খেলাধুলা

বিশ্বকাপে ভারতকে কখনোই হারাতে পারেনি পাকিস্তান। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলে সর্বশেষ ১২ বারের মুখোমুখিতে প্রতিবারই জয় পেয়েছে ভারত। তাইতো এবার বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান শপথ করে নেমেছিল, তারা এবার কোহলিদের হারাবেই। শেষ পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলো পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।

তাই বলে এত বিশাল ব্যবধানে শক্তিশালী ভারতকে হারাবে যে তা কে ভেবেছিল! ১০ উইকেটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। বিরাট কোহলি এন্ড কোং’কে লজ্জায় ডুবিয়ে জয় তুলে নিলো পাক বাহিনী।

ভারতের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দলটির দুই ওপেনার অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় বোলারদের শাসন করে ১৩ বল ও সবকটি উইকেট হাতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা।

৫৫ বলে সর্বোচ্চ ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান। তার ম্যাচজয়ী এ ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। অপরপ্রান্তে, বাবর আজম ৫২ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তার উইলো থেকে এসেছে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার মার। তাতেই ১৭.৫ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

এর আগে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে উভয় দলেরই এটি প্রথম ম্যাচ। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে টিম ইন্ডিয়া। দলীয় ৬ রানের মাথায় রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল আউট হয়ে যান। দু’জনই শাহিন আফ্রিদির শিকার।

এরপর একা লড়ে যান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তার ৫৭ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ভারত। কোহলিকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন রিশাব পান্ট। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ বলে ৩৯ রান।

পাকিস্তানকে ১৫২ রানের টার্গেট দিলো ভারত

পাক বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেছেন শাহিন আফ্রিদি। এছাড়া হাসান আলি ২টি এবং শাদাব খান ও হারিস রউফ নেন একটি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন শাহিন আফ্রিদি।

খেলাধুলা

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের শুরুটা হলো দুর্দান্ত। প্রথমে বল করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট করে ইওন মরগানের দল। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল লেগস্পিনার আদিল রশিদ। তিনি ২.২ ওভারে মাত্র ২ রান খরচায় নিয়েছেন ৪টি উইকেট। এছাড়া মইন আলি ও টাইমাল মিলস নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। পরে ৪ উইকেট হারালেও ৫০ বল খেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ড। বাটলার ২৪ ও মরগ্যান ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৯ সালের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবমিলিয়ে তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ এটি। এ তালিকায় প্রথম দুইটি নামই নেদারল্যান্ডসের। তারা ২০১৪ সালে অলআউট হয় ৩৯ রানে আর এবারের আসরে থেমেছে ৪৪ রানে।

খেলাধুলা

শনিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ বা মূল পর্ব। তবে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ পরদিন রবিবার। সেই উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে টাইগাররা।

শুক্রবার ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে বিমানে করে আমিরাতের দুবাইয়ে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে নির্ধারিত বাসে করে ম্যাচের ভৈন্যু শারজায় যাচ্ছেন তারা।

রবিবার (২৪ অক্টোবর) বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। তার আগে ওমানে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ খেলেছে লাল-সবুজ বাহিনী। প্রথম ম্যাচ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জয় পেয়েছে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। ফলে রানার্সআপ হয়ে মূল পর্বে পৌঁছালো বাংলাদেশ।

সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের অন্য প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

খেলাধুলা

সুপার টুয়েলভে প্রতিটি দল পাঁচটি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। টাইগারদের প্রথম ম্যাচটি ২৪ অক্টোবর প্রথম রাউন্ডের গ্রুপ ‘এ’ চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় ম্যাচটি শুরু হবে।

গ্রুপ ১: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

গ্রুপ ২: ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড।

তারিখ ম্যাচ ভেন্যু সময়

২৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া-দ.আফ্রিকা আবুধাবি বিকাল ৪টা

২৩ অক্টোবর ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুবাই রাত ৮টা

২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা শারজাহ বিকাল ৪টা

২৪ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান দুবাই রাত ৮টা

২৫ অক্টোবর আফগানিস্তান-স্কটল্যান্ড শারজাহ রাত ৮টা

২৬ অক্টোবর দ.আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুবাই বিকাল ৪টা

