জাতীয়

পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। খোদ পেট্রোল পাম্প মালিকদের একাংশের একটি সংগঠন পেট্রোল পাম্পে নোটিশ লাগিয়ে তেল কম সরবরাহ করা হবে বলে জানাচ্ছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের নির্দেশনার একটি নোটিশের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পোস্ট করছেন।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্তে মোটরসাইকেলের জন্য সর্বোচ্চ ৪০০ টাকার অকটেন এবং গাড়িতে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকার অকটেন বা ডিজেল নেওয়া যাবে।’ তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এবং পেট্রোবাংলা থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের কোনো নির্দেশনা জারি করেনি সরকার।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর আসলাম উদ্দিন জানান, এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদি কেউ এই ধরনের কাজ (নোটিশ) করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংগঠনের নির্দেশনা জারি করা অংশের সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন, আমরা পাম্প মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগে ডিপো থেকে যে পরিমাণ তেল পাওয়া যেত তার তুলনায় কম পাচ্ছি। এই কারণে একটু বুঝে-শুনে বিক্রির কথা বলেছি আমরা। এটিকে নির্দেশনা না বলে পরামর্শ বলতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছি, যাতে সবাই তেল পায়, কেউ ফিরে না যায়, এজন্য পাম্পে যে তেল আছে সেটিই ভাগ করে যে পরিমাণ দেওয়া দরকার সেটুকু দিতে। অনেকেই গাড়ি ভরে তেল নিতে চান, যদিও তা আপাতত দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে অন্য অংশের সংগঠনের সভাপতি নাজমুল হক বলেন, এ ধরনের কোনো নির্দেশনা সরকারের পক্ষ থেকে আমরা পাইনি। আমরাও এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত জারি করিনি। এই মুহূর্তে এই ধরনের সিদ্ধান্ত মানুষকে আতঙ্কিত করবে। মানুষ মনে করবে তেলের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তারা তখন আতঙ্কিত হয়ে তেল মজুত করা শুরু করবে। এতে অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে।

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের বারুদঝরা শ্রাবণদিনে জন্ম সজীব ওয়াজেদ জয়ের, যিনি নিজেকে চিনিয়েছেন সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ধারায় হেঁটে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির জন্য বর্ষাকাল যেন এক আশীর্বাদ। বর্ষার বারিধারায় বহমান পলিতে উর্বর হয়ে ওঠা জমিনেই ফলে সারা বছরের ফসল। অর্ধশতাব্দী আগের কথা বলছি। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে সময়টা ১৯৭১, বাঙালির ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ সময়।

পাকিস্তানি জান্তাদের গুলির শব্দে ঢাকা পড়েছিল কোকিলের কুহুতান, রাজপথে বাঙালির বুকের তাজা রক্তের রঙে যেন ম্লান হয়ে গিয়েছিল কৃষ্ণচূড়ার লাল। কিন্তু ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের বীজমন্ত্র জপে তাপদহে গ্রীষ্মের উত্তপ্ত আবেগ নিয়ে ঘাতক জান্তাদের সপাটে জবাব দিতে শুরু করে বাংলার দামাল সন্তানরা। এতে নতুন মাত্রা এনে দেয় বর্ষা।

আষাঢ়-শ্রাবণের অবিরত বৃষ্টিধারায় হতচকিত ও দিশেহারা হয়ে পড়ে আক্রমণকারী পাকিস্তানি ঘাতকরা। সেই সুযোগে গাছে গাছে আসা নতুন কিশলয়ের মতোই নবোদ্যমে মাঠ-ঘাট-প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বিশ্বের বুকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য বাংলাদেশ তখন প্রস্তুত। ঠিক এরকম একটি সময়ে মাতৃত্বের স্বাদ পেলেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনা।

১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে। শেখ কামাল বাড়ি ছেড়েছেন যুদ্ধ করবেন বলে। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া শেখ পরিবারের বাকিরা সদস্যরা পাকিস্তানি বাহিনীর নজরবন্দি, গৃহবন্দি। ঠিক এই সময়ে জন্ম নেন সজীব ওয়াজেদ জয়। যেন তিনি স্রষ্টার পক্ষ থেকে উপহার পাওয়া এক অনন্য জয়বার্তার প্রতীক ও আগমনী সংবাদ হিসেবে আসেন শেখ পরিবারে।

একাত্তরের ২৩ মার্চে যখন প্রথম ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটিসহ দেশের সবখানে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হয়, তখনই বঙ্গবন্ধু তার প্রিয় কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন- নাতি হলে নাম ‘জয়’ রাখতে। কেননা, সে জন্ম নেবে এক স্বাধীন বাংলাদেশে। জাতির পিতার কথা অক্ষরে অক্ষরে মনে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা। সন্তানের নাম রাখার সময় মা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের দেওয়া ‘সজীব’ এবং বাবার দেওয়া ‘জয়’ নামটি মিলিয়ে নাম রেখেছিলেন তিনি।

বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাবেক ডাকসু নেতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার এই সন্তান উজ্জ্বল করেছেন বিজ্ঞানী বাবার নামও। তারই নেতৃত্বে ডিজিটাল রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়েছে আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ। তার নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে যেমন হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছে বাঙালি জাতি, তেমনি তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুশাসনের কারণে গড়ে উঠেছে ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জয়।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্লোগানের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল যে শব্দটি, তা হলো ‘জয়’। তেমনি স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী অতিক্রম করে এসে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে- আধুনিক বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনার সঙ্গে যে নামটি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে, সেই নামটিও ‘জয়’। কারণ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন বাস্তবায়নের মাধ্যমে যেভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণমানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, সেইসব দূরদর্শী ও সাহসী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সজীব ওয়াজেদ জয় রয়েছেন সামনের সারির সহযোগী ও যোদ্ধার ভূমিকায়।

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও বঙ্গবন্ধুকন্যার পুত্র হিসেবে দেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার দিকনির্দেশনায় যে ডিজিটাইলেশনের শুরু তাতে কেবল কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির নির্ভরতা কাটিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সাথে যুক্ত নতুন নতুন খাতেও বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে সদর্পে। চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে– যেকোনও উন্নত দেশকেও। মানুষের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত হতে যাচ্ছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণে সৃষ্ট এই নতুন খাতটি।

যোগাযোগের ক্ষেত্রেও তথ্যপ্রযুক্তি যে বিপ্লব এনেছে তা আর ব্যাখ্যা করার অবকাশ রাখে না। কোভিড-১৯ সংক্রমণে সারা দুনিয়া থমকে গিয়েছিল। অথচ বাংলাদেশের মানুষ যে বিপুল গতিতে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পেরেছেন, তার অন্যতম কারণ শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তের পাশাপাশি এদেশের মানুষের তথ্য-প্রযুক্তিতে ‘এক্সেস’ বা সক্ষমতা তৈরি হওয়াটাও।

মহামারীর সময়েও ইন্টারনেটের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে দেশব্যাপী সচেতনতা কর্মসূচি চালিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি দায়িত্বশীল ব্যক্তি। এই ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করেই দেশে তৈরি হয়েছে লাখ লাখ মানুষের নতুন কর্মসংস্থান। মানুষকে স্বাবলম্বী করতে নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টির জন্য সুপরিকল্পিতভাবে পর্দার অন্তরালে কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত সজীব ওয়াজেদ জয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি শিক্ষিত, মার্জিত, স্বাবলম্বী বাঙালি জাতি গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বাধীনতার পর এজন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট, একদল ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধু সপরিবারের নিহত হওয়ায় সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্ন ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘ দুই দশক অপশাসনের কালো অন্ধকারে ঢেকে থাকে বাংলাদেশ। দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাঙালি জাতি। এমনকি বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধুর জীবিত দুই কন্যা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের। হন্তারকদের হুংকারের মুখে ইউরোপ-ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে ঘুরে বেড়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধুর বড় নাতি সজীব ওয়াজেদ জয়।

জীবনের এতো প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুকন্যার আদর্শে জনগণের সেবক হিসেবে বেড়ে উঠেছেন তিনি। প্রায় একক প্রচেষ্টা ও শিক্ষাগত যোগ্যতায় যুক্তরাষ্ট্রের বুকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই দেশকে ডিজিটাল রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সুপরামর্শ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে।

সবার জানা উচিত যে, আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী দলে থাকা অবস্থাতেই ২০০৭ সালে একেবারে নিজের চিন্তার স্বকীয়তা ও দূরর্শিতার জন্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে নির্বাচিত হন সজীব ওয়াজেদ জয়।

১৯৭৫-পরবর্তী নির্বাসিত জীবনে ভারত থেকে লেখাপড়া করে স্নাতক অর্জন করেন তিনি। এরপর উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ থেকে, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে আবারও স্নাতক ডিগ্রি নেন। এখানেই না থেমে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও সম্পন্ন করেন। ফলে তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানের পাশাপাশি রাজনীতিতেও তার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। ২০১০ সালে দাদার বাড়ির এলাকা রংপুরের পীরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। সেই থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি ও রাজনীতি- দুটোকেই গণমুখী ও কল্যাণকামী করে তোলার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আধুনিক বাংলাদেশের তারুণ্যের জন্য উন্নয়নমুখী রাজনীতির নতুন ধারা চালু হয়েছে তার হাত ধরেই।

জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ শান্তি-সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনা অর্জনের পথে হেঁটে চলবে- এই স্বপ্ন বুকে নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন যিনি, সেই

স্বপ্নপথিকের নাম সজীব ওয়াজেদ জয়।

মুক্তিযুদ্ধেরবারুদমাখাবাতাসেযারজন্মওবেড়েওঠা, ঠিকঅর্ধশতাব্দীপরবাংলাদেশেরউন্নয়নেরপালেতিনিইদিচ্ছেননতুনহাওয়া।তাকেআইকনমেনেইনতুন প্রজন্মেরপ্রতিটিসন্তানগড়েউঠুকসক্ষমব্যক্তিহিসেবে। এতেনিজপরিবারওসর্বোপরিবাংলাদেশউপকৃতহবে।

জাতীয়

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক জাতিকাদের নানান বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মাওলা।

জ্যোতিষশাস্ত্র সম্ভাবনার কথা বলে। কোনো কিছু নিশ্চিতভাবে হবে কিংবা ঘটবে তা বলে না।

মেষ রাশি (২১ মার্চ – ১৯ এপ্রিল): সপ্তাহের শুরুতে বিনোদন ও ভ্রমনের যোগ আছে। আত্নীয়দের সঙ্গে দেখা হতে পারে। মনের উৎসাহের জোরে কাজের বিপত্তিগুলো উতরে যেতে পারবেন। সপ্তাহের মাঝদিকে আর্থিক সঙ্কটে কোনো বন্ধুকে পাশে পেতে পারেন। আগে কখনও যাওয়া হয়নি এমন কোথাও আমন্ত্রণ পেলে তা সাদরে গ্রহন করুন। সপ্তাহের শেষদিকে প্রেম আনন্দদায়ক ও উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে। পৃথিবীর সকল উচ্ছাস, আবেগ আপনাদের দুজনার মাঝে বিরাজ করবে।

বৃষ রাশি (২০ এপ্রিল – ২০ মে): সপ্তাহের শুরুতে অভিভাবকদের সহযোগিতায় আর্থিক সঙ্কট মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। হাতে কিছু বাড়তি অর্থ আসতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে ভ্রমনের যোগ আছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন। দলিল বা চুক্তি সাক্ষরের আগে অভিজ্ঞ প্রবীনদের পরামর্শ নিন। সপ্তাহের শেষদিকে সামান্য সমস্যা নিয়ে সঙ্গীর সমালোচনা করা বন্ধ করুন, অন্যথায় ঘরে কলহ দেখা দিতে পারে। ঘরে কাটানো সময়গুলো উপভোগ্য হবে।

মিথুন রাশি (২১ মে – ২০ জুন): সপ্তাহের শুরুতে নিজের স্বার্থে কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করে ভালো ফল পেতে পারেন। আপনার সবদিক খোলা থাকার সম্ভাবনা। বিশেষ প্রতিভার মাধ্যমে প্রতিপত্তি বাড়বে। সপ্তাহের মাঝদিকে মানসিক দুশ্চিন্তা কমতে পারে, সঙ্গে বাড়বে উপার্জন। গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগগুলো যাতে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। সপ্তাহের শেষদিকে প্রেমিক প্রেমিকারা একে অপরকে খুশি রাখতে ফোনে কথা বলুন। সবান্ধব ভ্রমনের যোগ আছে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভ্রমনে আনন্দ পাবেন।

কর্কট রাশি (২১ জুন – ২২ জুলাই): সপ্তাহের শুরুতে পারিবারিক কোনো কারণে আর্থিক দুশ্চিন্তা দেখা দিতে পারে, যা ডেকে আনতে পারে নিরাশা। অন্য কারো দায়িত্ব পালন করা নিয়ে ঝঞ্ঝাট বাধতে পারে। প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে হলে কাউকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। সপ্তাহের মাঝদিকে আপনি প্রেমময় মেজাজে থাকবেন। প্রিয়জনের জন্য বিশেষ কোনো পরিকল্পনা করতে পারেন। কোনো নতুন উদ্যোগ হাতে নেওয়ার জন্য সময়টা শুভ। সপ্তাহের শেষদিকে যারা আর্থিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তাদের সমস্যার সমাধান হতে পারে।

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই – ২২ অগাস্ট): সপ্তাহের শুরুতে আপনি আপনার কিশোর বয়সে ফিরে যাবেন। ছোটবেলার নিষ্পাপ আনন্দগুলো আবার উপভোগ করার সুযোগ আসতে পারে। দীর্ঘস্থায়ি মুনাফা পেতে ‘শেয়ার’ এবং ‘মিউচুয়াল ফান্ড’য়ে বিনিয়োগ করতে পারেন। সপ্তাহের মাঝদিকে কোনো বন্ধুর আচরণে মনে কষ্ট পেতে পারেন। সাহস ও উদ্যমের অভাবে নতুন পরিকল্পনায় সাফল্য ব্যহত হতে পারে। ব্যক্তিত্ব বিকাশে বাধা আসতে পারে। সপ্তাহের শেষদিকে নিজের কাজগুলো সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবেন। হাতে আসা সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে জীবনে পরিবর্তন আনার মোক্ষম সময় এখনই। রোমাঞ্চের মাঝে আনন্দ পাবেন।

কন্যা রাশি (২৩ অগাস্ট – ২২ সেপ্টেম্বর): সপ্তাহের শুরুতে আপনার কঠোর পরিশ্রম কর্মক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনবে। কাজের দায়িত্ব বেশি নেওয়ার কারণে পারিবারিক চাহিদাগুলো অবহেলিত হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে প্রেম, প্রনয় ও বিবাহের যোগাযোগে আপনি সফল হবেন। সামাজিক জীবনকে অবহেলা করবেন না। শত ব্যস্ততার মাঝে থেকেও পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া জন্য সময় বের করতে হবে। সপ্তাহের শেষদিকে পারিবারিক কারণে আর্থিক নৈরাশ্য দেখা দিতে পারে। খুব হিসেব করে চলতে হবে। প্রেমের ব্যাপারে নিঃসঙ্গতা আসতে পারে।

তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর – ২২ অক্টোবর): সপ্তাহের শুরুতে বাস্তব জগতের নয়, আত্নার গভীর রহস্যই আপনাকে আকর্ষণ করবে বেশি। বৈদেশিক যোগাযোগ শুভ। কারো জন্য অপ্রত্যাশিত ভ্রমন ক্লান্তিকর ও মানসিক চাপপূর্ণ প্রমানিত হতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে প্রশাসক পর্যায়ের ব্যক্তিদের প্রসার প্রতিপত্তি বাড়বে। কর্মক্ষেত্রে পুরোপুরি মননিবেশ করুন। সততাই আপনার মুলনীতি হওয়া উচিত। সপ্তাহের শেষদিকে প্রিয়জনের কাছে মনের সত্য অনুভূতিগুলো প্রকাশ করুন। গনযোগাযোগ ভালো হবে। একটি আনন্দময় ও চমৎকার সময় পার করবেন। অতিথিরা বাড়িতে ভীড় করবে। সামাজিক প্রেক্ষাপটে সুনাম অর্জন করবেন।

বৃশ্চিক রাশি (২৩ অক্টোবর – ২১ নভেম্বর): সপ্তাহের শুরুতে কোনো ঝগড়াটে ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদের কারণে মন মেজাজ খারাপ থাকতে পারে। নিজে বিবেচক হন, সম্ভব হলে বিবাদ এড়িয়ে চলুন। রাস্তায় চলাফেরা, গাড়িতে ওঠানামা করায় বিশেষ সাবধান থাকতে হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে কারো প্রেমের নতুন যোগাযোগ আসতে পারে। বাড়িতে দূরের অতিথি আসতে পারে। বাবার সঙ্গে মতবিরোধ পরিহার করুন। সপ্তাহের শেষদিকে অভিনয় শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা একটা ভালো সময় পার করবেন। কারো আবার নতুন চাকরির সুযোগ আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়বে।

ধনু রাশি (২২ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর): সপ্তাহের শুরুতে ব্যবসা লাভজনক হবে। জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে অনেক বড় সহযোগিতা পাবেন। ঘরের শান্তিই বড় শান্তি কথাটা মন থেকে উপলদ্ধি করে সৌজন্যমূলক আচরণ বজায় রাখতে হবে। সন্তানের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে একান্ত আপনজন ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করে কোনো ঝুঁকি নেবেন না। বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সপ্তাহের শেষদিকে তীব্র আবেগের কারণে মন খারাপ থাকতে পাবে। প্রিয়জনের আচরণ আরও বন্ধুত্বপূর্ণ হবে। বিদেশ যাওয়ার সুযোগ ছেড়ে দেওয়া উচিত হবে না।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ১৯ জানুয়ারি): সপ্তাহের শুরুতে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সতর্ক হতে হবে। আপনার পরিকল্পনাগুলো সুফল বয়ে আনবে এমন নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তা নিয়ে কাজে নামা যাবেনা। শারীরিক সমস্যাগুলো অস্বস্তির কারণ হতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন। নারীঘটিত যেকেনো ঝামেলা এড়িয়ে চলুন। নব্য ব্যাবসায়িদের ধৈর্য্য রাখতে হবে। ভরসা রাখুন নিজের কাজের উপর, সফলতা আসবেই। স্নায়ু কিংবা পেশির কোনো সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। অনিদ্রাজনিত রোগে ভোগান্তি হতে পারে।

কুম্ভ রাশি (২০ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি): সপ্তাহের শুরুতে প্রেমিক প্রেমিকাদের মধ্যে সুসময় বিরাজ করবে। আপনি বিবাহিত হলে স্ত্রীর কাছ থেকে দারুন কোনো উপহার পেতে পারেন। প্রেমিক প্রেমিকারা একে অপরকে খুশি রাখতে ফোনে কথা বলুন। সপ্তাহের মাঝদিকে কোনো জটিল সমস্যায় পড়তে পারেন। শারীরিক কোনো রোগ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে আপনার পরিবারে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন হতে পারে। ব্যবসায় ভালো খবর পেতে পারেন। বিবাহিত জীবনে প্রেম ও রোমান্স বাড়বে। মামলা মোকদ্দমায় রায় থাকবে আপনার পক্ষেই।

মীন রাশি ( ১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ): সপ্তাহের শুরুতে কোনো পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে হঠাৎ করেই। পুরনো স্মৃতিগুলো আউড়ে সুন্দর একটা সময় কাটবে। নিজের পরিবারের প্রয়োজনগুলোকে প্রাধান্য দিন সবার আগে। সপ্তাহের মাঝদিকে ভালোবাসার মানুষটির আপনার জন্য দারুন কিছু করে বসতে পারেন। সন্তান বেশ কিছু সুখবর আনতে পারে আপনার জন্য। সপ্তাহের শেষদিকে নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি বাড়তি যত্ন নিন। জলপথে ভ্রমনে এড়িয়ে চলুন।

জাতীয়

বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় মৌলিক তিনটি পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ডলার সাশ্রয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ, সুদহার বৃদ্ধি এবং সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির আওতায় ঋণপ্রবাহ কমানো।

এছাড়া আরও কিছু সহযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে এর মধ্যে একটি উদ্যোগের কারণে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো ঠিক আছে। ভোগ্যপণ্যের চাহিদা কমানো হচ্ছে। এতে আমদানি ব্যয় কমানোর ফলে রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। লোডশেডিংয়ের কারণে জ্বালানি আমদানি কমবে। এতেও ডলার সাশ্রয় হবে। অন্যদিকে বাজারে টাকার সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।

ফলে আমদানি খাতে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদাও কমবে। তবে এতে বেসরকারি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা আছে। যা কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এদিকে ঋণের সুদের হার বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এতে ঋণের খরচ বেড়ে যাবে। ফলে ঋণপ্রবাহ কমবে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূল সমস্যা ডলার। এখন ডলারের জোগান বাড়াতে হবে। এটি বাড়ানো সম্ভব হলেই অনেক সমস্যা কেটে যাবে। কিন্তু ডলারের জোগান বাড়াতে হলে প্রথমে পাচার বন্ধ করতে হবে। তারপর রেমিট্যান্সে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। তাহলে ডলারের জোগান বাড়বে।

এর পাশাপাশি আমদানি নিয়ন্ত্রণ, দেশের ভেতরে আমদানির বিকল্প পণ্য উৎপাদন ও বাজার তদারকি বাড়াতে হবে। তাহলে পণ্যমূল্য কমবে। এতে মূল্যস্ফীতির হারও সহনীয় হবে। কিন্তু ইতোমধ্যে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এতে বেসরকারি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ফলে কর্মসংস্থান কমবে, মানুষের আয়ও কমবে। যা মূল্যস্ফীতির আঘাতকে আরও বড় করে তুলবে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের কাছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থনৈতিক চাপ কমে আসবে। কেননা ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে পণ্যের দাম কমে যাবে। তখন অর্থনৈতিক চাপও কমবে।

এদিকে রিজার্ভ সাশ্রয় করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কিছুটা কমানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু চাপ পুরোপুরি কমেনি। আমদানি ব্যয়ের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হচ্ছে জ্বালানি খাতে। এ খাতে ব্যয় কমাতে লোডশেডিং করা হচ্ছে। জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হয়েছে। ফলে জ্বালানি খাতে ডলার সাশ্রয় হবে।

সূত্র জানায়, করোনার পরে হঠাৎ পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়ে যায়। একই সঙ্গে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা আরও বাধাগ্রস্ত হয়। এতে পণ্যের দামও বাড়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যায় লাগামহীনভাবে। আমদানি ব্যয় যেভাবে বেড়েছে সেভাবে রপ্তানি আয় বাড়েনি।

এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহে ঘাটতি দেখা দেয়। এসব মিলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এতে বাজারে ডলারের দাম হু-হু করে বাড়ছে। গত এক বছরের ব্যবধানে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সায় উঠেছে। ওই সময়ে টাকার মান কমেছে ৯ টাকা ৬৫ পয়সা। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হিসাবে টাকার মান আরও বেশি কমেছে।

দেশে এখন সবচেয়ে বড় সংকট বৈদেশিক মুদ্রার জোগানে। চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার জোগান মিলছে না। ফলে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫ কোটি ডলার ঘাটতি হচ্ছে। এ ঘাটতি মেটানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার দিয়ে। এতে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উঠেছিল। এখন তা কমে ৩ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারে নেমে গেছে।

এদিকে আগামীতে আমদানির দেনা পরিশোধের চাপ আরও বাড়ছে। কেননা করোনার সময়ে যেসব এলসির বা বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ স্থগিত হয়েছিল সেগুলো এখন দিতে হচ্ছে। এতে চাপ আরও বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এলসির ঊর্ধ্বগতি কমানো সম্ভব হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এতে আগামীতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে রপ্তানি আয় বড় চ্যালেঞ্জে পড়তে যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ইউরোপের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। প্রায় সব দেশই সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে। ঋণের সুদের হার বাড়াচ্ছে। ইউরোর দাম কমে গেছে। এতে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ফলে তারা আমদানি কমানোর দিকে এগোচ্ছে। দেশে রপ্তানি আয়ের ৫৪ শতাংশ ইউরোপ থেকে আসে। ফলে এ খাতে বড় ধাক্কা আসতে পারে।

বেশি দামে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করায় দেশে এসে ওইসব পণ্য মূল্যস্ফীতির হার বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ খাতে মূল্যস্ফীতি কমাতে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে বাজারে টাকার প্রবাহ কমানোর নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে নীতি সুদের হার দুই দফায় কমানো হয়েছে। রপ্তানি ঋণের সুদের হার ১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

