জাতীয়

ভুয়া বিসিএস ক্যাডার সেজে বিভিন্ন সময় জালিয়াতির খবর গণমাধ্যমে আসে। এবার প্রকৃত এক ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে অভিনব জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের (প্রশিক্ষণরত) বিরুদ্ধে অভিযোগ, কয়েকজন অসহায় শিক্ষার্থীকে সহায়তার নামে তিনি ৩৮তম বিসিএস ব্যাচের কয়েকশ কর্মকর্তার কাছ থেকে গত দুই বছর যাবত অর্থ সংগ্রহ করেছেন। নিজের বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সংগ্রহকৃত এই অর্থ সহায়তার কাজে ব্যবহার না করে কুক্ষিগত করেছেন।

অভিযুক্তের নাম নিশাত ফারাবী। তিনি ৩৮তম বিসিএসে সহকারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনে সংযুক্ত আছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পিএসসি কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্তির পর থেকেই নিশাত ফারাবী বিভিন্ন অজুহাতে প্রথমে ‘অসহায় ছাত্রকে সহায়তা’র নামে তহবিল সংগ্রহ করেন। এছাড়া সরকারি তথ্য ও সেবা নম্বরে (৩৩৩ কোড) দরিদ্র মানুষজন সহায়তা চাচ্ছে উল্লেখ করে তাদের জন্য ফান্ড সংগ্রহ করেন। ৩৮তম বিসিএসের কর্মকর্তাদের কাছে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক মেসেঞ্জার আইডি (নিশাত ফারাবী অন্তরা) থেকে সম্বলহীন,গরীবদের জন্য ফান্ড কালেকশন করছেন এমন  মেসেজ পাঠিয়ে তিনি এই অর্থ সংগ্রহ করেন, যার প্রমাণ যুগান্তরের হাতে রয়েছে। যদিও বর্তমান  এই আইডিটি তিনি ডিঅ্যাকটিভেটেড করে রেখেছেন।

অসহায়, গরীবদের কথা বলে তিনি এই ফান্ড সংগ্রহ করেছেন
অসহায়, গরীবদের কথা বলে তিনি এই ফান্ড সংগ্রহ করেছেন

নিশাত ফারাবী মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) ছাত্রী ছিলেন। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেকের কাছ থেকেও তিনি একই কায়দায় অর্থ সংগ্রহ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তিনটি বিকাশ নম্বর 01746320…,01772117…,01629920 ও একটি সোনালি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর 0330101015… ব্যবহার করে নিশাত ফারাবী এই অর্থ নিয়েছেন। যে নম্বরগুলো ব্যবহার করে এই অর্থ নিয়েছেন সেগুলো নিশাত ফারাবীর নামে নিবন্ধনকৃত এবং এখনো তিনি এসব নম্বর ব্যবহার করছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, ৩৮তম বিসিএস কর্মকর্তাদের মধ্যে ঘটনা জানাজানি হলে নিশাত ফারাবী প্রথমে দাবি করেন তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে, তিনি নিজেই প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। অথচ, তার ওই ফেসবুক আইডিতে (নিশাত ফারাবি অন্তরা) তিনি চলমান বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ছবি আপলোড করেছেন। যে বিকাশ নম্বরে তিনি টাকা নিয়েছেন সেটা জাতীয় তথ্য বাতায়নে নিবন্ধনকৃত রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিএস ৩৮তম ব্যাচের কয়েকজন সদস্য জানান, সম্প্রতি নিশাত ফারাবীর এই ঘটনা জানাজানি হয়। ব্যাচের অর্থদাতারা নিশাত ফারাবী এই টাকা কোথায় ব্যয় করেছেন সেটা জানতে চান। কিন্তু তিনি বিভিন্ন অসংলগ্ন জবাব দেন। একপর্যায়ে সহানুভূতি আদায় করার জন্য নিশাত ফারাবী দুইজনকে বাবা-মা সাজিয়ে কথা বলান। কিন্তু পরে জানা যায়, যাদের তিনি বাবা-মা সাজিয়ে কথা বলিয়েছেন তারা তার প্রকৃত বাবা নন। তবে সার্বিক ঘটনার জন্য নিশাত ফারাবী ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বলেও জানা গেছে
ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বলেও জানা গেছে

এদিকে অভিযুক্ত নিশাত ফারাবীর বিরুদ্ধে ৩৮তম বিসিএস ব্যাচের পক্ষে রংপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রভাষক (সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার) এস এম আব্রাহাম লিংকন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে ভেটেরিনারি সার্জন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারসহ অন্তত ৩০ জন ভুক্তভোগী স্বাক্ষর করেছেন।

এ বিষয়ে বিসিএস কর্মকর্তা এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি অভিযোগ দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত নিশাত ফারাবীর প্রতারণা সত্য হলে এমন কাজ সিভিল সার্ভিসের মর্যাদাই শুধু নষ্ট করবে না, উপরন্তু সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারের উপর মানুষের বিশ্বাস ও ভালবাসা হ্রাস পাবে। এজন্য তিনি ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নিশাত ফারাবী বলেন, বিষয়টি ডিসি স্যার (ডিসি সিরাজগঞ্জ) হ্যান্ডেল করছেন। আপনি তার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এটা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন। পরে তাকে আবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে শুক্রবার রাতে জানতে চাওয়া হয় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. ফারুক আহাম্মদের কাছে। তিনি নিশাত ফারাবীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

ডিসি ফারুক আহাম্মদ বলেন, তিনি (নিশাত ফারাবী) এখন অন্যত্র ট্রেনিংয়ে আছেন। আগামী মাসে (জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জে যোগদানের কথা রয়েছে। যেহেতু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। আমরা সেটি তদন্ত করব। তদন্তে সত্যতা পেলে অবশ্যই যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেব।

নিশাত ফারাবীর বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজমের কাছে জানতে জাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি এখনো আমি জানি না। এর বাইরে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

জাতীয়

থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফানুস ওড়াতে গিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকার একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া আরও কয়েকটি স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে বলা হয়েছে, আগুন লাগার স্থানগুলো তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। তালিকা করার কাজ পুরোপুরি শেষ না করে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব হবে না। তালিকা সম্পন্ন করার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

জাতীয়

বারবার একই ঠিকাদার যাতে কাজ না পায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে তারা সড়কের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে শেষ করারও সুপারিশ করেছে।

বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান এতে সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন। এ ছাড়া সদস্য এনামুল হক, রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার, শেখ সালাহউদ্দিন এবং মেরিনা জাহান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সদ্য পাস হওয়া ‘মহাসড়ক আইন, ২০২১’ অনুসরণ করে সড়ক ও মহাসড়কের বিশৃঙ্খলা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং টঙ্গী-গাজীপুর মহাসড়কের নির্মাণ কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার জন্য বলা হয়েছে।

জাতীয়

রাজবাড়ী সদর উপজেলা ভূমি অফিসের ফাইল নড়ে না টাকা ছাড়া। আর এ কাজটি করে থাকেন খোদ রাজবাড়ী সদর উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী কাম-হিসাবরক্ষক বাবুল চন্দ্র সরকার। তার ঘুস লেনদেনের একটি ভিডিও হাতে এসেছে। ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।

বাবুল চন্দ্র সরকার জনগণের কাছে বাবু সাহেব নামে পরিচিত হলেও অনিয়ম, ঘুস বাণিজ্য ও হয়রানিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভূমি অফিসের নামজারি, মিসকেসসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করতে গেলে তিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেগুলোর সমাধানের নিশ্চয়তা দেন। যার ফলে ভুক্তভোগীদের তার দপ্তরে ঘুরতে হয় দিনের পর দিন।

ঘটনার স্বীকার কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজই করেন না তিনি। তার ওপরের স্যারকে ম্যানেজ করে যেভাবেই হোক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছ থেকে বুঝে নেন মোটা অংকের টাকা।

তার এ কর্মকাণ্ডের একটি ভিডিও গোপনে ধারণ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করার দৃশ্য। ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন বৃদ্ধলোক নামজারির একটি কাজে তার হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন। এ কাজে সহযোগিতা করছেন ওই ভূমি অফিসের একজন বিখ্যাত দালাল।

ভিডিওটির শুরুতে এই কর্মকর্তা একটি কাজে দালালকে উদ্দেশ করে একটু বিরক্তিকর সুরে বলতে শোনা যায়- ‘তুমি এই সকাল বেলা কী পচা কামডা (কাজ) নিয়ে আইছো।’ পাশে থাকা লোকটি তখন বলেন- ‘না বাবু পচা না, এগুলো করে দিতে হবে। কোনো উপায় নাই।’ পরে ওই কর্মকর্তা আরও কিছু টাকা দাবি করলে (শব্দ অস্পষ্ট) দালাল তাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের কাজীবাঁধা এলাকার এক ভুক্তভোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাবুল চন্দ্র টাকা ছাড়া কোনো কাজই করেন না । তার ধ্যানই শুধুই  টাকা। টাকা না দিলে ফাইল ফেলে রাখেন দিনের পর দিন। অনেক সময় বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বড় (ওপরের) স্যারের টেবিল পর্যন্ত ফাইল পৌঁছতে দেন না।

অভিযুক্ত সদর উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী কাম-হিসাবরক্ষক বাবুল চন্দ্র সরকার ভিডিওটি তার কিনা- সেটা দেখে অকপটে স্বীকার করে বলেন, এই ভিডিওটি আমারই দপ্তরের। এগুলো দেখে তিনি মিটি মিটি করে হাসেন এবং বলেন- রাখেন তো ভাই, আপনাদের কোনো নিউজ টিউজ করার দরকার নাই।

বাবুল চন্দ্রের ঘুস বাণিজ্যের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, আমার কর্মচারীর ঘুষ ও দুর্নীতির বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে হলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে বক্তব্য দিতে হবে। তবে এটাও ঠিক আমার প্রতিষ্ঠানের কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘুস-দুর্নীতির কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, আপনি আমার কাছে যেকোনো মাধ্যমে ভিডিওটি পাঠালে আমি সেটা বিশদ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ২৮ হাজার ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ২৬০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাতে মোট শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৩ জন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

চলতি বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

২০২০ সালের এপ্রিলের পর চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ।সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো গেল বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।

জাতীয়

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহান শাহকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠায় তাকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার পূর্বক অব্যাহতি দেওয়া হয়।

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শহীদ মিনারে দেওয়ানগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহকে লাঞ্ছিত করেছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হয়েছে। এতে করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং বিষয়টি সংগঠনের জন্য বিব্রতকর। সংগঠনের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে এবং অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ হতে বহিষ্কার পূর্বক অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

এদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ অস্বীকার করেন পৌর মেয়র বলেন, তাকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

জাতীয়

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতে সার্চ কমিটির সম্ভাব্য সদস্যদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে সরকার। ১৩তম নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম সুপারিশ করবে এই কমিটি।

ইসি গঠনে মতামত নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শেষে সার্চ কমিটির সদস্যদের নাম প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। ২০ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে এই সংলাপ। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ১২তম নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

আরও জানা গেছে, সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া রাষ্ট্রীয় অন্যসব কাজে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিতে হয়। এ কারণে সার্চ কমিটি গঠনে সদস্যদের খোঁজার কাজটি কার্যত সরকারের মাধ্যমেই রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে।

২০১২ ও ২০১৭ সালে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছিল। ওই সময় সার্চ কমিটি প্রধান হিসাবে নিয়োগ পান সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের একজন সিনিয়র বিচারপতি। সদস্য ছিলেন- হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ও সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান। তবে ২০১৭ সালে আগের কমিটির সংশ্লিষ্ট পদধারীদের বহাল রেখে আরও দুজন সদস্য বাড়ানো হয়। তাদের মধ্যে একজন নারীসহ দুজনই ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার আগের কমিটির সংশ্লিষ্ট পদধারীদের বহাল রেখে সুশীল সমাজ, সাবেক আমলাদের মধ্য থেকে আরও একজন করে সদস্য নেওয়া হতে পারে। তবে যত সদস্যের কমিটিই হোক না কেনো- সেখানে অন্তত একজন নারী সদস্য রাখা হবে।

বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্যে রয়েছেন মো. ইমান আলী, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মো. নূরুজ্জামান এবং ওবায়দুল হাসান। এদের সিনিয়র দুজনের মধ্যে যেকোনো একজনকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তাই এবার আপিল বিভাগ থেকে সার্চ কমিটির প্রধান হিসাবে আগের সার্চ কমিটিতে থাকা অভিজ্ঞ একজনকে রাখা হতে পারে।

অন্য দিকে বর্তমানে সিএজির দায়িত্বে আছেন সাবেক সচিব মুসলিম চৌধুরী ও পিএসসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন সাবেক সচিব সোহরাব হোসাইন। সূত্র আরও জানায়, যারা পদাধিকার বলে নির্ধারিত সদস্য তাদের জানুয়ারি মাসে কারও বিদেশ সফর আছে কিনা, শারীরিক অবস্থা কী এসব বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে অনির্ধারিত সদস্যদের মধ্যে যাদের কথা ভাবা হচ্ছে তারা সার্চ কমিটিতে থাকতে ইচ্ছুক কিনা-সে বিষয়েও আগাম মতামত নেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন কোনো আইনি প্রক্রিয়া নয়। সংবিধানে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হলেও গত অর্ধ শতাব্দীতে কোনো সরকারই আইন করেনি। সার্চ কমিটির বিষয়ে সংবিধানেও কিছু বলা নেই। তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন হয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মতে, সার্চ কমিটি কোনো আইনি প্রক্রিয়া না হলেও রাষ্ট্রপতির আদেশ আইনের কাছাকাছি বলেই ধরতে হবে।

জাতীয়

নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় বাধা থাকলেও বিভিন্ন কৌশলে মাঠে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা। বিশেষ করে নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের কোনো কাউন্সিলর প্রার্থীই বসে নেই।

উঠান বৈঠক, ঘরোয়া বৈঠক কিংবা সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে সরাসরি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে কেউ কেউ মোটরসাইকেলের বিশাল বহর নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন, মিছিল করছেন; আবার কেউ কেউ শহরময় মাইকিং করেও প্রচারণা চালাচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পর অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লাগানো পোস্টার ব্যানার সরিয়ে নেওয়া তো দূরের কথা নতুন করে পোস্টারে পোস্টারে ভরে ফেলছেন পুরো এলাকা। নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসের কোনো নজরদারি নেই বলে প্রার্থীদের অনেকেই গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করছেন।

নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, এবারের নাসিক নির্বাচনে মোট ২৫৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীদের মধ্যে থেকে ২১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে ৮, নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৬ জন ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন।

এদিকে শুক্রবার দিনভর নগরীর বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এ সময় তৈমুর আলম খন্দকারকে পেয়ে মুসল্লিরা ছাড়াও ওই সব এলাকার শত শত মানুষ ছুটে আসেন তাকে এক নজর দেখেতে।

জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে অ্যাডভোকেট তৈমুর জুমার নামাজ আদায় করেন নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডের আমলাপাড়া বড় মসজিদে। নামাজ শেষে তিনি সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর আসরের নামাজ আদায় করেন নগরীর ১১নং ওয়ার্ডের তল্লা বড় মসজিদে এবং মাগরিবের নামাজ আদায় করেন ১৮নং ওয়ার্ডের নোল্লাপাড়া বড় মসজিদে।

এ সময় তৈমুর আলম গণমাধ্যমের কাছে বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর জেলা ও মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে স্মরণকালের বিশাল বিজয় র্যা লি হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সেই র্যা লিতে যাইনি। অথচ ওই দিনই আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকার পক্ষে করা সমাবেশে অংশ নিয়েছেন, শহরে মিছিল করেছেন।

তিনি বলেন, আজ (শুক্রবার) নৌকার প্রার্থী বন্দরের কদমরসুল দরগায় গিয়েছেন এবং সেখানে শত শত লোক নিয়ে মিছিল করছেন। প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচন কমিশন দ্বিমুখী আচরণ শুরু করে দিয়েছে। আমি মনে করি, সরকারের উচিত এই দ্বিমুখী আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। আমি আগেও বলেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় এ নির্বাচনটি যদি কারচুপিহীন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় তবে তার নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইস্যুটিকেও মসৃণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জবাসী তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে কারণ সাধারণ মানুষ তাদের মতপ্রকাশে উদগ্রীব হয়ে আছেন।

অপরদিকে শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার কদমরসূল দরগাহ জিয়ারতে যান আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। যাবার সময় এবং জিয়ারত শেষে ফেরার পথে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। অনেকে আগে থেকেই সেখানে ফুল নিয়ে আইভীর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। তারা ফুল ছিটিয়ে আইভীকে বরণ করে নেন।

তবে এ মিছিল ও প্রচারণা নিয়ে সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমের কাছে কোনো কথা বলেননি আইভী। যদিও সেখানে উপস্থিত আইভীর নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, আইভী কাউকে জানিয়ে আসেননি এবং তিনি মিছিল করতে বলেননি। উপস্থিত নেতাকর্মীরা হয়তো নৌকার পক্ষে নিজে থেকেই স্লোগান দিয়েছেন। তবে সিনিয়র নেতারা স্লোগান দিতে বারবার নিষেধ করলেও নেতাকর্মীরা তা শোনেননি।

জানা গেছে, নাসিক নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধির ৫ ধারায় অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবে না।

সেখানে এই বিধির ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দীপু বলেন, ডা. আইভী এ অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন মানুষ। তিনি কোনো এলাকায় গেলে এমনিতেই শত শত মানুষ তার পেছনে হাঁটতে থাকেন। সাধারণ মানুষকে তো আর আটকে রাখা যায় না।

অপরদিকে নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভীর গত ২ দিনের আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়টি নিয়ে কথা বললে নাসিক নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মতিয়ুর রহমান জানান, আইন সবার জন্য সমান। যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টা আমার জানা নেই, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

উল্লেখ্য, এর আগেও ১৬ ডিসেম্বর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মিছিল করেছেন নগরীর বিভিন্ন সড়কে। এ ব্যাপারেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি নির্বাচন কমিশন।

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে দাঁড়িয়ে সমৃদ্ধির সোপান বেয়ে আজকের বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয়

মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।

এরপর প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে যান। বঙ্গবন্ধু ভবনে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন তিনি।

পরে সকাল ৮টার পর দলের সভাপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বোস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

এর আগে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় স্মৃতিসৌধেও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা জানান।

বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী ও মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করবে সম্মিলিত বাহিনী।

প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন।

বিকেল সাড়ে ৪টায় উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ায় সর্বশক্তি নিয়োগের শপথ নেবে বাংলাদেশের নাগরিকরা।

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এ শপথ পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সারা দেশ থেকে শপথ নেবেন দেশের নাগরিকরা।

এরপর বিকেল সাড়ে ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলেও জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান।