খেলাধুলা

আমিরাতে দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ

নিউ জিল্যান্ড সফরের আগে দুবাইয়ে অনুশীলন ক্যাম্পের ফাঁকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।

বিসিবির কাছে টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া ছিল দেশের বাইরে কোথাও অনুশীলন ক্যাম্প করা। সেই পরিকল্পনার পথ ধরে এগিয়ে প্রস্তুতিতে যোগ হলো নতুন মাত্রা। দুবাইয়ে অনুশীলন ক্যাম্পের ফাঁকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। স্রেফ প্রস্তুতি ম্যাচই নয়, দুটিই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।

আগামী বৃহস্পতিবার এই অনুশীলন ক্যাম্পের জন্য দুবাইয়ে যাবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি জানালেন, সূচি চূড়ান্ত না হলেও ২৫ ও ২৭ সেপ্টেম্বর হতে পারে ম্যাচ দুটি।

তবে এই অনুশীলন পর্বে ও দুই ম্যাচের সিরিজে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে পাওয়া নিয়ে আছে বড় অনিশ্চয়তা। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে তাকে আগেই ছুটি দিয়ে রেখেছে বোর্ড। তার ব্যাপারে টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানালেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী।

গত মঙ্গলবার বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান জানান, টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া পূরণে দেশের বাইরে কোথাও প্রস্তুতি পর্বের আয়োজন করতে যাচ্ছে বোর্ড। তবে তখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত ছিল না কোথায় হবে এই ক্যাম্প। বিসিবির প্রধান নির্বাহী বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করলেন, দুবাই স্পোর্টস সিটিতে অনুশীলন করবে দল।

অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের জন্য আরব আমিরাতে ক্যাম্প করে কতটা ফলপ্রসূ হবে, সেই প্রশ্ন থাকছে। তবে প্রধান নির্বাহী বললেন, কন্ডিশনের চেয়ে নিজেদের স্কিল শানিত করার জন্যই এই ক্যাম্প আয়োজন করা হচ্ছে।

“আসলে কন্ডিশনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো… এখানে আবহাওয়ার কারণে খুব একটা সুযোগ আমরা পাইনি প্র্যাকটিসের। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করেই এটা টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা, সে অনুযায়ী আমাদের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। কন্ডিশনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ম্যাচ পরিস্থিতি এবং অন্যান্য যে অনুশীলন সুবিধা দুবাই স্পোর্টস সিটিতে আছে, সেগুলো আমরা কাজে লাগাতে পারব।”

দুবাইয়ের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারের পাশাপাশি এই ক্যাম্পকে ঘিরে টিম ম্যানেজমেন্টের বিশেষ পরিকল্পনার কথাও বললেন প্রধান নির্বাহী।

“শুধু যে ওখানকার সুযোগ-সুবিধার জন্যই যাওয়া হচ্ছে, তা নয়। আরও কিছু পরিকল্পনা তো আছে। সব ব্যাপারগুলো ওভাবে সামনে না এনে আমাদের ফোকাস থাকবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দলকে পুরোপুরি তৈরি করা।”

হুট করেই পরিকল্পনাটা হওয়ায় কোচিং স্টাফের সবাইকে এই ক্যাম্পে পাওয়া নিয়ে সংশয় এখনও আছে। তবে সবাইকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানালেন প্রধান নির্বাহী।

বিশ্বকাপ ও নিউ জিল্যান্ড সিরিজের দলের পাশাপাশি স্ট্যান্ড বাই তালিকায় থাকা চার ক্রিকেটারকেও এই ক্যাম্পে রাখা হবে।

২৮ সেপ্টেম্বর দল দেশে ফিরবে দুবাই থেকে। এরপর আর খুব একটা বিশ্রামের ফুরসত পাবেন না ক্রিকেটাররা। ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে ২ অক্টোবর ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছবে বাংলাদেশ দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *