স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এইচপিভি টিকা স্কুলপড়ুয়া ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছাত্রীদের দেওয়া হবে। এ টিকা খুবই নিরাপদ, ডব্লিউএইচও অনুমোদিত।
সংশ্লিষ্ট স্কুল, হাসপাতালসহ সব টিকাকেন্দ্রে এ টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পরিষদ হল রুমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের এইচপিভি টিকা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এইচপিভি টিকা শুধু ঢাকা বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। এ বিভাগে ২৩ লাখ টিকা দেওয়া হবে। মানিকগঞ্জে ৭২ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। আর পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এক কোটি ২৫ লাখ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মেয়েদের জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে এ টিকা বেশ কার্যকর, মেয়েদের বলব, তোমরা নিজেদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন থাকবে। ঠিকমতো খাবার খেতে হবে, শরীরচর্চা করতে হবে, তবেই ভালো শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। একজন সুস্থ মানুষই নিজের জন্য ও দেশের জন্য কাজ করতে পারে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে, ধাক্কা দিয়ে কোনো সরকারকে ফেলে দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবেন না আপনারা। দেশের জনগণ তাদেরই ভোট দেবে, যারা উন্নয়ন করেছে। বিপদের সময় দেশের মানুষের পাশে ছিল, এবারের নির্বাচনে এমন দলকেই ভোট দেবে জনগণ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাশিদা সুলতানা, উপ-পরিচালক (ইপিআই) ডা. জেসমিন আরা খানম, জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন, সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরীসহ অনেকে।
এছাড়া এসময় টিকা নিতে আসা শতাধিক ছাত্রী ও সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোর শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
ইউনিসেফ, দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স – গ্যাভি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাসের (এইচপিভি) প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার।