জাতীয়

বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হলো আরও একটি নতুন ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ। শুক্রবার বিকেল ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ড্যাশ-৮ মডেলের বিমানটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বিমানটির নাম রেখেছেন ‘শ্বেতবলাকা’।

উড়োজাহাজটি গ্রহণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশের সকল সেক্টরের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বিমানের বহরকে আধুনিকায়ন ও সেবার মান বৃদ্ধি করা হয়েছে। তার অংশ হিসেবেই নতুন উড়োজাহাজ ‘শ্বেতবলাকা’ আজ দেশে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর মাসে উড়োজাহাজটি দেশে পৌঁছানোয় আমরা আনন্দিত। আশা করি- আগামী ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ‘আকাশতরী’ ও ‘শ্বেতবলাকা’ এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।

১৪ মার্চ ‘আকাশতরী’ ও ‘শ্বেতবলাকা’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীআধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার সমন্নয়ে তৈরি উড়োজাহাজটিতে আসন রয়েছে ৭৪টি। উড়োজাহাজটি বিমান বহরে যুক্ত হওয়ার ফলে বিমান তার অভ্যন্তরীণ ও স্বল্প দূরত্বের রুটে ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি করবে। ফলে এই রুটেগুলোতে বিমান তার যাত্রীদের আরও উন্নত সেবা দিতে সক্ষম হবে। পরিবেশবান্ধব এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ এ উড়োজাহাজে রয়েছে হেপা ফিল্টার প্রযুক্তি, যা মাত্র ৪ মিনিটেই ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ অন্যান্য জীবাণু ধ্বংসের মাধ্যমে উড়োজাহাজের অভ্যন্তরের বাতাসকে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ করে।

বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জি-টুজি ভিত্তিতে কেনা তিনটি ড্যাশ-৮ প্লেনের প্রথমটি গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর, দ্বিতীয়টি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এবং তৃতীয়টি আজ দেশে পৌঁছালে।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৬৩৫ জন।

এ নিয়ে টানা তিন দিন দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬০০ জনের উপরে থাকল। তার আগে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে পাঁচ সপ্তাহ এই সংখ্যা ছয়শর নিচেই ছিল। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তা তিনশর নিচেও নেমেছিল।

শুক্রবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে মারা যাওয়া ৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৮ হাজার ৪৪১ জনের মৃত্যু হল।

আর গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৩৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৪ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬৭৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ১ হাজার ১৪৪ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১১ কোটি ৫৬ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫ লাখ ৬৯ হাজার।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৮টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৭২টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২১৯টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৭১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ ১৯ হাজার ৩১টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১৯টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৯ লাখ ৫১ হাজার ৪১২টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

তাদের ৪ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ৩ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৪৪১ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৩৮১ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ৬০ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৭০১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৮৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৫৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪২২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৪ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ৪ হাজার ৭২৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫৫৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৬১ জন খুলনা বিভাগের, ২৫৩ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১১ জন সিলেট বিভাগের, ৩৬৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

জাতীয়

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিকেলে গণভবনে টিকা নেন তিনি। এ সময় তার পাশে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।

প্রধানমন্ত্রীর টিকা নেওয়ার বিষয়টি ইত্তেফাক অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন তার সহকারী প্রেস সচিব মু. আশরাফ সিদ্দিকী বিটু। তিনি আরও জানান, টিকা নেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।

গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তাকে দিয়ে দেশে শুরু হয় টিকা প্রদান।

গণভবন থেকে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘মনে হচ্ছে আমরাও গিয়ে নিয়ে আসি।’ পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘আগে আগে নিলে (সমালোচকরা) বলতো নিজেই নিলো, অন্য কাউকে দিলো না। সবাইকে দিয়ে নিই তারপরে আমি টিকা নেবো।’

গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে একযোগে ১ হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়। শুরুতে সম্মুখসারির যোদ্ধা অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, বীরমুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকা নেন শেখ রেহানা।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬১৯ জন। এ পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ৯শ ৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৮ হাজার ৪৩৫ জনের মৃত্যু হল। এছাড়া নতুন করে আরও ৬১৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৯ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮৪১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪৬৮ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বেশ কয়েক ধাপ বাড়ানোর পর আগামী ৩০ মার্চ খুলে দেওয়া হচ্ছে স্কুল-কলেজ।

জাতীয়

সরকার বিনামূল্যে সবার জন্যই করোনার টিকা সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার (৩ মার্চ) টিকাদান কর্মসূচির ১ মাস পূর্ণ হওয়ায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

নিজেদের অর্ডারের পাশাপাশি কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশ ৪ কোটি ডোজ টিকা পাবে। এর মধ্যে ৩৩ লাখের বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে আর রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে প্রায় ৪৫ লাখ।

সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ মালেক বলেন, জুন-জুলাই পর্যন্ত দেশে প্রথম দফার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এরপর ডিসেম্বরে সিদ্ধান্ত নেবো কিভাবে টিকা দেওয়া হবে। জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত আশা করি আমাদের যে অর্ডার আছে এবং কোভ্যাক্স থেকে পাব, সেটি মিলে ৪ কোটি ডোজ টিকা হাতে থাকবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে, দেশে ভ্যাকসিনের কার্যক্রম এক মাস হয়ে গেছে। যা আমরা সফলভাবে সম্পূর্ণ করেছি। এ সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে প্রথমে ধন্যবাদ জানাই। তার নিবিড় তত্ত্বাবধানে আমরা কাজ করেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ধন্যবাদ জানাই। ভ্যাকসিনের এ প্রোগামে দেশবাসী সন্তুষ্ট। অনেক সুনাম পেয়েছি আর আমরা এ সুনামটি ধরে রাখতে চাই। ৩৩ লাখের বেশি যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া আছে তাদের প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। কোনো জায়গাতে কোনো অঘটন ঘটেনি।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়। এর পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়।

জাতীয়

 

দেশে গত একদিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৪২৮ জনে। বুধবার ( ৩ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। একই সময় ১৬ হাজার ৪১৪টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ৬১৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় ৯৩৬ জনসহ মোট চার লাখ ৯৯ হাজার ৬২৭ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ১৮ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে পাঁচ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে চার জন পুরুষ ও এক জন নারী। তাদের সবারই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৩৭২ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং দুই হাজার ৫৬ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

জাতীয়

১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থা রেখে সফল সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারা কেমন হবে, সেই বর্ণনার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক হবেন বলে নির্ধারণ করা হয়। একইসঙ্গে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি…’ সংগীতটিকে ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করা হয়।

স্বাধীনতার দলিলপত্রে উল্লেখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এর উল্লেখ আছে। ছাত্রলীগ আয়োজিত পল্টনের জনসভার প্রস্তাবলী উল্লেখ করতে গিয়ে এতে বলা হয়, ‘এই সভা পাকিস্তানী উপনিবেশবাদ শক্তির লেলিয়ে দেওয়া সশস্ত্র সেনাবাহিনী কর্তৃক বাঙালীদের ওপর গুলিবর্ষণের ফলে নিহত বাঙালী ভাইদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করিতেছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করিতেছে এবং পাকিস্তানী উপনিবেশবাদ শক্তির সেনাবাহিনীর এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়িয়া তোলার জন্য আহ্বান জানাইতেছে। এই সভা স্বাধীন বাংলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থ রাখিয়া তাহার সফল সংগ্রাম চালাইয়া যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’

স্বাধীনতার দলিলপত্র( স্বাধীনতার দলিলপত্র )মার্চের ১ তারিখ থেকে একের পর এক প্রতিরোধ কর্মসূচির মধ্যে এই ইশতেহার অন্যতম ছিল। যেখানে বলা হয়, ‘৫৪ হাজার ৫০৬ বর্গমাইল ভৌগোলিক এলাকার ৭ কোটি মানুষের জন্য আবাসিক ভূমি হিসেবে স্বাধীন ও সার্বভৌম এ রাষ্ট্রের নাম “বাঙলাদেশ”। স্বাধীন ও সার্বভৌম “বাঙলাদেশ” গঠনের মাধ্যমে নিম্নলিখিত তিনটি লক্ষ্য অর্জন করতে হবে:’

