রাজনীতি

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলছেন, দেশ এখন লুটেরাদের কবলে।

এ বাজেটও হয়েছে লুটেরাদের জন্য। বাজেটে নতুনভাবে লুটের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রস্তাবিত তথাকথিত বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আয়ের যেসব খাত দেখানো হচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষের ওপর গিয়ে বোঝাটা পড়বে। ব্যয় মেটানোর জন্য যা করবে, সেটাও সাধারণ মানুষের ওপরই গিয়ে পড়বে। এ বাজেট হলো ঋণনির্ভর। সবটাই গিয়ে পড়বে মানুষের ওপর। বাজেটের সবচেয়ে খারাপ দিক হলো এখানে কর্মসংস্থান তৈরির মতো কোনো নির্দেশনা নেই। পুরো বাজেট মেগা প্রকল্পের, মেগা চুরি ও দুর্নীতির জন্য করা হয়েছে। সুতরাং এটি শুধু তথাকথিত গণবিরোধী নয় এটি বাংলাদেশবিরোধী বাজেট।

তিনি বলেন, মানুষ বোঝা আর টানতে পারছে না। চরম মূল্যস্ফীতি। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের যে দাম বেড়েছে, তা তাদের জন্য সহনীয় নয়। কয়েকদিন আগেই পেট্রল-ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়ে গেছে। বাজেটের পর আবারও এসবের দাম বাড়বে। আইএমএফের সঙ্গে চুক্তির ফলে প্রতি বছর চারবার করে দাম বাড়বে।

ফখরুল বলেন, বাড়তি পয়সা আমরা কেন দিচ্ছি? বিদ্যুৎ খাতে যে চুরি হয়েছে, সেটা সবাই জানে। কুইক রেন্টাল থেকে শুরু করে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনাসহ সবই তাদের (সরকার) পকেট ভারী করেছে। রূপপুর প্ল্যান্ট তো আর এগোচ্ছে না। কোথায় গেল পায়রা বন্দর, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ?

তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, কোন রাস্তায় সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করছেন? মানুষ তো আর পারছে না। বহু মানুষ কিন্তু শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছে। কারণ তারা ঢাকা শহরে আর টিকতে পারছে না। আর গ্রামে গিয়েও বিপদে পড়ছে, কারণ সেখানে কর্মসংস্থান নেই।

বৈধ আয় এবং কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা ন্যায়ভাবে আয় করে তাদের ওপরই তো পুরো চাপটা পড়ে। অন্যায়কারীদের জন্য কিছু হয় না। কী করে একজন সরকারি কর্মকর্তা হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হন? সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান কী করে এতো সম্পদ তৈরি করেন? এমন অনেক ঘটনা আছে। মালয়েশিয়ায় কর্মীরা যেতে পারলেন না। এটি সুশসানের অভাব এবং সরকারের চরম ব্যর্থতা। এখানে সরকারের চার-পাঁচজন সংসদ সদস্য জড়িত। কোথায় যাবে মানুষ? তাদের দাঁড়াবার জায়গা নেই।

ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ সংসদ তাদের। তারাই সরকারি দল, তারাই বেসরকারি দল। ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে এটি হয়েছে। পত্রিকায় দেখলাম, একজন সংসদ সদস্য বেনজীরের ওপর আলোচনা শুরু করলে তাকে থামিয়ে দেওয়া হলো। তার মানে সেখানে জনস্বার্থে কোনো কিছু বলা যাবে না।

রাজনীতি

প্রস্তাবিত বাজেট মোটেই জনবান্ধব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের নেতা জিএম কাদের।

বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের মধ্যে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। যা আয় হচ্ছে দেশের রাজস্ব বা অন্যান্য খাত থেকে, তার চেয়ে ব্যয় হচ্ছে বেশি। এটাকে মেটানো হচ্ছে সম্পূর্ণ ঋণ দিয়ে। দেশি ঋণ এবং বিদেশি ঋণ।’

‘আরেকটা মজার ব্যাপার হলো- আমরা অনেক সময় গর্ব করে বলি যে, আমরা কোনো সময় ডিফল্ট হই না। সব সময় আমরা ঋণের অর্থ পরিশোধ করছি। আমি গতবারও দেখেছি, এবারও দেখলাম, ঋণের অর্থ যেটা ফেরত দেওয়া হচ্ছে, সেটা ঋণ নিয়েই দেওয়া হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঘাটতি পূরণ করতে গিয়ে বৈদেশিক ঋণ হচ্ছে এক লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা। সুদ দেওয়ার পরে আমরা ব্যবহার করতে পারছি ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বাকি টাকা নেওয়ার সময়ই তাদের দিয়ে আসতে হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়া হচ্ছে এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। যেটা পরিচালন ব্যয় দেখানো হয়েছে, তার মধ্যে একটি বড় অংশ ঋণ। এখনো আমরা ঋণ নিয়ে পরিচালন ব্যয় চালাব।’

বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা জানিয়ে কাদের বলেন, ‘সরকার গতবার যে ঋণ নিয়েছে, তার জন্য মোট পরিচালন ব্যয় পাঁচ লাখ কোটি টাকার মতো, সেখানে থেকে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা কেবল অভ্যন্তরীণ আর বৈদেশিক ঋণের সুদ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।’

মূল্যস্ফীতি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই মন্তব্য করে বিরোধী দলের নেতা বলেন, ‘রাজস্ব আয় বাড়াতে করের হার বাড়ানো হয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতি কমার কোনো সম্ভাবনা এই বাজেটে আমি দেখছি না।’

বাজেট মোটেই জনবান্ধব হয়নি মন্তব্য করে জিএম কাদের বলেন, ‘জনগণের ওপর চাপ আসছে। অধিকাংশ আয় করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে পরোক্ষ করের মাধ্যমে। ফলে সাধারণ জনগণের ওপর কারের বোঝা বাড়বে।

‘সাধারণ জনগণের কোনো মুক্তির উপায় নেই, চাকরির সুবিধা নেই। যেহেতু বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না এবং সেটা আনারও কোনো বন্দোবস্ত নেই,’ যোগ করেন তিনি।

রাজনীতি

বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা বলেন।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ জাতিসংঘের অনেক কর্মযজ্ঞে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে এবং সেই কারণেই আমরা বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে বিবেচনা করি।’

জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে সে দেশের সেনাবাহিনী তরুণ রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে মহাসচিব জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে বাংলাদেশের অভিযোজন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলার সক্ষমতার প্রশংসা করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান নি¤œ আয়ের দেশের কাতার থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করলে গুতেরেস এই বিষয়ে বিশ্বসংস্থার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, ‘এই জন্য বাংলাদেশকে পুরস্কৃত করা উচিত, শাস্তিদান নয়’।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান ফিলিস্তিনের গাজায় সংঘাতসহ চলমান বিশ্বের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় মহাসচিবকে তার নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, রাফায় সংঘাত এড়াতে সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব যেভাবে নিজে উপস্থিত হয়েছিলেন, শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসী তার প্রশংসা করেছে।

এই সময় রোহিঙ্গা সঙ্কটের উপর বিশ্বের আলোকপাত বজায় রাখা, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার মর্যাদার সাথে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে জাতিসংঘের জোরদার ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জাতিসংঘ মহাসচিব গত দশকে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির প্রশংসা করলে ড. হাছান মহাসচিব গুতেরেসকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ অনেক আগেই সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানবিক সূচকসহ সকল সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে এবং গত কয়েক বছরে অনেক সূচকে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২১ সালে মাথাপিছু আয়েও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের দৃঢ় অংশীদারিত্ব এবং উন্নয়নে সহায়তার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের জাতিসংঘে যোগদানের অর্ধশত বছরপূর্তিতে গুতেরেসকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা ও মিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলটির মহাসচিব পদে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের থাকার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মির্জা ফখরুলের কি এই পদে থাকার বৈধ অধিকার রয়েছে? তার দলের গঠনতন্ত্র তিনি লংঘন করেছেন।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র পড়েছেন? মির্জা ফখরুল কত বছর থাকতে পারেন? এই ডিসেম্বরের পরের ডিসেম্বর আমার টার্ম শেষ। যথাসময়ে সম্মেলন হবে আমাদের।

