জাতীয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, পুলিশের পোশাক-লোগো পরিবর্তন করা হবে। কারণ হচ্ছে, কর্মবিরতিতে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা আর এ পোশাকে ফিরতে চান না। অর্থাৎ নতুন পোশাক ও লোগো নিয়ে কর্মে ফিরতে চান। আশা করছি, খুব শিগগিরই এ বাহিনীর পোশাক ও লোগোর পরিবর্তন করা হবে।

রোববার দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, যেসব পুলিশ অনিয়মে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে রংপুরে আবু সাঈদের নিহতের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। শুধু তাই নয়, যারা হুকুমদাতা তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, পুলিশ কমিশন নীতি গঠন করা হবে। কোনো পলিটিক্যাল পার্টি যেন পুলিশকে মিসইউজ করতে না পারে, এটিই হচ্ছে মোদ্দাকথা।

জাতীয়

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীর সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ আদেশ দেন।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গত ১২ জুন অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী মামলার প্রসিকিউশন প্রত্যাহারের জন্য আজ আদালতে আবেদন করে দুদক। বিচারক মো. রবিউল আলম আবেদন গ্রহণ করেছেন বলে দুদকের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

এর আগে বুধবার ড. ইউনূসকে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলা থেকে খালাস দেন আদালত।

দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করেন। পরে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জাতীয়

পাহাড়িদের একটি অংশের বিরোধিতার মুখেই আজ শপথ নিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুপ্রদীপ চাকমাকে উপদেষ্টা করায় চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের সহধর্মিণী রানি য়েন য়েন রায়ের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীসহ পাহাড়িদের একটি অংশ বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছে।

তারা সুপ্রদীপকে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যায়িত করে তাকে সরানোর দাবিতে শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করেছেন।

এ সময় অবিলম্বে সুপ্রদীপকে সরিয়ে তাদের সঙ্গে বসে অন্য একজনকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি জানান তারা।

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে দাবিটি জোরালো করা হচ্ছে। এসব স্ট্যাটাসে সুপ্রদীপ চাকমাকে সরিয়ে রাঙামাটির চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, সাবেক রাঙামাটি জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের চেয়ারম্যান গৌতম দেওয়ান ও অধ্যাপক মংসানু মারমা-এ তিনজনের মধ্যে যে কোনো একজনকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে।

মানববন্ধনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি রেং ইয়ং ম্রো বলেন, আদিবাসীদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করেই তাদের প্রতিনিধি ঠিক করা আদিবাসীদের সঙ্গে এক ধরনের মশকরা। আমরা এতদিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে দেশকে নতুন করে স্বাধীন করেছি। কিন্তু নতুন সরকার এসেই আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক একটা আচরণ করেছে।

রাঙামাটির চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রানি য়েন য়েন বলেন, ৯ আগস্ট আদিবাসী দিবস আমাদের কাছে মহৎ একটা দিন। কিন্তু এদিনেই আমাদের সঙ্গে নতুন সরকার মশকরা করছে। যেই ব্যক্তিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি করা হয়েছে, তিনি সব সময় ‘জি স্যার’ করার লোক। তিনি কখনোই আমাদের হয়ে কিছুই করতে পারবেন না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা করতে পারবেন না। তাই আমরা চাই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমাদের প্রতিনিধি ঠিক করা হোক।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, তারা কী কারণে আমার বিরোধিতা করছেন তা আমার জানা নেই। সেটা তাদের বিষয়। আমি তো উপদেষ্টা হতে চাইনি। আমাকে যে উপদেষ্টা করা হয়েছে, তাও জানা ছিল না। পরে তা আমাকে জানানো হলে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাতে সম্মতি প্রকাশ করেছি।

তিনি জানান, আজ তিনিসহ তিন উপদেষ্টাকে শপথ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

সুপ্রদীপ চাকমার জন্ম ১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ১৯৮৫ সালে সপ্তম বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন তিনি।

চাকরি জীবনে সচিব পর্যায়সহ দেশে-বিদেশে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

এছাড়াও তিনি রাবাত, ব্রাসেলস, আঙ্কারা ও কলম্বোতে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিভিন্ন কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন। মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদ থেকে ২০২১ সালে অবসর নেন তিনি।

জাতীয়

আপনার মোবাইল ফোন অ্যান্ড্রয়েডে কোনোভাবেই ইন্টারনেট কাজ করছে না? সম্ভবত সেটিংয়ে কোনো হেরফের হওয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। কী কারণে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইন্টারনেট কাজ করছে না, তা দেখে নেওয়া যাক।

আপনার ফোনটি ডুয়াল সিম বা দুটি সিম সমর্থন করলে নিশ্চিত করুন, আপনার মোবাইল ডেটার জন্য সঠিক সিম ব্যবহার করছেন কিনা। কোন সিমের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান, তা নির্বাচন করে সেটে সংযোগ দিন। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, আপনার মোবাইল ডেটা নেই, এমন সিম সিলেক্ট করা থাকতে পারে সেটিংয়ে।

এরপর ফোনের সেটিংসঅ্যাপ চালু করুন। পরে ‘কানেকশনস’ অপশনটি বেছে নিন। ‘সিম ম্যানেজার’ অপশনে গিয়ে চাপ দিয়ে ‘মোবাইল ডেটা’ অপশনটি নির্বাচন করুন। এরপর আপনি যে সিমে ইন্টারনেট প্যাক কেনা রয়েছে, সেটি নির্বাচন করুন।

তারপর মোবাইল ডেটা আছে কিনা, সেটি পরীক্ষা করে দেখুন। সিমে কী ধরনের ইন্টারনেট প্যাক রয়েছে, তার ওপর ইন্টারনেট সংযোগনির্ভর করে। কিছু কিছু কোম্পানি মেয়াদ শেষ হলেই ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়। তাই ইন্টারনেট প্যাকে মেয়াদ আছে কিনা, তা যাচাই করে দেখুন। সব কিছু ঠিক থাকলে ওয়াইফাই বন্ধ আছে কিনা তা যাচাই করে দেখুন।

কারণ ফোনে ওয়াইফাই চালু করা থাকলে এর সংযোগ বন্ধ করে দেখুন সেলুলার বা সিম কার্ডে ইন্টারনেট সংযোগ আছে কিনা। কারণ অনেক সময়ই সেরা ইন্টারনেট রুট খুঁজতে ওয়াইফাই ও মোবাইল ডেটার মধ্যে অদলবদল হতে পারে।

আবার মোবাইল ডেটা বন্ধ করে নতুন করে চালু করুন। মোবাইল ডেটা বন্ধ করে চালু করলে কখনো কখনো ছোটখাটো সমস্যা সমাধান করা যায়, যার ফলে নতুন করে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের সুযোগ মেলে।

প্রথমে সেটিংসঅ্যাপ চালু করুন। এর পর ‘কানেকশনস’ অপশনে চাপুন। ডেটা সম্পর্কিত অপশনের জন্য ‘ডেটা ইউজেস’ চাপুন। এর পর স্ক্রিনে দেখতে পাওয়া ‘মোবাইল ডেটা’ বন্ধ করুন। এবার ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন এবং পুনরায় মোবাইল ডেটা চালু করুন।

যদি এতেও কোনো সমস্যা সমাধান না হয়, তবে এয়ারপ্লেন মোড চালু আছে কিনা দেখুন। এয়ারপ্লেন মোড চালু থাকলে ওয়াইফাই ও মোবাইল ডেটাসহ ফোনের সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ফোনকলের সমস্যা বা ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যার ক্ষেত্রে এটি একটি দ্রুত সমাধান হতে পারে, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কার্যকর।

এবার ফোনের স্ক্রিনের ওপর থেকে নিচে সোয়াইপ করুন ও ‘ফ্লাইট’ আইকনে আলতো করে চাপ দিন। এতে ফোনের এয়ারপ্লেন মোড চালু হবে। পাঁচ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন এবং একই ফ্লাইট আইকনে আবার চাপুন। এতে ফোনটি আবার সব সংযোগ ফিরে পাবে। এবার চেষ্টা করে দেখুন মোবাইল ডেটা চলছে কিনা।

