জাতীয়

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় বিরাজ করছে। এ কারণে আগামী তিন দিনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় হতে পারে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বাসসের।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও ঢাকা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় কুতুবদিয়ায় সর্বোচ্চ ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লায় ২৫, টেকনাফে ৫ ও চট্টগ্রামে এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঢাকাসহ সারা দেশে কোনো বৃষ্টি হয়নি। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ২২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

গত সোমবার সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জাতীয়

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে কিডনি কেনাবেচার অভিযোগে পাঁচ জনকে আটক করেছে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে বাহিনীটি জানতে পেরেছে, আটককৃতরা কিডনি বিক্রির একটি চক্রের সদস্য, যারা অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে শতাধিক ব্যক্তিকে ভারতে নিয়ে কিডনি বিক্রি করে দিয়েছে।

র্যাব জানায়, কিডনি দাতাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকাও দিত না চক্রটি। গ্রহীতার কাছ থেকে কিডনি বাবদ ১৫-২০ লাখ টাকা নেওয়া হলেও ডোনারকে দেওয়া হতো ২ লাখ টাকার মতো। ঠকানো হতো গ্রহীতাকেও। এই চক্রের পাঁচ জনকে সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জয়পুরহাট ও রাজধানীর নর্দা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে কিডনি বিক্রি সিন্ডিকেটের অন্যতম মো. শাহরিয়ার ইমরান আহম্মেদ। অন্যরা হলো—মেহেদী হাসান, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান ও তাজুল ইসলাম ওরফে তাজু।

এ সময় তাদের কাছ থেকে কিডনি দাতাদের চারটি পাসপোর্ট, মেডিক্যাল চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট, ভিসা সম্পর্কিত কাগজপত্র, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও দেশি-বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়।

চক্রটির বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর র্যাব মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে মানবদেহের কিডনিসহ নানা অঙ্গের অবৈধ ট্রান্সপ্লান্টেশনের সঙ্গে সক্রিয় রয়েছে কয়েকটি চক্র। আইনবহির্ভূত, স্পর্শকাতর ও অবৈধ ট্রান্সপ্লান্টেশনের চক্রের সদস্যরা অর্থের লোভে অমানবিক কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গ ক্রয়-বিক্রয় সিন্ডিকেটের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আসছিল। সিন্ডিকেট সদস্যরা অনলাইনে প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাহক ও ডোনারদের প্রলুব্ধ করত। সেই সঙ্গে অপরাধের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করছিল। তাদের কার্যক্রমের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছিল।

খন্দকার আল মঈন বলেন, এই চক্রের মোট সদস্য সংখ্যা ১৫-২০ জন এবং তারা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে অবৈধভাবে কিডনি ক্রয়-বিক্রয়ের সম্পূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে। র্যাব জানায়, চক্রের প্রথম গ্রুপ ঢাকায় অবস্থান করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রয়োজন এমন বিত্তশালী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে।

দ্বিতীয় দলটি প্রথম দলের চাহিদা মোতাবেক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব মানুষদের চিহ্নিত করে এবং তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য ডোনার হবার জন্য প্রলুব্ধ করে ঢাকায় নিয়ে আসে।

আর তৃতীয় গ্রুপটি ভুক্তভোগী কিডনি ডোনারদের ঢাকায় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন রোগীর সঙ্গে ব্লাড ম্যাচিং এবং অন্যান্য পরীক্ষানিরীক্ষা সম্পন্ন করে। ব্লাড ম্যাচিং এবং অন্যান্য ডায়াগনস্টিক টেস্টে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশনের উপযুক্ততা নিশ্চিত হলে, তার পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিং ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে ভুক্তভোগী ডোনারকে প্রতিবেশী দেশে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করে।

র্যাব জানায়, এই চক্রের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থানকারী আরেকটি চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে কিডনি ডোনারদের এয়ারপোর্ট অথবা স্থলবন্দরে রিসিভ করে। এরপর হাসপাতালের ডকুমেন্টেশন, অস্ত্রোপচারসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষে ভিকটিমদের বৈধ বা অবৈধ উপায়ে বিমান বা উত্তর পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত এলাকার মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠায়। আইনের হাত থেকে বাঁচার জন্য চক্রটি কোনো প্রকার রিসিট, পাসপোর্ট বা অন্যান্য প্রমাণ ভুক্তভোগী ডোনারকে সরবরাহ করা থেকে বিরত থাকত।

র্যাব জানায়, ইমরান ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ কিডনি ও লিভার পেশেন্ট চিকিত্সা সেবা’ এবং ‘কিডনি লিভার চিকিত্সা সেবা’ নামক দুটি পেজের অ্যাডমিন। এ পর্যন্ত তিনি কিডনি বিক্রয়ের জন্য প্রায় শতাধিক মানুষকে প্রতিবেশী দেশে পাচার করেছেন।

জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশে প্রতি সাতজনে একজন বাস্তুচ্যুত হবে। ২০৫০ সাল নাগাদ দেশে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে এক কোটি ৩০ লাখ।

সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রণীত অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্রে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু বিষয়ক ‘কনফারেন্স অব পার্টিস’ সংক্ষেপে কোপ-২৬ সম্মেলনে বাংলাদেশের তরফে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তনের ফলে এবারের জলবায়ু সম্মেলনকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করেছিলেন।

অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশের ৪৭ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

২০১৯ সালের অর্ধবার্ষিকী প্রতিবেদনের হিসাব মতে, দেশের ২৩টি জেলা থেকে প্রায় ১৭ লাখ মানুষকে স্থানান্তরিত হতে হয়েছে। এর বেশিরভাগই ঘটেছে বিভিন্ন উপকূলীয় জেলাগুলোতে, যেমন ভোলা, খুলনা ও পটুয়াখালী। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বাস্তুচ্যুতির মূল কারণ জোয়ারের পানির উচ্চতাবৃদ্ধি, যা উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা ঘটায়। বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমিক কারণ হিসাবে গ্রীষ্মকালীন ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি দুর্যোগের এসব প্রক্রিয়ার আরও অবনতি ঘটাতে পারে। ২০৮০ সালের মধ্যে তলিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৩ শতাংশ ভূমি।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধির অনুমেয় সবচেয়ে গুরুতর ফল হলো চাষযোগ্য জমি, মাটি এবং পানিতে লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ এবং তার পরিণতিতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের কৃষিভিত্তিক জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব। এটি উপকূলীয় অঞ্চলে বাস্তুচ্যুতির অন্যতম বড় কারণ।

বিষয়টি সম্পর্কে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তাসনীম সিদ্দিকী বলেছেন, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটছে।

লিঙ্গ, জাতিগত, ভৌগোলিক অবস্থান এবং কর্মসংস্থানের ধরনের ওপর ভিত্তি করে বাস্তুচ্যুতির প্রভাব নির্ধারণ হবে। এ ব্যাপারে নীতি নির্ধারণে সব গ্রুপকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মেগাসিটির ধারণা থেকে সরে গিয়ে গ্রোথ সেন্টারভিত্তিক বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।

জাতীয় কৌশলপত্রে উল্লেখ করা হয় যে, মূল ভূখণ্ড এলাকায় বাস্তুচ্যুতি ঘটানোর মূল কারণ নদীভাঙন ও বন্যা। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় নিয়মিত খরা হয়। এটাও বাস্তুচ্যুতি ঘটায়। ভূতাত্ত্বিকভাবে কয়েকটি সক্রিয় ভূ-চ্যুতির মধ্যে অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ উচ্চমাত্রায় ভূমিকম্পের ঝুঁকিপ্রবণ দেশ।

ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের উত্তরপূর্ব কিনারে বাংলাদেশের অবস্থান। সক্রিয় সাবডাকশন জোন ও মেগা থ্রাস্ট ফ্রন্টের কারণে এ অঞ্চলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি আগের ধারণার চাইতেও বেশি হতে পারে। ভূমিকম্পও শহর ও উপশহরগুলোতে বড় আকারে বাস্তুচ্যুতি ঘটাতে পারে। কৌশলপত্রে বাস্তুচ্যুতিরোধ, বাস্তুচ্যুতির সময় মানুষকে রক্ষা করা এবং বাস্তুচ্যুতি পরবর্তিতে স্থায়ী সমাধান করার প্রতি জোর দেয়া হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বেশ কিছু সুপারিশ কৌশলপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে যেমন : ক্ষয়ক্ষতি তহবিল, অভিযোজন তহবিল, সবুজ জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ সংগ্রহ করা।

এ জন্যে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে একটি তহবিল সংগ্রহ ও ব্যয় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা। স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের অধীনে আলাদা বাজেট বরাদ্দ করা। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শ্রমবাজার বিবেচনায় রেখে ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অকৃষি খাতে সরকারি ও বেসরকারি যৌথ অংশীদারির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা। রেমিট্যান্স প্রেরণকে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং বাস্তুচ্যুতিপ্রবণ এলাকাগুলো থেকে পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যের জন্য স্বল্পমেয়াদি চুক্তিভিত্তিক আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনের সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন।

কৌশলপত্র বাস্তবায়নে অর্থায়নের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি-২০১৯ অনুযায়ী বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বহুপাক্ষিক এবং দ্বিপাক্ষিক দাতা সংস্থাকে সম্পৃক্ত করে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।

জাতীয়

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই তিন বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের। এজন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে এ কম্পন তুলনামূলক বেশি অনুভূত হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১৪ কিলোমিটার গভীরে এ কম্পনের উৎপত্তি হয়। উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

জাতীয়

গত ২৪ ঘন্টায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ৫ জন বেশি মারা গেছেন। গতকাল ১৮ জন মারা গিয়েছিল। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন ও নারী ৮ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৬১৪ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন করে এবং খুলনা বিভাগে ২ জন রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭০৮ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ২০ হাজার ২৯৬ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। গতকালও সুস্থতার হার ছিল ৯৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

দেশে আজ করোনাভাইরাসে শনাক্ত কমেছে, তবে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার কমেছে দশমিক ৪৭ শতাংশ। গতকাল শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা আজ কমে হয়েছে ২ দশমিক ৭২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আজ ২৫ হাজার ৪৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৬৯৪ জন। গতকাল ২৪ হাজার ৯২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিল ৭৯৪ জন। দেশে এ পর্যন্ত ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫২ জন। মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

এদিকে ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ৬০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৪২৪ জন। শনাক্তের হার ২ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং গতকাল এ হার ছিল ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ১০ জন। গতকাল ৬ জন মারা গিয়েছিল।

জাতীয়

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া আজ বুধবার (৬ অক্টোবর)। এ দিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। শ্রী শ্রী চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া।

পুরাণমতে, এদিনই দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই আর ৬ দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। আর এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়। আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত কাল থেকেই পূজার্থীরা দুর্গাপূজার আগমণধ্বনি শুনতে পাবেন। দুর্গাপূজার এই সূচনার দিনটি সারা দেশে বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপিত হবে। আগামীকাল ভোরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য মন্দিরেও এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোন মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলত অসীম হ্মমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতারিত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের অধীশ্বর হতে চায়।

ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব ত্রয়ী সন্মিলিত ভাবে ‘মহামায়া’র রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের দশটি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা নয় দিনব্যাপি যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করে।

মহালয়ার আর একটি দিক হচ্ছে এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপুরুষের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকে মহালয়া বলা হয়। মহালয় থেকে মহালয়া। পিতৃপক্ষের ও শেষদিন এটি।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্তের হার কমেছে দশমিক ০২ শতাংশ। গতকাল শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ যা আজ সামান্য বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ।

দেশে সাড়ে ৪ মাস পর একদিনে করোনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ জনের নিচে নেমে এলো। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে শনাক্ত হয়েছেন ৫৮৯ জন। গত ১৬ মে একদিনে ৩৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আজ ১৭ হাজার ২৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৫৮৯ জন। গতকাল ২৪ হাজার ৬৭০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিল ৮৪৭ জন। দেশে এ পর্যন্ত ৯৭ লাখ ৭৩ হাজার ২৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৭ জন। মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

এদিকে ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) ২৪ ঘন্টায় ৭ হাজার ৯৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৩০১ জন। শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং গতকাল এ হার ছিল ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। এই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ১০ জন। গতকাল ৪ জন মারা গিয়েছিল।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ৩ জন বেশি মারা গেছেন। গতকাল মারা গিয়েছিল ২১ জন। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন ও নারী ৯ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৫৫৫ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন করে এবং রংপুর বিভাগে ২ জন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭৪১ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৪২ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৯৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

জাতীয়

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নির্দেশনায় বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে।

শনিবার দু’টি পৃথক বিবৃতিতে বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব আব্দুল মজিদ এবং ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, বিদেশি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার না করার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বছরে ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ থেকে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে।

গত ১ অক্টোবর থেকে ক্লিনফিড বাস্তবায়নের উদ্যোগ কার্যকরের ফলে দেশীয় টেলিভিশন শিল্পের আর্থিক সংকট অনেকটা কমবে। তারা আরও বলেন, চ্যানেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সরকারের নয়, এটা পরিবেশক বা ক্যাবল অপারেটরদের। বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সম্প্রচার শিল্পের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে ধন্যবাদ জানান।

পাশাপাশি সম্প্রচার সাংবাদিকদের জন্যে ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলেন, সম্প্রচার শিল্প বিকাশের স্বার্থেই সাংবাদিকদের ন্যায্য বেতন ও চাকরি সুরক্ষার জন্যে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৩১০ জন। এর আগে সোমবার ২৫ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ২১২ জন রোগী শনাক্ত হয়।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৫০৫ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ১৮৬টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৬ লাখ ৭৬ হাজার ১২৩টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭৩ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৪৭০ জনের।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৯৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৬ জন।

নতুন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৯৮৭, ময়মনসিংহে ৩২, চট্টগ্রামে ১৩৪, রাজশাহীতে ৪৪, রংপুরে ১৯, খুলনায় ৭০, বরিশালে ১৮, সিলেটে ২৬ জন রয়েছেন।

এছাড়া মৃত্যু ৩১ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং ১৪ জন নারী। এদেরমধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৩, চট্টগ্রামে ৫, রাজশাহীতে ২, খুলনায় ৫, বরিশালে ২, সিলেটে ০, রংপুরে ২ এবং ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৭ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৮, ৪১ থেকে ৫০ বছরের তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের একজন রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ

গত ২৪ ঘণ্টায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৫০ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ১৩ জনের। এছাড়া হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।

প্রসঙ্গত, কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের সম্পূর্ণ পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এমনকি দুটি বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রত্যেকের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসা ছাড়া অন্য সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আগের মতই চলমান রয়েছে।

জাতীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে জরুরি চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং থেকে সোমবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

প্রফেসর মো. আমির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিটি বলা হয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুনরায় শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণের জন্য একটি গাইডলাইন ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) জারি করা হয়েছে।

এছাড়া মনিটরিং চেকলিস্টের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দৈনিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণ রোধে আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। সেগুলো হল-

১. সব শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের পর প্রথমেই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে খোঁজ-খবর নেবেন।

২. শিক্ষার্থীর পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত বা করোনার কোনো লক্ষণ (জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি) আছে কিনা তার খোঁজ নেবেন।

৩. কোনো শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের কেউ করোনা বা করোনার লক্ষণাক্রান্ত হয়ে থাকলে দ্রুত সেই শিক্ষার্থীকে আইসোলেশনে রেখে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।

৪. প্রতিষ্ঠান প্রধান ওই শ্রেণি কক্ষের শিক্ষক ও সব শিক্ষার্থীর দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনা টেস্ট করার ব্যবস্থা নেবেন।

এমতাবস্থায় অধিদপ্তরের সব পরিচালক, উপ-পরিচালক, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তার আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবহিতকরণ, বাস্তবায়নে তত্ত্বাবধান এবং সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদারকি ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।