বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগের সমালোচনা করলেও তার দলের নেতারা কেন ‘সেই সুযোগ নিয়েছিলেন’, সেই প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে করোনাভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কাছে আমার সবিনয়ে প্রশ্ন, বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে নিজে কালো টাকা সাদা করেছিলেন, তার কি জবাব আছে?
“আর প্রয়াত সাইফুর রহমান যিনি আব্দুস সাত্তার, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া- সবার আমলেই অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তিনিও কালো টাকা সাদা করেছিলেন, তারই বা কি জবাব?”
শুক্রবার সকালে বিএনপির বাজেট ভাবনা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘কালো টাকা সাদা করার’ সুযোগ নিয়ে সরকারে নীতির সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “আসছে বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যতদিন অপ্রদর্শিত আয় থাকবে, ততদিন এই সুযোগ থাকবে। হরিলুট করে সঞ্চিত কালো টাকা জায়েজ করার দরজা অবারিত করে দিলেন অর্থমন্ত্রী।”
‘বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “আগে নিজেদের কালো টাকা সাদা করার জবাব দিন, তারপর সরকারের সমালোচনা করুন, নয়তো সমালোচনার নৈতিক অধিকারই থাকে না।”
অর্থনীতির স্বার্থে ইউরোপ, আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বহু দেশেই অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ রাখা হয় বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের এই লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “আমাদের মত দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে এ সুযোগ রাখা হয়েছে অর্থনীতির স্বার্থেই।”
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো করছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির উচিত এর ‘প্রশংসা করা’।
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. আব্দুল মজিদ এ সময় বক্তব্য রাখেন।