না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী ও ডাকসুর সাবেক জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ।
শনিবার সকালে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি।
বাবলু বাসদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত শতকের ৮০ এর দশকের শুরুতে ডাকসুর জিএস ছিলেন।
দুই দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করা বাবুলকে প্রথমে উপদেষ্টা করেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তার শাসনামলে বাবলুকে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি। এরপর বাবলুকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং পরে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী করা হয়েছিল।
১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বাবলু। পরে ২০১৪ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এরশাদের নির্দেশে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
এরশাদের জীবদ্দশায় ২০১৪ থেকে দুই বছর জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন বাবলু। ২০২০ সালে আবার সেই দায়িত্বে ফিরেছিলেন তিনি।
তার প্রথম স্ত্রী অধ্যাপক ফরিদা আক্তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান। বাবলু-ফরিদা দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
গত কয়েক বছর আগেই জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদের ভাগ্নি মেহেজাবুন্নেসা রহমান টুম্পাকে বিয়ে করেছিলেন বাবলু।
জিয়াউদ্দিন বাবলুর জানাজা রাতে, মিরপুরে দাফন
জাতীয় পার্টির মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী ও ডাকসুর সাবেক জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর জানাজা শনিবার বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে রাখা হবে তার মরদেহ।
জাতীয় পার্টির প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালি এ তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাবলু।
গত মাসের শুরুর দিকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন বাবলু। গত ৬ সেপ্টেম্বর তাকে রাজধানীর ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে জিয়াউদ্দিন আহমেদকে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা বাবলু দুই দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।