রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) আকার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজারে চাহিদার কারণে এ ফান্ডের আকার ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার করা হচ্ছে। অর্থাৎ এ ফান্ডের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরো ৫০ কোটি ডলার বা ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। দেশিয় মুদ্রায় সব মিলিয়ে এ ফান্ডের আকার হবে ৪৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে ইডিএফ থেকে ঋণের সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। ওই সময় থেকে এখনো এ তহবিল থেকে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ঋণ পাচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। করোনার প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকদের বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে এ সুবিধা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও প্রসারের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে বৈদেশিক মুদ্রায় স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল গঠিত হয়। মাত্র ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ডলার নিয়ে এ তহবিলের যাত্রা শুরু হয়। ২০০৫ সালে এটি ১০ কোটিতে উন্নীত করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে আকার বাড়িয়ে গত বছরের এপ্রিল মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার এবং শনিবার তা ৫ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার উন্নীত করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইডিএফ থেকে ১ হাজার ৬৭০ জন রপ্তানিকারক ঋণ নিয়েছেন। এ তহবিল তাদের ঋণের পরিমাণ ৪৯২ কোটি ১০ ডলারের ঋণ নিয়েছেন। বিজিএমইএর সদস্যদের মধ্য থেকে ৬১৩টি প্রতিষ্ঠান, বিটিএমএর ২৫৪টি প্রতিষ্ঠান, বিকেএমইএ ২০২টি প্রতিষ্ঠান, ডাইং ইয়ার্নের ১১১টি, প্যাকেজিংয়ের ১৪৫টি, চামড়া শিল্পের ২০টি, প্লাস্টিক শিল্পের ১৭টি এবং অন্যান্য খাতের ৩০৮টি প্রতিষ্ঠান ইডিএফ ফান্ড থেকে ঋণ নিয়ে ঋণপত্র (এলসি) খুলেছে।