জাতীয়

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৪১৪ জনে।

একই সময়ে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯৮০ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৫১ জনে।

আজ রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জাতীয়

দশ দফা দাবিতে সারাদেশে বাংলাদেশ ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ট্যাংকলরি, প্রাইম মুভার মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমন্বয় পরিষদ আহ্বায়ক মো. রুস্তম আলী খান।

তিনি বলেন, দীর্ঘ সময়ের বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট হয়ে আমাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলাম। রবিবার বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তারা এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণানালয়ের সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান আলী, অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মো. রুস্তম আলী খান সদস্য সচিব মো. তাজুল ইসলামসহ ৩০ নেতা।

দাবিগুলো হচ্ছে- ট্রাক লিটন ও আবু তালেব প্রামানিকসহ সব পরিবহন শ্রমিক হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে; সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০২ ধারায় মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, তদন্ত না করে এই ধারায় মামলা করা যাবে না; জটিলতা নিরসন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে; পণ্য পরিবহনের সময় মালামাল চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধ জরুরি কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও রয়েছে, সড়কে-মহাসড়কে কাগজপত্র চেকের নামে পুলিশ হয়রানি চাঁদাবাজি ও মাসিক মাসোহারা বন্ধ করতে হবে; মালিক-শ্রমিক পরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালনা ব্যয় ও বাস সার্ভিস চার্জ আদায় করার সুযোগ দিতে হবে; বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি করার উদ্যোগ বাতিল করতে হবে; সড়ক-মহাসড়কের পাস এবং প্রত্যেক জেলায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ট্রাক ও বাস টার্মিনাল নির্মাণ ত্বরান্বিত করতে হবে।

স্থানীয় সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী টার্মিনাল ব্যতিরেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ চাঁদা ও টোল আদায় বন্ধ করতে হবে; দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলো শুধুমাত্র হাইওয়ে পুলিশের অধীনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

উল্লেখ্য, ১০ দফা দাবিতে আজ ও আগামীকাল ( ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর ) পণ্য পরিবহনে কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ছিল।

জাতীয়

ইউনাইটেড নেশনস মাল্টিডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড স্ট্যাবিলাইজেশন মিশনে (এমআইএনইউএসএমএ) কর্মরত বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের ১৪০ জন সদস্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেয়েছেন।

গত মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) মালির রাজধানী বামাকোতে এমআইএনইউএসএমএ মিশনের সদর দপ্তরে এ পদক দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় অসামান্য অবদান রাখায় এই স্বীকৃতি পেয়েছেন তারা।

এমআইএনইউএসএমএ পুলিশ কমিশনার জেনারেল বেটিনা পেট্রিসিয়া বুগানি বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার প্রশংসা করেন।

কমান্ডার (পুলিশ সুপার) বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতেও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখেছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। এজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’

বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষীদের পদক প্রদানে জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

জাতীয়

করোনা সংক্রমণ হার কমে যাওয়ার কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সশরীরে উপস্থিত থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে পারবে। কিন্তু এ জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্ততে এক ডোজ টিকা গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন-ইউজিসি বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কমিশনের পরিচালক মো. ওমর ফারুখের স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এমন সিদ্ধান্তের তথ্য জানানো হয়।

কমিশনের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় টিকা সংক্রান্ত শর্ত মেনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্যাম্পাস খুলতে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে জানানো হয়।

ইউজিসি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ক্লাস, পরীক্ষাসহ অন্যান্য শিক্ষা কাযক্রম চালু রাখতে পারবে।

জাতীয়

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে মারা গেছেন ১০ জন। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের। বরিশাল বিভাগে কোনো মৃত্যু হয়নি। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং ১৯ জন নারী।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে। এর মধ্যে আগস্টে দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয়। গত মাসের শেষ দিক থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু কমতে শুরু করে।

জাতীয়

সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সিনহা গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। এসময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা।

বুধবার বিকেল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখে। রাত সাড়ে ৮ পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট ছিল। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে টিয়ার গ্যাস ও পরে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে ২জন পুলিশসহ ২০জন শ্রমিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। রাত ৯টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।

এর আগে সকালে তাদেরকে বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা বলেছিল মালিক পক্ষ। পরে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করে বেতন না পেয়ে তারা সড়ক অবরোধ করে। এসময় শিল্প পুলিশের সাথে প্রথমে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সড়ক থেকে অবরোধকারীদের সরানোর চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে শিল্প পুলিশ ও জেলা পুলিশ তাদের অবরোধ তুলে নিতে বললে শ্রমিকরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে টিয়ার গ্যাস ও পরে প্রায় ৫০ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে। অবরোধে অংশ নেয়া শ্রমিক রায়হান, আমীর, নোমান জানায়, লকডাউন শুরুর থেকেই বেতন বকেয়া রয়েছে। সকালে মালিকপক্ষ থেকে তিন মাসের বকেয়া বেতন দেয়ার কথা বলেছিল। তাই সকাল থেকে আমরা বকেয়া বেতনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বিকেল পর্যন্ত মালিক পক্ষের কোন সাড়া না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করেছি। এছাড়া অবরোধের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকা সিলেট, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এ ছাড়া ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে সড়কের চারপাশে ব্যাপক যানজট দেখা দিয়েছে।

এদিকে অবরোধে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে সোনারগাঁ থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন এবং তারা শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। অবরোধ তুলে নিতে বার বার অনুরোধ করে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। শ্রমিকদের দাবি, তিন মাসের বকেয়া বেতন দেয়ার কথা বলে তাদের সকাল থেকে অপেক্ষা করিয়ে এখনো বেতন দেওয়া হয়নি।

সোনারগাঁ থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম জানান, মারমুখি শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বাধ্য হয়ে টিয়ার গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। তবে শ্রমিকদের দাবি পুলিশের গুলিতে ২০ জনেরও বেশী শ্রমিক আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৮ জনই গুলি বিদ্ধ। তবে শ্রমিকরা আহতদের নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, শ্রমিকদের অবরোধের কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধ প্রত্যাহার হওয়ার যান চলাচল শুরু হয়েছে।

জাতীয়

প্রার্থীরা ইমোশন (আবেগী) হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। নির্বাচনের দিন দুইজনের মৃত্যুর ঘটনা বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া বাকি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলেও দাবি তার।

ইসি সচিব বলেন, আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক যে, মহেষখালী ও কুতুবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একজন করে দুইজন লোক নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আরও ২৪ জন আহত হয়েছেন। আমাদের কাছে যে তথ্য তাতে এসব ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। যে ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখবো। সামনে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য সজাগ থাকবো।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ ও ৯ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শেষে ইসি সচিব এসব কথা বলেন। তিনি জানান, ৫টি কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোট বন্ধ করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ইউনিয়ন পরিষদে ইভিএমে প্রায় ৫০ শতাংশ, পৌরসভায় ৫৫ শতাংশ ও ব্যালটের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ৬৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।

নির্বাচনে সহিংসতার কারণ প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, প্রার্থীরা খুব বেশি ইমোশনাল হয়ে যান। মহেষখালীতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। কুতুবদিয়ায় ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার সময়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা গুলি করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ডোর টু ডোর নির্বাচনী আমেজ থাকে। প্রার্থীরা এত বেশি ইমোশনাল হয়ে যান যে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে। বড় অনেক দল অংশ না নেওয়ার পরও নির্বাচনে সহিংসতা ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন- ইউপি নির্বাচন দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এলাকা এলাকা দ্বন্দ্ব থাকে, প্রার্থীরা ও তাদের সমর্থকেরা ইমোশনাল হয়ে যান। তখনই এ দ্বন্দ্ব হয়ে যায়। তিনি বলেন, অনিয়মের কারণে পাঁচটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করতে হয়েছে। নির্বাচনে অনিয়ম হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা এসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করেছেন।

ভোটের আগের রাতে একজন নারী মারা যাওয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ৭০ বছর বয়স্ক একজন বৃদ্ধ নারী মারা গেছেন। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে আমাদের জানাতে বলেছি। সহিংসতার বিষয়ে ইসির পদক্ষেপ বিষয়ে তিনি বলেন, কুতুবদিয়ায় যে ৭ নম্বর কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রার্থীদের পক্ষে একদল সন্ত্রাসী ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে হুমকি দিচ্ছিল। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফায়ার ওপেন করেছে। অর্থাৎ এ বিষয়ে সর্বোচ্চভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এটি হয়েছে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেক প্রার্থী জয়ী হওয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ বা নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে তা কোনোভাবেই বলবো না। কারণ তিনটি। প্রথমত: একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, দ্বিতীয়ত: যারা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তারা যদি নিয়ম-নীতি না মানেন তাহলে অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হবে খুবই স্বাভাবিক, তৃতীয়ত: যোগ্য প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো না- তাহলে তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী জয়ী হবেন।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ১৬ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম।

এর আগে সর্বশেষ ২৭ মে এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল। সেদিন ২২ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

তারপর থেকে দৈনিক মৃত্যু ক্রমেই বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে দৈনিক মৃত্যু দুইশর ঘর ছাড়িয়ে যায়। গত কিছুদিন ধরে সংক্রমণের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও কমছে।

গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হল ২৭ হাজার ২৫১ জন।

সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ২৭ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে দেশে আরও ১ হাজার ৫৫৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ২৩৮ জনে।

গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিন ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ ছিল।

শুধু ঢাকা বিভাগেই ১ হাজার ১০৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের ৭১ শতাংশ।

যে ১৬ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ১৫ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তাদের মধ্যে ১৫ জনই ছিলেন নারী, আর পুরুষ মারা গেছেন ১১ জন। আগে দেশে দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় নিয়মিতভাবে পুরুষের সংখ্যা বেশি থাকলে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ শুরুর পর অগাস্ট থেকে নারীদের মৃত্যুহার বেড়েছে।

সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ৫৬৫ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৩ হাজার ১০৬ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের কোভিড পরিস্থিতির সাপ্তাহিক যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে গত এক সপ্তাহে (১৩ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর) দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় (৬ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর) ২৩ দশমিক ১১ শতাংশ কমেছে; মৃত্যু কমেছে ২০ দশমিক ১১ শতাংশ।

গত সপ্তাহে মোট ১২ হাজার ২৭০ জনের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ২৯৪ জনের। তার আগের সপ্তাহে ১৫ হাজার ৯৫৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, মারা গিয়েছিরেন ৩৬৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৪৩১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭টি নমুনা।

এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ৫ জন বাদে খুলনা বিভাগের ২ জন এবং বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বাসিন্দা ছিলেন ১ জন করে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

তাদের মধ্যে ২৩ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ অগাস্ট তা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৬ লাখ ৯২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৮৫ লাখের বেশি রোগী।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ৪ জন কম মারা গেছেন। গতকাল ৫৬ জন মারা গিয়েছিল। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২০ ও নারী ৩২ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৭৩৬ জনে। এদিকে আজ নতুন আক্রান্ত ২ হাজার ৪৯৭ জন।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ২৫৯ জন, ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং নারী ৯ হাজার ৪৭৭ জন, ৩৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ১৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৬ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ২ জন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয়  সর্বোচ্চ ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ জন, খুলনা বিভাগে ৯ জন, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ২ জন করে এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন রয়েছে। এদের মধ্যে ৩৯ জন সরকারি, ১০ জন বেসরকারি হাসপাতালে ও ৩ জন বাসায় মারা গেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ২৭ হাজার ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৪৯৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ২৭ হাজার ২৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৬৩৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। গতকালের চেয়ে আজ ১৪২ জন কম শনাক্ত হয়েছে।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ০৭ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৬২ শতাংশ কম।

এদিকে  ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) ২৪ ঘন্টায় ১৩ হাজার ২৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৬ জন। ঢাকায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গতকাল এই জেলায় ১৩ হাজার ৮৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৩৮ জন। যা ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৯ জন। গতকাল ১১ জন মারা গিয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৯১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫ লাখ ২২ হাজার ৩০২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৪০ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ৫ হাজার ৫৬৭ জন। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৭২৭ জন কম সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৪ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২১ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৯৬ দশমিক ১১ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৩৭৮ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ২৭ হাজার ৪৬৬ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৮৮টি নমুনা কম সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৫২৮ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২৭ হাজার ২৩৩ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ২৯৫ টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে জারি করা রুলের ওপর শুনানি নিয়ে আজ এই  রায় দেন।

রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ আদালতের আদেশের বিষয়টি বাসসকে জানান। তিনি বলেন, রায়ে আদালত বলেন, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ভাষণটি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ করবে।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে দেয়া আদেশ অনুযায়ী রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন দ্রুত সম্পন্ন করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে আগের আদেশ বাস্তবায়নেরও নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ৭ মার্চের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস অন্তভুক্তির জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করে আদালত। ওইদিন ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করে হাইকোর্ট। আদালত মুজিববর্ষের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে রাষ্ট্রীয় খরচে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণের নির্দেশ দেয়।

এর আগে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণের আঙ্গুল উঁচানোর ভাস্কর্য স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য একটি কমিটি করতে বলে আদালত।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

ড. বশির আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আজকের এই রায় যুগান্তকারী ও মাইলফলক। এর ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে।