তথ্য প্রযুক্তি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রেখে বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া কেনো কালো টাকা সাদা করেছিলেন। শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে করোনাসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই প্রশ্ন রাখেন।

আসন্ন বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকা নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কাছে আমার সবিনয়ে প্রশ্ন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে নিজে কালোটাকা সাদা করেছিলেন, তার কি জবাব আছে! আর প্রয়াত সাইফুর রহমান যিনি আব্দুস সাত্তার, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া- সবার আমলেই অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তিনিও কালোটাকা সাদা করেছিলেন, তারই বা কি জবাব! আগে নিজেদের কালোটাকা সাদা করার জবাব দিন, তারপর সরকারের সমালোচনা করুন নয়তো সমালোচনার নৈতিক অধিকারই থাকেনা, বিএনপিকে স্মরণ করিয়ে দেন মন্ত্রী।

অর্থনীতির স্বার্থে ইউরোপ, আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বহুদেশেই অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার এ সুযোগ রাখা হয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি যে এটিকে সবসময়ের জন্য পুরোপুরি সমর্থন করি তা নয়, কিন্তু আমাদের দ্রুত বর্ধনশীল, উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে এ সুযোগ রাখা হয়েছে অর্থনীতির স্বার্থেই।’

মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির বরং উচিত ছিলো, এই করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপি বেড়েছে এবং মানুষের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে, তার প্রশংসা করা। রাত বারোটার পর যারা টেলিভিশনের পর্দা ফাটান, সরকারকে নানা পরামর্শ দেন, তাদেরকেও এবিষয়ে অভিনন্দন দিতে দেখলাম না। দেশ ও মানুষের উন্নতি কি তাদের পছন্দ নয়!’

আওয়ামী লীগ দুর্যোগ দুর্বিপাকসহ সবসময় জনগণের পাশে আছে, থাকবে উল্লেখ করে ড. হাছান আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘অন্যদিকে, করোনার প্রথম দফায় বিএনপি মাঝেমধ্যে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ভান করে যে লোকদেখানো ফটোসেশন করতো, এখন তাও করেনা, তারা শুধু সরকারের সমালোচনাতেই ব্যস্ত।’

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দলের ত্রাণ উপকমিটির সদস্য ও সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মো: শাহজালাল, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো: আব্দুল মজিদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে করোনা ভাইরাসের উচ্চ সংক্রমিত জেলাগুলোতে অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি। এসময় সীমান্তবর্তী করোনার উচ্চ সংক্রমিত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, শেরপুর জেনারেল হাসপাতাল এবং ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমুহ সাতক্ষীরা জেনারেল হাসপাতাল, মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, উন্নতমানের সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়।

অর্থনীতি তথ্য প্রযুক্তি

মানসম্মত, সুশৃঙ্খল ও প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থায় টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) নিরূপণের জন্য অনুসরণীয় নিয়মাবলী সম্বলিত প্রজ্ঞাপন গতকাল (৪ এপ্রিল) জারি করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

২০ এপ্রিল থেকে কার্যকর এ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রযুক্তিগত সহায়তায় ও অংশীজনদের নিয়ে গড়া কমিটির মনিটরিংয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টিআরপি নির্ধারণ প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে।

১০ বিধির দুই পৃষ্ঠার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নির্দিষ্ট মেয়াদে দেশের টিভি চ্যানেলগুলোর টিআরপি নিরুপণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় দরখাস্ত আহবান করবে। দেশি ও দেশে নিবন্ধিত বিদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যাদের এদেশে অফিস রয়েছে, তারা মন্ত্রণালয়ের সচিবের অনুকূলে ফেরতযোগ্য ১০ লাখ টাকার পে অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটসহ আবেদন করতে পারবে।

মন্ত্রণালয় এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দিতে পারবে এবং তাদেরকে অনাপত্তিপত্র নেবার আগে চালানের মাধ্যমে ১-৩৩০১-০০০১-১৮৫৪ কোডে ৫ লাখ টাকা লাইসেন্স ফি জমা দিতে হবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট হারে ফি দিয়ে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে অংশীজনদের মনিটরিং কমিটির সন্তুষ্টি সাপেক্ষে পর্যাপ্ত স্থানে আধুনিক প্রযুক্তির ডিভাইস ব্যবহার করে টিআরপি নিরূপণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একাজের জন্য দেশে অনুমোদিত টিভি চ্যানেলগুলো থেকে নির্দিষ্ট হারে মাসিক সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে এবং মনিটরিং কমিটির অবগতিসাপেক্ষে টিআরপি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

তথ্য প্রযুক্তি

হাই কোর্টের নির্দেশনা পেলে বাংলাদেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানবাজারের বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, হাই কোর্টের নির্দেশ পেলে আল-জাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাই কোর্ট যদি কোনো আদেশ দেন এটিকে বন্ধ করার জন্য, সে ক্ষেত্রে হাই কোর্টের আদেশ আমাদের মানতে হবে।”

গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দা প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে আল-জাজিরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেনা সদর থেকে ওই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

