বিনোদন

কখনও ডিভোর্সের গুঞ্জন, কখনও দূরত্ব কমার আভাস। অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে এমন নানা জল্পনা-কল্পনা চলছেই।

এর মধ্যেই ‘আপস’ না করার বার্তা দিয়ে ভিডিও শেয়ার করলেন ঐশ্বরিয়া।
সোমবার ছিল নারীদের প্রতি হওয়া হিংসাত্মক ঘটনার অবসান ঘটানোর আন্তর্জাতিক দিবস। সেই উপলক্ষেই এই ভিডিও পোস্ট করেছেন সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরী।

একটি নামী প্রসাধনী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত নায়িকা। সেই সংস্থার হয়েই ভিডিওটি তৈরি করেছেন তিনি। যেখানে সমস্ত নারীদের মাথা উঁচু করে বাঁচার বার্তা দিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেছেন, নিজের মর্যাদার সঙ্গে কখনও আপস করবেন না।

বেশ কিছুদিন ধরেই অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়াকে একসঙ্গে কোনও অনুষ্ঠানে তেমন দেখা যাচ্ছে না। এমনকী অনন্ত-রাধিকার বিয়েতেও আলাদাই ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছিলেন। তবে আম্বানিদের অনুষ্ঠানের ভিডিওতে মেয়ে আরাধ্যার সঙ্গে হাসিমুখেই দেখা যায় তাদেরকে। তাতেই মনে করা হয়েছিল, দুই তারকার বিচ্ছেদের খবর কেবলই রটনা।

তবে কিছুদিন আগেই আবার ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের সঙ্গে নিমরত কৌরের নাম জড়িয়ে যায়। বলিউডে গুঞ্জন, নিজের ‘দশভি’ সিনেমার নায়িকা নিমরত কৌরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিষেক। এর জেরেই ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে অশান্তি চরমে এবং মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান নায়িকা। যদিও পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন অভিষেক। কিন্তু তাতে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে অমিতাভপুত্রর দূরত্ব কমেনি।

এদিকে, এ বিষয়ে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও ‘সিটাডেল হানি বানি’ সিরিজের স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিমরত বলেন, আমি সিঙ্গেল। কোনও সম্পর্কে নেই।

বিনোদন

অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে আবারও দেরিতে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটিশ-পাকিস্তানি সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র প্রযোজক রেহাম খান।

তরুণ এই অভিনেত্রীকে প্রথমে ক্যারিয়ার গড়ার দিকেই মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সম্প্রতি একটি পডকাস্টে উপস্থিত হয়ে রেহাম খান তার পূর্ববর্তী মন্তব্যের পেছনের কারণটাও ব্যাখ্যা করেছেন।

এর আগে, ২০১৬ সালেও প্রথম বার হানিয়া আমিরকে একই কথা বলেছিলেন অভিনেত্রীর প্রথম চলচ্চিত্র প্রযোজনা করা রেহাম খান। তিনি তখন তার বিয়ের আগে আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং ব্যক্তিগত উন্নতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

রেহাম খান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, একজন মানুষকে তখনই বিয়ে করা উচিত, যখন সে মনে করবে যে, ‘আমি এখন জীবনে একটা স্থানে পৌঁছেছি এবং এখন একজন সঙ্গীর প্রয়োজন’।

ব্রিটিশ-পাকিস্তানি এই সাংবাদিক আরও বলেন, নারীরা প্রায়ই তাদের ২০ বা ৩০-এর দশকে তার জৈবিক সময়সীমা ও সামাজিক প্রত্যাশার চাপে পড়ে যান। তবে বিয়ে সবসময় প্রত্যাশিত স্বাধীনতা নিয়ে আসে না।

তিনি নারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘অনেক মেয়েই মনে করে, বিয়ের পর তারা স্বাধীনতা পাবে। কিন্তু এটি সবসময় সত্য নয়। কেবল সমাজের চাপের কারণে বা শুধু বিয়ের জন্য বিয়ে করা উচিত নয়। এটি হওয়া উচিত একটি পছন্দ, প্রয়োজন হওয়া উচিত নয়’।

রেহাম খান এ সময় শেয়ার করেন যে, এই একই পরামর্শ তিনি তার নিজের মেয়েদেরও দেন। তিনি আর্থিক এবং মানসিক স্বাবলম্বীতা অর্জনের ওপর গুরুত্ব দেন।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি বিয়ের মতো সামাজিক বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার বিপক্ষে নই। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে, এটি সবার জন্য উপযুক্ত নয়। আপনাকে প্রথমে ক্যারিয়ারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে হবে, তারপর যদি ইচ্ছা হয়, সঙ্গীর কথা ভাবুন’।

রেহাম খান এর আগেও হানিয়া আমিরকে তার সফল ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগ দিতে বলেছিলেন এবং আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, তিনি ভবিষ্যতে বলিউডেও কাজ করবেন।

পাকিস্তানি এই চলচ্চিত্র প্রযোজক আরও বলেন, সামাজিক নিয়ম প্রায়ই নারীদের দ্রুত বিয়ের জন্য চাপ দেয়। একই সঙ্গে তিনি তরুণ নারীদের তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেন।

এদিকে ভারতীয় র‍্যাপার বাদশার সঙ্গে হানিয়া আমিরের সম্পর্ক নিয়ে যে গুজব রটেছে- তা নিয়েও কথা বলেন রেহাম খান। তিনি জানান, তারা শুধুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং তাদের সম্পর্ক সম্পূর্ণ প্লাটোনিক।

যদিও বাদশা পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের সঙ্গে তার সম্পর্ককে একটি ‘অসাধারণ সংযোগ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে এটি কেবল বন্ধুত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ বলেও জোর দেন তিনি।

ভারতীয় এই র‍্যাপার বলেন, যদিও তারা একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করেন। তবে এ নিয়ে তাদের বন্ধুত্বকে প্রায়ই ভুল ব্যাখ্যা করা হয়। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

বিনোদন

প্রয়াত সাহিত্যিক চলচ্চিত্রকার হ‌ুমায়ূন আহমেদের গল্প নিয়েও আগামীতে কাজ করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন মানসমুকুল।

বিনোদন

ভারতীয় তারকা জুটি তামান্না ভাটিয়া ও বিজয় ভার্মার প্রেমের গুঞ্জন এখন ‘টক অফ দ্য টাউন’। রেস্তরাঁ থেকে সিনেমার পার্টি, সর্বত্রই হাতে হাত রেখে একসঙ্গে প্রবেশ করছেন তারা।

নিজেদের প্রেমের সম্পর্ক কোনোদিনই গোপন রাখেননি এই তারকাযুগল। তবে এবার নতুন খবর হল, তামান্না ও বিজয় বর্তমানে মুম্বাইয়ে হন্যে হয়ে বাড়ি খুঁজছেন।

মাসখানেক আগেই শোনা গিয়েছিল, অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে নাকি বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। তামান্নার ঘনিষ্ঠমহল থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, শিগগিরই নাকি তাই বিজয়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন তিনি। এবার বাড়ি খোঁজা শুরু করতেই সেই খবর নতুন করে আলোচনায়!

সূত্রের বরাদে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ২০২৫ সালে তামান্না এবং বিজয় বিয়ে করছেন। ইতোমধ্যেই বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে দুই পরিবার। তাই বিয়ের পর সংসার পাতার জন্য আপাতত বিলাসবহুল বাড়ির খোঁজে এই তারকা যুগল। আরও চমকপ্রদ বিষয়, বিয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই তামান্না বা বিজয়ের কেউই কিন্তু ‘না’ বলেননি।

কীভাবে বিয়ের প্ল্যানিং করেছেন তারা? সূত্রের খবর, কোনও ডেস্টিনেশন ওয়েডিং নয়। বরং, ভারতের মধ্যে ছিমছাম বিয়ে করার পরিকল্পনা তামান্না ও বিজয়ের।

বিনোদন

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জাপান গার্ডেন সিটি এলাকায় কুকুর ও বিড়াল মেরে ফেলার ঘটনায় বিনোদন জগতের তারকা ছাড়াও ক্ষুব্ধ নেটদুনিয়া। এ নিয়ে খেপেছেন সালমান মুক্তাদির, জ্যোতিকা জ্যোতি, অভিনেত্রী জয়া আহসান। অবলা প্রাণীগুলোর এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সালমান মুক্তাদির লিখেছেন— আমাদের সঙ্গে এসব কি ঘটছে? আমাদের আত্মা বলতে কিছু নেই, অনুভূতি নেই। মানুষ নিজেই জানোয়ার। পশুপাখিদের জানোয়ার ডাকার কোনো পয়েন্ট নেই এখন আর। তিনি বলেন, আমরা জানোয়ার হয়ে গেছি। প্রাণী হওয়ার জন্য প্রাণের প্রতি মায়া থাকতে হবে। আল্লাহর গজব পড়ুক তোদের ওপর। তোরাও যখন মরবি, প্রতিটা নিঃশ্বাসে যেন তোদের এটা মনে করিয়ে দেয়। আমি আশা করি, তোরাও এভাবে ভুগবি।

অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি তার ফেসবুকে লিখেছেন— মানুষ এতটা অমানুষ কীভাবে হয়? এতটা বিবেকহীন? জাপান গার্ডেন সিটি বিল্ডিং কমিটির লোকজন ছয়টি কুকুর আর একটি বিড়ালকে খাবারের সঙ্গে বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে। আরও আগে থেকেই তারা এটি করতে চেয়েছিল, পারেনি। এবার করেই ফেলল।

প্রতিবাদ জানিয়ে অভিনেত্রী জয়া আহসান করুণ চোখে তাকিয়ে থাকা একটি মৃত কুকুরের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন— বিষ খাওয়াতে হলে বন্ধু রূপেই আসতে হয়। মানুষই পারে এই রূপ ধারণ করতে। আমার রূপ একটাই— ক্ষুধার্ত তবু বন্ধু। ছবিটির ক্যাপশনে মৃত কুকুরের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন জয়া।

অভিনেত্রীর স্ট্যাটাসটি পাঠকদের কাছে হুবহু তুলে ধরা হলো— ক্ষুধার্ত কুকুরকে খাবার সেধে খাওয়ালো বিষ! ছয়জন কুকুর ও একজন বিড়ালকে বিষ প্রয়োগে মেরে ফেলেছে জাপান গার্ডেন সিটি বিল্ডিং কমিটির লোকজন। প্রায় ৫ বছর ধরে এটি তারা চেয়েছিল। পারেনি স্থানীয় প্রাণীপ্রেমীসহ বিভিন্ন প্রাণীকল্যাণ সংস্থার প্রতিবাদে। আজ ঘটনা ঘটিয়ে দিল তারা।

উল্লেখ্য, রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে এসব প্রাণীর প্রতি একরকম তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুকুরের প্রতি বিভিন্ন অভিযোগ এনে পোস্ট করেছেন অনেকেই। এতে দেখা যায়, সেখানকার শিশুদের কুকুর কামড়েছে বলে অভিযোগ আনা হচ্ছে।

এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরেই জাপান গার্ডেন সিটিবাসীর পক্ষ থেকে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এবার সেটাই ঘটানো হয়েছে।

বিনোদন

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির ভেতর খাবারে বিষ মিশিয়ে কুকুর মেরে ফেলার অভিযোগে পশুপ্রেমীরা মোহাম্মদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে এই ঘটনা প্রকাশ পেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।

জাপান গার্ডেন সিটিতে বেশ কয়েকটি কুকুর ও একটি বিড়াল মেরে ফেলা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় জাপান গার্ডেন সিটিতে বিষ প্রয়োগ করে কুকুর-বিড়াল হত্যা করা হচ্ছে বলে ফেসবুকে পোস্ট করেন একজন ব্যবহারকারী। এ সময় সেখানকার কুকুর-বিড়ালগুলো বাঁচাতে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এ সংক্রান্ত কিছু ভিডিও এবং ছবিও পোস্ট করেন তিনি। মুহূর্তের মধ্যে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতে জাপান গার্ডেন সিটিতে ছুটে যান অনেকে।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে জাপান গার্ডেন সিটিতে একদল বসবাসকারী ‘জেজিসি লাইফ সেফটি’ নামের ব্যানার ব্যবহার করে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। জাপান গার্ডেন সিটির ভেতরে এ সংক্রান্ত কিছু ব্যানার-ফেস্টুন পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘সকল বেওয়ারিশ কুকুর প্রাণিপ্রেমীদের বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হোক’, ‘জাপান গার্ডেন সিটির পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে কুকুরের উচ্ছিষ্ট খাবার, মল-মূত্র কুকুরপ্রেমীদের বাসায় প্রেরণ করা হোক’, ‘বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করো, এনজিও ব্যবসা বন্ধ করো। ’

রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান একদল প্রাণিপ্রেমী। এ সময় আদাবর থানা থেকে পুলিশ কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত হন। সেখানে দেখা যায়, জাপান গার্ডেন সিটির ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সদস্যরা খোলা একটি জায়গায় বসে আছেন। কয়েকজনকে পুলিশসহ আসতে দেখে সেখান থেকে অনেকে উঠে চলে যান।

২২ নম্বর বিল্ডিং ফ্ল্যাট মালিক, জাপান গার্ডেন সিটি  ফ্ল্যাট মালিক কল্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক  শাহানুর ভুঁইয়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন, এ সময় তিনি আগত প্রাণিপ্রেমীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন ও বলেন, আমি নিজেও কুকুরগুলোকে খাবার দেই, আমার বাসা থেকেও দেয়। তাদের প্রতি এক ধরনের মায়া জন্মে গেছে। তবে এখানে কুকুরে কামড়ানোর মতো নেতিবাচক ঘটনাও আছে। এই কুকুরগুলোর কোনো মালিক নেই। কুকুর নিয়ে অনেকে অভিযোগ দেয় । নিরাপত্তারক্ষীদের  আমাদের কমিটি থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া আছে  যে, কুকুর দেখলে বের করে দিতে। আমরা কুকুরকে এখান থেকে বের করে দেই। তবে আজকের ঘটনা দেখে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমি সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি দেব আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নেন।

এদিকে জাপান গার্ডেন সিটির এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ‘ক্ষুধার্ত কুকুরকে খাবার সেধে খাওয়ালো বিষ। ছয়টি কুকুর ও একটি বিড়ালকে বিষ প্রয়োগে মেরে ফেলেছে জাপান গার্ডেন সিটি বিল্ডিং কমিটির লোকজন। প্রায় ৫ বছর ধরে এটি তারা চেয়েছিল। পারেনি স্থানীয় প্রাণিপ্রেমীসহ বিভিন্ন প্রাণিকল্যাণ সংস্থার প্রতিবাদে। আজ ঘটনা ঘটিয়ে দিলো তারা। ’

এর ঠিক আগের পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘গণমাধ্যমের বন্ধুদের অনুরোধ করছি, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আপনারা বরাবরের মতোই পাশে থাকুন। এই বর্বরতা মেনে নেওয়া যাবে না। এটি কেবল কুকুর হত্যা নয়, বিষ প্রয়োগে কাউকে হত্যা মানে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে মনে-প্রাণে ধারণ করা একটা সমাজের বিরুদ্ধে লড়াই। ’

এ ঘটনায় প্রাণীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন জাপান গার্ডেন সিটি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছেন।

বিনোদন

সৌদি প্রবাসীদের গানে গানে মাতালেন নগরবাউল জেমস।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে রিয়াদের আল-সুওয়াইদি পার্কে বাংলাদেশ উৎসবে একের পর এক গান গেয়ে মাতিয়ে তোলেন প্রবাসীদের।

এর আগে আল-সুওয়াইদি পার্ক বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

জেমস তার জনপ্রিয় গানগুলো গেয়ে শোনান। এসব গানের মধ্যে ছিল ‘মা’, ‘আসবার কালে আসলাম একা’, ‘দুষ্ট ছেলের দল’, ‘বিজলী চলে যেওনা’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা’, ‘সুন্দরীতমা আমার’, ‘মীরা বাঈ’, ‘পাগলা হাওয়ার তোড়ে’, ‘না জানি কোহি’ প্রভৃতি।

স্থানীয় সময় রাত ৮ টার দিকে মঞ্চে উঠেন জেমস। এসময় তার মাথায় ছিলো লাল গামছা বাঁধা। পরনে কালো টি-শার্ট আর নীল জিন্স। গান শেষে জেমস বলেন,’‘তোমরা আমার জান। বেঁচে থাকলে আবার দেখা হবে। ’

জেমসের গানের তালে তালে মেতে উঠেন লাখো প্রবাসীরা।

আয়োজকরা জানিয়েছেন আল-সুওয়াইদি পার্কে ১০ লাখেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি যোগ দেন।

জানা গেছে, দেশের বাইরে বিশ্বের নানা জায়গায় কনসার্ট করেছেন জেমস। তবে সৌদি আরবে কখনো তিনি কনসার্টে অংশ নেননি। এই প্রথম বারের মতো সৌদি আরবে কনসার্ট করলেন জেমস।

সৌদি আরবের রিয়াদে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ উৎসব’। সৌদি আরবের ভিশন- ২০৩০ লক্ষ্য অর্জনের জন্য দেশটির মিডিয়া মন্ত্রণালয় ‘জীবনের গুণমান’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘গ্লোবাল হারমনি’ ইনিশিয়েটিভ চালু করেছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সৌদির মিডিয়া মন্ত্রণালয় ও সাধারণ বিনোদন কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথভাবে এই ইভেন্টের আয়োজন করেছে। শুক্রবার ছিল উৎসবের তৃতীয় দিন। আগামীকাল শনিবার এই উৎসব শেষ হবে।

বিনোদন

যে হাটের ইজারা মূল্য ছিল অর্ধকোটি টাকার মতো, সে হাট গত দুই বছরেও ইজারাই হয়নি। সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে আয়ের ক্ষুদ্র অংশ রাজস্ব হিসাবে সরকারি কোষাগারে জমা হলেও বড় অংশই চলে যাচ্ছে সিন্ডিকেটের পেটে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভূমি কর্মকর্তার (নায়েব) খাস কালেকশন করার কথা থাকলেও হাটে ‘খাস’ কালেকশন করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা খাস কালেকশন করছেন।

তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ খাস কালেকশনের সময় ভূমি অফিসের কেউ থাকেন না। আর কত টাকা জমা হয় তাও কেউ জানতে পারেন না। এছাড়া রসিদ ছাড়াই দ্বিগুণ টাকা কালেকশন করা হচ্ছে। আর খাস কালেকশন করা ব্যক্তিদের পরিচয়পত্রও নেই।

জানা গেছে, উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বাসেদ হাওলাদার ও সদস্য সচিব মালেক মো. ইসমাইলের নেতৃত্বে বিএনপি কর্মী কালাম বলি, মো. কাশেম, যুবদল আহ্বায়ক মো. মোর্শেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. মিস্টার, মো. মামুন ও কৃষকদল নেতা মো. জয়নালসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩৫-৪০ জন নেতাকর্মী পান বাজার, পণ্য পরিবহণ, কাঁচাবাজার ও গরুর হাট থেকে খাস কালেকশন করছেন। বিশাল এ বাজার থেকে আয়ের কিছু অংশ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে দিয়ে বাকি অংশ ওইসব নেতাকর্মীর মাঝে ভাগবাঁটোয়ারা হয়ে যায়। এ চিত্র রায়পুরের উত্তর চরআবাবিল ইউপির ঐতীহ্যবাহী হায়দরগঞ্জ বাজারের।

রায়পুর উপজেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, হায়দরগঞ্জ বাজারসহ অন্য ২৩টি বাজারের সর্বশেষ বাংলা ১৪২৯ সনে (২০২২ ইং) ইজারা হয়। ৩৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮ টাকা ইজারা মূল্যের হায়দরগঞ্জ বাজারটি ছিল উপজেলার সর্বোচ্চ ইজারার। কিন্তু ২০২২ ও ২৩ সালের মতো চলতি বছরও বৃহৎ এ বাজারটির ইজারা হয়নি। ১৩ এপ্রিল (১৪৩০ সনের ৩০ চৈত্র) বাজারগুলোর দরপত্র গ্রহণের শেষ তারিখ ছিল। ইজারাবিহীন বাজারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামমাত্র খাস কালেকশন করা হচ্ছিল। যে বাজারের ইজারা মূল্য ছিল অর্ধকোটি টাকা, সে বাজার ইজারা না হওয়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধান করেছেন প্রতিবেদক। কোনো হাট ইজারা না হলে সরকারিভাবে ‘খাস’ কালেকশন করার জন্য খাস আদায় কমিটি করা হয়। সে কমিটির মাধ্যমেই খাস কালেকশন করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে স্থানীয়দের দিয়ে খাস কালেকশন করে থাকেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র বলছে, খাস আদায় হওয়া অর্ধকোটি টাকার বাজারটিতে সরকারের রাজস্ব বছরে গড়ে ১৫ লাখ টাকাও হয় না। প্রতি রবি ও বুধবার বাংলাবাজার গো-হাট, পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পানহাটা ও পরিষদের সামনে পশুপাখির হাট বসে। মেঘনা নদী সংলগ্ন রায়পুরের উত্তর চরআবাবিল ইউপি ও চাঁদপুরের চরভৈরবি ও হাইমচর ইউপির সীমান্তবর্তী হায়দরগঞ্জের এ বাজারটিতে গরু, ছাগল ও পানসহ নানা পণ্য বিক্রি হয়। প্রতি রোববার হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ভোরবেলায় প্রায় ৫০০ ছোট-বড় ব্যবসায়ীর পান হাট বসে।

উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মালেক মো. ইসমাইল বলেন, ৫ আগস্টের পর ইউএনওর সঙ্গে আলোচনা করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার আমাদের বাজার নিয়ে দিয়েছেন। কালেকশনকৃত টাকা তহশিলদারের মাধ্যমে ইউএনওর কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

উপজেলা বিএনপি সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ইউএনওর অধীনে গত তিন বছর বাজারের খাস কালেকশন করত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এবার আমরা একইভাবে খাস কালেকশন করে ইউএনওকে সহয়োগিতা দিচ্ছি।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ইকবাল আহাম্মদ চৌধুরী বলেন, ইউএনও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দিয়ে বাজারের খাস কালেকশন করেন। রসিদের মাধ্যমে টাকা আদায় করা ও যারা কালেকশন করছেন তাদের পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য বললেও তারা তা মানছেন না। তারা ইউএনওর কাছে টাকা নিয়ে যান। ইউএনও-ই সবকিছু বলতে পারবেন।

ইউএনও ইমরান খান বলেন, ‘হায়দরগঞ্জ বাজারটিতে গত তিন বছর ধরে খাস কালেকশন হয়। সিন্ডিকেটের বিষয়টি আমার জানা নেই। এসব বিষয়ে কেউ অভিযোগও করেননি। তবে বাজারটি যেন ইজারা হয় এবার সব পক্ষকে নিয়ে বসে সে ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলাম। খাস কালেকশনে যা রাজস্ব আদায় হয়, তার পুরোটাই সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে।’

বিনোদন

২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি৷ এ আর রহমানের ঘর আর করবেন না তার স্ত্রী সায়রা বানু৷ মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি৷

জানানো হয়েছে, বিয়ের এতগুলো বছর পর রহমানের স্ত্রী সায়রা বানু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- তিনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন৷ অনেক মানসিক চাপের পরই এ সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পেরেছেন তারা৷ নিজেদের মধ্যে অগাধ প্রেম থাকা সত্ত্বেও প্রচুর দূরত্ব তৈরি হয়েছে যা আর মেটার নয়৷ এমনই জানানো হয়েছে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে৷

অনেক দুঃখে এবং বেদনায় এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে সায়রাকে৷ এই কঠিন সময় তিনি অন্তরালে থাকতে চান৷ সকলের যেন তার ব্যক্তিগত জীবনে গোপনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করেন, এমনই অনুরোধ করেছেন তিনি৷

১৯৯৫ সালে বিয়ে হয় এ আর রহমান ও সায়রার৷ দেখাশোনার বিয়ে ছিল তাদের৷ রহমানের মা নিজে পুত্রবধূকে দেখে পছন্দ করেছিলেন৷ কারণ রহমান কাজে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে তার সময় ছিল না বিয়ের জন্য মেয়ে দেখার৷ ফলে মাকে এই দায়িত্ব নিতে হয়েছিল৷ একটি সাক্ষাৎকারে এমন জানিয়েছিলেন এ আর রহমান৷

তিনি আরও জানান, কাজে তিনি এতটাই ব্যস্ত যে মেয়ে খুঁজে বিয়ে করার মতো সময় ব্যয় করতে পারবেন না৷ আর তার স্ত্রীকে হতে হবে বুঝদার, এই দাবিও ছিল রহমানের৷ কারণ সঙ্গীতই তার জীবনের প্রথম প্রেম এবং সেই সঙ্গীত সাধনায় কোনো বাধা তিনি আনে পারবেন না৷ ফলে এমন মেয়েকে তিনি বিয়ে করবেন যে তাকে তার কাজের মধ্যে বিরক্ত করবে না, এই ছিল রহমানের শর্ত৷ এ আর রহমান ও সায়রার তিনটি সন্তান রয়েছে, খতিজা, রহিমা এবং আমীন রহমান৷

এদিকে মা-বাবার বিচ্ছেদের খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গায়কের ছেলে এ আর আমীন। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও টিভি এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী সবার প্রতি একটি আহ্বান জানিয়েছেন তারকপুত্র।

মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে এক স্টোরিতে অস্কারজয়ী গায়কের ছেলে লিখেছেন, ‘আমাদের এই সময় পরিবারের যাবতীয় গোপনীয়তাকে সম্মান করার জন্য আপনাদের সবার প্রতি অনুরোধ করছি। বিষয়টি বুঝতে পারার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’

সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ মঙ্গলবার তাদের এই বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, বিয়ের দীর্ঘদিন পর সায়রা বানু তার স্বামী এ আর রহমানের কাছ থেকে আলাদা হওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নানা মানসিক চাপের কারণেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তারা।

কত টাকার মালিক এআর রাহমান, ডিভোর্সের পর কত পাবেন সায়রা?

স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করার পর থেকে নেটদুনিয়ায় আলোচনা শুরু হয়েছে এআর রাহমানের সম্পত্তির পরিমাণ এবং এর মূল্য নিয়ে। সবার মনে এখন একটাই জানতে চাওয়া অস্কারজয়ী এই গায়ক কত কোটির সম্পত্তির মালিক? আর ডির্ভোসের পর সায়রাই বা কত টাকা পাবেন?

ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী গায়ক হলেন এ আর রাহমান। কেবল তাই নয়, তিনি অন্যতম গায়ক এই দেশের যিনি সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।

এআর রাহমানের সম্পদ নিয়ে ভারতে ইংরেজি দৈনিক ‘ডিএনএ’ গতকাল একটি প্রতিবেদন করেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এআর রাহমানের মূল সম্পত্তি প্রায় ১৭২৮-২০০০ কোটি রুপির মধ্যে। ভারতের সবথেকে ধনী গায়ক তিনি।

রাহমান প্রতি গান গাইতে তিনি ৩ কোটি টাকা করে নেন। প্রতিটি ছবির গান কম্পোজ করতে নেন ১০ কোটি টাকা করে! এছাড়া বিজ্ঞাপন, কনসার্ট, ইত্যাদি তো আছেই।

কী কী পুরস্কার পেয়েছেন রাহমান ?

অস্কারজয়ী রাহমান আরও একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন, আর সেই তালিকায় আছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একাডেমি অ্যাওয়ার্ড, গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। তিনি পদ্ম ভূষণ সম্মান পেয়েছেন ভারত সরকারের থেকে।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর সায়রা বানোর উকিলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয় তারা আলাদা হতে চলেছেন। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, বিয়ের বহু বছর পর স্বামী এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা বানু। তাদের সম্পর্কের মধ্যে মানসিক চাপের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। একে অপরের প্রতি তাদের গভীর ভালবাসা সত্ত্বেও, এই দম্পতি খেয়াল করেছেন তাদের মধ্যে অনেক ব্যবধান, দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা এই মুহুর্তে কোনো পক্ষই পূরণ করতে সক্ষম নয় বলে মনে করছেন তারা।

বিনোদন

পবিত্র কাবার আদলে তৈরি হয়েছে স্টেজ আর সেই স্টেজে নাচ-গান করছেন জনপ্রিয় শিল্পী জেনেফার লোপেজ ও সেলিন ডিওন! এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়!

১৩ নভেম্বর রিয়াদে লেবাননের তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার এলি সাবের ক্যারিয়ারের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাশন শো এর পাশাপাশি ছিলো নাচ-গানের আয়োজনও।

সেই আয়োজনেই খোলামেলা পোশাকে নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায় জেনিফার লোপেজ ও সেলিন ডিওনকে। আর এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার ঝড়।

তবে স্টেজে পবিত্র কাবার আদলে কিছু ছিলো না দাবি করে সৌদি ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ফ্যাশন শো চলাকালীন যেটি দেখা গিয়েছিল সেটি ‘একটি গ্লাস কিউব’।

সৌদি আরবের অ্যান্টি-রিউমার অথরিটি শোতে কাবার ছবি ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।কর্তৃপক্ষ জানায়, এটা শুধু একটা গ্লাস কিউব আকৃতির স্ট্রাকচার, যার সঙ্গে কাবা শরিফের কোনো সম্পর্ক নেই।

সৌদি গণমাধ্যম অভিযোগ করছে, এ সমালোচনার পেছনে মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে।যারা সৌদি আরব ও দেশটির সংস্কার পরিকল্পনাকে টার্গেট করার চেষ্টা করছে।

সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ শুধু তেলের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে না।বস্তুত, দেশটিতে সামাজিক সংস্কার, বিশেষ করে নারী অধিকারের জন্যও কাজ চলছে।

গত কয়েকদিন ধরে এক্স (সাবেক টুইটার) সহ অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে রিয়াদের বিনোদন কার্যক্রমকে ‘অপমানজনক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

বেশ কয়েকজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব এই ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন এবং কিছু পর্যবেক্ষকও এই প্রদর্শনীটিকে ‘শয়তানি’ বলে অভিহিত করেছেন।

নেটিজেনরা রিয়াদের ফ্যাশন শো এবং এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে অনৈতিক বলে বর্ণনা করেছে। এমন কাণ্ডের জন্য সৌদি রাজপরিবার এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানেরও সমালোচনা করছেন।

সিরিয়াভিত্তিক ধর্মীয় নেতা আবদুল রহমান আল-আদ্রিসি দাবি করেন, মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে ফ্যাশন শোতে নারীরা এই ‘কাবার মতো আকৃতি’ ঘিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

তিনি দাবি করেন, এটা দাজ্জালকে ডেকে আনার জন্য ‘শয়তানি’ কাজ।

পাকিস্তানেও অনেকে এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। মোল্লা হাক্কানি নামের একজন বলেছেন, রিয়াদে ফ্যাশন উইকের অনুষ্ঠানে কাবাকে অপমান করা হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কাবার মতো জায়গাটি ডিজাইন করেছিল এবং অর্ধনগ্ন নারীদের সেখানে নাচিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে এই ফ্যাশন শো চলাকালীন মূর্তি দেখা যায়।

সৌদি চ্যানেল আল আরাবিয়া টিভি ১৭ নভেম্বর সম্প্রচারের সময় বলেছিল যে সামাজিক মিডিয়ায় ‘অজানা এবং সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলো’ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেছে।

আল-আরাবিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিয়াদ সিজনের সমালোচনা করে এই প্রচারণার লক্ষ্য ছিল ‘সৌদি সফট পাওয়ার এবং ভিশন ২০৩০ কর্মসূচিকে বিকৃত করা।’

উল্লেখ্য, অক্টোবরে শুরু হওয়া বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে শুরু থেকেই অনলাইনে সমালোচনা চলছিল।অনেকে একে গাজা ও লেবাননের যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত করে বলেছেন, এত মানুষের মৃত্যুর পরও রিয়াদ এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অব্যাহত রেখেছে।

তবে আল-আরাবিয়ার সম্প্রচারে সৌদিপন্থি কলামিস্ট আবদুল্লাহ আল-জাদায়াহ বলেছেন, ‘এই সমালোচনার পেছনে রয়েছে সৌদি আরবের নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুড এবং বিশ্বজুড়ে এর সদস্যরা।’

অনুষ্ঠানে নাচ নিয়ে সমালোচনার কারণ জানতে চাইলে জাদায়াহ বলেন, সব অনুষ্ঠানই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের মুখে হাসি ফোটানো।

তিনি বলেন, ইতিহাসে মুসলমানরা যুদ্ধ, শান্তি ও হত্যাকাণ্ড দেখেছে। তার মানে এই নয় যে, জীবন একেবারেই থেমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অভিযান গতকাল শুরু হয়নি, ৭ অক্টোবরও শুরু হয়নি। প্রায় ৮০ বছর ধরে ফিলিস্তিন দখল হয়ে আছে।

জাদায়াহ বলেন, সৌদি আরব একটি ‘বড় পরিবর্তনের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিগত আমলে যারা লাভবান হয়েছেন এবং পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছেন তারাই মূলত এসব সমালোচনা করছে।

পবিত্র কাবার আদলে তৈরি স্টেজ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আল-কায়েদা হচ্ছে প্রথম দল যারা সৌদি আরবকে দুটি (পবিত্র) মসজিদের দেশ হিসেবে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল।পৃথিবীতে এমন কোন বিবেকবান ব্যক্তি আছে যে বলে যে, কোন ঘনক্ষেত্র বা বর্গাকার জিনিস কাবার অবমাননা?

তিনি দাবি করেন, এরা (সমালোচকরা) মাত্র দুটি পবিত্র মসজিদের বিষয়টি তুলে ধরে সৌদি আরবকে বিব্রত করার চেষ্টা করে।

সূত্র: বিবিসি উর্দু