কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেছেন, ‘আমি আজকে বিএনপির পতন ঠেকানোর জন্য আমার জীবনটা সামনে লেলিয়ে দিয়েছি। শুরু হবে টার্নিং পয়েন্ট ৭ জানুয়ারি থেকে। আমি ট্রাক থামাব, বিএনপির পতনের ট্রাক ইনশাআল্লাহ থামাব। আমি এজন্য একজনমাত্র সারা বাংলাদেশে বিরোধী দলের প্রার্থী দাঁড়িয়েছি। মনে রাইখেন- একজন যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলে। আপনারা (আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে বলেন) আমাকে সমর্থন করেছেন ধন্যবাদ। সেটাও শেখ হাসিনাকে বাঁচানোর জন্যই। নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি বিরোধী দলের আমি একজন। আমি ঘরে ঘুমিয়ে থাকলেও পাশ করব। কেন বলছি, এগুলো হলো রাজনৈতিক বাস্তবতা।’
তার এমন বক্তব্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। নানা গুঞ্জন ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মত ও পথের অনুসারী লোকজনের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার রাতে কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক পথসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মেজর আখতার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিশোরগঞ্জের জেলার সংসদ সদস্যদের জন্য ভোট চেয়েছেন। বিকাল বেলায় তিনি কিশোরগঞ্জের স্টেডিয়ামে মিটিং করে ঢাকা থেকে ভিডিওর মাধ্যমে ভোট চেয়েছেন। উনি কী বলছেন শুনবেন। উনি বলছেন, এবার যেহেতু নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানারকম চক্রান্ত হচ্ছে। সেজন্য নির্বাচনের পরিবেশটা যাতে সুন্দর হয়, উৎসবমুখর হয় এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়- এ কারণে আমরা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। নৌকা মার্কা দিয়েছি। পাশাপাশি আরও যারা দাঁড়াতে চায় তারাও দাঁড়াবে। নির্বাচনে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার যার ভোট সে দেবে। যার যার ভোট সে চাইবে। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। আপনাদের কিন্তু কয় নাই কই ভোট দিতে হইব। জনগণ যারে পছন্দ করবে তারেই ভোট দেবে। এ রকম বক্তব্য তো অন্য জেলায় দেয় নাই। উনি তো সব জেলায় বক্তব্য দিচ্ছে। তার মানে কি চাচ্ছেন নৌকা তো (জেলার) বাকি চারটের মধ্যে যাইবই। আর একটা নৌকা যেন না আইয়ে এই পথটা উনি রাইখা দিছেন। কাজেই ভাই আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নাই।’