জাতীয়

সরকারের নমনীয়তাকে দুর্বলতা ভাববেন না বলে সতর্ক করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা এখন বিশৃঙ্খলা করছে তারা ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও বিশৃঙ্খলা করেছিল। তারা একই গোষ্ঠী এবং তাদের সাথে ছিল বিএনপি। যারা দেশে বিশৃঙ্খলা করছেন তাদের মূল উৎঘাটনে আমরা বদ্ধপরিকর।

শনিবার ( ২৭ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদের মতে, আমরা জানি আপনারা কারা? বাইতুল মোকাররমে, পবিত্র কুরআনে আগুন জ্বালিয়েছিলেন। এই সময় পশু-পাখিও আপনাদের হাতে রেহাই পায়নি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনের সঙ্গে রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দেওয়ার কি সম্পর্ক? ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হলো কেন? এরা সবাই দুষ্কৃতিকারী, শান্তি ও সম্প্রীতির শত্রু। এদের যদি খোঁজ-খবর নেই, তবে দেখা যাবে এদের বাবা-দাদারা সব রাজাকার ছিল। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল। তাদের বাবা-দাদারা নারী নির্যাতন ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমন নিয়ে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তিনি কোনো দলের নেতা হিসেবে বাংলাদেশে আসেননি। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তীতে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানাতে বাংলাদেশে এসেছেন।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ৮৬৯ জনে। আর এই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৪ জন।

শনিবার (২৭ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮০৬ জন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ এবং ১৫ জন নারী। তারা সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, একদিনে ২৪ হাজার ৬৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৯৭১ জন। এ নিয়ে দেশে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াল পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার ৯২২ জনে।

 

জাতীয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভারত সরকারের দেওয়া গান্ধী শান্তি পুরস্কার তার ছোট মেয়ে শেখ রেহানার হাতে তুলে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শুক্রবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমঞ্চে বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে নরেন্দ্র মোদির হাত থেকে পুরস্কার নেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে নরেন্দ্র মোদি বলেন, এটা ভারতের জন্যও গর্বের আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার দিতে পেরেছি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ২০২০ সালের গান্ধী শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

গান্ধী শান্তি পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলীর প্রধান ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মহাত্মা গান্ধী যে অহিংসার পথ দেখিয়ে গেছেন, একই ধরনের পথে বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক রূপান্তরে অসামান্য অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুকে এই পুরস্কার জন্য মনোনীত করেছে ভারত সরকার।

এতে আরও বলা হয়, নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, মানবাধিকার ও স্বাধীনতার দাবি আদায়ে বঙ্গবন্ধু একজন চ্যাম্পিয়ন। ভারতীয়দের কাছেও তিনি একজন বীর।

‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে, তার অনুপ্রেরণায় দুই দেশের সম্পর্কের শিকড় আজ অনেক গভীরে। তার নীতির পথ ধরেই গত কয়েক দশকে আমাদের দুই দেশের অংশীদারিত্ব যৌথ উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির এক মজবুত ভিত্তিতে পৌঁছেছে।’

জাতীয়

রাজশাহীর কাটাখালীতে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে আগুন ধরে ১৭ জন নিহত হয়েছেন; তাছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

নিহতদের মধ্যে দুই পরিবারের পাঁচজন করে আর একটি পরিবারের তিনজন রয়েছেন।

রাজশাহী সিটি পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, কাটাখালী থানার সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে শুক্রবার বেলা ২টার দিকে তারা হতাহত হন।

নিহত ১৪ জন হলেন- রংপুরের পীরগঞ্জ থানার রাজারামপুর গ্রামের সালাহউদ্দিন, তার স্ত্রী কামরুন্নাহার, কামরুন্নাহারের বোন সামসুন্নাহার, তাদের সন্তান সাজিদ ও সাবা, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার তাজুল ইসলাম ভুট্টু, স্ত্রী মুক্তা, সন্তান ইয়ামিন, দাঁড়িকাপাড়া গ্রামের মোখলেসুর, বড় মজিদপুর গ্রামের ফুল মিয়া, স্ত্রী নাজমা, তাদের সন্তান সুমাইয়া, সাদিয়া ও চালক ফয়সাল।

অন্য তিনজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

পুলিশসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। আর মাইক্রোবাসটি রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিল। পথে বাস ও মাইক্রোসাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসে ১১ যাত্রী পুড়ে মারা যায়। আহত আট যাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ছয়জন অল্প সময়ের মধ্যে মারা যান।
অন্য দুইজনকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান তারা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী পুড়ে মারা যায়। আহত আটজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে আরও ছয় যাত্রী মারা যায়।

একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বাঁশভর্তি একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও এক কিশোর সাইকেল চালিয়ে শহরের দিকে যাচ্ছে। একটি দ্রুতগতির মাইক্রোবাসও যাচ্ছে শহরের দিকে। আর বিপরীত দিক থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাস আসছে।
পুলিশ কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস বলেন, মাইক্রোবাস ওই বাঁশের ভ্যানটিকে অতিক্রম করার সময় বাসটি ঢুকে পড়ে। এতে বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে আগে থেকেই একটি লেগুনা দাঁড়িয়ে ছিল। লেগুনার সঙ্গে বাস বা মাইক্রোরবাসের সংঘর্ষ হয়নি।

জাতীয়

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৭৩৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৩ জনের।

দেশে দৈনিক শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে ৩৭ শ পেরিয়ে গেছে, যা প্রায় নয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

