আওয়ামী লীগ দেশে-বিদেশে বন্ধুহীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢাকাসহ আশপাশের সাংগঠনিক জেলা নেতাকর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে ফার্মগেইট পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এছাড়া সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন ঢাকায় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে ছাত্রলীগ।
মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেক দেশে নির্বাচন হচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও ভিসানীতি যায় না। শুধু কী বাংলাদেশকেই পেয়ে বসেছেন? পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছি—আওয়ামী লীগ বন্ধুহীন নয়। দেশেও নয়, বিদেশেও নয়।
মার্কিন ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলের নেতাকর্মীদের বলেন, আমেরিকা ভিসানীতি দিয়েছে। এই বুঝি নিষেধাজ্ঞাও দিলো, সেটা নিয়ে ফিসফাস চলছে। মন খারাপ করবেন না। কে কী দিলো- সেসব নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মাথা ঘামান না।
বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের বলেন, বিএনপি অনেক মিথ্যাচার করছে, আরও করবে। অনেক গুজবও ছড়াবে। গুজবে কান দেবেন না।
অস্ত্রসহ ছাত্রদলের ছয় নেতার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছয় সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে। তাদের জন্য মির্জা ফখরুল কাঁদেন। চোখের পানিতে তার বুক ভেসে যায়। লজ্জাও করে না।
বিএনপিকে সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করবেন। বাংলাদেশে সেই দিন আর আসবে না। ২০১৩-১৪ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চেষ্টা করবেন না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা, বাংলাদেশের মানুষ ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়বে। সাম্প্রদায়িক জঙ্গি সন্ত্রাসীদের রুখে দেব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাঁচতে হলে লড়াই করতে হবে, লড়াই করেই বাঁচতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা জেলা সভাপতি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং ঢাকা ও পাশ্ববর্তী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।