২৬ অক্টোবর পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড শারজাহ রাত ৮টা

২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড আবুধাবি বিকাল ৪টা

২৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড আবুধাবি রাত ৮টা

২৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা দুবাই রাত ৮টা

২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ শারজাহ বিকাল ৪টা

২৯ অক্টোবর আফগানিস্তান-পাকিস্তান দুবাই রাত ৮টা

৩০ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা শারজাহ বিকাল ৪টা

৩০ অক্টোবর ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া দুবাই রাত ৮টা

৩১ অক্টোবর আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ড আবুধাবি বিকাল ৪টা

৩১ অক্টোবর ভারত-নিউজিল্যান্ড দুবাই রাত ৮টা

১ নভেম্বর ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা শারজাহ রাত ৮টা

২ নভেম্বর বাংলাদেশ-দ.আফ্রিকা আবুধাবি বিকাল ৪টা

২ নভেম্বর পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড আবুধাবি রাত ৮টা

৩ নভেম্বর নিউজিল্যান্ড-স্কটল্যান্ড দুবাই বিকাল ৪টা

৩ নভেম্বর ভারত-পাকিস্তান আবুধাবি রাত ৮টা

৪ নভেম্বর বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দুবাই বিকাল ৪টা

৪ নভেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কা আবুধাবি রাত ৮টা

৫ নভেম্বর নিউজিল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড শারজাহ বিকাল ৪টা

৫ নভেম্বর ভারত-স্কটল্যান্ড দুবাই রাত ৮টা

৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবুধাবি বিকাল ৪টা

৬ নভেম্বর ইংল্যান্ড-দ.আফ্রিকা শারজাহ রাত ৮টা

৭ নভেম্বর নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান আবুধাবি বিকাল ৪টা

৭ নভেম্বর পাকিস্তান-স্কটল্যান্ড শারজাহ রাত ৮টা

৮ নভেম্বর ভারত-আয়ারল্যান্ড দুবাই রাত ৮টা

খেলাধুলা

মালদ্বীপে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচ দলের লিগ পর্বে আজ শেষ দিন। দুই ম্যাচ হবে। শ্রীলঙ্কার বিদায়ের পর এখন লড়াইয়ে টিকে আছে বাংলাদেশ-নেপাল এবং ভারত-মালদ্বীপ। দ্বীপ দেশে সাফের এই দুই ম্যাচ নিয়ে টানটান উত্তেজনা। ঢাকায় বসেও বাংলাদেশের ফুটবল দর্শক মালদ্বীপের উত্তাপ টের পাচ্ছেন। সাফের ফাইনাল শনিবার। আজ যে দুই দল জিতবে তারাই ফাইনালে খেলবে। শনিবারের টিকিটের আশায় চার দলের সামনেই আজকের দুই ম্যাচ সেমিফাইনালের মতো হলেও উত্তাপটা ফাইনাল ছুঁয়েছে।

দিনের প্রথম ম্যাচে বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ-নেপাল মাঠে নামবে। নেপালের প্রয়োজন ড্র। আর বাংলাদেশকে জিততেই হবে। বাংলাদেশের জন্য সুবিধা হচ্ছে আজ স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বাংলার লালসবুজ পতাকা হাতে দর্শক গগণবিদারী আওয়াজ তুলবে। জামাল ভুঁইয়াদের প্রেরণা দেবে। আর নেপালের দর্শক খুব একটা পাওয়া যাবে না। তবে রাতে যেহেতু ভারতের বিপক্ষে মালদ্বীপের খেলা। তাই মালদ্বীপের দর্শকও হুমড়ি খেয়ে পড়বে। স্টেডিয়ামে ভরে উঠবে সেটা নিশ্চিত। এমন উত্তাপের ফুটবল লড়াইয়ের দিনে বাংলাদেশ জয় ছাড়া অন্য কোনো ভাবনার বিকল্প নেই।

নেপাল ড্র করলে চলবে কিন্তু নেপাল সেকথা মাথায় রাখছে না। কারণ ড্র করার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামলে শেষ পর্যন্ত ফল উলটো হয়, সেই উদাহরণ বহুবার দেখা গেছে অতীত ফুটবল মাঠে। আর বাংলাদেশ আজকের মতো পরিস্থিতিতে আগেও বহুবার পড়েছে কিন্তু উতরে যাওয়ার নজীর কম। এমন দেখা গেছে ড্র করলে চলবে। সেই ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেও উলটো ২-১ গোলে হেরেছিল। নেপালের বিপক্ষে শেষ বারটি সাফের আটটিতে বাংলাদেশের রেজাল্ট সুখকর নয়।

