রাজনীতি

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপিসহ সমমনাদের অবিরাম মিথ্যাচার, টিআইবির অপপ্রচার এবং নামিদামি বুদ্ধিজীবীদের মিথ্যাচারে উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। আরও কিছু নামিদামি বুদ্ধিজীবী আছেন, তারাও মিথ্যাচার-অপপ্রচার করে ভোটের ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। তারপরও আমি মনে করি, উপস্থিতি যেটাই হয়েছে, আমি খুব ভালো বলব না, তবে মোটামুটি সন্তোষজনক।

মঙ্গলবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আজ বিদ্যমান পরিস্থিতিতে টার্ন আউট নিয়ে আমার মনে হয় বেশি কথা বলার প্রয়োজন নেই। তবে একটা কথা আমরা বলতে পারি, দুটি পর্যায়ে নির্বাচন হয়েছে, এ নির্বাচনে রক্তপাত হবে, খুনখারাবি হবে, মারধর হবে, সংঘাত হবে; কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হলো? শেষ পর্যন্ত কোনো ক্যাজুয়ালিটি নেই। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। সেটার জন্য নির্বাচন কমিশন ক্রেডিট দাবি করতেই পারে। এ সময় বিএনপির আমলে দেশে কখনো শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়টি জেনেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেটা বলেছে, বাংলাদেশের মিশনকে আজিজের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। আজিজের বিরুদ্ধে আসলে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেটা ভিসানীতির প্রয়োগ নয়, এটি ‘অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন’ আইনের প্রয়োগ। এটা নিয়ে আমি আর বেশি কিছু বলব না।

জিয়াউর রহমান আবেদন করেই বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন- এমন তথ্যপ্রমাণ আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যতই মিথ্যাচার করুক, বঙ্গবন্ধুর কাছে জিয়াউর রহমান আবেদন করেই বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। তার তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে আছে। বাকশালের কমিটিতে ৭১ নম্বরে তার নাম ছিল।

তিনি আরও বলেন, বাকশাল একক কর্তৃত্ববাদী কোনো দল নয়। এটা জাতির প্রয়োজনে তখনকার বাস্তব অবস্থায় একটি জাতীয় দল। এটা একদলীয় কোনো শাসন নয়। জাতীয় এই দলে নির্বাচনের ব্যবস্থা ছিল। মির্জা ফখরুল সাহেবরা যতই মিথ্যাচার করুক, তথ্যপ্রমাণ আছে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেখানে প্রায় এক ঘন্টা ছিলেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় দলীয় প্রধানের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক খোঁজ-খবর নিতে গুলশানের বাসায় গিয়েছিলেন মহাসচিব।

এর আগেও বেশ কয়েকবার দলীয় চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ফিরোজার বাসায় গিয়েছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গত ১ মে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পরদিন ২ মে রাতে বাসায় ফেরেন তিনি।

রাজনীতি

জীবিকার ব্যবস্থা না করে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিধিমালা করে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের (রেগুলেট) জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন এবং তা চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে দিতে বলেছেন।

বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছে। তিনি স্পষ্টভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, তাদের জীবিকার বিষয়টি উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। তাদের জীবিকার বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখতে হবে। একটি বিধিমালার মাধ্যমে এটি রেগুলেট করতে হবে এবং তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে দিতে হবে। এর বাইরে তারা যাবেন না।

তবে কোনো অবস্থাতেই যেন মহাসড়ক বা বড় সড়কে না যান, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সড়ক বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি (ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত) প্রধানমন্ত্রী জানতেন না। তিনি বলেছেন তার নজরে আনা হয়নি। জীবিকার ব্যবস্থা না করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াটা যৌক্তিক মনে করেননি প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশার যন্ত্রের সঙ্গে উপযুক্ত কাঠামো বা মডেল করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজনীতি

ওলামা লীগে ধর্মের নামে ‘ধর্ম ব্যবসা’ চলবে না বলে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। টাউট-বাটপার যাতে সংগঠনে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ওলামা লীগের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।

ওলামা লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওলামা লীগে চাঁদাবাজদের স্থান নেই। ধর্মের নামে ধর্ম ব্যবসা চলবে না। আওয়ামী লীগের সাঙ্গে কাজ করতে হলে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ মেনে চলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৎ রাজনীতিকে অনুসরণ করতে হবে। ফ্রি স্টাইলে যা খুশি বলবেন, এ রকম লোকের আমাদের দরকার নেই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ওলামা লীগের ইতিহাস আওয়ামী লীগের জন্য খুব সুখকর নয়। অতীতে যা দেখেছি, কারো সঙ্গে কারো মিল নেই। নেতায় নেতায় বিভেদ। দলের আদর্শ পরিপন্থী সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিতে দেখেছি অনেককে। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কেউ এটা উচ্চারণ করবে সেটা আমি আশা করি না। নেতায় নেতায় বিভেদ আর চাই না। সত্যিকারের ওলামা দিয়ে গঠন করতে হবে। কোনো টাউট-বাটপার যেনো অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ওলামা লীগের যেখানে সম্মেলন সেখানেই কমিটি গঠন করতে হবে। দেরি হলে কলহ বাড়ে, মতভেদ বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সে কমিটি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। আমাদের দলের শৃঙ্খলা মেনে ওলামা লীগ করতে হবে। দলবিরোধী কোনো কাজ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থেকে কেউ রেহাই পাবে না। কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের জন্য ও বিকাশে যে অবদান রেখেছেন, যে সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশে অন্য কোনো শাসক সে তুলনায় কিছুই করেননি।

ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা কে এম আব্দুল মমিন সিরাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পর রাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ধর্ম সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, ওলামা লীগের ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক প্রমুখ।

রাজনীতি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দখলদার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার আদালতকে দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণের অমানবিক খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীনদের নির্মম আচরণ, দৌরাত্ম্য এবং দাপটে মানুষ এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। সব অপকর্মকে আড়াল করতেই সরকারি জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া, গ্রেফতার হওয়া ও কারাগারে যাওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, আইনের শাসনহীন এ দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর কতৃর্ত্ববাদী আওয়ামী সরকার তাদের দুঃশাসন চালাতে আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। তবে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সংগ্রামী জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক এবং দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মেসের ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজকে প্রথমে জামিন প্রদান এবং পরে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি এ বিবৃতি দেন। তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে তা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির আওয়ামী ডামি সরকার নব্য বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম-অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে। সেটিরই ধারাবাহিকতায় খন্দকার আবু আশফাক এবং নজরুল ইসলাম ও মাসুদ পারভেজের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাত দিনব্যাপী ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) মেলার উদ্বোধন করেছেন।

আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মেলার উদ্বোধন করেন তিনি।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত।

মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মেলায় তিন শতাধিক উদ্যোক্তা অংশ নেন। মেলায় প্রায় ৬০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তা।

এসএমই মেলায় ১০০ শতাংশ দেশীয় পণ্য প্রদর্শন করা হবে। এবারের মেলায় সাড়ে তিন শতাধিক কোম্পানি অংশগ্রহণ করবে।

একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে বেশ কিছু ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের হাতে ক্রেস্ট ও অ্যাক্রিডিটেশন সার্টিফিকেটসহ জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ হস্তান্তর করেন।

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. মোঃ মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ।

পুরষ্কার প্রাপ্তদের মধ্যে স্বপ্না রানী সেন জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ জেতার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

এবারের মেলায় পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৫ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া ৪২ টি প্রতিষ্ঠান পাটজাত পণ্য, ৩৮ টি প্রতিষ্ঠান হস্তশিল্প, ৩২ টি প্রতিষ্ঠান চামড়াজাত পণ্য এবং ২৭ টি প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য প্রদর্শন করবে।

এছাড়াও ২৩টি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, ১৪টি খাদ্য পণ্য, ১৩টি আইটি-ভিত্তিক পরিষেবা, ১২টি এসএমই ক্লাস্টার উদ্যোক্তা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মেলায় অংশ নেবে, ৫টি ভেষজ শিল্পের পণ্য এবং ৫টি প্রতিষ্ঠান গয়না পণ্য প্রদর্শন করবে।

চারটি স্টলে প্লাস্টিক পণ্য, ৩টি ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সেক্টর, ৩টি আসবাবপত্র এবং ১৯টি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করবে।

এছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ক্লাব এবং প্রায় ৫০টি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণকারীদের সেবা প্রদান করবে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ঢাকা ও চট্টগ্রামের এসএমই বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারগুলো তাদের কার্যক্রম প্রদর্শন করবে।

উইন্ডি টাউন হলে সহজ অর্থায়ন, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রযুক্তি, আইসিটি এবং ক্লাস্টার উন্নয়ন বিষয়ে ৬টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

