বিনোদন

বাংলা ভাষার কথা সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৪২৭’ পেলেন লেখক ও কথাসাহিত্যিক ঝর্না রহমান। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, গল্পকার, কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক ও সাহিত্যসংগঠক।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক-নির্মাতা ফরিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনন্যা-সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লেখক ও নির্মাতা ফরিদুর রহমান বলেন, ঝর্ণা রহমান যখন লিখেন তখন জেন্ডার নিরপেক্ষ হয়ে উঠেন। সেখানে নারী পুরুষের কোনো ধরনের ছাপ থাকে না, নারী হিসেবে কখনো সাহিত্যে প্রভাবও রাখেন না তিনি। তার জায়গাটি থাকে একেবারে নিরপেক্ষ। নির্ভুল বাক্য লেখেন, নির্ভুল শব্দ তুলে আনেন। ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার একটি স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার মধ্যে দিয়ে তাকে নিজের মতো করে চেনা যায়।

এ সময় অতিথিরা ঝর্ণা রহমানের নিকট উত্তরীয়, ক্রেস্ট ও সম্মাননা অর্থ তুলে দেন।

সাহিত্য পুরস্কার পেয়ে নিজের অভিব্যক্তি জানান লেখক ঝর্ণা রহমান। তিনি বলেন, অনন্যা দীর্ঘ ২৬ বছর সাহিত্য পুরস্কৃত করার কাজুটুকু দক্ষতার সঙ্গে করে আসছে। এটি অত্যন্ত দক্ষ এবং সুনির্বাচিত পুরস্কার। যে সমস্ত নারী তাদের জীবন, শিল্প সংস্কৃতি দিয়ে নিজের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আলোকোজ্জ্বল করছেন তাদের এখানে পুরস্কৃত করা হয়। এ তালিকায় আমার নাম যে সংযোজিত হলো, তা অত্যন্ত আনন্দের, সম্মানের।

অনন্যা সম্পাদকের প্রশংসায় তিনি বলেন, তাসমিমা হোসেন একজন স্মরণীয় বরণীয় ও অনুকরণীয় মানুষ। তিনি প্রতিভাময়ী ও আলোকোজ্জ্বল হয়ে আছেন। তিনি শুধু নারীদের প্রতিষ্ঠা করছেন না, মেধাবী ও আলোকিত নারীদের তিনি নির্বাচিত করেছেন। কাজেই পুরস্কারটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ঝর্ণা রহমান পাঠককে খুব সহজে সঙ্গী করতে পারেন। ঝর্ণা রহমানের একটা ভাষা আছে, তিনি নিজস্ব একটি ভাষা তৈরি করে রেখেছেন। কিছুদুর পড়লেই বোঝা যায় ঝর্ণা রহমানের লেখাই পড়ছি। সংস্কৃতিকে তিনি তার কর্মকাণ্ডে নিয়ে এসেছেন। সাহিত্য অনেকগুলো মুহূর্ত নিয়ে আসে, সব সাহিত্য মুহূর্তে আসে না, সব মুহূর্তে সাহিত্য আসে না, সব মুহূর্ত সাহিত্যিকও ধরতে পারে না।

সভাপতির বক্তব্যে তাসমিমা হোসেন বলেন, জীবনটা খুব সুন্দর। ঝর্ণার লেখা এতো সুন্দর সেটা এই দুঃসময়ে পড়ে বুঝেছি। ঝর্ণার মত অসংখ্য গুণী মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। আমি হাল ছাড়ি নাই।

পাশাপাশি অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন লায়লা আফরোজ, সঙ্গীতায়োজনে ছিল নারীভিত্তিক ব্যান্ড এফ-মাইনর এবং ভিডিও নির্মাণ ও উপস্থাপনায় ছিলেন তাপস কুমার দত্ত।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পাক্ষিক অনন্যা আয়োজিত ‘রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা’য় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।

ঝর্না রহমানের জন্ম ১৯৫৯ সালে। প্রধানত কথাসাহিত্যিক। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, নাটক, কবিতা, ছড়া, ভ্রমণ, শিশুসাহিত্য, সংগীত-সবক্ষেত্রেই তার কমবেশি বিচরণ। তবে গল্পকার হিসেবে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। তার সাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তিনি বিশদ বিবরণের ভেতর দিয়ে সমাজ ও ব্যক্তিমানসের নানা সংকট উন্মোচন করেন। তার আখ্যানরীতি এবং বর্ণনাশৈলি যেমন স্বতন্ত্র তেমনই উপভোগ্য। নারী পুরুষের সম্পর্ক, নারীজীবনের অন্তর্গত বেদনা তার সাহিত্যের প্রিয় বিষয় হলেও তিনি দেশজ এবং সামাজিক প্রায় প্রতিটি অনুষঙ্গকে তার সাহিত্যের বিষয় করে তুলেছেন।

তার উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ: ঘুম-মাছ ও একটু করো নারী, অগ্নিতা, স্বর্ণতরবারি, কৃষ্ণপক্ষের ঊষা, পেরেক, জাদুবাস্তবতার দুই সখী, বিপ্রতীপ মানুষের গল্প, বিষ পিঁপড়ে, তপতীর লাল ব্লাউজ, আয়নামামি। অনূদিত গল্পগ্রন্থ: Dawn of the Waning moon, উপন্যাস: পিতলের চাঁদ, ভাঙতে থাকা ভূগোল, কাব্যগ্রন্থ: জল ও গোলাপের ছোবল, হরিৎ রেহেলে হৃদয়, চন্দ্রদহন, নাট্যকাব্য: উড়ন্ত ভায়োলিন। কিশোর উপন্যাস: আদৃতার পতাকা, হাতিমা ও টুনটুনি, নাটক: বৃদ্ধ ও রাজকুমারী, ভ্রমণ: আমরা যখন নেপালে। ১৯৮০ সনে বাংলাদেশ পরিষদ আয়োজিত একুশে সাহিত্য পুরস্কার প্রতিযোগিতায় ছোটগল্পে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে সাহিত্যে আত্মপ্রকাশ। এ পর্যন্ত তার প্রায় ৬০টির মতো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ঝর্না বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে সম্প্রতি অবসরে গেছেন। তিনি সাহিত্যসংগঠন ‘পরণকথা’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এ ছাড়া তিনি ছোট কাগজ ‘পরণকথা’এবং ‘ত্রৈমাসিক অগ্রসর বিক্রমপুর’-এর সম্পাদক।

বাংলা ১৪০১ সন (১৯৯৩ সাল) থেকে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবছর একজন নারী-সাহিত্যিককে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ-পর্যন্ত যারা এই পুরস্কার পেয়েছেন, তারা হলেন- সেলিনা হোসেন, রিজিয়া রহমান, ড. নীলিমা ইব্রাহিম, দিলারা হাশেম, রাবেয়া খাতুন, ড. সন্জীদা খাতুন, শহিদ জননী জাহানারা ইমাম (মরণোত্তর), নূরজাহান বেগম, রাজিয়া খান, রুবী রহমান, পূরবী বসু, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মকবুলা মনজুর, ঝর্ণাদাশ পুরকায়স্থ, সালেহা চৌধুরী, নূরজাহান বোস, মালেকা বেগম, কাজী রোজী, ড. নিয়াজ জামান, জাহানারা নওশিন, সোনিয়া নিশাত আমিন, বেগম মুশতারি শফী, বেগম আকতার কামাল, আকিমুন রহমান ও নাদিরা মজুমদার।

বিনোদন

বলিউড নির্মাতা সঞ্জয়লীলা বানসালি ও অভিনেতা রণবীর কাপুর করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন। তারা দু’জনই এখন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তাদের দু’জনের সঙ্গে খুব কাছ থেকে কাজ করেছেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। সেজন্য তিনিও কোভিড-১৯ টেস্ট করিয়েছেন, তবে তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবু ‘রাজি’খ্যাত এই অভিনেত্রী নিজেকে আইসোলেটেড করে রেখেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আলিয়া প্রায় প্রতিদিন করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন এবং আজও (মঙ্গলবার, ৯ মার্চ) তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবুও তিনি নিজেকে আইসোলেটেড করে রেখেছেন। মূলত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সিনেমার সেট থেকে রণবীর কাপুর ভাইরাস আক্রান্ত হন এবং বর্তমানে সেরে উঠছেন। ’

মঙ্গলবার রণবীর কাপুরের মা নীতু কাপুর ছেলে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার খবরটি দেন। রণবীর হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

রণবীর কাপুর ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র শুটিং চলাকালেই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েছেন। তখন বানসালি আলিয়াকে নিয়ে ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’র শুটিং করছিলেন। যদিও সিনেমাটির শুটিং এখন স্থগিত রয়েছে।

বিনোদন

নব্বইয়ের দশকের চিত্রনায়ক শাহিন আলম মারা গেছেন।

রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ১০টা ০৫ মিনিটে এ অভিনেতার মৃত্যু হয়েছে বলে তার ছেলে ফাহিম নূর আলম। শাহিন আলমের বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।

ফাহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার বাবা কিডনির জটিলতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। সোমবার থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন; অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

শাহিন আলমের মরদেহ হাসপাতাল থেকে রাতে নিকেতনের বাসায় নেওয়া হবে। ফজরের পর স্থানীয় মসজিদে জানাজা শেষে বনানীতে তাকে সমাহিত করা হবে পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

১৯৮৬ সালে এফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসেন এ অভিনেতা। ১৯৯১ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘মায়ের কান্না’। অধিকাংশ চলচ্চিত্রেই পাশ্ব-অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

ক্যারিয়ারজুড়ে ‘তেজী’, ‘চাঁদাবাজ’, ‘প্রেম প্রতিশোধ’, ‘দাগী সন্তান’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘পাগলা বাবুল’, ‘ঢাকাইয়া মাস্তান’, ‘বাঘের বাচ্চা’সহ দেশ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর পর অভিনয় ছেড়ে দেন তিনি; মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটে একটি কাপড়ের শো রুম দেখভাল করতেন এ অভিনেতা।

বিনোদন

সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।

আজ রবিবার (৭ মার্চ) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে এ তথ্য জানা যায়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিলো। বিচারক চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দেন।

এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক লুৎফর রহমান। সাক্ষী খুঁজে না পাওয়ায় শমী কায়সারকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে কোনো সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি।’

২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর মামলার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর বাদী স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা নুজহাতুল হাচান পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন। নারাজি শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।

পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে পরিদর্শক লুৎফর রহমান উল্লেখ করেন, শমী কায়সারের বক্তব্যে কোনো মানহানিকর ঘটনা ঘটেনি। মামলার বাদী এ বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।

২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শমী কায়সারের দুটি মোবাইল চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে অর্ধশত ক্যামেরাম্যান ছাড়াও শতাধিক মানুষ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

শমী কায়সার অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকরা মোবাইল চুরি করেছেন। তিনি তার নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশিও করান। কেউ ঘটনাস্থল থেকে বের হতে চাইলে তাদের ‘চোর’ বলে ওঠেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে সংবাদকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হন। অনুষ্ঠানস্থলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। এমন বক্তব্যের জন্য তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ওই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিও দেয় সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।

বিনোদন

ঢালিউড অভিনেত্রী পূর্ণিমা। অভিনয়ের পাশাপাশি কয়েক বছর ধরেই উপস্থাপনায় বেশ আলোচিত হয়েছেন তিনি। ৬ মার্চ থেকে দেশ টিভিতে প্রচারে আসছে ‘পূর্ণিমার আলো’। এই অনুষ্ঠানে উপস্থাপনায় থাকবেন পূর্ণিমা। সম্প্রতি উপস্থাপনাসহ কয়েকটি বিষয়ে কথা বলেছেন এই অভিনত্রী।

‘পূর্ণিমার আলো’ প্রস্তুতি ?

পূর্ণিমা: এই অনুষ্ঠানে কারা আসবেন সেটা আগে-পরে শিডিউল অনুযায়ী দেওয়া হবে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। প্রত্যেক পর্বের আগে গেস্টের নাম আমাকে তিনদিন আগে দেওয়া হবে। এই তিন দিনে তাদের নিয়ে স্টাডি করা, স্ক্রিপ্ট করাসহ সবকিছু মিলিয়ে আমরা অ্যাপিসোডগুলো করবো।

‘পূর্ণিমার আলো’র দর্শক টিভিতে নাকি ইউটিউবে বেশি হবে ?

পূর্ণিমা: আমার অনুষ্ঠানটি হবে শনিবার। সাধারণত এই দিনে অনেকেরই ছুটি থাকে। আমি যদি কাজটি ভালোভাবে করতে পারি, যদি দেশ টিভির পর্দায় সেভাবে সাড়া পাই তখন অবশ্যই মানুষ টিভিতে অনুষ্ঠানটি দেখবে। আর যারা অনুষ্ঠানটি মিস করবেন; তাদের জন্যই ইউটিউব রাখা।

ওটিটি মাধ্যমের জন্য কি কাজ করছেন ?

পূর্ণিমা: অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালনায় ওয়েব ফিল্ম করছি। এটা আমার জন্য নতুন একটি অভিজ্ঞতা। কারণ সিনেমা, নাটক, সিরিয়াল ও উপস্থাপনাসহ সবকিছুই হয়ে গেছে। এটা একটা নতুন কিছু হচ্ছে আমার জন্য। কস্টিউমের জন্য আলাদা ডেট নিতে হচ্ছে, শুটিং স্পটের জন্য আলাদা ডেট দিতে হচ্ছে এবং যেখানে আমরা শুটিং করবো সেখানে আগের দিন গিয়ে রিহারসেল দিতে হচ্ছে। তার মানে আমাকে শুটিংয়ের চেয়ে প্রস্তুতির টাইমটা বেশি নিতে হচ্ছে। আসলে কাজগুলো এইরকমই হওয়া উচিৎ। মুখস্থ করার জন্য আমাকে স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয়েছে। যাতে সবকিছু আমার নলেজে থাকে। গল্পটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। আশাকরি দর্শকদেরও ভালো লাগবে।

 পূর্ণিমা কি পরিচালক হবে ?

পূর্ণিমা: আমি পরি হতে চাই। কিন্তু চালক হতে চাই না। অর্থাৎ পরিচালক হতে চাই না। পরিচালনার জন্য যে শিক্ষা ও যোগ্যতা দরকার সেটা আমার মধ্যে নাই। কেনো? আপনি আমাকে সব ধরণের কাজে চাচ্ছেন কোনো? আমি তো অভিনয়ই ঠিকমতো করতে জানি না। অভিনয়ে বিভিন্ন ক্যারেকটারে আমাকে মানুষ ভিন্নভাবে দেখুক আমি সেটাই চাই।

কোন চরিত্রটি এখনো করা হয়নি ?

পূর্ণিমা: আমি নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। এটা আমি সব সময়ই বলে এসেছি। সুইট, ভদ্র, ভালো মেয়ে এগুলো থেকে বেরিয়ে অন্য কোন ট্রাকে গ্যাংস্টার ও অন্যকিছু চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। অথবা পুলিশের কোন রোল। সত্য কোন ঘটনা নিয়ে সাহসী কোন ঘটনা নিয়ে কাজ করতে চাই।

বিনোদন

সৌন্দর্য্য এবং প্রতিভার সম্মিলনে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০- এর চূড়ান্ত পর্বে উঠে এলেন সেরা দশ প্রতিযোগী।

বিনোদন

অভিনেত্রী জয়া আহসান। দুই বাংলায় সমানভাবে জনপ্রিয় তিনি। কাজ করেছেন নামি-দামি নির্মাতাদের সঙ্গে। দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের পর্দায় দেখা যাবেে এই অভিনেত্রীকে। এবার মুক্তি পাচ্ছে জয়া অভিনীত ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) ‘অলাতচক্র’ ছবি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৯ মার্চ মুক্তি পাবে ছবিটি।

সাহিত্যিক আহমদ ছফার আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘অলাতচক্র’। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন হাবিবুর রহমান।

ছবির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও আহমেদ রুবেল। এতে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, আজাদ আবুল কালাম, শিল্পী সরকার অপু, শফিউল আলম বাবুসহ আরও অনেকে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তির মাহেন্দ্রক্ষণে ছবিটি মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি বাংলা ভাষায় নির্মিত প্রথম থ্রিডি চলচ্চিত্র। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে ‘অলাতচক্র’ । চলচ্চিত্রটির ত্রিমাত্রিক চিত্রধারণে কাজ করছে মুম্বাইয়ের ‘স্কাই ওয়ার্ক স্টুডিও’।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে জয়া আহসান লিখেছেন, ‘শুভমুক্তি ১৯ মার্চ,২০২১ অলাতচক্র (3D)। মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তির এই মহেন্দ্রক্ষণে মুক্তি পেতে যাচ্ছে -মুক্তি যুদ্ধের পটভূমিতে আহমদ ছফার উপন্যাস অবলম্বনে; বাংলা ভাষায় নির্মিত প্রথম থ্রিডি চলচ্চিত্র #অলাতচক্র (3D)। আজ রইলো ছবিটির অফিসিয়াল পোস্টার।’

বিনোদন

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচিত কমিটির কাছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বুঝিয়ে না দেওয়া, ৩৮ লাখ টাকার আয় ও ব্যয়ের হিসেবের অসঙ্গতি, অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের সঙ্গে অডিট রিপোর্টের মিল না থাকা, সংগঠনের রেজুলেশন খাতা বুঝিয়ে না দেওয়া, সংগঠনবিরোধী কার্যক্রম করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার অপরাধে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) তিনজনের সদস্যপদ প্রাথমিকভাবে স্থগিত ও একজনের সদস্যপদ প্রাথমিকভাবে বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (৩ মার্চ) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

প্রাথমিকভাবে স্থগিতকৃত সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল করিম নিশান, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক হামিদ মোহাম্মদ জসিম। প্রাথমিকভাবে বাতিল হয়েছে সাবেক অর্থ সম্পাদক নবীন হোসেনের সদস্যপদ ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত ১৬ মাস ধরে সংগঠন থেকে মৌখিক ও চিঠির মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটি আবদুর রহমান, ইকবাল করিম নিশান, নবীনের কাছে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো চাইলেও তারা শুধু কালক্ষেপণ করেছেন এবং সংগঠনের ক্ষতিসাধন করেছেন। শাস্তিপ্রাপ্ত সদস্যদের বারবার অনুরোধ করার পরও এবং আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য প্রদানের জন্য চিঠি দিলেও তারা সবকিছু বুঝিয়ে দেননি। সর্বশেষ কার্যনির্বাহী পরিষদ গত ১৬ জানুয়ারি-২০২১ একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি একাধিক বৈঠক করে বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রথমে সাবেক অর্থ সম্পাদক নবীন হোসেনকে তলব করে। নবীন হোসেন তদন্ত কমিটিকে ৩৮ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০০ টাকার বিল-ভাউচার দিতে পেরেছেন। বাকি টাকার খরচের হিসেব তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি নিজেই বলেছেন, অডিট রিপোর্টে ঝামেলা আছে। তিনি জানান, কোন কোন খাত থেকে এই ৩৮ লাখ টাকা এসেছে, তা তিনি জানেন না এবং ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০০ টাকার বাইরে অন্য কোনো বিল-ভাউচার তার কাছে নেই।

নবীন হোসেনের বক্তব্যের সূত্র ধরেই সাবেক সভাপতি আবদুর রহমান ও ইকবাল করিম নিশানকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেজুলেশন খাতাসহ তদন্ত কমিটি দেখা করার জন্য অনুরোধপত্র পাঠিয়ে চিঠি দিলেও তারা কেউই উপস্থিত হননি। পরে তদন্ত কমিটি প্রাপ্ত কাগজপত্র দেখে এবং সাবকে অর্থ সম্পাদক নবীন হোসেনের জবানবন্দীর আলোকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে বিস্তারিত আলোচনা এনে তারা জানায় যে,‘ ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালে আবদুর রহমান-ইকবাল করিম নিশানের মেয়াদকালে অর্থনৈতিক বিষয়ে নানাধাপে অনিয়ম ও অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। সেখানে অর্থ সম্পাদক নিজেও জড়িত ছিলেন। তিনজন একে অপরের সাথে যোগসাজশে এই অপরাধ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সংগঠনের ক্ষতি করেছেন। এজন্য তিনজনই সমানভাবে দোষী।’ তদন্ত কমিটি, বাচসাস কার্যনির্বাহী পরিষদকে সংগঠন হতে এই তিনজন সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করেছে। সংগঠন থেকে তিনজনের প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত অথবা বাতিল করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এবং সুপারিশকে আমলে নিয়েছে কার্যকরী পরিষদ। দেশের সবচাইতে পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিকদের এই সংগঠনে যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সাহস না দেখাতে পারে, এজন্য কার্যকরী পরিষদ নজির স্থাপন করেছে। কার্যনির্বাহী পরিষদ তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আবদুর রহমান ও ইকবাল করিম নিশানের প্রাথমিক সদস্যপদ আগামী দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা পর্যন্ত স্থগিত করেছে। সাবেক অর্থ সম্পাদক নবীন হোসেনের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

অন্যদিকে যখন তদন্ত কমিটি তাদের নিরপেক্ষ কার্যক্রম শুরু করে এবং আবদুর রহমান ও নিশানকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দেখা করার জন্য চিঠি পাঠায়, তখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক আপত্তিকর ভাষায় এভং উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেন। সেই সঙ্গে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে হেয় করেন। এ বিষয়ে হামিদ মোহাম্মদ জসিমকে শোকজ করা হলেম তিনি শোকজের কোনো জবাব দেননি। উল্টো আবারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দিতে থাকেন। এজন্য কার্যকরী পরিষদ হামিদ মোহাম্মদ জসিমের প্রাথমিক সদস্য পদ আগামী এজিএম পর্যন্ত স্থগিত করেছে।

বিনোদন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের অন্তর মোড় একটি জায়গা। এখানে চিত্রনায়ক নিরব ও নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার রসায়ন ফ্রেমবন্দি হলো। ‘ফিরে দেখা’ ছবিতে জুটি বেঁধেছেন তারা। আজ সেখানে কাজ করেছেন তারা। পরিচালকের আসনে আছেন অভিনেত্রী রোজিনা।

নিরব ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘টানা ২০ দিনের জন্য রাজবাড়ী এসেছি আমরা। গান দিয়ে শুরু হলো শুটিং। রাজবাড়ী আমার জেলা। কিন্তু এবারই প্রথম নিজের জেলায় শুটিং করা হচ্ছে। এটা অন্যরকম এক অনুভূতি।’

ছবিটিতে নিরবের চরিত্রের নাম আমিন। ১৯৭১ সালের একজন মুক্তিযোদ্ধা সে। স্পর্শিয়াকে দেখা যাবে নাসিমা চরিত্রে। তাদের সাজগোজে সত্তর দশকের ছাপ থাকবে।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে রোজিনার নানাবাড়ি। পরিচালনার পাশাপাশি এই ছবিতে অভিনয় করবেন তিনি। এছাড়া আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ‌‘ফিরে দেখা’ তৈরি হচ্ছে সরকারি অনুদানে।

নিরব ও স্পর্শিয়া এবারই প্রথম একসঙ্গে কাজ করছেন। তাদের অভিনীত ‘সোনার ময়না পাখি’ গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল। তার সঙ্গে গানটি গেয়েছেন কনা। এর কথা লিখেছেন সোমেশ্বর অলি।

বিনোদন

কণ্ঠশিল্পী জানে আলম আজ মঙ্গলবার রাত ১০ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রযোজনা সংস্থা সিডি চয়েসের কর্নধার জহিরুল ইসলাম সোহেল।

তিনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ একমাস বিএসএমএমইউ-তে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাঝখানে নিউমনিয়া হয়েছিলো তার। আজ শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে রাত ১০ টার একটু আগে মারা গেছেন তিনি। আমাদের এমআইবি ইসি কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।