ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শুধু যুদ্ধাপরাধী নন, তিনি একই সঙ্গে মিথ্যাবাদীও। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর দেওয়া ভাষণের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বার্নি স্যান্ডার্স একথা বলেন। আনাদোলু এজেন্সি।
স্যান্ডার্স বলেছেন, ‘নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী। গাজা যুদ্ধ অবসানের জন্য আমাদের সবকিছু করতে হবে এবং সেখানে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে হবে।’
সামাজিক মাধ্যম এক্স পেজে দেয়া এক পোস্টে স্যান্ডার্স এসব কথা বলেন। মার্কিন এ সিনেটর আরও বলেছেন, ইসরাইলিরা নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চায়। এজন্য আগাম নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে তিনি মার্কিন কংগ্রেসে তার নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে এসেছেন।
ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে স্যান্ডার্স সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, মার্কিন কংগ্রেসে কোনো যুদ্ধাপরাধীকে সম্মান জানানোর এটিই প্রথম কোনো ঘটনা। এর আগেও স্পষ্টবাদী স্যান্ডার্স বহুবার ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন। এছাড়া, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে দমন-পীড়নমূলক নীতি অনুসরণ করে আসছে তার প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর সমালোচনা করে থাকেন বার্নি স্যান্ডার্স।
মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাসও। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মিথ্যায় পরিপূর্ণ এবং তিনি যুদ্ধবিরতি চান না বলে মন্তব্য করেছেন হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা। হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, মার্কিন কংগ্রেসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ভাষণ থেকে বোঝা যায় যে তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে চান না। এক সাক্ষাৎকারে আবু জহুরি আরও বলেছেন, গাজার জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ ঢাকতে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের মুখে নিজেদের ব্যর্থতা ও পরাজয় ঢাকতে তিনি সফল হবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন ওই সিনিয়র কর্মকর্তা।
বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য দেন নেতানিয়াহু। ভাষণে ইরানকে মোকাবিলায় মধ্যপ্রাচ্যে একটি নিরাপত্তা জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে আবু জহুরি বলেছেন, ইসরাইলের সঙ্গে যে কোনো দলের জোট হবে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
ফিলিস্তিনে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৯ হাজার ছাড়িয়েছে। ৭ অক্টোবরের পর থেকে চলমান এ হামলায় আহত হয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।