খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের মতো আইসিসির সহযোগী দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হারের লজ্জার নজির গড়ল টাইগাররা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হাতছাড়া সাকিব-শান্তদের।

আগামী মাসের শুরুতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের নবম আসরে অংশ নেওয়ার আগে প্রস্তুতি জোরদারের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মতো তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ।

আইসিসির এই সহযোগী সদস্য দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করে লজ্জার নজির গড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৫৩/৬ রান করে ৫ উইকেটে হারে টাইগাররা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৫ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১৩৮ রানে অলআউট হয় নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দলটি। দলের চরম ব্যাটিং বিপর্য়য়ের কারণে ৬ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাওহিদ হৃদয়ের ৫৮ রানের ইনিংসের পরও ১৫৩ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরে ব্যাকফুটে চলে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দলটি।

আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি দুই দল। এই ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪৪ রান করে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। উদ্বোধনী জুটিতে ৬.৩ ওভারে ৪৪ রান করেন দুই ওপেনার স্টেভেন টেলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেল।

২৮ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় ৩১ রান করে রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হন স্টেভেন টেলর। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল্ডেন ডাক মারেন আন্দ্রিস গুস। পরপর দুই বলে ২ উইকেট শিকার করে দলকে খেলায় ফেরান রিশাদ।

এরপর অ্যারন জোন্সকে সঙ্গে নিয়ে ৫৬ বলে ফের ৬০ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। ৩৪ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ৩৪ রান করে মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অ্যারন জোন্স।

পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ বলে ১১ রান করে শরিফুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার কোরি অ্যান্ডারসন।

ওই ওভারের চতুর্থ বলে ওপেনার মোনাঙ্ক প্যাটেলকে বোল্ড করেন শরিফুল। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৮ বলে চারটি চার আর এক ছক্কায় ৪২ রান করেন মোনাঙ্ক প্যাটেল।

২০তম ওভারে মোস্তাফিজের প্রথম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন হারমিত সিং। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশ দলের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান। ২ উইকেট নেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১ রানে ১ উইকেট পতনের পর ইনিংস মেরামত করার আগেই আউট হন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামমি। তিনি দলীয় ৩০ রানে ফেরেন।

এরপর তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ৩৭ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়ে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাম্প্রতিক সময়ে অফ ফর্মে থাকা অধিনায়ক শান্ত এদিনও বড় স্কোর গড়তে পারেননি। আগের ম্যাচে মাত্র ৩ রানে আউট হওয়া শান্ত এদিন ফেরেন ৩৪ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ৩৬ রান করে।

দলীয় ৯২ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। তিনি ২১ বলে ২৫ রান করে ফেরেন। আগের ম্যাচে করেছিলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান। দলীয় ১০৬ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

সাকিব ২৩ বলে ৩০ রান করে ফেরেন। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন জাকির আলি অনিক, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেনরা। চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে হাতে ৪ উইকেট থাকার পরও শেষ ১৮ বলে ২১ রান করতে পারেনি বাংলাদেশ।

খেলাধুলা

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের মৌসুমজুড়ে তাণ্ডব চালানো ট্রাভিস হেড-অভিষেক শর্মা জুটি আজ ব্যাট হাতে ব্যর্থ। অপরদিকে কলকাতা নাইত রাইডার্সের হয়ে বোলিংয়ে আলো ছড়ান মিচেল স্টার্ক।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে অল্প রানে গুটিয়ে দেয় কলকাতা। আর জবাব দিতে নেমে জ্বলে ওঠেন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার ও শ্রেয়াস আইয়ার। দুই আইয়ারের ফিফটিতে কলকাতা কোয়ালিফাই করল ফাইনালে।

আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে কলকাতার জয় আট উইকেটে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯ দশমিক ৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে হায়দরাবাদ করে ১৫৯। এ রান ৩৮ বল হাতে রেখেই তাড়া করে ফেলে কলকাতা।

কলকাতার হয়ে ধুঁকতে থাকা মিচেল স্টার্ক আজ নিজের দ্বিতীয় বলেই পান সাফল্য। ট্রাভিস হেডকে হারিয়ে শুরুটা হয় হায়দরাবাদের। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অভিষেক শর্মাও। স্রেফ ৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তবে তিনে নেমে লড়ে যান রাহুল ত্রিপাঠি। ক্লাসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ফেরান খেলায়।

একাদশ ওভারে ক্লাসেনকে ফিরিয়ে ৬২ রানের জুটি ভেঙে দেন বরুণ চক্রবর্তী। ২১ বলে ৩২ রান করে বিদায় নেন প্রোটিয়া ব্যাটার। তবে অপর প্রান্তে ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন ত্রিপাঠি। যদিও আর ৫ রান যোগ করেই বিদায় নিতে হয় থাকে। ৩৫ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল সাত চার ও এক ছক্কায়।

ত্রিপাঠির বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে হায়দরাবাদ। তবে লড়েন কেবল প্যাট কামিন্স। ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংসে দলের সংগ্রহ তিনি দেড়শ পার করেন। কলকাতার হয়ে আজ দারুণ বোলিং করেন স্টার্ক। চার ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। দুটি উইকেট পান বরুণ। বাকি বোলাররা নেন একটি করে উইকেট।

রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো করেন কলকাতার দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সুনীল নারিন। চতুর্থ ওভারে তাদের ২০ বলে ৪৪ রানের জুটি ভেঙে দেন নাটারাজান। গুরবাজ বিদায় নেন ১৪ বলে ২৩ করে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নারিনও। তার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান।

এরপর তৃতীয় উইকেটে ৪৪ বলে ৯৭ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার ও শ্রেয়াস আইয়ার। দুজনেই পান ফিফটির দেখা। ২৮ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ভেঙ্কাটেশ অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে। আর ২৩ বলে ফিফটি ছুঁয়ে শ্রেয়াস অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে।

এই ম্যাচে হারলেও আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়নি হায়দারাবাদের। বুধবার এলিমিনেটর ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মধ্যকার জয়ী দলের প্রতিপক্ষ হিসেবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে তারা। সেখান থেকে জয়ী দল ফাইনালে মোকাবিলা করবে কলকাতাকে।

খেলাধুলা

বাংলাদেশকে লজ্জার হারে ডুবিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইতিহাস গড়লো যুক্তরাষ্ট্র। আজ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্র ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেকোন ফরম্যাটে এই প্রথম বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নেমেই জয়ের ইতিহাস গড়লো যুক্তরাষ্ট্র। বিশ^কাপ প্রস্তুতির সিরিজ হার দিয়ে শুরু করে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লো বাংলাদেশ।

টসের বিপরীতে  প্রথমে ব্যাট করে তাওহিদ হৃদয়ের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। ৪৭ বলে ৫৮ রান করেন হৃদয়। এরপর ৯৪ রানে যুক্তরাষ্ট্রের ৫ উইকেট শিকার করে জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে ২৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬২ রান যোগ করে যুক্তরাষ্ট্রকে অবিস্মরনীয় জয়ের স্বাদ দেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার কোরি অ্যান্ডারসন ও ভারতীয় বংশোদ্ভুত হারমিত সিং।

হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে ২৭ বলে ৩৪ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। কিন্তু পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি টাইগাররা।

১টি করে চার-ছক্কায় ১৫ বলে ১৪ রান করে যুক্তরাষ্ট্রের পেসার জসদীপ সিংয়ের শিকার হন দ্বিতীয় ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে জীবন পাওয়া লিটন। অফ-স্পিনার স্টিভেন টেইলরের বলে আউট হন ৩টি বাউন্ডারিতে ১৩ বলে ২০ রান করা সৌম্য।

তিন নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টেইলের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ১১ বলে ৩ রান করেন  তিনি।

শান্তর বিদায়ের কিছুক্ষণ পর ব্যক্তিগত ৬ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়েন সাকিব আল হাসান।  এতে ১২তম ওভারে ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন হৃদয় ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১৩তম ওভারে হৃদয়ের দুই ছক্কায় ১৬ রান পায় বাংলাদেশ। ১৫তম ওভারে ১শ রান স্পর্শ করে টাইগাররা। ১৭তম ওভারে মাহমুদুল্লাহর ১টি করে চার-ছক্কায় ১৫ রান জমা পড়ে বাংলাদেশের ঝুলিতে।

১৮তম ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির পূর্ণ করেন ৪০ বল খেলা হৃদয়। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে সৌরভ নেত্রাভালকার শিকার হন ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২ বলে ৩১ রান করা মাহমুদুল্লাহ। পঞ্চম উইকেটে হৃদয়-মাহমুদুল্লাহ ৪৭ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন।

ইনিংসের শেষ ৮ বলে ১৮ রান যোগ করে বাংলাদেশকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন হৃদয় ও জাকের আলি। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে পেসার আলি খানের বলে আউট হবার আগে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৭ বলে ৫৮ রান করেন হৃদয়। ২টি চারে ৫ বলে অপরাজিত ৯ রান করেন জাকের। যুক্তরাষ্ট্রের টেলর ২ উইকেট নেন।

১৫৪ রানের জবাবে ৩ ওভারে ২৭ রানের সূচনা পায় যুক্তরাষ্ট্র। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ১২ রানে রান আউট হন যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল।

দ্বিতীয় উইকেটে ৩২ বলে ৩৮ রানের জুটি গড়ে যুক্তরাষ্ট্রকে লড়াইয়ে রাখেন টেলর ও অ্যান্ড্রিস গাউস। ৪টি চারে ১৮ বলে ২৩ রান করা গাউসকে শিকার করে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্পিনার রিশাদ।

এরপর ১২তম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। ১টি করে চার-ছক্কায় টেলর ২৯ বলে ২৮ রান এবং জোন্স ৪ রানে ফিজের শিকার হন। যুক্তরাষ্ট্রের রান ১শ হবার আগে পঞ্চম উইকেট শিকার করেন শরিফুল। ১০ রানে নিতীশকে বিদায় দেন শরিফুল।

৯৪ রানে ৫ উইকেট পতনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ৩১ বলে ৬০ রান। মুস্তাফিজের করা ১৭তম ওভারে হারমিতের দুই ছক্কায় ১৭ রান পায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে শেষ ৩ ওভারে ৩৮ রান দরকার পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের। শরিফুলের করা ১৮তম ওভারে ১৪ এবং মুস্তাফিজের করা ১৯তম ওভারে ১৫ রান নেন হারমিত ও অ্যান্ডারসন। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য  ৯ রানের  সমীকরণ পায় যুক্তরাষ্ট্র।

মাহমুদুল্লাহর করা শেষ ওভারের প্রথম বলে অ্যান্ডারসন ছক্কা ও তৃতীয় বলে চার মেরে যুক্তরাষ্ট্রকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন হারমিত। ষষ্ঠ উইকেটে হারমিত ও অ্যান্ডারসনের ২৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬২ রানের জুটিতেই জয়ের স্বাদ পায় যুক্তরাষ্ট্র।

ম্যাচ সেরা  নির্বাচিত হওয়া হারমিত ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৩ বলে অপরাজিত ৩৩ এবং ২টি ছক্কায় ২৫ বলে অনবদ্য ৩৪ রান করেন অ্যান্ডারসন। বাংলাদেশের মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪১ রানে ২ উইকেট নেন।

আগামীকাল একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।

স্কোর কার্ড

বাংলাদেশ ইনিংস

লিটন এলবিডব্লু ব জসদীপ ১৪

সৌম্য ক কুমার ব টেলর ২০

নাজমুল স্টাম্প প্যাটেল ব টেলর ৩

হৃদয় অপরাজিত ৫৮

সাকিব রান আউট (টেলর/হারমিত) ৬

মাহমুদুল্লাহ ক কুমার ব নেত্রাভালকার ৩১

জাকের অপরাজিত ৯

অতিরিক্ত (বা-১, নো-৫, ও-৬) ১২

মোট (২০ ওভার, ৬ উইকেট) ১৫৩

উইকেট পতন : ১-৩৪ (লিটন), ২-৩৪ (সৌম্য), ৩-৫১ (নাজমুল), ৪-৬৮ (সাকিব), ৫-১৩৫ (মাহমুদুল্লাহ), ৬-১৫৩ (হৃদয়)।

যুক্তরাষ্ট্র বোলিং :

নেত্রাভালকার : ৪-০-২৭-১,

আলি : ৪-০-৪৯-১ (ও-২, নো-১),

জসদীপ : ৩-১-৩০-১ (নো-২),

টেলর : ৩-০-৯-২,

এন্ডারসন : ২-০-১০-০,

হারমিত : ৪-০-২৭-০ (ও-২, নো-২)।

যুক্তরাষ্ট্র ব্যাটিং :

টেলর ক মাহমুদুল্লাহ ব মুস্তাফিজুর ২৮

প্যাটেল রান আউট (শরিফুল) ১২

গাউস ক মুস্তাফিজুর ব রিশাদ ২৩

জোন্স ক নাজমুল ব মুস্তাফিজুর ৪

নিতীশ ক হৃদয় ব শরিফুল ১০

অ্যান্ডারসন অপরাজিত ৩৪

হারমিত অপরাজিত ৩৩

অতিরিক্ত (বা-৪, লে বা-১, ও-৭) ১২

মোট (১৯.৩ ওভার, ৫ উইকেট) ১৫৬

উইকেট পতন : ১-২৭ (প্যাটেল), ২-৬৫ (গাউস), ৩-৭৫ (টেলর), ৪-৭৮ (জোন্স), ৫-৯৪ (নীতীশ)।

বাংলাদেশ বোলিং :

মাহমুদুল্লাহ : ২.৩-০-২০-০,

শরিফুল : ৪-০-৩১-১,

মাহেদী : ৪-০-২৭-০,

সাকিব : ৩-০-১৬-০,

মুস্তাফিজুর : ৪-০-৪১-২,

রিশাদ : ২-০-১৬-১।

ফল : যুক্তরাষ্ট্র ৫ উইকেটে জয়ী।

সিরিজ : তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র।

খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উপমহাদেশের উইকেটে পাওয়ার প্লেতে স্পিনারদের বোলিং করতে দেখা যায় নিয়মিতই। বাংলাদেশ দলে সে দায়িত্বটা পড়ে শেখ মাহেদীর কাঁধে।

এখন পর্যন্ত পাওয়ার প্লেতে ৩৫ ইনিংসে বোলিং করে ৫.৬৭ ইকোনমিতে ২০ উইকেট শিকার করেছেন এই ডানহাতি স্পিনার। বাকি ১৮টি উইকেট পাওয়ার প্লের বাইরে।
বাংলাদেশের হয়ে পরপর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন মাহেদী। পাওয়ার প্লেতে বোলিং করা উপভোগের চেয়ে চ্যালেঞ্জই মনে হয় তার কাছে।

তিনি বলেন, ‘উপভোগ করার থেকে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি সেখানে। যেহেতু পাওয়ার প্লে রানের খেলা। তো সেখানে যত কম রানে নিজেকে আটকানো যায় বোলিং করে। সেই চ্যালেঞ্জই বেশি থাকে উপভোগের চেয়ে। পাওয়ার প্লেতে কঠিন পরিস্থিতি থাকে, উপভোগটা একদমই থাকে না। কিন্তু সেখানে যদি ভালোভাবে উপভোগ করতে পারি তাহলে দেখা গেছে দলের লাভটাই বেশি হয়। ‘

সচরাচর যে পারফরম্যান্স থাকে বিশ্বকাপে সেটা বদলাতে চান মাহেদী। তিনি বলেন, ‘সাধারণ যেভাবে পারফরম্যান্স করি, সেভাবে করতে চাই না বিশ্বকাপে। এর চেয়ে আরও ভালো করতে চাই। ‘

২০১৮ সালে অভিষেকের পর বাংলাদেশের জার্সিতে ৪৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাহেদী। সাকিবকে আদর্শ মানা এই অফস্পিনার বলেন, ‘ব্যাসিক্যালি ছোটবেলা থেকে যখন ক্রিকেট খেলা বুঝি, তখন থেকে সাকিব ভাইয়ের খেলা খুব ভালো লাগতো। আমি যখন নিজেকে ৭-৮ এ ব্যাটিং করার জন্য প্রসেসটা ছিল তখন থেকেই রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিংটা ভালো লাগত ফিনিশার হিসেবে। সাকিব ভাই আদর্শ বলতে পারেন। রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিংটা খুব ভালো লাগে ওই পরিস্থিতিতে ওই মোমেন্টামে। ‘

‘আমি যখন এনসিএল খেলি তখন সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে খেলছিলাম। আমি আর সাকিব ভাই তখন একসঙ্গে ব্যাটিং করছিলাম। এমনকি সাকিব ভাই যখন বোলিং করছিল আমি মাঠে শুধু তাকিয়ে দেখছিলাম। কিন্তু ওইটা আমার জন্য খুব বড় অভিজ্ঞতা ছিল, খুব রোমাঞ্চ কাজ করছিল যে সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে খেলতে পারছি। আমার নিজেরও খুব গর্ব বোধ হচ্ছিল। ‘

এদিকে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ। এরপর আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করবে বাংলাদেশ।

খেলাধুলা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় এক দশক কাটিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটের জার্সিই গায়ে চাপিয়েছেন।

খেলেছেন আইপিএলসহ বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। দুর্দান্ত বোলিংয়ে নামও কুড়িয়েছেন।

তবে একটি আক্ষেপ রয়ে গেছে মোস্তাফিজের। জাতীয় দলের হয়ে বড় ট্রফি এখনও জিততে পারেননি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছিল, ওই দলে ছিলেন মোস্তাফিজ। কিন্তু কখনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা হয়নি।

এ নিয়ে রোববার বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিওতে মোস্তাফিজ বলেন, ‘ভালো করার তো শেষ নাই। চেষ্টা করব আগে যা করেছি, সেটা থেকে আরও ভালো করার। আমার মনে হয় বড় প্লেয়াররা বড় ট্রফি জেতে। তাদের বড় প্লেয়ার বলা হয়। এই আক্ষেপ তো সবসময় রয়ে গেছে। ’

এখন অবধি জাতীয় দলের হয়ে ১৫ টেস্টে ৩১, ১০৪ ওয়ানডেতে ১৬৪ ও ৯৩ টি-টোয়েন্টিতে ১১০ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। এতে গৌরব আছে তার। কোন ফরম্যাটটা বেশি প্রিয়? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে বলেছেন এই ফরম্যাটের কথাই।

তিনি বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলাটা গৌরবের বিষয়। আমি সবসময় উপভোগ করি দেশের হয়ে খেলাটা। ভালো লাগার কথা বললে আমি টি-টোয়েন্টিটা খুব উপভোগ করি। এই ফরম্যাটটা বেশ চাপের। এ কারণেই মনে হয় ভালো লাগে আমার। চাপ নিয়ে খেলতে অনেক উপভোগ করি। আমাদের যে বোলাররা আছে তাসকিন, শরিফুল, সাইফউদ্দিন, হাসান- আমি যতটুকু শিখেছি ওদের সাথে শেয়ার করি.. যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়। ’

মোস্তাফিজের নামেও এখন কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ধারাভাষ্যকার, সতীর্থরা তাকে ডাকেন ‘দ্য ফিজ নামে। কীভাবে এমন নাম পেলেন তিনি?

মোস্তাফিজ বলেন, ‘বোলিং বোর্ড বা ফিল্ডিং বোর্ডে আমার নাম ধরত না, তাই সংক্ষেপে ফিজ লিখত, আমি জিজ্ঞেস করলাম এটা কে। আমাকে বলল এটা তুমি। ওই সময়ে আমি আইপিএল খেলতে গেলাম, ওখানেও নামটা ছড়িয়ে যায়।

খেলাধুলা

পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফ্রান্সের এই অধিনায়কের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় তা অবশ্য জানাননি। কিন্তু লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস জানিয়েছেন, খুব শিগগির রিয়ালে যোগ দিতে যাচ্ছেন এমবাপ্পে।

পিএসজিতে দীর্ঘ ৮ মৌসুম কাটানোর পর এবার সেই ক্লাব ছাড়তে যাচ্ছেন এমবাপ্পে। মোনাকো ছেড়ে ২০১৮ সালে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সি এ তারকা। গত সপ্তাহে এক ভিডিওবার্তায় এমবাপ্পে নিজেই তার ক্লাব ছাড়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে এমবাপ্পের পরবর্তী ক্লাব কোনটি হবে তা নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাকে দলে টানতে চাচ্ছে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। অনেকের ধারণা, স্প্যানিশ ক্লাবটিতেই যোগ দেবেন ফ্রান্সের অধিনায়ক। এমনকি লা লিগার সভাপতি তো জানিয়েই দিয়েছেন, রিয়ালের সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করছেন এমবাপ্পে।

আর্জেন্টিনা সফরকালে ওলে পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তেবাস বলেন, ‘আগামী মৌসুম থেকে এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদের। সে পৃথিবীর সেরা খেলোয়াড়দের একজন। তারা পাঁচ বছরের চুক্তি করলে সে পাঁচ মৌসুম সুযোগ পাবে (চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের)। তবে হ্যাঁ, রিয়ালে ভিনিসুস ও বেলিংহ্যামও রয়েছেন। মাদ্রিদ দারুণ একটা দল হতে যাচ্ছে। তবে সেটা শিরোপা জেতার কোনো নিশ্চয়তা দেয় না।’

চলতি মৌসুমেও লিগ ওয়ানের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এ নিয়ে পঞ্চমবারের পর লিগ ওয়ানের সেরা হলেন তিনি।

খেলাধুলা

আগামী মাসের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রত্যাশা কম নয়। কিন্তু বাস্তবে কতটা সম্ভব তা সময় বলে দেবে।

অতীতে বিশ্বকাপে বড় আশা করেও তেমন কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। গত বছর এশিয়ার কন্ডিশনে ভারতের মাঠে বড় আশা করে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে নেদারল্যান্ডসের মতো আইসিসির সহযোগি সদস্য দলের বিপক্ষে হেরে যায় সাকিব আল হাসানরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজের অচেনা কন্ডিশনে। সেখানে গিয়ে আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াও একটা চ্যালেঞ্জিং।সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টাইগাররা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।

বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফটোসেশনে অংশ নেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

এদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘সাহস করে খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, ভয় মাথায় ঢুকলে কখনো সফল হওয়া যাবে না। খুব চাপ যেন না হয়, স্বাধীনভাবে যেন নিজেদের খেলাটা খেলে।’

দল নিয়ে বিসিবি সভাপতির প্রত্যাশা, ‘প্রত্যাশা কম হওয়ার সুযোগই নেই। ওরা যেন ভালো খেলে। হার-জিত নিয়ে দেশের মানুষ মাথা ঘামায় না। দেশের মানুষও মাথা ঘামায় না।’

দীর্ঘদিন পর চোট থেকে ফিরে সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজে ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বিশ্বকাপ দলে তাকে না রাখা প্রসঙ্গে পাপন বলেছেন, ‘এখানে ইস্যুটা হচ্ছে আপনার… সাইফউদ্দিন থাকতেই পারত। মানে সাইফউদ্দিন থাকলেও কোনো সমস্যা হতো না। না থাকলেও যে একদম হুলুস্থূল কিছু হয়েছে, তা আমি মনে করি না। আমি মনে করি যে তিন পেসার খেলাবে। সেখানে প্রথম পছন্দ অবশ্যই থাকবে তাসকিন, মোস্তাফিজুর ও শরীফুল। এখানে আরেকজনের ঢোকার সম্ভাবনা খুবই কম।’

খেলাধুলা

আইপিএল শেষ হতে এখনো প্রায় মাসখানেক বাকি। তবে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে মোস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল মিশন শেষ হলো এখানেই।

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ পর্যন্ত তাকে অনাপত্তিপত্র দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
শুরুটা স্বপ্নের হলেও এবারের আসরে মোস্তাফিজের শেষটা হয়েছে হতাশায়। পাঞ্জাবের কাছে ঘরের মাঠে ৭ উইকেটে হেরেছে তার দল। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে এক মেডেনসহ ২২ রান খরচ করেন কোনো উইকেট ছাড়াই।

