জাতীয়

মহামারি করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ১৩ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮ হাজার ২৬৬ জনে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ২৯১ জনের শরীরে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্ত দাঁড়ালো ৫ লাখ ৪০ হাজার ২৬৬ জন।

আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৭৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৭ জন।

এর আগে, শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশে আরও ৪০৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান ৫ জন।

এদিকে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৮৭ লাখ ১২ হাজার ৩৬৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩ লাখ ৯২ হাজার ৫৮৮ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আট কোটি ৭২ হাজার ৬০৯ জন।

 

জাতীয়

নয় মাস পর দেশে ফিরেই অপহরণ ও হত্যার হুমকির মামলায় গ্রেপ্তার সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদারকে জামিন দিয়েছে আদালত।

রনকে শুক্রবার দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আশেক ইমাম আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এ সময় সিকদার পরিবারের ছেলেকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো আবেদন পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়নি বলে এ আদালতের সহকারী পিপি আজাদ রহমান জানান।

শুক্রবার সকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পরপরই রন সিকদারকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, “রন হক সিকদার তার বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকা আসার সাথে সাথে বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটিই মামলা আছে; সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প গোষ্ঠী সিকদার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার দুবাইর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার মারা যান।

জয়নুল হক সিকদার ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। আর তার ছেলে রন হক সিকদার ওই ব্যাংকের পরিচালক।

এই গাড়িতে করেই পুলিশ রন হক সিকদারকে আদালতে নিয়ে যায়এই গাড়িতে করেই পুলিশ রন হক সিকদারকে আদালতে নিয়ে যায়রন ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া এবং অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে অপহরণ করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গত বছর ১৯ মে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়।
এরপর গত ২৫ মে সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দুই ভাইয়ের ব্যাংককে পাড়ি জমানোর খবর আসে সংবাদ মাধ্যমে।

দুই ভাইর বিদেশে পাড়ি জমানোর খবরে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে ওই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রন হক সিকদারের একটি গাড়ি জব্দ করে।

গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, রন হক সিকদার গত বছরের ৭ মে সকালে ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডিসহ গুলশানে এক্সিম ব্যাংকে যান। তারা তাদের প্রস্তাবিত ঋণের টাকার বিপরীতে ‘কো-লেটারেল’ হিসেবে সিকদার গ্রুপের রূপগঞ্জ কাঞ্চন প্রস্তাবিত আদি নওয়াব আসকারী জুট মিলটি পরিদর্শনের জন্য নিয়ে যান এমডি হায়দার আলী ও অতিরিক্ত এমডি ফিরোজকে।

ওই স্থানটি পরিদর্শন করে জায়গাটির বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে গ্রাহকের বন্ধকী মূল্যের বিশাল ব্যবধান হওয়ায় এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও অতিরিক্ত এমডি দ্বিমত পোষণ করেন।

এর জের ধরে ‘কৌশলে’ এক্সিম ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পূর্বাচলে নিয়ে ‘হত্যার উদ্দেশে গুলিবর্ষণ’ এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সেখান থেকে বনানী ১১ নম্বরে সিকদার হাউজে নিয়ে ‘হেনস্তা করা হয়’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে এজাহারে।

সেখানে বলা হয়, জমির দাম কম বলায় রন ও দীপু এক্সিম ব্যাংকের এএমডি ফিরোজকে ‘মারতে উদ্যত হলে’ তিনি মাফ চেয়ে প্রাণে বাঁচেন।

“রন হক সিকদার ও দিপু সিকদার (এক্সিম ব্যাংকের) এমডিকে প্রজেক্টের সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী আছে ব্যক্ত করে তাদের সাথে থাকা অস্ত্র তাক করে জোরপূর্বক একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়।”

এক্সিম ব্যাংকের এমডি, এএমডি ও দুই চালককে প্রায় ৫ ঘণ্টা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখে পরে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।

জয়নুল হক সিকদারের গড়া সিকদার গ্রুপের ব্যবসা ছড়িয়ে আছে ব্যাংক ও বীমা, বিদ্যুৎ, ইকনোমিক জোন, এভিয়েশন, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মত নানা খাতে।

এর সহযোগী কোম্পানির মধ্যে রয়েছে পাওয়ার প্যাক পোর্টস, পাওয়ার প্যাক ইকনোমিক জোন, সিকদার ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, পাওয়ার প্যাক হোল্ডিংস, সিকদার রিয়েল এস্টেট ও মাল্টিপ্লেক্স হোল্ডিংস।

কয়েকটি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠান করেছেন জয়নুল হক সিকদার। ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ পোস্ট সিকদার গ্রুপেরই একটি প্রকাশনা।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত এক দিনে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত চল্লিশ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম।

সবশেষ গতবছরের ৬ মে এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; সেদিন ৩ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।

শুক্রবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে মারা যাওয়া ৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৮ হাজার ২৫৩ জনের মৃত্যু হল।

আর গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪০৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৫ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪২২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৩৯৩ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০ কোটি ৭৮ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ লাখ ৬৯ হাজার।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬৫টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২১০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৩২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ লাখ ২২ হাজার ৩৪৫টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৮২ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭৬৬টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৯টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ আর নারী ১ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি এবং ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ৪ জন ঢাকা বিভাগের এবং ১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২৫৩ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২৫২ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ১ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৮৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৫৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪১২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ৪ হাজার ৬০৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫১৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৬ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৯ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৮ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৯ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

জাতীয়

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা জানিয়েছেন, মে মাসের মাঝামাঝি দেশজুড়ে বড় পরিসরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, এপ্রিলের ৭ তারিখে আরেকটি পৌরসভা নির্বাচন হবে। সেসময় কিছু ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে। এ জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হবে, কয়টি পৌরসভা ও ইউপিতে ভোট করা যায় তা পর্যালোচনা করা হবে। তবে রমজানে নির্বাচন হবে না। মার্চ মাসে কোন নির্বাচন হবে না। একমাস আমাদের ছুটিতে যেতে হবে কারণ, আমাদের ভোটার লিস্ট তৈরি করা, সেটা চূড়ান্ত করা, তালিকার সিডি করে প্রার্থীদের দিতে হবে।

তিনি বলেন, কোথাও কোথাও ভোটে সংঘাত হয়। এগুলো চলে গেলে খুশি হবো, কিন্তু যাচ্ছে না। আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনার দিক দিয়ে যা যা দরকার আমরা সব ঠিকভাবে দেখেছি।

জাতীয়

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এ বছরই আরও এক লাখ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পাকা ঘর দেওয়া হচ্ছে। এই এক লাখ ঘর দুই ধাপে দেওয়া হবে। এরমধ্যে এপ্রিলে ৫০ হাজার পরিবারকে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে, আর জুন-জুলাইয়ে দেওয়া হবে বাকি ৫০ হাজার পরিবারকে।

এজন্য ৫০ হাজার নতুন ঘর নির্মাণের কাজ আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি সমন্বয় সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, ডিসিসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রথম ধাপে সারা দেশের ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমি ও ঘর দেওয়া হয়েছে।একসঙ্গে একক গৃহ ও ব্যারাকে মোট ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং ঘর দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেনসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রী আজকে (বৃহস্পতিবার) নির্দেশনা দিয়েছেন যে আরও ৫০ হাজার ঘরের জন্য আজকে ১ হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে। এজন্যই আজ আমরা একত্রিত হয়েছি।

এবার ঘরের নকশায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বাজেটটা আরেকটু বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই ঘর প্রতি ২০ হাজার টাকা বাজেট বাড়ানো হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে যেসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল, প্রতিটি ঘরের জন্য পরিবহন খরচসহ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছিল। এবার আরও ২০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

জাতীয়

মহামারি করোনা ভাইরাসে আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু সামান্য বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও ৯ জনের মৃত‌্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ‌্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ২৪৮ জন। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৮ জন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ‌্যা দাঁড়ালো ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭১ জন।

সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ৬৮১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭১ জন।

এর আগে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দেশে আরও ৩৮৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান ১০ জন।

এদিকে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩৬ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাত কোটি ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ১৫০ জন।

জাতীয়

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খানের বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিল হচ্ছে।

পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয়-বরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নামও কাটা পড়ছে। মঙ্গলবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

সিদ্ধান্তগুলো সুপারিশ আকারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাবেক মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জামুকার সদস্য শাজাহান খান এমপি। মঙ্গলবার বিকালে তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, ‘জামুকার বৈঠকে জিয়াউর রহমান, শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খানের নামে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্মরণীয়-বরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নাম বাতিল করা হয়েছে।

এ ধরনের আরও ব্যক্তির নাম পাওয়া গেলে পর্যায়ক্রমে বাদ দেয়া হবে।’ এছাড়া এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বহালের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান শাজাহান খান। এর আগে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াহিদুর রহমান ও হাফিজুর রহমান মুন্সীর গেজেট ও সনদ বাতিল করেছিল মন্ত্রণালয়।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকারের খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট অনুসারে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ‘বীর উত্তম’, শরিফুল হক ডালিম ‘বীর উত্তম’, নূর চৌধুরী ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খান ‘বীর প্রতীক’ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয়-বরণীয় ব্যক্তিদের তালিকায় ছিল খন্দকার মোশতাকের নাম।

এদের মধ্যে শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খান স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

এসব খুনির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করলেও রাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের মর্যাদা বাতিল করেনি। গত বছরের ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জামুকার সভায় বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেহ উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করার সুপারিশ করলে ৫ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জামুকার বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিল করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জামুকার সদস্য মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান বীর প্রতীক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নামের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের খেতাব থাকতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে জামুকার বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

তাদের খেতাব বাতিল করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরও বৈঠক হবে, সভার কার্যবিবরণী সই হওয়ার পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রণালয়। তাই এ নিয়ে এখনি কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’

খেতাব বাতিলের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ওয়াকার হাসান বলেন, ‘রোহিঙ্গা গণহত্যার কারণে মিয়ানমারের নেত্রী সুচির নোবেল খেতাব কেড়ে নেয়া হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বে এ ধরনের আরও নজির রয়েছে। তাহলে জাতির পিতার হত্যাকারীদের নামের সঙ্গে কেন বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব থাকবে?

জামুকার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, ‘দেরিতে হলেও জামুকা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আমরা স্বাগত জানাই।

শুধু মুক্তিযুদ্ধের খেতাব ও সনদ বাতিল করলেই হবে না। তাদের নামে দেশে কোনো ধরনের স্থাপনা, রাস্তাঘাট বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও তা বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি রাজাকারদের চিহ্নিত করে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। রাজাকারদের সম্পদ অসহায় দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।’

জাতীয়

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই সময়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩৮৭ জন।

মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৩৮৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছে।

আর এই সময়ে নতুন ৮ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট ৮ হাজার ২২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, করোনা আক্রান্ত হয়ে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬৪২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

জাতীয়

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশে ব্যাপক উৎসাহের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি। টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনের পরপরই টিকা নিয়েছেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সচিব।

মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথমে টিকা নিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এছাড়া জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও টিকা নিয়েছেন।
সচিবদের মধ্যে টিকা নিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে তারা করোনার টিকা নিয়েছেন। এদিন সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এর মাধ্যমে দেশব্যাপী এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে একযোগে টিকাদান শুরু হয়।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ২০৫ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৯২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৬২ জনে।

রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৩১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৩ হাজার ৩৭২ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬২টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫৬২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৪০৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ১২টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার দুই দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৫ জনের মধ্যে ছয় ১১ পুরুষ, নারী চারজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়জন ও রাজশাহী বিভাগে এজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১২৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৪৯১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ২১১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ২৮০ জন।