যদি ওপরের কোনো পদ্ধতি কাজ না করে, সে ক্ষেত্রে ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিং রিসেট করুন। এরপর সেটিং পরিবর্তন করলে সমস্যাটি সমাধান করা যাবে। নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করার জন্য, ‘সেটিংস’ অ্যাপ চালু করুন, ‘জেনারেল ম্যানেজমেন্ট’ অপশনে যান এবং ‘রিসেট’ অপশনটি বেছে নিন। পরের পৃষ্ঠায়, রিসেট নেটওয়ার্ক সেটিংস’ অপশন চাপুন এবং ‘রিসেট সেটিংস’ অপশনটি বেছে নিন।

জাতীয়

প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, সুপ্রিমকোর্ট বিল্ডিং ও রেকর্ডসমূহ রক্ষা করা এবং বিচারপতিদের শারীরিক হেনস্তা থেকে রক্ষা করতে তিনি পদত্যাগ করেছেন।

শনিবার বিকালে ফেসবুক লাইভে এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়ি-ঘর, জাজেজ টাওয়ার রক্ষা এবং জেলা জজ কোর্টগুলো রক্ষার স্বার্থে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এর আগে শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছিলেন, আজ সন্ধ্যার মধ্যে পদত্যাগ করব।

সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রধান বিচারপতিসহ অন্যদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন। পরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে তারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন।

পদত্যাগ করলেন আরও ৫ বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় আইন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।

আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পদত্যাগকারী ৫ বিচারপতি হলেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

এর আগে শনিবার বিকালে পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্যদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন। পরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে তারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এর পর থেকেই একে একে পদত্যাগ করতে থাকেন প্রধান বিচারপতিসহ অন্য বিচারপতিরা।

জাতীয়

সারাদেশের ৫৩৮টি থানার কার্যক্রম আজ পুনরায় শুরু হয়েছে।

আজ শনিবার পুলিশ সদর দফতর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেল ৩টা পর্যন্ত সারাদেশের মোট ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৫৩৮টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরমধ্যে মেট্রোপলিটনের ১১০টি থানার মধ্যে ৮৪টি এবং জেলার ৫২৯টি থানার মধ্যে ৪৫৪টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত থানাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

জাতীয়

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ১৬ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় মৃত্যু, সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা তদন্তে হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে সভাপতি করে গঠিত তদন্ত কমিশনের অপর দুই সদস্য হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী।

তদন্ত কাজ শেষ করে আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে কমিশনের কার্যপরিধি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘গত ১৬ জুলাই, ২০২৪ তারিখ হইতে ২১ জুলাই, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সময়ে নিহত ব্যক্তিগণের মৃত্যুর কারণ উদঘাটন ও তাহাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিবর্গকে চিহ্নিতকরণ; গত ১৬ জুলাই, ২০২৪ তারিখ হইতে ২১ জুলাই, ২০১৪ তারিখ পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিবর্গকে চিহ্নিতকরণ; এবং গত ১৬ জুলাই, ২০২৪ তারিখ হইতে ২১ জুলাই, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনায় বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর বা সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, সরকারি কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ ও কর্পোরেশন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ।’

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবে ও কমিশনের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করিবে এবং কমিশনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত যে কোনো ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবে।’

জাতীয়

দেশের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। পাশাপাশি জামায়াত-শিবির ও তাদের অঙ্গ সংগঠনকে ‘নিষিদ্ধ সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই- ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং তাদের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ)-কে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধে দায়ী হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশন নং-৬৩০/২০০৯-এ ১ আগস্ট ২০১৩ তারিখের প্রদত্ত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত/প্রাপ্ত নিবন্ধন বাতিল করে দিয়েছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত রায়কে বহাল রেখেছে এবং সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে, যেখানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল৷

এতে আরও বলা হয়েছে, সরকার বিশ্বাস করে, জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তাদের সব অঙ্গ-সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাই সরকার, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সব অঙ্গ সংগঠনকে ‘নিষিদ্ধ সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

জাতীয়

কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ঘটনায় কার গুলিতে কতজন হতাহত হয়েছে সেটা আমরাও প্রকাশ করব বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের সামনে রেখে তাদের পেছনে ছিল আসল ব্যক্তিরা।

তারা আগুন ধরিয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে। চরম ধৈর্যের সঙ্গে আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের মোকাবিলা করেছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ঘটনায় পেছন থেকে পরামর্শ না দিলে এতো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটতো না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সব হতাহতই কী পুলিশের গুলিতে হয়েছে? আমরাও প্রকাশ করবো কার গুলিতে কতজন হতাহত হয়েছে।

জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির বৈঠকে কী বিষয়ে কথা হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা জিজ্ঞাসা করেছেন আর কতদিনের মধ্যে অবস্থা স্বাভাবিক হবে। আমরা বলেছি, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। অল্পসময়ের মধ্যেই আমরা কাভার করতে পারবো। কারফিউ তুলে নিতে পারব, সামরিক বাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবে।

তিনি বলেন, দুয়েকজন কিশোর নিহত হওয়ার কথা তারা জানতে চেয়েছিলেন। আমরা একটি কিশোরের কথা জানালাম, তার বয়স কত, এখনো সার্টিফিকেট পাইনি, স্কুল থেকে বলা হয়েছে সাড়ে সতেরো। কিন্তু সেই ছেলেটি যে অন্যায় করেছে, সেটা জঘন্য। যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সে জড়িত ছিল। তার ভিডিও অন্যান্য যে কথোপকথন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই আমরা তাকে শনাক্ত করতে পেরেছি। সে তো পুলিশ হত্যা করেছেই, পরে তাকে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। এই কাজ শেষ করে সে যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত, তাকে ফোন করে জানিয়েছে যে পুলিশ হত্যা করতে পেরেছি, তাকে ঝুলিয়ে দিয়েছি। অপরপ্রান্ত থেকে তাকে শাবাশ দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, এই কিশোরকে আমরা কোথায় নেব, তার কাছেই প্রশ্ন রেখেছি। তাকে কিশোর সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে, আইন অনুসারে তার ব্যবস্থা হচ্ছে। আর প্রাণহানির বিষয়ে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন, তাদের দেখতে গিয়েছেন, তাদেরকে কিছু নগদ টাকা সাহায্য করেছেন। আমরা মনে করি, এই ঘটনা পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী ইচ্ছা করে কিংবা কারও প্ররোচনায় করেনি। তারা জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।

জাতিসংঘের প্রতিনিধি কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি কিছু বলেননি। তিনি আরেকটি প্রশ্ন করেছেন যে সেনাবাহিনী জাতিসংঘ লেখা এপিসি ভেহিকল ব্যবহার করেছে। আমি বলেছি, এটা জাতিসংঘ থেকে ফেরত এনেছে। সেনাবাহিনী তাড়াহুড়ো করে সেটা বের করেছে। যখন দৃশ্যমান হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যখনই তাদের নজরে এসেছে, তখনই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তদন্তের আগ্রহের বিষয়ে জানতে চেয়েছে কিনা; জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের একজন সদস্যের একটি বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন ছিল। আমরা সংখ্যা বাড়িয়ে আরও শক্তিশালী করেছি। তদন্ত শুধু তাদেরই না, পুলিশেরও তদন্ত হবে। কেন পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হল, সেই তদন্ত হবে। কেউ ভুল করে থাকলে সেটাও আমরা দেখবো।

জাতীয়

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাকে বদলির মাধ্যমে নতুন পদে পদায়ন করা হয়েছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই পদায়ন করা হয়।

আদেশে বলা হয়, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ড. খ. মহিদ উদ্দিনকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) পদে; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামানকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) পদে এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।