রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাত দিনব্যাপী ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) মেলার উদ্বোধন করেছেন।

আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মেলার উদ্বোধন করেন তিনি।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত।

মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মেলায় তিন শতাধিক উদ্যোক্তা অংশ নেন। মেলায় প্রায় ৬০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তা।

এসএমই মেলায় ১০০ শতাংশ দেশীয় পণ্য প্রদর্শন করা হবে। এবারের মেলায় সাড়ে তিন শতাধিক কোম্পানি অংশগ্রহণ করবে।

একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে বেশ কিছু ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের হাতে ক্রেস্ট ও অ্যাক্রিডিটেশন সার্টিফিকেটসহ জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ হস্তান্তর করেন।

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. মোঃ মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ।

পুরষ্কার প্রাপ্তদের মধ্যে স্বপ্না রানী সেন জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ জেতার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

এবারের মেলায় পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৫ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া ৪২ টি প্রতিষ্ঠান পাটজাত পণ্য, ৩৮ টি প্রতিষ্ঠান হস্তশিল্প, ৩২ টি প্রতিষ্ঠান চামড়াজাত পণ্য এবং ২৭ টি প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য প্রদর্শন করবে।

এছাড়াও ২৩টি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, ১৪টি খাদ্য পণ্য, ১৩টি আইটি-ভিত্তিক পরিষেবা, ১২টি এসএমই ক্লাস্টার উদ্যোক্তা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মেলায় অংশ নেবে, ৫টি ভেষজ শিল্পের পণ্য এবং ৫টি প্রতিষ্ঠান গয়না পণ্য প্রদর্শন করবে।

চারটি স্টলে প্লাস্টিক পণ্য, ৩টি ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সেক্টর, ৩টি আসবাবপত্র এবং ১৯টি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করবে।

এছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ক্লাব এবং প্রায় ৫০টি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণকারীদের সেবা প্রদান করবে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ঢাকা ও চট্টগ্রামের এসএমই বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারগুলো তাদের কার্যক্রম প্রদর্শন করবে।

উইন্ডি টাউন হলে সহজ অর্থায়ন, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রযুক্তি, আইসিটি এবং ক্লাস্টার উন্নয়ন বিষয়ে ৬টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

সামান্য অর্থ বাঁচাতে গিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উপেক্ষা করে দেশ ধ্বংস করবেন না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে এবং শিল্পায়নকে পরিবেশবান্ধব করতে শিল্প-কারখানা নির্মাণে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘শিল্প আমাদের গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অবশ্যই সকলকে করতে হবে এবং সেটা মেনে নিতে হবে। সামান্য একটু কেমিক্যাল ব্যবহারের ওই পয়সাটা বাঁচাতে যেয়ে দেশের সর্বনাশ,সাথে সাথে নিজের সর্বনাশটা কেউ করবেন না- সেটা আমার অনুরোধ থাকলো।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য (এসএমই) মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধনকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

