জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করার লক্ষে ৫,৮৮৩.৭৪ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪ জেলা, সব উপজেলা, সব ইউনিয়নের সর্বত্র এমনকি গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সরকারি সেবা জনগণের কাছে সহজে এবং দ্রুত পৌঁছাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা হবে।
একনেকের চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। নগরীর শেরেবাংলা নগর এলাকাস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা এতে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আজ আনুমানিক ২৯,৩৪৪.২৭ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।
‘মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে, ১১,০০৩.৩০ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে এবং ১৮,৯৩২.০৪ কোটি টাকা হিসাবে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়ার যাবে,’ তিনি বলেন।
অনুমোদিত ১০টি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি নতুন এবং তিনটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আইসিটি বিভাগ ‘এস্টাবিলিশমেন্ট ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল সহজে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। যাতে দ্রুত ও সহজে সরকারি পরিষেবা ই-সেবাতে রুপান্তর করা যায়। এছাড়া ফাইবার অপটিক সংযোগ ইউনিয়ন থেকে গ্রাম পর্যায়ে প্রসারিত করা।
প্রকল্পের আওতায় ১,০৯,২৪৪টি ব্রডব্যান্ড ও ইউজার সংযোগ স্থাপন এবং কেন্দ্রিয়ভাবে প্রায় ১০,০০০ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৮৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২ হাজার ৫০৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল এবং বাকী ৩ হাজার ৩৭৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আসবে চীনের কাছ থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-অবকাঠামোগত পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির আধুনিকীকরণ, আরিচা (বরঙ্গাইল)-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ, নড়াইল শহরাংশের জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন, রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প-২, সিলেট বিভাগের গুরুপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত), হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, খুলনা জেলার পোল্ডার নং-১৪/১ পুনর্বাসন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণ এবং মাতারবাড়ি ২ গুণ ৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোর ফায়ার্ড পাওয়ার প্রকল্প।