জাতীয়

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের প্রায় সব সদস্যদের হত্যা করা হয়। ইতিহাসের আলোচিত এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মেজর ডালিমের পর এবার প্রথমবার মুখ খুলেছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এম রাশেদ চৌধুরী (বীরপ্রতীক)।

শুক্রবার রাতে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে লাইভে যুক্ত হন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ চৌধুরী জানান, ১৫ আগস্টের অপারেশনের নেতৃত্বে ছিলেন ফারুক, আর রশিদের দায়িত্ব ছিল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের একত্রিত করা। শেখ মুজিবের বাসা, সেরনিয়াবাত, রেডিও স্টেশন ও শেখ মণির বাসাকে টার্গেট করা হয়। মেজর ডালিম রেডিও স্টেশন ও সেরনিয়াবাতের বাসার দায়িত্বে ছিলেন, আর রাশেদ চৌধুরী ছিলেন রেডিও স্টেশনে ডালিমের অধীনে।

তিনি জানান, কিভাবে শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত হয়েছিলেন। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কেন ঘটালেন? জানতে চাইলে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরী জানান, যুদ্ধের পর দেশের অবস্থা দেখে তারা হতাশ হন। ১৯৭২-৭৫ সালের দুর্ভিক্ষ ও লুটপাটের পরিস্থিতি তরুণ অফিসারদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। পরিবর্তনের উপায় নিয়ে গোপনে আলাপ চললেও সিনিয়ররা তা প্রকাশ করতেন না। ১৯৭৫ সালের ঘটনাটি আগে থেকেই পরিকল্পনা করা হলেও বাকশাল গঠনের পর চিন্তাভাবনা আরও গভীর হয়।

তিনি বলেন, তবে আমি মূল পরিকল্পনার অংশ ছিলাম না, শুধু আলাপ-আলোচনা করতাম।

তিনি আরও বলেন, ভোরের দিকে রেডিও স্টেশন টেকেন ওভার করে ভাষণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয় এবং পরে ডালিম এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘উই হ্যাভ ডান ইট।’

অপারেশনে যাওয়ার আগে বিস্তারিত ব্রিফিং করা হয়নি জানিয়ে রাশেদ চৌধুরী বলেন, মুজিবের ভাগ্য কী হবে তা আমরা জানতাম না। মুজিবকে বাসায় মারার কোনো প্ল্যান ছিল না; পরিকল্পনা ছিল তাকে অ্যারেস্ট করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে এসে সামারিক কোর্ট মার্শাল করা। রশিদ ও ফারুক ছিলেন অরিজিনাল প্ল্যানার। এরপর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রশিদ খন্দকার মোশতাককে নিয়ে রেডিও স্টেশনে আসেন এবং তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়; কারণ তিনি তখন বাংলাদেশের নতুন প্রেসিডেন্ট। এরপর রেডিও স্টেশনটি নতুন সরকারের হেডকোয়ার্টার হয়ে ওঠে।

রাশেদ চৌধুরী বলেন, মুজিবের বাসভবনে কী ঘটেছিল তা আমি সরাসরি দেখিনি, তবে পরবর্তীতে জানতে পেরেছি। আমার বইয়ে মেজর বজলুল হুদার স্টেটমেন্টে উল্লেখ রয়েছে, তিনি সৈন্য নিয়ে ভোরে মুজিবের বাসভবনে পৌঁছে সুবেদারকে জানান, আর্মি হ্যাজ টেকেন ওভার, মুজিব ইজ নো মোর ইন পাওয়ার। এরপর শেখ কামাল স্টেনগান নিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে নিচে আসেন এবং তার স্ত্রী সুলতানা অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে দোতলা থেকে নিচে গুলি করতে শুরু করেন। এতে এক সিপাহি নিহত হন, কয়েকজন আহত হন; যা দেখে অন্যান্য সিপাহিরা ক্ষেপে যান।

বজলুল হুদার মতে, শেখ কামাল ও সুলতানা প্রথমে গোলাগুলি শুরু করেন। শেখ কামাল সিঁড়ি দিয়ে নিচে আসছিলেন, গুলি করতে করতে চিৎকার করছিলেন। দোতলা থেকে গুলি এসে এক সিপাহি মারা গেলে, একজন গালি দিয়ে বলেছিলেন, ‘শালার গোষ্ঠীসুদ্ধ মেরে দে।’ শেখ মুজিবের বাসার চাকরও স্বীকার করেছে যে গোলাগুলি প্রথমে তারা শুরু করেছিলেন। পরে সিপাহিরা গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়, আর হুদা লোকজন নিয়ে প্রবেশ করেন। সে সময় শেখ কামাল মারা যান।

হুদার বরাত দিয়ে রাশেদ চৌধুরী বলেন, তিনি কয়েকজনকে নিয়ে ওপরে গিয়ে শেখ মুজিবকে নামানোর চেষ্টা করেন, মেজর মহিউদ্দীনও সঙ্গে ছিলেন। শেখ মুজিব ঘর থেকে বের হলে, শেখ জামাল ও সুলতানা আবার ওপর থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এক গুলিতে মুজিবের পেছনে থাকা সিপাহি পড়ে যায়। মুজিব দাঁড়িয়ে থাকলেও, হুদা আর মহিউদ্দীন ডাক করে নিজেদের বাঁচান। গুলির শব্দে লাঞ্চারের লোকজনও এসে পালটা গুলি চালায়। একপর্যায়ে মুজিবের গায়ে গুলি লাগলে তিনি পড়ে যান।

শেখ রাসেলকে কেন হত্যা করা হলো জানতে চাইলে রাশেদ চৌধুরী বলেন, সবাই দোতলার একটা রুমে বন্ধ ছিল। শেখ মুজিব পড়ে গেলে ওপর থেকে জানালা দিয়ে গোলাগুলি শুরু হয়। বজলুল হুদার মতে, কয়েকজন সিপাহি জানালা দিয়ে গ্রেনেড ড্রপ করে। ওই গ্রেনেড ব্লাস্ট হয়ে বাকি সবাই একসঙ্গে মারা যান। রাসেল নিচে আসেনি। শুধু শেখ কামাল নিচে মারা যান। মুজিবের মৃত্যুর পর ফরেনসিক করলে হয়তো দেখা যেত তারা কিভাবে মারা গেছে, গুলিতে না গ্রেনেড বিস্ফোরণে।

রাশেদ চৌধুরী বলেন, শেখ মুজিব ১৯৭২ সালে ঢাকা ফিরে আসার পর জনগণের বিপুল ভালোবাসা পেয়েছিলেন; যা অন্য কোনো নেতা পায়নি। শেখ মুজিব একাত্তরের আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে তার শাসনভঙ্গি পরিবর্তিত হয়। তিনি তখন গণতন্ত্রের পক্ষে না হয়ে, স্বৈরাচারী হয়ে ওঠেন; যা ছিল খুবই আশ্চর্যজনক।

জাতীয়

অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখে স্যার এএফ রহমান হলের সামনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা লাঠি নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। এ সময় স্যার এএফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান নেন।

এ সময় দুপক্ষ ঢিল মারতে থাকেন।একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া শুরু হয়।এ অবস্থায় ঢাবি এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ একটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে সন্ধ্যায় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী পাঁচ দফা দাবিতে সায়েন্স ল্যাব মোড় ও টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেন। এতে সায়েন্স ল্যাব এলাকা, নীলক্ষেত মোড় ও এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঘরে ফেরা মানুষ।

জানা গেছে, সাত কলেজের ভর্তির আসন কমানোসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে বিকেলে শতাধিক শিক্ষার্থী আলোচনা করতে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের কার্যালয়ের সামনে যান। অধ্যাপক মামুন আহমেদ দুই-তিনজন প্রতিনিধিকে তার কার্যালয়ে এসে কথা বলতে অনুরোধ করেন। তবে সে অনুরোধ উপেক্ষা করে সবাই কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকেন। এসময় ‘মব’ সৃষ্টি অধ্যাপক মামুন তাদের সঙ্গে আর কথা বলেননি। পরে এর প্রতিক্রিয়ায় সেখান থেকে তারা বেরিয়ে অবরোধ শুরু করেন।

ডিএমপির রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার তারিক লতিফ বলেন, সাত কলেজে ভর্তির আসন কমানোসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসিসহ ইউনিটের দায়িত্বরত শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেন। শিক্ষকেরা নাকি তাদের কথার কোনো গুরুত্ব দেননি। এরই প্রতিবাদে তারা সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন।

সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পারসন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, আগামী ১ ঘণ্টার মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কাছে রাস্তায় এসে ক্ষমা না চাইলে শিক্ষার্থীরা তার বাসভবন ঘেরাও করবে।

