জাতীয়

কোভ্যাক্সের আওতায় চীন থেকে সিনোফার্মের আরও প্রায় ১৮ লাখ করোনার টিকা দেশে এসে পৌঁছালো। বুধবার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে সাতটার দিকে টিকা বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এরআগে, ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান জানিয়েছিলেন, কোভ্যাক্সের আওতায় সিনোফার্ম থেকে ১.৭৭ মিলিয়ন ডোজ টিকা নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বেইজিং বিমানবন্দর ছেড়েছে। এটি কাতারের দোহা হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে।

এর আগে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) কোভ্যাক্সের আওতায় সিনোফার্মের আরও ১৭ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় আসে। এটি ছিল সিনোফার্ম থেকে কোভ্যাক্সের আওতায় আসা প্রথম চালান।

সোমবার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ১৫ আগস্টের মধ্যে দেশে আরও ৫৪ লাখ টিকা আসবে। কোভ্যাক্স থেকে আরও ৩৪ লাখ এবং চীন থেকে কেনা ১০ লাখ টিকা আসবে। এছাড়া আরও ১০ লাখ টিকা চীন উপহার হিসেবে দেবে।

গত ১২ মে প্রথমবার সিনোফার্মের তৈরি ৫ লাখ টিকা উপহার হিসেবে বাংলাদেশে পাঠায় চীন। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ১৩ জুন আরও ছয় লাখ উপহারের টিকা আসে। সবমিলিয়ে ১১ লাখ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে চীন। আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেবে দেশটি।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে গত এক দিনে, কেবল ঢাকা বিভাগেই মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের।

রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বাড়ায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। ৪২ হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ হাজার ২৯৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯৫ জন। তাদের মধ্যে ২২ হাজার ৬৫২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।

টানা ছয় দিন ১২ হাজারের ওপরে থাকার পর শনিবার ৮ হাজার ১৩৬ জন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা নেমে এসেছিল ৩২ হাজারের নিচে, যা শুক্রবারও ৪৮ হাজারের ওপরে ছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ২৬১ জনের, যা দৈনিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

সেই হিসেবে গত এক দিনে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমলেও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার বেড়েছে।

তবে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার কমে রোববার দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৫২ শতাংশে, যা আগের দিন ২৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ ছিল। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে জুলাই মাসের একটি অংশ জুড়ে দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের বেশি ছিল।

গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৪ হাজার ৫৭৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা মোট সংক্রমণের প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি।

এই সময়ে যে ২৪১ জন মারা গেছেন, তাদের ১০৫ জনই ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৯ জন এবং খুলনা বিভাগে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সরকারি হিসেবে এক দিনে সেরে উঠেছেন ১৬ হাজার ৬২৭ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১২ লাখ ৫ হাজার ৪৪৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৬ জন।

লাখের উপর রোগী নিয়ে হাসপাতালগুলো বেসামাল অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক শনিবারই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এখন রোগীর সংখ্যা কমানোর বিকল্প নেই।

সংক্রমণের গতি আটকাতে এদিনই ইউনিয়ন পর্যায়েও গণটিকাদান শুরু করেছে সরকার। বিশেষ এই কর্মসূচিতে ছয় দিনে ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

কিন্তু ঈদের পর থেকে সারা দেশে লকডাউনের যে বিধিনিষেধ ছিল, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তুলে দেওয়া হচ্ছে ১১ অগাস্ট থেকে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে গত জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বেড়ে ১৩ লাখ পেরিয়ে যায় গত ৪ অগাস্ট। এর মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে দিনে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৬ অগাস্ট তা ২২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগের দিন রেকর্ড ২৬৪ জনের মৃত্যুর খবর আসে।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪২ লাখ ৮৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২০ কোটি ২২ লাখের বেশি রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ৪২ হাজার ৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৮১ লাখ ১৭ হাজার ৪১০টি নমুনা।

নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৫২ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশে।

গত এক দিনে ঢাকা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৩৫৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিভাগের গাজীপুরে ১৩১ জন, কিশোরগঞ্জে ১৩১ জন, মানিকগঞ্জে ১৫৩ জন, নারায়ণগঞ্জে ১৭৭ জন, নরসিংদীতে ১৪১ জন, রাজবাড়ীতে ১৪৪ জন এবং টাঙ্গাইলে ১০৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৯৩০ জন, কক্সবাজারে ১৭৫ জন, ফেনীতে ১৪১ জন, নোয়াখালীতে ১৮৮ জন, লক্ষ্মীপুরে ১৩০ জন, চাঁদপুরে ১৩০ জন, কুমিল্লায় ৩৪৬ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৩৯ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।

রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলায় ১৯৭ জন, সিরাজগঞ্জে ১২২ জন এবং বগুড়ায় ১৭৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

অন্য বিভাগগুলোর বিভিন্ন জেলার মধ্যে ময়মনসিংহে ২২৪ জন, রংপুরে ২৮০ জন, খুলনায় ১৩০ জন, কুষ্টিয়ায় ১১৪ জন, বরিশালে ১৭৭ জন, সিলেটে ২৯০ জন এবং মৌলভীবাজারে ১৮৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

ঢাকা বিভাগে গত এক দিনে যে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ৫০ জনই ছিলেন ঢাকা জেলার। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা যাওয়া ৫৯ জনের মধ্যে ১৫ জন চট্টগ্রাম জেলার, ১১ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার এবং ১০ জন কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা ছিলেন।

এছাড়া খুলনা বিভাগে ৩০ জন, রাজশাহী বিভাগে ১২ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ জন, সিলেট বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে গত এক দিনে।

মৃত ২৪১ জনের মধ্যে ১৩১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৫৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।

মৃতদের মধ্যে ১২৮ জন ছিল পুরুষ, ১১৩ জন নারী। ১৮৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ৪৪ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৩ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

জাতীয়

আগামী ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় দিন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে খুলছে দোকানপাট ও শপিংমল। রবিবার (৮ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১১ আগস্ট থেকে শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এছাড়া সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অর্ধেক আসন খালি রেখে খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে। সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৮ দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবার বিধিনিষেধ শুরু হয়। সেই বিধিনিষেধ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

জাতীয়

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৫ জন নারীকে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদকের’ জন্য চূড়ান্ত করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলনকক্ষে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক’ প্রদানের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

তিনি বলেন, দেশপ্রেম, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সাহসিকতা, ত্যাগ ও অনুপ্রেরণার উৎস বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিবসকে (৮ আগস্ট) ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস ঘোষণা করেছে সরকার। বঙ্গমাতার অবদানকে চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে এ বছর থেকে নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ জাতীয় পদক ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ পদক প্রদান করা হবে। এ অনুষ্ঠানে এ বছরই প্রথম স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা, গবেষণা, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন এবং রাজনীতি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে এই পদক প্রদান করা হবে।

যারা পদক পাচ্ছেন

‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মমতাজ বেগম (মরণোত্তর), শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে টাঙ্গাইলের জয়া পতি (মরণোত্তর), ‘কৃষি ও পল্লীউন্নয়ন’ক্ষেত্রে পাবনার কৃষি উদ্যোক্তা মোছা. নুরুন্নাহার বেগম, ‘রাজনীতি’ক্ষেত্রে কুমিল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন পারুল এবং ‘গবেষণা’ক্ষেত্রে নেত্রকোনার লেখক ও গবেষক নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ)। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদের চেক ও সম্মাননাপত্র তুলে দেবেন।

প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে অনলাইনে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক প্রদান’অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীতে ৬৪ জেলায় চার হাজার অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দুই হাজার নারীকে দুই হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা নগদ অর্থ প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন অনলাইনে বঙ্গমাতার জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নগদ অর্থ ও সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। অনলাইনে আরও সংযুক্ত থাকবে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক।

