রাজনীতি

বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের সব খাতগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের মানুষ সরকার পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত আছে।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে এদিন তিনি স্ত্রীসহ দেশে ফিরেছেন। গত ২৬ এপ্রিল স্ত্রী তাহেরা আলমসহ চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান আমির খসরু।

সম্প্রতি বিএনপিতে বড় রদবদল নিয়ে তিনি বলেন, এটি স্বাভাবিক সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। দল ও দেশের মানুষ সরকার পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত আছে।

এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, দেশে দেশে ঘুরে চুক্তি করে কোনো লাভ হবে না। আগে দেশের মানুষের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। মৌলিক সমস্যা সমাধান করতে হবে।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে দলীয় নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

শেখ হাসিনা আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এরপর ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাজনীতি

দল মত নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন কাদের।

কোরবানির তাৎপর্য অনুধাবন করে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে সমাজের শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোমবার দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এই আহ্বান জানান তিনি।

কাদের বলেন, “এই ঈদে আমি দেশবাসীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সবাইকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা-ঈদ মোবারক।”

সেতুমন্ত্রী বলেন, “বছর ঘুরে আবার এসেছে ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। মহান আল্লাহ পাকের প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের নিদর্শনে ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে হবে। আর এই জন্য সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “অর্জনের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভারসাম্যপূর্ণ, শোষণহীন, ন্যায়নিষ্ঠ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তা সফল করতে প্রয়োজন নিষ্ঠা, সততা এবং ত্যাগ। ”

দল মত নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন কাদের।

রাজনীতি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাব দিতে আমার রুচিতে বাধে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

সোমবার (১৭ জুন) ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে ঈদের নামাজ শেষে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা শুধু ওবায়দুল কাদেরের কথা বলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে পছন্দ করি না। কারণ ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথার জবাব দিতে আমার রুচিতে বাধে।’

তিনি বলেন, যারা রাজনীতি ও ক্ষমতায় আছেন, তারা যদি সত্যকে উপলব্ধি করতে না পারেন, দেশের সমস্যা ও গণমানুষের আকাঙক্ষা বুঝতে না পারেন, তাহলে তারা কীভাবে দেশ শাসন করবে। সেটি আমরা দেড় যুগ ধরে দেখছি। এই দখলদার সরকার জনগণের সব আকাঙক্ষাগুলোকে পদদলিত করে দিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভোটের ও গণতান্ত্রিক অধিকার পদদলিত করে তারা আজকে জোর করে শাসন চাপিয়ে দিয়েছে। সুতরাং তাদের কথার উত্তর দিতে আমরা ইচ্ছা করে না। কারণ জনগণ তাদের পছন্দ করে না। জনগণ তাদের ঘৃণা করতে শুরু করেছে। তারা শুধু মিথ্যা কথা বলে জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছেন। এজন্য আমি তাদের খুব বেশি গুরুত্ব দেই না।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে ঈদুল আজহার যে আনন্দ, সেই আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ থাকছে না।

মিয়ানমার ও সেন্টমার্টিন ইস্যু নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তারা যাই বলুক না কেন সেন্টমার্টিনে গোলাগুলি হচ্ছে। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন সমস্ত জাহাজ বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে যেতে পারছে না। এটাই সত্য। তারা এই সত্যকে অস্বীকার করবে কীভাবে। কেন বিজিবি সেখানে যাচ্ছে বারবার। কেন সেনাবাহিনীর প্রধান বারবার বলছেন আমরা সতর্ক আছি।’

ফখরুল বলেন, বাস্তবে মিয়ানমারের ঘটনাবলী সমস্যা তৈরি করেছে। সেই সমস্যায় সেন্টমার্টিনে জাহাজ যেতে পারছে না। সেখানকার অধিবাসীরা কষ্টে দিন পার করছেন এবং নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। সেগুলো স্বীকার না করে তারা ভিত্তিহীন বানোয়াট কথা বলছেন।

এর আগে দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল-আজহার শুভেচ্ছা জানান বিএনপি মহাসচিব।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আগামীকাল দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা।

ঈদুল-আজহার প্রাক্কালে আজ তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম,এক বছর পর আবারো আমাদের জীবনে ফিরে এসেছে পবিত্র ঈদুল-আজহা। আমি আপনাদের সবাইকে ঈদুল-আজহার শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ মোবারক।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন,‘আসুন ঈদুল আজহার শিক্ষা গ্রহণ করে ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বীবিত হয়ে আমরা সকলে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি।’

বার্তার শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘পবিত্র ঈদুল আজহা আপনার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ, শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। ঈদ মোবারক।’

রাজনীতি

মিয়ানমার সীমান্ত সরকারের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ওসেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ কারও সঙ্গে কখনও নতজানু আচরণ করেনি। মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর নজরদারি করছে বাংলাদেশ,আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’

ওবায়দুল কাদের আজ রোববার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়েছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। সেন্টমার্টিনে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা করেছে আরাকান আর্মি। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বাহিনী সেটা করেনি।

সেন্টমার্টিনে খাদ্যবাহী জাহাজ নিয়মিত যাতায়াত করছে জানিয়ে ওবায়দুর কাদের বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাই। গায়ে পড়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধানোর কোনো প্রয়োজন নেই বাংলাদেশের।

তিনি বলেন,আমরা কারও সঙ্গে কখনও নতজানু আচরণ করিনি,করবো না। কয়েক দিন আগে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

সেন্টমার্টিন দখল হয়ে যাচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত এসব গুজব ছড়াচ্ছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা যারা অনুপ্রবশ করেছিলো,তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিএনপি পারে শুধু অর্বাচীনের মতো হাস্যকর মন্তব্য করতে। এখনও সেটাই করছে। সেনাবাহিনীসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা সতর্ক অবস্থায় আছে।

তিনি বলেন,রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতেই হবে। সেই কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত আছে। আমরা কোনো নতজানু আচরণ করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে যেভা‌বে গোলাগুলি করা হচ্ছে তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর প্রচণ্ড রকম হুমকি। এমন‌কি সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে সাগরে দেখা যা‌চ্ছে মিয়ানমারের বড় বড় যুদ্ধ জাহাজ। দুর্ভাগ্যের কথা হচ্ছে বর্তমানে সরকার যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে এদের কাছে দে‌শের সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে প্রভাব বিস্তার করছে না।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই সরকার দুর্বল। বিদেশের উপর নির্ভর করে তারা ক্ষমতায় টিকে আছে। যে কারণে তারা মিয়ানমার সম্প‌র্কে একটা কথা পর্যন্ত বলতে সাহস পায় না। মিয়ানমার থেকে সেন্টমার্টিনে গুলি হচ্ছে; মারাও গেছে লোক। অথচ এ নি‌য়ে সরকার কোনো কথা বলে না। এটা আমরা তীব্রভাবে নিন্দা জানাই। আমরা মনে করি এই ইস্যুতে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।

রোববার বিকাল ৩টায় ঠাকুরগাঁয়ে পৈত্রিক বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব এ সব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, একটা ভিন্ন দেশ থেকে আমার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সমুদ্রসীমানার যে পথ ওই পথে আমরা যাতায়াত করতে পারছি না। সেখানে গোলাগুলি করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকার এখন পর্যন্ত একটা সিরিয়াস স্টেটমেন্ট পর্যন্ত আন্তর্জা‌তিক সম্প্রদা‌য়ের কা‌ছে তু‌লে ধর‌তে পা‌রে‌নি। আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত হানছে তারা (সরকার) বলছে আমরা দেখছি। এই দেশের জনগণ সরকা‌রের কা‌ছে আশা করে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, স্বাধীনতা রক্ষা করবে, সেখানে মায়ানমার ইস‌্যু‌তে কোন রকম কথায় আমরা শুনতে পাচ্ছি না।

বর্তমান সরকারের অব্যবস্থাপনা তু‌লে ধ‌রে মির্জা ফখরুল ব‌লেন, এবার ঈদ সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত খারাপ ভাবে এসে‌ছে। মুদ্রাস্ফীতি যেভাবে বেড়েছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সেটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোরবানির পশুর হাটগু‌লো‌তে গে‌লে। সেখা‌নে মানুষ পশু কিন‌তে পার‌ছে না। হাটবাজারে গিয়ে দেখা যাচ্ছে যেসব জিনিসের দাম অনেক কম ছিল, সেগুলোর দামও এখন আকাশচুম্বী। ঢাকাতে দেখা যায় পশুর হা‌টে কোনো লোক নেই। এটার কারণ একটাই তা হ‌চ্ছে মানুষের আর্থিক অবস্থা চরমভাবে খারাপ হচ্ছে। এই সরকার দেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে। এবং অর্থনীতিকে চরম খারাপ অবস্থায় নিয়ে এসেছে। দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা বলেছেন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ও নাজুক।

সাবেক পুলিশের প্রধান বেনজীর ও সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ সম্পর্কে বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, যেসব কর্মকর্তা কর্মচারীরা মনে করছেন আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে লুটপাট করে তারা টিকে থাকতে পারবেন, আলটিমেটলি টিকে থাকা যায় না। আজিজ এবং বেনজীর তার একটি প্রমাণ। লুট করলে চুরি করলে অন্ধের মতো অজনপ্রিয় ম্যান্ডেটবিহীন সরকারকে সমর্থন করলে সেখানে টিকে থাকা যায় না। দেখেন ওই সরকারই তাদেরকে আজ বলির পাঠা বানিয়েছে। আজকে পত্রিকায় দেখলাম ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার বিশাল ফিরিস্তি বের হয়েছে। সব এক এক করে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে।

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম,সদর উপ‌জেলা বিএন‌পির সভাপ‌তি আব্দুল হা‌মিদ ও অ্যাড‌ভো‌কেট আব্দুল হা‌লিমসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “ইউএই’র বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ নিয়ে আসতে পারে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ সকালে গণভবনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ খাসেফ আলহামউদির সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ইউএই রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ চাকরি নিশ্চিত হয়ে বাংলাদেশি জনশক্তিকে ভিসা দেবে।

খানের মতে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন যে তারা বাংলাদেশ থেকে জনবল নেবেন যাদের জন্য চাকরি অপেক্ষা করছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে কোনো অবৈধ অভিবাসীকে অনুমতি না দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।

“উভয় দেশ এই বিষয়ে আরও সচেতন হতে সম্মত হয়েছে,” যোগ করেন তিনি।

বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কিছু মন্ত্রী খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার নতুন উপায় খুঁজবেন।

তিনি বলেন, “আমাদের ইতোমধ্যেই বেশ বিস্তৃত এবং গভীর বন্ধন রয়েছে, তবে আমরা এটিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগ্রহী।”

আলহামউদি উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২০,০০০ মানুষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস প্রতিদিন প্রায় ১০০০টি ভিসা দিচ্ছে, সরাসরি ৫০০ এবং ৫০০টি এজেন্টদের মাধ্যমে।

রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ইউএই’র প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম তাঁকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেহেতু সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ প্রত্যাশ করেছেন সে বিষয়ে আলহামউদি বলেন, যারা আগামী দিনে বাংলাদেশ সফর করতে আসা ইউএই’র মন্ত্রীগণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।

ইউএই রাষ্ট্রদূত কন্টেইনার টার্মিনালসহ বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, সরকার সব সেক্টরে সবকিছুর গতি বাড়াচ্ছে। “আমরা গতি বাড়ানোর জন্য সবকিছু করছি,” বলেন তিনি।

ইউএই রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশের একটি কোম্পানি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচলে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম (এপিআইএস) সরবরাহ করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, প্রক্রিয়াটি মূল্য আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়টি এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

নিরাপত্তার কারণে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে এখন ভ্রমণের আগে এয়ারলাইন্স থেকে যাত্রীদের বিস্তারিত তথ্যের প্রয়োজন হয়। এটি অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন (এপিআই) নামে পরিচিত।

রাজনীতি

মিঠা পানির মাছ আহরণে চীনকে টপকে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

আজ বুহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ সব কথা জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ এন্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২৪ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ এই অবস্থানে উঠে এসেছে। অন্যদিকে বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম স্থান, ক্রাস্টাশিয়ান্স উৎপাদনে বিশ্বে ৮ম এবং সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ১৪তম স্থান অধিকার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, অতিরিক্ত সচিব জনাব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব সৈয়দ মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ এন্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনের মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে ২য়। অপরদিকে বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে ৩য়। বিগত দুই বছরে বাংলাদেশের মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন টন হতে বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৩২ মিলিয়ন টন এ উন্নীত হয়েছে। পক্ষান্তরে চীনের উৎপাদন ১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টন থেকে কমে ১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন টন হয়েছে। ফলে দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ এন্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২৪-এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশ চীনকে টপকে ২য় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে- যা বর্তমান সরকারের একটি অভাবনীয় সাফল্য।

মো. আব্দুর রহমান আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু আবেগঘন এক বক্তব্যে বলেছিলেন- আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমার মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইলস্টক আছে। এসব ডেভেলপ করতে পারলে এদিন আমাদের থাকবে না। তার সেই কথা আজ বাস্তবায়ন হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিকনির্দেশনা ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর ২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়। বর্তমান সরকারের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনায় মৎস্যখাতে সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের সফল বাস্তবায়নের ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মৎস্য উৎপাদন হয়েছে ৪৯ দশমিক ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন।

মন্ত্রী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে সেক্টরাল এ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়নপূর্বক তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়াও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক “সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ” শীর্ষক একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে- যা সুনীল অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা সংযোজনের পাশাপাশি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে জানান মন্ত্রী।

আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত এবং কৃষিখাতকে গুরুত্ব দিয়েছেন। নিজে মাছ চাষ করছেন। এটি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ১ কোটি ৭ লাখ, সেখানে প্রস্তুত আছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। ফলে চাহিদার চেয়ে যোগান বেশি আছে।

চাহিদার বেশি যোগান বেশি থাকলে গরুর দাম এতো বেশি কেন- এ প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, বাজারে কারসাজি করে দাম বৃদ্ধি করলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাছ চাষে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জ। তবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, কারেন্ট জাল গোটা বাংলাদেশকে ছেয়ে ফেলেছে। কারেন্ট জাল দিয়ে মাছের রেনু পোনা পর্যন্ত ধরে ফেলা হচ্ছে।
তিনি এর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

রাজনীতি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আপনার সরকার লুটেরা ও টাকা পাচারকারীদের প্রতিনিধি। আপনার সরকারের মুখ ঢাকতেই আবারও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিষোদগার শুরু করেছেন। আপনার হুকুম পৃথিবীর সর্বত্র তামিল হবে না জেনে মাঝেমাঝেই বিষাক্ত গরল উদগীরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এসেছেন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা ২১শে আগস্টের বোমা হামলার মামলায় তারেক রহমানসহ ১৫ জন পলাতক রয়েছে বলে উল্লেখ করে এখন নাকি তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাবেন বলে জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে বোমা হামলায় তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাদেরকে ফরমায়েশি রায়ে যে সাজা দেওয়া হয়েছে সেটি যে সাজানো মামলায় ফরমায়েশি সাজা তা আজ সর্বজনবিদিত।

রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে কব্জায় নিয়ে এই সাজা যে প্রতিহিংসা পূরণের সাজা সেটি আজ বিশ্ব গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। অহেতুক ক্রোধ ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। ভারত থেকে ফিরে এসে তাকে যেন মনে হচ্ছে তিনি শক্তি সঞ্চয় করে এসেছেন। তিনি এখন যে শ্লাঘা বোধ করছেন তার মধ্যে সঞ্চিত আছে ভারতের আশ্রয়। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসামূলক বক্তব্যে কানফাটানো আওয়াজে প্রায়শ:ই শোনা যায়। যখন তিনি সম্পূর্ণরুপে দিশেহারা হয়ে পড়েন তখনই তার ক্রোধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, কেন্দ্রীয় নেতা শাম্মী আক্তার প্রমুখ।