‘(১) “স্বাধীন ও সার্বভৌম বাঙলাদেশ” গঠন করে পৃথিবীর বুকে একটি বলিষ্ঠ বাঙালী জাতির কৃষ্টি, বাঙালীর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির পূর্ণ বিকাশের ব্যবস্থা করতে হবে।

‘(২) “স্বাধীন ও সার্বভৌম বাঙলাদেশ” গঠন করে অঞ্চলে অঞ্চলে ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে বৈষম্য নিরসনকল্পে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি চালু করে শ্রমিক রাজ কায়েম করতে হবে এবং “স্বাধীন ও সার্বভৌম বাঙলাদেশ” গঠন করে ব্যক্তি, বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ নির্ভেজাল গণতন্ত্র কায়েম করতে হবে।’স্বাধীনতার দলিলপত্র

( স্বাধীনতার দলিলপত্র )রেসকিলিজের শেষ অংশে ‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ’—দীর্ঘজীবী হোক কামনা করে এবং স্বাধীন বাংলার মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উল্লেখ করে গ্রামে গ্রামে দুর্গ ও মুক্তিবাহিনী গঠনের কথা বলা হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলার সর্বাধিনায়ক হিসেবে পুনরায় বঙ্গবন্ধুর নাম উল্লেখ করে স্বাধীনতা আন্দোলনের নিম্নরূপ ধারা উল্লেখ করে। যেখানে শুরুতেই বলা হয়, ‘বর্তমান সরকারকে বিদেশি উপনিবেশবাদী শোষক সরকার গণ্য করে বিদেশি সরকারের ঘোষিত সকল আইনকে বেআইনি বিবেচনা করতে হবে। বর্তমান বিদেশি উপনিবেশবাদী শোষক সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স-খাজনা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণরত যেকোনও শক্তিকে প্রতিরোধ, প্রতিহত, পাল্টা আক্রমণ ও খতম করার জন্যে সকলপ্রকার সশস্ত্র প্রস্তুতি নিতে হবে। তথাকথিত পাকিস্তানের স্বার্থের তল্পিবাহী পশ্চিমা অবাঙালী মিলিটারিকে বিদেশি ও হামলাকারী শত্রু সৈন্য হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং এ হামলাকারী শত্রুসৈন্যকে খতম করতে হবে।’

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ জন এবং শনাক্ত হয়েছেন ৫১৫ জন। মঙ্গলবার (২ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মারা গেছেন ৮ হাজার ৪২৩ জন এবং মোট শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩১৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫২৩টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩২৫টি। এ পর্যন্ত ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৯২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৯৪ জন, এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০টি নমুনায় ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত মোট ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছেন ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ এবং মারা গেছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৩৬৮ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৫৫ জন নারী করোনায় মৃত্যুবরণ করেন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত ৭ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৩ জন এবং চট্টগ্রামের ৪ জন। এই ৭ জনই হাসপাতালে মারা গেছেন।

জাতীয়

প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার বিদেশে পালিয়ে গেছেন। দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞায় দুদকের চিঠি পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগে তিনি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে আদালতে তথ্য দিয়েছে এসবির ইমিগ্রেশন শাখা।

বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

তিনি জানান, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পি কে হালদার বেনাপোল দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে কানাডায় বিলাসী জীবন যাপন করছেন পি কে হালদার।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছিলেন পি কে হালদারের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে। তখন আদালত জানতে চান পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও তিনি কিভাবে পালিয়ে যান। একইসঙ্গে পি কে হালদার যেদিন দেশ ত্যাগ করেছিলেন, সেদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে কে ছিলেন তার তালিকাও দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত।

এদিকে পিকে হালদার এবং তার সহযোগী ও ৩৯ প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে দুদক। এসব টাকা পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের ব্যাংক হিসাবে গচ্ছিত ছিল। বিএফআইইউর সহযোগিতায় দুদক এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ফ্রিজ করেছে। বিষয়টি নিয়ে আরও অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে দুদক।

জাতীয়

মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫৮৫ জন।

সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সর্বশেষ এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আটজনকে নিয়ে এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৮ হাজার ৪১৬ জন। এই সময়ে নতুন ৫৮৫ জনকে নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮০১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮৭৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।