জাতীয়

নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে পাঁচ শতাংশের নিচে নেমেছে।

দেশে গত একদিনে আরও ২৯৬ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও তিনজনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৯২৯টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ২৯৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগের দিন রোববার ২১৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

সোমবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে পাঁচ শতাংশের নিচে নেমেছে। শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১০ শতাংশ ছিল।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৭ হাজার ৬৩১ জন হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩৮ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ৬৬৫ জন।

নতুন শনাক্ত ২৫৩ জনের মধ্যে ১২১ জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৩৮ জেলায় গত এক দিনে নতুন রোগী ধরা পড়েছে।

মৃতদের দুজন রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তাদের একজন পুরুষ ও দুজন নারী।

আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে শনাক্ত এবং মৃত্যু দুটোই কমেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সারাদেশে ২ হাজার ৭৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৮২ জন। শনাক্ত কমেছে শতকরা ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ১৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পূর্ববর্তী সপ্তাহে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল করোনাভাইরাসে। সে হিসাবে আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৮ শতাংশ মৃত্যু কম হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।প্রথম রোগী শনাক্তের ২৮ মাস পর বৃহস্পতিবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়ায়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৪ লাখ ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৮ কোটি ৪৬ লাখের বেশি।

জাতীয়

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ওই নারীর মোবাইল ফোন ও মালপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

স্বামীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নামিয়ে দিয়ে গাজীপুরের একটি বাসে নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় চালক ও তার দুই সহকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সানোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে বাসের হেল্পার-চালক-কন্ডাক্টর ছাড়াও অন্য বাসের দুই কর্মী রয়েছেন।

তাদের পরিচয়সহ বিস্তারিত রোববার সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সানোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার রাত সোয়া ৩টার দিকে ৮-১০জন যাত্রী নিয়ে গাজীপুর মহানগরের বাইপাস মোড় এলাকা থেকে তাকওয়া পরিবহণের একটি বাস শ্রীপুরের উদ্দেশে রওনা হয়।

বাসটিতে ধর্ষণের শিকার ওই নারী এবং তার স্বামীও ছিলেন। এক পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে অন্য যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “শ্রীপুরের মাওনা ফ্লাইওভারে পৌঁছার আগে ওই নারীর স্বামীকেও ভয়-ভীতি দেখিয়ে ও জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।”

পরে বাসটি মাওনা হয়ে রাজেন্দ্রপুরের দিকে চলে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, “পথিমধ্যে ওই নারীকে ধর্ষণ করে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালপত্র রেখে রাজেন্দ্রপুরের কাছে নামিয়ে দেয়।”

এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা হলে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ওই নারীর মোবাইল ফোন এবং মালপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বাসটিও জব্দ করা হয়েছে।

জাতীয়

জ্বালানির দাম বাড়ায় যানবাহনের ভাড়াও বেড়েছে। সিটি সার্ভিসে কিলোমিটার প্রতি বাড়ছে ৩৫ পয়সা।

দূরপাল্লায় ৪০ পয়সা করে বাড়বে।

শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানা গেছে।

৪ ঘণ্টা বৈঠক শেষে ভাড়া সমন্বয়ের বিষয়ে গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন সড়ক সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরী।

সড়ক সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরী বলেন, যাত্রী সাধারণের কথা চিন্তা করে ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করেছি। অতিরিক্ত ভাড়া যেন আদায় না হয় সেজন্য ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।

সড়ক পরিবহন সচিব এ বিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো দেশের চেয়ে আমাদের জ্বালানি তেলের দাম কম।

পরিবহন মালিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মূল্যবৃদ্ধির পরও তারা যানবাহন চালিয়েছে সারাদেশে। তারা ধর্মঘটে যাননি। ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছি।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মাদ মজুমদার বলেন, মূল্য নির্ধারণ কমিটি যাবতীয় কস্টিং এবং তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টা বিবেচনা করে ভাড়া পুনঃ নির্ধারণের ব্যাপারে একমত হয়েছি। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আগে দূরপাল্লার বাসের ভাড়া ছিল কিলোমিটার প্রতি ১ টাকা ৮০ পয়সা৷ এখন ভাড়া পুনঃ নির্ধারণ করা হয় ২ টাকা ২০ পয়সা। আর সিটি সার্ভিসে কিলোমিটার প্রতি ছিল ২ টাকা ১৫ পয়সা, এখন ২ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ডিটিসিএ আওতাভুক্ত জেলাগুলোতে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা। এছাড়া বাস ও মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ ও ৮ টাকা বহাল রেখেছি। নতুন এ ভাড়া আগামীকাল (৭ আগস্ট) থেকে কার্যকর হবে।

তিনি আরও বলেন, দূরপাল্লার ভাড়া বেড়েছে ২২ শতাংশ। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভাড়া বেড়েছে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। ডিটিসিএ আওতাভুক্ত এলাকায় ভাড়া বেড়েছে ১৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমাদের সবমিলিয়ে ব্যয় ৭০ শতাংশ বাড়লেও জনগণের কথা মাথায় নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। কেউ যদি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নিবে। মালিক সমিতিও কঠোর আছে এ বিষয়ে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।

জাতীয়

এক সময় উপেক্ষিত বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের সফল দৃষ্টান্ত। বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে কী অর্জন করা সম্ভব গত কয়েক দশকে দেশটি করে দেখিয়েছে। অপ্রত্যাশিত অবস্থান থেকে শুরু করেই বাংলাদেশ আজ সাফল্যের এক নিদর্শনে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরিবেশগত ঝুঁকি, দুর্নীতির মাত্রা বেশি থাকার পরও বহু দেশই বাংলাদেশের উন্নয়ন থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার এক নিবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে। ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন সম্পর্কে অন্যদের যা শেখাতে পারে’ শিরোনামে নিবন্ধটি শুক্রবার প্রকাশিত হয়। এটি লিখেছেন দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার আফ্রিকাবিষয়ক সম্পাদক ডেভিড পিলিং।

নিবন্ধে বলা হয়েছে, এমন একটি দেশের নাম বলুন তো যাদের মাথাপিছু আয় ৫০০ মার্কিন ডলারেরও কম। যে দেশে নারীদের গড়ে সন্তান সংখ্যা ৪.৫ জন এবং দেশের ৪৪ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে? উত্তরটি হলো ’৯০-এর দশকের বাংলাদেশ। নানা সমস্যায় জর্জরিত সেই দেশটিই আজ অনেকখানি বদলে গেছে। মাথাপিছু জিডিপি বেড়েছে আটগুণ। নারীদের গড়ে সন্তান সংখ্যা দুজন। অর্থাৎ প্রতিটি সন্তানের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও তাদের ভালো রাখতে বাবা-মা এখন আরও বেশি ব্যয় করতে পারেন। ব্যাংকগুলোর কাছে শিল্প খাতে বিনিয়োগের মতো সঞ্চয়ও বেড়েছে।

দেশের নারীদের অবস্থানেও ঘটেছে ব্যাপক পরিবর্তন। মাধ্যমিকে এখন ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। ১৯৭১ সালে দেশটি যখন স্বাধীন হয়, তখন প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শিশু পাঁচ বছর পূর্ণ করার আগেই মারা যেত। বর্তমানে এই হার ৩০ জনের মধ্যে একজন শিশুতে নেমে এসেছে।

বাড়িয়ে বলা উচিত হবে না। বাংলাদেশ এখনো দরিদ্র একটি দেশ। রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরিবেশগত ঝুঁকির পাশাপাশি দেশটিতে দুর্নীতির মাত্রাও অনেক বেশি। চলতি সপ্তাহেই দেশটি কয়েক বিলিয়ন ডলার ঋণগ্রহণে আইএমএফের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু যদি আরও বড় পরিসরে বাংলাদেশকে দেখা হয় তাহলে হেনরি কিসিঞ্জারের কাছে এক সময় ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আখ্যা পাওয়া উপেক্ষিত দেশটি এখন উন্নয়নের সফল এক দৃষ্টান্ত।