এর আগে গতবছরের ২ জুলাই এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন মোট ৪ হাজার ১৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। মহামারী শুরুর পর থেকে সেটাই এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার বেড়ে ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ হয়েছে, যা ৫ ডিসেম্বরের পর সবচেয়ে বেশি।

নতুন শনাক্ত ৩ হাজার ৭৩৭ জনকে নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৩২ জনে। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৩৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৮ হাজার ৮৩০ জনের মৃত্যু হল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৫৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯৫১ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পর গত ৭ মার্চ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মার্চ তা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১২ কোটি ৫৫ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭ লাখ ৫৬ হাজার।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৪১তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২২৪টি ল্যাবে ২৭ হাজার ২৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ লাখ ৪২ হাজার ৩০টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ২২১টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৯টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ আর নারী ১২ জন। তাদের ১ জন বাড়িতে বাকী সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ১৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর,৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৮৩০ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৬৭১ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ১৫৯ জন নারী।

যারা মারা গেছে তাদের ৪ হাজার ৮৩২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ১৯৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৯৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪৩১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

মৃতদের মধ্যে ২৬ জন ঢাকা বিভাগের, ৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন রাজশাহী বিভাগের বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এর মধ্যে ৫ হাজার জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৬১৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৯০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৭১ জন খুলনা বিভাগের, ২৬৭ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১৬ জন সিলেট বিভাগের, ৩৭১ জন রংপুর বিভাগের এবং ২০০ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

জাতীয়

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩ জন ।

বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের মেকুরাই নয়াপাড়া গ্রামের আবুল কাসেম প্রধানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

এ ঘটনায় অহেদুল (৩৬), সোবহান মিয়া (৪০) ও বোরহান উদ্দিন প্রধান (৩৬) নামে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত বোরহান উদ্দিন প্রধান ওই গ্রামের আবুল কাসেম প্রধানের ছেলে, অহেদুল ইসলাম একই গ্রামের কবির মিয়া ছেলে ও মো. সোবহান মিয়ার বাড়িও একই গ্রামে।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মেহেদী হাসান ৩ জন নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এখানে সিআইডির টিম ও বিস্ফোরক বিষেশজ্ঞ দল না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

এলাকাবাসী জানান, ঘটনার কয়েক মিনিট আগে ৩ থেকে ৪ জন অপরিচিত ব্যক্তি আবুল কাসেম প্রধানের বাড়িতে আসে। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ির মধ্যে শোরগোল ও গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণে আবুল কাসেমের একটি ঘরের টিনের চাল উড়ে যায়। এসময় আহত অবস্থায় পালানোর সময় এলাকাবাসী অপরিচিত একজনকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছে।

এ ঘটনায় গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঘটনার কথা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে জানান, আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।

জাতীয়

গ্যাস সরবরাহ চলমান অবস্থা আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে সমাধান হবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় তিতাস।

এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে, তিতাস অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় ঢাকা শহরসহ সব এলাকায় প্রয়োজনীয় পরিমাণে ও চাপে গ্যাস সরবরাহ করতে না পারায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।

এছাড়া আজও রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকেরা, যার জন্য ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রাহকেরা। এর আগে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় সড়কে কাজ করার সময় তিতাসের ফিডার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এতে করে বিঘ্ন হয় গ্যাস সরবরাহে।

তিতাস সূত্র জানায়, আজও এই কাজ শেষ করা সম্ভব না। তবে বুধবার থেকে গ্রাহকেরা আবারও আগের মতো করে গ্যাস পাবে।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ৩৮০তম দিনে গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ২৫ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯১৫ জন।

গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, এদের মধ্যে পুরুষ ১৮ ও নারী ৭ জন। গতকালের চেয়ে আজ ৭ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮ জন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৮ হাজার ৭৬৩ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ। গতকাল মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।

আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ২৭ হাজার ৫০২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫৬৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ২৫ হাজার ৯৫৪ জনের নমুুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫৫৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। গতকালের চেয়ে আজ ১৩ জন বেশি শনাক্ত হয়েছেন।

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ লাখ ৮০ হাজার ৮০৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ৩৪ লাখ ১৪ হাজার ২৫৬টি হয়েছে সরকারি এবং ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৪৩০টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার একই ছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯১৫ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ১ হাজার ৭৫৪ জন। গতকালের চেয়ে আজ ১৬১ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ২৭ হাজার ৯০৯ জন।

আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ২৩ শতাংশ কম।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৬৮৩ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ২৬ হাজার ৩৫৭ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৩২৬টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ১৪০টি ও বেসরকারি ৬৯টিসহ ২১৯টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৫০২ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২৫ হাজার ৯৫৪ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৫৪৮টি নমুনা বেশি পরীক্ষা করা হয়েছে।

জাতীয়

মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে সারাদেশের এক হাজার ৫০০ মাদরাসায় ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ তৈরির নির্দেশনা দিয়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করে বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, দেশের মাদরাসাগুলোতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ইতোমধ্যে পাঠিয়েছে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু চেতনা ছড়িয়ে দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কর্নারের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। ফলে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কোনো শিক্ষার্থী জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকবে না।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ জন ও বাড়িতে দুইজন মারা যান। এ নিয়ে দেশে পর্যন্ত ৮ হাজার ৬৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নতুন করে এক হাজার ৮৯৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ হাজার ৯১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। দেশে রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক শূন্য চার শতাংশ।

শুক্রবার দুপুরে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬১৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ১৯ হাজার ১৪১ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বেশ কয়েক ধাপ বাড়ানোর পর আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।