এর জের ধরে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেছেন। সেখানে আল-জাজিরায় সম্প্রচারিত ‘অল দা প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ প্রতিবেদনটি ইউটিউব, ফেইসবুক ও টুইটার থেকে অপসারণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনটি গ্রহণযোগ্য কি না এবং আরজি অনুযায়ী আদালত একটি আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিতে পারে কি না, সে বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের মতামত জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল, আব্দুল মতিন খসরু, কামাল উল আলম, প্রবীর নিয়োগী ও শাহদীন মালিককে অ্যামিচি কিউরি হিসেবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে মতামত দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা চাইলে আল-জাজিরার সম্প্রচার আমাদের দেশে বন্ধ করতে পারতাম, অনেক দেশে বন্ধ করা হয়েছে এবং বন্ধ রয়েছে। এমনকি ভারতেও কিছু দিনের জন্য বন্ধ ছিল। এখনও ৬-৭টি দেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ আছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেহেতু গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, তাই আমরা সেই উদ্যোগ নিইনি।”

তিনি বলেন, “স্বাধীনতার যেমন দরকার, দায়িত্বশীলতারও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা মানে এই নয়, ভুল, মিথ্যা, পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অপরের স্বাধীনতা হরণকারী সংবাদ পরিবেশন করা। এটা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।

“আল-জাজিরার রিপোর্ট একটি মিথ্যা বানোয়াট, কিছু কাট পেস্ট করে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। এটি একটি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।”

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে বিএনপির ভূমিকা ‘গাধা জলঘোলা করে খাওয়ার মতো’ বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “বিএনপি নেতারা করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক অপপ্রচার চালিয়েছেন, তারা প্রথমে বলেছে সরকার ভ্যাকসিন সময়মতো আনতে পারবে না। যখন সময়মতো চলে আসল তখন বললেন, এটি নিলে কোনো কাজ হবে না। এই ভ্যাকসিন দিয়ে বিএনপি নেতাদেরকে মেরে ফেলতে চাচ্ছে- এ ধরনের কথাও বলেছেন তারা।

“নানা ধরনের প্রশ্ন তুলে, দায়িত্বহীন অনেক কথা বলে শেষ পর্যন্ত বিএনপির অনেক নেতা করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং নেওয়ার পক্ষে কথাও বলেছেন। সেজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। কথা আছে না ‘গাধা জল ঘোলা করে খায়’, করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির ভূমিকাও সে রকমই ঘটেছে।”

বিএনপি নেতাদের নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা চাই তারা ভ্যাকসিন নিয়ে সুস্থ ও সবল থাকুক। তারা বিরোধী দল, বিরোধিতার ভূমিকায় তারা আছেন, আমাদের বিরোধিতা করুক।”

আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের আর্জি: আইনজীবীদের মতামত শুনবে হাই কোর্ট

জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের ভূমিকা আসলে কী ছিল, সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে তিনি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার খেতাব বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তো হয়নি এখনও। এটা নিয়ে জামুকাতে আলোচনা হয়েছে মাত্র।”

বিএনপির বিক্ষোভ-সমাবেশ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিএনপিতো বিরোধী দল, তারা বিক্ষোভ করতেই পারে। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনসহ অন্যান্য যে সমস্ত ইস্যুতে তারা বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তা হাস্যকর।

“বাংলাদেশ কিংবা পার্শ্ববর্তী দেশে যে ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় সেই নিরিখে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটা ভালো নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে কিন্তু কার্যত মাঠে ছিল না। ভোটের দিন তাদের কাউকে দেখা যায়নি।”

তথ্যমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, “চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব কি চট্টগ্রাম এসেছিল? তিনি কি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন? একটা মিটিং করেছেন? অথচ তাদেরতো প্রচারণা চালাতে কোনো অসুবিধা ছিল না।

“নির্বাচন কমিশনের নানা বাধ্যবাধকতার কারণে আমাদের দলের এমপি এবং মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ছিল। মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের দলের নেতারা যারা প্রতিদিন নয়া পল্টনে কথা বলেন, তাদের তো কোনো সমস্যা ছিল না। তারা কিন্তু আসে নাই। অর্থাৎ তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, কিন্তু মাঠে ছিল না, এটি তাদের ব্যর্থতা এবং দলীয় দুর্বলতা। এ কারণেই এই শহরে তারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে।”

তথ্য প্রযুক্তি

বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মূল নেতা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

বৃহস্পতিবার রাতে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে যোগ দিয়ে এক ওয়েবিনারে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস বাংলাদেশ আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অন্যতম প্রধান নেতা হতে চলেছে। আমরা কেবল আশা করি না বরং আমরা পরিকল্পনা করি এবং আমরা বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যতম প্রধান নেতা হওয়ার বিষয়ে আকাঙ্খা পোষণ করছি।’

আইসিটি বিভাগ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০-এর অংশ হিসাবে ‘এমব্রেইসিং ডিজিটাল টেকনোলজিস ইন নিউ নর্ম’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারটি আয়োজন করে।

জয় বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এটি সম্পূর্ণ সম্ভব। এটি কেবল স্বপ্ন নয়, এটি সম্ভব। আমরা জানি না পরবর্তী বড় প্রযুক্তিগুলো কী কী হতে চলেছে। তবে, আমি প্রতিশ্রুতি দিতে পারি যে এর মধ্যে কয়েকটি প্রযুক্তি বাংলাদেশ থেকে আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সক্ষমতা আছে। আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি যে আমরা এটি করতে পারি। আমরা এখন ভবিষ্যতের প্রযুক্তির পরবর্তীর্ চ্যাপ্টার এবং ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি।’

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ অন্যান্য দেশ থেকে প্রযুক্তি আনার পরিবর্তে এখন পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে চায়। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উৎসাহের কেন্দ্র গড়ে তুলছি। আমরা কেবল অন্যের প্রযুক্তির উপর নয়, গবেষণার দিকে মনোনিবেশ করছি। আমরা পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তির অন্যতম নেতা হতে চাই। এ বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে সরকার আইসিটি খাতের উন্নয়নের জন্য কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই, ব্লকচেইন, ইন্টারনেট অফ থিংস, ন্যানো প্রযুক্তি, বায়োটকনোলজি, রোবোটিকস ও মাইক্রোপ্রসেসর এবং সফ্টওয়্যার ডিজাইনিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।’

সাইবার সুরক্ষা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন সাইবার সুরক্ষা আইন আছে। আমরা সাইবার সিকিউরিটি সেল এবং জাতীয় মনিটরিং সেল স্থাপন করছি। এই সব উদ্যোগ আমাদের দেশে অনলাইন সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।’

জয় বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন আইসিটি খাত অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বিভিন্ন দেশের আইসিটি বিষয়ক মন্ত্রীগণ এতে যোগ দেন। বাসস।

তথ্য প্রযুক্তি

আগামী জানুয়ারির প্রথম দিকেই বাংলাদেশ করোনার ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস মিলনায়তনে ১২ ডিসেম্বর হতে দেশব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাপেইন-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থা তৈরি হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক ভালো রয়েছে। যে কারণে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অতীতে সরকার কর্তৃক বেশ কয়েকবার দেশব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও বিগত কয়েক বছরে দেশে হাম ও রুবেলা রোগের প্রকোপ ও আক্রান্তের সংখ্যা দুটিই বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণকল্পে এবং ২০১৩ সাল নাগাদ দেশ থেকে হাম-রুবেলা দূরীকরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের নিমিত্তে সরকার আগামী ১২ ডিসেম্বর হতে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে এই হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন ২০২০ পরিচালনা করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের কারণে বাংলাদেশ গড় আয়ু বাড়ছে, ভ্যাকসিনের মাধ্যমে শিশু-মায়ের মৃত্যু ঝুঁকি কমে আসছে। দেশের ৯০ শতাংশ শিশুকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো উপাধি লাভ করেছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, এটা স্বাস্থ্যখাতের জন্য বড় অর্জন।

মন্ত্রী বলেন, এই ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশব্যাপী ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এক (০১) ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা হবে। চতুর্থবারের মতো এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্কুল ক্যাম্পেইন এবার থাকছে না। এবারের ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে কমিউনিটির ভিত্তিতে।

তিনি আরও জানান, এই ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য ৯ মাস থেকে ১০ বছরের শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি শিশুকে এক (০১) ডোজ টিকা প্রদান। চলমান করোনা মহামারি বিবেচনা করে নিরাপদ পরিবেশে জনগণ বা স্বাস্থ্যকর্মী কারও ক্ষতিসাধন না করে গুণগত মানসম্পন্ন একটি টিকাদান ক্যাম্পেইন পরিচালনা নিশ্চিতকরণ করা।

করোনা ভ্যাকসিন পেতে সরকারের সব প্রস্ততি রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সাড়ে চার কোটি মানুষদের টিকা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। টাকা না আসা পর্যন্ত মাস্কই একমাত্র ভরসা।

তথ্য প্রযুক্তি

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান, একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেও আধুনিক তুরস্কের পিতা কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব খাজা মিয়া ও মন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির অনেক মিল রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং কোভিড পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে তিনি আসবেন বলে সম্মতিও দিয়েছেন। এছাড়া, তুরস্কের টেলিভিশন টিআরটির ইংরেজি চ্যানেলে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান সম্প্রচার এবং আগামী বছর আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিনিময় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু ও ঢাকায় কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য স্থাপনের পাশাপাশি তুরস্কের বাণিজ্যিক রাজধানী ইস্তাম্বুলে এবং বাংলাদেশের বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রামেও অনুরূপ কিছু করা যায় কি-না, সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত তুরান বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, আমরা মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেব। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রতীক আর কামাল আতাতুর্ক হচ্ছেন তুরস্কের প্রতীক। এই দুই নেতার ভাস্কর্য দুই দেশে স্থাপন করব এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ রাষ্ট্রদূত বলেন, আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং ঢাকার কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য স্থাপিত হবে। শিগগিরই এই কাজ শুরু করা হবে।’