২০০৫ সালে পাকিস্তানে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ২-০ গোলে নেপালকে হারিয়েছিল। সেই ম্যাচে রোকনুজ্জামান কাঞ্চনের জোড়া গোল জয় এনে দিয়েছিল। এর পরের সাফের আসরে বাংলাদেশের হারের গল্প লম্বা হয়েছে। ২০১১ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত সাফে নেপালের কাছে হেরেছে, ২০১৩ সালে কাঠমান্ডুতে দশরথের মাঠে সাফে নেপালের কাছে ২-০ গোলে বাংলাদেশ হেরেছে, ২০১৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফে বাংলাদেশ আবার ২-০ গোলে হারে। এবছরই গত মার্চে কাঠমান্ডুতে তিনজাতি টুর্নামেন্ট ফাইনালে নেপালের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে। এসব ইতিহাস ছাপিয়ে বাংলাদেশকে অন্যন্য উচ্চতায় উঠে আসতে হবে। সেই লড়াইয়ে কতটুকু পারবে তা সন্ধ্যায় জেনে যাবে বাংলাদেশের ফুটবল অনুরাগীরা।

পয়েন্ট টেবিল

দল খেলা জয় ড্র পরা গোল পয়েন্ট

মালদ্বীপ ৩ ২ ০ ১ ৩/১ ৬

নেপাল ৩ ২ ০ ১ ৪/৩ ৬

ভারত ৩ ১ ২ ০ ২/১ ৫

বাংলাদেশ ৩ ১ ১ ১ ২/৩ ৪

শ্রীলঙ্কা ৪ ০ ১ ৩ ২/৫ ১

আজকের খেলা

বাংলাদেশ ও নেপাল এবং মালদ্বীপ ও ভারত।

খেলাধুলা

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম অভিমুখে জন স্রোত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাজমুল হাসান পাপনের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার নিয়ে হাজারো মানুষ মিছিল যোগে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন। স্টেডিয়াম জুড়ে পাপনসহ বিসিবির নির্বাচিত পরিচালকদের অভিনন্দন জানিয়ে টানানো হয়েছে পোস্টার। ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন থেকে ফুলের তোড়া হাতে হাজির হয়েছিলেন অনেকে।

দুপুর আড়াইটার দিকে এসে মূল গেট থেকে বিসিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করতে অন্তত মিনিট দশেক সময় লেগেছিল পাপনের। লোকের ভিড়, মিছিল ঠেলে যেতেই পারছিলেন না তিনি। সেই ধাক্কা কাটিয়ে নিজের কার্যালয়ে উঠার পরও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন পাপন। ফুলের মালার হিড়িক নাকি তিনি নিজেই একটা সময় থামিয়ে দিয়েছিলেন।

নবনির্বাচিত পরিচালকদের নিয়ে প্রথম সভায়ও সবার সমর্থন, স্তুতিতে ভিজেছেন পাপন। আ. জ. ম. নাসিরই প্রথম পরিচালক হিসেবে গতকাল আগামী চার বছরের জন্য সভাপতি হিসেবে পাপনের নাম প্রস্তাব করেন। এনায়েত হোসেন সিরাজ, গাজী গোলাম মুর্তজা পাপ্পা সমর্থন করেন তাকে। পরে বাকি পরিচালকরাও সমর্থন জানান এই প্রস্তাবে। সর্বসম্মতিক্রমে টানা তৃতীয়বার বিসিবির নির্বাচিত সভাপতি হন পাপন।

প্রথম সভার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বোর্ড সভাপতি। দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে নতুন মেয়াদে তিনটি লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন পাপন। প্রথম কাজ হিসেবে এসব লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চান তিনি। যার মধ্যে সবার আগে পূর্বাচলে ‘দ্য বোট’ খ্যাত শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শেষ করতে চান। পরে গঠনতন্ত্রে কিছু সংশোধনের কাজ ও আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার পূর্ণাঙ্গ কাঠামো বাস্তবায়নই অগ্রাধিকার পাবে।

সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেছেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হলো শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। এটা আমাদের যতদ্রুত সম্ভব চালু করতে হবে। কারণ আমরা যে আইসিসি ইভেন্টে আবেদন করেছি সেখানে আমাদের এ স্টেডিয়াম দেখানো আছে। এটা ছাড়া কিন্তু আমরা ওই টুর্নামেন্ট পাব না। এটা নাম্বার ওয়ান, টপ প্রায়োরিটি।’

গঠনতন্ত্রে কিছু সংশোধন আনতে চান পাপন। পরের বোর্ড সভায় সংশোধনের সম্ভাব্য প্রস্তাব নিয়ে আসতে হবে পরিচালকদের। ইঙ্গিত মিলেছে ক্যাটাগরি-৩ থাকা শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়, সার্ভিসেস সংস্থার ভোট কমিয়ে আনা হতে পারে।

নাজমুল হাসান পাপনের তিন লক্ষ্য:

১. শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ

২. গঠনতন্ত্র সংশোধন

৩. আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠন

পাপন বলেছেন, ‘গঠনতন্ত্র, পরিচালকদের বলেছি সংবিধানে কোথায় কি পরিবর্তন আনা যায় তা বলতে বলেছি। পরের বোর্ড মিটিংয়ে তারা পরিবর্তনের মতামত উপস্থাপন করবে।’

আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনের মাধ্যমে সারা দেশে ক্রিকেটের অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন পাপন। তিনি বলেছেন, ‘আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থা তৈরি। এটার সঙ্গেই কাঠামোগত উন্নয়নের কথা এসেছে। ক্রিকেট একাডেমি ইতিমধ্যে এক জায়গায় হয়েছে আরেক জায়গায় হচ্ছে। আর কোথায় কোথায় হবে এটা নিয়ে প্রস্তাব করেছি। আর বয়স ভিত্তিকের জন্য নির্ধারিত একাডেমি হবে।’

ব্যাটসম্যান, পেসার, স্পিনারদের জন্য একাডেমি হবে। দেশি-বিদেশি কোচ থাকবে একাডেমিগুলোতে। সারা বছর খেলা পরিচালনা করার জন্য ৮-১০টা মাঠও তৈরি করবে বিসিবি।

খেলাধুলা

আইপিএলের সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্বে অবহেলিত ছিলেন সাকিব। একাদশে সুযোগই দেওয়া হচ্ছিল না তাকে।

অবশেষে সুযোগ পেলেন। দেখালেন নিজের ভেলকি। দ্বিতীয় ভাগে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেললেন মোস্তাফিজের দল রাজস্থান রয়ালসের বিপক্ষে।

১ ওভার বল করে দিলেন মাত্র ১ রান। উইকেটও নিলেন ১টি। তার এমন দুর্দান্ত বোলিং ম্যাচ পার্থক্য গড়ে দেয়। মোস্তাফিজের রাজস্থানকে বিধ্বস্ত করে প্লে-অফ নিশ্চিত করল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

৮৬ রানের বিশাল জয় পেয়েছে সাকিবের কলকাতা।

শারজায় নিজেদের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে  টস জিতে কেকেআরকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ রাজস্থান রয়্যালস।

কেকেআর ব্যাটাররা মোস্তাফিজদের তুলোধোনো করে ৪ উইকেটে ১৭১ রান তোলে।  ওপেনার শুভমান গিল করেন ৫৬ রান। ভেঙ্কটেশ আয়ার ৩৮ ও রাহুল তেওয়াতিয়া করেন ২১ রান।মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে দেন ৩১ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬.১ ওভার টিকে ৮৫ রানে অলআউট হয়ে গেছে রাজস্থান। দলটির পক্ষে মাত্র দুজন দুই অংকের ঘরে পৌঁছুতে পেরেছেন। মিডল অর্ডারে রাহুল তেওয়াতিয়া ৩৬ বলে খেলে করেছেন ৪৪ রান। ১৮ রান করেন শিভাম দুবে।

শুরুতেই সাকিবের তোপের মুখে পড়ে রাজস্থান। দলটির ওপেনার জসস্বি জশওয়াল ওভারের তৃতীয় বলেই সাকিবের বলে সরাসরি বোল্ড হন। শূন্য রানে ফেরেন।

এররপর শিভাম মাভি এবং লকি ফার্গুসনের অসাধারণ বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান। শিভাম মাভি নেন ৪ উইকেট এবং লকি ফার্গুসন নেন ৩ উইকেট। বরুন চক্রবর্তী নেন ১ উইকেট।

এ জয়ের পর ১৪ ম্যাচে কেকেআরের পয়েন্ট এখন ১৪। প্লে-অফ প্রায় নিশ্চিত। শুক্রবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেলবে রোহিত শর্মার মুম্বাই। বড় ব্যবধানে জিতে কেকেআরের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে থাকবে সাকিবের কলকাতা ।

খেলাধুলা

লিওনেল মেসিকে কেন ধরে রাখতে পারেনি বার্সেলোনা তা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস।

রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজে প্রভাবিত হয়েই বার্সা সভাপতি লাপোর্তা মেসিকে দলে রাখতে পারেননি বলে দাবি করেছেন তেবাস।

তেবাসের মতে, ১৪০ কোটি ইউরো দেনার দায়ে ডুবতে বসা বার্সার সভাপতি সের্হিও আগুয়েরো ও মেম্ফিস ডিপাইকে দলে না টানায় মেসিকে ধরে রাখতে পারেননি।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন সব বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে লাপোর্তার সঙ্গে ফোনে কি কথা হয়েছিল জানান লা লিগা সভাপতি।

বলেন, আমার মতে, তারা মেসিকে ধরে রাখতে পারত। মেম্ফিস ও আগুয়েরোদের মতো খেলোয়াড়দের সই করান লাপোর্তা …এসব খেলোয়াড়কে সই না করালে তারা মেসিকে রাখতে পারত।’

উল্লেখ্য, গত আগস্টে বার্সা সভাপতি লাপোর্তা জানিয়েছিলেন, সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনার্সের (সিসিভি) কাছে লা লিগার ১০ শতাংশ ব্যবসা বিক্রির প্রস্তাবে রাজি হলে মেসিকে ধরে রাখা সম্ভব হতো।

এই চুক্তিতে রাজি না হওয়া নিয়ে তখন বার্সার সঙ্গে বিরোধ চলছিল লা লিগা সভাপতির।

তেবাসের দাবি, ওই চুক্তি করতে রাজি ছিলেন লাপোর্তা। রিয়াল সভাপতির প্ররোচনায় পড়ে চুক্তি করা থেকে পিছিয়ে গেছেন লাপোর্তা।

তেবাস বলেন, ‘লাপোর্তার বাসায় রাতের খাবার খেয়েছি। তখন তিনি সিভিসি চুক্তিতে রাজি ছিলেন। পরে লাপোর্তা আমাকে ফোন করে জানতে চান —“সিভিসি চুক্তি দ্রুত করা সম্ভব? ছেলেটা (মেসি) ভরসা পাচ্ছে না।” তাকে তখন বলি, এই (সিভিসি) বিষয়টি জনসমক্ষে আসলে ফ্লোরেন্তিনো তা বানচাল করার চেষ্টা করবে। লাপোর্তা তখন বললেন, না, সমস্যা নেই, আমি দৃঢ় থাকব। আসলে কোনো সন্দেহ নেই, এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন ফ্লোরেন্তিনো।’

রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ বার্সা সভাপতিকে ফুসলিয়ে ওই চুক্তি করা থেকে বিরত রাখেন বলে দাবি তেবাসের।

প্রসঙ্গত, লা লিগার ১৭টি ক্লাব সিসিভির চুক্তিতে রাজি হয়ে বেশ কিছু অর্থ পেয়েছে। এর বিনিময়ে লা লিগার আয় (টিভি স্বত্বসহ) থেকে ১০ শতাংশ করে অর্থ আগামী ৫০ বছর নেবে সিভিসি। তবে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও অ্যাথলেটিক বিলবাও সিভিসি চুক্তিতে রাজি হয়নি। যে কারণে এই তিন ক্লাবের আয়ে হাত দিতে পারবে না প্রতিষ্ঠানটি।

তবে এতে আর্থিক দৈন্যতা কাটেনি বার্সার। বার্সার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষের পর ফ্রি এজেন্ট হয়ে পড়েন মেসি। লা লিগার বেঁধে দেওয়া বেতনসীমার মধ্যে থেকে মেসির চুক্তি নবায়ন করা সম্ভব হয়নি বার্সার পক্ষে। এরপর পিএসজিদের যোগ দেন মেসি।

খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আগামীকাল রবিবার (৩ অক্টোবর) রাতে ওমানের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আইপিএলে অংশ নেওয়ায় সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান ৯ অক্টোবর দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।

আইপিএলে অংশ নেওয়ায় আগে থেকেই আরব আমিরাত অবস্থান করছেন সাকিব-মুস্তাফিজ। আইপিএলে এখন চলছে প্লে-অফে ওঠার লড়াই। রাজস্থান-কলকাতা টিকে আছে প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে।

প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে দুই দলের সামনে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। দুই দলেরই রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচ ৭ অক্টোবর। প্লে-অফের খেলা শেষ হবে ১৩ অক্টোবর। ফাইনাল ১৫ অক্টোবর।

সাকিব ও মুস্তাফিজের দল শেষ চারে উঠলেও তাদের খেলা হবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সূত্র জানিয়েছে লিগ পর্বের খেলা শেষে দুজন যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। সূত্রটি জানায়, ‘সাকিব-মোস্তাফিজ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ৯ অক্টোবর। ৮ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের অনাপত্তিপত্র দেওয়া আছে। তাদের দুজনেরই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।’

রবিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ওমানের বিমান ধরবেন মাহমুদউল্লাহরা। পরের দিন ওমানে পৌঁছে একদিনের রুম কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে অনুশীলন। চারদিন টানা অনুশীলনের পর ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ দল যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সাকিব ও মুস্তাফিজ।

একদিনের রুম কোয়ারেন্টাইনের পর ১১ অক্টোবর দল নামবে অনুশীলনে। এরপর ১২ ও ১৪ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলা।

খেলাধুলা

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে দেশের মাটিতে হচ্ছে না কোন প্রস্তুতি ক্যাম্প। তাই দেশের বাইরেই হবে ওই আসরের প্রস্তুতি। তাই ১৩ দিন আগেই বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়বেন টাইগাররা।

২ অক্টোবর করোনা পরীক্ষা করে ৩ অক্টোবর রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ওমানের মাস্কাটের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ছুটিতে থাকা কোচিং স্টাফ নিজ নিজ দেশ থেকে ৩ অক্টোবর ওমানে এসে যোগ দেবেন দলের সঙ্গে।

ক্রিকেটাররা মাস্কাট পৌঁছে ৪ অক্টোবর একদিনের রুম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। এরপর জৈব সুরক্ষা বলয়ে ৫, ৬ ও ৭ অক্টোবর আল-আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে চলবে দলের অনুশীলন। ৮ তারিখ স্থানীয় একটি দলের বিপক্ষে অনুশীলন ম্যাচ খেলার কথা আছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচের পর ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলতে ৯ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে। একদিনের কোয়ারেন্টিনের পর ১১ তারিখ হবে অনুশীলন। ১২ তারিখ আবুধাবির ওভাল-২ গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।

এরপর একদিন বিরতি দিয়ে ১৪ অক্টোবর আবুধাবির ওভাল-১ গ্রাউন্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। এই দুই ম্যাচ খেলে ১৫ তারিখ ওমানে ফিরে যাবে দল। একদিন পর সেখানেই শুরু বিশ্বকাপ।

১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে গ্রুপ ‘বি’ তে থাকা বাংলাদেশ। ১৯ অক্টোবর একই সময়ে প্রতিপক্ষ ওমান। ২১ অক্টোবর বিকেল ৪টায় পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

ওমানে বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব উতড়াতে পারলে ফের আরব আমিরাতে ফিরবে টিম মাহমুদউল্লাহ। সেখানে বিশ্বকাপের মূলপর্ব বা সুপার টুয়েলভে অংশ নিবেন তারা। প্রথম পর্বের পরীক্ষায় পাশ করলে দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের জায়গা হবে গ্রুপ ‘২’ তে। সেখানে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও বাছাইপর্বের ‘এ’ গ্রুপ থেকে আসা একটি দল।