

মঙ্গলবার বিকালে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিপিএলের নবম আসরের ম্যাচে মুখোমুখি হয় ঢাকা ডমিনেটর্স-ফরচুন বরিশাল। এদিন বরিশালকে হারিয়ে প্লে-অফের সম্ভাবনা টিকে রাখে ঢাকা। খেলা শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব।

জাতীয় দলের নতুন কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহের ফেরা নিয়ে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন- ‘নো কমেন্টস।’

সাকিব এর আগেও হাথুরুসিংহের সঙ্গে কাজ করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? জানতে চাইলে এই তারকা অলরাউন্ডার মুখ দিয়ে উচ্চারণ করেন দুটি শব্দ- ‘ঠিক আছে।’

এর আগে হাথুরুসিংহে যখন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ছিলেন তখন সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার বনিবনা নিয়ে গুঞ্জন ছিল।

খেলাধুলা

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে নিজেদের তিন ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলংকা ও যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে সুপার সিক্সে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।

শনিবার সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরে বিপদে পড়ে যায় দিশা বিশ্বাসের নেতৃত্বাধীন দলটি।

এদিন প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল ছয় উইকেটে ১০৬ রান করে।

টার্গেট তাড়ায় ৩৩ রানে চার উইকেট হারানোর পরও সাত বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই হারে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ বেশ জটিল হয়ে গেল।

২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের পরের ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১০৬/৬ রান (সুমাইয়া আক্তার ২৪, আফিয়া প্রত্যাশা ২১, স্বর্ণা আক্তার ২০; কায়লা রেইনেকে ৪/১৯)।

দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৮.৫ ওভারে ১০৮/৫ রান (ম্যাডিসন ল্যান্ডসমান ৩৭, কারাবো মেসো ৩২* ও সিমন লরেন্স ২৬; রাবেয়া খান ৩/১৮)।

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল ৫ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা : ম্যাডিসন ল্যান্ডসমান (দক্ষিণ আফ্রিকা)।

খেলাধুলা

ইফতেখার আহমেদ ফর্মের তুঙ্গে থাকলেন, করলেন হাফ সেঞ্চুরি। রান এলো সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটেও।

তাতে ঢাকার সামনে বেশ বড় লক্ষ্যই দিয়েছিল বরিশাল। ওই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বড় রান আসেনি টপ-অর্ডারদের ব্যাটে। কিন্তু এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ও নাসির হোসেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। কিন্তু শেষ অবধি পায়নি জয়ের দেখা।

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটরসকে ১৩ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে বরিশাল। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারায় ঢাকা। বরিশালের টানা পাঁচ জয়ের বিপরীতে সমান হার ঢাকার।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। ১৭ রানের ভেতরই তারা হারিয়ে ফেলে দুই ওপেনার সাইফ হাসান (১০) ও এনামুল হক বিজয়কে (৬)। দ্রুত বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ (১৭) এবং চতুরাঙ্গা ডি সিলভাও (১০)। ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তাই বিপদে পড়ে বরিশাল।

কিন্তু সাকিবের ব্যাটিং দেখে তা মনেই হয়নি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বোলারদের এসেই তুলোধুনো করতে থাকেন বরিশাল অধিনায়ক। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহককে অবশ্য বেশি ভয়ঙ্কর হতে দেয়নি ঢাকা। মুক্তার আলীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করা সাকিব।

তবে পরে বরিশালের আর কোনো উইকেটই নিতে পারলো না ঢাকা। পঞ্চম উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে চাপের মুখ থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইফতেখার আহমেদ। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট যদিও সেভাবে কথা বলেনি। তবে ৩৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রান করেন ইফতেখার। অপরপ্রান্তে ৩১ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় কেবল ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

তবে ইফতেখারের সঙ্গে তার অবিচ্ছিন ৮৪ রানের জুটি দলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন নাসির হোসেন। একটি করে পকেটে পুড়েন সালমান ইরশাদ, আরাফাত সানি ও মুক্তার।

বরিশালকে জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল ঢাকার। উদ্বোধনী জুটিতে সৌম্য সরকার ও উসমান গণি মিলে যোগ করেন ৪৬ রান। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৯ বলে ৩০ রান করে করিম জানাতের বলে উসমান ফিরলে এই জুটি ভেঙে যায়। অফ ফর্ম কাটাতে পারেননি সৌম্যও।

১ চার ও ছক্কায় ১৫ বলে ১৬ রান করে চতুরঙ্গা ডি সিলভার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। ৮ বলে ৩ রান করে রান আউট হন মোহাম্মদ ইমরানও। ১৩ রানের ভেতর তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ঢাকা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় মোহাম্মদ মিথুন ও নাসির হোসেনের ব্যাটে।

তাদের ৮৯ রানের জুটি ভাঙে মোহাম্মদ মোহাম্মদ মিথুন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত গেলে। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ বলে ৪৭ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের শিকার হন তিনি। এরপর নাসির হোসেন শেষ অবধি অপরাজিত থাকলেও দলকে জেতাতে পারেননি। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

খেলাধুলা

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সংগ্রহ নাগালের মধ্যে রেখে জয়ের মঞ্চ সাজান বোলাররা। রান তাড়ায় তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের বড় জুটির ওপর দাঁড়িয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাকি কাজ সারলেন ইয়াসির আলি। দারুণ জয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করল খুলনা টাইগার্স।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা। ১৫৮ রানের লক্ষ্য ৪ বল আগে ছুঁয়ে ফেলেন তারা।

বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে এই সংস্করণে ক্যারিয়ারে ৪০০ উইকেট পূরণ করেন খুলনার পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। পরে ব্যাটিংয়ে ৪০ রানের ইনিংস খেলার পথে ৭ হাজারি ক্লাবে পা রাখেন তামিম ইকবাল।

তাদের ছাপিয়ে খুলনার জয়ের নায়ক মাহমুদুল হাসান জয়। ২০ ওভারের ক্রিকেটে চতুর্থ ফিফটিতে ৪৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৫ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ইনিংসে তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

শেষ দিকে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৬ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক ইয়াসির।

টানা তিন পরাজয়ে আসর শুরু করা খুলনা জিতল পরপর দুই ম্যাচ। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চারে উঠে এসেছে তারা। ৬ ম্যাচে চট্টগ্রামের চতুর্থ হার এটি।