জাতীয়

প্রেস কাউন্সিলের পরিচয়পত্রই সাংবাদিকদের একমাত্র পরিচয়পত্র হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম। সোমবার সকালে দিনাজপুরে ‘প্রেস কাউন্সিল আইন, আচরণবিধি ও সাংবাদিকতার নীতিমালা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়নসহ সার্বিক কল্যাণের জন্য কাজ করছে প্রেস কাউন্সিল। প্রকৃত সাংবাদিকদের পরিচয় উদ্ভাবন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি চলমান।

তিনি আরও বলেন, প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র প্রদান করবে এবং এ পরিচয়পত্রই হবে সাংবাদিকদের একমাত্র পরিচয়পত্র। যে পরিচয়পত্র দেখে সব সেক্টর নিশ্চিত হবে যে এ পরিচয়পত্র বহনকারী একজন প্রকৃত সাংবাদিক। পত্রিকা অফিস যে পরিচয়পত্র প্রদান করবে তা হবে তাদের অফিসিয়াল পরিচয়পত্র।

জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এ আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম ও দিনাজপুর জেলা তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক রোস্তম আলী। সেমিনারে দিনাজপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলকট্রনিক মিডিয়ার অর্ধশত সাংবাদিক অংশ নন।

সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রসঙ্গে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, সাংবাদিকতার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পাশ হতে হবে। নতুন করে যারা সাংবাদিকতায় আসছেন বা আসবেন তাদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে। এখন পর্যন্ত যারা ন্যূনতম পাঁচ বছর কিংবা তার অধিক সময় ধরে সাংবাদিকতা করছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

জাতীয়

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা বিচার কয়েক মাসের মধ্যে হাইকোর্টে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

আনিসুল হক বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারকাজ নিম্ন আদালতে শেষ হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাসী। তাই আইনের শাসনের যে প্রক্রিয়া সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে। যতদূর জানি, এখন হাইকোর্ট বিভাগে এ মামলার আপিল শুনানি চলছে। আশা করি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হাইকোর্টে এ মামলার শুনানির কাজ শেষ হবে।

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এর আগে আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলেও বাঙালি কিন্তু সেদিন বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যায়নি। হয়তো তারা সেদিন স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। সেদিন যদি বাঙালি জাতি সঠিক নেতৃত্ব পেত, তাহলে খুনিরা ১৫ সেকেন্ডও টিকতে পারত না।

তিনি বলেন, সেদিন যাদের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত ছিল, যারা নেতৃত্ব দিলে মানুষ রাস্তায় নামত, তারা বাঙালি জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এটি অস্বীকার করার কিছু নেই।

আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা সেদিন খুনি মোশতাকের সঙ্গে গিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছিল, শুধু তারাই যদি সেদিন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে না যেত, তাহলেই খুনিরা টিকতে পারত না।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। কারণ তিনি বাঙালির বন্ধু ছিলেন। বাঙালিকে তাদের অধিকার ও স্বাধিকার সম্বন্ধে শিখিয়েছেন। তাদের জন্য সারাজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন এবং প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তার সারা জীবনের চিন্তা-ধারা ও আদর্শ তিনি সংবিধানে সন্নিবেশ করে গেছেন।

আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক উম্মে কুলসুম, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, মো. শাহিনুর ইসলাম, ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, কাজী আরিফুজ্জামান ও শেখ গোলাম মাহবুবসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

জাতীয়

আজ রক্তাক্ত বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। এদিন নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার ১৯তম বার্ষিকী।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এই নজির বিহীন গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। আক্রান্ত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় আয়োজিত সমাবেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ওই ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীরা মানববর্ম রচনা করে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করলেও গ্রেনেডের আঘাতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ মোট ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান। পরবর্তী সময়ে গ্রেনেড হামলার বিচারের রায়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি জোট সরকারের মন্ত্রী ও সরকারের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলে যে ওই সরকারের প্রত্যক্ষ মদতেই হামলাটি পরিচালিত হয়েছিল।