জাতীয়
ডা: এস এ মা‌লেকঃ  যে মৃত‌্যুর কথা ‌কেউ কো‌নো‌দিন ‌চিন্তাও ক‌রে‌‌নি, স্ব‌প্নেও ভা‌বে‌নি, সেই অপ্রত‌্যা‌শিত ‌‌‌নির্মম ঘটনা ঘ‌টে গেল ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সা‌লে। বিজ‌য়ের পর যখন দে‌শে ফি‌রে তি‌নি রা‌ষ্ট্রের প‌রিচ‌লিনভার গ্রহণ কর‌লেন, তখন এ‌দে‌শের মানুষ ভে‌বে‌ছিল বঙ্গবন্ধু যত‌দিন জী‌বিত থাক‌বেন, তত‌দিন এ‌দেশ শাসন কর‌বেন। বাংলার মানু‌ষের ভাগ‌্য প‌রিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত তি‌নি ত‌ার দা‌য়িত্ব পালন ক‌রে যা‌বেন।
কিন্তু ভা‌গ্যের এমন নির্মম প‌রিহাস যে, ১৯৭৫ সা‌‌লের ১৫ই আগস্ট তা‌কে নিহত হ‌তে হল তারই দে‌শের মানু‌ষের হা‌তে। এ‌দে‌শের মানুষ তা‌কে হত‌্যা ক‌রে‌ছে কথাটা ‌বোধহয় স‌‌ঠিক নয়। হ‌্যা একথা ঠিক, মোশতাক তার দ‌লের লোক। আর ফারুক ডা‌‌লিম, র‌শিদ, এ‌দে‌শরই সন্তান। তাই সাধারন বি‌বেচনায় বল‌তে হয় যে লোক‌টি তার গোটা জীবন‌কে স্ব‌পে দি‌লেন দে‌শের কার‌নে। ২৩ বছ‌রের রাজ‌নৈ‌তিক সংগ্রাম, ১৪ বছ‌রের কারাবরণ‌কে উ‌পেক্ষা ক‌রে বাংলার গণমানু‌ষের জন‌্য কাজ কর‌ল‌েন, সেই বাঙাল‌ি কি ক‌রে তা‌কে হত‌্যা কর‌তে পা‌রে। আস‌‌লে যারা হত‌্যাকারী তারা মন ও মান‌‌ষিকতায় ছিল পা‌কিস্থা‌নী, বাঙালী জাত‌ীয়তাবা‌দে তারা বিশ্বাসী ছিল না। বিশ্বাসী ‌ছিল পা‌কিস্থা‌নের ধর্ম‌‌ভি‌ত্তিক জাত‌ীয়তাবা‌দে। তাই পা‌কিস্থান ভাঙ্গার প্র‌তিশোধ হি‌সে‌বে তারা বাংলা‌‌‌দ‌‌‌েশের প্রতিষ্ঠাতা‌কে হত‌্যা ক‌রে‌ছে। বঙ্গবন্ধু বাংলা‌দে‌শের সর্ব‌‌শ্রেষ্ঠ সন্তান‌কে হত‌্যা করার ম‌তো সাহস তা‌দের কখনও ছিল না। প্র‌তি‌হিংসার বশবর্তী হ‌য়ে তারা স্বাধীন বাংলার রাষ্ট্রপ‌তি‌কে হত‌্যা ক‌রে‌ছে। বিন্দুমাত্র বাঙ্গালীত্ব‌ বোধ থাক‌লে এ‌দে‌শের জনগ‌ণের প্র‌তি দরদ থাক‌লে তারা এ‌দেশ‌ের শ্রেষ্ঠ সন্তান‌কে এভা‌বে হত‌্যা কর‌তে পা‌রে না। তারা কি কার‌ণে বঙ্গবন্ধু‌কে হত‌্যা ক‌রে‌ছিল তার বস্তু‌নিষ্ঠ ই‌তিহাস জাতীয় দ‌লিল ‌হি‌সে‌বে হয়‌তো প্র‌তি‌ষ্ঠিত হ‌য়ে গে‌ছে। ‌কিন্তু হত‌্যার মূল কারণ এখনও উদঘা‌ঠিত হয় নি। খুনীরা বল‌ছে ডা‌লি‌মের ব‌্যক্ত‌িগত আক্র‌েশের কার‌ণে সে ভারা‌টে‌দের নি‌য়ে বঙ্গবন্ধু‌কে হত‌্যা ক‌রে‌ছে।
আ‌রেকদল বল‌ছে গাজী গ‌োলাম ম‌োস্তফা, শ‌েখ কামালওে ডা‌লি‌মের অন্তদ্বন্দে‌র কার‌ণে বঙ্গবন্ধু নিহত হ‌য়ে‌ছে। এসব এ‌কেবা‌রেই অমুলক উ‌ক্তি। বঙ্গবন্ধুর হত‌্যাকান্ড ছিল রাজ‌নৈ‌তিক। ১৯৭১ সা‌লে পা‌কিস্থা‌নের কারাগা‌রে যখন তি‌নি আবদ্ধ, তা‌কে যখন পা‌কিস্থান ভাঙ্গার অপরা‌ধে বিচার করা হ‌য়ে‌ছিল তখন তারা অ‌তি সহ‌জেই তার মৃত‌্যুদন্ড কার্যকর কর‌তে পার‌তো। তা কিন্তু করা হয়‌নি। সে‌দিন সাম্রাজ‌্যবাদ ‌‌ভে‌বে‌ছিল যে হো‌সেন শহীদ ‌সোহরাওয়ার্দীর ভাবশীর্ষ ‌শেখ মু‌জিব। ‌শেখ মু‌জি‌বের নেতৃ‌ত্বে বাংলা‌দেশ স্বাধীন হ‌লেও পুজিবাদী বু‌র্জোয়া গনত‌ন্ত্রের ধারক এবং বাহক হো‌সেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ভাবশীর্ষ আর কতদুরই বা অগ্রসর হ‌বে। তাই ৭২ এ সং‌বিধান প্রনয়ন, ৭৩ এ নির্বাচন ও বাংলা‌দে‌শে সংসদীয় গনতন্ত্র প্র‌তিষ্ঠায় তারা সহ‌যো‌গিতা না কর‌লেও চরম বাধা সৃ‌ষ্টি ক‌রে‌রি।ন কিন্তু এ‌দে‌শের দুঃখী মানু‌ষের মু‌ক্তির জন‌্য বঙ্গবন্ধু যখন তার ২য় বিপাল‌বের কর্মসূ‌চি ‌ঘোষনা দি‌লেন ‌ঠিক তার পূ‌‌র্বেই তা‌কে হত‌্যা করা হল। য‌দিও বঙ্গবন্ধুর কর্মসূ‌চি মা‌র্সিও দর্শন ভ‌ি‌ত্ত‌িক আর্থ-রাজ‌নৈ‌তিক ধারা ছিল না। বঙ্গবন্ধু ব‌লে‌ছি‌লেন বি‌দেশ থে‌কে তন্ত্র-মন্ত্র ধার ক‌রে নয়, আমার দে‌শের মা‌টি ও মানু‌ষের প্র‌য়োজ‌নীয় গণতা‌ন্ত্রিক সমাজবা‌দ তি‌নি প্র‌তিষ্ঠা কর‌বেন। আর ঐ গণতা‌ন্ত্রিক সমাজবা‌দের কর্মসূচী ২য় বিপ্ল‌বের মাধ‌্যমে ‌ঘোষনা ক‌রে‌ছি‌লেন।
‌রে‌জি‌মে‌‌ন্টেড সোসাই‌টির ম‌তো তি‌নি ব‌্যক্তিগত ভো‌টের অ‌ধিকার ও সম্প‌ত্তির অ‌ধিকার কখ‌‌নোই তু‌লে‌ নেন‌ নি। তাই আপ‌সোস বঙ্গবন্ধু‌কে যারা হত‌্যা কর‌লো বি‌‌শেষ ক‌রে পিছ‌নে থাকা সাম্রাজ‌্যবাদ তারা বঙ্গবন্ধু‌কে তার কর্মসূ‌চি বাস্তবায়‌নের সময় ও সু‌‌যোগ দেয় নি। তি‌নি ত‌ার ২য় বিপ্ল‌বে যে গভর্ণর সি‌স্টেম জেলা প্রশাস‌নের চারু ক‌রে‌ছি‌লেন তা‌তে তি‌নি সর্বস্ত‌রের লোক‌কে সং‌শ্লিষ্ট ক‌রে‌ছি‌লেন। প্রশাসক হি‌সে‌বে গভর্ণ‌রের ব‌্যা‌ক্তিগত ইচ্ছা পূরণ করার কোন সু‌যোগ ছিল না। সক‌‌লের মত ও সমর্থন নি‌য়ে প্রশাসন‌কে দা‌য়িত্ব পালন কর‌তে হ‌‌তো। ‌ব্রি‌টিশ ক‌লো‌নিয়াম যে প্রশাসন তা তি‌নি ভে‌ঙ্গে গণপ্রশাসন চালু কর‌তে ‌চেয়ে‌ছি‌লেন। তার মূল ছিল পা‌র্টি‌সি‌পেটা‌রি গণতন্ত্র। সর্বস্ত‌রের লোক‌দের প্রশাস‌নে সং‌শ্লিষ্ট হওয়ার সু‌যোগ দেওয়া। যা‌কে এক কথায় গণপ্রশাসন বলা যে‌তে পা‌রে। বাংলা‌দে‌শের অ‌‌ভিজ্ঞতার আ‌লো‌কেই তি‌নি এ পদ‌ক্ষেপ গ্রহণ ক‌রে‌ছি‌লেন। এটা সেচ্ছাচারী একদলীয় ‌ভ‌ি‌ত্তিক কোন ব‌্যবস্থা ছিল না। একইভা‌বে তি‌নি যে বাধ‌্যতামূলক গ্রাম‌্য সমবা‌য়ের রুপ‌রেখা দি‌য়ে‌ছি‌লেন, সেটা ছিল এমন এক সমবায় যা‌তে ক‌রে শুধু খাদ‌্য নয়, সমা‌জের সর্বস্ত‌রের মানু‌ষের প্র‌য়োজন ‌মিটাবার ব‌্যবস্থা। শুধু উৎপাদন বৃ‌দ্ধি নয়, উৎপা‌দিত ফসল যা‌তে সক‌লে সমবা‌য়ের মাধ‌্যমে সমানভা‌বে পে‌তে পা‌রে তার ব‌্যবস্থা তি‌নি ক‌রে‌ছি‌লেন। শুধু কৃ‌ষি উন্নয়ন নয়, মানবউন্নয়‌নের সব‌কিছু ছিল এই কো-অপা‌রে‌টিভ এ। বিচার ব‌্যবস্থায় তি‌নি আমূল প‌রিবর্তন এ‌নে গরীব-দু্ঃখ‌ী মানু‌ষের কা‌ছে ‌বিচাল ভ‌্যবস্থা পৌ‌ছে দি‌য়ে‌ছি‌লেন। শিক্ষা ‌ক্ষে‌ত্রে তি‌নি বিজ্ঞান ভি‌ত্তিক কুদরত-ই কুদা ক‌মিশন বাস্তবায়‌নের অ‌‌ঙ্গিকার ক‌রে‌ছি‌লেন। আস‌লে এর কোন‌কিছু বাস্তবায়‌নের আ‌গেই বঙ্গবন্ধু‌কে হত‌্যা করা হল।
আর  এখন প্রায়ই বলা হ‌য়ে থা‌কে ২য় বিপ্ল‌বের কার‌নেই নাকি তা‌কে হত‌্যা করা হ‌য়ে‌ছে। তখন ২য় বিপ্লব ছিল আতুর ঘ‌রে, কো‌নো‌কিছুই বাস্তবা‌য়িত হয় নি। তাহ‌লে প্রশ্ন জা‌গে বঙ্গবন্ধু‌কে হত‌্যা করা হল কেন? চক্রান্ত ছিল সাম্রাজ‌্যবাদ ‌ঠিকই, কিন্তু যারা অ‌তি উৎসা‌হে এই হত‌্যাকান্ড সংঘ‌ঠিত ক‌রে‌ছেন তারা ছি‌‌লেন বাংলা‌দেশের ‌‌ঘোর শত্রু। তারাই সাম্রা‌জ্যের উপর চাপ সৃ‌ষ্টি ক‌রে বঙ্গবন্ধুর হত‌্যাকান্ড অনু‌মোদন ক‌রি‌য়ে ‌নেয়। বঙ্গবন্ধু হত‌্যাকা‌ন্ডের ৪৫ বছর পর আজ‌কের শূক্ম বিচা‌রে এই ধর‌নের চিন্তা-ভাবনা যে অমূলক নয় তা সক‌লে অনুধাবন ক‌রছে।
(‌লেখক, কলা‌মিস্ট ও রাজ‌নৈ‌তিক বিশ্লেষক)
জাতীয়

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরো ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ১৫০জনে। একইসময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৬০৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৫০ জনে।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৯৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৭ জন।

নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের গড় হার ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। করোনায় মৃত‌্যুর হার ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩৮ জন পুরুষ এবং ১১০ জন নারী। বিভাগ ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৬৯ জন, চট্টগ্রামে ৭৫, রাজশাহীতে ১৬, খুলনায় ৩৬, বরিশালে ২০, সিলেটে ১৬, রংপুরে ৮ এবং ময়মনসিংহে ৮ জন।

এর আগে দেশে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয় গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট)। এছাড়াও ১ আগস্ট ২৩১ জন, ২ আগস্ট ২৪৬, ৩ আগস্ট ২৩৫, ৪ আগস্ট ২৪১ জনের মৃত্যু হয়।

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ

গত ২৪ ঘণ্টায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮৮ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ৩৭ জনের। এছাড়া হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১০ জন।

প্রসঙ্গত, কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের সম্পূর্ণ পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এমনকি দুটি বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রত্যেকের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসা ছাড়া অন্য সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আগের মতই চলমান রয়েছে।

জাতীয়

রাজধানীর রমনায় ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারের (এসপি) বাংলোয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন মেহেদী হাসান (২২) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল।

তিনি নিজের সঙ্গে থাকা অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাকে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মেহেদীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কনস্টেবল মেহেদীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আ. ছালাম জানান, খবর পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা জেলার এসপির বাংলো থেকে মেহেদীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, তার থুতনিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নিজের সঙ্গে থাকা অস্ত্র দিয়েই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে বিস্তারিত তদন্তের পর বলা যাবে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানায়, কনস্টেবল মেহেদীর বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার আনেহেলা গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল হানিফ। মেহেদীর কনস্টেবল নম্বর ১৩২৫।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২১ হাজার ৯০২ জনে। এটিই দেশে একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ২৭ জুলাই দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৭৪৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫৪ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ হাজার ৫২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এদিন পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৯৫টি নমুনা। যেখানে শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একদিনে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৮৬ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৩ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মারা যাওয়া ২৬৪ জনের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৫০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৫ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন ও ১০ বছরের নিচে একজন রয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৪০ জন ও মহিলা ১২৪ জন। যাদের মধ্যে বাসায় ১৯ জন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। একই সময়ে বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৯ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১৬ জন, সিলেট বিভাগে ২৩ জন, রংপুর বিভাগে ১৮ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন মারা গেছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

জাতীয়

দেশে জুলাই মাসে কোভিডে আক্রান্ত ৩০০ জনের নমুনা থেকে পাওয়া করোনাভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করে ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষকরা।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২০ হাজার ৯১৬  জনে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে শনিবার করোনায় ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১৪ হাজার ৮৪৪  জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৮ জনে।