জাতীয়

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ তিন দাবি আদায়ে আগামী রোববার গণভবনের সামনে অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে ওইদিন বিকালে তিনি প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়াবেন। এরপর তিন দফা দাবি সংবলিত আবেদন (স্মারকলিপি) প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেবেন তিনি।

দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম কিছুই জানে না। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি জরিপ রিপোর্টের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, এতে দেখা গেছে জাতীয় নেতা কারা, তা ছাত্রছাত্রীরা বলতে পারে না। শহিদ মিনার ও স্মৃতিসৌধের পার্থক্য তারা বোঝে না।

স্বাধীনতাবিরোধী কারা, তাও বলতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের এই ধারণা খুবই হতাশাজনক। তাই বিষয়টিকে এখনই গুরুত্ব না দিলে সামনের দিনগুলোতে জাতির জন্য চরম সংকট অপেক্ষা করছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সোহেল তাজের তিন দাবির মধ্যে রয়েছে-১০ এপ্রিল সরকারিভাবে রিপাবলিক ডে পালন, জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সামরিক-বেসামরিক সংগঠক ও যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে তাদের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তি এবং ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন।

গাজীপুরের কাপাসিয়ার সাবেক সরকার দলীয় সংসদ-সদস্য তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ ১০ এপ্রিল এই কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন।

এর আগে ২০০২ সালের মার্চে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন ও মামলা-হামলার বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন করেছিলেন তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সংসদ-সদস্য সোহেল তাজ। ওইদিন পুলিশ আক্রমণ চালিয়ে তাকে আহত করে।

আহতাবস্থায় তিনি পিজি হাসপাতালে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল) ভর্তি হন। সে সময় সোহেল তাজের ওই কর্মসূচি রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল।

রোববার বিকালে জাতীয় সংসদের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে প্ল্যাকার্ড হাতে গণভবন পর্যন্ত হেঁটে যাবেন সোহেল তাজ। এই প্ল্যাকার্ডে লেখা থাকবে তার তিন দাবি। গণভবনের সামনে পৌঁছে তিনি অবস্থান গ্রহণ করবেন। পরে কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি স্মারকলিপি জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন।

জাতীয়

অর্থ আত্মসাতের মামলায় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন।

বুধবার (৬ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৫টায় তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারামুক্ত হন।

এ সময় কারাফটকে উপস্থিত ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা।

কাশিমপুর মহিলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে যান শামীমা নাসরিন।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় মো. কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী মামলাটি করেন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে তিনি ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের পণ্য সরবরাহ করেছেন। কিন্তু ইভ্যালি তার পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি। কামরুল ইসলামের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর থেকেই তিনি কারাবন্দি ছিলেন।

জাতীয়

রাজধানীর মতিঝিলে লিফলেট বিতরণের সময় বুধবার বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বেলা সাড়ে ১১টায় শাপলা চত্বর থেকে তাকে মতিঝিল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পুরোনো এক মামলায় আদালতে নেওয়া হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে নেওয়ার সময় তাকে প্রিজনভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বিএনপিরকর্মীরা। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা করলে কর্মীরাও ইটপাটকেল ছুড়ে মারেন। এতে অন্তত চারজন আহত হন। পুলিশ চারজনকে আটক করে।

ইশরাক হোসেন ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। তিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য। ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন ইশরাক। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল দক্ষিণের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের কাছে লিফলেট বিতরণ করছিলেন ইশরাক। তাকে গ্রেফতারের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক মিঠু জানান, ইশরাকের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। ওই মামলায় পরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

ইশরাককে আদালতে নিয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামিপক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ মতিঝিল থানায় ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় আসামি ছিলেন ইশরাক। তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিু আদালতে আত্মসমর্পণ করে গত বছরের ৫ জানুয়ারি জামিন পান। ১৮ আগস্ট ইশরাক আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

দুপুর আড়াইটার দিকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নিতে ইশরাককে আদালতের হাজতখানা থেকে বের করা হয়। সিএমএম আদালতসংলগ্ন রায় সাহেব বাজার মোড়ে পৌঁছালে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যানটি আটকে দেন বিএনপিরকর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। উত্তরে কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে ওই প্রিজনভ্যানেই ইশরাককে নেওয়া হয় কারাগারে।

