২০১৯ সাল থেকে এ কোম্পানিতে কাজ করছেন তিনি।
ইউনিলিভার বাংলাদেশে নতুন ফাইন্যান্স ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জিনিয়া হক।
এর মাধ্যমে তিনি ইউনিলিভার বাংলাদেশের ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে যোগ দিলেন এবং কোম্পানির প্রথম নারী ফাইন্যান্স ডিরেক্টর হলেন বলে বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
এদিন থেকেই তার এ নিয়োগ কার্যকর হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তিনি জাহিদুল ইসলাম মালিতার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। মালিতা একই সময়ে সিঙ্গাপুরে প্রকিউরমেন্ট ফাইন্যান্স ডিরেক্টরের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে ইউনিলিভারে যোগ দেওয়া জিনিয়ার করপোরেট ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবসা খাতের আর্থিক-বিষয়াদি, আঞ্চলিক কার্যক্রম এবং ম্যানুফ্যাকচারিং বিষয়ে তার ২২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) কোম্পানিটিকে নির্বিঘ্নে ইউনিলিভারের প্রক্রিয়া এবং সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তিতে অবদান রাখেন। এছাড়া দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সর্বোচ্চ ট্রেড ভ্যালু।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের ‘ডাইভারসিটি ও ইনক্লুসন’ নিশ্চিতেও জিনিয়ার অবদান রয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
তার নতুন দায়িত্বে ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাভেদ আখতার বলেন, “নতুন ফাইন্যান্স ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় এবং ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে যুক্ত হওয়ায় জিনিয়া হককে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। ইউনিলিভারের সিস্টেমে জিএসকের একীভূতকরণ এবং দক্ষতার সাথে ব্যয় প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আমি আত্মবিশ্বাসী, জিনিয়া ইউবিএলের কর্মপরিধিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।”
ইউনিলিভারে যোগদানের আগে জিনিয়া ২০১৪ সাল থেকে জিএসকেতে ফাইন্যান্স ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বিএটি বাংলাদেশের করপোরেট ফাইন্যান্স এবং ইন্টারন্যাশনাল অডিট বিভাগে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্সে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের হয়ে সিঙ্গাপুরে ‘রিজিওনাল ফাইন্যান্স প্রজেক্ট লিড’ হিসেবে ভূমিকা রাখেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে ফাইন্যান্স বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী জিনিয়া, দ্য চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস (সিআইএমএ) ইউকের একজন ফেলো সার্টিফাইড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউনট্যান্ট (এফসিএমএ)। তিনি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারনাল অডিটরস বাংলাদেশ এবং দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশরও সদস্য।