আমাদের দেশ ‘ভৌগলিক সীমারোখায় ছোট এবং জনসংখ্যার দিক দিয়ে বড়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের দেশের পরিবেশ ও সবকিছু অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হওয়া উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া উচিত। সাথে সাথে জলবায়ুর অভিঘাতে যেন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত না হই সেদিকে সকলকে দৃষ্টি দিতে হবে।
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা আমাদের শিল্পখাতকে আরো পরিবেশবান্ধব করতে চাই। কারণ শিল্পখাত একান্তভাবে পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, যারা যেখানেই কোন শিল্প গড়ে তুলবেন সেখানে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন আপনার এই শিল্পের এই বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে, আমাদের পানি যেন কোনভাবে দূষণ না হয়, মাটিতে দূষণ যেন না হয়। সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আমি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খুব আনন্দিত কেননা আজকের এসএমই পণ্য মেলায় দেখা যাচ্ছে উদ্যোক্তা ৬০ শতাংশই নারী।
তিনি নারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সমাজের একটা অংশকে বাইরে রেখে সেই সমাজ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। আমাদের দেশের নারী-পুরুষ সকলকেই যদি আমরা উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরী করতে পারি তাহলে সমানভাবে দেশটা দ্রুত উন্নত হবে। এজন্য নারী উদ্যোক্তা আমাদের দরকার।
যেহেতু শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এসএমই ফাউন্ডেশন থেেেক নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সেক্ষেত্রে পুরুষরা ঘরের নারীদের (স্ত্রী-কন্যা-বোন) নামে, তাদের সঙ্গে নিয়ে এখানে যুক্ত হতে পারেন বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘কেননা অন্যত্রতো আর ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাবে না। কাজেই পুরুষরা বিশেষ করে আমাদের যুব সমাজ এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন। কারণ আমরা চাই আমাদের শিল্পখাতে আরো উদ্যোক্তার সৃষ্টি হোক’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭-০৮ অর্থবছরের জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ছিল ১৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে ৩৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি সুচকে বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭শ’ ৯৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যা বিএনপির শাসনামলে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ছিল মাত্র ৫শ ৪৩ মার্কিন ডলার।
কোভিড-১৯ অতিমারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে ঘিরে স্যাংশন ও পাল্টা স্যাংশনের বিরূপ প্রভাবে বিশ^ অর্থনীতির মন্দাভাবে মূল্যস্ফীতি না ঘটলে এটাকে আরো উন্নতি করা যেত বলেও তিনি অভিমত দেন। এরসঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩’ বিজয়ী সাতজন মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআই এর সভাপতি মাহবুবুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. মো. মাসুদুর রহমান। ২০২৩ সালের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী এসএমই উদ্যোক্তাদের পক্ষে ’রংপুর ক্রাফটস’ এর স্বত্ত্বাধিকারি স্বপ্না রানী সেন অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত ২০২৪ থেকে ২০২৮ কর্মপরিকল্পনার ওপর রচিত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে ‘এসএমই মেলা ২০২৪’ এর ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
এবারের মেলায় অংশ নেওয়া সাড়ে তিন শ’র বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এ ছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবসহ আরও প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করছে।
আগামী ২৫ মে শনিবার পর্যন্ত চলমান এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তাঁর সরকার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মান করায় আজকে পদ্মার ওপারেও বিশাল কর্মক্ষেত্র উন্মুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মার ওপারে যে জেলা বা ইউনিয়নগুলো রয়েছে সেখানকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। সেখানেও বিনিয়োগের বিরাট সুযোগ এসে গেছে। এসব এলাকায় ‘এসএমই’ (ফাউন্ডেশন) আরো বেশি কাজ করতে পারে এবং এখানে অনেক উদ্যোক্তার সৃষ্টি করতে পারেন।
তিনি শিল্পক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমরা আরো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে আমাদের আরো উদ্যোক্তা এবং কাজের লোক প্রয়োজন পড়বে। আমাদের দেশের মানুষকে কাজ দিতে হবে।
তিনি বলেন,‘আমরা যখন পদক্ষেপ নেব সে সময় বিশেষ করে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনকে খেয়াল রাখতে হবে যে শ্রমঘন শিল্প যেন আমাদের দেশে গড়ে ওঠে।’
শ্রমবান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শ্রমিকদের বিষয়ে সকলকে আন্তরিক হতে হবে। আপনি যদি বেশি কাজ চান তাহলে তাদেরকে সেই কর্মপরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘শুধু হুকুম দিয়ে হয়না। হুকুম দিয়ে যা অর্জন করতে পারবেন, ভালবাসা দিয়ে পারবেন তারচেয়ে অনেক বেশি। আস্থা-বিশ^াস অর্জন করে আরো বেশি আপনি কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। সেদিকে অবশ্যই সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।’
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা যে সুবিধাগুলো দিচ্ছি সেটা তাদের (নারী) গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে আমাদের নারীদের আরো বেশি উদ্যোক্তা হতে হবে।
বিশেষ করে যাতে সকলে (নারী-পুরুষ) যৌথভাবে কাজ করতে পারে সে ব্যবস্থাটা আমাদের করতে হবে।
তাঁর সরকার এ বছর ‘হস্তশিল্প’কে বর্ষ্যপণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে উল্লেখ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হস্তশিল্পের ব্যবহারের প্রসংগ টেনে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সুপ্ত মেধা বিকষিত হবার একটি সুযোগ লাভ করে। সেজন্যই তাঁর সরকার একে বেশি সুযোগ দিচ্ছে। বিদেশে এর আলাদা কদর রয়েছে। কাজেই রপ্তানী বহুমুখিকরণ করার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার যাতে সৃষ্টি হয় সেজন্য দারিদ্র বিমোচন করে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে দৃষ্টি রেখে তাঁর সরকার অর্থনৈতিক নীতিমালা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন,এসএমই খাতের উন্নয়নে আমাদের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের পাশাপাশি উন্নত বিশে^ ভোক্তাদের চাহিদানুযায়ী শতভাগ রপ্তানীমুখি পণ্য উৎপাদনে আরো মননিবেশ করতে হবে। কেননা এখন ইকোনমিক ডিপ্লোমেসির যুগ। সে ভাবেই বহি:বিশে^ আমাদের দূতাবাসগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যে যেখানে অবস্থান করছেন সেখানকার চাহিদানুযায়ী পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার প্রচেষ্টা এবং বিনিয়োগ নিয়ে আসার প্রচেষ্টার ওপরও জোর দেন তিনি।
আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশবাদ ব্যক্ত করেন, এই এসএমই পণ্য মেলার মাধ্যমে দেশের মানুষেরা আরো জানতে পারবে এবং উৎসাহিত হবে। আরো উদ্যোক্তা তৈরী হবে এবং এই মেলার মাধ্যমেই আমাদের এসএমই ফাউন্ডেশন আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। ফলে বিদেশে পণ্য রপ্তানী আরো বাড়ানো সম্ভব হবে এবং দেশেও আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন,‘আমার বিশ^াস দেশীয় এসএমই শিল্পের উন্নয়নে এই মেলা ক্রমান্বয়ে আন্তর্জাতিক মাত্রা পাবে এবং এরফলে দেশীয় পণ্যের প্রসারও ঘটবে। নতুন নতুন শিল্প স্থাপন,কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে বলেও আমি বিশ^াস করি।’
তিনি বলেন,আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা যারা তাদের প্রতিই আমি মনে করি বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ তারাই একসময় বড় শিল্পে পরিণত হবে।
রাজনীতি

