বিনোদন

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। রাজশাহী-১ আসনের প্রার্থী হতে সোমবার দুপুরে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনের কার্যালয় থেকে তার মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে প্রার্থী হিসেবে মাহিয়া মাহির নাম লেখা হয়েছে শারমিন আক্তার নিপা।

মনোনয়নপত্র তোলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নায়িকা নিজেই।

এর আগে নৌকার প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম তুলেছিলেন রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জন্য। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড তাকে বিবেচনা করেনি।

ফলে দলের মনোনয়ন না পেলেও এখন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন মাহি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। এ জন্য দুটি আসনের মনোনয়ন ফরম তুলেছিলাম। তবে দল আমাকে বিবেচনা করতে পারেনি। এ জন্য অবশ্য আমার মনে কোনো কষ্ট নেই। যারা বছরের পর বছর রাজনীতি করছেন, তারাও মনোনয়ন পাবার যোগ্য। দল যাকে যোগ্য মনে করেছে, তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে। এখানে আমার কোনো খারাপ লাগার বিষয় নেই। আমি স্বতন্ত্রভাবেই নির্বাচনে যাচ্ছি।’

মাহি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করাটা আমারও দায়িত্ব। প্রার্থী যত হবে, কেন্দ্রে ভোটার তত আসবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতেই আমি প্রার্থী হচ্ছি, যাতে বিশ্ববাসী দেখে। আশা করছি, এলাকার ভোটাররা আমার সঙ্গে থাকবেন।’

চিত্রনায়িকা মাহির গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায়। আর তার নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী রাজশাহীর তানোর উপজেলায়। নাচোল, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এবং তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-১ আসনের মধ্যে যে কোনো একটিতে তিনি নির্বাচন করতে কিছুদিন ধরে মাঠে রয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত রাজশাহী-১ আসনেই প্রার্থী হতে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। মাহি জানিয়েছেন, এই একটি আসন থেকেই তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন।

চিত্রনায়িকা মাহি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। ২০০৮ সাল থেকেই তিনি এ আসনের এমপি।

বিনোদন

কণ্ঠে ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজ, আমার মন্দ স্বভাব, আমার গায়ে যত দুঃখ সয়, শুয়া চান পাখি’ এ ধরনের মর্মস্পর্শী গান শ্রোতা ভক্তদের উপহার দিয়েছেন, আর যাই হোক তাকে একজীবনে ভোলা যাবে না। বলছি প্রয়াত গায়ক বারী সিদ্দিকীর কথা।

মৃত্যু তার নশ্বর দেহটাকে সবার কাছ থেকে আলাদা করে দিয়েছে। কিন্তু প্রিয় এই শিল্পীর প্রতি যে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা তা কোনোদিন শেষ হবার নয়। বারী সিদ্দিকী ছিলেন, থাকবেন অনন্তকাল সবার হৃদয়ে।

হিজলে তমালে ছাওয়া আদিঅন্তহীন হাওরের বুক থেকে গান নিয়ে বারী সিদ্দিকী ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সারা বাংলায়। জল ছলছল লিলুয়া বাতাসে ভেসে সেই অপরূপ গানে স্পর্শ করেছিলেন সমগ্র বাংলাভাষী মানুষদের মন।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এই গুণী শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৭ সালের আজকের এই দিনে চলে গেছেন অধরা জগতের দূর নীলিমায়। দেখতে দেখতে ছয় বছর হয়ে গেল বারী সিদ্দিকী নেই।

১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা সদরের কাইলাটি ইউনিয়নের ফচিকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বারী সিদ্দিকী। পরে জেলা সদরের কারলিতে ‘বাউল বাড়ি’ করেন তিনি।

বাবা মহরম আলী ও মা প্রয়াত জহুর-উন-নিসা। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে বারী সবার ছোট। বয়স যখন তিন-চার, সেই বয়সেই মায়ের কাছে তার প্রথম শোনা গান ছিল ‘শ্বাশুড়িরেও কইয়ো গিয়া’। সেই গানের সুরই বারীর মনে গেঁথে যায়। যদিও পরিবারে সেভাবে সংগীত চর্চা ছিল না। সৌখিন হিসেবে বলা যায়। বারীর বয়স যখন পাঁচ তখন বড় ভাইয়ের বাঁশিতে ফু দিয়ে অন্যরকম আগ্রহের সৃষ্টি হয় বাঁশি শেখার প্রতি।

বারী তার বাঁশি ও গান শেখার উৎসাহ পেয়েছেন মায়ের কাছ থেকে। ছোটবেলায় বাঁশি বাজাতেন মূলত বড় ভাইদের নকল করে। সেসময় নেত্রকোনায় বাঁশি শেখার সুযোগ ছিল না। তবে সাত-আট বছর বয়সে মা জহুর-উন-নিসার কাছে গান শেখা শুরু করেন।

মায়ের কাছ থেকে জীবনে তিনি প্রথম যে গানটির সুর বাঁশিতে তুলে নিয়েছিলেন সেই সুরটিই তিনি পরবর্তীতে হুমায়ূন আহমেদর ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে ব্যবহার করেন। সেটি ছিল শ্যাম বিচ্ছেদের একটি সুর; ‘আস্ট আঙ্গুল বাঁশের বাঁশি/মধ্যে মধ্যে ছ্যাদা/ নাম ধরিয়া ডাকে বাঁশি/ কলংকিনী রাধা/’।

বারী সিদ্দিকী যখন হাইস্কুলে পড়তেন, তখন থেকেই তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সংগীত শেখা শুরু করেন। ওস্তাদ ছিলেন শ্রী গোপাল দত্ত। বড় দুই ভাই এবং রফিক মাহমুদ, বিপুল চৌধুরী, দুলাল দত্তনবীশ, হযরত আলীর কাছ থেকেও গানে সহযোগিতা পেয়েছেন। তখনই স্বপ্ন দেখেন গান গাইবেন, শিল্পী হবেন।

১৯৮০ সালের দিকে ঢাকায় শুদ্ধ সংগীত প্রসারের একটি অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় ওস্তাদ আমিনুর রহমানের সঙ্গে। তিনি পাইলট ছিলেন। ভারতবর্ষের বিখ্যাত বংশীবাদক ওস্তাদ পান্না লাল ঘোষের শিষ্য ছিলেন। আমিনুর রহমানের বাড়িতে থেকেই বাঁশিতে তালিম নিতে থাকেন দিনের পর দিন। সেখানে থেকেই ওস্তাদ তাগাল ব্রাদার্স, পণ্ডিত দেবেন্দ্র মুৎসুদ্দী, ওস্তাদ আয়েফ আলী খান মিনকারীর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন।

পণ্ডিত বিজি কারনাডের কাছেও বাঁশি শিখতে তিনি পুনেতে গিয়েছিলেন। এভাবে একসময় বারী শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বাংলাদেশ রেডিও-টেলিভিশনসহ সম্মিলিত একটি যন্ত্রসংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। এর পরপরই তিনি দক্ষিণ এশীয় সার্ক ফেস্টিভ্যালে যান বাঁশি বাজাতে। সেটি ছিল সরকারি সহযোগিতা।

এরপর ধীরে ধীরে আরও পরিচিত হয়ে উঠতে লাগলেন। বাঁশি বাজান উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে। হুমায়ূন আহমেদর এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তার বাসায় যান বাঁশি বাজাতে। সেখানে বাঁশি বাজানোর পাশাপাশি গানও করেন।

হুমায়ূন আহমেদ তাকে আরও গান গাইতে বলেন। গান শুনে মুগ্ধ হন হুমায়ূন। ১৯৯৫ সালে বিটিভির ‘রং-এর বারৈ’ অনুষ্ঠানে প্রথম গান করেন বারী সিদ্দিকী। এর পরপরই হুমায়ূন আহমেদ তাকে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে গান গাইতে বলেন।

চলচ্চিত্রের গানে আকাশ-ছোঁয়া জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরপরই বাজারে তার দু’টি একক অ্যালবাম আসে। একটি ‘দুঃখ রইলো মনে’ এবং অন্যটি ‘অপরাধী হইলেও আমি তোর’। সংবাদপত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিদ্দিকী বলেন, ‘হুমায়ূন স্যার আমার গাওয়ার পেছনে যথেষ্ট উৎসাহ দিয়েছিলেন। মূলত তার সাহস নিয়েই সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পেয়েছি। ’

দু’টি অ্যালবামই লুফে নেয় শ্রোতারা। সেসময় উকিল মুন্সীর লেখা গান শ্রোতাদের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পেরে বারী সিদ্দিকী দারুণ উচ্ছ্বাসে ভাসেন। তিনি সবসময়ই নিজেকে একজন বংশীবাদক হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। বংশীবাদক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি বাঁশি বাজিয়ে শ্রোতা-দর্শককে মুগ্ধ করেছেন।

১৯৯৯ সালে ফ্রান্সে ওয়ার্ল্ড ফ্লুট সম্মেলনে এই উপমহাদেশ থেকে তিনিই প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট অর্জন। একজন গায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার আগে বারী সিদ্দিকী বংশীবাদক হিসেবে বাঁশি বাজিয়েছেন দু’দশক ধরে। কিন্তু গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর দেশের বাইরে বংশীবাদক হিসেবে তার সফর কমে যায়। কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন।

১৯৮০ সালে বারী সিদ্দিকী পেশাগতভাবে বাঁশি বাজানো শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম বিটিভিতে ‘সৃজন’ অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজান। বারী সিদ্দিকী ‘মাটির পিঞ্জিরা’ নামের একটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন। পরে তিনি ফেরারি অমিতের নির্দেশনায় ‘পাগলা ঘোড়া’ নাটকেও অভিনয় করেন। তবে অভিনয় করতেন নিতান্তই অনুরোধে এবং শখের বশে।

বিনোদন

কোনো না কোনো কারণে বলিউডের বচ্চন পরিবার সর্বদাই শিরোনামে থাকে ৷ বেশ কিছুদিন ধরে চর্চা বেড়েই চলেছে ৷ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে নাকি দূরত্ব তৈরি হয়েছে বচ্চন পরিবারের৷ তা নিয়ে ক্রমশ জলঘোলা বাড়ছে ৷

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। যেখানে বাবা কৃষ্ণরাজ রাইয়ের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে দেখা গেছে তাকে। মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে বাবার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি পোস্ট করেছেন ঐশ্বরিয়া৷ এখানে দেখা যায়নি অভিষেক বচ্চনকে৷ খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

খবরে বলা হয়েছে- ইদানীং শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতেই বেশি সময় কাটাচ্ছেন ঐশ্বরিয়া। তবে সমস্যাটা ঠিক কী নিয়ে তা স্পষ্ট নয়। বচ্চন পরিবারের সমস্যা, কোনো জটিলতা কোনোদিনই সেভাবে প্রকাশ্যে আসতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রেও তাই সবাই চুপ। তবে আপাতত মা বৃন্দা রাইয়ের কাছেই রয়েছেন ঐশ্বরিয়া। সঙ্গে রয়েছে মেয়ে আরাধ্যাও।

ঐশ্বরিয়া মায়ের কাছে যান প্রয়াত বাবা কৃষ্ণরাজ রাইয়ের জন্মদিন পালন করতে। সেই উদযাপনেও কেবল ঐশ্বরিয়া ও কন্যা আরাধ্যাকেই দেখা গেছে। ছিলেন না অভিষেক। এরপর থেকেই মায়ের কাছেই রয়েছেন এই তারকা।

সম্প্রতি ৫০ বছরে পা দিয়েছেন ঐশ্বরিয়া। তবে তার জন্মদিনে বচ্চন পরিবারের কাউকেই শুভেচ্ছা জানতে দেখা যায়নি। শুধু শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন স্বামী অভিষেক বচ্চন।

এরপর অমিতাভ বচ্চনের ৮০তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে নায়িকা পারিবারিক ছবি থেকে শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতা বচ্চন নন্দাকে বাদ দিয়ে ছবি পোস্ট করেন। এমনকি আরাধ্যার ১৩তম জন্মদিনেও বচ্চন বাড়ির কাউকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যায়নি। ফলে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নানা জল্পনা ক্রমশ জটিলই হচ্ছে।

সম্প্রতি মণীশ মালহোত্রার দীপাবলির পার্টিতেও অভিষেককে ছাড়া একাই গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। যেখানে তার সঙ্গে দেখা যায় সাবেক প্রেমিক সালমানকেও; তবুও ছিলেন না স্বামী অভিষেক বচ্চন।