তবে এখনও ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ানো হয়নি। তবে এ খাতেও ঋণের সুদের হার বাড়ানোর জন্য প্রচণ্ড চাপ আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর। কেননা ব্যাংকে এখন আমানত কমে যাচ্ছে। আমানত বাড়াতে হলে সুদের হার বাড়াতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ ও আমানতের ক্ষেত্রে ৯-৬ নীতি (ঋণের সুদ ৯ শতাংশ ও আমানতের সুদ ৬ শতাংশ) গ্রহণ করায় এখন ব্যাংকগুলো আমানতের সুদের হার বাড়াতে পারছে না। আমানতের সুদের হার বাড়লে ঋণের সুদের হারও বাড়াতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে ঋণের সুদের হার কমিয়ে বা বাড়িয়ে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো বা কমানো সম্ভব হয় না। কেননা গত দুই বছর ধরে ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তারপরও বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়েনি। করোনার সময় কিছু খাতে প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেগুলোতেও ঋণপ্রবাহ বাড়েনি।

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া মারা গেছেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ৪টায় নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা।

ডেপুটি স্পিকার দীর্ঘ নয় মাস দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

মৃত্যুর সময় হাসপাতালে বড় মেয়ে রিটা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম।

প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়ার জন্ম গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বটিয়া গ্রামে ১৯৪৬ সালে।

১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করলে তার বিরোধিতার আন্দোলনে নেমে প্রথম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ফজলে রাব্বী মিয়া। তখন তিনি কেবল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

রাজনৈতিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের যোদ্ধা হিসেবে অংশ নেন প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়া।

সবশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে সপ্তমবারের মতো জয়ী হন তিনি।

প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এর আগে, ২০২০ সালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সদ্য প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম মারা যান।

জাতীয়

বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বিশ্বের ১৬৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ৯১তম।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক থিংকট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস বিশ্ব শান্তি বিষয়ক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

বৈশ্বিক শান্তি সূচক–২০২১ এ ৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।এই তালিকায় আগের বছরের অবস্থান ধরে রেখে শীর্ষস্থানে রয়েছে আইসল্যান্ড।

তবে এক ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে নিউজিল্যান্ড। পাশাপাশি দুই ধাপ এগিয়ে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। তবে অবনমন হয়েছে পর্তুগালের। দেশটি ২ ধাপ নেমে এসেছে চতুর্থ স্থানে।

বৈশ্বিক শান্তি সূচকে শীর্ষ ১০টি দেশ হলো—আইসল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, চেক রিপাবলিক এবং কানাডা।

এদিকে, তালিকার সর্বনিম্ন স্থান অর্থাৎ ১৬৩তম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান। এর আগের সূচকেও দেশটির অবস্থান ছিল সর্বনিম্ন।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে নেপাল। দুই ধাপ পিছিয়ে দেশটির অবস্থান ৮৫তম। এরপরই আছে বাংলাদেশ।

অবাক করার বিষয় হলো, ঋণ এবং অর্থ সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা ১৯ ধাপ পিছিয়েও বর্তমানে অবস্থান করছে ৯৫তম স্থানে। এ ছাড়া, এই সূচকে ভারতের অবস্থান ১৩৫তম। দেশটি দুই ধাপ এগিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার অপর দেশ পাকিস্তান বর্তমান সূচকে রয়েছে ১৫০তম স্থানে। দেশটি দুই ধাপ পিছিয়েছে।

মূল ৩টি ক্ষেত্রের আওতায় সর্বমোট ২৩টি নির্দেশকের ভিত্তিতে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। মূল ক্ষেত্র ৩টি হলো—সামাজিক সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক সংঘাত এবং সামরিকীরণের মাত্রা। এছাড়া সূচক ২৩ টির মধ্যে রয়েছে—অস্ত্র আমদানি, সহিংস বিক্ষোভ, সামরিক ব্যায় বৃদ্ধি, শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যা, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সংখ্যার অনুপাত, পারমাণবিক এবং ভারি অস্ত্র, রাজনৈতিক সন্ত্রাসবাদের পরিমাণ, আগ্নেয়াস্ত্রের সহজলভ্যতা, সহিংস অপরাধ, বাহ্যিক সংঘাত থেকে মৃত্যুর পরিমাণ, অপরাধ বিষয়ে ধারণা, অভ্যন্তরীণ সংঘাতের গভীরতা, খুনের হার, কারাদণ্ড প্রদানের হার, বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীন যুদ্ধ–সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার হার এবং এসব দ্বন্দ্ব–সংঘাত থেকে মৃত্যুর পরিমাণ।

জাতীয়

রাত ১০টার মধ্যে হলে প্রবেশের নোটিশ দেওয়ার পর আন্দোলনে নেমেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রীরা।

বুধবার (২০ জুলাই) রাত ১০টা থেকে চবির জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের সামনে অবস্থান নিয়ে এখন আন্দোলন করছেন শতাধিক ছাত্রী।

এসময় চার দফা দাবি জানান আন্দোলনরতরা। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২৪ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মেডিক্যাল ও আবাসিক হলে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অকার্যকর যৌন নিপিড়ন সেল বাতিল করে নতুন করে কার্যকর যৌন নিপিড়ন সেল গঠন করতে হবে। চার কর্ম দিবসের মধ্যে ছাত্রী হেনস্তায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পদত্যাগ করবেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে লিখিত আশ্বাস দিতে হবে।

প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, গত রোববার (১৭ জুলাই) রাতে প্রীতিলতা হলের এক ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্তের বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন। এরপরও ছাত্রীরা যে আন্দোলন করছে, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দাবিগুলো শুনেছি। আমরা যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছি। তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করছি।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক জন মারা গেছেন। আগের দিনে এই রোগে মারা গিয়েছিল ৮ জন। এ সময়ে সংক্রমণ বেড়েছে ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৫০ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মঙ্গলবার করোনায় শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৬  শতাংশ। আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ২০ শতাংশে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১০৪ জন। আগের দিন ৯ হাজার ৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৮৭৯ জন।

দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৫ লাখ ২৯ হাজার ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩৯৫ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৪২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৮৯২ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৯৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।

এদিকে রাজধানীসহ ঢাকা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ২৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৪৭৯ জন। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ০৩ শতাংশ। গতকাল শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

জাতীয়

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ দেবীদ্বার আসনের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের হাতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শনিবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনে বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী মাস্টার ও আহত আবুল কালাম আজাদসহ বৈঠক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, আগামী ২১ জুলাই দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে দলটির দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ও গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের সম্মেলন হলেও কমিটি ঘোষণা বাকি থেকে যায়।

শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনে কুমিল্লা উত্তর জেলা ও দেবীদ্বারের দলীয় নেতৃবৃন্দ এ নিয়ে বৈঠকে বসেন। এসময় এলাহাবাদ ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা করা হলে দেবীদ্বারের সংসদ সদস্য (এমপি) রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এতে আপত্তি জানান। এসময় কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রতিবাদ জানালে দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, এসময় দুইজনের মধ্যে তুমুল হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আহত অবস্থায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, এমপি (সংসদ সদস্য) সর্বসম্মতভাবে ঘোষিত কমিটি না মেনে উল্টো আমাকে কানে-মাথায় এলোপাতাড়িভাবে ঘুষি মেরে ও বিভিন্নভাবে আঘাত করে আহত করেছেন। এতে আমার কানে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হই। এ বিষয়ে শনিবার রাতে এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী মাস্টার সাংবাদিকদের জানান, একজন সংসদ সদস্য সর্বসম্মতভাবে ঘোষিত কমিটি না মেনে উপজেলা চেয়ারম্যানকে (আবুল কালাম আজাদ) ঘুষি মারতে মারতে এক পর্যায়ে নিচে (মেঝেতে) ফেলে দেন, যা কারোর কাম্য ছিল না। এর ফলে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পর অনুষ্ঠান স্থগিত করে নেতৃবৃন্দ সভাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় আগামী ২১ জুলাই দলের উপজেলা সম্মেলন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এদিকে এমপির হাতে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার রাতে দেবীদ্বার উপজেলা সদরে এবং আবুল কালামের নিজ ইউনিয়ন বরকামতা ও বাগুর এলাকায় তার অনুসারীরা পৃথক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

রাতে দেবীদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর সাংবাদিকদের জানান, দেবিদ্বার উপজেলা সদরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৯ হাজার ২৩০ জনে।
এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪০ জনে।

আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৫৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ২২ হাজার ৯৭৭ জন। ২৪ ঘন্টায় ৭ হাজার ২৪৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৭ হাজার ৩৫১টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৪ জন ঢাকার ও অন্য ১ জন চট্টগ্রামের। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ১ জন নারী।