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছে, সে কারণে আবোল তাবল বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগের লোকজনই ভোট দিতে যায়নি’ বিএনপি নেতাদের এ দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের এ দাবি সত্য নয়। উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ৩০থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। জাতীয় নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪২ শতাংশেরও বেশি। তারা কি এদেশের মানুষ নয়?

তিনি বলেন, ৪২ শতাংশ যদি ভোট প্রদান করে তাহলে ভোটাররা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলো কেমন করে? আসলে বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছেন। যা খুশি তাই বলেন ফ্রি স্টাইলে। এর বাস্তবতা নেই। তারা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।

বিএনপি আবারো আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আন্দোলন করার অধিকার আছে। আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলে আমরা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করব। আর যদি আন্দোলন রূপ নেয় আগুন সন্ত্রাসে যে চেহারা তারা অতীতে দেখিয়েছে তাহলে সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নেবে। রাজনৈতিকভাবেও আমরা মোকাবেলা করব।

রাজনীতি

বিএনপির নেতাকর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোই সরকারের প্রধান কর্মসূচি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। পল্টন থানার একটি মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। এজন্য দেশব্যাপী প্রতিদিনই বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে।

আর এ ধরনের অপকর্মের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে, দেশের বিরোধী দলগুলো যেন দখলদার সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে না পারে। মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠাচ্ছে। এটা যেন ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী’ সরকারের প্রধান কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইশরাক হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো সেই কর্মসূচিরই নিরবচ্ছিন্ন অংশ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ ধরনের অমানবিক ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। অবিলম্বে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারসহ তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে সুন্দর ও উন্নত জীবন দিতে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তাঁর দল দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবার নির্বাচনের সময় চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবেলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আজ সকালে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাঁকে গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে আসা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।

’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনা এক রকম জোরকরেই দেশে ফিরে আসেন। এরআগে তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাঁকে সর্বস্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। ঝড়-ঝাঞ্ঝা বিক্ষুদ্ধ সেই দিনে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে লাখ লাখ জনতা তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানায়।