জাতীয়

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৬৬ জনের নামে বগুড়ায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২০০ জনকে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে বগুড়া সদর থানায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

বাদী রফিকুল ইসলাম গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা এলাকার টুল্লু ফকিরের ছেলে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন—বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুর রহমান দুলু, রফি নেওয়াজ খান রবিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিস পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক, মাহফুজুল ইসলাম রাজ, শাজাহানপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ছোহরাব হোসেন ছান্নু, আনোয়ার হোসেন রানা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়, নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, অসীম কুমার রায়, আল রাজি জুয়েল, মাশরাফি হিরো, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা, চেয়ারম্যান আবু জাফর, সুইপার সোহেল, আহসান হাবিব সবুজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, নাছিমুল বারী নাছিম, জুলকার নাইন, ফিরোজ আহমেদ রিজু, বিএনপির সাবেক নেত্রী বিউটি বেগম, তৌহিদুর রহমান মানিক, আমিনুল ইসলাম দুদু, রেজ্জাকুল ইসলাম রিজু, হোসাইন শরিফ সঞ্চয়, এস এম রুপম, মহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইস্ললাম শহিদ, মো. বেলাল, আব্দুল গফুর হাজী, এসকেন্দার আলী শাহানা প্রমুখ।

এ ছাড়াও বিএনপিপন্থি সাংবাদিক সেলিম উদ্দিনকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলায় সেলিম উদ্দিনকে বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগমের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে শহরের কাঁঠালতলা এলাকায় আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনাসহ ৫ নম্বর পর্যন্ত এবং ২৭-২৯ নম্বর আসামিদের হুকুম ও নির্দেশে ৬-৭ নং আসামির নেতৃত্বে বাকি আসামিরা আন্দোলনের ওপর ককটেল নিক্ষেপ, গুলি বর্ষণ এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।

এতে বাদীর ছেলের ডান পাশের কোমরে নিচের উরুতে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাদী তাঁর ছেলের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় মামলা দায়ের করতে বিলম্ব করেছেন বলেও উল্লেখ করেন।

জাতীয়

দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একাধিকবার শিক্ষা কারিকুলাম ও পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো স্থায়ী শিক্ষা কমিশন করা হয়নি। গবেষণা ও যাচাই-বাছাই ছাড়া শিক্ষায় নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ফলপ্রসূ কোনো কিছু হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিভ্রান্ত হয়েছেন শিক্ষক-অভিভাকরাও। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদকে আহ্বায়ক করে নয় সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ছাড়াও প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে।

আগামী সপ্তাহে এই পরামর্শক কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ভাবছে। এতে শিক্ষায় নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উঠে এসেছে। তার মধ্যে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন করা, শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বাড়ানো, দুর্বল বা পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ের মধ্যেই পৃথক ব্যবস্থা রাখা, শেখার দিক বিবেচনা করে বিদ্যালয়গুলোকে লাল, হলুদ ও সবুজ এই তিন শ্রেণিতে গ্রেডিং করাসহ একগুচ্ছ সুপারিশের চিন্তাভাবনা করছে পরামর্শক কমিটি।

কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মনজুর আহমদ যুগান্তরকে বলেন, পরামর্শক কমিটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের ওপর বেশি জোর দিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ হিসাবে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো ও আলাদাভাবে নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে বলবে কমিটি। আগামী সপ্তাহে এই সুপারিশ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

জাতীয়

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ২৩ মিনিটে তীব্র ঝাঁকুনি অনুভূত হয়।

যদিও এটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভারতের মণিপুর রাজ্যের ওয়াংজিং থেকে ১০৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয়েছে। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।

ভূমিকম্পটির প্রভাবে মিয়ানমার, ভারতের কয়েকটি রাজ্য ও বাংলাদেশে শক্তিশালী কম্পন হয়।

অন্যদিকে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার। এটি মাটির ১১২ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রোববার বঙ্গভবনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

এ সময় তারা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং সমাজের দর্পণ। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ, দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের গৌরবময় অবদানের কথা স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজে সুবিচার, ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় এবং মানুষের মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সাংবাদিক সমাজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

গুজব, অপপ্রচার, অপতথ্য ও বিকৃত তথ্য প্রচার প্রতিরোধে এবং এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকার ওপর জোর দেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মো. সরওয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে চার দিনের সরকারি সফরে আজ রাতে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিউল আলম বাসসকে জানান, অধ্যাপক ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (আজ) রাত ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