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল কত বছর ধরে তার দলের গঠনতন্ত্রকে লংঘন করে মহাসচিব, হিসেবে আছে? তারা গণতান্ত্রিক দল নয়, তারা নিজেরা ঘরে গণতন্ত্র চর্চা করে না, দেশের গণতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠা করবে? মির্জা ফখরুলের কি এই পদে থাকার বৈধ অধিকার রয়েছে? তার গঠনতন্ত্র সে লংঘন করেছে। সম্মেলন ছাড়া মহাসচিব কত বছর, সেটা আগে জিজ্ঞেস করুন।’

বিএনপির দলের ভেতরে গণতন্ত্র নেই, তারা দেশের গণতন্ত্র কীভাবে আনবে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগে যথাসময়ে সম্মেলন হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম কয়বার কত বছরে সম্মেলন না হয়েই বিএনপির মহাসচিব দলের গঠনতন্ত্র ভেঙ্গে। সম্মেলন ছাড়া মহাসচিব কত বছর?

এ সময় সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে সেতু মন্ত্রী বলেন, এটি প্রক্রিয়াধীন আছে। তদন্ত চলছে। দুদক মামলা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার বিদেশ যাত্রা বিষয়টি তিনি অবহিত নন বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোন দেশেই গণতন্ত্র পারফেক্ট নয়। আমাদের দেশের গণতন্ত্রও পারফেক্ট দাবি করি না। তবে পারফেক্ট করার পথে আমাদের চেষ্টা আছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আন্তরিক। আজকে বিএনপি যারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলে তাদের গণতন্ত্র ছিল কারফিউ গণতন্ত্র। ১৫ই ফেব্রুয়ারি হ্যা/না ভোট। যেখানে হ্যা ভোট ১১৪ শতাংশ।১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার। গণতন্ত্রকে তারা ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল। নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসন এবং তামাশায় পরিণত করেছিল। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি ভূতের মুখে রাম নাম।

দুর্নীতিবাজ তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে দেশের জনপ্রিয় নেতা দাবি করা বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আমলে হাওয়া ভবন ছিল দুর্নীতি আর লুটপাটের ভবন। এখন তারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে। বিএনপি আমলে দুর্নীতি করা দলের কাউকে কি কোন শাস্তি দিয়েছে তারা? প্রশাসনের কাউকে শাস্তি দিয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তদন্ত হচ্ছে। সরকার-বিএনপির মতো ইমিউনিটি কালচার গড়ে তোলেনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক এডভোকেট সায়েম খান সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

রাজনীতি

মাফিয়ারা কয়েকজন, এদের কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি নেই। এজন্য মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলে এদের টিকে থাকার কোনো সম্ভবনা নেই।

মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলে বেনজীরের মতো সবাই পালাবে।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মেহেরবা প্লাজায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, রাষ্ট্র দ্বারা হওয়া নির্যাতন, নিপীড়নের মধ্যে সব থেকে নির্মম, নিষ্ঠুরতম জুলুম হচ্ছে গুম। সরকার মানুষকে বোঝাতে চায় যে যেকোন সময়, যেকোন কারণে বা অকারণে এ রাষ্ট্র চাইলেই যে কেউ গুম হয়ে যেতে পারে। এজন্য হয়তো ১০০ মানুষকে গুম করে, কিন্তু তারা ভয় দেখাতে চায় কোটি কোটি মানুষকে। যাতে করে তাদের অন্যায্য ক্ষমতার বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে। বেনজীরকে যখন শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয় তখন কি সে নিরাপরাধ ছিল? সে তো একদিনে গড়ে উঠেনি। সরকার তার হীনস্বার্থে বেনজীরদের ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, এটা এখন ফ্যাসিবাদের ধাপ অতিক্রম করে মাফিয়াতন্ত্র। এ মাফিয়ারা কয়েকজন, এদের কোন রাজনৈতিক ভিত্তি নেই। এজন্য মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলে এদের টিকে থাকার কোনো সম্ভবনা নেই। মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলে বেনজীরের মতো সবাই পালাবে। এ রাষ্ট্রকে গণক্ষমতাতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাচ্ছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ গড়তে পারবো।

হাবিবুর রহমান রিজু বলেন, স্বাধীনতার পরে জহির রায়হান থেকে শুরু করে আজ অবধি গুমের শিকার মানুষদের উপর হওয়া বাংলাদেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের দায় আছে। এ দায় নিয়েও সরকারগুলো টিকে থাকতে পারে সংবিধানের একপদকেন্দ্রিক ক্ষমতাকাঠামোর কারণে। তাই রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ডামি নির্বাচন করা এ মাফিয়াদের পতনের সঙ্গে সঙ্গে সংবিধান সংস্কারের জন্য লড়াই করছে।

ডিএসএ ভিকটিম নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক গোলাম মাহফুজ জোয়ার্দার বলেন, আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য যারা গুম-নির্যাতন-নীপিড়নের শিকার হচ্ছে তাদের দেশ থেকে পালাতে হচ্ছে। আর যারা এগুলো করছে তারা বহাল তবিয়তে আছে। গুম-খুন, নির্যাতন-নীপড়ন মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

সংগঠনের জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য জাকিয়া শিশিরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ২০১৯ সালে গুমের শিকার ইসমাইল হোসেন বাতেনের পরিবারের সদস্য ছোট ভাই খাইরুল আলম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সমন্বয়ক নাঈমুল নয়ন, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল জলিল, ঢাকা জেলার সমন্বয়ক শাহাবুদ্দিন কবিরাজ লিটন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দপ্তর সমন্বয়ক সারোয়ার আলম ও এহসান আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের দপ্তর সমন্বয়ক জাহিদ রশিদ রানা ও মো. আজিজ, রাষ্ট্র সংস্কার যুব আন্দোলনের সমন্বয়ক মাশকুর রাতুল ও উম্মে হাবিবা মায়া।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবারের জলোচ্ছ্বাস খুবই অস্বাভাবিক। ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করব। আমরা চাই এ অঞ্চলের মানুষ যেন দুর্যোগ থেকে মুক্তি পায়। বারবার যাতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। তাছাড়া যেসব রাস্তাঘাট ও বাঁধ ভেঙে গেছে বর্ষার আগেই সেগুলো সংস্কার করব। আমার ওপর এতটুকু ভরসা রাখবেন আপনারা। ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে ভাঙা ঘর নির্মাণ ও সংস্কার করতে পারেন আমি তার পূর্ণ ব্যবস্থা করব।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠে ঘূর্ণিঝড় রিমালকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ অঞ্চলে আমরা অনেক উন্নয়ন করেছি। উপকূলের মানুষ দুর্যোগের সময় যাতে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, বেড়িবাঁধ, আশ্রয়কেন্দ্র, সাইক্লোন শেল্টার করেছি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ছিন্নমূল ও অসহায় পরিবারকে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। আগামীতে আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বিনা খরচে দুই কাঠা জমির ওপরে দুর্যোগ সহনীয় বসতঘর তৈরি করে দেব। উপকূলের ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্তের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার সবকিছু করবে।

সরকারপ্রধান বলেন, অনেক লোকই তো ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু তারা এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি। তিনি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও জনগণের সেবা করার সুযোগ প্রদানে জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আজ দেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে। আমরা রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ নির্মাণ করে আপনাদের যোগাযোগের ব্যবস্থা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা সব করে দিয়েছি। এখন ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যেই সড়কপথে কলাপাড়া আসা যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। যাতে বর্ষার আগেই এগুলো পুনর্নির্মাণ করে মানুষকে জলোচ্ছ্বাস বা পানির হাত থেকে বাঁচাতে পারা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনের সঙ্গে বসে হিসাব নিরূপণ করে যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে সেগুলোও সংস্কারের পদক্ষেপ নেবেন। এছাড়া তরিতরকারি ও খেতের ফসল যা নষ্ট হয়েছে কৃষকরা যেন নতুন উদ্যমে আবার চাষাবাদ করতে পারেন সেজন্য বীজ ও সার প্রদানসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেওয়ার আশ্বাস দেন।

কলাপাড়া আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নির্মল নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ এমপি, শাম্মি আহমেদ এমপি, হাফিজ মল্লিক এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আবদুল মান্নান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-পটুয়াখালী-১ আসনের এমপি এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি এসএম শাহাজাদা, পটুয়াখালী সাংরক্ষিত আসনের এমপি নাজনীন নাহার রশীদ, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. সাইদুর রহমান।

রিমেলের ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে পটুয়াখালীর মঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটায় রিমেলের ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র পরিদর্শন করেছেন। ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে হেলিকপ্টারটি যখন ধীরগতিতে অনেক নিচু দিয়ে উড়ছিল তখন তিনি রিমেল-আক্রান্ত দুটি এলাকা প্রত্যক্ষ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে কলাপাড়ার খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন হেলিপ্যাডে অবতরণ করে।

বাংলাদেশ আইএমওর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মেরিন স্কলারশিপ চালু করতে চায়-প্রধানমন্ত্রী : বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অরগানাইজেশনের (আইএমও) মাধ্যমে ছোট দ্বীপ ও আফ্রিকান স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য বঙ্গবন্ধুর নামে সামুদ্রিক খাতে বৃত্তি চালু করতে চায়। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আইএমওর মহাসচিব আর্সেনিও অ্যান্তোনিও ডমিনগুয়েজ তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আইএমওর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নামে ১০টি ক্যাডেট প্রশিক্ষণ বৃত্তি চালু করতে চাই।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম বলেন, আইএমও মহাসচিব প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। বৃত্তি প্রাপ্তদের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আইএমও মহাসচিব নারী মেরিনার বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে ফিনল্যান্ডের সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর সমৃদ্ধির দিকে বাংলাদেশের যাত্রাকে মসৃণ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছ থেকে আরও কয়েক বছর জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে ফিনল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন। বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কিম্মো লাহদেবির্তা সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম. নজরুল ইসলাম একথা বলেন। এ সময় অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

বরিশালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ : বরিশাল ব্যুরো জানায়, রিমেলে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা বিতরণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাটে সহায়তা তুলে দেন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত ১২০ মাঝি-মাল্লা এবং মুক্তিযোদ্ধা পার্কসংলগ্ন বরফকল এলাকার ৬০ পরিবারকে সহায়তা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার প্রমুখ।

রাজনীতি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তৃতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এবং ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক।

বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপের নির্বাচন পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ভোটার উপস্থিতি ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি। আগামীকাল এটি চূড়ান্ত জানা যাবে। এই নির্বাচনে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতীত উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন প্রাণহানির খবর নেই। মোটামুটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা তো ভেবেছিলাম ভোটার উপস্থিতি কম হবে। প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক জায়গা কিছু কিছু ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। যদিও ধান কাটা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ভোটার উপস্থিতি ৩৫ শতাংশ বা তার বেশি মোটামুটি সন্তোষজনক।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপজেলা নির্বাচন করাটা চ্যালেঞ্জের। নির্বাচন বিরোধীদের মিথ্যাচার ও অপপ্রচার রয়েছে। গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পরও বিএনপির গলাবাজিটা আগের তুলেনায় এখন অনেক বেড়ে গেছে। তাদের মাঠের আন্দোলন ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতেও ব্যর্থ। এই ব্যর্থতার কারণে তারা হতাশ ও ক্লান্ত। কর্মীদের চাঙা করতে তাদের সর্বশেষ কর্মসূচি লিফলেট বিতরণ। এখন আবার নতুন করে আন্দোলন সংগ্রামের স্বপ্নে বিভোর হয়েছে। তারা ভেবেছিলেন জাতীয় নির্বাচনের পর দেশে দুর্ভিক্ষ ও প্রাণহানি হবে। তাদের সে স্বপ্ন কর্পূরের মতো উড়ে গেছে। দেশে একজনও না খেয়ে মারা যায়নি।

বেনজির, আজিজ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, আশরাফুল হুদা, রকিবুল হুদা, কোহিনূর – এরা কাদের সৃষ্টি? দুর্নীতি, লুটপাটের ভবন ‘হাওয়া ভবন’ কাদের সৃষ্টি? তাদের বিচার কি বিএনপি করেছে? শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে। সে কারণে তার জিরো টলারেন্স দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আজকে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ দুইজনের নিয়োগ বাতিল হয়েছে। তাদের নিশ্চয়ই কর্তব্যে কোন বিচ্যুতি ঘটেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজিরের যে ক্যারিয়ার, পারসোনালিটি তাকে তো বাইরে থেকে ভাবেননি এখন যা জানছেন। আপনারা (সাংবাদিকরা) ভাবেননি, কেউ ভাবেনি। আজিজ আহমেদ অত্যন্ত বিচক্ষণ ছিলেন, তার এমন ডিগ্রি আছে যা অনেক অফিসারের ছিল না।

প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।

রাজনীতি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধুমাত্র ভাষণের মধ্য দিয়ে আসেনি। এসেছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। এ দুটিই করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাও যেমন দিয়েছেন, তেমনি রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং বৃক্ষরোপণ করেন।

গয়েশ্বর রায় বলেন, জিয়াউর রহমান অনেক গুণের অধিকারী একজন নেতা ছিলেন। আমাদের তার দেশপ্রেম, সততা ও ন্যায়ের পথ অনুসরণ করতে হবে। জিয়াউর রহমানের ভাবনাকে নিজের ভাবনা হিসেবে মনে করতে হবে। যে জিয়া জনতার, সেই জিয়া মরে না।

তিনি বলেন, যারা ভেবেছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হলে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে। তাদের কথা ভাবেন, তাদের পরিণতি এখন ভাবেন। অথচ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নাম শুনলে তাদের রাতে ঘুম হয় না। এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান।

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমউদ্দিন মাস্টারসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা কূটনীতিক উইলিয়াম বি মাইলাম বলেছেন, জিয়াউর রহমান যদি ১৯৮১ সালে মারা না গিয়ে ৭৫ সালে মারা যেতেন তাহলে বাংলাদেশ আফগানিস্তান অথবা অফ্রিকার দেশগুলোর মতো হতো।

দেশের চলমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান একজন সফল এবং জনপ্রিয় নেতা। তার নেতৃত্বেই দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেছেন। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।

একনেক সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুস সালাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে উপকূলীয় এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুস সালাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সামনে যেহেতু বর্ষার মৌসুম, তাই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো দ্রুত মেরামত করতে হবে।’ তিনি জানান, পানিবাহিত রোগ যাতে ছড়াতে না পারে, সেজন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজে রাতভর ঘূর্ণিঝড় পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।’ তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী একনেক সভায় জানান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনহ সরকারের সকল সংস্থা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথেষ্ট সতর্ক থাকায় ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি কম হয়েছে।

পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার জানান, একনেক সভায় মোট ১১ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৫৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৭ হাজার ৮৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং একইসাথে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমন্বিভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের দুর্যোগকালে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের পাশাপাশি ল্যান্ডফোন চালু রাখার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্টেকহোল্ডারদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে, পোর্টফোলিও নির্বিশেষে সকল পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়ানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে প্রাণহানি ও সম্পদের কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাঁর হিসাব করতে বলেছেন এবং আগামী রোববারের মধ্যে সেটা সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

একনেক সভায় রোহিঙ্গাদের উন্নয়নে ৮ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়নে ৪ হাজার ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘হোস্ট অ্যান্ড ফোরসিবিলি ডিসপ্লেসড মিয়ানমার ন্যাশনালস’(এফডিএমএন)/ ‘ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা পপুলেশন ইনহ্যান্সমেন্ট অব লিভস থ্রো এ মাল্টি-সেক্টোরাল এপ্রোচ প্রজেক্ট ইনফ্রাস্টকচার রিলেটেড’ প্রকল্প এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ৪ হাজার ৪০১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ইনক্লুসিভ সার্ভিসেস অ্যান্ড অপরটুনিটিস ফর হোস্ট কমুনিটিজ অ্যান্ড এফডিএমএন পপুলেশন’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

রোহিঙ্গাদের উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্প সম্পর্কে পরিকল্পনা সচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য নেওয়া প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক এক বছরের জন্য অনুদান দেবে। এছাড়া কিছু ঋণও দেওয়া হবে। শুরুতে বিশ্বব্যাংক ও উন্নয়ন সহযোগিরা শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য দিতে চেয়েছিল, পরে আলাপ করে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যও চাওয়া হলে তা দিতে রাজি হয়েছে। এসব টাকায় যোগাযোগ তথা রাস্তা, রেলপথ নির্মাণ করা হবে। যে বন ও পাহাড় নষ্ট হয়েছে তাঁর উন্নয়ন করা হবে। এসব বাস্তবায়ন করতে ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগবে। রোহিঙ্গারা আসায় যে বনাঞ্চল নষ্ট হয়েছে তা উন্নয়নে কাজ করা হবে।’ সত্যজিত বলেন, এই দুই প্রকল্প প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী প্রজেক্ট প্লানিং সিস্টেম (পিপিএস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনুমোদন করেছেন, যা পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে। প্রধানমন্ত্রী এই দুই প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্ভাবন মানসিকতা প্রদর্শন এবং আন্তরিকভাবে কাজ করতে বলেছেন।

একনেকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার কর্ণফুলী নদী এবং সংযুক্ত খালসমূহের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধকল্পে তীর সংরক্ষণ কাজ প্রকল্প। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলায় টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প। নওগাঁ জেলার মহদেবপুর উপজেলায় ৪৮০০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চালের আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ প্রকল্প। রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প- ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স ফর রিপারপাসিং অব এগ্রিকালচারাল পাবলিক সাপোর্ট টুওয়ার্ডস এ সাসটেইনেবল ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্প।

বিআইডব্লিউটিসি’র জন্য ৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান সংগ্রহ এবং ২টি স্লিপওয়ে নির্মাণ প্রকল্প। কুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা এবং বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪ লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর এ পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প।

রাজনীতি

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ সচিবালয় কমিশনের ৩৫তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

কমিটির সদস্য প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বৈঠকে যোগদান করেন। এছাড়া অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি এবং সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের এমপি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে যোগদান করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেট পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে ৩২৪ কোটি ৬৭ লাখ ২১ হাজার টাকা, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে ৩৪৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা প্রস্তাবিত বাজেট প্রাক্কলন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৩৮২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৪২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বাজেট প্রক্ষেপণ অনুমোদন করা হয়।

বৈঠকের শুরুতে বিগত ৩৪তম সংসদ সচিবালয় কমিশন বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিত করার পাশাপাশি গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদনের উপর আলোচনা হয়। এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের চলমান প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

বৈঠকে আলোচ্যসূচী উপস্থাপন করেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম।