খেলাধুলা

সাকিব আল হাসানের পর মোস্তাফিজুর রহমানকেও আইপিএলে খেলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।

এর আগে সাকিবের আইপিএলে খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার জন্য শ্রীলঙ্কা সফর থেকে সাকিবের ছুটি চাওয়া নিয়ে অমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার টেস্ট খেলতে চান কি চান না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এ নিয়ে পরে মুখ খুলে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন সাকিব।

তবে বিসিবি আগেই শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ছুটির পাশাপাশি আইপিএল খেলার অনাপত্তিপত্রও দিয়েছিল সাকিবকে। একই সময়ে বিসিবি প্রধান জানিয়েছিলেন যে, ছাড়পত্র চাইলে অনুমোদন পাবেন মোস্তাফিজও। কিন্তু সাকিবের ছুটি চাওয়ার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাঁহাতি পেসার জানিয়েছিলেন যে শ্রীলঙ্কা সফরের দলে নির্বাচিত হলে তিনি আইপিএলে যাবেন না।

সব সংশয়ে জল ঢেলে দিয়ে শনিবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, ‘মোস্তাফিজকেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ’ অর্থাৎ শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় দুই টেস্টের সিরিজে দলে থাকছেন না ফিজ। ওই সময় তিনি আইপিএল খেলবেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে।

এদিকে শনিবার সকালে আইপিএল খেলতে ভারতে গেছেন সাকিব। কয়েক বছর সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলে এ বছর আবার যোগ দিয়েছেন পুরনো দলে। আর মোস্তাফিজ প্রথমবারের মতো রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলবেন। এর আগে তিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন।

খেলাধুলা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার ঢাকায় এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দুপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক, বর্তমান সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

এছাড়া দুই তারকা নারী ক্রিকেটার সালমা খাতুন, জাহানারা আলম, অভিনেত্রী জয়া আহসানসহ অনেকে মোদির সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হন।

খেলাধুলা

ক্রিকেটে তিন ফরম্যাটের মাঝে ওয়ানডেতেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সফল। দেশের মাটিতে বেশ প্রতিষ্ঠিত শক্তিও বটে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে এ দলটাই বড্ড বেশি ছন্নছাড়া, নখদন্তহীন। নিউজিল্যান্ড সফরে আবারও তা প্রমাণ হলো।

ব্যাটিংয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া, হতশ্রী ফিল্ডিং সিরিজ জুড়ে বয়ে বেড়ালো বাংলাদেশ। ক্যাচ মিস, মিস ফিল্ডিং, রান আউটের সুযোগ নষ্ট করে প্রতি ম্যাচেই নিজেদের উপর চাপ বাড়িয়েছিল তামিম ইকবালের দল। ওয়েলিংটনেও ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বহাল ছিল। নিউজিল্যান্ডের কাছে তৃতীয় ম্যাচে ১৬৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ৩-০ তে সিরিজ হারের পর ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম বলেছেন, বিদেশে ধারাবাহিক নয় বাংলাদেশ দল। দেশের বাইরে সফল হওয়ার পথ খুঁজতে হবে।

তামিম বলেছেন, ‘আপনাকে শেখানোর জন্য আপনি পৃথিবীর সেরা কোচকে পেতে পারেন। তবে দিনশেষে খেলোয়াড়দের বুঝতে হবে যে, কখন কি করতে হবে, কি করা যাবে না। সমস্যাটা মূলত বিদেশের মাটিতে। দেশের বাইরে আমরা ধারাবাহিক নই। দলগত বা ব্যক্তিগতভাবে- কোনভাবেই আমরা ধারাবাহিক নই। আমি মনে করি এটাই ইস্যু এবং এখান থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে।’

সিরিজ জুড়েই ফ্লপ মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিংয়ে বড় রান পাননি, গ্লাভস হাতে ক্যাচ ছেড়ে, রানআউটের সুযোগ নষ্ট করে উল্টো দলকে ডুবিয়েছেন। লিটন, সৌম্যরাও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। নিউজিল্যান্ডের ৩১৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে একপর্যায়ে ১০২ রানে ৮ উইকেট হারায় সফরকারীরা। পরে মাহমুদউল্লাহ ধ্বংসস্তূপে একা লড়ে অপরাজিত ৭৬ রান করে শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে সমর্থ হয়েছেন। ইনিংসের শুরুতে উইকেট হারিয়েই ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ তামিমের দাবি এমনই।

ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘যখন আপনি প্রথম ১০ ওভারেই ৩-৪ উইকেট হারিয়ে ফেলবেন তখন বুঝতে হবে খেলাটা সেখানেই অর্ধেক শেষ। যা আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে হতে দেইনি। তৃতীয় ম্যাচে আমরা একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করেছি।’

ক্যাচ মিস, ব্যাটিংয়ে আরও ধৈর্যশীল না হতে পারার আক্ষেপ ছিল অধিনায়কের কণ্ঠে। তামিম বলেছেন, ‘মাঝেমাঝে ছোট ছোট জিনিস বেশি ব্যথা দেয়। ক্যাচ আর সুযোগ হাতছাড়া, তবে কৃতিত্ব দিতেই হবে নিউজিল্যান্ডকে। পুরো সিরিজ জুড়ে তারা দুর্দান্ত ছিল। এখানে ব্যাট করতে হলে ধৈর্যশীল হতে হয়। আমরা শুরুতেই অনেক লুজ শট খেলেছি।’

খেলাধুলা

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের দুঃস্বপ্ন ভুলে পরের ম্যাচে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে হয়তো পাওয়া যেত অনির্বচনীয় জয়ের স্বাদ। তা হয়নি, তবে এই ম্যাচে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে দেওয়া তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ মিঠুনের পারফরম্যান্সের প্রতিফলন পড়েছে র‌্যাঙ্কিংয়ে। আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে এই দুই ব্যাটসম্যানের।

খেলাধুলা

নিউ জিল্যান্ডের ওটাগো হারবারের কোল ঘেঁষে নান্দনিক সৌন্দর্যের আধার ‘সিগনাল হিল’। আজ শুক্রবার (১৯ মার্চ) ডানেডিন শহরের এই আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রেই ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি উন্মোচন হয়েছে।

তিন-ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগামীকাল শনিবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশের স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। এর আগে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে ১৩টি ওয়ানডে খেলে সব গুলোতে তামিমরা হেরেছে বড় ব্যবধানে। সেই হারের দু:খ ভুলে এই সিরিজে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে চায় তামিম ইকবালরা।

সিরিজ শুরুর আগেরদিন সিগনাল হিলে আয়োজিত হয় ট্রফি উন্মোচিত অনুষ্ঠান। সেখানখার সৌন্দর্য দেখে বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল মুগ্ধতাভরা কণ্ঠে বললেন, ‘খুব সুন্দর জায়গা, দলের সবাইকে নিয়ে আসতে হবে।’ সৌন্দর্যের কথা বললে অবশ্য গোটা নিউ জিল্যান্ডই যেন স্বর্গ। তবে স্বপ্নের মতো এই দেশ মাঠের ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য বরাবরই দুঃস্বপ্নের।

খেলাধুলা

একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে আয়ার‌ল্যান্ড উলসভকে ৩০ রানে হারিয়ে সাফল্যের ষোলোকলা পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। আনঅফিসিয়াল একমাত্র টেস্ট ও পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের চারটি ম্যাচের সবকটিতেই হারতে হয়েছে আইরিশদের।

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সাইফ হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান তৌহিদ হৃদয়। ৩৫ বলে ৫৮ রান করে বিদায় নেন ৭টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকানো হৃদয়।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে অধিনায়ক সাইফ ৩৬ বলে ৪৮ রান, শামীম হোসেন পাটোয়ারি ১১ বলে ৪টি ছক্কায় ২৮ রান এবং ইয়াসির আলী ১৬ বলে ২২ রান করেন। আইরিশদের পক্ষে দুটি উইকেট শিকার করেন পিটার চেজ।

১৮৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই গ্যারাথ ডেলানিকে হারিয়ে হোচট খায় আইরিশরা। এরপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন স্টিফেন ডহেনি ও অধিনায়ক হ্যারি টেক্টর। ডহেনি ২৪ বলে ২৯ ও টেক্টর ১৯ বলে ২২ রান করে বিদায় নেন। এরপর লরকান টাকারের ২২ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস আবারো আশা দেখায় সফরকারীদেরকে।

তবে তিনি বিদায় নিলে ১৬ বলে ২৬ রানে অপরাজিত শেন গেটকেট ছাড়া আর কেউ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে সফরকারিরা। বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের পক্ষে সুমন খান চারটি এবং তানভীর ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব দুটি করে উইকেট শিকার করেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফ ও শামীম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ইমার্জিং দল : ১৮৪/৭ (২০ ওভার)

হৃদয় ৫৮, সাইফ ৪৮, শামীম ২৮, ইয়াসির ২২

চেজ ৩৬/২, কার্টিস ১৪/১

আয়ারল্যান্ড উলভস : ১৫৪/১০ (১৮.১ ওভার)

টাকার ৩৮, ডহেনি ২৯

সুমন ২৮/৪, তানভীর ৩২/২

ফল : বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৩০ রানে জয়ী।

খেলাধুলা

আগের দুই ম্যাচে সম্ভাবনা জাগিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি সাইফ হাসান। এবার পারলেন। সামনে থেকে পথ দেখালেন অধিনায়ক, করলেন সেঞ্চুরি। বাকিটা অনায়াসে সারলেন তৌহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন। তৃতীয় ওয়ানডেতে সহজেই আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলকে হারাল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।

খেলাধুলা

নিউজিল্যান্ড সফরে এখনও কোয়ারেন্টাইনের বেড়াজালেই দিন কাটছে বাংলাদেশ দলের। অবশ্য আর দুদিন পরই কোয়ারেন্টাইন মুক্ত হয়ে যাবে সফরকারীরা। সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় আছেন মাহমুদউল্লাহ-তামিমরা।

ক্রাইস্টচার্চে কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও প্রতিদিনই অনুশীলন করছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বরাবরের মতোই কঠিন নিউজিল্যান্ড সফরে এবার জয়ের খাতা খুলতে চায় টাইগাররা। টি-২০ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলছেন, এখানে সফল হওয়ার মন্ত্র হবে দলগত পারফরম্যান্স। তার মতে, ভালো করতে হলে আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে। দলের কাছে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট চান তিনি।

কোয়ারেন্টাইনে ১২ দিন অতিবাহিত হয়েছে বাংলাদেশ দলের। চতুর্থ করোনা পরীক্ষায় সবাই নেগেটিভ আসলে ১৪ দিন পরই মুক্ত হবে গোটা দল। তখন কুইন্সটাউনে গিয়ে পুরোদমে প্রস্তুতি চলবে টাইগারদের। সোমবার অনুশীলনের পর মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আর দুইটা দিন কোয়ারেন্টাইনের আছে। ইনশাআল্লাহ্ দোয়া করছি যেন আমাদের সবার রেজাল্টটা নেগেটিভ আসে। তারপর আমরা বাইরে যাব ইনশাআল্লাহ্।’

সফরে কিউইদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে, তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। অনেক দিন আগে গেলেও সিরিজটা কঠিন হবে টাইগারদের জন্য। মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনটা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং এবং আমাদের জন্য কোনোকিছুই এত সহজ হবে না। সব মিলিয়ে আমার মনে হয় দল হিসেবে আমাদের ভালো পারফর্ম করতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং ফিল্ডিং- তিন ডিপার্টমেন্টেই।’

সম্প্রতি ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ৩-২ এ টি-২০ সিরিজ হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিকরা দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও মাহমুদউল্লাহ বলছেন, ভালো করতে হলে আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে। অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার বলেন, ‘হয়তোবা নিউজিল্যান্ড টিম এখন খুব ভালো ফর্মে আছে। তারা টি-২০ সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, এ জিনিসগুলো মাথায় না এনে বরং আমরা আমাদের শক্তি এবং দুর্বলতাগুলোর দিকে ফোকাস করতে পারি তাহলে আমাদের খেলার জন্যও ভালো হবে এবং আমি মনে করি আমাদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার মনমানসিকতা থাকলে ইনশাআল্লাহ্ আমরা ভালো করব।’

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ব্যাটসম্যানদের উইকেটের ধরণ বোঝা, বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। মৌলিক দিক গুলো ঠিক রেখে বাজে বলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ব্যাটসম্যানদের।

বাউন্সি উইকেট হলেও বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জটা কম নয়। কারণ নিউজিল্যান্ডে এখন হরহামেশাই বড় স্কোরের ম্যাচ হয়। সেক্ষেত্রে লেন্থের দিকে গুরুত্ব দিতে বলছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এখানে লেন্থের বিষয়টা খুবই জরুরি। লেন্থে একটু বেখেয়াল হলেই বাউন্ডারি সুযোগ বেড়ে যায়।’

খেলাধুলা

আইরিশদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দুই বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় তুলে নিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন শামীম হোসেন।

আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ২৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার সাইফ হাসান এবং তানজিদ হাসান তামিম। উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪৪ রান। আইরিশদের প্রথম উইকেট এনে দেন প্রিটোরিয়াস। ব্যাট হাতে ৯০ রান করার পর বল হাতেও সাফল্যের দেখা পান তিনি। ১৭ রান করা তামিমকে সাজঘরে ফেরান তিনি।

তামিম ফিরলেও মাহমুদুল হাসান জয়কে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহ বড় করতে থাকেন সাইফ। একটা সময় বড় ইনিংস খেলবেন মনে করলেও তাকে থামতে হয় ব্যক্তিগত ৩৬ রানে। গেটাকের বলে ৫৩ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। দলীয় ৭৯ রানে সাইফ বিদায় নিলে দলের হাল ধরেন জয় এবং ইয়াসির আলী।

এই দুই ব্যাটসম্যান জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বাংলাদেশকে। তবে এই দুইজনের জুটি থামান হোয়াইট। ফলে ৩১ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় ইয়াসিরকে। তার বিদায়ের পর সেঞ্চুরির পথে থাকা মাহমুদুলও বিদায় নেন। দলীয় ১৭২ রানে হোয়াইটের বলে সাজঘরে ফিরতে হয় ৯৫ বলে ৬৬ রান করা মাহমুদুলকে।

ইয়াসির-মাহমুদুলের বিদায়ের পর দলের জয়ের কাজটা কিছুটা কঠিন হয়ে পড়লে সেটি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় থাকেন তৌহিদ হৃদয় এবং শামিম হোসেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৪২ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরেন তৌহিদ। তাকে সাজঘরে ফেরার পর রান আউটের শিকার হন আকবরও।

আকবরের বিদায়ে পর ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। তবুও শেষদিকে আশার আলো হয়ে ক্রিজে ছিলেন শামীম। একাই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন তিনি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে আসেন। শেষ ওভারে ৯ রানের প্রয়োজন হলে প্রথম বলেই মিড উইকেটে চার মারেন সুমন।

জয়ের জন্য বাকি কাজটা একাই করেন শামীম। এডায়ের চতুর্থ বলে এক রান নিয়ে দুই বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের নাটকীয় জয় পায় বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে রুহান প্রিটোরিয়াসের ১২৫ বলে ৯০ রানের সুবাধে ৭ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬৩ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড উলভস। প্রিটোরিয়াস বাদেও ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন ম্যাককুলাম, ডোহেনি, ট্যাক্টর। শেষদিকে ২৫ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন গেটকাটে এবং ৮ বলে ১৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ডেলানি।

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে দুটি করে উইকেট লাভ করেছেন রাকিবুল হাসান এবং সুমন খান এবং একটি করে উইকেট শিকার করেন মুকিদুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আয়ারল্যান্ড উলভস ২৬৩/৭ (ওভার ৫০)

প্রিটোরিয়াস ৯০, ম্যাককুলাম ৪১; রাকিবুল ২-৩৯

বাংলাদেশ ইমার্জিং ২৬৪/৬ (ওভার ৪৯.৪)

 মাহমুদুল হাসান ৬৬, শামীম ৫৩*, সাইফ ৩৬; হোয়াইট ২-৪৫
—————————————————————————————————————————————————————————————————————————–

পাইলট

আউট হওয়া পাইলটকে মাঠে ফিরিয়ে আনলেন পিটারসেন

=====================================

রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের সপ্তম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ লিজেন্ডস ক্রিকেট দল।

 ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে স্কোফিল্ডের এলবিডব্লিউ এর আবেদনে সাড়া দিয়ে খালেদ মাসুদ পাইলটকে আউটের সংকেত দেন আম্পায়ার। তবে বল পাইলটের পায়ের আগে স্পর্শ করেছিল ব্যাটে। পাইলট তা বুঝতে পারলেও বুঝতে পারেননি আম্পায়ার।

অসন্তোষ নিয়েই তাই সাজঘরের পথে হাঁটছিলেন পাইলট। তিনি মাঠ ছাড়ার সময় ইংল্যান্ডের অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন আম্পায়ারকে ব্যাটে লাগার কথা জানান এবং জায়ান্ট স্ক্রিনের রিপ্লে দেখে মাঠের বাইরে যেতে থাকা পাইলটকে ক্রিজে ফিরিয়ে আনেন ইংলিশ অধিনায়ক।

রোববার ভারতের রায়পুরে টস হেরে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে বাংলাদেশ দল। ৩১ রান করেন পাইলট। ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহমান।


এবার পিটারসেনদের কাছে হার বাংলাদেশের সাবেকদের

 ছন্নছাড়া ব্যাটিং আর অগোছালো বোলিংয়ের খেসারত দিয়ে আরও এক ম্যাচে হারলো বাংলাদেশের সাবেকরা।  রোববার রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড লেজেন্ডসের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ লেজেন্ডস। 

রায়পুরের শহীদ বীর নারায়ন সিং স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ দলের অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ তোলে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৩ রান। জবাবে কেভিন পিটারসেন ও ফিল মাস্টার্ডের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ইংলিশরা ৩৬ বল বাকি রেখে জিতে যায়।

আগের ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে ঝড় তোলা নাজিমউদ্দিন এই ম্যাচেও মন্টি পানেসারের বলে দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু ১২ রান করে রায়ান সাইডবটমের বলে বোল্ড হয়ে যান সাবেক এই ওপেনার। আরেক ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম করেন ১২ বলে ৫ রান। ব্যর্থ হন নাফিস ইকবাল (১০ বলে ৮), হান্নান সরকার (৯ বলে ১৩), রাজিন সালেহ (৯ বলে ৫ রান)।

১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করা বাংলাদেশ লেজেন্ডসের ভরসা হিসেবে ছিলেন খালেদ মাসুন পাইলট। ভালো সঙ্গ দেন মুশফিকুর রহিম বাবু। দুজনের জুটিতে ১০০ পার করে বাংলাদেশের দলটি। কিপার-ব্যাটসম্যান মাসুদ ৩৯ বলে করে ৩১ রান। সাবেক অলরাউন্ডার মুশফিকুর রহমান ২৬ বলে ৩০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।

রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন ফিল মাস্টার্ড। পরে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন পিটারসেন। শরীফের বল আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ২৭ রান করেন মাস্টার্ড। রফিকের বলে আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইংলিশ লেজেন্ডসের দলপতি।

আগের ম্যাচে ভারত লেজেন্ডসের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ লেজেন্ডস। বুধবার শ্রীলংকার সাবেকদের মুখমুখি হবেন রফিকরা।

খেলাধুলা

বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসের ক্রিকেট ইভেন্ট শুরু হয়েছে। শনিবার ( ৬ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) সৈয়দ শাহেদ রেজা, সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ, বিসিবির উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ অন্যান্যরা। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা তিনটি দলে ভাগ হয়ে অংশ নিচ্ছে গেমসের ক্রিকেট ইভেন্টে পদক জয়ের লড়াইয়ে।

সিলেটে একপেশে লড়াইয়ে বড় জয় পেয়েছে সালমা খাতুনের দল। তার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ নীল দল ১০ উইকেটে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ লাল দলকে। দুরন্ত বোলিংয়ে ম্যাচটা নিজের করে নিয়েছেন উদীয়মান পেসার ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা। বাঁহাতি এ পেসার ১৪ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ১০ ওভারে একটি মেডেনও রয়েছে। তার বোলিং তোপেই ধসে গেছে রেড দলের ব্যাটিং লাইন। নিগার সুলতানার দল ২৮.১ ওভারে ৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের পক্ষে জিন্নাত অর্থি সর্বোচ্চ ২১, রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক ১০ রান করেন। আর কেউ দুঅঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। ব্লু দলের সালমা ২টি, জাহানারা ও সোবহানা মোস্তারি ১টি করে উইকেট নেন।

ওয়ানডে ম্যাচে এত কম টার্গেট পেয়ে নির্ভার ছিল ব্লু দল। দুই ওপেনার শামীমা সুলতানা, মুর্শিদা খাতুনই ম্যাচ শেষ করে ফিরেছেন। ১৫.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ব্লু দল। শামীমা অপরাজিত ৩১, মুর্শিদা অপরাজিত ২৫ রান করেন। বল হাতে আগুণ ঝরানো ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা ম্যাচ সেরা হন।

গতকাল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের ম্যাচ দিয়েই করোনার ধাক্কায় পড়া এক বছর বিরতির পর প্রতিযোগিতা মূলক ক্রিকেটে ফিরলো বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। গত বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন জাহানারা আলমরা। গেমসের ম্যাচগুলোর পর আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার ইমার্জিং দলের বিরুদ্ধে হোম সিরিজ খেলবে নারী দল।