চিপকে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৬২ রান করে চেন্নাই। সর্বোচ্চ ৬২ রান আসে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ব্যাট থেকে। পাঞ্জাবের হয়ে ১৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন হারপ্রিত ব্রার। তাড়া করতে নেমে সেই রান ১৩ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় পাঞ্জাব। জনি বেয়ারস্টো ৪৬ ও রাইলি রুশোর ৪৩ রানে জয়ের সুর পেয়ে যায় তারা। এরপর বাকি কাজটা সারেন স্যাম কারান (২৬*) ও শশাঙ্ক সিং (২৫*)।

শেষ ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকায় আবারও পার্পল ক্যাপ পরার সুযোগ হয়নি মোস্তাফিজের। ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে এবারের আসর শেষ করলেন বাঁহাতি এই পেসার।

খেলাধুলা

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলছেন মোস্তাফিজুর রহমান। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট লিগও বলা হয়ে থাকে এটিকে। যেখানে খেলতে গিয়ে লোভনীয় পারিশ্রমিকের পাশাপাশি বিশ্বসেরা তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে এক ড্রেসিংরুমে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মেলে।

আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এবার একমাত্রা আছেন মোস্তাফিজ। এবারের আসরে খেলা হচ্ছে না সাকিবের। তবে আলো ছড়াচ্ছেন এই পেসার।

জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে আইপিএলের মাঝ পথেই তাকে দেশে ফিরতে হবে। তবে মোস্তাফিজের দেশে ফেরার আগে তাকে নিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান জালাল ইউনুস। যেখানে তিনি বলেছিলেন— আইপিএলে মোস্তাফিজের শেখার কিছু নেই।

বুধবার তিনি বলেন, ‘মোস্তাফিজকে আইপিএলে খেলে শেখার কিছু নেই। তার লার্নিং প্রসেস এখন শেষ। বরং মোস্তাফিজ থেকে শিখতে পারে আইপিএলের অনেক খেলোয়াড়। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না।’

জালাল ইউনুসের সেই বক্তব্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবার বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করলেন দেশসেরা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। মোস্তাফিজকে নিয়ে জালালের বক্তব্যসংবলিত একটি গণমাধ্যমের ফটোকার্ড নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন— এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করিনি। এর পর অনেকটা খোঁচা মেরে বলেন, দুর্দান্ত চিন্তাভাবনা। সঙ্গে কয়েকটি হাসির ইমোজি যুক্ত করে দেন।

এর পর আরও লিখেছেন, ‘আমার শোনা সেরা জোকস। আল্লাহ মাফ করো।’

খেলাধুলা

বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে আগামী মে মাসে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

আসন্ন এ সিরিজে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চান না জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন।

গতকাল রোববার জিম্বাবুয়ে সিরিজ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে সুজন বলেন, ‘যাদের ওপর আমার বিশ্বাস থাকবে, যারা বিশ্বকাপে খেলবে, যাদের কোচ, অধিনায়ক ও ম্যানেজমেন্ট বিশ্বাস করবে তাদেরই আসলে জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলানো উচিত। কারণ হাতে বেশি সময় নেই।’

সুজন আরও বলেন, ‘এ রকম না যে, দুইটা ইনিংস এ খেলল, দুইটা ইনিংস ও খেলল। দুজনই ফেল করল। তারপর পাঁচ নম্বর ইনিংসে আপনি কাকে খেলাবেন? আপনি আত্মবিশ্বাস নষ্ট করছেন দুজন ছেলের। এগুলো না করে একটা ছেলেকেই চারটা ম্যাচ খেলান। ও যদি দুই ম্যাচে ফেলও করে, ওর সুযোগ থাকবে তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে রান করে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার।’

আগামী ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। দুই দলের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩ মে। এরপর ৫, ৭, ১০ ও ১২ মে চারটি ম্যাচ খেলবে দুই দল। সিরিজের সব ম্যাচ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।