জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১২ হাজার ৮৬৯ জনে। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯৭০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ১২ হাজার ৯৬০ জনে।

সোমবার (৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে গতকাল রবিবার (৬ জুন) দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯১৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ জন। ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৬৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ১৬৯টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৭ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১১, রাজশাহীতে ২, খুলনায় ৩, সিলেটে ৪, রংপুর ১ ও ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। এদের মধ্যে বাসায় ৩ জন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২২ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩ জন রয়েছেন।

জাতীয়

শনিবার সকালে প্রথম দফায় বৃষ্টি হয় রাজধানীতে। দুপুর ২টার দিকে শুরু হয় আরেক দফা বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা। সড়কপথ দেখলে মনে হয় এ যেন নৌপথ। এটি রাজধানী ঢাকার নিয়মিত চিত্র।

গত নয় ঘণ্টায় রাজধানীতে ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। তবে সহসাই কাটছে না বৃষ্টির এ ধারা। রাতেও নামতে পারে বৃষ্টি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের দেখা মিলতে পারে।

শনিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান বৃষ্টিপাতের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তিন ঘণ্টা পরপর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আপডেট করা হয়। এতে দেখা যায়, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২৯ মি.মি., ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৬ মি.মি. ও দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৫৬ মি.মি. বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।

এ আবহাওয়াবিদ বলেন, দেশে এখনো মৌসুমি বায়ু বয়ে যাওয়া শুরু হয়নি। হয়তো আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। ওই সময়ে দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

No description available.

এদিকে, আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখা যায়, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু ইয়াঙ্গুন উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবং তা আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৮০১ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৪৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৯ হাজার ৩১৪ জনে। মৃত ৪৩ জনের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও ১৩ জন নারী।
শনিবার (৫ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৬৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪২৫ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫০৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩১টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৭৬৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ১১৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ২৬০টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ০৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে আট জন, খুলনা বিভাগে পাঁচ জন, রাজশাহী বিভাগে ১২ জন, ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুই জন, রংপুর বিভাগে তিন জন ও সিলেট বিভাগের এক জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৫ জন, আর বাড়িতে মারা গেছেন এক জন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে পাঁচ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন, শূন্য থেকে ১০ বছরের নিচে এক জন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৭১৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৫৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৩৮ হাজার ৯৩১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন এক লাখ ১৮ হাজার ১০৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২০ হাজার ৮২৪ জন।

এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

মহামারি করোনা ভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা ও উদ্ভাবনী নীতিমালা করার মতো অনেক কিছুই নেই বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

শুক্রবার (৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী পর্যালোচনায় উপস্থাপন করা বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যে বাজেট ঘোষণা করেছেন তাতে স্বাস্থ্য, কৃষি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তবে প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বরাদ্দের কোনো সামঞ্জস্য নেই এবং পর্যাপ্ত বরাদ্দের ব্যবস্থাও করা হয়নি।

২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সরকার ঘোষিত ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮০ কোটি টাকার বাজেট বিশ্লেষণে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।

সিপিডি জানিয়েছে, উন্নয়নখাতে ব্যয়ের জন্য যে ৪০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার অংশীদার করা হয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি, পরিবহন ও যোগাযোগ এবং সামাজিক সুরক্ষা।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, সামস্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর বাজেট অনুমতিগুলো দুর্বল ও বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। বাজেটে নতুন গরিবদের জন্য বৈষম্য কমানোর মতো তেমন কিছু নেই।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৭৫৮ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৮৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৭ হাজার ৮৬৭ জনে। মৃত ৩৪ জনের মধ্যে পুরুষ ২০ জন ও ১৪ জন নারী।
শুক্রবার (৪ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭২৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫০৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩১টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৮ হাজার ৪৫৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ১৫১ টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬০ লাখ ২১ হাজার ১৪৫টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৬ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, ও সিলেট বিভাগে ৩ জন, রংপুর বিভাগে ৫ জন ও বরিশাল বিভাগের ১ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩ জন, বাড়িতে ৩ জন রয়েছেন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে ২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, শূন্য থেকে ১০ বছরের নিচে ১ জন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৮৬০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৩০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৩৮ হাজার ২১৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৫০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২০ হাজার ৩৬৭ জন।

এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে; সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ১ হাজার ৭৬৫ জনের মধ্যে।

দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যুর এই সংখ্যা ৩ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৬ মে ১ হাজার ৮২২ জন আক্রান্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর একদিনে ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল ৯ মে।

গত কয়েক দিন ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও আবার তা বাড়তে শুরু করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ২ হাজার ৩০৫ জন হয়েছে। আর করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৬৬০ জন।

সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ৭৭৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪২ হাজার ১৫১ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা আট লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৭ কোটি ৭ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৩৫ লাখের বেশি মানুষের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫০৩টি ল্যাবে ১৮ হাজার ২৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৩টি নমুনা।

মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২৬ জন পুরুষ আর নারী ১৫ জন। তাদের ২৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ১০ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৩ জন বাড়িতে মারা যান।

তাদের মধ্যে ২৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

মৃতদের মধ্যে ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৬ জন রাজশাহী বিভাগের,৪ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের এবং ৩ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৬৬০ জনের মধ্যে ৯ হাজার ১৩৯ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৫২১ জন নারী।

জাতীয়

ঢাকার মহাখালী আর বনানী থেকে গত দুই দিনে যে ব্যক্তির লাশের খণ্ড খণ্ড অংশ উদ্ধার করা হয়েছিল, তার প্রথম স্ত্রীই তাকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলছেন, ময়না মিয়া নামের ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি দ্বিতীয় স্ত্রীর দিকে ‘বেশি মনোযোগ’ দেওয়ায় ক্ষোভ থেকে তাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন তার প্রথম স্ত্রী ফাতেমা বেগম শিল্পী।

“জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে হাত ও মুখ বেঁধে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর স্ত্রীই তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে ছয় টুকরা করে।”

নিহত ময়না মিয়া পেশায় ছিলেন অটোরিকশা চালক।

( নিহত ময়না মিয়া পেশায় ছিলেন অটোরিকশা চালক )

রোববার রাত ৯টার দিকে বনানী থানা এলাকার মহাখালী কাঁচা বাজারের কাছে সড়কে একটি প্লাস্টিকে ড্রাম থেকে এক ব্যক্তির হাত-পা-মাথাহীন দেহখণ্ড উদ্ধার করে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা সে সময় জানিয়েছিলেন, বৃষ্টির মধ্যে ড্রামটি সেখানে ফেলে গিয়েছিল কেউ।

এরপর সোমবার ভোররাতে মহাখালী বাস টার্মিনালে একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয় চারটি খণ্ডিত হাত-পা। তখনও মাথাটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

উদ্ধার করা ওই হাত থেকে আঙুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেইজের সঙ্গে মিলিয়ে পুলিশ জানতে পারে, নিহতের নাম ময়না মিয়া, বাড়ি কিশোরগঞ্জে।

এরপর সোমবার দুপুরে বানানীর একটি অফিস থেকে ময়না মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম শিল্পীকে (৩২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যেই সোমবার বিকালে বনানী লেক থেকে ময়না মিয়ার মাথা উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন বলেন, ঢাকার বানানীর টিঅ্যান্ডটি কলোনির একটি টিনশেড ঘরে প্রথম স্ত্রী ফাতেমাকে নিয়ে থাকতেন ময়না মিয়া। আর দ্বিতীয় স্ত্রী থাকেন গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। ফাতেমার ঘরে ১০ ও ৬ বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে ময়নার।

“জিজ্ঞাসাবাদে ফাতেমা বলেছেন, তাকে সময় না দিয়ে ময়না মিয়া দ্বিতীয় স্ত্রী নাসরিনকে বেশি সময় দিত। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।”

স্বামীকে খুন করার আগে ফাতেমা তার দুই সন্তানকে ময়মনসিংহে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বলে পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ময়না মিয়ার একটি অটোরিকশা আছে কিশোরগঞ্জে। তিনি সেটা নিজে চালাতেন, আবার কখনও অন্য চালককে ভাড়াও দিতেন। সেখানে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেই তিনি বেশিরভাগ সময় থাকতেন।

প্রথম স্ত্রী ফাতেমা বনানী এলাকায় একটি বেসরকারি অফিসে রান্নার কাজ করেন। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই সংসার খরচের টাকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সমস্যা চলছিল। গত ২৩ মে থেকে ময়না মিয়া ঢাকায় ফাতেমার সঙ্গেই ছিলেন।

ফাতেমাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন বলেন, “স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করার পর ফাতেমা কড়াইল এলাকা থেকে দুই পাতা ঘুমের ট্যাবলেট কিনে আনেন। শুক্রবার রাতে জুসের সাথে স্বামীকে তা খাইয়ে দেন। তাতে পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়না মিয়া ঘুমে অচেতন থাকেন।

“সন্ধ্যার দিকে কিছুটা জ্ঞান ফিরে পেয়ে তিনি স্ত্রীকে গালমন্দ করতে শুরু করেন এবং আক্রমণ করতে গিয়ে বিছানায় লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তিনি ‘পানি পানি’ বলে আর্তনাদ করলে ফাতেমা আবারও ঘুমের ট্যাবলেট মেশানো জুস তার মুখে ঢেলে দেন।”

ফাতেমা পুলিশকে বলেছেন, ময়না আবার নিস্তেজ হয়ে খাটে পড়ে গেলে তিনি ওড়না দিয়ে তার দুই হাত শরীরের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন এবং টেপ দিয়ে মুখ আটকে দেন।

যুগ্ম কমিশনার হারুন বলেন, “ফাতেমা একটি চাকু দিয়ে ময়নার গলা কাটা শুরু করলে তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। নিজের হাত মুক্ত করে ময়না তার হাতে খামচি ও কামড় বসিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে দুজন  খাট থেকে পড়ে গেলে ফাতেমা ভিকটিমের বুকের উপরে উঠে তার গলার বাকি অংশ কেটে দেয়।”

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বামীকে হত্যার পর সারা রাত লাশের পাশেই ছিলেন ফাতেমা। সকালে লাশ গুম করার জন্য তিনি চাকু আর দা দিয়ে ময়নার লাশ ছয় টুকরা করেন এবং খণ্ডিত অংশ তিন ভাগ করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা হারুন বলেন, “১৩ শ টাকা দিয়ে রিকশা ভাড়া করে প্রথমে আমতলী এলাকায় ড্রামে ভরা শরীরের মূল অংশ ফেলে দেন ফাতেমা। পরে মহাখালীর একটি বাস কাউন্টারের সামনে দুই হাত, দুই পা ভর্তি ব্যাগ রেখে চলে যান।

“সেখান থেকে বাসায় এসে কাটা মাথা আরেকটি ব্যাগে ভরে তিনি বনানী ১১ নম্বর ব্রিজের পূর্বপ্রান্তে যান। গুলশান লেকে সেই ব্যাগ ফেলে দিয়ে তিনি বাসায় ফিরে যান।”

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, এ পর্যন্ত তদন্তে তারা যে তথ্য পেয়েছেন, তাতে ফাতেমা একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

রিকশা চালক কিছু জানত কি না- এই প্রশ্নে পুলিশের এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, “হয়ত কিছু বুঝতে পেরেছে। পুলিশ সেই রিকশাচালককে খুঁজছে।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ফাতেমার দেওয়া তথ্যে তার বোরখা, ভিকটিমের রক্তমাখা জামাকাপড়, ছুরি, দা, পেয়ালা ও  শীল-পাটা উদ্ধার করা হয়েছে।

ময়নার দ্বিতীয় স্ত্রী নাসরিন বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেছেন, সেখানে ফাতেমাকেই একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

জাতীয়

সতের দিনে আরও প্রায় পাঁচশ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ১২ হাজার ৫১১ জনের।

সংক্রমণের বিস্তার রোধে কঠোর লকডাউনের মধ্যেই গত ১১ মে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা ১২ হাজার পেরিয়েছিল। তার সঙ্গে আরও পাঁচশ নাম যুক্ত হতে সময় লাগল ১৭ দিন।

গত এক দিনে আরও ১ হাজার ৩৫৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ জন হয়েছে।

সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ৬৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন; এ পর্যন্ত সুস্থ মোট হয়েছেন ৭ লাখ ৩৬ হাজার ২২১ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৫ লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৯৭টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৬০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ১ হাজার ৮৭৪টি নমুনা।

শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৩ লাখ ১১ হাজার ৪২২টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৪৫২টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৮ জন পুরুষ আর নারী ১৩ জন। তাদের ২৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ৪ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

তাদের মধ্যে ১৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, ১ জনের বসয় ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।

মৃতদের মধ্যে ১০ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৬ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ২ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৫১১ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৩৭ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৪৭৪ জন নারী।

জাতীয়

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচারকালে ট্রাকভর্তি সরকারি বই জব্দ করেছে থানা পুলিশ। এ সময় অমৃত মোদক (৫৬) ও মো. সেলিম মিয়া (৫২) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃস্পতিবার (২৭ মে) দিবাগত রাতে ঝিনাইগাতী বাজার এলাকা থেকে ট্রাকসহ বইগুলো জব্দ করা হয়।

আটক অমৃত মোদক উপজেলার ঘোষগাঁও এলাকার মৃত হেমন্ত মোদকের ছেলে ও সেলিম মিয়া রামেরকুড়া এলাকার মৃত গোলাপ হোসেনের ছেলে। তারা দুইজনই পুরাতন ভাঙ্গারি মালামাল কেনাবেঁচা করে। জব্দ করা বইগুলো জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ২০২১ সালসহ বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের এবং বিভিন্ন শ্রেণীর। জব্দ করা বইগুলোর মধ্যে বাংলা, ইংরেজী, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, আনন্দ পাঠসহ বিভিন্ন শ্রেণীর বই রয়েছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঝিনাইগাতী বাজার এলাকা থেকে মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণীর (ঢাকা মেট্রো ট- ১৪-১৩০৫) ট্রাকভর্তি প্রায় ৩ হাজার ৭০০কেজি ওজনের বই পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এলাকা ঘুরে পুরাতন ভাঙ্গারি মালামাল কেনার ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে এসব বই কিনে নিয়েছে তারা। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, এ বিষয়ে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন। পরে ঘটনা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান বলেন, শিক্ষা বিভাগে বই আসার পর সেগুলো চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়। সুতরাং এসব বই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিক্রি করা হতে পারে।

জাতীয়

আরেক দফা ছুটি বাড়িয়ে আগামী ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বুধবার (২৬ মে) এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী ১২ আগামী জুন পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধির ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টিভিতে দেখছি ১২ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়লো। আবারও বলছি ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কারো ছয় দিন হবে কারো একদিন দিন হবে। যারা ২০২১ সালে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা দেবে তারা সপ্তাহে ছয় দিন এবং অন্য ক্লাসগুলোর একদিন ক্লাস হবে এবং পর্যায়ক্রমে এটা বাড়ানো হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েরটা সিদ্ধান্ত নেব ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খুব শিগগিরই আলোচনা করে তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে কত দ্রুত খুলে দিতে পারি, আমরা সেই চেষ্টা করব।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, আমরা স্কুলগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পঞ্চম শ্রেণিগুলো সপ্তাহে ছয়দিন এবং বাকিগুলো একদিন করে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন আমরাও (প্রাথমিক) ১৩ জুন থেকে স্কুলগুলো খোলার চেষ্টা করব।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যেন দ্রুত খুলে দিতে পারি সেজন্য আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যেন সংক্রমণের হার না বাড়ে। সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের মধ্যে এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। আমি অনুরোধ করবো সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি যাতে আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইন রেডিও এবং সংসদ টিভিতে পাঠদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবশেষ আগামী ২৯ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।