তিনি যখন দেশে ফেরেন তখন যুদ্ধাপরাধি এবং জাতির পিতার হত্যাকারিরা ক্ষমতায় ছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর পাশে ছিল বাংলাদেশের জনগণ। তিনি জানতেন তাঁকেও তাঁর বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যবরণ করতে হতে পারে। কিন্তু দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি ছিল তাঁর আস্থা।

শেখ হাসিনা বলেন ‘আমি আমার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলবো, আমার সব শক্তি-সাহস মা-বাবার কাছ থেকে পেয়েছি।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় এত বড় সংগঠন চালানোর অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী, বৃহত্তম এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে।

আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ উল্লেখ করে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগুতো পারে না। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ, আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল। দেশের কোন উন্নতি করতে পারেনি। তারা বরং শত শত সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অমানবিক নির্যাতন ও হত্যা করেছে। এ সময় প্রতিরাতে কারফিউ বলবৎ রাখার জিয়াউর রহমানের কারফিউ গণতন্ত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের অগনিত নেতা-কর্মীর গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ও আত্মাহুতির কথাও তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর উন্নয়নের মূলমন্ত্র তুলে ধরে বলেন, কী পেলাম, না পেলাম সেই চিন্তা করেনি। ভবিষ্যত কী সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যত যেন আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

দলীয় নেতাদের আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, এটাই মনে রাখবেন একটা দল করি শুধু নেতা হওয়ার জন্য নয়, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম। এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এই কথা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।

সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

‘দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকার পেয়েছিল, তা তারা পুন:প্রতিষ্ঠা করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার ও জয় বাংলা স্লোগান এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু জয়বাংলা শ্লোগান আবার ফিরে এসেছে এবং জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ^ ঐতিহ্যের প্রামান্য দলিলে যেমন স্থান করে নিয়েছে। তেমনি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই যত ষড়যন্ত্র হোক, বিদেশি শক্তির চাপ আসুক আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না।

শুক্রবার বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে এদিন নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়। সকাল ৯টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলের সব সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও প্রার্থনা, গরিব-অসহায় এবং পথচারি-এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

আলোচনায় সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়েছিলেন। অথচ তিনি এখন বেসামাল হয়ে আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছেন। আমি তাকে বলতে চাই, আজ বন্দিদের মুক্তি নিয়ে কথা বলতে লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের ৬২ হাজার নেতাকর্মীকে জেলে দিয়েছিল। আপনাদের (বিএনপি) কতজন নেতা জেলে আছে? আমাদের ৩ হাজার নেতাকর্মী ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি নাস্তা খেতে খেতে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ফাঁসি দিয়েছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলে আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফখরুল সাহেব বিদেশি কোনো শক্তি নয়, আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ ও সংবিধান। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বণি ও জয় বাংলার চেতনা। শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তিনি ষড়যন্ত্র ও বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না। তিনি বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে অনেকে বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাকি স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। এই কথা তথ্য নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতাবিরোধী কারাগারে ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তাদের মুক্ত করে দেয়। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল ৭১৩ জন। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়া কী করেছিল এর প্রমাণ আছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি জিয়া দিনে কারফিউ দিতেন এবং রাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নির্যাতন করতেন। এটাই ছিল জিয়াউর রহমানের চরিত্র।

আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গ্রামে গ্রামে ঘুরে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। তার কঠোর পরিশ্রমেই আজকে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। তিনি এসেছিল বলেই আজ বাংলার মানুষ তাদের ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জীবনের ঝঁকি নিয়ে শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজ কথা বলার অধিকার পেয়েছি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। গণতান্ত্রিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা পেয়েছি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কবি নির্মলেন্দু গুণ ও দুজন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য।

রাজনীতি

‘বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে দখলদার সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর এবং কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফখরুল বলেন, ‘৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ আওয়ামী লীগ শাসকগোষ্ঠী এখন আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে। মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপকৌশলের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায় সরকার। এজন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল, ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে অব্যাহতভাবে। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠাচ্ছে। এর মাধ্যমে দখলদার আওয়ামী সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে। মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা আওয়ামী জুলুমেরই ধারাবাহিকতা।’

তিনি বলেন, ‘সারা দেশে প্রতিনিয়ত সরকারের মদদে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণ করার ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন যা টেকসই উন্নয়নের মূল উপাদান।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে।’

তিনি আজ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘আইসিপিডি-৩০: জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ইভেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণে এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া এবং জাপান ও ইউএনএফপিএ’র সাথে একত্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক। এই সংলাপ পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জগুলো এবং সুযোগগুলো খুঁেজ বের করে আলোচনার বিশ্বের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের রূপান্তর একটি সমৃদ্ধ বৈশ্বিক ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই লক্ষ্য অর্জনে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা খাতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের পরিমাণ ও সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও আন্তরিক হতে হবে।’

সরকার প্রধান বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই বৈশ্বিক সংলাপ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অব দ্যা ফিউচার’-এর জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নে সহায়ক হবে।

জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘সামিট অব দ্যা ফিউচার’-এর ঘোষণাপত্রে দৃঢ় রাজনৈতিক প্রত্যয় ব্যক্ত করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও কার্যকর ভূমিকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সেখানে মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সকলের বিশেষ করে নারী ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে জনস্বাস্থ্যসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বিশ্বের সকল মানুষের বিশেষ করে মা, শিশু ও বয়স্ক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বৈশ্বিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

সরকার প্রধান আরো বলেন, ‘একইসঙ্গে সংঘাত ও রাজনৈতিক কারণে উপদ্রুত ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দেওয়াও অত্যন্ত জরুরী বলে আমি মনে করি।’

এই সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারি রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই-বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং ইসরায়েলের গণহত্যা ও আগ্রাসনের ফলে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের কথা। বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু ফিলিস্তিনে আজ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট বিষয়ক সংসদীয় উপ-মন্ত্রী ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ।
দেশের স্বাস্থ্য খাতে তাঁর সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা ‘আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন’-এর ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন করি।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে পরিণত করতে জাতীয় জনসংখ্যা নীতিমালা-২০১২কে আরো হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি আমরা জাতীয় জনসংখ্যা নীতিমালা-২০১২ কে হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হালনাগাদ নীতিমালার মাধ্যমে কর্মক্ষম জনগোষ্টিকে দক্ষতা উন্নয়ন, অগ্রগতি, এবং বুনিয়াদি শিক্ষার মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে পরিণত করা হবে। এই নীতিমালা ২০৪১ সাল থেকে ২০৬১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের ফলে দেশের মানুষের গড় আয়ু ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ বছর ৩ মাসে পৌঁছেছিল।

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ কর্মক্ষম।’

মাতৃমৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি।

স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে তাঁর সরকারের চালু করা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০ প্রকারের প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে বিতরন করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে ‘স্কিলড বার্থ এটেনডেন্স’ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে।

এছাড়াও, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এরমধ্যে, ২,২০০টি কেন্দ্র হতে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতিসেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৩ হাজার মিডওয়াইফারি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

বিভিন্ন জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে ‘শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র’ স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরফলে বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২১ জন। যা ২০০৬ সালে ছিল হাজারে ৮৪ জন। একইভাবে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ২০০৬ সালের ৩৭০ জন থেকে ১৩৬ জনে হ্রাস পেয়েছে।

বাল্য বিবাহ, যৌতুক ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী হিসেবে না দেখে তাদের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে তৈরি করতে হবে।’
তিনি বলেন, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আমরা ১ হাজার ২৫৩টি ইউনিয়ন পর্যায়ের সেবা কেন্দ্রে কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা কর্নার প্রতিষ্ঠা করেছি। পাশাপাশি ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৫০ লাখ কিশোরীকে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ এবং স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণে দেশব্যাপী ‘স্কুল মিল’ চালু করা হয়েছে।

২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের বিশ্বের সর্ববৃহৎ কর্মসূচি চালুর অংশ হিসেবে ২০২৪ পর্যন্ত প্রায় ৪৬৪ কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান সরকার প্রধান। উপরন্তু নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত উপবৃত্তি ব্যবস্থা চালু এবং দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার জাতীয় বাজেটের মোট ৩০ শতাংশ নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য বরাদ্দ রেখেছে। বেইজিং ঘোষণা ও কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ও জাতীয় কর্মসূচি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের শ্রম শক্তির ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ নারী, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আইসিটি খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ’ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট-২০২৩’ অনুযায়ী রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম এবং এই অঞ্চলে প্রথম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারী প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ আগের সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় ৩৮ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি ছিল।

রাজনীতি

বিচার প্রার্থীরা যাতে সহজে ন্যায় বিচার পেতে পারে সেজন্য সর্বোচ্চ আদালত সহ সকল আদালতের বিচারকদেরকে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট হচ্ছে বিচার প্রার্থীদের বিচার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল। তাই, বিচারকার্যে বিচারপতিগণ তাঁদের মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবেন।”

আজ বিকেলে বঙ্গভবনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতি নতুন বিচারপতিদের অভিনন্দন জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, জনগণ যাতে দ্রুত ও সহজে ন্যায় বিচার পায় সেজন্য নতুন বিচারপতিগণ তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতি- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম এবং বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো: ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস. এম সালাহউদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিতে নিতেই মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। আমাদের আলোচনা সেই লক্ষ্যেই হয়েছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লু-কে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে সেখানে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে।

তিনি বলেন, ডোনাল্ড লু’ বলেছেন আমাদের ব্যবসাকে আরও সম্প্রসারিত করার জন্য। যেই জিএসপি সুবিধা আমরা আগে পেতাম এখন পাই না, সেটি তারা ফিরিয়ে দিতে চায়। রি ইন্ট্রোডিউস করলে তারা জিএসপি সুবিধা বাংলাদেশকে আবার দিতে চায়। তবে সেটি এখনও রি ইন্ট্রোডিউস হয়নি। সেজন্য আমাদের লেবার পলিসিটা একটু রিভিউ করতে হবে, যেটি আমরা রিভিউ করছি। সেটি নিয়ে গতকাল আইনমন্ত্রীর সঙ্গে তার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে আমাদের রিজার্ভ শক্তিশালী করার জন্য তাদের ডেভলপমেন্ট ফিন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) থেকে বাংলাদেশকে অর্থায়ন করতে চায়। একই সঙ্গে আমাদের ট্যাক্স সিস্টেমকে আধুনিক করার জন্য আমাদের সহায়তা করতে চায়। ট্যাক্স ফাঁকি যেটি দেওয়া হয় সেটি যেন করতে না পারে সেজন্য তারা আমাদের সহায়তা করতে চায় ট্যাক্স কালেকশনের ক্ষেত্রে। এলডিসির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের সহায়তা চেয়েছি। তিনি বলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিস্তৃত করার জন্য তারা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি।

ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যাতে আরও ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যায়, পড়াশোনা করতে পারে এবং নারীর ক্ষমতায়নে তারা আমাদের সহায়তা করতে চায়। আমি একটি প্রস্তাব দিয়েছি যে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যেন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম স্টাবলিস করা হয়। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চায়, আমরাও চাই। তিনি সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এ সফরে এসেছেন। রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি।

র‌্যাব, শ্রম আইন ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে ডোনাল্ড লু’র মন্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়নি। সে প্রসঙ্গ আসেনি। র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে কথা হয়েছে। সেটি আমাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিল। এটি প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে এটির প্রক্রিয়াটি একটু লম্বা। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি একমত হয়েছেন আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

নির্বাচনের আগে তিক্ত সম্পর্ক হয়েছিল, ডোনাল্ড লু’র সফরের ফলে কি সেটি আর থাকছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আপনার ভাষায় তিক্ততার সম্পর্ক, আমি সেটি এভাবে দেখতে চাই না। কারণ বিভিন্ন দেশের নানান কনসার্ন থাকে, তারা সেই কনসার্নগুলো ব্যক্ত করেছিল। দেশে অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি ৪২ শতাংশ ছিল। আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থী পরাজিত হয়েছে। এমনকি মন্ত্রীও পরাজিত হয়েছেন। সে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি।

তিনি আরও জানান, তারা জলবায়ু ইস্যুতে সহায়তা করতে চায়। ভিসানীতি ইজ ডরমেন্ট (সুপ্ত) নাও। সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা হয়নি।

তিনি বলেন, গাজায় শান্তি স্থাপন করার বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। তিনি (ডোনাল্ড লু) বলেছেন ইউএস অত্যন্ত টায়ারড লেসলি (অক্লান্তভাবে) কাজ করছে যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিনি আমাকে যেটুকু বলেছেন- ‘আমরা আশাবাদী’। আমরা বলেছি গাজায় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নিরীহ শিশুদের, নারীদের হত্যা করা হচ্ছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু। এটি আসলে মেনে নেওয়া যায় না। আমি বলেছি টেলিভিশনে যখন এগুলো দেখি তখন টেলিভিশন দেখা কন্টিনিউ করতে পারি না। সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনিও একমত যে সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনি জানিয়েছেন সেক্রেটারি অব স্টেট মিস্টার ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য টায়ারডলেসলি কাজ করছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একই সঙ্গে গত ৫৩ বছরে আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে ডোনাল্ড লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।

রাজনীতি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এতটুকুও খুশি না। আমরা যেটা দেখিছি, এ বছর একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছেন। এটা তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এখনো অব্যাহত রেখেছেন। হিউম্যান রাইটসের রিপোর্টে যে তথ্য বেরিয়েছে, তাতে প্রমাণ হয়, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তারা খুশি না। যে কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তাদের অব্যাহত রাখতে হয়। এমনকি সামরিক শাসকদের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক রাখতে হয়। আজ বাংলাদেশের যে অবস্থা, সে পরিপ্রেক্ষিতে তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) দেশের প্রয়োজনীয়তা মনে করছে, সেটা করছেন। তারা কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করছেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বুধবার সন্ধ্যায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

এর আগে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। পরে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদলীয় রাষ্ট্রের এটাই বৈশিষ্ট্য, যারা রাষ্ট্রদূত থাকবেন, যারা সরকারি কর্মকর্তা থাকবেন এবং যারা বিভিন্ন সরকারি দায়িত্বে থাকবেন-তারা শুধু যে দল (ক্ষমতায়) আছে, তাদের পক্ষেই কথা বলবেন। তারা বাইরে যে কাজগুলো করেন, সেটা বাংলাদেশ প্রমোট করে না। তারা আওয়ামী লীগকে প্রমোট করে। আওয়ামী লীগকে প্রমোট করার কারণেই তারা বাইরে কিছু লোককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।’

লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন। গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ। অন্যদিকে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, সভাপতি পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বাংলাদেশ পিপলস পার্টির পক্ষে দলটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাবুল সরদার চাখারি, কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী, এআর জাফর উল্লাহ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হারুনুর রশিদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর হোসেন খাদিজা আক্তার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গণফোরাম (একাংশ) ও গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক সূত্র জানায়, লিয়োজোঁ কমিটির বৈঠকে নেতারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কার্যকরী কর্মসূচির প্রস্তাব জানান।

এছাড়া একদফার আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণগুলো শনাক্ত এবং এর সমাধানের পক্ষে জোর দেন। পাশাপাশি আগামী দিনের কর্মসূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমমনা দলগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলেন নেতারা। গণতন্ত্র মঞ্চের একজন নেতা বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোল কর্মসূচিতে গণতান্ত্রিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

একদফার আন্দোলনকালীন সমমনা দলগুলোর শীর্ষ নেতারা মাঠে থাকলেও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অনুপস্থিতির বিষয়গুলোও আলোচনায় উঠে আসে। এছাড়া ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির পাশাপাশি শিগ্গিরই সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার পক্ষে মত দেন উপস্থিত নেতারা।

আ.লীগের কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত দেশ : এদিকে ফারাক্কা দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের কারণে বাংলাদেশের মানুষ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত। ৪৮ বছর আগে অবিসংবাদিত মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারা দেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চে অংশ নেয়।