রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে আরেকটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প’।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) ভিত্তিতে এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার। ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সরকারের সেতু বিভাগ।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রকল্পটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থনৈতিক বিষয় এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বালিয়াপুর থেকে নিমতলী-কেরানীগঞ্জ-ফতুল্লা-বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত হবে এই এক্সপ্রেসওয়ে। প্রায় ১৬ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে।
সভা শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আতিরিক্ত সচিব মো.সামসুল আরেফিন।
কবে নাগাদ ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হবে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন টেন্ডারে দেওয়া হবে।’
টেন্ডারে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে শামসুল আরেফিন বলেন, বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে। সে জন্য টেন্ডার দেওয়া হবে।