সামান্য অর্থ বাঁচাতে গিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উপেক্ষা করে দেশ ধ্বংস করবেন না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে এবং শিল্পায়নকে পরিবেশবান্ধব করতে শিল্প-কারখানা নির্মাণে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘শিল্প আমাদের গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অবশ্যই সকলকে করতে হবে এবং সেটা মেনে নিতে হবে। সামান্য একটু কেমিক্যাল ব্যবহারের ওই পয়সাটা বাঁচাতে যেয়ে দেশের সর্বনাশ,সাথে সাথে নিজের সর্বনাশটা কেউ করবেন না- সেটা আমার অনুরোধ থাকলো।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য (এসএমই) মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধনকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

আমাদের দেশ ‘ভৌগলিক সীমারোখায় ছোট এবং জনসংখ্যার দিক দিয়ে বড়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের দেশের পরিবেশ ও সবকিছু অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হওয়া উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া উচিত। সাথে সাথে জলবায়ুর অভিঘাতে যেন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত না হই সেদিকে সকলকে দৃষ্টি দিতে হবে।
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা আমাদের শিল্পখাতকে আরো পরিবেশবান্ধব করতে চাই। কারণ শিল্পখাত একান্তভাবে পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, যারা যেখানেই কোন শিল্প গড়ে তুলবেন সেখানে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন আপনার এই শিল্পের এই বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে, আমাদের পানি যেন কোনভাবে দূষণ না হয়, মাটিতে দূষণ যেন না হয়। সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আমি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খুব আনন্দিত কেননা আজকের এসএমই পণ্য মেলায় দেখা যাচ্ছে উদ্যোক্তা ৬০ শতাংশই নারী।
তিনি নারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সমাজের একটা অংশকে বাইরে রেখে সেই সমাজ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। আমাদের দেশের নারী-পুরুষ সকলকেই যদি আমরা উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরী করতে পারি তাহলে সমানভাবে দেশটা দ্রুত উন্নত হবে। এজন্য নারী উদ্যোক্তা আমাদের দরকার।
যেহেতু শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এসএমই ফাউন্ডেশন থেেেক নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সেক্ষেত্রে পুরুষরা ঘরের নারীদের (স্ত্রী-কন্যা-বোন) নামে, তাদের সঙ্গে নিয়ে এখানে যুক্ত হতে পারেন বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘কেননা অন্যত্রতো আর ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাবে না। কাজেই পুরুষরা বিশেষ করে আমাদের যুব সমাজ এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন। কারণ আমরা চাই আমাদের শিল্পখাতে আরো উদ্যোক্তার সৃষ্টি হোক’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭-০৮ অর্থবছরের জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ছিল ১৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে ৩৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি সুচকে বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭শ’ ৯৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যা বিএনপির শাসনামলে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ছিল মাত্র ৫শ ৪৩ মার্কিন ডলার।
কোভিড-১৯ অতিমারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে ঘিরে স্যাংশন ও পাল্টা স্যাংশনের বিরূপ প্রভাবে বিশ^ অর্থনীতির মন্দাভাবে মূল্যস্ফীতি না ঘটলে এটাকে আরো উন্নতি করা যেত বলেও তিনি অভিমত দেন। এরসঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩’ বিজয়ী সাতজন মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআই এর সভাপতি মাহবুবুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. মো. মাসুদুর রহমান। ২০২৩ সালের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী এসএমই উদ্যোক্তাদের পক্ষে ’রংপুর ক্রাফটস’ এর স্বত্ত্বাধিকারি স্বপ্না রানী সেন অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত ২০২৪ থেকে ২০২৮ কর্মপরিকল্পনার ওপর রচিত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে ‘এসএমই মেলা ২০২৪’ এর ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
এবারের মেলায় অংশ নেওয়া সাড়ে তিন শ’র বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এ ছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবসহ আরও প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করছে।
আগামী ২৫ মে শনিবার পর্যন্ত চলমান এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তাঁর সরকার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মান করায় আজকে পদ্মার ওপারেও বিশাল কর্মক্ষেত্র উন্মুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মার ওপারে যে জেলা বা ইউনিয়নগুলো রয়েছে সেখানকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। সেখানেও বিনিয়োগের বিরাট সুযোগ এসে গেছে। এসব এলাকায় ‘এসএমই’ (ফাউন্ডেশন) আরো বেশি কাজ করতে পারে এবং এখানে অনেক উদ্যোক্তার সৃষ্টি করতে পারেন।
তিনি শিল্পক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমরা আরো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে আমাদের আরো উদ্যোক্তা এবং কাজের লোক প্রয়োজন পড়বে। আমাদের দেশের মানুষকে কাজ দিতে হবে।
তিনি বলেন,‘আমরা যখন পদক্ষেপ নেব সে সময় বিশেষ করে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনকে খেয়াল রাখতে হবে যে শ্রমঘন শিল্প যেন আমাদের দেশে গড়ে ওঠে।’
শ্রমবান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শ্রমিকদের বিষয়ে সকলকে আন্তরিক হতে হবে। আপনি যদি বেশি কাজ চান তাহলে তাদেরকে সেই কর্মপরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘শুধু হুকুম দিয়ে হয়না। হুকুম দিয়ে যা অর্জন করতে পারবেন, ভালবাসা দিয়ে পারবেন তারচেয়ে অনেক বেশি। আস্থা-বিশ^াস অর্জন করে আরো বেশি আপনি কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। সেদিকে অবশ্যই সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।’
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা যে সুবিধাগুলো দিচ্ছি সেটা তাদের (নারী) গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে আমাদের নারীদের আরো বেশি উদ্যোক্তা হতে হবে।
বিশেষ করে যাতে সকলে (নারী-পুরুষ) যৌথভাবে কাজ করতে পারে সে ব্যবস্থাটা আমাদের করতে হবে।
তাঁর সরকার এ বছর ‘হস্তশিল্প’কে বর্ষ্যপণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে উল্লেখ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হস্তশিল্পের ব্যবহারের প্রসংগ টেনে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সুপ্ত মেধা বিকষিত হবার একটি সুযোগ লাভ করে। সেজন্যই তাঁর সরকার একে বেশি সুযোগ দিচ্ছে। বিদেশে এর আলাদা কদর রয়েছে। কাজেই রপ্তানী বহুমুখিকরণ করার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার যাতে সৃষ্টি হয় সেজন্য দারিদ্র বিমোচন করে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে দৃষ্টি রেখে তাঁর সরকার অর্থনৈতিক নীতিমালা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন,এসএমই খাতের উন্নয়নে আমাদের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের পাশাপাশি উন্নত বিশে^ ভোক্তাদের চাহিদানুযায়ী শতভাগ রপ্তানীমুখি পণ্য উৎপাদনে আরো মননিবেশ করতে হবে। কেননা এখন ইকোনমিক ডিপ্লোমেসির যুগ। সে ভাবেই বহি:বিশে^ আমাদের দূতাবাসগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যে যেখানে অবস্থান করছেন সেখানকার চাহিদানুযায়ী পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার প্রচেষ্টা এবং বিনিয়োগ নিয়ে আসার প্রচেষ্টার ওপরও জোর দেন তিনি।
আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশবাদ ব্যক্ত করেন, এই এসএমই পণ্য মেলার মাধ্যমে দেশের মানুষেরা আরো জানতে পারবে এবং উৎসাহিত হবে। আরো উদ্যোক্তা তৈরী হবে এবং এই মেলার মাধ্যমেই আমাদের এসএমই ফাউন্ডেশন আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। ফলে বিদেশে পণ্য রপ্তানী আরো বাড়ানো সম্ভব হবে এবং দেশেও আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন,‘আমার বিশ^াস দেশীয় এসএমই শিল্পের উন্নয়নে এই মেলা ক্রমান্বয়ে আন্তর্জাতিক মাত্রা পাবে এবং এরফলে দেশীয় পণ্যের প্রসারও ঘটবে। নতুন নতুন শিল্প স্থাপন,কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে বলেও আমি বিশ^াস করি।’
তিনি বলেন,আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা যারা তাদের প্রতিই আমি মনে করি বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ তারাই একসময় বড় শিল্পে পরিণত হবে।
রাজনীতি

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছে, সে কারণে আবোল তাবল বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগের লোকজনই ভোট দিতে যায়নি’ বিএনপি নেতাদের এ দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের এ দাবি সত্য নয়। উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ৩০থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। জাতীয় নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪২ শতাংশেরও বেশি। তারা কি এদেশের মানুষ নয়?

তিনি বলেন, ৪২ শতাংশ যদি ভোট প্রদান করে তাহলে ভোটাররা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলো কেমন করে? আসলে বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছেন। যা খুশি তাই বলেন ফ্রি স্টাইলে। এর বাস্তবতা নেই। তারা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।

বিএনপি আবারো আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আন্দোলন করার অধিকার আছে। আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলে আমরা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করব। আর যদি আন্দোলন রূপ নেয় আগুন সন্ত্রাসে যে চেহারা তারা অতীতে দেখিয়েছে তাহলে সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নেবে। রাজনৈতিকভাবেও আমরা মোকাবেলা করব।

রাজনীতি

বিএনপির নেতাকর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোই সরকারের প্রধান কর্মসূচি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। পল্টন থানার একটি মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। এজন্য দেশব্যাপী প্রতিদিনই বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে।

আর এ ধরনের অপকর্মের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে, দেশের বিরোধী দলগুলো যেন দখলদার সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে না পারে। মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠাচ্ছে। এটা যেন ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী’ সরকারের প্রধান কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইশরাক হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো সেই কর্মসূচিরই নিরবচ্ছিন্ন অংশ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ ধরনের অমানবিক ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। অবিলম্বে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারসহ তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে সুন্দর ও উন্নত জীবন দিতে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তাঁর দল দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবার নির্বাচনের সময় চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবেলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আজ সকালে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাঁকে গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে আসা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।

’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনা এক রকম জোরকরেই দেশে ফিরে আসেন। এরআগে তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাঁকে সর্বস্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। ঝড়-ঝাঞ্ঝা বিক্ষুদ্ধ সেই দিনে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে লাখ লাখ জনতা তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানায়।

তিনি যখন দেশে ফেরেন তখন যুদ্ধাপরাধি এবং জাতির পিতার হত্যাকারিরা ক্ষমতায় ছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর পাশে ছিল বাংলাদেশের জনগণ। তিনি জানতেন তাঁকেও তাঁর বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যবরণ করতে হতে পারে। কিন্তু দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি ছিল তাঁর আস্থা।

শেখ হাসিনা বলেন ‘আমি আমার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলবো, আমার সব শক্তি-সাহস মা-বাবার কাছ থেকে পেয়েছি।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় এত বড় সংগঠন চালানোর অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী, বৃহত্তম এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে।

আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ উল্লেখ করে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগুতো পারে না। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ, আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল। দেশের কোন উন্নতি করতে পারেনি। তারা বরং শত শত সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অমানবিক নির্যাতন ও হত্যা করেছে। এ সময় প্রতিরাতে কারফিউ বলবৎ রাখার জিয়াউর রহমানের কারফিউ গণতন্ত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের অগনিত নেতা-কর্মীর গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ও আত্মাহুতির কথাও তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর উন্নয়নের মূলমন্ত্র তুলে ধরে বলেন, কী পেলাম, না পেলাম সেই চিন্তা করেনি। ভবিষ্যত কী সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যত যেন আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

দলীয় নেতাদের আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, এটাই মনে রাখবেন একটা দল করি শুধু নেতা হওয়ার জন্য নয়, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম। এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এই কথা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।

সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

‘দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকার পেয়েছিল, তা তারা পুন:প্রতিষ্ঠা করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার ও জয় বাংলা স্লোগান এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু জয়বাংলা শ্লোগান আবার ফিরে এসেছে এবং জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ^ ঐতিহ্যের প্রামান্য দলিলে যেমন স্থান করে নিয়েছে। তেমনি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই যত ষড়যন্ত্র হোক, বিদেশি শক্তির চাপ আসুক আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না।

শুক্রবার বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে এদিন নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়। সকাল ৯টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলের সব সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও প্রার্থনা, গরিব-অসহায় এবং পথচারি-এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

আলোচনায় সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়েছিলেন। অথচ তিনি এখন বেসামাল হয়ে আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছেন। আমি তাকে বলতে চাই, আজ বন্দিদের মুক্তি নিয়ে কথা বলতে লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের ৬২ হাজার নেতাকর্মীকে জেলে দিয়েছিল। আপনাদের (বিএনপি) কতজন নেতা জেলে আছে? আমাদের ৩ হাজার নেতাকর্মী ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি নাস্তা খেতে খেতে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ফাঁসি দিয়েছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলে আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফখরুল সাহেব বিদেশি কোনো শক্তি নয়, আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ ও সংবিধান। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বণি ও জয় বাংলার চেতনা। শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তিনি ষড়যন্ত্র ও বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না। তিনি বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে অনেকে বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাকি স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। এই কথা তথ্য নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতাবিরোধী কারাগারে ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তাদের মুক্ত করে দেয়। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল ৭১৩ জন। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়া কী করেছিল এর প্রমাণ আছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি জিয়া দিনে কারফিউ দিতেন এবং রাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নির্যাতন করতেন। এটাই ছিল জিয়াউর রহমানের চরিত্র।

আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গ্রামে গ্রামে ঘুরে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। তার কঠোর পরিশ্রমেই আজকে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। তিনি এসেছিল বলেই আজ বাংলার মানুষ তাদের ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জীবনের ঝঁকি নিয়ে শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজ কথা বলার অধিকার পেয়েছি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। গণতান্ত্রিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা পেয়েছি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কবি নির্মলেন্দু গুণ ও দুজন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য।