বিনোদন

২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল দীর্ঘদিনের প্রেমিক রাজিব হাসানের সঙ্গে বাগদান হয়েছিল ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভার। ওই বছরেরই ১৯ আগস্ট শুটিং সেট থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বকে।

তাদের বিয়ের পর রাজিবের সঙ্গে প্রভার ব্যক্তিগত মুহূর্তের কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। রাজিবের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে অপূর্বের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ হয় প্রভার।

এরপর দীর্ঘদিন পর্দার আড়ালে চলে যান তিনি। রাজিবের সঙ্গে আসলে কী ঘটেছিল তা নিয়ে এতদিন কোনো কথা না বললেও এবার মুখ খুললেন প্রভা। নিজের ফেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বিষয়গুলো কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন তিনি।

প্রভা লিখেছেন- ‘আমি কোনো প্রতারণা করি নাই! আমি চুপ করে থাকি বলে এই না যে, আপনারা আমাকে নিয়ে যা খুশি তাই বানিয়ে বলবেন। আমার শুধু মনে হচ্ছিল আপনাদের কাছে প্রমাণ করে কি লাভ; ওপরে যিনি আছেন, যার কাছে যাব, যিনি বিচারকারী তিনি জানলেই তো হয়।

‘বিয়ের আগেই সম্পর্ক করে যে গুনাহ আমি করেছি সেই গুনাহর জন্য জনতার কাছে আমি প্রতিনিয়ত মাফ চাচ্ছি মাফ চাইব! কিন্তু যতদিন বেঁচে থাকব আপনাদের কাছ থেকে অনেক সোয়াব কামাবো! কারণ আপনারা না জেনে আমাকে গালি দেন। না বুঝে আমাকে একতরফা প্রতারক বানিয়ে দিয়েছেন।’

তিনি লেখেন- ‘শোনেন….. প্রথমত আমি রাজিবকে সব জানিয়ে বিয়ের কথা শুরু হয়। কারণ বিয়ের নয় দশ মাস আমার সঙ্গে রাজিবের ব্রেকআপ থাকে, আমাদের সেই আট বছরের সম্পর্কের অলমোস্ট ৫-৬ বছরই ব্রেকআপ থাকতো। রাজিব আমাকে কখনই সম্পর্ক থেকে বের হতে দিত না। এটা ওর সাইকোলজিকাল সমস্যা ছিল। ব্রোকেন ফ্যামিলির ছেলে ও! কারণ ওর বাবা ওর মাকে ছেড়ে খুব ছোটবেলায় অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছিল। তাই হয়ত ওর মনের মধ্যে ওই জেদ ছিল যে, ওকে ছেড়ে কেউ যেতে পারবে না! আর তাই এই আমাকে বিভিন্নভাবে কনভেন্স করে পার্সোনাল কিছু মুহূর্তের চিত্র ধারণ করে রাখে। যাই হোক সেটা যদি আপনারা সাইবার ক্রাইমের বিভিন্ন গল্প পড়ে থাকেন যে, কেমন করে ছেলেরা মেয়েদেরকে কনভেন্স করে, তাহলে আরও ক্লিয়ারলি জানতে পারবেন।’

‘আমি রাজিবকে অনেকবার ছেড়ে যেতে চেয়েছি। আমাদের ব্রেকআপ হয়েছে, ব্রেকআপের পরে আমার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছে, সেই বিয়ে আমি করিনি। রাজিব পড়াশোনা করত না। আমি তাকে চিনি যখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। কিন্তু আমি যখন অনার্স থার্ড সেমিস্টার, তখন পর্যন্ত সে অনার্স ফার্স্ট সেমিস্টার। কেন জানেন, কারণ সে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতো! কিন্তু বারবার রেজাল্ট খারাপ করতো, ইউনিভার্সিটি তাকে বের করে দিত আবার অন্য ইউনিভার্সিটিতে টাকা দিয়ে ভর্তি হতো।

‘ও আরেকটা কথা রাজিব কিন্তু কোনো ইনকাম করত না। রাজিবের বাবার টাকা ছিল। কিন্তু রাজিবের সঙ্গে আমার আরেকটা সমস্যা ছিল সেটা হলো যে, রাজিব কোনো কিছু ইনকাম করতে চাইত না! ওর কথা, আমার বাবার এত আছে আমার কেন ইনকাম করতে হবে। এই জিনিস নিয়ে আমাদের প্রচণ্ড দ্বন্দ্ব হতো। সবচেয়ে বেশি হতো পড়াশোনা নিয়ে। এই সমস্ত জিনিস নিয়ে আমাদের প্রচুর ব্রেকআপ হয়েছে!’

তিনি লিখেছেন- ‘যাইহোক ওই ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ের কথা হয়েছিল, আংটি বদল হয়েছিল কিন্তু সে আংটি বদলের আট মাস আগে আমার কোনো যোগাযোগ ছিল না। ওই যে বললাম, আমাদের আট বছরের সম্পর্কের ব্রেকআপই থাকত অনেক। তো বিয়ের কথা শুরু হওয়ার সময় আমি রাজিবকে জানিয়ে দেই বিগত এতগুলো মাস আমার কার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, আমি সেই ছেলে, তার সঙ্গে আমার ভালোলাগা আছে; কিন্তু এটা হবার না, হবে না বুঝেই গেছি- এরকম কথাগুলো আমি তার সঙ্গে ক্লিয়ার করে নিয়েছিলাম। আমার তখন বয়স ছিল ২২, মাথায় বুদ্ধি ছিল না। থাকলে তো সবার আগে রাজিবের সঙ্গে প্রেম করতাম না।’

প্রভা লিখেছেন- ‘বুদ্ধি যদিও আমার এখনো হয় নাই। যাইহোক আমার কাছে মনে হয়েছে, বিয়ে করার আগে তাকে সব কিছু জানিয়ে দেই, যে কার সঙ্গে মাঝখানে সম্পর্কে হতে গিয়েও হয় নাই! (যার কথা বলছি ওনার সঙ্গে আমার পরবর্তীতে বিয়ে হয়েছিল পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলাম তাকে) এতে হিতে বিপরীত হয়েছে।

‘আমাদের এঙ্গেজমেন্টের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই রাজিবের সঙ্গে আমার কথা বলা বন্ধ থাকত। ঝগড়া হতো বিভিন্ন কারণে। প্রচণ্ড মিথ্যা কথা বলতো। সব কিছু মিলায়া আমার মন যখন কোনোভাবেই মান ছিল না ওকে বিয়ে করতে, আমি বারবার ওকে অনুরোধ করছিলাম যে, চলো বিয়েটা না করি। আমাদের এই বিয়ে ছয় মাসও টিকবে না! একথা আমি আমার বাসায়ও বলেছিলাম। কিন্তু আমার তো অনেক বয়স হয়ে গিয়েছিল। ২২/২৩ বছরের একটা মেয়ে বিয়ে তো করতেই হবে বলেন! যাইহোক এ সমস্ত কথা আর নাই বলি!’

তিনি লিখেছেন, ‘পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার ঘটনাটা খুব না জানা আপনাদের। যেদিন এই ঘটনাটা ঘটে তার বেশ কিছুদিন ধরে আমার আর রাজিবের খুব ঝগড়া, খুব বিশাল ঝগড়া হতো। রাজিব বুঝে গেছিল যে আমার মনটা নাই। বুঝে কেন যাবে, আমি তাকে ভেঙে নিজেই বলছি যে, শুধু আংটি পরানো হয়েছে, কিন্তু আর কিছু হয় নাই। চলো এটা এখানেই শেষ করি। কিন্তু সে তো নাছোড়বান্দা, তার ওপর সাইকোলজিক্যাল সমস্যা ছিল তার। মাথায় ছিল তার বাবা তার মাকে ছেড়ে চলে গেছিলো, তাকে ছেড়ে কেউ যেতে পারবে না, তার কাছে তো প্রমাণ আছে!

‘প্রমাণ এর কথায় মনে পড়ল, একবার খুব কায়দা করে তাকে জানতে চাইছিলাম যে, কই আছে ওগুলা, চলো তুমি আর আমি মিলে একটু দেখি। তখন সে আমাকে বলছিল, তুমি কি পাগল; তুমি আমার বউ হবা এইজন্য আমি সব কিছু ডিলিট করে দিছি। আসলে তো ডিলিট করে নাই। এখন বুঝতে চান, মানসিকভাবে মানুষটা কি পরিমাণ ক্রিমিনাল মাইন্ডেড!? আসলে ওকে সম্পূর্ণভাবে দোষ দেয়া যায় না! এমন একটা পরিবেশে, যে পরিবেশে বাবা ছিল না, কষ্টে সারাটা জীবন বয়ে বেড়াচ্ছে, ঠিকমত সোশ্যালি মানুষের সাথে মিশতে পারে নাই এরকম একটা মানুষ আস্তে আস্তে ক্রিমিনালই পরিণত হবেন।’

প্রভা লিখেছেন, ‘তারপর সে আমার বাসায় এ ব্যাপারে বিচার বসায়। আমার বাবা-মা আমাকে বকাঝকা করে সত্যি কথা বলি। আমি বাবা-মাকে কষ্ট দিয়েছি, আমি আমার বাবা মাকে না বলে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে আরেকজনের হাত ধরছিলাম… কিন্তু যার হাত ধরতে বলছিল ওই সময়ে সেই মানুষটাও তো ভুলই ছিল। যদিও সেই মানুষটার আমাকে পছন্দ ছিল, আসলে আমি নিরুপায় পছন্দ করেছিলাম। বাসায় এত বিয়ের চাপ দেয়া হয়েছিল যে, আমি নিরুপায় হয়ে ওকে বলেছিলাম ঠিক আছে তুমি আমাকে বিয়ে করো, কিন্তু আমি তো সব জানিয়ে বিয়েটা করতে গিয়েছিলাম। আমি কাকে ভালোবেসে ছিলাম, আমাদের ব্রেকআপের পরে সম্পর্ক তো হতেই পারে! তো মনের মধ্যে বিষ রেখে দিয়েছিল কেন যে ওকে ভালো লাগে না, এই ব্যাপারটা করত না সম্মতি দিতে হবে না, তুমি অন্য জায়গায় সম্পর্কে জড়িয়েছিলে, আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না, তুমি তো মনের মধ্যে জেদ, সে যে আমারই হবে! কারণ আমার মাকে রেখে আমার বাবা অন্য মহিলাকে বিয়ে করেছিল। যাই হোক!

‘সেদিন বাসায় এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, আমার কাছে মনে হয়েছিল যে, এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার এই একটাই উপায় আর তাছাড়া আমাকে ফোন করে বলা হয়েছিল- তুমি বাসা থেকে বের হও, আব্বু-আম্মুর সঙ্গে আমার কথা বল। তুমি বের হলে আমাদের বিয়ে। ওহ আমার প্রাক্তন শ্বশুর-শাশুড়ি প্রাক্তন স্বামীর কলিগ থাকা অবস্থাতেই আমাকে অনেক আদর করতেন। বিশেষ করে আমার শ্বশুর, তাই আমার বরং ভরসাই লাগছিল। ভেবেছিলাম বিয়ের পরে কমাস পর বাবা-মা মেনে নেবে! তখন তো আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে! যাই হোক বের হয়ে গেলাম বিয়ে হলো, সকাল সকাল ফোন দিয়ে রাজীবকে জানিয়ে দিলাম আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে, ও যেন আনন্দ থাকে, দুই দিনের মধ্যে সেই ডিলিট করা (আসলেতো মিথ্যা) ডকুমেন্টগুলো সে পাবলিক করে।’

প্রভা লিখেছেন, ‘আর যেহেতু ধর্মীয়ভাবে অন্যায় করেছি, সোশ্যালি কোনো অন্যায় করিনি তাই ধর্মের নিয়মে বলছি, আমার এই ঘটনার পর আমার প্রাক্তন স্বামীর উচিত ছিল আমাকে আরও বেশি সাপোর্ট করা। মারাও যেতে পারতাম। শুধু আত্মহত্যা করলে কোনোভাবেই সৃষ্টিকর্তার কাছে যেতে পারবো না, সেই ভয়ে আর আল্লাহর সাথে দেখা করার লোভে আত্মহত্যা করি নাই। তার জীবন সুন্দর হয়েছে।’

তিনি লেখেন, ‘যাইহোক ঘটনার দিনের গল্প বলি, আমার সাথে বহুদিন ধরে ঝগড়া-বিবাদ কথা বন্ধ মান-অভিমান চলছে আমার প্রথম কথা হয়েছিল চলো বিয়েটা না করেই বিয়েটা টিকবে না, তাই বুঝতে পারত আমিও বলতাম। তারপর উত্তর দেব তাকে কেউ ছাড়তে পারবে না এমনি বসে বন্ধুদের সাথে সিলেট বেড়াতে যাচ্ছিল যাবার আগে আমার একটা পুরনো ফোন সে আমার বাসা থেকে নিয়েছিল সেখানে আমার প্রাক্তন স্বামীর সাথে আমার একটা কনভারসেশন আছে।’

‘তুমি কই তোমাকে মিস করছি, মনে পড়ে তোমার কথা খুব, আমিও লিখেছি আমিও তোমাকে মিস করি, আমার তোমার কথা অনেক মনে পড়ে! আমি আমার প্রাক্তন স্বামীকে আসলে অনেক ভালোবেসেছিলাম। তো এটা পড়ে রাজিব আমাকে অনেক অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বলে তার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই এবং এটা ফাইনাল। ও আরেকটা কথা রাজিবের সাথে আমার সম্পর্ক থাকাকালীন অবস্থায় যতবার ঝগড়া লেগেছে ততবারই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করত এবং আমাকে নিয়ে অনেক মিথ্যা বানিয়ে বানিয়ে বলতো এবং পরবর্তীতে আবার আমার সাথে সে ঠিক করতে চাইত, ও ক্রিমিনাল কিন্তু আমি অনেক বড় ছাগল ছিলাম, যে একটা মানুষ যখন সম্পর্ক টিকেনা সম্পর্ক টানাপড়েন শুরু হয় তখন আমার ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলে, তাহলে সেই মানুষটার কাছে কেন বারবার আমি ছুটে যাই, ভয় ছিল বিশ্বাস করেন, ভালোবাসা অনেক আগেই মরে গিয়েছিল, ভয় ছিল ক্ষতির ভয়, যেটা সত্যিতে পরিণত হয়।’

তিনি লেখেন, ‘আপনারা দয়া করে পত্রিকার কথা বিশ্বাস করবেন না। পত্রিকার লোকেদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো না। তাদের সঙ্গে এক জায়গায় বসলে বা খেলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকে। তারা খুব অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। তাদের পত্রিকা বিক্রির জন্য তারা নানান কথা বানিয়ে বানিয়ে লিখতে হয়। স্বচ্ছন্দ বোধ করছে।’

প্রভা লেখেন, ‘যাই হোক তবে আমি এতোটুকু বলতে পারি আমি কোনোদিন লিভ টুগেদারে ছিলাম না। যে বাসায় আমি থাকি মানে আমার বাবা-মায়ের বাসা, সেখানে আমাকে শুটিং ব্যতীত রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে ঢুকতে হয়।

‘একটা কথা, বেঁচে যেহেতু আছি, জীবনে চলার পথে ভালোবাসা আসতে পারে। আপনাদের চোখে তো আবার আমি বাজে মেয়ে, বাজে মেয়েটা বহুবার ফিজিক্যালি অ্যাবিউজড হয়েছে। কিন্তু কিছু বলতে পারি নাই। চাইছি সম্পর্ক টিকুক। আমি আবার কিছু বললে আপনারা তো বিশ্বাস করবেন না।’

দীর্ঘ এই আলাপের শেষের দিকে প্রভা লিখেন, ‘আত্মহত্যা করিনি বলে আপনারা আমাকে প্রতিনিয়ত ইন্সপায়ার করেন, মেরে ফেলতে চান, না জেনে না বুঝে আমাকে বিভিন্নভাবে খারাপ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান।’

২০০৫ সালের দিকে একটি সাবানের বিজ্ঞাপন দিয়ে বিনোদন প্রভা। এরপর নাটকের মাধ্যমে নিয়মিত হন ছোট পর্দায়।

বিনোদন

কিছুদিন থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে হঠাৎ করেই হাজির হচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ায় বর-কনে কিছুটা হলেও চমকিত হচ্ছেন। তবে বর-কনে অনেক উচ্ছ্বসিতও হচ্ছেন।

অন্যের বিয়ের অনুষ্ঠানে হঠাৎ হাজির হতে দেখা গেলেও অনেক অনুরাগীদের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে- কবে বিয়ে করবেন তিনি?

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নিজের বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন এই নায়িকা। সোজাসাপটা উত্তর দিয়েছেন- আমি খুব ভালো আছি। কেন আমার পায়ে বেড়ি পরাতে চাইছেন।

বিয়ের ব্যাপারে যে আপাতত কোনো ইচ্ছা নেই সে কথাও বললেন অভিনেত্রী- আমার তো কোনো ইচ্ছা নেই। তবে বলা যায় না, কখন কী হয়! আমি ভালো আছি। আপাতত বিয়ের ইচ্ছা নেই আমার।

প্রসঙ্গত, রাজধানীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে অভিনেত্রীর হাজির হওয়া মূলত একটি প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পেইনের অংশ। এর নাম দেওয়া হয়েছে ওয়েডিং ক্রাশ। প্রতিষ্ঠানের একটি পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন জয়া আহসান।

বিনোদন

নেতা-নেত্রীর ভূমিকায় অনেক অভিনয়শিল্পীকেই সিনেমায় দেখা গেছে। এবার সে তালিকায় যুক্ত হলেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী।

লোকাল’ নামে একটি সিনেমায় তাকে নেত্রীর ভূমিকায় দেখা যাবে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সাইফ চন্দন। বর্তমানে এ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছেন বুবলী। এতে তার নায়ক আদর আজাদ।

এ সিনেমা প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ‘এর গল্প দারুণ। রাজনৈতিক কিছু প্রেক্ষাপট উঠে আসে, তবে সেটা একেবারেই কাল্পনিক। আমি নেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করছি। আশা করি দর্শক ভালো একটি সিনেমা দেখতে পাবেন।’

নির্মাতা জানিয়েছেন, এ সিনেমার শুটিংয়ের কাজ প্রায় শেষ। তবে এটি কবে নাগাদ মুক্তি দেওয়া হবে সেটি নির্মাতা কিংবা নায়িকা কেউই নিশ্চিত করেননি।

বিনোদন

দেশ বরেণ্য সংগীত পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার জাহান নান্টু মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিসসহ একাধিক বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।

রোববার দিবাগত রাত ৩টায় রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

গণমাধ্যমকে নান্টুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে নাট্যপরিচালক সাগর জাহান।

সাগর জাহান বলেন, ‘আমার জীবনের সবকিছুর সঙ্গে মিশে আছেন বাবা। সবার কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন আমার আব্বাকে ওপারে শান্তিতে রাখেন। ’

তিনি আরও জানান, রোববার দিবাগত রাত ৩টায় বার্ধক্যজনিত কারণে বিআরবি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন তার বাবা আনোয়ার জাহান নান্টু। সোমবার বাদ জোহর মগবাজার বড় মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত।

বরেণ্য সংগীত পরিচালক আনোয়ার জাহান নান্টু চলচ্চিত্রে উপহার দিয়েছেন প্রায় দুইশ গান। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের জন্যও তিনি অনেক গান তৈরি করেছেন। ‘তুমি আমার মনের মাঝি আমার পরান পাখি’, ‘চোখের জলে আমি ভেসে চলেছি’-সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সংগীত পরিচালক আনোয়ার জাহান নান্টু।

বিনোদন

টালিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বুম্বাদা নামে পরিচিত জনপ্রিয় নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সেই বুম্বাদার বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একাধিক অভিযোগের সঙ্গে শ্রীলেখা বলেছিলেন— বুম্বাদাই সেই সময় ইন্ডাস্ট্রি চালাতেন, তার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তিনি নায়িকার চরিত্র পাননি। কারণ প্রসেনজিতের সঙ্গে তখন ঋতুপর্ণার প্রেম।

তবে সম্প্রতি জি২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নানান বিষয়ে কথা বলেছেন প্রসেনজিৎ। সেখানে উঠে এসেছে শ্রীলেখার অভিযোগের প্রসঙ্গও।

তিনি বলেন, ১৪ বছর যখন ঋতু আর আমি একসঙ্গে কাজ করিনি, তখন রচনা আমার সঙ্গে ৩৫টা ছবি করেছে। অর্পিতাও সুপারহিট ছবি দিয়েছে, পরে ও অবশ্য নিজের সিদ্ধান্তেই সরে যায়। এ ছাড়া ইন্দ্রানী হালদার আমার সঙ্গে ২৫টা ছবি করেছে। তারও আগে শতাব্দী-আমিও হিট জুটি ছিল।

তবে হ্যাঁ, প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটিকে মানুষ ভালোবাসা দিয়েছেন, মনে রেখেছেন। সেটি একটি ম্যাজিক। এর পর ১৪ বছর পর যখন আমরা ফিরলাম, তখনো প্রমাণ হয়েছে এই জুটিতে ম্যাজিক আছে। এটি বাদ দিলে বাকিদের সঙ্গেও কাজ করেছি। পরের দিকে আমার থেকে অনেক ছোট কোয়েল, স্বস্তিকা, পাওলি— সবার সঙ্গেই কাজ করেছি। আমার জীবনে কলকাতা বোম্বে মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন নায়িকা রয়েছেন।

বিনোদন

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কলকাতার সিনেমা নিয়ে আলোচনায় আছেন। ব্যস্ত আছেন নতুন কয়েকটি সিনেমার শুটিং নিয়ে। এরই মধ্যে সম্প্রতি তার অভিনীত ‘ভয়’ নামে কলকাতার একটি সিনেমা ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে। এ সিনেমা, বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

* প্রথমবার ওটিটিতে আপনার অভিনীত সিনেমা মুক্তি পেল। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

** এ সিনেমাটির শুটিং কয়েক বছর আগে করেছি। সিনেমাহলে মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়েছিল। পোস্ট প্রডাকশনের কাজও সে অনুযায়ী হয়। শেষতক সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজকের সিদ্ধান্তক্রমে ওটিটিতেই মুক্তি পেল। মুক্তির পর বেশ ভালোই সাড়া পাচ্ছি।

* এ সিনেমায় স্কুল শিক্ষিকার চরিত্রে অভিনয় করলেন। শুটিং অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

** অভিজ্ঞতা ভালো। শুটিংয়ের সময় কিছুটা পরিশ্রম করতে হয়েছে। আসলে এ সিনেমায় আমি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছেলেমেয়েদের শিক্ষিকা হিসাবে কাজ করি। প্রশিক্ষকও বলা চলে। সিনেমার নায়ক অঙ্কুশ একজন সাঁতারু শিক্ষক। তার বোন যে স্কুলে পড়ে সে স্কুলেই শিক্ষকতা করি আমি। তবে বাকি বিষয়গুলো দর্শক ‘ভয়’ সিনেমাটি দেখলে বুঝতে পারবেন। আশা করি সবার পছন্দ হবে।

* কলকাতায় আপনার সিনেমা মুক্তি পেল, কিন্তু আপনি ঢাকায়। কারণ কী?

** আসলে সিনেমাটি তো ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে, তাই প্রচারণার বিষয়টি এখন অনলাইনে সামলানো যাচ্ছে। তা ছাড়া এ মুহূর্তে আমার শিডিউলও ফাঁকা নেই। তবে ৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতা যাব। তখন অন্য কাজের ফাঁকে ‘ভয়’ সিনেমার প্রচারণাও করব।

* কলকাতায় কি কাজে যাচ্ছেন?

** ‘বিবাহ অভিযান’ সিনেমার দ্বিতীয় কিস্তির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এটির মিটিং আছে। একটি শোও আছে সেখানে, এতে অংশগ্রহণ করব। নতুন কিছু কাজের বিষয়েও কথা হচ্ছে। সেগুলো নিয়ে বসতে হবে। সব মিলিয়ে একাধিক কাজে কলকাতায় যাচ্ছি। ফিরব ৮ ফেব্রুয়ারি।

* নতুন সিনেমার খবর কী?

** কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে ‘ফুটবল ৭১’ নামে একটি সিনেমার শুটিং শুরু করার কথা রয়েছে। এ সিনেমাটি পরিচালনা করবেন অনম বিশ্বাস। ১৮ ফেব্রুয়ারি যাব ব্যাংককে। সেখানে আবার ‘বিবাহ অভিযান’ সিনেমার গানের শুটিং করব। একইসঙ্গে আমার নিজের নতুন গানের ভিডিওর শুটিংও করব।

* বাংলাদেশ ও ভারতে কাজ করছেন। দুই দেশে আপনার মূল্যায়নের বিষয়টি চোখে পড়ে কি?

** আসলে এমন প্রশ্ন অনেকেই করেন। বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় গিয়ে কাজ করছি, কোনো বৈষম্যের শিকার হয়েছি কী না, দু’দেশের মূল্যায়ন কেমন ইত্যাদি। আমি আসলে আমার কাজের দিকে ফোকাস দেই। কাজ করতে গিয়ে অন্য কিছু নিয়ে ভাবার সময় পাই না। এটা ঠিক কলকাতার মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসেন। তা না হলে তো কাজ করতে পারতাম না।

বিনোদন

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনির সংসারে শান্তি ফিরেছে। স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে এখন সুখের সংসার করছেন। অথচ কিছু দিন আগেও বিচ্ছেদের দোরগোড়ায় ছিলেন তারা।

সংসার ভাঙন নিয়ে নতুন সুর উঠলেও শেষ পর্যন্ত অভিমান ভুলে আবার এক হয়েছেন রাজ-পরী। এখন বেশ সুখেই আছেন বলে জানালেন।

শনিবার একটি পার্লার উদ্বোধনে গিয়ে রাজ বললেন, পরী অনেক দুষ্টু, আবার অনেক ভালোও। পরীমনিকে আমি অনেক ভালোবাসি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাজ বলেন, তারা এখন বেশ সুখে আছেন। হুটহাট মাথা গরম করে উভয়ই অনেক কিছু বলেছেন।

এর আগে বুধবার নিজের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’-এর প্রচারে বের হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বামী রাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন পরীমনি।

পরীমনি বলেন, রাজ হলো আমার জীবনের রাজা। আমাকে ও রানির মতোই রেখেছে। রাজ পুরো বাচ্চাদের মতো এসে ‘সরি’ বলে। ওর সবটাই ভালো, কোনটা যে খারাপ বলি। সে জন্যই তো সাত দিনের মাথায় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মানুষটা ভালো না হলে কি ওকে নিয়ে সংসার করার কথা ভাবি?

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমনি ও শরিফুল রাজ। তবে খবরটি প্রকাশ করেন ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি। একই দিন ঘোষণা করেন— সন্তান আসছে তাদের ঘরে। গত বছরে ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে সারেন রাজ-পরী।

বিনোদন সব নিউজ

সারোগেসির মাধ্যমে ২০২২ সালের শুরুতে মা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন বলিউড ও হলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তবে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেওয়া নিয়ে কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি তাকে।

সম্প্রতি ভোগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শোনা গেল অভিনেত্রীকে।

ভোগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা খোলাখুলি জানিয়েছেন কেন তিনি ও তার স্বামী নিক তাদের একমাত্র মেয়ে মালতী মেরিকে পৃথিবীতে আনতে সারোগেসির সাহায্য নিয়েছিলেন।

প্রিয়াঙ্কা জানান, ‘আমার কিছু শারীরিক জটিলতা ছিল’। তিনি আরো বলেন, এটা খুব প্রয়োজনীয় একটা পদক্ষেপ ছিল। আর আমি খুবই কৃতজ্ঞ যে আমি এমন একটা পজিশনে আছি যেখানে এটা করা সম্ভব হয়েছে।

নিজেদের সারোগেট সম্পর্কেও মুখ খোলেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, আমাদের সারোগেট খুব উদার ছিল। তিনি দয়ালু, সুন্দর এবং মজার। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে তিনি আমাদের জন্য এই মূল্যবান উপহারের যত্ন নিয়েছিলেন।

এই অভিনেত্রী আরো বলেন, আপনি আমাকে চেনেন না। আপনি জানেন না যে আমি কীসের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম। শুধুমাত্র যেহেতু আমি আমার বা আমার মেয়ের মেডিক্যাল হিস্ট্রি লোকের সামনে আনতে চাই না, তার মানে এই না সবার তা নিয়ে কথা বলার অধিকার রয়েছে।

সারোগেসি নিয়ে ওঠা বিতর্কে প্রতিক্রিয়া দিয়ে অভিনেত্রী আরো যোগ করেন, লোকেদের আমাকে নিয়ে বলা কথার জন্য আমি একটি কঠিন আড়াল তৈরি করেছি। কিন্তু তারপরও আমার মেয়েকে নিয়ে কথা ওঠা খুবই বেদনাদায়ক। ওকে এসব থেকে দূরে রাখুন। আমি জানি ওর ছোট্ট হাতগুলো ধরে থাকতে কেমন লেগেছিল যখন ওর হাতের শিরা খোঁজার চেষ্টা চলছিল। তাই সে অন্তত গসিপের অংশ হবে না।

নির্ধারিত সময়ের অন্তত ৩ মাস আগেই জন্ম হয়েছিল নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের। ৩ মাস ধরে তাকে রাখা হয়েছিল লস অ্যাঞ্জেলসের লা জোলার রেডি চিলড্রেন হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। প্রতিদিন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যেতেন নিক-প্রিয়াঙ্কা।

সেই কঠিন সময়ের কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী জানান, ওকে বুকের ওপরে নিয়ে আমি আর নিক প্রতিটা রাত কাটিয়েছি। আমরা এটাও নিশ্চিত ছিলাম না যে আদৌ ওকে পাবো কিনা।

একই সঙ্গে সেই সময় মার্কিন মুলুকে ছিল ওমিক্রনের তরঙ্গ। তার মাঝেই মেয়েকে আগলে রেখেছিলেন এই তারকা দম্পতি।

বিনোদন

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২১তম আসরে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন টালিগঞ্জের আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে পাঁচটায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে তার সিনেমার প্রথম প্রদর্শনী হবে।

এরপর দর্শকের সামনে সিনেমাটি নিয়ে কথাও বলবেন তিনি। একই মিলনায়তনে ২১ জানুয়ারি দুপুর ১টায় সিনেমার আরেকটি প্রদর্শনী রয়েছে। তার পরিচালনায় নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘এবং ছাদ’র প্রদর্শনী রয়েছে আজ।

এদিকে শ্রীলেখার দ্বিতীয় নির্মাণ ‘এবং ছাদ’।  এর আগে ‘বেটার হাফ’ নামের আরেকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন শ্রীলেখা। তবে নির্মাতার চেয়ে অভিনয়শিল্পী হিসেবেই ভারত ও বাংলাদেশে বেশি পরিচিতি রয়েছে ওই অভিনেত্রীর।

উত্তর কলকাতার ছাদকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে এ সিনেমার গল্প। এতে মধ্য বয়সী এক গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা। অভিনয়ে আরও থাকছেন ছোটপর্দার অভিনেতা প্রীতম দাস। পরিচালনার পাশাপাশি ছবিটি প্রযোজনাও করেছেন তিনি।

সম্প্রতি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা বলেছিলেন, অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখি ও নির্মাণে মনোযোগী হবেন তিনি।

উৎসব আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকায় এসেছেন শ্রীলেখা। আজ বিকেল ৫টায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে তার সিনেমার প্রথম প্রদর্শনী রয়েছে। ১৯ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ সিনেমার প্রদর্শনী শেষে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলবেন শ্রীলেখা। একই মিলনায়তনে ২১ জানুয়ারি দুপুর ১টায় সিনেমার দ্বিতীয় প্রদর্শনী রয়েছে।

শ্রীলেখা মিত্রের পূর্ব-পুরুষের বসত ছিল মাদারীপুরের ঘটমাঝি গ্রামে, দেশভাগের সময় বাধ্য হয়ে ভারতে পাড়ি দিতে হয়েছে তাদের। শ্রীলেখার জন্ম ভারতে হলেও বাবার মুখে ঘটমাঝি গ্রামের গল্প শুনে বেড়ে উঠেছেন তিনি।

২০১৭ সালের আগে বাবা সন্তোষ মিত্রকে নিয়ে পূর্ব-পুরুষের ভিটার খোঁজে বাংলাদেশে এসেছিলেন শ্রীলেখা। তার কয়েক বছর পর তার বাবার মৃত্যু হয়।

বিনোদন

অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার আত্মহত্যার ঘটনায় করা মামলায় অভিনেতা শেজান খানের জামিন হয়নি। আপাতত তাকে জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে।

মুম্বাই পুলিশ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।

এতে বলা হয়, আদালতে জামিনের জন্য শুক্রবার আবেদন করেছিলেন তুনিশার প্রেমিক শেজান। কিন্তু তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে মুম্বাইয়ের একটি আদালত। আপাতত পুলিশের হেফাজতেই থাকবেন তিনি।

এদিকে তুনিশার মামা গণমাধ্যমকে জানান, শেজান বার বার তার বয়ান বদলেছেন। তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার জন্যই আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করেছে।

তবে জামিনের জন্য শেজানের আইনজীবী এবার বোম্বে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হতে পারেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়। গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে জেল হেফাজতে রয়েছেন শেজান।

এর আগে আদালতে শেজান খানের আইনজীবী দাবি করেন, ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারে যুক্ত হয়েছিলেন তুনিশা। সেখানেই তার আলাপ হয় আলি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। নিয়মিত কথাবার্তা চলত তাদের। মৃত্যুর আগে আলির সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী।