জাতীয়

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ২৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ২১৮ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯ জন।

রাজধানীতে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ৫২ জন ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে ১৬৬ জন।

এ নিয়ে সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬২ জন। মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ৮২৮ এবং ঢাকার বাইরে ৩২ জন ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু সন্দেহে মারা যাওয়া চারজনের তথ্য পর্যালোচনার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ (১ আগস্ট) পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে মোট দুই হাজার ৮৯৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ২৯ জন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩২ জন, ফেব্রুয়ারিতে নয়জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে তিনজন, মে মাসে ৪৩ জন, জুনে ২৭২ জন এবং জুলাইয়ে দুই হাজার ২৮৬ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

জাতীয়

আজ পহেলা আগস্ট। শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি জাতি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শোকের মাসে আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গসংগঠন মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শোকের মাস আগস্টের প্রথম প্রহরে ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে আলোর মিছিল করে। এর মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহের শোকের মাসের কর্মসূচি শুরু হয়।

এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শোকের মাস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তবে করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে কর্মসূচি পালনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়স্বজন।

সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপত্গামী সদস্য সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া। সেদিন অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

পরবর্তীকালে শেখ হাসিনার বারবার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এই শোকের মাসেই গ্রেনেড হামলায় হত্যার চেষ্টা করা হয় জাতির জনকের কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও এ ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী, আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

শোকের মাসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

আগামী ৫ আগস্ট থেকে মাসব্যাপী শোকের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এবার জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি সীমিত পরিসরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—আজ পহেলা আগস্ট রবিবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগস্ট মাসব্যাপী কোরআন খতম এবং ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউসহ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অসহায়-দুস্থদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হবে। বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ কৃষক লীগের আয়োজনে রক্তদান ও প্লাজমা সংগ্রহ কর্মসূচি।

৫ আগস্ট শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল সোয়া ৯টায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন।

৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল সোয়া ৯টায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদলের শ্রদ্ধা নিবেদন।

এছাড়াও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভা।

১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনাসভা।

২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষ্যে সকাল ৯টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা নিবেদন। বিকাল সাড়ে ৩টায় ঘরোয়া আলোচনাসভা।

এছাড়া, ২৭ আগস্ট জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

জাতীয়

দীর্ঘ ৫৬ বছর আবারো চালু হয়েছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল। রবিবার (১ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে ট্রেনটির বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলস্টেশনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এ পথে পণ্য পরিবহনে সাশ্রয় হবে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পথ।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে ভারতীয় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের দুটি ইঞ্জিন ভারতের নিউজলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে আসে। পরে হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলস্টেশনে পরীক্ষামূলক যাত্রা সম্পন্ন করে পুনরায় ফিরে যায়।

এ মাসেই চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে চলবে ট্রেন – 24/7 Latest bangla news | Latest world news | Sports news photo video live

শুরুতে শুরুতে পণ্যবাহী ট্রেনে ভারত থেকে পাথর ও গম আসবে বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে এ পথে অক্সিজেনবাহী ট্রেনও চলাচল করতে পারবে বলেও জানানো হয়। তবে আপাতত ৪০ বগির এ পণ্যবাহী ট্রেনটি দার্জিলিং এর নদী থেকে উত্তোলন করা বোল্টার পাথর বহন করছে।

রেলওয়ে সূত্রমতে, ১৯৬৫ সালের পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পরিত্যক্ত রেলপথটি চালুর উদ্যোগ নেয় দুই দেশের সরকার। এ উদ্যোগে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজ প্রায় সমাপ্তের পথে। এর আগে ভারত হলদিবাড়ি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজ সমাপ্ত করলেও তাদের অংশে জিরো পয়েন্টে দেড়শ মিটার অবশিষ্ট ছিল। গত মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকালে অবশিষ্ট অংশের কাজ সমাপ্ত করে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেয় ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

৫৫ বছরের প্রতীক্ষার অবসান, চালু হলো চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ | The Daily Bhorer Darpan

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পাক-ভারত বিভক্তের পরও এপথে রেল চলাচল চালু ছিল। সে সময়ে এ পথে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করতো যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচল। বন্ধ থাকা পথটি চালু করতে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় বর্তমান সরকার। প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ ও দুই দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইন নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো।

চলতি বছর বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনেতিক সম্পর্কের ৫০ বছর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই সময় ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ঢাকা থেকে নিউজলপাইগুড়ি পর্যন্ত আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন করেন। যাত্রীবাহী ট্রেনটি উদ্বোধন করা হলেও করোনা পরিস্থিতি যাত্রীবাহী ট্রেনের চাকা আপাতত থামিয়ে রেখেছে।

জাতীয়

দেশে গত এক দিনে আরও ১৫ হাজার ২৭১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে ২৩৯ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ হাজার ২৭১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে।

এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হল ১২ লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ জন কোভিড রোগী; আর আক্রান্তদের মধ্যে মোট ২০ হাজার ২৫৫ জনের মৃত্যু হল।

সরকারি হিসেবে এক দিনে সেরে উঠেছেন ১৪ হাজার ৩৩৬ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১০ লাখ ৫০ হাজার ২২০ জন।

আগের দিন বুধবার সারা দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, এক দিনে মৃত্যু হয় ২৩৭ জনের। তার আগের দিন মঙ্গলবার এক দিনে ২৫৮ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়।

বাংলাদেশ গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার দশ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়ে যায় এ বছর ২৯ জুলাই, একই দিনে কোভিডে মৃত্যুর মোট সংখ্যা পেড়িয়ে যায় ২০ হাজার।

গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৬ হাজার ৯৯৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে যা দিনের মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক।

গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৬ হাজার ৯৯৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে যা দিনের মোট আক্রান্তের ৪৫ শতাংশের বেশি।

আর এই সময়ে যে ২৩৯ জন মারা গেছেন, তাদের ৭৬ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন এবং খুলনা বিভাগে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪১ লাখ ৮৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ১৯ কোটি ৬০ লাখের বেশি রোগী।

দিনের চিত্র

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ৫২ হাজার ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৭৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭০টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ, যা আগের দিন ৩০ দশমিক ১২ ছিল।

দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

গত এক দিনে ঢাকা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৭১৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিভাগের ফরিদপুরে ১৪৪ জন, গাজীপুরে ২৬৮ জন,গোপালগঞ্জে ২০৪ জন, কিশোরগঞ্জে ১৩২ জন, মানিকগঞ্জে ২০৩ জন, মুন্সিগঞ্জে ২৯৪ জন, নরসিংদীতে ২৭৯ জন, নারায়ণগঞ্জে ২৫৪ জন, রাজবাড়ীতে ১৪৭ জন, শরীয়তপুরে ১৬৩ জন এবং টাঙ্গাইল জেলায় ১২৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ১৩১৫ জন, কক্সবাজারে ৩২৪ জন, ফেনীতে ২১৭ জন, নোয়াখালীতে ২২৮ জন, লক্ষ্মীপুরে ২০৫ জন, চাঁদপুরে ২৪১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪৪ জন এবং কুমিল্লায় ৮৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।

রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলায় ২১২ জন, পাবনায় ১২৫ জন, সিরাজগঞ্জে ১৪৯ জন এবং বগুড়ায় ১১২ জন নতুন রোগী পাওয়া গেছে গত একদিনে।

খুলনা বিভাগের মধ্যে যশোরে ২৭৯ জন, খুলনায় ১৮০ জন এবং কুষ্টিয়ায় ১৪৯ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।

অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহে ৪৫৮ জন, নেত্রকোণায় ১০২ জন, বরিশালে ২৬৫ জন, পটুয়াখালীতে ১৭৮ জন, ভোলায় ১১৩ জন, সিলেটে ৩৮৬ জন, সুনামগঞ্জে ১৩০ জন, দিনাজপুরে ১৮০ জন এবং রংপুরে ১৭৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।

ঢাকা বিভাগে গত এক দিনে যে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ৪২ জনই ছিলেন ঢাকা জেলার। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা যাওয়া ৫৭ জন জনের মধ্যে ১৮ জন চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা ছিলেন।

এছাড়া খুলনা বিভাগে ৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১৪ জন, সিলেট বিভাগে ১৪ জন, রংপুর বিভাগে ১১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে গত এক দিনে।

মৃত ২৩৭ জনের মধ্যে ১৩৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৪৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

তাদের মধ্যে ১২৩ জন ছিলেন পুরুষ, ১১৬ জন ছিলেন নারী। ১৮১ জন সরকারি হাসপাতালে, ৪৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১৫ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

জাতীয়

আওয়ামী লীগের নামের সঙ্গে মিল রেখে নামসর্বস্ব সংগঠন ‘চাকরিজীবী লীগ’ নিয়ে আলোচিত-সমালোচিত ব্যবসায়ী ও এফবিসিআই’র পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশানের বাসায় থেকে র‌্যাব গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২ টার দিকে র‌্যাব গুলশান ২ নম্বরের ৩৬ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলার ৫/বি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে। গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের একটি গাড়িতে করে সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।

র‌্যাব জানিয়েছে, তার ফ্ল্যাট থেকে ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম, বিপুল পরিমাণ মাদক, ১ টি হরিণের চামড়া, ১ টি বন্য পশুর চামড়া, অন্তত ১০ ধরনের বিদেশী ধারালো চাকু, বিপুল সংখ্যক বিদেশী মুদ্রা, ২ টি ওয়াকিটকি, ১ টি লাল রঙের লাগেজ ভর্তি অবৈধ জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অবৈধ দ্রব্য সামগ্রীর সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না-এ কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল অভিযানে নামে। তার ফ্ল্যাট থেকে মাদক, পশুর চামড়া, ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম, বিদেশী মুদ্রা, বেশ কয়েকটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভবনটির একজন দারোয়ান জানান, রাত ৮টার কিছু পরে র‌্যাবের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় প্রবেশ করেন। কিছু সময় পরে র‌্যাবের ১০ থেকে ১২ জন নারী সদস্য ওই বাসায় প্রবেশ করে। অভিযানের সময় যত বাড়তে থাকে, র‌্যাবের সদস্য সংখ্যাও বাড়তে থাকে। রাত ১২ টার দিকে র‌্যাব থেকে জানানো হয় যে, তার বাসা থেকে মাদকসহ অবৈধ জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

 

 

সম্প্রতি নেতা বানানোর ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠন। এটির কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নাম আসে হেলেনা জাহাঙ্গীরের। আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় মাহবুব মনিরকে। তাদের নাম-সংবলিত পোস্টার ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পোস্টারে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

সংগঠনটির দাবি, দুই-তিন বছর ধরে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছে তারা। যদিও আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সংগঠনটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। গত ২৪ জুলাই শুক্রবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক স্ট্যাটাসে চাকরিজীবী লীগ গঠনের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন হেলেনা। তিনি লিখেছেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় আর সরকারের হাতকে শক্তিশালী করার প্রত্যাশায় বাংলাদেশের আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ।’পরে অবশ্য সংগঠনটির সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন হেলেনা। বলেছেন, তিনি ওই পদ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেননি।

চাকরিজীবী লীগ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে গত শনিবার আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটি থেকে বাদ দেয়া হয় হেলেনাকে। আর তাকে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদ থেকে আরও আগেই বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।

জাতীয়

গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ২৩৭ জন।

দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ জুলাই দেশে মৃত্যু ১৯ হাজারের ঘর অতিক্রম করে। ওইদিন পর্যন্ত মারা যায় ১৯ হাজার ৪৬ জন। মাত্র ৪ দিনে এই সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ২৩৭ জন। গতকাল এ যাবতকালের একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক ২৫৮ জন মারা গিয়েছিল। গতকালের চেয়ে আজ ২১ জন কম মারা গেছেন। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৪৯ জন ও নারী ৮৮ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ১৬ জনে ।

এদিকে দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্য ১২ লাখ ছাড়িয়েছে। আজ নতুন আক্রান্ত হয়েছে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৬ হাজার ২৩০ জন।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

গতকাল মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৬২৭ জন, ৬৮ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং নারী ৬ হাজার ৩৮৯ জন, ৩১ দশমিক ৯২ শতাংশ।

গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৭৮ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৪৫ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ১৫ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী ১ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৭০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৩৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬৭ জন সরকারি হাসপাতালে, ৫৭ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১৩ জন বাসায় মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় ৫৩ হাজার ৮৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ৫২ হাজার ৪৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪ হাজার ৯২৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৩০৫ জন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায়  শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ১২ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ  বেশি।

এদিকে ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) ২৪ ঘন্টায় ২১ হাজার ৬৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ২৬৯ জন।

ঢাকায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গতকাল এই জেলায় ১৮ হাজার ৪৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৭২ জন যা ২২ দশমিক ৬০ শতাংশ। এই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৩৭ জন। গতকালও ৪১ জন মারা গিয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৫৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ লাখ ১০ হাজার ৯৮২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৭০ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ১২ হাজার ৪৩৯ জন। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৩১ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮৪ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৮৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ০৪ শতাংশ কম।

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫৬ হাজার ১৫৭ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৫৫ হাজার ১৫৯ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৯৯৮টি নমুনা বেশি সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৩ হাজার ৮৭৭ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৫২ হাজার ৪৭৮ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৩৯৯ টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

করোনা রোগীদের অক্সিজেন চাহিদা মেটাতে ব্যয়বহুল হাই-ফ্লো নেইজল ক্যানোলার বিকল্প হিসেবে বুয়েটের উদ্ভাবিত স্বল্প খরচের ‘অক্সিজেট’ যন্ত্র সীমিত আকারে উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

বুধবার অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. সালাউদ্দিন এ তথ্য জানিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ২০০ ইউনিট উৎপাদন করে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণের পর তাদের মতামতের ভিত্তিতে বড় পরিসরে ‘অক্সিজেট’ ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে।

বুয়েট জানায়, গত মে মাসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই যন্ত্রের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল তৃতীয় ধাপে সাফল্য লাভ করে। ওই সময় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী যন্ত্রটি হাই-ফ্লো নেইজল ক্যানোলার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডিভাইসটি দিয়ে হাসপাতালের সাধারণ বেডেই ৬০ লিটার পর্যন্ত হাই-ফ্লো অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব। আর একটি হাই-ফ্লো নেইজল ক্যানোলার জন্য খরচ যেখানে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা, সেখানে বুয়েটের আবিস্কৃত এই যন্ত্রটির উৎপাদন খরচ পড়বে মাত্র ২০-২৫ হাজার টাকা।

শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে ‘অক্সিজেট’ নামের যন্ত্র উদ্ভাবন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সহজে ব্যবহার ও বহনযোগ্য এই যন্ত্র কোনো বিদ্যুৎশক্তি ছাড়াই অক্সিজেন সিলিন্ডার বা হাসপাতালে অক্সিজেন লাইনের সঙ্গে যুক্ত করে হাই-ফ্লো নেইজল ক্যানোলার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড।

এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৭৭৯ জনের।  নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯২৫ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫২ জনে। মৃত ২৫৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৮ জন ও ১২০ জন নারী।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৪৩৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ২২ হাজার ৪১৪ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৩৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৫২টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৫৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৫৫ হাজার ১৫৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫২ হাজার ৪৭৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭১১টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৫৮ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৫৮ জনের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ৮৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৫০ জন, বরিশাল বিভাগে ১৩ জন, সিলেট বিভাগে সাত জন, রংপুর বিভাগে ১১ এবং ময়মনসিংহে ১১ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২০২ জন, আর বেসরকারি হাসপাতালে ৩৯ জন এবং বাড়িতে ১৫ জন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় দুইজনকে।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৫০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আট জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২ জন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন পাচ হাজার ১৩৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ৭৬ হাজার ১০৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭৯ হাজার ২৭৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

মহামারি করোনা থেকে বাঁচার সব থেকে কার্যকর উপায় ভ্যাকসিন বা টিকা নেওয়া। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে টিকা দেওয়ায় গতি বাড়ছে ৭ আগস্ট থেকে।

দিনে সাড়ে আট লাখ করে প্রতি সপ্তাহে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।

দেশে বিদ্যমান সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কার্যকর করা হবে কভিড টিকার ক্ষেত্রেও। গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্য অস্থায়ী টিকাদানকেন্দ্রগুলোকেও কাজে লাগানো হবে। স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীরাও টিকাদান কার্যক্রমে অংশ নেবেন।

প্রয়োজনে অতি বয়স্ক এবং যাঁরা চলাফেরা করতে পারেন না, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আরো সহজতর হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এসব কেন্দ্রে হাজির হলেই পাওয়া যাবে টিকা।

এরই মধ্যে এ জন্য মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সারা দেশে। পাশাপাশি কভিড টিকা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারাও বেরিয়ে পড়েছেন মাঠের প্রস্তুতি দেখতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মাঠ পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

গতকাল এক দিনে টিকা নিয়েছেন প্রথম ডোজ হিসেবে দুই লাখ ১৭ হাজার ৫৮ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন চার হাজার ৪৭৮ জন। সব মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট এক কোটি ২০ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে বেরিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এখন পর্যন্ত ২১ কোটি টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। ‘কাল-পরশু (আজ-কাল) চীন থেকে আরো ৩০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা আসবে। এ ছাড়া আগস্ট মাসে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজার-বায়োএনটেকের আরো ৬০ লাখ ডোজ টিকা আসছে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে অন্য কয়েকটি সোর্স থেকে টিকা আসবে। ফলে টিকার সংকট থাকছে না। ’

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।  যা একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড।

এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৫২১ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৯২ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জনে।

এর আগে গত ১১ জুলাই দেশে করোনায় ২৩০ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ১৯ জুলাই মৃত্যু হয় ২৩১ জনের। আর ২৫ জুলাই মৃত্যু হয় ২২৮ জনের।

সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ নয় হাজার ৯৭৫ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৩৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৫২টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৫৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৫৩ হাজার ৩১৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজার ৯৫২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৫ লাখ  ছয় হাজার ২৩৩টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৪৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ জন, সিলেট বিভাগে ১৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬৫ জন, বেসরকারি ৫৫ হাসপাতালে জন এবং বাড়িতে ২৬ জন মারা যান। আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয় একজন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিন জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দু’জন রয়েছেন।   এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন চার হাজার ৪৪৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৫৫০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ৭০ হাজার ৯৬৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৮৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭৭ হাজার ৯৮৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।