রাজনীতি

মিয়ানমার সীমান্ত সরকারের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ওসেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ কারও সঙ্গে কখনও নতজানু আচরণ করেনি। মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর নজরদারি করছে বাংলাদেশ,আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’

ওবায়দুল কাদের আজ রোববার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়েছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। সেন্টমার্টিনে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা করেছে আরাকান আর্মি। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বাহিনী সেটা করেনি।

সেন্টমার্টিনে খাদ্যবাহী জাহাজ নিয়মিত যাতায়াত করছে জানিয়ে ওবায়দুর কাদের বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাই। গায়ে পড়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধানোর কোনো প্রয়োজন নেই বাংলাদেশের।

তিনি বলেন,আমরা কারও সঙ্গে কখনও নতজানু আচরণ করিনি,করবো না। কয়েক দিন আগে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

সেন্টমার্টিন দখল হয়ে যাচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত এসব গুজব ছড়াচ্ছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা যারা অনুপ্রবশ করেছিলো,তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিএনপি পারে শুধু অর্বাচীনের মতো হাস্যকর মন্তব্য করতে। এখনও সেটাই করছে। সেনাবাহিনীসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা সতর্ক অবস্থায় আছে।

তিনি বলেন,রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতেই হবে। সেই কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত আছে। আমরা কোনো নতজানু আচরণ করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে যেভা‌বে গোলাগুলি করা হচ্ছে তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর প্রচণ্ড রকম হুমকি। এমন‌কি সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে সাগরে দেখা যা‌চ্ছে মিয়ানমারের বড় বড় যুদ্ধ জাহাজ। দুর্ভাগ্যের কথা হচ্ছে বর্তমানে সরকার যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে এদের কাছে দে‌শের সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে প্রভাব বিস্তার করছে না।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই সরকার দুর্বল। বিদেশের উপর নির্ভর করে তারা ক্ষমতায় টিকে আছে। যে কারণে তারা মিয়ানমার সম্প‌র্কে একটা কথা পর্যন্ত বলতে সাহস পায় না। মিয়ানমার থেকে সেন্টমার্টিনে গুলি হচ্ছে; মারাও গেছে লোক। অথচ এ নি‌য়ে সরকার কোনো কথা বলে না। এটা আমরা তীব্রভাবে নিন্দা জানাই। আমরা মনে করি এই ইস্যুতে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।

রোববার বিকাল ৩টায় ঠাকুরগাঁয়ে পৈত্রিক বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব এ সব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, একটা ভিন্ন দেশ থেকে আমার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সমুদ্রসীমানার যে পথ ওই পথে আমরা যাতায়াত করতে পারছি না। সেখানে গোলাগুলি করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকার এখন পর্যন্ত একটা সিরিয়াস স্টেটমেন্ট পর্যন্ত আন্তর্জা‌তিক সম্প্রদা‌য়ের কা‌ছে তু‌লে ধর‌তে পা‌রে‌নি। আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত হানছে তারা (সরকার) বলছে আমরা দেখছি। এই দেশের জনগণ সরকা‌রের কা‌ছে আশা করে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, স্বাধীনতা রক্ষা করবে, সেখানে মায়ানমার ইস‌্যু‌তে কোন রকম কথায় আমরা শুনতে পাচ্ছি না।

বর্তমান সরকারের অব্যবস্থাপনা তু‌লে ধ‌রে মির্জা ফখরুল ব‌লেন, এবার ঈদ সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত খারাপ ভাবে এসে‌ছে। মুদ্রাস্ফীতি যেভাবে বেড়েছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সেটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোরবানির পশুর হাটগু‌লো‌তে গে‌লে। সেখা‌নে মানুষ পশু কিন‌তে পার‌ছে না। হাটবাজারে গিয়ে দেখা যাচ্ছে যেসব জিনিসের দাম অনেক কম ছিল, সেগুলোর দামও এখন আকাশচুম্বী। ঢাকাতে দেখা যায় পশুর হা‌টে কোনো লোক নেই। এটার কারণ একটাই তা হ‌চ্ছে মানুষের আর্থিক অবস্থা চরমভাবে খারাপ হচ্ছে। এই সরকার দেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে। এবং অর্থনীতিকে চরম খারাপ অবস্থায় নিয়ে এসেছে। দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা বলেছেন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ও নাজুক।

সাবেক পুলিশের প্রধান বেনজীর ও সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ সম্পর্কে বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, যেসব কর্মকর্তা কর্মচারীরা মনে করছেন আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে লুটপাট করে তারা টিকে থাকতে পারবেন, আলটিমেটলি টিকে থাকা যায় না। আজিজ এবং বেনজীর তার একটি প্রমাণ। লুট করলে চুরি করলে অন্ধের মতো অজনপ্রিয় ম্যান্ডেটবিহীন সরকারকে সমর্থন করলে সেখানে টিকে থাকা যায় না। দেখেন ওই সরকারই তাদেরকে আজ বলির পাঠা বানিয়েছে। আজকে পত্রিকায় দেখলাম ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার বিশাল ফিরিস্তি বের হয়েছে। সব এক এক করে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে।

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম,সদর উপ‌জেলা বিএন‌পির সভাপ‌তি আব্দুল হা‌মিদ ও অ্যাড‌ভো‌কেট আব্দুল হা‌লিমসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “ইউএই’র বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ নিয়ে আসতে পারে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ সকালে গণভবনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ খাসেফ আলহামউদির সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ইউএই রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ চাকরি নিশ্চিত হয়ে বাংলাদেশি জনশক্তিকে ভিসা দেবে।

খানের মতে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন যে তারা বাংলাদেশ থেকে জনবল নেবেন যাদের জন্য চাকরি অপেক্ষা করছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে কোনো অবৈধ অভিবাসীকে অনুমতি না দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।

“উভয় দেশ এই বিষয়ে আরও সচেতন হতে সম্মত হয়েছে,” যোগ করেন তিনি।

বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কিছু মন্ত্রী খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার নতুন উপায় খুঁজবেন।

তিনি বলেন, “আমাদের ইতোমধ্যেই বেশ বিস্তৃত এবং গভীর বন্ধন রয়েছে, তবে আমরা এটিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগ্রহী।”

আলহামউদি উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২০,০০০ মানুষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস প্রতিদিন প্রায় ১০০০টি ভিসা দিচ্ছে, সরাসরি ৫০০ এবং ৫০০টি এজেন্টদের মাধ্যমে।

রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ইউএই’র প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম তাঁকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেহেতু সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ প্রত্যাশ করেছেন সে বিষয়ে আলহামউদি বলেন, যারা আগামী দিনে বাংলাদেশ সফর করতে আসা ইউএই’র মন্ত্রীগণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।

ইউএই রাষ্ট্রদূত কন্টেইনার টার্মিনালসহ বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, সরকার সব সেক্টরে সবকিছুর গতি বাড়াচ্ছে। “আমরা গতি বাড়ানোর জন্য সবকিছু করছি,” বলেন তিনি।

ইউএই রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশের একটি কোম্পানি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচলে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম (এপিআইএস) সরবরাহ করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, প্রক্রিয়াটি মূল্য আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়টি এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

নিরাপত্তার কারণে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে এখন ভ্রমণের আগে এয়ারলাইন্স থেকে যাত্রীদের বিস্তারিত তথ্যের প্রয়োজন হয়। এটি অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন (এপিআই) নামে পরিচিত।

রাজনীতি

মিঠা পানির মাছ আহরণে চীনকে টপকে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

আজ বুহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ সব কথা জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ এন্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২৪ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ এই অবস্থানে উঠে এসেছে। অন্যদিকে বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম স্থান, ক্রাস্টাশিয়ান্স উৎপাদনে বিশ্বে ৮ম এবং সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ১৪তম স্থান অধিকার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, অতিরিক্ত সচিব জনাব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব সৈয়দ মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ এন্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনের মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে ২য়। অপরদিকে বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে ৩য়। বিগত দুই বছরে বাংলাদেশের মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন টন হতে বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৩২ মিলিয়ন টন এ উন্নীত হয়েছে। পক্ষান্তরে চীনের উৎপাদন ১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টন থেকে কমে ১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন টন হয়েছে। ফলে দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ এন্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২৪-এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশ চীনকে টপকে ২য় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে- যা বর্তমান সরকারের একটি অভাবনীয় সাফল্য।

মো. আব্দুর রহমান আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু আবেগঘন এক বক্তব্যে বলেছিলেন- আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমার মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইলস্টক আছে। এসব ডেভেলপ করতে পারলে এদিন আমাদের থাকবে না। তার সেই কথা আজ বাস্তবায়ন হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিকনির্দেশনা ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর ২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়। বর্তমান সরকারের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনায় মৎস্যখাতে সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের সফল বাস্তবায়নের ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মৎস্য উৎপাদন হয়েছে ৪৯ দশমিক ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন।

মন্ত্রী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে সেক্টরাল এ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়নপূর্বক তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়াও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক “সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ” শীর্ষক একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে- যা সুনীল অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা সংযোজনের পাশাপাশি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে জানান মন্ত্রী।

আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত এবং কৃষিখাতকে গুরুত্ব দিয়েছেন। নিজে মাছ চাষ করছেন। এটি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ১ কোটি ৭ লাখ, সেখানে প্রস্তুত আছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। ফলে চাহিদার চেয়ে যোগান বেশি আছে।

চাহিদার বেশি যোগান বেশি থাকলে গরুর দাম এতো বেশি কেন- এ প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, বাজারে কারসাজি করে দাম বৃদ্ধি করলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাছ চাষে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জ। তবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, কারেন্ট জাল গোটা বাংলাদেশকে ছেয়ে ফেলেছে। কারেন্ট জাল দিয়ে মাছের রেনু পোনা পর্যন্ত ধরে ফেলা হচ্ছে।
তিনি এর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

রাজনীতি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আপনার সরকার লুটেরা ও টাকা পাচারকারীদের প্রতিনিধি। আপনার সরকারের মুখ ঢাকতেই আবারও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিষোদগার শুরু করেছেন। আপনার হুকুম পৃথিবীর সর্বত্র তামিল হবে না জেনে মাঝেমাঝেই বিষাক্ত গরল উদগীরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এসেছেন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা ২১শে আগস্টের বোমা হামলার মামলায় তারেক রহমানসহ ১৫ জন পলাতক রয়েছে বলে উল্লেখ করে এখন নাকি তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাবেন বলে জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে বোমা হামলায় তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাদেরকে ফরমায়েশি রায়ে যে সাজা দেওয়া হয়েছে সেটি যে সাজানো মামলায় ফরমায়েশি সাজা তা আজ সর্বজনবিদিত।

রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে কব্জায় নিয়ে এই সাজা যে প্রতিহিংসা পূরণের সাজা সেটি আজ বিশ্ব গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। অহেতুক ক্রোধ ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। ভারত থেকে ফিরে এসে তাকে যেন মনে হচ্ছে তিনি শক্তি সঞ্চয় করে এসেছেন। তিনি এখন যে শ্লাঘা বোধ করছেন তার মধ্যে সঞ্চিত আছে ভারতের আশ্রয়। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসামূলক বক্তব্যে কানফাটানো আওয়াজে প্রায়শ:ই শোনা যায়। যখন তিনি সম্পূর্ণরুপে দিশেহারা হয়ে পড়েন তখনই তার ক্রোধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, কেন্দ্রীয় নেতা শাম্মী আক্তার প্রমুখ।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে আজ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লি থেকে দেশে ফিরেছেন ।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট আজ সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করে।

এরআগে ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নয়াদিল্লির ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে রওনা দেয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব (পূর্ব) জয়দীপ মজুমদার, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার নয়াদিল্লি যান শেখ হাসিনা।

রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি একান্তে বৈঠক করেন।
বৈঠকে শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তার ভারতীয় সমকক্ষকে অভিনন্দন জানান এবং তাকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

বৈঠকে দুই নেতা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে আরো দৃঢ় করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিন টানা তৃতীয়বারের মত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস ও সিশেলস-এর শীর্ষ নেতারাও মোদির শপথ-গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।

নেতৃবৃন্দ পরে একই সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেন।
এছাড়া, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে আজ সকালে তাঁর আবাসস্থলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

পরে, ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং এর প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন।

এর আগে রোববার সকালে শেখ হাসিনা বিজেপির সিনিয়র নেতা এল কে আদভানির সঙ্গে তার নয়াদিল্লির বাসভবনে দেখা করেন এবং কুশল বিনিময় করেন।

পরে বিকেলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনে কথোপকথনের সময় তার সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য তার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষকে আমন্ত্রণ জানান। শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
মোদির বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রাটিক এলায়েন্স ২৯৩টি আসন নিয়ে সাধারণ নির্বাচনে জিতেছে এবং ভারতের বিরোধী দল ২৩৪টি আসন পেয়েছে।

রাজনীতি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে দেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, ঢাকা সিটি’র দুই মেয়র এবং ঢাকা জেলার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কে প্রতিপক্ষ তা বিবেচ্য নয়। প্লাটিনাম জয়ন্তীতে সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাবে আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রস্তুতি গ্রহনের এই সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হতে যাচ্ছে। ২৩ তারিখ সকালে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে প্লাটিনাম জন্মজয়ন্তী উদযাপনের শুভ উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ২৩ তারিখ বিকেল তিনটায় আলোচনা সভা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও হাতির ঝিলে নৌকা বাইচ ও সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে।

সারাদেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হবে বলেও জানান কাদের।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দলের কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ খোকন এমপি ও ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন চৌধুরী নিখিল এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে বাংলাদেশের জনপ্রত্যাশাকে ভারতের নতুন সরকার মর্যাদা দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘আধুনিক কৃষি, অভিন্ন নদীর পানি আগ্রাসন এবং জলবায়ু ভারসাম্যহীনতা রোধে শহীদ জিয়ার ভ‚মিকা শীর্ষক’ এ সভা হয়।

এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহাদত হোসেন বিপ্লব।

নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোট তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। নিঃসন্দেহে আমাদের অনেক প্রভাবশালী প্রতিবেশী দেশ। ভারতের নতুন সরকারের কাছে একটাই আশা করব, তাদের দেশে যেভাবে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, এখনো তাদের নির্বাচন কমিশন যেভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, তাদের বিচার বিভাগ যেভাবে কাজ করতে পারে, আমরা ১৯৭১ সালে সেই লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম। আমরা দেশে গণতন্ত্রকে সেভাবেই প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি মোদি সরাকের নিকট প্রত্যাশা করে বলেন, ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশাকে মর্যাদা দেবে এবং সেভাবেই তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে।

বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাজেট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। সম্পূর্ণ বাজেটটাই হচ্ছে তাদের লুটপাটের।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের ক্ষুধার শেষ নেই। সবকিছু খেয়ে ফেলছে। সরকারের লোকজন যার যা খুশি তা–ই করছে। একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে দেশে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশের ৫৩ বছরের সব অর্জন ধ্বংস করে ফেলেছে। কোথাও কোনো বিচার নেই, ব্যবসা করতে গেলে সরকারের লোকজনকে চাঁদা দিতে হবে। এরা পরিকল্পিতভাবে দেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এমন উন্নয়ন করেছে সরকার, জনগণ এখন ঢাকা শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশ গভীর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। একদিকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক, অন্যদিকে ভৌগোলিক দিক থেকে। তিস্তার পানি নিয়ে বহু খেলা হচ্ছে। ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকেও এখন পর্যন্ত তিস্তার পানি চুক্তি করতে পারেনি এই সরকার। অথচ জিয়াউর রহমান তিস্তার পানির জন্য জাতিসংঘ পর্যন্ত গিয়েছিলেন।

আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে উলে­খ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে, এখন আমাদের লক্ষ্য যেমন করে হোক এই দানবকে সরিয়ে ফেলতে হবে। পথ একটাই- জনগণকে সংগঠিত করে আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করতে হবে।

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহসভাপতি নাসির হায়দার, মামুনুর রশীদ খান, এসএম ফয়সাল, খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, আনম খলিলুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুর রহমান টিপু, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জামসেদ আলী রিপন প্রমুখ।

রাজনীতি

মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে আজ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, মন্ত্রিসভার অন্যান্য মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বাজেট অনুমোদনের পর আজ বিকেলে অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে উত্থাপন করেন। এএইচ মাহমুদ আলী ২৬৫,০০০ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সহ ৭,৯৭,০০০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন।

ইতোমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) পরিবহন এবং যোগাযোগ খাতের জন্য সর্বোচ্চ ৭০,৬৮৭.৭৫ কোটি টাকা (বরাদ্দের ২৬. ৬৭ শতাংশ) বরাদ্দ রেখে ২৬৫,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এডিপি অনুমোদন করেছে।

এছাড়া এনইসি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের প্রায় ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেছে।
এই বরাদ্দসহ ২০২৪-২০২৫ এর জন্য এডিপি’র মোট আকার দাঁড়িয়েছে ২,৭৮,২৮৮ কোটি টাকা।

১,১৩৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২১টি সমীক্ষা প্রকল্প, ৮৭টি প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্প এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশন থেকে ৮০টি প্রকল্পসহ এডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা ১,৩২১টি।

মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ এডিপিতে সর্বোচ্চ ৩৮,৮০৯ কোটি টাকা (বরাদ্দের ১৫ শতাংশ) বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে।

রাজনীতি

প্রস্তাবিত বাজেটকে সংকটকালে বাস্তব সম্মত গণমুখী বাজেট বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সংসদে বাজেট পেশের পর জাতীয় সংসদ ভবনে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংকটের এই সময়ে গণমূখী বাজেট হয়েছে। দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া অঙ্গীকার ও অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় নিয়ে বাজেট দেয়া হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণেও ফোকাস থাকবে। বাস্তবসম্মত হয়েছে এই বাজেট।

বাজেট প্রণয়নে আইএমএফ-এর কোন প্রেসক্রিপশন মানা হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জববে সেতুমন্ত্রী বলেন, কারো প্রেসক্রিপশন মেনে বাজেট প্রণয়ন করা হয়নি। শেখ হাসিনা সরকার কারো প্রেসক্রিপশন মেনে চলে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার নয়, শনিবার নরেন্দ্র মোদির শপথ উপলক্ষ্যে দিল্লি সফরে যাবেন।