আগামীকাল ইতিহাসের এই জঘন্যতমগ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকীতে বাঙালি জাতি শ্রদ্ধাবনতচিত্তে হামলায় নিহতদের স্মরণ করবে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনটি পালনে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার। সেদিন ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী’ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছিল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশের আগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রাকমঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতাশেষ হওয়ার পরপরই তাকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গ্রেনেড হামলা শুরু হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে থাকে একের পর এক গ্রেনেড।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহুর্মুহু ১৩টিগ্রেনেড বিস্ফোরণের বীভৎসতায় মুহূর্তেই মানুষের রক্ত-মাংসের স্তুপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিণত হয় এক মৃত্যুপুরীতে। স্পিন্টারের আঘাতে মানুষের হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। সভামঞ্চ ট্রাকের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় রক্তাক্ত নিথরদেহ। লাশ আর রক্তে ভেসে যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সামনের পিচঢালা পথ। নিহত-আহতদের জুতা-স্যান্ডেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকাধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ভেসে আসে শত শত মানুষের গগন বিদারী আর্তচিৎকার। বেঁচে থাকার প্রাণপণ চেষ্টারত মুমূর্ষুদের কাতর-আর্তনাদসহ অবর্ণনীয় মর্মান্তিক সেই দৃশ্য।

সেদিন রাজধানীর প্রতিটি হাসপাতালে আহতদের তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ভাগ্যগুণে নারকীয়গ্রেনেড হামলায় অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যানশেখ হাসিনা। ঘাতকদের প্রধান লক্ষ্যশেখ হাসিনা বেঁচে গেছেন দেখে তার গাড়ি লক্ষ্য করে ১২ রাউন্ড গুলি করা হয়। তবে টার্গেট করা গুলি বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বহনকারী বুলেটপ্রুফ গাড়ি ভেদ করতে পারেনি। হামলার পরপরই শেখ হাসিনাকে কর্ডন করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর তৎকালীন বাসভবন ধানমন্ডির সুধা সদনে। ২১ আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। পরে সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ জনে। রক্তাক্ত-বীভৎস ওই ভয়ালগ্রেনেড হামলায় আইভি রহমান ছাড়াওসেদিন নিহত হন ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, হাসিনা মমতাজ রিনা, রিজিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), রতন শিকদার, মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, মোশতাক আহমেদ, লিটন মুনশি, আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, বিল্লাল হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, আতিক সরকার, মামুন মৃধা, নাসির উদ্দিন, আবুল কাসেম, আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আলী, মোতালেব ও সুফিয়া বেগম।গ্রেনেডের স্পিন্টারের সঙ্গে লড়াই করে ঢাকারমেয়র মোহাম্মদ হানিফসহ আরও কয়েকজন পরাজিত হন।

হামলায় আওয়ামী লীগের চার শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে শরীরে স্পিন্টার নিয়ে আজও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আহত হয়েছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। এখনও অনেক নেতাকর্মী সেদিনের সেই গ্রেনেডের স্পিন্টারের মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। অনেক নেতাকর্মীকে তাৎক্ষণিক দেশে-বিদেশে চিকিৎসা করালেও তারা এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি।

এদিকে গ্রেনেড হামলার পর ভয়, শঙ্কা ও ত্রাস গ্রাস করে ফেলে গোটা রাজধানীকে। এই গণহত্যার উত্তেজনা ও শোক আছড়ে পড়ে দেশ-বিদেশে। হামলার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজে বাঁচতে ও অন্যদের বাঁচাতে যখন ব্যস্ত হয়ে পড়েন, ঠিক তখনই পুলিশ বিক্ষোভ মিছিলের ওপর বেধড়ক লাঠি-টিয়ারশেল চার্জ করে। একইসঙ্গে নষ্ট করা হয় সেই রোমহর্ষক ঘটনার যাবতীয় আলামত। পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রত্যক্ষ মদদে ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজায় বিএনপি-জামায়াতজোট সরকার।

কর্মসূচি: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের  কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হবে।

এছাড়াও সকাল সাড়ে ১১ টা ১৫ মিনিটে ২১ আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ ও নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতীয়

হবিগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে সদর থানার ওসিসহ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকশ রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকাল ৫টার দিকে জেলা বিএনপি শায়েস্তানগর এলাকা থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি শায়েস্তানগর পয়েন্ট হয়ে ঈদগাহ রোড ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছে। এ সময় নেতাকর্মীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশ বাধা দেয়।

একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ বাধে। দলীয় নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। দফায় দফায় চলে পালটাপালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষ।

এতে সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব গুরুতর আহত হন। তাকে সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়ালসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জিকে গউছ জানান, শনিবার কেন্দ্রীয় নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান সংঘর্ষ বাধিয়েছেন। কোনো উত্তেজনা ছিল না। তিনি হঠাৎ পুলিশকে গুলি ছোড়ার নির্দেশ দেন। পুলিশ দফায় দফায় গুলি ছুড়তে থাকে।

তিনি আরও বলেন, তারা আমার বাসায় এসেও গুলি ছুড়েছে। আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অনেককেই আমার ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে দলটির নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের সদর থানার ওসিসহ বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের প্রতিহত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাতীয়

আবারও কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড পরিমাণ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে। মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া যায়।  এ ছাড়া একটি ডায়মন্ডের নাকফুলসহ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া গেছে।

তিন মাস ১৩ দিন পর শনিবার সকালে খোলা হয় এসব দানবাক্স। সারাদিন গণনা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে জানানো হয় টাকার পরিমাণ।

জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এবার তিন মাস ১৩ দিন পর মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। এতে রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া গেছে।

এর আগে ৬ মে রমজানের কারণে চার মাস পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ১৯টি বস্তায় রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ৩ মাস ১ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ২০টি বস্তায় তখন ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া যায়।

টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, সিনিয়র সহাকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাশিতা-তুল ইসলাম, তানিয়া আক্তার, নাবিলা ফেরদৌস, মাহমুদা বেগম সাথী, ফাতেমা-তুজ-জোহরা, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জনসহ প্রায় ২০০ লোকজন অংশ নেন।

জাতীয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মেনে, স্বাধীনতা যুদ্ধে তার নেতৃত্বকে মেনে সব দলকে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, তাদের বলতে চাই তার নেতৃত্বের গুণাবলীর মধ্যে ঘাটতি কতটা ছিল। যদি ঘাটতি না থেকে থাকে তাহলে একাত্তরকে স্বীকার করে নিয়ে তারপর বাংলাদেশে রাজনীতি করেন, দেশের সংবিধান মেনে নিয়ে। যদি আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, বহু দলে বিশ্বাস করি, তাহলে সহনশীল হতেই হবে। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করব আর সহনশীল হবো না, এটা গণতন্ত্রের চর্চা বলা যাবে না। গণতন্ত্রকে যদি আমরা ধারণ করি, তাহলে আমাদের ভেতর যে দূরত্ব আছে সেটা কমে আসবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছিলেন, যে কারণে বঙ্গবন্ধু শহিদ হয়েছেন, আমার মনে হয় সেই লক্ষ্যটা পূরণ করতে পারব। আমার মতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে এই জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য। ঠিক সেই হিসাব নিকাশ করেই ৩ নভেম্বর যে হত্যাকাণ্ড করা হয়, যাতে জাতি দিন দিন ধ্বংসের দিকে যায়। সেই ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তারপর আমাদের এগোতে হবে। অন্যথায় বারবার আমরা এই বিপদের সম্মুখীন হতেই থাকব।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণাবলীর মধ্যে একটি ছিল সততা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার বাড়ি তল্লাশি করে মাত্র ২৫ হাজার টাকা পেয়েছে। কত সাধারণ জীবনযাপন করতেন তিনি।

এর আগে সুপ্রিমকোর্টে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর স্মারক সৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন হওয়া উচিত।

আলোচনা সভায় আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান, বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল, বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী, বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার বক্তব্য দেন।

এ সময় হাইকোর্ট বিভাগের অন্যান্য বিচারপতি, সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

বিনম্র শ্রদ্ধায়, শোক ও ভালোবাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেছে সমগ্র জাতি।

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মঙ্গলবার পালিত হয়েছে স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।

শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের মাঝে জোরালো দাবি ছিল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারী ও কুশীলবদের ধরে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য গণতদন্ত কমিশন গঠন করার।

দেশজুড়ে নানা কর্মসূচিতে ছিল শোকের আবহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকার ছিল মানুষের কণ্ঠে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছু সংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত তার প্রতিকৃতিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

সকালে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।

পরে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও এস এম কামাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

এরপর শেখ হাসিনা বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রওনা হন। সেখানে তিনি তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ত্যাগ করার পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরও শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, শিশু একাডেমি, বাংলাদেশ বেতার, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, শেখ রাসেল শিশু সংসদ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ বিভিন্ন দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সর্বস্তরের হাজারো মানুষ।
এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এদিকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং পরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানী ছাড়াও সারাদেশে এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শোক দিবস পালন করেছে।

শোক দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার, বঙ্গবন্ধুর সমাধি ও প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, কালো ব্যাজ ধারণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, মিলাদ মাহফিল, রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

ভোরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দলের ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ইউনিট কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে শোক দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচারসহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।

বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ১০০ বার কুরআন খতম ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুরআন খতম ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করে। কুরআন খতম শেষে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এদিকে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে ১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরে (রাত ১২ টা ১ মিনিট) মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে (৩/৭-এ সেনপাড়া, পর্বতা, মিরপুর-১০) মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও বিশেষ প্রার্থনা, সকাল ৯টায় তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করেছে খ্রীস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করে।

এছাড়াও জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুস্থ ও গরীব মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর থানা ও ওয়ার্ড ইউনিটগুলো।

এদিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।

এছাড়াও আওয়ামী যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করে।

জাতীয়

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সারা দেশে ডেঙ্গু কিছুটা বাড়লেও ঢাকায় পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। সারা দেশে হাসপাতালগুলোতে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া প্রায় ৮২ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। রোগীদের যথাযথ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক নার্সরা।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রোববার মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল্লাহিল আজম। বক্তৃতা করেন কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. জাকির হোসেন, কর্নেল মালেক মেডিকেলের পরিচালক ডা. মো. আরশ্বাদ উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, পৌর মেয়র মো. রমজান আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক তুষার প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় ছোট-বড় ২০ হাজার প্রতিষ্ঠানে এবার জাতীয় শোক দিবসে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার বৃক্ষরোপণ করবে। কারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ-শ্যামল সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই। আগামীতে যেন স্যালাইনের ঘাটতি না হয় এজন্য দেশের বাইরে থেকে স্যালাইন আমদানির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জাতীয়

চট্টগ্রামে সরকারি মুহসীন কলেজের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান ঘর তুলে ভাড়া দিয়ে বছরের পর বছর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন দখলদাররা। বিষয়টি জানতে পেরে বাগড়া দেন মুহসীন কলেজ ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা। ভাড়ার টাকা তাদের হাতে দেওয়ার শর্তে রাজি না হওয়ায় ওইসব দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তারা।

শনিবার দুপুরে চকবাজার থানার দেব পাহাড় এলাকায় অবস্থিত দোকানগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার নেতৃত্বে ছিলেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাঈম। বিষয়টি স্বীকার করেছেন চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের। তবে  কেউ এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেননি।

জানা যায়, দেব পাহাড় এলাকায় অন্তত ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জায়গার মালিক মুহসীন কলেজ হলেও সেখানে দোকানঘর তুলেছেন অন্যরা। অবৈধভাবে দোকানঘর তুলে তা ভাড়াটিয়ার কাছে, ভাড়াটিয়ারা  আবার উপ-ভাড়াটিয়ার কাছে ভাড়া দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ভাড়ার চুক্তিপত্রও করা হয়েছে। কয়েক বছর মেয়াদে এসব দোকান ভাড়া দিয়ে দখলদাররা অগ্রিম হিসাবে অন্তত ৪৩ লাখ টাকা নিয়েছেন।

সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে মুহসীন কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা জানতে পারেন দোকানগুলো মুহসীন কলেজের জায়গায় গড়ে উঠেছে। সে হিসাবে এসব দোকানের মালিকও মুহসীন কলেজ হবে। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতারা ওই সব দোকানে ব্যবসা পরিচালনাকারী ব্যবসায়ীদের চাপ দেন যে, ব্যবসা করতে হলে দোকানগুলোর অগ্রিম বাবদ টাকা ও মাসিক ভাড়া তাদেরকে দিতে হবে।

কিন্তু এতে দখলদার বা ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীরা রাজি হচ্ছিলেন না। তারা ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র দেওয়ার শর্তে ভাড়া বা অগ্রিম টাকা দেওয়ার শর্ত দেন। কিন্তু ছাত্রলীগ দোকানের মালিক না হওয়ায় চুক্তিপত্র দেওয়ারও সুযোগ নেই তাদের। আর ব্যবসায়ীরাও চুক্তিপত্র ছাড়া তাদের ভাড়া দিচ্ছিলেন না। এতে ছাত্রলীগের নেতারা ক্ষুব্ধ হন। সর্বশেষ শনিবার দুপুরে মুহসীন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাঈমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন গিয়ে দোকানগুলোতে তালা লাগিয়ে দেন। তারা হুমকি দিয়ে আসেন যে, হয়তো ভাড়া তাদের দিতে হবে, না হয় দোকান বন্ধ থাকবে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, দোকানগুলোর জমিদারের ভূমিকায় ছিলেন আফসারুল হাকিম চৌধুরী অশ্রু নামে এক ব্যক্তি। আবার তার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন শাহেদ নামে অপর এক ব্যক্তি। শাহেদ বিভিন্ন জনকে উপ-ভাড়া দিয়ে ভাড়া আদায় করতেন। শাহেদের সঙ্গে বিভিন্ন দোকানদারের সঙ্গে ভাড়াটিয়া চুক্তিও রয়েছে। কয়েক মাস ধরে ছাত্রলীগ তাদের দোকানগুলোর ভাড়া দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে এলে ব্যবসায়ীরা বেকায়দায় পড়েন।

রোববার দুপুর ১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় সবকটি দোকান বন্ধ। এসব দোকানের মধ্যে রয়েছে ওষুধের দোকান, ফলের দোকান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও ফটোস্ট্যাট।

বিজয় দাশ নামে এক ভাড়াটিয়া জানান, ‘তিনি উপ-ভাড়াটিয়া হিসাবে একটি দোকান পরিচালনা করেন। শনিবার দুপুরে মুহসীন কলেজ থেকে একদল ছাত্র এসে দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। তারা নিজেদের ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বলে পরিচয় দেন। এরপর থেকে দোকান বন্ধ।’

এ প্রসঙ্গে মুহসীন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাঈম বলেন, ‘আমরা দোকানে তালা লাগাইনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ তালা লাগিয়েছে। একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে ওই জায়গায় দোকান বসিয়ে ভাড়া আদায় করছিল। কলেজের জায়গায় কেউ ভাড়া দিয়ে টাকা আদায় করবে-এটা হতে পারে না। এর আগে জামায়াত-শিবিরও ওই জায়গা ভাড়া দিয়ে টাকা লুটপাট করেছে। আমরা ছাত্রলীগ কলেজের জায়গা কাউকে ভাড়া দিতে দিব না।’ নিজেরা ভাড়ার টাকা আদায় করতে চেয়েছিলেন-এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, ‘ছাত্রলীগের ছেলেরা দোকানে তালা দিয়েছে। বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। তবে কেউ আমাকে লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষ কাউকে পাঠায়নি কারও দোকানে তালা দেওয়ার জন্য। তবে জায়গাটি আমাদের। আমাদের নামে বিএস (বাংলাদেশ সার্ভে) রয়েছে। কিন্তু একটি পক্ষ জায়গাটাতে দোকান বসিয়ে ভাড়া আদায় করছিল। এ ব্যাপারে আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত জানাব।’

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার হোসাইনি নগর এলাকার ছয় তলা ভবনের পাঁচ তলার একটি ফ্লাটে বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধসহ অনন্ত ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (১২ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে ওই এলাকার আসলাম সিকদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- হোসাইনি নগর এলাকার হোসিয়ারি কারখানার মালিক সবুজ খন্দকার, পোশাক কারখানার শ্রমিক রানা মিয়া, তার স্ত্রী বীথি আক্তার, তাদের এক শিশুসহ ফল ব্যবসায়ী আবু কালাম। এছাড়া আহত আরও একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দগ্ধের স্বজনরা জানান, রাত ১২টার দিকে পাঁচ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই ফ্ল্যাটের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন গিয়ে দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর দগ্ধ চারজনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আবু কালাম নামে অন্য আরেক জনকে নেওয়া হয় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। এছাড়া একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, বিস্ফোরণে পাঁচতলা ফ্ল্যাটের দেয়াল ভেঙে নিচে পড়ে পাশের বাড়ির একটি আধাপাকা ঘরের চালাসহ আসবাবপত্র ভেঙে গেছে। পাশাপাশি ওই ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালাও ভেঙে গেছে। আগুনে ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। বিস্ফোরণে দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্ফোরণের ঘটনার কারণসহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।