যদিও খুব কম সময়েই দেশটিকে উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপিত করা হয়, তবু আফ্রিকার বহু দেশই বাংলাদেশ থেকে শিখতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের কথা প্রায়ই উল্লেখ করা হলেও আফ্রিকার কোনো দেশ তাদের সাফল্যের ধারেকাছেও পৌঁছায়নি।

বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে কী অর্জন করা সম্ভব বাংলাদেশ সেই চিত্রই তুলে ধরে। যারা অতীত থেকে ভবিষ্যদ্বাণী করে, এমনকি পুরো মহাদেশকেই বাতিলের খাতায় ফেলে দেয় তাদের ভুলও ধরিয়ে দেবে এই দেশ। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই রেশ না কাটতেই দুর্ভিক্ষ ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের মতো বর্বর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশটিকে যেতে হয়। সেই অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে শুরু করেই বাংলাদেশ আজ সাফল্যের এক নিদর্শনে পরিণত হয়েছে।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিস্ট স্টেফান ডারকন বাংলাদেশের উন্নয়নের পেছনে তিনটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছেন। প্রথমে রয়েছে দেশটির টেক্সটাইল শিল্প যার রপ্তানি ১৯৮৪ সালে ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে আজ ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ ৫৪টি আফ্রিকান দেশের সম্মিলিত পোশাক রপ্তানি আয়ের তুলনায় দ্বিগুণ আয় করেছে। দ্বিতীয়টি হলো রেমিট্যান্স। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা গত বছর ২২ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছে। তৃতীয়ত, ব্র্যাক এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মতো বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা, যারা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সহায়তার মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করে।

ডারকন তার গ্যাম্বলিং অন ডেভেলপমেন্ট বইয়ে লিখেছেন, এর কোনোটির পেছনেই সরকারের কোনো বৃহৎ পরিকল্পনা ছিল না। বরং সরকার সেখান থেকে দূরেই ছিল। উদাহরণস্বরূপ, সদ্যোজাত টেক্সটাইল শিল্পে সরকার যেমন হস্তক্ষেপ করেনি, তেমনি এনজিওগুলোকেও বিনা বাধায় কাজ করতে দেয় তারা। সত্যি বলতে, বাংলাদেশ নিজেদের সস্তা শ্রম ব্যবহার করে উন্নতি করেছে। কখনো কখনো এর জন্য ভয়ংকর মূল্যও দিতে হয়েছে। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে এক হাজারের বেশি গার্মেন্টকর্মী মারা যায়। তবে ব্রিটেনের ভিক্টোরিয়ান আমলের চরম অস্বাস্থ্যকর ও বিশৃঙ্খল বস্তিগুলোই হোক বা জাপানের মিনামাটা মার্কারি বিষের কেলেঙ্কারি, প্রতিটি শিল্পোন্নত দেশকেই এ ধরনের ভয়াবহতার মধ্য দিয়ে কখনো না কখনো যেতে হয়েছে।

রেনেসাঁ ক্যাপিটালের প্রধান অর্থনীতিবিদ চার্লি রবার্টসনও বাংলাদেশের উন্নয়ন সাফল্যের পেছনে তিনটি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হলো-সাক্ষরতা, বিদ্যুৎ এবং জন্মহার। রবার্টসন তার দ্য টাইম ট্রাভেলিং ইকোনমিস্ট বইতে বলেন, ‘শিল্পোন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ৭০ শতাংশের ওপরে থাকা, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ৩০০ কিলোওয়াট ঘণ্টার ওপর বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং জন্মহার তিনটি শিশুর কম থাকা-বাংলাদেশ এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বাংলাদেশের জিডিপিতে ঋণের হার ৩৯ শতাংশ, যেখানে নাইজেরিয়ায় তা মাত্র ১২ শতাংশ। নাইজেরিয়ার প্রজনন হার যেখানে ৫.২ সেখানে বাংলাদেশের নারীদের প্রজনন হার গড়ে স্রেফ ২ শিশু। দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৭৫ সালে যে জায়গায় ছিল, বাংলাদেশ আজ সে স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশ রবার্টসনের শর্তগুলো পূরণ করে বা পূরণ করার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। সৎ ও দূরদর্শী সরকার নিশ্চিতভাবেই উন্নয়নের পথে অপরিসীম ভূমিকা রাখে। তবে বাংলাদেশ দেখায় যে শ্বাপদসংকুল হলেও উন্নয়নের লক্ষ্যে চলার একটি কঠিন পথ রয়েছে।

জাতীয়

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের এক কিলোমিটার এলাকায় ট্রেন ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের আমানবাজার পূর্ব পাশে খন্দকিয়া গ্রামে। একসঙ্গে ১১ জন কিশোর ও যুবকের মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে গেছে পুরো গ্রাম।

মিরসরাই এলাকায় ট্রেন ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১৬ আরোহীর ঘটনার খবর নিহতদের পরিবার তথা হাটহাজারীর খন্দকিয়া গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া। এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। এলাকা জুড়ে চলছে শোকের মাতম। নিহতের পরিবারের সদস্য, তাদের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকায় আবাল বৃদ্ধ বনিতার আহাজারিতে খন্দকিয়া গ্রামের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।

ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাসান জামান বাচ্চু বলেন, মিরসরাই উপজেলার পর্যটন স্পট খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে পথে ট্রেনের ধাক্কায় আমার এলাকার ১১জন নিহত হয়েছে। করতে আমি দ্রুত চমেক হাসপাতালে ছুটে আসি। এদের মধ্যে ৫/৬ জনকে জরুরি বিভাগে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুত্ব।

শুক্রবার দুপুরে খৈয়াছড়া ঝরনা লেভেলক্রসিংয়ে উঠে পড়া পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।

নিহতদের ১০ জনই হাটহাজারীর জুগিরহাট আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের ছাত্র-শিক্ষক। বাড়ি হাটহাজারীর আমানবাজার খন্দকিয়া গ্রামে। তারা খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফিরছিলেন।

নিহতরা হলেন- আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মোস্তফা মাসুদ রাকিব (২৮), জিয়াউল হক সজীব (২৮), রিদোয়ান চৌধুরী (৩১) ও ওয়াহিদুল আলম জিসান (৩২)। শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষার্থী হিশাম (১৮), আয়াত (১৮), মারুফ (১৭), তাসফির (১৮) ও হাসান (১৯)। নিহত অন্যজন হলেন- মাইক্রোবাস চালক গোলাম মোস্তফা (৩৫), তিনি হাটহাজারী উপজেলার চিকনদণ্ডী এলাকার বাসিন্দা।

আহতরা হলেন- তাছমীর পাভেল (১৬), মো. মাহিম (১৮), মো. সৈকত (১৮), তানভীর হাসান হৃদয় (১৮), মো. ইমন (১৯) ও মাইক্রোবাসের চালকের সহকারী তৌকিদ ইবনে শাওন (২০)। তারা চমেক হাসপাতালের ২৪ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতি ট্রেনটি দুপুর দেড়টার দিকে ওই লেভেলক্রসিং পার হওয়ার মুখে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসটি লাইনে উঠে পড়ে। ট্রেনটি মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিলে তা ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে যায়। ওই অবস্থায় মাইক্রোবাসটিকে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার পথ ছেঁচড়ে নিয়ে বার তাকিয়া স্টেশনের অদূরে থামে ট্রেনটি।

এরমধ্যেই মাইক্রোবাসের চালকসহ ১১জন মারা যান। স্থানীয়রা ছুটে এসে হতাহতদের উদ্ধার শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস, রেলপুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরা এসে উদ্ধার কাজে যোগ দেন। আহতদের নেওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন গণমাধ্যমকে জানান, পরিবারের লোকজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ২৮৫ জনের।

এদিন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৫৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ চার হাজার ৫৪৩ জনে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৯৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৭ জন।

সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ছয় হাজার ২৪টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ছয় হাজার ৮৩টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬১টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত একজন পুরুষ। তার বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তিনি ঢাকা বিভাগের সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৩১ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৮ জন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৪৯ হাজার ৭২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ১৭ হাজার ১৮৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩১ হাজার ৮৮৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

জাতীয়

ইতোমধ্যে লাবনীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ফরেনসনিক বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে; সেখানে তার ফোনের কললিস্ট চেক করে দেখা হবে।

এক সপ্তাহ পার হলেও মাগুরায় পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার লাবনী আক্তার ও মাগুরা জেলা পুলিশ লাইন্সে তার সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুর রহস্যের জট খোলেনি।

তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে লাবনীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ফরেনসনিক বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে তার ফোনের কললিস্ট চেক করে দেখা হবে।

এর বাইরে তারা সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেননি।

মাহমুদুল হাসানের দুলাভাই মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, “এক সপ্তাহ চলে গেলেও আমার শ্যালকের আত্মহত্যার কারণটাই আমরা জানতে পারলাম না। আমরা মনে করি, মাগুরার পুলিশ সুপার মহোদয় একটু আন্তরিকতা দিয়ে চেষ্টা করলে অল্প সময়ের মধ্যেই এর কারণ উদঘাটন করা সম্ভব।”

ছুটিতে গ্রামের বাড়ি থাকা অবস্থায় গত ২০ জুলাই রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি খন্দকার লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ২১ জুলাই সকালে মাগুরা পুলিশ লাইন্সের ব্যারাকের ছাদে নিজের অস্ত্রের গুলিতে প্রাণ হারান লাবনী আক্তারের সাবেক দেহরক্ষী কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান।

লাবনী আক্তারের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের দায়িত্বে থাকা মাগুরার শ্রীপুর থানার এসআই নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, “তদন্ত চলছে।”

এ বিষয়ে কোনো কিছু জানতে হলে এসপি অথবা ওসির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।

লাবনী আক্তারের সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে আছেন মাগুরা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “তদন্ত চলছে; ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”

তবে এখনও মাহমুদুল হাসানের লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাননি বলে ওসি জানান।

শ্রীপুর থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, “সব কিছু মাথায় রেখেই আমরা তদন্ত কাজ চালাচ্ছি। এ বিষয়ে স্পষ্ট করে এখনও বলার সময় আসেনি।”

এডিসি লাবনী আক্তারের মৃত্যুর পর তার স্বামী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক তারেক আব্দুল্লাহ দুই মেয়েকে নিয়ে ফরিদপুরে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন লাবনীর ছোট ভাই হাসনাতুল আজম প্রিন্স।

স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ শুনে ২১ জুলাই ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন ক্যান্সারাক্রান্ত তারেক। লাবনীর মরদেহ ২১ জুলাই দাফনের পরদিনই দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি ফরিদপুরের বাসায় চলে যান।

জানতে চাইলে তারেক আব্দুল্লাহ বলেন, “বর্তমানে আমি মানসিকভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি। এ মুহূর্তে এ বিষয়টি নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।”

তবে লাবনী আক্তারের বাবা প্রাক্তন স্কুলশিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আজম বলেন, “আর কোনো প্রশ্ন আপনারা আমাকে করবেন না। কারণ ঘটনার পর থেকে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আমি ক্লান্ত। মানসিকভাবে এখন আমি একদম ভেঙে পড়েছি। স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের বিষয় ছাড়া আমার মেয়ের আত্মহত্যার পিছনে অন্য কোনো বিষয় আছে কিনা তা আমার কাছে স্পষ্ট নয়।”

জাতীয়

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক শক্তি নির্বাচনে না এলে অপশক্তি মাথা চাড়া দেবে। অপশক্তি প্রতিহত করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী মাঠে থাকতে হবে।

তিনি আজ আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে গণফোরামের সাথে সংলাপকালে বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আমরা আমাদের দায়িত্ব বলতে চাচ্ছি না। আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বে নেই, আমরা প্রশাসনিক সংগঠন। আমাদের কাজ হবে নির্বাচনে যাতে ভোটাররা নির্বিঘেœ গিয়ে তাদের ভোটাধিকার স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে পারে, এই ব্যাপারে চেষ্টা করবো সর্বাত্মক। আপনাদেরও সহযোগিতা চাইবো। আপনাদের আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে। নির্বাচনের মাঠে যদি আপনারাও থাকেন, আমরাও যদি থাকি, তাহলে কোনো অপশক্তিকে প্রতিহত, প্রতিরোধ করা সহজ হবে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৭ জুলাই থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ধারাবাহিকতায় আজ গণফোরাম ছাড়া আরও ২টি দলের সঙ্গে ইসি সংলাপে বসে। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ও তরিকত ফেডারেশন।

গণফেরামের উদ্দেশ্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘রাজনীতি আপনারা নিয়ন্ত্রণ করেন। রাজনীতির সংস্কৃতি ধারণ করা, লালন করা আপনাদের দায়িত্ব। আপনাদের দায়িত্ব অনেক বড়। আপনাদের কাছে ছোট কিন্তু আমাদের কাছে অনেক বড়।’

তিনি বলেন, আমাদের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা আছে, আমি নির্বাচন করবো এবং আমাকে জিততেই হবে। হারতে যে হতে পারে, এটা কিন্তু কেউ মেনে নিচ্ছে না। মনস্তাত্ত্বিক দৈন্য আমাদের মধ্যে আছে। তাই সহনশীলতা জাগ্রত করা না গেলে সংকট থেকে যাবে।

গণফোরামের নির্বাহী সদস্য মোকাব্বির খান এমপি’র নেতৃত্বে সংলাপে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

পরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের সঙ্গে সংলাপে বসে নির্বাচন কমিশন। সংলাপে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

এ সময় সংসদীয় আসন বাড়ানোসহ ১১টি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে দলের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তাফা ভুইয়া প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন।

এদিকে জাতীয় সংসদের অর্ধেক আসনের নির্বাচনে ইলেক্ট্র্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার চেয়েছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। এছাড়াও বিশেষ মনিটরিং সেল গঠনসহ ১১টি প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।

দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি এমপি’র নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন। দলের মহাসচিব ড. সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী লিখিত আকারে প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করেন।

প্রস্তাবনায় তারা বলেন, ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের পরিচিতি আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে ইউনিয়ন, উপজেলা, থানা ও জেলা পর্যায়ে (ক্যাম্পিং) প্রচারণা ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। বিষয়টি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া প্রচার প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।

সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ৩১ জুলাই রোববার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি ও বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসির সংলাপে বসার কথা রয়েছে।

জাতীয়

পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। খোদ পেট্রোল পাম্প মালিকদের একাংশের একটি সংগঠন পেট্রোল পাম্পে নোটিশ লাগিয়ে তেল কম সরবরাহ করা হবে বলে জানাচ্ছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের নির্দেশনার একটি নোটিশের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পোস্ট করছেন।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্তে মোটরসাইকেলের জন্য সর্বোচ্চ ৪০০ টাকার অকটেন এবং গাড়িতে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকার অকটেন বা ডিজেল নেওয়া যাবে।’ তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এবং পেট্রোবাংলা থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের কোনো নির্দেশনা জারি করেনি সরকার।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর আসলাম উদ্দিন জানান, এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদি কেউ এই ধরনের কাজ (নোটিশ) করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংগঠনের নির্দেশনা জারি করা অংশের সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন, আমরা পাম্প মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগে ডিপো থেকে যে পরিমাণ তেল পাওয়া যেত তার তুলনায় কম পাচ্ছি। এই কারণে একটু বুঝে-শুনে বিক্রির কথা বলেছি আমরা। এটিকে নির্দেশনা না বলে পরামর্শ বলতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছি, যাতে সবাই তেল পায়, কেউ ফিরে না যায়, এজন্য পাম্পে যে তেল আছে সেটিই ভাগ করে যে পরিমাণ দেওয়া দরকার সেটুকু দিতে। অনেকেই গাড়ি ভরে তেল নিতে চান, যদিও তা আপাতত দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে অন্য অংশের সংগঠনের সভাপতি নাজমুল হক বলেন, এ ধরনের কোনো নির্দেশনা সরকারের পক্ষ থেকে আমরা পাইনি। আমরাও এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত জারি করিনি। এই মুহূর্তে এই ধরনের সিদ্ধান্ত মানুষকে আতঙ্কিত করবে। মানুষ মনে করবে তেলের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তারা তখন আতঙ্কিত হয়ে তেল মজুত করা শুরু করবে। এতে অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে।

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের বারুদঝরা শ্রাবণদিনে জন্ম সজীব ওয়াজেদ জয়ের, যিনি নিজেকে চিনিয়েছেন সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ধারায় হেঁটে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির জন্য বর্ষাকাল যেন এক আশীর্বাদ। বর্ষার বারিধারায় বহমান পলিতে উর্বর হয়ে ওঠা জমিনেই ফলে সারা বছরের ফসল। অর্ধশতাব্দী আগের কথা বলছি। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে সময়টা ১৯৭১, বাঙালির ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ সময়।

পাকিস্তানি জান্তাদের গুলির শব্দে ঢাকা পড়েছিল কোকিলের কুহুতান, রাজপথে বাঙালির বুকের তাজা রক্তের রঙে যেন ম্লান হয়ে গিয়েছিল কৃষ্ণচূড়ার লাল। কিন্তু ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের বীজমন্ত্র জপে তাপদহে গ্রীষ্মের উত্তপ্ত আবেগ নিয়ে ঘাতক জান্তাদের সপাটে জবাব দিতে শুরু করে বাংলার দামাল সন্তানরা। এতে নতুন মাত্রা এনে দেয় বর্ষা।

আষাঢ়-শ্রাবণের অবিরত বৃষ্টিধারায় হতচকিত ও দিশেহারা হয়ে পড়ে আক্রমণকারী পাকিস্তানি ঘাতকরা। সেই সুযোগে গাছে গাছে আসা নতুন কিশলয়ের মতোই নবোদ্যমে মাঠ-ঘাট-প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বিশ্বের বুকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য বাংলাদেশ তখন প্রস্তুত। ঠিক এরকম একটি সময়ে মাতৃত্বের স্বাদ পেলেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনা।

১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে। শেখ কামাল বাড়ি ছেড়েছেন যুদ্ধ করবেন বলে। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া শেখ পরিবারের বাকিরা সদস্যরা পাকিস্তানি বাহিনীর নজরবন্দি, গৃহবন্দি। ঠিক এই সময়ে জন্ম নেন সজীব ওয়াজেদ জয়। যেন তিনি স্রষ্টার পক্ষ থেকে উপহার পাওয়া এক অনন্য জয়বার্তার প্রতীক ও আগমনী সংবাদ হিসেবে আসেন শেখ পরিবারে।

একাত্তরের ২৩ মার্চে যখন প্রথম ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটিসহ দেশের সবখানে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হয়, তখনই বঙ্গবন্ধু তার প্রিয় কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন- নাতি হলে নাম ‘জয়’ রাখতে। কেননা, সে জন্ম নেবে এক স্বাধীন বাংলাদেশে। জাতির পিতার কথা অক্ষরে অক্ষরে মনে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা। সন্তানের নাম রাখার সময় মা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের দেওয়া ‘সজীব’ এবং বাবার দেওয়া ‘জয়’ নামটি মিলিয়ে নাম রেখেছিলেন তিনি।

বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাবেক ডাকসু নেতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার এই সন্তান উজ্জ্বল করেছেন বিজ্ঞানী বাবার নামও। তারই নেতৃত্বে ডিজিটাল রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়েছে আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ। তার নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে যেমন হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছে বাঙালি জাতি, তেমনি তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুশাসনের কারণে গড়ে উঠেছে ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জয়।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্লোগানের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল যে শব্দটি, তা হলো ‘জয়’। তেমনি স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী অতিক্রম করে এসে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে- আধুনিক বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনার সঙ্গে যে নামটি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে, সেই নামটিও ‘জয়’। কারণ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন বাস্তবায়নের মাধ্যমে যেভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণমানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, সেইসব দূরদর্শী ও সাহসী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সজীব ওয়াজেদ জয় রয়েছেন সামনের সারির সহযোগী ও যোদ্ধার ভূমিকায়।

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও বঙ্গবন্ধুকন্যার পুত্র হিসেবে দেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার দিকনির্দেশনায় যে ডিজিটাইলেশনের শুরু তাতে কেবল কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির নির্ভরতা কাটিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সাথে যুক্ত নতুন নতুন খাতেও বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে সদর্পে। চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে– যেকোনও উন্নত দেশকেও। মানুষের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত হতে যাচ্ছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণে সৃষ্ট এই নতুন খাতটি।

যোগাযোগের ক্ষেত্রেও তথ্যপ্রযুক্তি যে বিপ্লব এনেছে তা আর ব্যাখ্যা করার অবকাশ রাখে না। কোভিড-১৯ সংক্রমণে সারা দুনিয়া থমকে গিয়েছিল। অথচ বাংলাদেশের মানুষ যে বিপুল গতিতে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পেরেছেন, তার অন্যতম কারণ শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তের পাশাপাশি এদেশের মানুষের তথ্য-প্রযুক্তিতে ‘এক্সেস’ বা সক্ষমতা তৈরি হওয়াটাও।

মহামারীর সময়েও ইন্টারনেটের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে দেশব্যাপী সচেতনতা কর্মসূচি চালিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি দায়িত্বশীল ব্যক্তি। এই ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করেই দেশে তৈরি হয়েছে লাখ লাখ মানুষের নতুন কর্মসংস্থান। মানুষকে স্বাবলম্বী করতে নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টির জন্য সুপরিকল্পিতভাবে পর্দার অন্তরালে কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত সজীব ওয়াজেদ জয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি শিক্ষিত, মার্জিত, স্বাবলম্বী বাঙালি জাতি গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বাধীনতার পর এজন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট, একদল ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধু সপরিবারের নিহত হওয়ায় সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্ন ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘ দুই দশক অপশাসনের কালো অন্ধকারে ঢেকে থাকে বাংলাদেশ। দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাঙালি জাতি। এমনকি বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধুর জীবিত দুই কন্যা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের। হন্তারকদের হুংকারের মুখে ইউরোপ-ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে ঘুরে বেড়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধুর বড় নাতি সজীব ওয়াজেদ জয়।

জীবনের এতো প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুকন্যার আদর্শে জনগণের সেবক হিসেবে বেড়ে উঠেছেন তিনি। প্রায় একক প্রচেষ্টা ও শিক্ষাগত যোগ্যতায় যুক্তরাষ্ট্রের বুকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই দেশকে ডিজিটাল রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সুপরামর্শ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে।

সবার জানা উচিত যে, আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী দলে থাকা অবস্থাতেই ২০০৭ সালে একেবারে নিজের চিন্তার স্বকীয়তা ও দূরর্শিতার জন্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে নির্বাচিত হন সজীব ওয়াজেদ জয়।

১৯৭৫-পরবর্তী নির্বাসিত জীবনে ভারত থেকে লেখাপড়া করে স্নাতক অর্জন করেন তিনি। এরপর উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ থেকে, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে আবারও স্নাতক ডিগ্রি নেন। এখানেই না থেমে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও সম্পন্ন করেন। ফলে তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানের পাশাপাশি রাজনীতিতেও তার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। ২০১০ সালে দাদার বাড়ির এলাকা রংপুরের পীরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। সেই থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি ও রাজনীতি- দুটোকেই গণমুখী ও কল্যাণকামী করে তোলার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আধুনিক বাংলাদেশের তারুণ্যের জন্য উন্নয়নমুখী রাজনীতির নতুন ধারা চালু হয়েছে তার হাত ধরেই।

জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ শান্তি-সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনা অর্জনের পথে হেঁটে চলবে- এই স্বপ্ন বুকে নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন যিনি, সেই

স্বপ্নপথিকের নাম সজীব ওয়াজেদ জয়।

মুক্তিযুদ্ধেরবারুদমাখাবাতাসেযারজন্মওবেড়েওঠা, ঠিকঅর্ধশতাব্দীপরবাংলাদেশেরউন্নয়নেরপালেতিনিইদিচ্ছেননতুনহাওয়া।তাকেআইকনমেনেইনতুন প্রজন্মেরপ্রতিটিসন্তানগড়েউঠুকসক্ষমব্যক্তিহিসেবে। এতেনিজপরিবারওসর্বোপরিবাংলাদেশউপকৃতহবে।