এই সফরের সময় প্রধান উপদেষ্টা জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং থাই প্রধানমন্ত্রী পায়েংটার্ন শিনাওয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা শেখা লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড, মেটাতে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল ডঃ অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক ডঃ এনগোজি ওকোনজো-আইওয়ালার সংগেও বৈঠকে মিলিত হবেন।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বাংলাদেশ নিয়ে একটি পৃথক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে যেখানে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী নেতা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান নির্বাহীরা যোগ দেবেন।

আগামী ২৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

জাতীয়

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আজ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউনাইটেড ন্যাশনস্ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে আজ একটি হোটেলে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচারসেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক একটি রিজিওনাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সেমিনারে স্বাগত বক্তৃতা করেন ইউএনডিপি’র স্টিফান লিলার। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব সভাপতিত্ব করেন।

সেমিনারে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, শ্রম আদালত, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের প্রশিক্ষণ শাখা হতে চট্টগ্রামে কর্মকরত ৫৭ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে এই সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত করে সরকারি আদেশ জারি হয়েছিল। এছাড়াও সেমিনারে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সরকারি কৌশুলি, পাবলিক প্রসিকিউটরসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান বিচারপতি তার বক্তৃতায় বলেন, ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণার পর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে ইতোমধ্যে জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠনে খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য তৈরিকৃত এ খসড়া অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকগণের বদলি ও পদোন্নতিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নসহ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রধান বিচারপতি ফেলোশিপ চালু করার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে কাগজমুক্ত কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, স্বচ্ছ ও সহজলভ্য বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঘোষিত রোডম্যাপের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ দেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের যাত্রা আরও সুসংহত করবে।

জাতীয়

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অডিও বক্তব্য ছড়িয়েছে। এবারের অডিও বক্তব্যটি আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও পোস্ট করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে এটি পোস্ট করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের এ অডিও বক্তব্যটি এসেছে। তবে তিনি কোথায় বক্তব্য দিয়েছেন সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও কিছু জানানো বা লেখা হয়নি।

অডিও বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আর রেহেনা যে বেঁচে গেলাম মাত্র ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে আমরা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। আমার আসলে এটাই মনে হয় ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যাওয়া বা কোটালীপাড়ার ওই বিশাল বোমার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া আবার এ ২৪-এর ৫ আগস্ট বেঁচে যাওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই আল্লাহর কোনো একটা ইচ্ছা আছে, হাত আছে। না হলে এবার তো বেঁচে যাওয়ার কথা না। … তবুও এটা বোধ হয় আল্লাহরই একটা রহমত যে, আল্লাহ আমাকে আর কিছু কাজ করাতে চান বলে তাই আমি এখনও বেঁচে আছি। যদিও আমার কষ্ট হচ্ছে আমি আমার দেশ ছাড়া, ঘর ছাড়া সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। ’

ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন ও শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এ পাঁচ মাসে তার বেশ কিছু কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। এসব অডিও বক্তব্যে ‘চট করে দেশে ঢুকে পড়া’সহ শেখ হাসিনার নানা বক্তব্য পাওয়া গেছে।

তবে একবারের জন্যও তার মুখ দেখা যায়নি গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোথাও।

২০২৪ সালের শুরুতে বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার মাত্র সাত মাসের মাথায় তীব্র জনরোষে গত বছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হন টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী। ওইদিনই তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন।

জাতীয়

উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য একটি স্বাধীন ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠনে একটি অধ্যাদেশ চূড়ান্ত হয়েছে। এজন্য গতকাল (১৬ জানুয়ারি) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সুপ্রিমকোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়।

শুক্রবার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সুপ্রিমকোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে। শিগগিরই লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের রুটিন ভেটিং সাপেক্ষে অধ্যাদেশটির খসড়া চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কার রোডম্যাপের পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়নে বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত হবে।

গণসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দেশের বিচার বিভাগের মানোন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২১ সেপ্টেম্বর তিনি সুপ্রিমকোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা, সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং দেশের জেলা আদালতগুলোর বিচারকদের সম্মুখে বিচার বিভাগ আধুনিকায়নের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। এই রোডম্যাপে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য একটি স্বাধীন ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠন করার বিষয়ে তিনি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত আইন, বিধি-বিধান, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, প্রথাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিষদ গবেষণা পরিচালনাপূর্বক একটি প্রস্তাব আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সুপ্রিমকোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়।