বিনোদন

সালমান খান অভিনীত যশরাজ ফিল্মসের ‘টাইগার ৩’ বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছে। অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটি মুক্তির প্রথম দুদিনে ১০০ কোটির বেশি আয় করার পর মঙ্গলবার আনুমানিক ৪৩ দশমিক ৫ কোটি রুপি আয় করেছে ভারতে।

বক্স অফিস রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে ‘টাইগার ৩’-এর মোট আয় এখন ১৪৮ কোটি রুপি। ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে, সালমানের এমন চলচ্চিত্রের মধ্যে এটি ১৭তম।

সেই সঙ্গে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী সপ্তাহ উপহার দিয়েছে সিনেমাটি। উদ্বোধনী সপ্তাহে এটিই সালমান খানের সর্বোচ্চ আয়। সেই সঙ্গে তিন দিনে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির আয় দাঁড়িয়েছে ২৪১ দশমিক ৮৫ কোটি রুপি।

মুক্তির দ্বিতীয় দিনে ‘টাইগার ৩’ ৫৮ কোটি রুপি আয় করে নেয়। তৃতীয় দিনে টাইগার ৩ হিন্দি-ভাষায় ৩৩ শতাংশ আসন দখলে রেখেছে। তবে তামিল এবং তেলুগু সংস্করণগুলোতে ২০ শতাংশের কম দখল ছিল।

‘টাইগার ৩’ দক্ষিণ ভারতীয় অঞ্চলে শাহরুখ খানের দুটি ব্লকবাস্টার ‘পাঠান’ এবং ‘জওয়ান’-এর মতো দর্শকপ্রিয়তা পাচ্ছে না। কিং খানের দুটি সিনেমাই বিশ্বব্যাপী হাজার কোটি রুপির আয় অতিক্রম করেছে।

তবে সালমান খান এখনো হাজার কোটির ক্লাবে নাম লেখাতে পারেননি। এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী তার সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র হলো ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’, যেটি বিশ্বব্যাপী ৯০০ কোটি রুপি আয় করে।

মণীশ শর্মা পরিচালিত ‘টাইগার ৩’-এ সালমান খানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও ইমরান হাশমি। সিনেমাটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো ‘পাঠান’ শাহরুখের উপস্থিতি।

বিনোদন

চলচ্চিত্র শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা গুণী শিল্পীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২২ সালের সিনেমা থেকে এ বছর ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩২টি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এর আগে গেল ৩১ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২০২২ সালে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২৭টি ক্যাটাগরিতে ৩২টি পুরস্কার ঘোষণা দেয়। এতে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে অভিনেতা খসরু (বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম খান খসরু) ও অভিনেত্রী রোজিনাকে (রওশন আর রোজিনা)।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার যুগ্মভাবে পেয়েছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও ‘পরাণ’। প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন সুচিন্ত্য চৌধুরী (চঞ্চল চৌধুরী)। ‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।

আর প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন জয়া আহসান ও রিকিতা নন্দিনী শিমু। যথাক্রমে ‘বিউটি সার্কাস’ ও ‘শিমু’ সিনেমার জন্য তারা এ পুরস্কার পেয়েছেন।

শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন। ‘শিমু’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি এ পুরস্কারটি পেয়েছেন। এছাড়া পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন খান, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন আফসানা করিম (আফসানা মিমি)। ‘পরাণ’ ও ‘পাপ-পুণ্য’র জন্য তারা এ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।

শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে এস. এম. কামরুল আহসানের ‘ঘরে ফেরা’। আর শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হয়েছে ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়ার ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’।

খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন সুভাশিষ ভৌমিক, ‘দেশান্তর’ সিনেমার জন্য। আর শ্রেষ্ঠ কৌতুক চরিত্রে পুরস্কার পেয়েছেন সাইফুল ইমাম (দিপু ইমাম), ‘অপারেশন সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রের জন্য।

যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী হয়েছে যথাক্রমে ‘রোহিঙ্গা’ ও ‘বীরত্ব’ সিনেমার জন্য বৃষ্টি আক্তার ও মুনতাহা এমিলিয়া। শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক মাহমুদুল ইসলাশ খান (রিপন খান), ‘পায়ের ছাপ’ চলচ্চিত্রের জন্য। শ্রেষ্ঠ গায়ক শুভাশীষ মজুমদার বাপ্পা (বাপ্পা মজুমদার)। ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এ ‘এ মন ভিজে যায়…’ গানের জন্য তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শ্রেষ্ঠ গায়িকা হয়েছেন আতিয়া আক্তার আনিসা। শ্রেষ্ঠ গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন ও শ্রেষ্ঠ সুরকার শওকত আলী ইমন।

এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছেন- শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার ফারজিনা আক্তার ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার যুগ্নভাবে ফরিদুর রেজা সাগর ‘দামাল’ ও খোরশেদ আলম খসরু ‘গলুই’, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার মুহাম্মদ আবদুল কাইউম ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা এস এ হক অলীক ‘গলুই’, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক আসাদুজ্জামান মজনু ‘রোহিঙ্গা’, ‘শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক রিপন নাথ ‘হাওয়া’, শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান খোকন মোল্লা ‘অপারেশন সুন্দরবন’, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জায় তানসিনা শাওন ‘শিমু’, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক সুজন মাহমুদ ‘শিমু’, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক হিমাদ্রি বড়ুয়া ‘রোহিঙ্গা’।

পুরস্কার হিসেবে নির্বাচিত সবাইকে দেওয়া হয়েছে ১৮ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম ওজনের সোনা দিয়ে তৈরি একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও এককালীন সম্মানী ও সম্মাননাপত্র। আজীবন সম্মাননার জন্য ৩ লাখ, শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের জন্য ২ লাখ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দেওয়া হয় ১ লাখ টাকা করে।

আজকের অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্যসচিব মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

বিনোদন

দুবাইয়ে বেড়াতে গিয়েই হলো স্বপ্নপূরণ। পূজার ব্যস্ততা মেটার পরই ছুটি কাটাতে দুবাই গেছেন মিমি। সেখানে গিয়েই ঘটিয়ে ফেললেন একটি দুঃসাহসিক কাণ্ড। মাঝ আকাশে বিমান থেকে ঝাঁপ দিলেন টালিউড নায়িকা। অর্থাৎ স্কাইডাইভিং করলেন।

মিমি যে বেশ কয়েক দিন ধরেই দুবাইয়ে আছেন, ছুটি কাটাচ্ছেন সেটা তার ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলেই বেশ বোঝা যাচ্ছে। সেখানে ছুটি কাটানোর একাধিক ছবি তিনি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার শেয়ার করলেন তার স্বপ্নপূরণের ছবি। দুবাইয়ে বেড়াতে গিয়ে স্কাইডাইভ করলেন। এই অ্যাক্টিভিটির একাধিক ছবিও এদিন তিনি পোস্ট করলেন। সেখানে তাকে বিমান থেকে ঝাঁপ দিতে দেখা যাচ্ছে। মাঝ আকাশে বিভিন্ন অবস্থায় দেখা যায় তাকে।

এই ছবিগুলো পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘বাকেট লিস্টে টিক দিচ্ছি। এবং অবশ্যই একটা বড় ধন্যবাদ আমার ট্রেনার ম্যাক্সকে এটা সম্ভব করার জন্য।’

মিমি চক্রবর্তী এই ছবিগুলো পোস্ট করার পর অনেকেই তাতে কমেন্ট করেছেন। অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন লেখেন, ‘কেমন লাগল?’ এক ব্যক্তি লেখেন, ‘আপনার সাহসকে কুর্নিশ জানাই। দারুণ ব্যাপার।’ আরেকজন লেখেন, ‘ওরে বাবা, দারুণ ব্যাপার। স্বপ্নপূরণ করার জন্য শুভেচ্ছা।’

এবার পূজায় মুক্তি পেয়েছে মিমি চক্রবর্তী অভিনীত রক্তবীজ। উইন্ডোজ প্রোডাকশন হাউজের প্রযোজনায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় পরিচালিত এই ছবিতে তার সঙ্গে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায়, অনসুয়া মজুমদারকে দেখা গেছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে মিমি চক্রবর্তীর প্রথম হিন্দি ছবি শাস্ত্রী ভার্সেস শাস্ত্রী। এটি পোস্ত ছবির হিন্দি রিমেক।

বিনোদন

জনপ্রিয় ঢালিউড অভিনেত্রী শাবনূর। এক সময় ঢাকাই সিনেমায় রাজত্ব করেছেন। কিন্তু বেশ কিছু বছর ধরে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন। মাঝে কয়েকবার আশ্বাস দিয়েও ফেরেননি। কিন্তু ইচ্ছা থাকার পরও কেন সিনেমায় ফিরতে সময় নিচ্ছেন শাবনূর- এ প্রশ্নই ঘুরছে অনেকের মনে।

সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শাবনূর। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সিনেমায় ফিরতে চাই। এমনকি ফেরার চেষ্টাও চলছে। তবে সিনেমায় ফিরতে হলে আমাকে ফিট হতে হবে। ওজন কমাতে হবে। আর একবার ওজন বেড়ে গেলে হঠাৎ করে তা কমানো সম্ভব নয়। এর জন্য সময় প্রয়োজন। তবে চলতি বছরই ফেরার ইচ্ছা আছে।’

তবে শুধু অভিনয় নয়, নির্মাণের প্রতিও আগ্রহী শাবনূর। এ প্রসঙ্গে নায়িকা বলেন, ‘এখন বাংলা সিনেমার একটা ভালো সময় যাচ্ছে। এখন অনেকেই নির্মাণে ফিরবে। পরিচালনার ইচ্ছা আমারও অনেকদিনের। শুধু একটু গুছিয়ে নিতে যে সময়টুকু লাগে, সেটাই নিচ্ছি।’

বিনোদন

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) এই অভিনেত্রী মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম।

অভিনেত্রীর মরদেহ রাজধানীর উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, হুমায়রা হিমু আত্মহত্যা করেছেন। তবে আহসান হাবিব নাসিম বলেন, হিমুকে উত্তররার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হিমুর মোবাইল ফোনসহ নিখোঁজ রয়েছেন তার প্রেমিক।

যোগ করে নাসিম আরও বলেন, আত্মহত্যা নাকি হত্যা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিকেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার ছোট বোন মিহির ও প্রেমিক। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত্যু ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক পুলিশ কল করলে তার প্রেমিক হিমুর ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।

হুমায়রা হিমু মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন। ২০০৬ সালে টেলিভিশন নাটক ‘ছায়াবীথি’-তে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামে একটি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। তারপর ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’সহ অনেক জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

ছোট পর্দার পাশাপাশি হিমু নাম লিখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমার মাধ্যমে এই ভুবনে তার অভিষেক হয়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ চলচ্চিত্রে ‘অরু’ চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়ান তিনি।

বিনোদন

সম্প্রতি ‘কফি উইথ করণ’ ৮ নম্বর সিজনের প্রথম পর্বের অতিথি হয়ে এসেছেন রণবীর সিং, সঙ্গে ছিলেন দীপিকাও। সেই শোতে দেওয়া রণবীরের একটি মন্তব্য ঘিরে নেটপাড়ায় চলছে এখন শোরগোল।

রণবীর-দীপিকা এমনিতেই বলিউডের অন্যতম চর্চিত এবং পছন্দের জুটি। ফলে পান থেকে চুন খসলেই তাদের নিয়ে চর্চার অন্ত থাকে না। তার মধ্যে যদি নতুন কিছু চর্চার বিষয় নেটিজেনরা খুঁজে পান তাহলে তো কথাই নেই! বিয়ের পর এই প্রথমবার জুটি বেঁধে কোনও রিয়েলিটি শোতে এলেন দীপিকা-রণবীর।

সেখানে যেমন এই তারকা জুটি তাদের বিয়ের ভিডিও পাঁচ বছর পর প্রকাশ্যে আনেন, তেমনই জানান তাদের সম্পর্কের নানা অজানা কথাও। এদিন রণবীর তাদের প্রথম দেখার কথাও বলেন।
রণবীর সিং জানান, তিনি দীপিকা পাড়ুকোনের নাম সাজেস্ট করেছিলেন সঞ্জয় লীলা বানশালির ছবি ‘গালিয়ো কী রাসলীলা রাম লীলা’ ছবির জন্য।

এর আগেই তিনি অভিনেত্রীকে ককটেলে দেখেছিলেন, সেটা দেখেই তিনি এই ছবির জন্য দীপিকার নাম সাজেস্ট করেন। তারপর আরও জানান বানশালির বাড়িতে তার ও দীপিকার প্রথম আলাপ কেমন ছিল।

রণবীর বলেন, ‘আমি এমন একটা জায়গায় বসেছিলাম সেখানে একটা বড় কাঠের দরজা ছিল। আর যেহেতু বাড়িটা সমুদ্রের পাশেই, তাই প্রচুর বাতাস আসছিল। তখন তার মধ্যেই সাদা চুড়িদার পরা দেখতে পাই দীপিকাকে। ঠিক যেন দেবী।’

দীপিকাকে নিয়ে রণবীরের ঠিক এই মন্তব্য ধরেই নেটাগরিকরা শুরু করে দিলো তোলপাড়। টেনে আনলো রণবীরের পুরনো ফাইল থেকে আনুশকা শর্মাকে।

কারণ, রণবীর এই একই কথা ‘কফি উইথ করণ’র পুরনো সিজনে এসেও বলেছিলেন। তবে সেটা দীপিকাকে নিয়ে নয়, অনুশকাকে নিয়ে! তাদের ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ ছবির সাফল্যের পর করণের অনুষ্ঠানে এসে তিনি এই কথা বলেছিলেন।

সম্প্রতি সেই পুরনো ভিডিও খুঁজে বের করেছেন নেটিজেনরা। বলছেন দুটো অভিজ্ঞতাই কি তবে এক ছিল রণবীরের? নাকি অনুশকাকে গুলিয়ে ফেলেছেন দীপিকার সঙ্গে! রণবীর-দীপিকা বা আনুশকার তরফে এর জবাব অবশ্য মেলেনি এখননো।

বিনোদন

সাফল্যের ধারা ধরে রেখেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। ২ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল জয়া আহসান অভিনীত সিনেমা ‘অর্ধাঙ্গিনী’। কৌশিক গাঙ্গুলি নির্মিত ছবিটি কয়েক মাস ধরে প্রেক্ষাগৃহে চলেছিল। চলতি বছরের অন্যতম সফল সিনেমা হিসেবে সুপারহিট। সেই রেশ কাটতে না কাটতে আবার জয়ার সাফল্য ধরা দিল ‘দশম অবতার’-এ।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত ১৯ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে চারটি নতুন ছবি। এগুলো হলো- সৃজিত মুখার্জি নির্মিত ‘দশম অবতার’, অরুণ রায়ের ‘বাঘা যতীন’, শিবপ্রসাদ-নন্দিতা রায় পরিচালিত ‘রক্তবীজ’ ও অরিন্দম শীলের ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’।

এর মধ্যে ‘দশম অবতার’-এ মূল নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। আর এ ছবিটিই রয়েছে দর্শক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে, যা ব্যবসা সফল একটি সিনেমা। খবর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুক্তির প্রথম তিন দিনে ‘দশম অবতার’ সিনেমার বক্স অফিস কালেকশন ছাড়িয়েছে ২ কোটি রুপি; যা টালিউডের এ সময়ে নিঃসন্দেহে বড় অঙ্ক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রোববার (২২ অক্টোবর) অষ্টমীর দিন ছবিটির ১৫ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে ‘বাঘা যতীন’ ছবির বিক্রীত টিকিটের সংখ্যা ১১ হাজার আর সাড়ে ৯ হাজারের মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে ‘রক্তবীজ’ ছবির।

দশম অবতারকে এতো ভালোবাসা দেওয়ার জন্য দর্শকদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানান অভিনেত্রী জয়া আহসান।

এদিকে ‘রক্তবীজ’ ছবিতে আছেন ভিক্টর ব্যানার্জি, আবির চ্যাটার্জি ও মিমি চক্রবর্তী। ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’র মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন কোয়েল মল্লিক। আর ‘বাঘা যতীন’র নাম ভূমিকায় দেব, নায়িকা নবাগতা সৃজা।

‘দশম অবতার’ হলো সৃজিত মুখার্জির নন্দিত সিনেমা ‘বাইশে শ্রাবণ’ ও ‘ভিঞ্চিদা’র নতুন কিস্তি। এর মাধ্যমে তিনি কপ-ইউনিভার্স সৃষ্টি করলেন, যেটা বাংলা ছবিতে প্রথম। এ সিনেমায় জয়া আহসান ছাড়াও অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও যিশু সেনগুপ্ত।

এটি মুক্তির আগেই অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছিল বলে জানায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ। এছাড়া অধিকাংশ রিভিউতে ছবিটি ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে। যার প্রভাব দেখা যাচ্ছে বক্স অফিসের আয়ে।