রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘোষণার পর দ্বিতীয় দিন শুক্রবার রাজধানী কিয়েভে পৌঁছে গেছে রুশ বাহিনী। দু’পক্ষের মধ্যে চলছে প্রবল লড়াই। উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
শুক্রবার জিনপিংয়ের সঙ্গে পুতিন ফোনে কথা বলেন। এ সময় ইউক্রেন সংকট সমাধানে রাশিয়ার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন জিনপিং। তিনি সংলাপের মাধ্যমে ইউক্রেন সংকট সমাধানে রাশিয়াকে সহাযোগিতার আশ্বাস দেন বলে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট অনেক ক্ষেত্রেই চীনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার চীন ইউক্রেনে রুশ হামলার নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রকেই উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালার জন্য দুষছে চীন। এছাড়া দুপক্ষকেই ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দেশটি।
বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৯০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা একটি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী হুয়া চুনয়িং ইউক্রেনে রাশিয়ার পদক্ষেপের বিষয়ে ১১টিরও বেশি প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন। বেইজিং রাশিয়ার কর্মকাণ্ডকে আক্রমণ বলে মনে করবে কি না এবং তারা ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে কিনা সে বিষয়ে বারবার জিজ্ঞাসা করা হলেও কোনো উত্তর আসেনি বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
চীন ও রাশিয়ার বন্ধুত্ব নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কয়েকদিন আগেই বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকে নিজেদের সম্পর্ক ঝালাই করে নিয়েছে দুই দেশ। সে সময় ‘অভিন্ন শত্রু’ যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবেলায় ‘বন্ধুত্ব ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের পথ’ সুযোগ করাও ঘোষণা দিয়েছিল দুই দেশ। এবার ইউক্রেন ইস্যুতেও ‘বন্ধু’ রাশিয়ার পাশেই দাঁড়াল চীন।