পুলিশ জানায়, নেতাকর্মীদের হামলায় কোতোয়ালি থানার ওসি (অপারেশন) নাজমুল হক, এএসআই পার্থ, শাহীন ও প্রিজন ভ্যানের ড্রাইভার ক?নস্টেবল আরশাদ আহত হন। তাদেরকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদিকে সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চারজনকে আটক করে। এরা হলেন-মো. ওবায়দুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান, আলাউদ্দিন ও ইমতিয়াজ হাসান জনি। এ বিষয়ে পৃথক মামলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রাজিব মিয়া বলেন, হামলায় প্রিজনভ্যানটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লাহ বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়।

নিঃশর্ত মুক্তির দাবি মির্জা ফখরুল-রিজভীর : প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে প্রচারপত্র বিলির মতো একটি জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি থেকে ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতারে আবারও প্রমাণিত হলো এ সরকার চরম জুলুমবাজ সরকার। ভয়াবহ আওয়ামী দুঃশাসনে জনগণের তীব্র ক্ষোভের মুখে সরকার এখন নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে ভোটারবিহীন সরকারের জিঘাংসার মাত্রা ততই ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। চারিদিকে দুর্ভিক্ষের ন্যায় পরিস্থিতি বিরাজ করার কারণে সরকার জনগণকে দমনের জন্য হয়রানি, জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ইত্যাদিকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।

অন্যদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের সব ব্যর্থতা ঢাকতে এবং জনদৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে ইশরাক হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারুণ্যদীপ্ত এ বলিষ্ঠ নেতাকে গ্রেফতার সম্পূর্ণরূপে কাপুরুষোচিত ও ন্যক্কারজনক। সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।

এ ছাড়া পৃথক বিবৃতিতে ইশরাককে গ্রেফতারে নিন্দা জানিয়ে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১২৩ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬১ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৮৩১ জন।
সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৪২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫২ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭৯টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে সাত হাজার ৭৭৮টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে সাত হাজার ৭৮৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৬৬১টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক নয় শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃত একজন নারী। তার বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি হাসপাতালে মারা যান।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১০৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৪৩ হাজার ৪৯১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ১০ হাজার ৭৯৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩২ হাজার ৬৯৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

জাতীয়

দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে চতুর্থবারের মতো ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে (টিআইবি) অনুদান দিচ্ছে সুইডেন সরকার।

সোমবার ঢাকায় সুইডেন দূতাবাসে দুপক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই হয়। চুক্তির আওতায় একটি প্রকল্পের জন্য ৫৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার দেবে সুইডেন।

ঢাকায় সুইডেন দূতাবাসের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কোপারেশন ক্রিস্টিন জোহানসন এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তিতে সই করেন।

চুক্তির অধীনে ২০২২-২০২৬ সাল পর্যন্ত টিআইবি ‘পার্টিসিপেটরি অ্যাকশন এগেইনস্ট করাপশন: টুয়ার্ডস ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড একাউন্টেবিলিটি’ (প্যাক্টা) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

টিআইবি জানিয়েছে, সুইডেন ছাড়াও এ প্রকল্পে যৌথভাবে সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এবং সুইজারল্যান্ডের সুইস ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন (এসডিসি)।

সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা আরও বাড়াবে প্যাক্টা প্রকল্প।

তথ্য-উপাত্ত নির্ভর কমিউনিটি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সুশাসনের ঘাটতি চিহ্নিত করে জনসাধারণের সেবা প্রাপ্তিকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করতে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিতে সহায়তা করবে।

সুইডেন দূতাবাসের কর্মকর্তা ক্রিস্টিন জোহানসন বলেন, “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অর্জনে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রতিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সুইডেন সরকার এ বিষয়টিকে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। টিআইবির সঙ্গে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব নবায়ন করতে পারায় আমি সত্যিই আনন্দিত।”

সহযোগিতার জন্য সুইডেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে জোরদার করার মাধ্যমে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন, ন্যায্যতার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও সামাজিক পরির্বতনে অংশীজন হিসেবে টিআইবি ও সুইডিশ দূতাবাসের মধ্যে চতুর্থবারের মতো আজ এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় আমরা সম্মানিত ও অনুপ্রাণিত।”

জাতীয়

রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গেছে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার থেকে পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রাজারহাটে ও দিনাজপুরে ৩৯ মিলিমিটার। এছাড়া বগুড়া, রংপুর ও সৈয়দপুরে ১৪ মিলিমিটার এবং তাড়াশে ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

সোমবার সকাল থেকে ঢাকায় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। এছাড়া মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি দেখাতে বলা হয়েছে।

জাতীয়

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রথম রোজার দিনে রান্নার গ্যাস স্বল্পতায় নাকাল হতে হয়েছে রাজধানীর অনেক পরিবারকেই।

রোববার হবিগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের এ ত্রুটির কারণে শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশেই গ্যাস সরবরাহ কমে যায় বলে গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানি ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

দেশের অন্যতম প্রধান এ গ্যাসক্ষেত্রে ক্রুটি দেখা দেওয়ার পর এদিন দুপুরের মধ্যে তা মেরামতের চেষ্টা করা হয়। দিনভর অপেক্ষায় ছিলেন তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারাও। তবে সোমবার সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন ঢাকায় গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা এ কোম্পানির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এদিন দুপুরের আগেই ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকার চুলায় গ্যাস একেবারে উধাও হয়ে যাওয়ার খবর আসে। বিকালের দিকে কিছুক্ষণের জন্য অনেক এলাকায় গ্যাস আসলেও চাপ কম থাকায় তাতে রান্না করা যায়নি।

এ বিষয়ে রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জরুরি বার্তা পাঠিয়ে গ্রাহকদের কাছে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে।

বার্তায় বলা হয়, শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের সৃষ্টি হচ্ছে। অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা ত্রুটি মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আশা করা যাচ্ছে।

“গ্যাস সরবরাহে ঘাটতিজনিত কারণে কিছু কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে কোনো কোনো এলাকায় সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে।“

সাময়িক এ অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

তিতাসের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মির্জা মাহবুব হোসেন বলেন, এদিন সাধারণ সময়ের তুলনায় সরবরাহ লাইনে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম পেয়েছেন তারা। এর মধ্যেও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল রাখতে গিয়ে আবাসিক এলাকায় রেশনিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস কমিয়ে দিতে হচ্ছে।

“দুপুরের মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছিল। পরে বিকালে বলা হয় আজকের (রোববার) মধ্যে আর সম্ভব না। আগামীকালের (সোমবার) মধ্যে শেভরনের গ্যাসফিল্ডের সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা আশা করছি।
দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাসের সংযোগ হয়ে প্রতিদিন ১৭০০ মিলিয়ন ঘনফুটের চেয়ে বেশি গ্যাস পেয়ে থাকেন গ্রাহকরা।

আর দেশের ২২টি গ্যাসক্ষেত্রের মধ্যে বেশির ভাগ গ্যাস আসে শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে।

পেট্রোবাংলার হিসাবে, শনিবার দেশের মোট গ্যাস উৎপাদন হয়েছে ২৭৮৫ মিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে বিবিয়ানা থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ১১৫১ মিলিয়ন ঘনফুট, যা দেশের মোট উৎপাদিত গ্যাসের ৪১ শতাংশ।

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা সাজিয়া আফরিন বলেন, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সকাল ১০টার দিকে গ্যাস চলে যায়। সাময়িক সমস্যা মনে করে বিকালে ইফতারি তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো খাবার তৈরি করতে পারিনি।

“বাধ্য হয়ে হোটেল থেকে কিছু ইফতার কিনে আর ছোলা মুড়ি দিয়ে প্রথম দিনের ইফতার সারতে হয়েছে। রাতে রান্নাও করতে পারিনি। রাত ১১টার দিকে মিন মিন করে স্বল্প চাপে কিছু গ্যাস আসতে শুরু করেছে।“

সাজিয়ার মতই মিরপুর, শ্যামলী, শান্তিবাগসহ আরও কিছু আবাসিক এলাকা থেকে গ্যাস সঙ্কট ও ভোগান্তির কথা জানান অনেক বাসিন্দা।

জাতীয়

পুরান ঢাকার চকবাজারে একটি গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

রোববার (০৩ এপ্রিল) রাত ১১ টা ৩৮ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিদর্শক শাহজাহান শিকদার জানান, চকবাজার আশিক টাওয়ারের পাশে একটি গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট যোগ দেয়। পরে আরো দুটিসহ মোট ছয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি।

জাতীয়

বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর আ.লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হয়েছে।

২০১৩ সালে যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কী ও ২০১৬ সালে রিজভি হাসান ওরফে বোচা বাবু – এ দুই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে টিপু হত্যার ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে। টিপুর অন্যতম সহযোগী ছিলেন রিজভী হাসান বাবু।

টিপু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ডসহ গ্রেফতার ৪জনের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুরে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া ৪জন জানিয়েছে, মিল্কী হত্যা মামলায় রেহাই পায় টিপু। এরপর বোচা বাবু হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্যে টিপুর প্রভাব বিস্তার করলে তাকে হত্যা করেন তারা।

উল্লেখ্য, মতিঝিল এলাকার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, স্কুল-কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ড এর সামনে মিল্কী হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়। এর ৩ বছরের ভেতর একই এলাকার বাসিন্দা বোচা বাবু হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

গ্রেফতার ফারুক ও পলাশ প্রায় একই রকম তথ্য দিয়ে জানায়, মিল্কী হত্যাকাণ্ডে টিপুর সম্পৃক্ততা রয়েছে মর্মে তারা মানববন্ধন, আলোচনা সভা, পোস্টার লাগানো ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করেও লাভ হয়নি। জাহিদুল ইসলাম টিপু মামলা হতে অব্যাহতি পায়।

পরবর্তীতে স্বার্থগত দ্বন্দ্বের কারণে টিপুর অন্যতম সহযোগী রিজভী হাসানকে ২০১৬ সালে হত্যা করে গ্রেফতার ওমর ফারুক ও অন্যান্য সহযোগীরা।

বর্তমানে রিজভী হাসান হত্যাকাণ্ডটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে বিচার চলছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানায়, তাদের ধারণা প্রতিপক্ষ টিপুর কারণেই রিজভী হাসান হত্যাকাণ্ডটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে স্থানান্তরিত হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার বাদী রিজভী হাসান বাবুর পিতা আবুল কালামের সঙ্গে ৫০ লাখ টাকায় দফারফা করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন ওমর ফারুক ও তার সহযোগীরা।

জাহিদুল ইসলাম টিপুর কারণে তারা ব্যর্থ হয় বলে জানায় গ্রেফতার ব্যক্তিরা।

ওমর ফারুক ও তার সহযোগীরা একপর্যায়ে রিজভীর বাবা কালামকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু জাহিদুল ইসলাম টিপুর সঙ্গে চলাচল করার কারণে তা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া রিজভী হাসান হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী গ্রেফতার মো. মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশকে তারা অর্থের বিনিময়ে সাক্ষ্য প্রদানে বিরত থাকতে বলে ওমর ফারুক ও তার সহযোগীরা।

মোরশেদুল আলম রাজী থাকা সত্ত্বেও জাহিদুল ইসলাম টিপুর চাপে তিনি সাক্ষ্য দেন। এতে আরো ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওমর ফারুক গং।

এদিকে কালামের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়ে গেলে তারা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করে যাতে মামলা পরিচালনা ধীরগতি করা যায়। তাদের ধারণা ছিল, বাদী কালাম একা মামলাটি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন না।

পরবর্তীতে মোরশেদুল আলমকে নিজ দলে ভিড়িয়ে জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা আঁটেন ওমর ফারুক ও তার সহযোগীরা।

হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য ফারুক ও মুসাকে ফোনে কয়েকজন আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয় মোরশেদুল আলম। উল্লেখ্য , মুসা ২০১৬ সালে রিজভী হাসান হত্যাকাণ্ডের চার্জশীটভূক্ত ৩নং আসামি।

হত্যাকাণ্ডটি বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সমন্বয়ের জন্য মুসা গত ১২ মার্চ দুবাই গমন করেন। সেখানেই হত্যাকাণ্ড সংঘঠনের চূড়ান্ত সমন্বয় করা হয়।

টিপু হত্যাকাণ্ডের আসামিরা আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডটি দেশে সংঘঠিত হলেও নিয়ন্ত্রণ করা হয় দুবাই থেকে। দেশ হতে নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির, মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশসহ আরোও কয়েকজন জাহিদুল ইসলাম টিপুর অবস্থান সম্পর্কে বেশ কয়েকদিন ধরে মুসার কাছে তথ্য পাঠায়।

ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর কিলার নাছির আনুমানিক চারবার জাহিদুল ইসলাম টিপুর অবস্থান সম্পর্কে মুসাকে অবহিত করে। পরবর্তীতে জাহিদুল ইসলাম টিপু গ্রান্ড সুলতান রেস্তোরাঁ হতে বের হলে কাইল্লা পলাশ তাকে নজরদারিতে রাখে এবং তার অবস্থান সম্পর্কে ফ্রিডম মানিককে অবহিত করে। বর্ণিত অবস্থান সম্পর্কে জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টায় টিপুকে গুলি করে খুন করে তাদের ভাড়াটে খুনিরা।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রাত সাড়ে দশটায় রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম টিপু। ঘটনাস্থলে একজন নিরীহ কলেজ ছাত্রী নিহত হয়।

নিহত টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা রুজু করেন।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা এবং বিশেষ করে একজন কলেজ ছাত্রীর নিহত হওয়ায় দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

র‌্যাবের ব্যাপক তদন্ত এবং গোয়েন্দাদের নজরদারিতে গ্রেফতার হন এ হত্যাকাণ্ডের শুটার মাসুম।

এরপর গ্রেফতার হন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ওমর ফারুক (৫২) এবং আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মো. নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির (৩৮), মো. মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ।

জাতীয়

চৈত্রের তাপপ্রবাহের জনজীবন প্রায় ওষ্ঠাগত। তার ওপর পশ্চিমা লঘুচাপের আনাগোনায় বেড়েছিল গুমোট গরম।

তবে সন্ধ্যার পর থেকে নেমে আসা ঝড়ো হাওয়া আনলো স্বস্তির বৃষ্টি।

রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে মেঘের উপস্থিতি রোববার (২৭ মার্চ) দুপুরের পর থেকেই ছিল। তবে বৃষ্টি না আসায় গরম অনুভূতি আরও বেড়ে যায়। তবে সন্ধ্যার পর থেকে কাটতে শুরু করে সেই পরিস্থিতি। পৌনে নয়টার দিকে হঠাৎ ঝড়ো বাতাস নেমে এলে ঝরো ঝরো ধারায় পড়তে থাকে বৃষ্টিও।

হঠাৎ ধূলিঝড়ের পর বৃষ্টিতে দিগ্বিদিক ছুটতে দেখা যায় পথচারীদের। সবাই খুঁজতে থাকেন আশ্রয়। ফুটপাতের স্টল, হকারদের ছাউনি, দোকানপাট মিনিট খানেকের মধ্যেই উপচে পড়ে লোকজনে। তবে সবার মুখেই যেন স্বস্তির ছায়া। গরমে হাঁপিয়ে ওঠা জনমনে বৃষ্টিতে স্বস্তি এলেও ভোগান্তিও নামে। রিকশা ভাড়া বেড়ে হয়ে যায় দ্বিগুণ।

আবহাওয়া অফিস অবশ্য সন্ধ্যাবেলায় পূর্বাভাস দিয়েছিল ঝড়ের। সেটাই সত্যি হলো। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেলেনি।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।

এ অবস্থায় সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

অন্যদিকে রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৮-১২ কি.মি.। মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আর বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হবে।

রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যথাক্রমে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ১১ মিলিমিটার।